পরিপূরক - পর্ব ০৬ - স্পৃহা নূর - ধারাবাহিক গল্প


যাকে নিজের বোনের মতো ভাবি তাকে এখন সতীন হিসেবে দেখতে হবে ?? কেন এতো কস্ট দিচ্ছ আমাকে? কিসের খেলায় মেতে উঠেছ তুমি?????
.....
অহন আমার মনে হয় এ বাড়ি তে থাকা আর ঠিক হবে না । আমি বরং কাল চলে যাই।
— উহু।আমাদের মধ্যে কিন্ত এমন কথা ছিল না। কথা কিন্তু ছিল আমি আবার বিয়ে করলেও তুমি এ বাড়ি তেই থাকবে। এখন ই কোথায় যাবে অয়নী ম্যাডাম yeh to bas trailer thaa... picture to abhi Baki hay.......❤
...
— অহ আচ্ছা তুমি আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে চাও তো? 
— অয়নী আমি জানতাম তুমি অনেক বুদ্ধিমতি বাট এতটা বুদ্ধিমতী তা জানতাম না।
— অহন এসব করে লাভ টা কার হবে?? তোমার কি মনে হয় না আমার উপর জেদ করে তুমি ওহির জীবন টা নষ্ট করছ? তুমি তো এমন ছিলে না।
— কেন এখন আফসোস হচ্ছে? আমি তো সত্যি ই এমন ছিলাম না । আমাকে এমন হতে তোমরা ই বাধ্য করেছ।আর এসব করে কার লাভ আর কার ক্ষতি হবে সেটা তো ভবিষ্যত ই বলে দেবে।।
.
অহন রুম থেকে বের হয়ে পাশের রুমে চলে গেল ওহির কাছে।
.
আমি দরজার পাশে নিঃস্ব হয়ে বসে আছি । সত্যিই কি আফসোস হচ্ছে এখন আমার?? কি হয়ে গেল এটা?? কেন সেদিন অত বাড়াবাড়ি করতে গেলাম? আমি তো মায়ের কথা গুলোর উপর জেদ করে ....আর অহন আমার উপর জেদ করে ...উফ্ফ এই জেদের শেষ কোথায়??.
.
আমার কি বাবা মাকে এসব জানানো উচিত? যে তাদের একমাত্র জামাই অফিস থেকে ফেরার পথে নতুন একটা বিয়ে করে এনেছে। বাহ কি সুন্দর কথা। আগে অফিস থেকে ফেরার পথে আমার জন্য পিজ্জা,কিটক্যাট , কদম ফুল, জুই ফুল, আরও কত কি আনত । আর আজ আমার জন্য সতীন এনেছে।। বাহ।। তাও কি জন্য?? আমার আর মায়ের জেদ এর মূল্য দিতে গিয়ে।বাহ।।।। 
.
এসব কথা নিজের বাবা মাকে কিভাবে বলব? বাবা হার্টের রোগী। হুট করে ফোনে কথাটা শুনে যদি উল্টা পাল্টা কিছু হয়ে যায়? বাবা অহন কে অয়ন এর চেয়ে কোন অংশে কম ভালোবাসেন না । অহন আর বাবা দুই বন্ধুর মতো ।কেউ বলবে না শশুর জামাই। বাড়ি গেলে দুই বন্ধুর মতো ই আড্ডা,ঘোরাঘুরি করে দুজন।অহন এরকমই ।।নিজের বাবা মা ছাড়া মনে হয় পৃথিবীর সবার সাথেই খুব freely মিশতে পারে সে। বাবা সব সময় ই বলে অহন আমার জামাই না, ছেলে আমার, বেছে বেছে হীরের টুকরো জোগাড় করেছি আমি আমার মেয়ের জন্য ।। আজ সেই বাবা কে কি বলব আমি?
.
ফোন হাতে নিয়েও বাড়িতে আর ফোন করার সাহস করে উঠতে পারলাম না ।
.
এরই মধ্যে মার ডাক শুনতে পেলাম ।
—অয়নী, অয়নী
— জ্বি মা?
— দেখ বৌ মা, কিছু কিছু নিয়ম কানুন তো মানতেই হয় তাই না? যতই কুসংস্কার হোক সবাই মানে
— মা আমি ঠিক বুঝলাম না
— বিয়ে টা না হয় ওরা নিজে নিজে সেরেই নিয়েছে কিন্তু অন্যান্য নিয়ম গুলো তো আমরা করতেই পারি ।
— হুম
— আমি তো ভেবেছিলাম কাল আপা রা বাড়ি আসবে সবাই মিলে কাল নিয়ম গুলো পালন করব। কাল ই বাসর হবে । কিন্ত ছেলে তো দেখি ওহির রুমে ঢুকে গেছে আজ ই। একটু হলুদ আর মেহেদি না ছুইয়ে ই....মঙ্গল অমঙ্গলের ও তো একটা ব্যাপার আছে। যদিও তোমরা আজ কালকার ছেলে মেয়েরা এসব মানো না তবুও....
— আমার কি করতে হবে বলুন
— মানে বাড়ি তে তো আর কেউ নেই এই মুহুর্তে,আর আমি মা হয়ে কিভাবে .. 
— হ্যা মা,আমি তো বলছি ই আমার কি করতে হবে বলুন
— ওদের একটু হলুদ আর মেহেদি ছুইয়ে ...
— আচ্ছা, বাটি টা আমাকে দিন । আমি ছুইয়ে দিয়ে আসছি।
,
আমি হলুদ বাটা,মেহেদি বাটা, পান আর দুধের গ্লাস নিয়ে ওদের ঘরে গেলাম। ওহি আর অহন খুব হাসাহাসি করছে আমাকে দেখেই থেমে গেল । অহন রেগে গিয়ে আমার দিকে আসল
— নিউ ম্যারিড কাপলের ঘরে ঢুকতে দরজা নক করতে হয় জানোনা সেটা??
— সরি,,,মনে ছিল না আমার
— এখন থেকে মনে রাখবা 
— হুম
—কেন এসেছ এই রুমে? হুম??
— আমি নিজে থেকে আসি নি। আর এ রুমে আসার আমার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই। মা আমাকে পাঠিয়েছেন এই হলুদ আর মেহেদি....
— বাহ। মজা তো । এসব করতে খুব মজা লাগছে তাই না?

আমি ওর কথার আর কোন উত্তর ই দিলাম না। ওহি কে একটু হলুদ আর এক নখে মেহেদি ছুয়ে দিলাম। 
— ভাবি..
— আমি এখন আর তোমার ভাবি না ওহি।
.
ওহি কথার উত্তর দেয়ার আগেই অহন আমার দিকে এগিয়ে এলো ।
— আমাকে দিয়ে দেবে না মেহেদি? আর হলুদ লাগাবে না?
আমি হলুদ নিয়ে অহন এর গালে ছোয়াতে নিলাম । অহন ঠিক তখন ই আমার হাত টা ধরল
— উহু এখানে না
— তো?
অহন পাঞ্জাবির বোতাম খুলে বুকের সেই চা পড়ার হালকা পোড়া দাগ ইঙ্গিত করল । যদিও দাগ টা এখ্ন খুব হালকা হয়ে গেছে। কিন্ত বেশি ফর্সা মানুষ হওয়াতে দাগ টা পুরোপুরি ঢেকে যায় নি। ফর্সা মানুষের এই এক জ্বালা চামড়ায় কোন দাগ পড়লে সহজে তা যায় না। শ্যামলা বা কালো মানুষের এই ঝামেলা টা বেশ কম। কিন্ত মনের দাগ ....সেটা তো কালো ফর্সা মানে না সে দাগ সারা জীবন রয়ে যায় সব মানুষের মনে।
.
— এখানে লাগিয়ে দাও 
— অহন কি হচ্ছে টা কি? অসভ্যের মতো কি শুরু করেছ?
— কি করেছি? দাও এখানে হলুদ লাগিয়ে দাও।
— অহন,,ওহি দেখছে এসব। কি জেদ শুরু করেছ?
আমি ওহির দিকে তাকিয়ে দেখি ও ততক্ষণে চোখ নামিয়ে নিয়েছে।মাথা নিচু করে বসে মিট মিট করে হাসছে।
— দেখুক। কি এমন করছি আমি?
— বোতাম লাগাও পাঞ্জাবির।। আর আমাকে হলুদ লাগাতে দাও তোমার গালে । হাত ছাড় বলছি।
— খুব হলুদ আর মেহেদি দেয়ার শখ তাই না? ওয়েট ...
বলেই অহন এক হাতের মুঠোয় আমার দু হাত নিয়ে নিল আর আর এক হাত দিয়ে বাটি থেকে হলুদ নিয়ে সব গুলো আমার মুখে ঘষে দিল। আর মেহেদি গুলো মাথায়. তারপর গ্লাস থেকে দুধ গুলো ও আমার মাথায় ই পড়ল...
— ব্যাস এবার ঠিক আছে । সং একটা ।
শাশুড়ির আদর্শ বৌ হইতে আসছে। মা বলল আর উনি ঢ্যঙ ঢ্যাং করে সব কিছু নিয়ে আসছে। মানে তোমার আসলে মিনিমাম লজ্জা শরম টুকু নাই? আত্নসম্মান বোধ না হয় না ই থাকল।
— ভাবি এবার কিন্ত তোমাকে সেই লাগছে ।
বলেই ওহি হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে ।
— এই বেয়াদব মেয়ে কতবার না তোমায় বলেছি আমায় ভাবি ডাকবে না। আমি কি এখ্ন ও তোমার ভাইয়ের বৌ নাকি? আমি এখ্ন তোমার স্বামীর বৌ।
.
বলেই নিজের রুমে চলে এলাম, নিজের রুম ঠিক না আমার আর অহনের রুম । বিয়ের পর থেকে এই রুম টাকে ই তো নিজের ভেবে এসেছি। 
অহন মুখে আর মাথায় এমন ভাবে হলুদ আর মেহেদি ঘষে দিয়েছে শাওয়ার না নিলে উঠবেই না ।
লম্বা একটা শাওয়ার নিলাম । হলুদ আর মেহেদির সাথে সাথে অতীত গুলো কেও মুছে ফেলতে চাইলাম ।কিন্তু অতীত কি আর এত সহজে পানিতে ধুয়ে ফেলা যায়?? আরো বেশি করে মনে পড়তে লাগল সে দিন গুলোর কথা....
.
ঠিক এরকম ই এক রাতে আমিও নতুন বৌ হয়ে এছিলাম এ বাড়িতে। 
রাতে অহনের কাজিন রা আমাকে বসে দিয়ে গেল এ রুমে। সে দিন অবশ্য রুম টা এমন মলিন হয়ে ছিল না ।খুব সুন্দর করে সাজানো ছিল রুমটা । বিছানায় কত গোলাপ আর গাদা ফুলের পাপড়ি ছিল। কি মোহনীয় সেই ঘ্রাণ। রুমে অনেক গুলো মোমবাতি ও জ্বালানো ছিল। মোমবাতি গুলো ঢিপ ঢিপ করে জ্বলছিল আর সাথে ঢিপ ঢিপ করছিল আমার প্রাণ।
কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার শব্দ পেয়েই বুঝ্লাম অহন এসেছে। কেন যেন ভয়ে কলিজা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল আমার। 
অহন এসেই আমাকে সালাম দিল। সালাম শুনেই আমার মনে পড়ল ওহো মা তো বলেছিল, বাসর ঘরে স্বামীকে আগে সালাম দিবি। ধ্যাত টেনশনে একদম ভুলে গেছি। 
আমি সালামের উত্তর না দিয়ে নিজেই আবার বললাম
— আ..আস সালামু অলাইকুম
— এই তুমি সালাম দিতে গেলে সব সময় তোতলামো করো কেন? 
— কি?? কি বললেন আপনি?
— কিছু না । বললাম ওয়া লাইকুম আস সালাম
— মোটেও আপনি এটা বলেন নি। আমি স্পষ্ট শুনেছি আপনি আমাকে তোতলা বলেছেন
— তো তোতলা বলব না তো কি বলব? সেই দেখতে যাওয়ার দিন ও তো এভাবে তোতলাতে তোতলাতে সালাম দিয়েছিলে। আবার আজ ও। তোমার সাথে দেখা আমার মোটে এই দুই দিন । আর এই দু দিন ই তো একই অবস্থা দেখছি
— আমি মোটেই তোতলা না । নার্ভাস নেস এর জন্য অমন হয়েছে আর কি। কিন্তু আপনি তো দেখি পুরো ই উল্টো
— কিহ?
— হুমম। প্রথম দিন তো কোন কথা ই বললেন না আমার সাথে পুরো রোবট এর মত করলেন ।আবার আজ এত কথার খই কই থেকে উড়াচ্ছেন???
— তুমি নিজে বুঝি খুব কম কথা বলছ?
— জানিনা । 
— যাই হোক আমার কিন্ত বেশি কথা বলা মানুষ ই পছন্দ।by the way তোমার আমাকে পছন্দ তো??? নাকি বাবা মা জোর করে আমার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে?
— আপনি যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি??
— এই ওয়েট ওয়েট।।। তোমার আমাকে পছন্দ না,,,, তোমার অন্য একটা রিলেশন আছে? নাটক সিনেমার মত এসব বলবা না তো?? তবে আমিও একটা কথা আগেই বলে দিচ্ছি আমি নাটক সিরিয়ালের হিরো দের মতো না কিন্তু। আমি ওসব মুখ বুজে মেনে নিতে পারব না। ওসব পাস্ট ভুলে যাও।
— উফ্ফ আপনি সত্যি বেশি কথা বলেন। ওসব বলব না ।আমার কোন পাস্ট নেই।
— যাক আলহামদুলিল্লাহ। বলো তাহলে কি বলবে???
— মানে আপনার সব ই ঠিক আছে ।কিন্তু 
— কিন্ত?
— আপনার নাম টা ...
— হ্যা ,,অহন আমার নাম। পুরো নাম মির্জা মাহমুদ ইফতেখার অহন।
— আমার না আপনার অহন নাম টা ভাল লাগে না। ভিলেন ভিলেন লাগে।
— কিহ??? সিরিয়াসলি??
— মানে আমি একটা নাটকে দেখেছিলাম অহন ছিল ভিলেনের নাম। ভিলেন টা আমার ফেভারিট হিরোইন মেহ্জাবিন কে কত ক্স্ট দিয়েছিল। কি খারাপ ক্যারেকটার ছিল অহন নামের সেই ভিলেন টার ।এখ্ন ও রাগ লাগে মনে হলে। সত্যি বলতে আমি সে জন্য এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না । 
— সিরিয়াসলি?? ওয়েট ওয়েট আমি আগে একটু হেসে নিই কেমন???
তারপর অহন হো হো করে হাসতে শুরু করল। 
— এই থামুন ।কি হচ্ছে টা কি?? বাইরে কেউ শুনলে কি মনে করবে??
অহন হেসেই যাচ্ছে থামার কোন নাম ই নেই। আমি না পেরে অহনের মুখ চেপে ধরলাম।
— চুপ।।। ফাজিল ব্যাটা কোথাকার ।।।চুপ একদম চুপ।
অহন আমকে এক ঝটকায় বুকের মধ্যেটেনে নিয়ে বলল,
— আমাকে চুপ করানো হচ্ছে ধমক দিয়ে তাই না?? অয়নী ম্যাডাম আমিও কিন্তু জানি কিভাবে চুপ করাতে হয়।
অহন এর কথা শুনে আমি পুরো চুপ।
— কি ভয় পেয়ে গেছ বুঝি? থাক আর ভয় পেতে হবে না। । আর তোমার আমার নাম নিয়েই সমস্যা তো??? নাকি অন্য কিছু নিয়েও সমস্যা আছে?
— না, আপাতত শুধু নাম নিয়েই।
— আচ্ছা,আমাকে অহন নামে ডাকতে হবে না। কিন্ত আমার কিন্ত তোমার নাম টা অনেক পছন্দের ।অয়নী। আমি সব সময় ই চাইতাম আমার বৌ আর আমার নাম মিলিয়ে হবে । সে হিসেবে অহন অহনা হলে অবশ্য বেশি ভাল হত। যাই হোক অয়নী ও আমার নামের সাথে বেশ মিল।
— অহন বলে ডাকব না তো কি বলে ডাকব???
— ওয়েট ।একটু ভেবে দেখি
— ইফতেখার বলে কিন্ত ডাকতে পারব না ।ও নাম অনেক বড় ।
— শোন,, আমরা দুজন তো হাজব্যান্ড ওয়াইফ তাই না?
— হুম তো?
— হাজব্যান্ড ওয়াইফ মানে কি?? একে অপরের পরিপূরক?? 
— হুম
— তো আজ থেকে তো আমরা একে অপরের পরিপূরক?
— হুম তো?
— তো তুমি আমার পরি বৌ আর আমি তোমার??
— পুরক বর না না সরি পুরক সাহেব।।। হা হা
— এবার পছন্দ হয়েছে তো?
— হ্যা খুব
— হুম। আম্মা আর বাবার সামনে আবার এই নামে ডেকো না। কষ্ট করে অহন ই বলো ।
— ঠিক আছে পুরক সাহেব
— হুম।চলো এবার নামাজ পড়ে নিই। অজু করে নাও ।
অহন আর আমি দুরাকাত নফল নামাজ আদায় করলাম।
.
পরদিন সকাল বেলা শাওয়ার নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি টা ঠিক করে কানে দুল পড়ছি।
ঠিক তখন ই অহন শাওয়ার সেরে পেছন থেকে এসে আমাকে তার বাহুর মধ্যে জড়িয়ে নিল। আমার ঘাড়ে চুলের সুবাস নিতে নিতে আয়নার আমার দিকে চোখ ইশারা করে গুন গুন করে উঠল,
"""" শোননা রূপসী, তুমি যে শ্রেয়সী
কি ভীষণ উদাসী, প্রেয়সী ....
জীবনের গলিতে, এ গানের কলিতে...
চাইছি বলিতে,,""" ভালোবাসি"""❤
.
এরই মধ্যে রুমে ওহি এসে উপস্থিত অন্যান্য কাজিন দের নিয়ে।
— এমা,,, ভাইয়া ভাবি তোমরা কি করছিলে আমি কিন্ত কিচ্ছু দেখি নি। আমি তো শুধু ভাবি কে ডাকতে এসেছিলাম । বৌ ভাতের জন্য পার্লারে নিয়ে যেতে হবে তাই। আমি কিন্তু তোমাদের ডিস্টার্ব করতে আসি নি।
.
খুব হাসাহাসি হয়েছিল সেদিন ব্যাপার টা নিয়ে।অহনের কাজিন দের সাথে,,,, 
তারপর যখন ই দেখা হয়েছে ওরা এটা নিয়ে হাসাহাসি করবেই...
.
কিন্তু সেদিন কি আর বুঝেছিলাম , ওহি হুট করে আমাদের বাসর ঘরে ঢোকার মত ই আমাদের লাইফে ও ঢুকে পড়বে?? 
.
.
.
চলবে..............................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন