— বৌমা, তুমি মা হতে পারবে না বলে যে অহন ও বাবা হতে পারবে না সে কথা তোমাকে কে বলল??????
তোমার খামখেয়ালিপনার জন্য আমার ছেলে কেন স্যক্রিফাইস করবে??? আর আমরাই বা কেন স্যাক্রিফাইস করব?? আশ্চর্য তো । এ বিষয়েও নিজের অক্ষমতার ভার আমার ছেলের ওপর চাপাতে চাও তাই না?
....
আমি কিছু উত্তর দেয়ার আগে অহন মাকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নিচু স্বরে বলতে লাগল যেন আমি শুনতে না পাই,,,, কিন্ত আমি সব ই শুনতে পারছি তবে খুব মনোযোগ দিতে হচ্ছে,,,
— আম্মা কি হচ্ছে টা কি?? আপনি কি বলছেন এসব কোন আইডিয়া আছে আপনার? দোহায় লাগে চুপ করুন।। কোন পরিস্থিতে কি বলতে হয় জানেন না আপনি?? আমি কত কস্ট করে অয়নী কে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি আর আপনি???, প্লিজ আম্মা কিছু মনে করবেন না কিন্ত অপারেশন এর আগ পর্যন্ত আমাকে আর অয়নী কে একটু একা থাকতে দিন।। আমি চাচ্ছি না কান্নাকাটি করে ও অসুস্থ হয়ে পড়ুক।।আর আমার বাবা হওয়া নিয়ে আপনার এত মাথা ঘামাতে হবে না।এই মুহুর্তে অত কিছু আমি ভাবতে চাই না।। আমি এখ্ন শুধু অয়নী কে নিয়ে ভাবতে চাই। আপনিও পারলে ওর জন্য একটু দোয়া করেন।
— অহন তুমি যতই বলো এখ্ন এসব নিয়ে ভাবতে চাই না কিন্ত দিন শেষে দেখবে এটাই তোমার মুল ভাবনা হয়ে দাড়াবে। এইত কিছুক্ষণ পর থেকেই তোমার সামনে দিয়ে যদি কেউ তার বাচ্চা কে কোলে করে নিয়ে যায় তখন থেকেই তোমার ভেতর খারাপ লাগা শুরু হবে। ধীরে ধীরে দিন যতই যাবে এই খারাপ লাগা এমন একটা পর্যায়ে পৌছে যাবে তুমি তখন নিজেকে নিসঙ্গ অনুভব করবে। আফসোস হবে তোমার। আর বুড়ো বয়সে??? তখন কে করবে তোমার দেখভাল?? অয়নী??? তার ও তো তখন বয়স হবে।
— আম্মা প্লিজ চুপ করেন ।আমার এখন এসব শুনতে ভালো লাগছে না।
— সত্যি কথা কারোর ই শুনতে ভাল লাগে না । এখ্ন তো শুধু আমি বলছি।তারপর সবাই যখন জানতে পারবে তখন সবাই এভাবেই বলবে অহন। অহন বাবা আমার,, আমি তোমার মা। আর মায়েরা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না। সন্তান হল স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্বরূপ।। সেতুর বন্ধন ই যদি না থাকে সেই সেতু ভাঙতে কতদিন??আর ছোট বাচ্চাদের প্রতি তোমার কতটা দুর্বলতা তা কিন্ত ভাল ভাবেই বোঝা যায়।
— আম্মা এই মুহুর্তে এসব বলে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন???
— কি বুঝাতে চাচ্ছি সেটা না বোঝার মত অবুঝ তুমি নও। সেটা আমি ভাল ভাবেই জানি।
— আম্মা আমার হাত ছাড়েন । আমার এখন অয়নির পাশে থাকা প্রয়োজন ।
— অহন আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাচ্ছি। এই যে সারাদিন অয়নী অয়নী করো,,,এখন একটু নিজের কথাও ভাবো । নিজের ভবিষ্যত কি হবে ভেবে দেখেছ?? শুধু মাত্র এক জনের খামখেয়ালি পনার জন্য তুমি নিজের ভবিষ্যত অন্ধকারে ফেলতে পারো না। আর আমাদের ও ..
— তো আম্মা কি চাচ্ছেন আপনি? এত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে সহজ ভাবে দ্রুত বললে আমার একটু সুবিধা হয় । আমি বলছি তো আমার এখন ওর পাশে থাকা টা প্রয়োজন।
— অহন বাবা আমার,,, তুমি কথা দাও তুমি আবার বিয়ে করবে।
— কিহ???
— হুম। তুমি কেন অয়নীর জন্য নিজের এত বড় স্যাক্রিফাইস করবে? কত দিন হলো ই বা বিয়ে হয়েছে তোমাদের?? সবে এক বছর ।।। অনেক সম্পর্ক ই ভেঙে যায় অনেক কারণে বিয়ের বহু বছর পরও। তুমি এখ্ন বুঝতে পারছ না অহন একটা সম্পর্কে বাচ্চা কতটা important....এখ্ন না বুঝলে এক দিন ঠিক ই বুঝতে পারবে আর যখন বুঝতে পারবে তখন কিন্ত বড্ড দেরি হয়ে যাবে। সময় থাকতে সঠিক ডিসিশন নাও । বাস্তবতার কাছে এসব ঠুনকো মায়া কিছুই না । দুই দিনের সংসারের এসব ঠুনকো মায়ার দাম দিতে গিয়ে সারাজীবনের যেন সর্বনাশ না হয়ে যায়।
— আম্মা এটা হসপিটাল আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন । কি সব আবোল তাবোল বকছেন?? আর আমার একটা কথা ভালো করে শুনে রাখেন আমি অয়নী কে কোন দিন ও কোন অবস্থায় ও ছাড়ব না। এর চেয়েও যদি কোন কঠিন পরিস্থিতি আসে তবুও। বিয়ের মাত্র এক বছর হয়েছে তো কি এসে যায়???........ আমার কাছে এক বছর ও যা একশ বছর ও তা। কাগজের সম্পর্ক না হয় এক বছরের কিন্ত মনের সম্পর্ক কত দিনের তার হিসেব কি কেউ রাখতে পারে???
.
অহন মায়ের কাছ থেকে হাত টা ছাড়িয়ে নিয়ে আমার মাথার পাশে এসে চুপচাপ বসল।। কোন কথা নেই মুখে ।চুপচাপ মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে । চোখের পাতা ঘনঘন ফেলেছে । বোঝাই যাচ্ছে তার চোখ ছলছল করছে তাই কান্না আটকানোর পূর্বাভাস এটা। কিছুক্ষণ পর পর দীর্ঘশ্বাস ফেলছে,ছাদের দিকে তাকাচ্ছে অতপর আবার মেঝের দিকে ।
আমি বুঝতে পারছি ও যতই আমাকে বুঝতে না দিক কিন্ত খারাপ তো ওর ও লাগছে । বাবা তো ।।। সন্তানের জন্য শুধু যে মায়ের ই বুক ফাটে তা না, বাবা দের ও বুক ফাটে হয়ত মুখ ফোটে না।
তারা যে পুরুষ ....এই সমাজ তো তাদের কান্নার অধিকার খুব একটা দেয় নি।
আর তার ওপর মায়ের কথা গুলো । নিশ্চই সেসব নিয়েও ভাবছে, কথা গুলো আরো গভীর ভাবে ভাবছে।
.
কিন্তু আমি তখন ই খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম যে মা যখন একবার তার ছেলের আবার বিয়ের কথা ভেবেছে তখন অহনকে দ্বিতীয় বিয়েটা করতেই হবে। উনি ছেলেকে বিয়ে দিয়েই ছাড়বেন । উনার জেদ সম্পর্কে এই এক বছরে আমার খুব ভালো ভাবে জানা হয়ে গেছে ।
.
কিন্তু এই মুহুর্তে আমার কি করা উচিত। অহন কে কি বলা উচিত।জানিনা ।।।।।।
.
অহন কিছুক্ষণ পর কেবিনের বেলকনি তে গেল। আবার ফিরে এলো । ফোন নিয়ে আমার পাশে বসল গেমস খেলতে। তবুও সে আমার দিকে তাকাচ্ছে না। সে এমন একটা ভঙ ধরল সে খুব স্বাভাবিক আছে। তার এসবে কিচ্ছু আসছে যাচ্ছে না ।....
.
সে এটাও জানে এই মুহুর্তে সে আমার সাথে কথা বললে হয়ত আমি আবার কান্নাকাটি শুরু করে দেব। আমার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে।। তাই সে আমার সাথে আর কথা বাড়াচ্ছে না ।।।
.
ফোন নিয়েই ব্যস্ত এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে।
.
তবুও নিজেই তার সাথে কিছুকথা বললাম। এরই মধ্যে আমার বাবা মা ও চলে এলো। তাই খুব একটা কথা আর বাড়ল না তার সাথে ।।।।
.
অতপর....
অতপর তো সব শেষ হয়ে গেল। অপারেশন সাকসেসফুল হলো ।।।। কিন্ত আমার আর অহনের লাইফ থেকে সব সাকসেস চলে গেল।। ওহ অহনের না,,, আমার ।।।।।
.
দিনের যায় ক্ষণ যায়,,,,, সময় আবহমান হয়,,,,
সব কিছু বদলে যায়,,,, ভেঙে চুরে নিয়ে যায়,,,
সব কিছু নিয়ে যায়,,,,,,
হয়ত কাউকে দিয়েও যায়,,,, ওরা কিছু পেয়ে যায়,,,
,আমি শুধু হারিয়ে যাই,,,,,,
হ্যা,,,আমিও হারিয়ে যাই,,,,,।।।।🖤🖤
.
ওহি কে আমি অনেক লক্ষ্য করেছি সে প্রায় সারাদিন ই ফোনে কথা বলে।। মিটিমিটি হাসে। আবার মাঝে মাঝে হাসিতে গড়িয়ে পড়ে ।।।
ভাবছেন আমি ওকে সারাদিন ফলো করি কি না????
না নাহ।।। আমার রুমের পাশেই ওর রুম।। রুমের সামনে দিয়ে যাওয়া আসার সময় ঐ দিকে একটু আকটু নজর পরে আর কি।
হাজার হলেও সতীন তো ....একটু আগ্রহ থেকেই যায়, একটু হিংসে ও থেকে যায়। ।। এই দায় এড়াতে পারি না আমি।।।
আমি রুমে গেলেই ও লজ্জা পেয়ে ফোন কেটে দেয় ।।।আর আমার সাথে রাজ্যের গল্প জুড়ে দেয়।।।।
ওর একটা সুন্দর স্বভাব আছে। যে কাওকে নিজের গল্পে মাতিয়ে রাখতে পারে ।।। আমি নিজেও বুঝি ওর কিছু গল্প সত্যি কিছু কাল্পনিক ।। মানে শ্রোতা কে মাতিয়ে রাখতে যা যা বলা দরকার আরকি।।।।
আমিও ওর সাথে গল্প করতে করতে ভুলেই যাই ও আমার সতীন।। ওর সাথে গল্প করা আমার ইদানীং নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।।।
তবে আমাদের মধ্যে অহন কে নিয়ে কোন কথা হয় না।
.
আমি যে ওহির সাথে এত গল্প করি এটা মা তেমন একটা পছন্দ করেন না। উনি ভাবেন আমি হয়ত নজর দিব বাবুর ওপর।হয়ত হিংসের বশে ক্ষতি করে দেব।
.
তবে ওহি এসবে পাত্তা দেয় না ।আমি যতবার না ওর রুমে যাই তার চেয়ে বেশি বার ও আমার রুমেই আসে। বিয়ের পর থেকেই সব দেবর ননদদের মধ্যে ওহির সাথেই আমার ভাব ছিল সব চেয়ে বেশি।অহনের ও দেখেছি খালাত মামাত বোন দের মধ্যে ওর সাথেই খাতির সব চেয়ে বেশি ।। আর এখন তো খাতির আরো বেশি।।।
.
কিন্ত আমার ও ধৈর্যের একটা লিমিট আছে । এই মেয়ে প্রতিদিন অহন অফিস যাওয়ার পর থেকে শুরু করে ফোনে কথা বলা।। আমি খুব ভালো ই বুঝি জামাই ছাড়া কেউ এভাবে কারো সাথে রোমান্টিক মুড নিয়ে কথা বলবে না।
হাজার হলেও জামাই আমার ও ছিল এক সময় ।।ও হ্যা এখন ও তো আছে। ভুলেই গেছিলাম ডিভোর্স হয়নি আমাদের।।।
অহনের সাথে আমার এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিস টাইমে কখনই ফোনে কথা হয় নি।।। শুধু মাত্র কিছুলাগবে নাকি, দুপুরে খেয়েছি কি না,, আরো এই ধরনের টুকিটাকি কথা। মানে পাচ সাত মিনিটের বেশি না।।। ফোন দিলেই শুধু ব্যস্ত আছি, মিটিং এ আছি, পরে ফোন দিচ্ছি নানান বাহানা।
অথচ সেই অহন এখন ঘন্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলে।।। বাহ্হ্হ্হ্হ।।।
ঠিক আছে ও তো আইনত এখ্ন ও আমার জামাই । আমিও ফোন দেব আজ। দেখি কতক্ষণ কথা বলে।।।
ওহি কে মোটামুটি ফলো করলাম। দুপুর বেলা ফোন রেখে শাওয়ারে গেল।
আমিও তখন ই ভাবলাম অহন কে ফোন দেব কারণ এর আগে ফোন দিলে তো ফোন ওয়েটিং পেতাম। এতক্ষণ ওহির সাথে কথা বলেছ ।।। এখ্ন বাকি সময় আমার সাথে কথা বলা চাই ই চাই। হোক সেটা ঝগড়া বা অন্যকিছু।
তাকে তিন তিনবার ফোন দেয়ার পর ফোন রিসিভনা করে আমাকে উল্টে টেক্সট পাঠালেন তিনি,
"" অয়নী বিজি আছি একটু।। খুব বেশি দরকারি হলে টেক্সট করে দাও""
এই বার আমার মেজাজ উঠল চরমে।এই শালা ফাজিল ব্যাটা বলে কি?? বিজি?? ওর যত বিজিনেস আমার বেলায় তাই না?? আরেক বৌ এর সাথে তো ভালই গল্প চলছিল এতক্ষণ।যখন বিজিনেস কই যায়।।।
ইচ্ছা করছিল এগুলোই টেক্সট করে দিই।।। কিন্ত না টেক্সট করলে মনের রাগ মিটবে না ঠিক মত।
আজ ব্যাটা কে হাতেনাতে ধরব ।।। তারপর অফিসের সবার সামনে অপমান করব কিছু একটা করে ।।।।
.
যা ভাবা তাই কাজ। চট করে রেডি হয়ে নিলাম। হাজব্যান্ড এর অফিসে যাচ্ছি বলে কথা তাই সুন্দর একটা নীল জামদানি শাড়ি পড়লাম হালকা একটু সাজুগুজু ও করে নিলাম।।
.
মা ঘুমাচ্ছিলেন বলে বের হতে তেমন কোন কৈফিয়ত দিতে হলো না।।।
.
অফিসে গিয়ে অহনের রুমে ঢুকতেই ওর পি এ বলল, ম্যাম স্যার এর সাথে কি আপনার এপোয়েন্টমেন্ট নেয়া আছে??
— এই মেয়ে কতদিন হলো জয়েন করেছ তুমি??
— জ্বি প্রায় দু মাস।
(বুঝলাম এজন্যই চিনছে না আমাকে। অহন অফিসে পার্টি তে লাস্ট আমাকে এনেছিল যাও সাত আট মাস আগে। তখন যে পি এ ছিল সে আমাকে ভাল ভাবেই চিনত।।))
— তোমার স্যার এর সাথে দেখা করতে আমার কোন এপোয়েন্টমেন্ট লাগে না। আমি উনার মিসেস।
বলেই হন হন করে ওর কেবিনে ঢুকলাম। ফাজিল ব্যাটা কে আজ হাতেনাতে ধরব ই ধরব।।।।
এমা কেবিন তো ফাকা।
আবার বের হলাম।
— এই তোমার স্যার কই??
— ম্যাম , স্যার মে বি ক্যান্টিনে । লাঞ্চ করছেন ।আপনি একটু ওয়েট করুন।
— রাখ তোর ওয়েট
— জ্বি ম্যাম কিছু বললেন???
— না মানে বলছিলাম ক্যান্টিন কোন ফ্লোরে???
— 7th floor এ ম্যাম।।
.
গেলাম ক্যান্টিনে। অনেক্ষন খোজার পর উনাকে পেলাম। সাথে আরো দুই কলিগ কে নিয়ে মহা আনন্দে গিলছেন উনি।
রাগ আমার একদম মগজ বেয়ে বেয়ে পড়তে লাগল।
পেছন থেকে গিয়ে মাথায় দিলাম একটা বাড়ি,,বেচারার মুখ গিয়ে পড়ল খাবারের ওপর
— এই তোর বিজিনেস?? এই তোর ব্যস্ত থাকা????? শালা ফাজিল ব্যাটা কোথাকার।।।।তুই তো চোর ,তুই তো চিটার একটা ।।।।।মিচকা শয়তান ।। তুই একটা ডিপজল।। ঐ ডিপজল কাইল্লা আর ভোটকা,,, আর তুই ধলা আর শুটকু ডিপজল।।।।। ও হ্যা ঐ ডিপজল লুঙি পড়া আর তুই স্যুট টাই পড়া ডিপজল।।।।।
.
খাওয়ার সময় আচমকা মাথায় বারি খেয়ে বেচারার বিষম উঠে গেল।
অহনের কলিগ রা হা করে একবার আমার দিকে একবার অহনের দিকে তাকাতে লাগল। তারা কিছু বুঝতে পারছে না কি হল এটা ।।
মনে মনে ভাবলাম পুরক সাহেব এটাই তো চেয়েছিলাম ।কেমন লাগে সবার সামনে বৌ এর হাতে মার খেতে??
বেচারার এত বিষম উঠেছে যে কোন কথা ই বলতে পারছে না।। কাশি ও থামাতে পারছে না ।।।
.
.
.
চলবে............................