পরিপূরক - পর্ব ১১ - স্পৃহা নূর - ধারাবাহিক গল্প


কেমন লাগে সবার সামনে বৌ এর হাতে মার খেতে?? 
বেচারার এত বিষম উঠেছে যে কোন কথা ই বলতে পারছে না।। কাশি ও থামাতে পারছে না ।।।
 ..........
সে কোন মত কাশি থামিয়ে টিস্যু দিয়ে মুখটা মুছেই বত্রিশ টা দাত বের করে খুব সুন্দর একটা "32 smile " দিল।
— আরেহ অয়নী!!!!! আজকের দিনে তুমি আমাকে এই ভাবে সারপ্রাইজ দেবে ভাবতেই পারি নি।।। থ্যাংক ইউ ডিয়ার ।।। থ্যাংক ইউ সো মাচ ।।।। তুমি জাস্ট কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করো আমি হাত টা ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আসছি।।।।
ওর কলিগরা বলল
— কি ইফতেখার সাহেব আজ বুঝি কোন স্পেশাল ডে??
( বলে রাখা ভাল অহনের পুরো নাম মির্জা মাহমুদ ইফতেখার অহন)
— জ্বি...একটু স্পেশাল। তাই তো বৌ এমন করে এসে সারপ্রাইজ দিল। আমি যেন হকচকিয়ে যাই। বিকেলে একটু বের হওয়ার কথা ছিল আমাদের।
— অহ্হ আচ্ছা আচ্ছা।।। 
— দ্যাখেন না বৌ আমার কত শখ করে অফিস এসেছে আজ। অয়নী তুমিও পারো ও বটে।।। এভাবে বকা দেয়ার ভান করলেই হলো??তুমি যে আমাকে আদর করে তুই তুই করে বল আর ডিপজল বলে ডাকো সেটা কি সবার সামনে না বললেই হতো না?? পাগলি একটা ।। আমাদের একটা প্রাইভেসি আছে না?? আর একটু পরেই তো আমি বাড়ি গিয়েই তোমাকে নিয়ে বের হতাম। আচ্ছা চলেই যখন এসেছ এত তাড়াতাড়ি চলো আমরা এখ্ন ই বের হবো।।। ( আমার দিয়ে তাকিয়ে) 
.

অতপর আবার কলিগদের দিকে তাকিয়ে বলল, ভাই বৌ আজ শখ করেছে অনেক দিন পর একটু বের হবে। বোঝেন ই তো ব্যস্ততার জন্য ওকে সময় ই দিতে পারি না । তার মধ্যে আজ স্পেশাল ডে।। বস কে একটু ম্যানেজ করে নিয়েন।আমার একটু এক্ষুনি বের হতে হবে।
— জ্বি ভাই বুঝতে পেরেছি। সমস্যা নাই আমরা ম্যানেজ করে নেব।। আপনি নিশ্চিন্তে ভাবি কে নিয়ে বেড়ান ।।।
.
ভ্যাবাচাকা অহন কে আমি কি দেব?? তার কথা শুনে আমি নিজেই ভ্যাবাচাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে যাওয়া অব্স্থা।। কিসের স্পেশাল ডে আজ?? আমার বার্থ ডে?? অহনের বার্থ ডে??? আমাদের এনিভার্সারি??? নাহ্হ্হ্হ।।। কিছুই তো নাহ্হ্হ্হ।।। আর আমি ওকে খুশি হয়ে ডিপজল বলি?? হোয়াট দ্যা ...কি সব ভুল বকছে এই ছেলেটা,,,
.
অহন আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।লিফট না নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে।
— এই আজ কি স্পেশাল ডে?
— প্রশ্ন টা তো আমার ও??? আজ কি স্পেশাল ডে???
— অহন ,, ঢঙ করো না তো ।। কি স্পেশাল ডে বলো??
— আরে বাবা ,, আমি কিভাবে বলব আজ কি স্পেশাল??
— তো এখ্ন ই যে বললে উনাদের? আজ স্পেশাল ডে 
— তাছাড়া আর কি বলতাম??? কথা তো কাটিয়ে নিতে হবে নাকি??? আর তাছাড়া এত সুন্দর করে সেজেগুজে এসেছ আমি ভাবলাম হয়ত কিছু স্পেশাল ।হয়ত আমার উপর তোমার দয়া হয়েছে। হয়ত ঘুরতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার সাথে তোমার।।। এই আর কি।।।।
— আমার তোমার সাথে ঘুরতে ইচ্ছে করতে বয়েই গেছে ।।।।
— কিন্ত আমি তো ছুটি নিয়ে ফেলেছি ম্যাম।।।।এখ্ন ঘুরতেই হবে আমার সাথে। তাছাড়া আমি বেকার বেকার কেন ছুটি নিলাম?????

— সেটা তুমি ভালো জানো ।।।।
— আচ্ছা তাহলে বলো হঠাত কেন এসেছ?? আর এসেই আমার সাথে অমন করলে কেন???
— কেন করব না সেটা বলো??? সারাদিন ওহির সাথে ফোনে পুটুর পুটুর কুটুর কুটুর গল্প করো আর আমি ফোন দিলেই ব্যস্ত থাক তাই না????
— ও আচ্ছা এই ব্যাপার,,,,,বৌ এর আমার হিংসে হচ্ছে তাই না???
— কেন হবে না শুনি??? আমি কি মানুষ না??? আমার কি কোন আবেগ অনুভূতি থাকার অধিকার নেই??? নিজের হাজব্যান্ড কে ধীরে ধীরে অন্যের হয়ে যেতে দেখব আর আমার হিংসে বোধ হবে না???
— আচ্ছা বাবা হয়েছে হয়েছে আর মেজাজ গরম করতে হবে না।।।। আসো বাইকে ওঠো ।।।।
— না উঠব না । যাব না আমি তোমার সাথে কোথাও।। আমি বাড়ি যাব।
— আচ্ছা চলো বাড়িতেই দিয়ে আসছি।
— আমি একাই যেভাবে এসেছি সেভাবেই যেতে পারব। যেতে হবে না আমার তোমার সাথে ।।।
— অয়নী আমি বলছি না বাইকে ওঠ???
— তো??? বলছ তো কি করব আমি???
— কি করবে মানে??? আসো বাইকে আসো। না হলে কিন্তু আমি....
—কি?? কিন্তু কি করবে তুমি??
— কি করব আমি?? দাড়াও এই মুহুর্তে আমি ছেলেধরা ছেলেধরা বলে চেচাব।।।। তখন দেখব গণপিটুনি খেতে কেমন লাগে তোমার??
— অহ আচ্ছা,,,তাই না??? আমিও তাহলে ছেলেধরা বলেই চেচাব ।।।। লোকজন তোমাকেই গনপিটানি দেবে।হুহ।।।
— ওয়েট ম্যাম ওয়েট।।। আমার কাছে অফিসের আইডি কার্ড আছে। আর আমি এখ্ন আমার অফিসের নীচেই আছি। অনেকেই আমাকে এখানে চেনে। আর আইডি কার্ড শো করলেই সবাই বুঝবে আমি কে ।।। কিন্ত আপনার কাছে এই মুহুর্তে কিছুই নেই। ঐ হাতে একটা পার্স ছাড়া । তাও নিশ্চই ওর মধ্যে সাজগোজ এর জিনিস ছাড়া কিছুই নেই 
.
অহনের কথার যুক্তি আছে। সত্যি আমার পার্সে কিছু টাকা আর সাজুগুজুর কিছু কিটস ছাড়া কিচ্ছু নেই ।।। ছেলেধরা বলে চিল্লালে যদি সত্যি গণপিটুনি খাই।।।। দিনকাল যা পড়েছে।।। আর কোন কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ ওর পেছনে উঠে পড়লাম বাইকে।।।।
.
— কোথায় যাচ্ছি আমরা??
— জানিনা।
— তুমি না বললে বাড়ি দিয়ে আসবে আমায়??
— হ্যা বলেছি তো ।।
— তো এটা কি বাড়ির রাস্তা??
— না।
— তাহলে??
— আমি বলেছি বাড়ি দিয়ে আসব ।কিন্ত এটা তো বলিনি যে সোজা বাড়ি ই যাব।।। আগে আমরা কিছুক্ষণ ঘুরব।তারপর বাড়ি ।।।
— বাহ্হ।।। কি বুদ্ধি তোমার।।।। আসো তোমাকে একটা নোবেল দিই।।
— দাও। অনেক দিন হলো ই তুমি আমাকে তেমন কিছু দিচ্ছ না।
— কেন নতুন বৌ তো অনেক কিছুই দিচ্ছে।।।আবার আমার কেন কিছু দিতে হবে?? 
— দিতে তো হবেই তোমাকে
— কি দেব??
— একটু সময়।
—তা আমরা কোথায় যাচ্ছি শুনি????
— যাওয়ার জায়গার কি আর অভাব আছে শুনি?? দেখি কোথায় যাওয়া যায়।।।।।
.
.
.
— অহন তুমি কিন্তু পাক্কা দেড় ঘণ্টা নিয়ে আমাকে শুধু বাইকেই ঘোরাচ্ছ। কি হচ্ছে এটা?? ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কোন দিক দিয়ে কই নিয়ে যাচ্ছ আমাকে?? সত্যি করে বলত
— সত্যি বলব??
— তো কি মিথ্যা বলবা নাকি??
— সত্যি টা হল এই যে আমি নিজেও জানি না আমি কোথায় যাচ্ছি।
—ফাজলামি করো তাই না আমার সাথে?? চুপচাপ বাড়ি নিয়ে চল আমায়।
— উহু।আজ অনেক দিন পর তোমাকে পেয়েছি । এত তাড়াতাড়ি ছাড়ছি না ।
— তো যাওয়ার মতো কোথাও একটা নিয়ে চলো ।।। এইভাবে বাইকে ভো ভো করে ঘুরতে আমার ভাল লাগে না।
— কেন আমার তো খুব ভালো লাগে ।।। কি সুন্দর দেড় ঘণ্টা ধরে জাপটে ধরে আছ তুমি আমায়। কতদিন পর এভাবে জাপটে ধরলে বলো তো?? 
— আহারে।।।। রোমান্স দেখি উতলে উতলে পড়ছে উনার আজ।। হুহ।।। এই একটু আগেও তো ওহির সাথে মিষ্টি মিষ্টি গল্প করছিলে। এখ্ন আবার আমার সাথে শুরু করেছ তাই না??
— কখন বলেছি আমি ওহির সাথে কথা??
— সারাদিন ই তো বলো ফোনে।
— মোটেই না । আমি সত্যিই বিজি থাকি সারাদিন ।
— হয়েছে আর মিথ্যা বলতে হবে না ।।। আমার সাথে দুটো চোখ দুটো কান একটা ব্রেইন দিয়েছে আল্লাহ। আমি সব ই দেখি সব ই বুঝি। বৌ এর বেবি হবে বলে বেশি খেয়াল রাখা হচ্ছে তাই না??আমার কাছে বলতেও লজ্জা করছে??
— হ্যা। আল্লাহ তোমাকে বোঝার ক্ষমতা একটু বেশি ই দিয়েছেন।
— হুম।।।।।
— এতই যখন বোঝ তাহলে আমার মাথায় ওভাবে মারলে কেন?? হুম?? আমার যদি কিছু হয়ে যেত??? হুট করে পেছন থেকে এসে অনেক জোরে বারি দিয়েছ মাথায়।।। তুমি জানো না হুট করে ওভাবে কারো মাথায় বা ঘাড়ে আঘাত করতে নেই????
— কি করব খুব রাগ উঠে গেছিল তো ।রাগের বশে কিল টা একটু জোরেই হয়ে গেছিল।।তাই বলে তেমন কিছু হওযার মত করেও মারি নি তোমায়।।।। আর কি হবে তোমার?? কিচ্ছু হবে না।।।
— যদি হত।ধর বেকায়দায় ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডে লাগল।তাহলে?? কোমায় যদি চলে যেতাম?? আর না হলে ব্রেইনে কোন নার্ভে লাগল?? পাগলা যদি হয়ে যেতাম?
— তো?? কি আর হত?? মজাই পেতাম
— মজা পেতে?? আমি অসুস্থ হলে তুমি মজা পাবে তাই না??? 
— তো কি??? ওহি তোমার সারাদিন সেবা করত আর আমি বসে বসে তোমার আর ওহির বাচ্চা সামলাতাম।।তারপর ওহির বাচ্চা কে চুরি করে নিয়ে অনেক দূর চলে যেতাম। হা হা
— ওহির বাচ্চা তুমি কেন সামলাতে?? ওহির বাচ্চা ওহি ই সামলাতো।।। আর তোমার সামলাতে হত আমাকে।।।হুহ্হ্হ্হ।।।দেখতাম কেমন মজা পাও তুমি।।।।
— আমার বয়েই গেছে। আমি বাপের বাড়ি চলে যেতাম তোমাকে লাত্থি দিয়ে।।। সুস্থ থাকতে নতুন বৌ আর অসুস্থ হলে পুরাতন বৌ কে দরকার না??শালা ফাজিল ব্যাটা।।
— এই তুমি আমাকে কথায় কথায় শালা ফাজিল ব্যাটা বলো কেন?? আমি তোমার শালা লাগি???? কোন জনমের শালা আমি তোমার??? সেই বিয়ের দিন থেকে সহ্য করে আসছি। তুই তাকারি ও করো তুমি আমায়।আমি কখনো এমন করি??
— সারাজীবন ই সহ্য করতে হবে ।।।কারণ এইটা আমার মুদ্রাদোষ।।।। আমার কারো ওপর রাগ লাগলে আমি এটাই বলি।। এরকম ই করি।।আর আমার এসব ছোট খাট জিনিস যদি তোমার আর ভাল না লাগে যদি সহ্য না করতে পারো তাহলে বলে দিও।।। আমি চলে যাব।। সহ্য করতে হবে না তোমার আর আমাকে।।। একটা মানুষের ছোট খাট ব্যাপার গুলো ভাল লাগা থেকেই ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।।। যখন সেই ছোট খাট ব্যাপার গুলো আর ভাল না লাগে বা অসহ্য লাগে তখন ই বোঝা যায় ভালবাসায় খাত চলে আসা শুরু করে দিয়েছে ।।। ভালোবাসায় মরিচা পড়া শুরু করে দিয়েছে ।।। আর আমার মরিচা যুক্ত কোন সম্পর্কে থাকার কোন ইচ্ছে নেই।।।।। এত কিছুর পরও আমি কেন তোমার সাথে আছি জানো?? আমি যে শুধু তোমার কথায় আছি তা না ,আমি নিজের ইচ্ছেতেই আছি।। কারণ আমি জানি আমাদের মধ্যে যতই অন্য কেউ আসুক আমাদের সম্পর্কে আমাদের ভালোবাসায় কোন চির বা মরিচা ধরে নি।আমরা তো শুধু পরিস্থিতির স্বীকার মাত্র।। কিন্ত যদি কখনো বুঝতে পারি আমি আর নেই তোমার কাছে আগের মতো ,তোমার কাছে আমার গুরুত্ব আর ওহির গুরুত্ব পরস্পর ব্যস্তানুপাতিক হয়ে যাচ্ছে আমি কথা দিচ্ছি আমি কোনদিন ও তোমাকে জোর করব না আমার নিজের অবস্থান আমার নিজের গুরুত্ব ফিরিয়ে নিতে।।। কারণ এসব জোর করে নেয়া যায় না।। আমি সত্যিই চলে যাব তখন।আমি তোমাদের মধ্যে কোন দিন ও কাটা হয়ে দাড়াব না ।।। আর আমি জানি একদিন এরকমই হবে।। বেবিটা হলেই তুমি বেবির মা আর বেবির প্রতি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে।।আর এটাই স্বাভাবিক ।। 
কি হল অহন বাইক থামালে যে??
— ব্যাস তোমার বলা শেষ????
— না আর একটু বলতাম।।।।
— বাট বিলিভ মি আমার তোমার এই সব লেকচার শুনতে একদমই ভালো লাগছে না ।।। আর একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ তুমি আমাকে ছেড়ে কোত্থাও যেতে পারবে না। কোনদিন ও না। পৃথিবী উল্টে গেলেও না।।। আমি পারব না তোমাকে ছাড়া থাকতে। আমি কিন্ত যা ইচ্ছা তাই করে ফেলব তুমি চলে গেলে।।।
— হয়েছে হয়েছে পুরক সাহেব।এত সিরিয়াস হতে হবে না।।। সময় আসুক সময় ই সব কিছু বলে দেবে।।।আপাতত আমরা কোথায় যেন যাচ্ছিলাম????
— জানিনা কোথায় যাচ্ছি।।।। বাট সময় যেমন ই আসুক তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না এটাই ফাইনাল।।আর আমার কাছে তোমার গুরুত্ব কোন দিন ও এক চুল পরিমান ও কমবে না ।।। মিলিয়ে নিও তুমি
।।।
— আচ্ছা বাবা মিলিয়ে নেব। 
— হুম মনে থাকে যেন।
 অহনের কানের নিচে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, হুম মনে থাকবে,,, কিন্তু আপনার কতদিন মনে থাকে সেটাই দেখার বিষয়।।।।
.
.
অহন আমাকে আরো অনেক্ষন ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে নিয়ে বেড়াতে বেড়াতে দেখলাম একজায়গায় চুড়ির মেলা বসেছে।।।।
বাহ্হ্হ।।। এ যেন মেঘ না চাইতেই জল।।।। সে আমাকে প্রচুর চুড়ি কিনে দিল।।।। লাল,নীল, বেগুনি,সাদা ,হলুদ, সবুজ আরো অনেক।।।। খুশিতে মনে হচ্ছিল ওখানেই অহনকে আরো একটা উম্মা দিই।।। ও ওহির জন্য ও কিছু নিতে বলল। ওহি দেখলে মন খারাপ করতে পারে তাই । ওহির জন্য ও কিছুনিলাম আলাদা প্যাকেটে। 
.
.
মেলা থেকে বেরিয়ে আবার দুজন ঘুরছি।।রাস্তার যেন কোন শেষ নেই।।।সন্ধ্যা নেমে আসছে প্রায় ।।।। আজ অনেক দিন পর এত খুশি লাগছে কেন জানি।।। অনেক দিন পর অহনের সাথে এমন সময় কাটাচ্ছি।।। অনেক গল্প করছি।।ওর ওপর সব রাগ উবে গেছে কেন জানি ।।। আমি ওকে ছেড়ে যাব এই কথা বলার পর ওর reaction দেখা মাত্র ই সব রাগ কই যেন হাওয়া হয়ে চলে গেছে ।।।
 .
.
—এই অয়নী...
— কি??
— চুপচাপ যে অনেক্ষন ধরে।???আর একটু কথা বলো আমার সাথে।।
— আরো কত কথা বলব?? বলছি ই তো সেই দুপুর থেকে ।।।। কথা ই খুজে পাচ্ছি না আর।।।
— তাহলে গান ধর তো একটা ।। 
— ভাল বলেছ।।উহমমম।।।।  
(আসলেও আমার এই মুহুর্তে গান ই গাইতে ইচ্ছে করছিল ।।।কি সুন্দর গোধূলি নেমেছে। সন্ধ্যা প্রায় নামছে।।)
অহন কে শক্ত করে পেছন থেকে জাপটে ধরলাম।
""" আবার এলো যে সন্ধ্যা...
শুধু দুজনে...
চলো না ঘুরে আসি অজানতে...
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে....
.
.
— এই অয়নী,,, একটা কথা শোন 
— বলো 
— আচ্ছা পালিয়ে গেলে কেমন হয়?? যদি আর বাড়ি না ফিরি আমরা??
— কিহ???
—হুম অনেক দূর চলে যাব আমরা,,, 
.
.
.
চলবে...........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন