আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

পরিপূরক - পর্ব ১৭ - স্পৃহা নূর - ধারাবাহিক গল্প


— আর হ্যা আজ সন্ধ্যার মধ্যেই ডিভোর্স পেপার ও রেডি হয়ে যাবে।।
— ডিভোর্স????
.
.
— হ্যা ও সম্পর্ক থেকে তুমি যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারো তোমার জন্য ই ততটা ভালো । ভুলে যাও সব কিছু । নতুন করে শুরু করো আবার । 
— ভুলতে চাইলেই কি ভোলা যায়?
— চেষ্টা তো করতে হবে তাই না মা? অহন যদি সব কিছু নতুন করে শুরু করতে পারে তুমি কেন পারবে না?? তুমি খামোখা তার কথা ভেবে নিজেকে অসুস্থ করে দিচ্ছ।এই ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে আর কত দিন পড়ে থাকবে,?? ও তোমার সাথে যা করেছে তা অন্যায়। এত দিন শুধু তোমার মুখ চেয়ে সব কিছু সহ্য করে এসেছি আমরা । 
— আমাদের সম্পর্ক কি সত্যিই ভেঙে গেছে?
— ভাঙে নি বলছ?? তোমাদের সম্পর্ক তো অহন সেদিন ই ভেঙে দিয়েছে যে দিন ও আরেকটা বিয়ে করে এনেছে । কিন্ত তুমি তা অবুঝ এর মতো দিনের পর দিন জোড়া লাগাতে চেয়েছ। জোড়া কি লাগল শেষ পর্যন্ত???
.
.
আমি আর মায়ের কথার কোন উত্তর ই দিই নি।
.
.
 সন্ধ্যায় আমার হাতে ডিভোর্স পেপার ধরিয়ে দেয়া হলো ।
 বাবা মাকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করালাম অহনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল কোন স্টেপ না নিতে। 
আর যাই হোক নারী নির্যাতনের কেস দেয়ার ব্যাপার টা আমার কাছে ঠিক মনে হয় নি।। এই দেড় বছরে সেদিন ই প্রথম হাত তুলেছিল।
.
খামোখা রাগের বশে মিথ্যা কেসে ফাসিয়ে ওর লাইফ নষ্ট করার কোন মানেই হয় না ।
.
ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে বসেই আছি। উল্টাচ্ছি পাল্টাচ্ছি, বার বার পড়ছি। একরকম সময় নষ্ট করার জন্য এসব করছি।।
.
এক্সামের পড়া ও জীবনে এত বার রিভিশন দিই নি। অতপর অনেক্ষন খুটে খুটে একটা ভুল বের করলাম। তাও খুব ই নগণ্য ভুল।
বাবাকে বললাম, 
বাবা এ পেপার্স এ ভুল আছে তুমি নতুন করে পেপার্স রেডি করতে বলো ।
— আমি নিজে চেক করেছি কোন ভুল নেই ।
— না ভুল আছে। 
— কোথায়? 
— এই যে অহনের নামে।
— ঠিক ই তো আছে। মির্জা মাহমুদ ইফতেখার অহন ই তো ।
— না ঠিক নেই। ওর সব সব সার্টিফিকেটে, NID তে মির্জা মাহমুদ ইফতেখার আছে। অহন নেই। 
— এটা আবার কোন ভুল হলো?
— না, না এটাই ভুল। তুমি তো জানো ই ভুল কিছু আমার পছন্দ না । ভুল ছোট হোক আর বড় হোক । ভুল তো ভুল ই। তুমি এসব পেপার্স আবার ঠিক করে রেডি করতে বলো ।
.
.
বাবা রাজি হয়ে গেল। ইদানিং আমার ছোট ছোট জেদ গুলো ও পুরন করা হচ্ছে । আর এটা নিয়ে ভীষণ রকম জেদ ধরেছি। কারণ একটাই আমার শুধু একটু সময় চাই।অহন আমার কাছ থেকে কোনএকদিন সময় চেয়েছিল।। সে চেয়েছিল একটু সময়।।।।আমি তাকেও সময় দিতে চাই। শুধু দেখতে চাই সে সময় কি জন্য চেয়েছিল। 
.
.
রাতে তার সাথে আমার আবার দেখা হলো। সেই একই রকম ভাবে দরজার চোকেটে দাড়িয়ে।।
.
.
পর পর কয়েকদিন আমি এমন স্বপ্ন দেখলাম। ও কোন কথা বলে না । শুধু তাকিয়ে থাকে আর আমার দিকে তাকিয়ে শব্দহীন হাসি হাসে। স্বপ্নের ভেতর ই আমি আগের মতো ইচ্ছে মতো ঝগড়া করে যাই ওর সাথে । আর ও আমার দিকে ছলছল করে চেয়ে রয় কথার উত্তর না পেয়ে আরো রেগে যাই ।
.
.
মা আমার সাথেই থাকে ।তাই প্রতি রাতে মা ই জাগিয়ে দেয়। বলে, কি করছিস ঘুমের ভেতর এসব? তুই ঘুমের ভেতর ও ওকে নিয়ে ভাবিস? এভাবে চলতে থাকলে তুই পাগল হয়ে যাবি মা। ভুলে যা সব । ও তো তোর কথা একবারও ভাবে নি।এখ্ন ও নিশ্চয় ভাবছে না । তুই মুক্তি নিয়ে নে ওর থেকে।। সব কিছু আবার শুরু থেকে শুরু কর।
আমি মায়ের কথার কোন উত্তর দিই না ।
.
ইদানিং আমি নিজেও কিছুটা বুঝতে পারছি আমি আর আগের মতো নেই। কথা বলতে ইচ্ছে করে না কারো সাথে, উত্তর ও দিই না কারো কোন কথার। নিজের মেজাজ টাও আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না । হুট করে কোন কারণ ছাড়াই রেগে যাই যে কারো ওপর। কারণ ছাড়াই ভাঙচুর করি। দিনের বেশির ভাগ সময় জানলায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এত কিছুর পরেও মনে হয় সে আসবে। 
কিন্ত হ্যা সে আসলেও আমি ফিরিয়ে দেব তাকে।
কিন্ত আমি খুব করে চাই সে অন্তত এক বার আসুক।
আর এক বার চেনা স্বরে চেনা নামে ডাকুক "পরি বৌ"
.
.
শেষ বার যেদিন তাকে স্বপ্ন দেখলাম সেদিন সে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আমার দিকে। আমি তার হাত ধরে ছাদে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম। বার বার বলেছিলাম
পুরক সাহেব কিছু তো একটা বলো । এভাবে চুপ করে থেকে কি প্রমাণ করতে চাও তুমি???
কেন তাচ্ছিল্যের হাসি হাসো সব সময়???
ঐ ছলছল চোখে কি বলতে চাও আমায়?? 
তোমার চোখের ভাষা যে বড্ড কঠিন আমি পড়তে পারি না ।
কিছু তো একটা বলো পুরক সাহেব। জাস্ট কিছু একটা।
.
.
মা আমার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকের মাঝে নিতেই আমার ভ্রম ভাঙল।মা সে কি কান্না আমায় জড়িয়ে ধরে
.
আমি নাকি ছাদের কার্নিশ ঘেষে দাড়িয়ে ছিলাম একদম ।
বাড়ির সবাই ভেবেই নিয়েছে আমি সুইসাইড করতে গেছিলাম।। 
অথচ আমি বার বার বললাম অহন ও ছিল। ও হাত ধরেই ছিল আমার। কে শোনে কার কথা ।
.
পরের দিন ই আমাকে psychiatrist এর কাছে জোর করে নিয়ে যাওয়া হলো । 
ডক্টর আপু অনেক্ষন ধরে আমাকে অনেক কিছুই বোঝাল। 
সব কিছু ভুলে গিয়ে নতুন করে আবার সব কিছু শুরু করতে, সুইসাইড এর কথা মাথায় ই না আনতে ইত্যাদি ইত্যাদি।
.
বেশ কিছুদিন কাউন্সিলিং চলল ।।।
ধীরে ধীরে আমি নিজেও বুঝতে পারলাম সত্যিই নতুন করে শুরু করা দরকার । 
.
.
এখন আর অহন কে স্বপ্ন দেখি না । ডক্টর এর দেয়া কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে কখন রাত থেকে সকাল হয় বুঝতেই যেন পারি না। 
সারাদিন নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি ।অয়ন এক্ষেত্রে আমাকে খুব হেল্প করে । যতক্ষণ বাড়ি থাকে আমার সাথে সাথেই থাকে। ও সব সময় আমাকে হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করে । বিকেলে ক্রিকেট খেলতে গেলেও আমাকে নিয়ে যায় ওর সাথে । আমি বসে বসে ওর খেলা দেখি। তারপর দু ভাই বোন বেশ কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে বাড়ি ফিরি।সন্ধ্যে বেলা ওকে পড়াতে বসাই।আগে আমার কাছে পরতেই চাইত না একদম এখন নিজেই বই নিয়ে এসে বলে,আপুনি পড়াবি না?
.
.
নিজেকে আরো ব্যস্ত রাখা প্রয়োজন। ভাবছিলাম একটা জব এর জন্য ট্রাই করলে মন্দ হয় না। 
কযালিফিকেশন যা আছে চাকরির জন্য ট্রাই করাই যায়।।
.
সকালে ডাইনিং এ খেতে খেতে বাবাকে বললাম,
— বাবা একটা কথা ছিল।
— হ্যা আম্মুজি বল
— বাবা আমি ভাবছিলাম জব এর জন্য ট্রাই করব। আমার ভাল লাগে না বাড়িতে এভাবে সারাদিন বসে থাকতে।
— তোমার যদি এতে ভালো লাগে অবশ্যই করবে।। এপ্লাই করেছ কোথাও?
— না এখনো করিনি। তবে করব ভাবছি।
.
.
দিন দুয়েক পর অয়ন এসে কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতে লাগল,
— আপুনি আপুনি তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে।
— অয়ন তখন থেকে কি ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলি ভাই?
— এই তুই জব করতে চাইছিলি না??
— হু। তো??
— তোর তো জব হয়ে গেছে ।
— কি সব বলিস? এপ্লাই ই তো করি নি কোথাও।
— আরে আপুনি আমাদের স্কুলেই তো এপ্লাই করতে পারিস। জুনিয়র / সিনিয়র দুসেকসনেই টিচার নেবে। ওটা তো তোর ও স্কুল। আর বাবা তো আমাদের স্কুলের authority তে আছে।
— এই তুই ব্যাপার টা তো খারাপ বলিস নি। জীবনে প্রথম তুই একটা কাজের বুদ্ধি দিলি।
— হ্যা।বাবাকে আমি বলে দেব যেন তোর জন্য সুপারিশ করে । বাবা একবার বললেই হয়ে যাবে ।
— তোর বলতে হবে না আমি নিজেই সে ব্যাপারে কথা বলতে পারব বাবার সাথে।
— শোন তাহলে রেগুলার আমি তোকে নিয়ে যাব নিয়ে আসব।স্কুলে যাবার সময় আসার সময় ।
— হ্যা তোর সাইকেলের পেছ্নেই তো যেতে হবে । ওটাই বাদ আছে আমার জীবনে।
— কেন অহন ভাইয়ের বাইকের পেছনে তো ঠিক ই ঘুরতি । বাইক আর সাইকেল তো একই। বাইক হল সাইকেলের বড় ভাই। কিছু দিন ওয়েট কর আমিও বাইক কিনব। তারপর তোকে নিয়ে ঘুরব।
— তখন কি আর আমাকে নিয়ে ঘুরবি??? বৌ কে নিয়ে ঘুরবি ।আর বাইক না তুই বিএমডব্লিউ নিয়ে ঘুরবি।
— না,না তোকেও নেব বৌ কেও নেব।
— হুম ।গুড বয়
— আপুনি তোর শশুড়ের তো কার আছে। তারপর ও ভাইয়া বাইক নিয়ে ঘোরে ক্যান?

— বাইক তোর ভাইয়ার খুব শখের তো তাই।
— ভাইয়া কিন্তু অনেক ভালো বাইক চালাতে পারে।
— তা তো পারবেই।সেই ক্লাস টেন থেকে চালায়।
— হু। আমাকেও শেখাতে চেয়েছিল ভাইয়া
—অয়ন আমার না আর ভাল লাগছে না তোর ভাইয়ার বিষয়ে কথা বলতে।
.
.
অয়ন এর কথা টা আবার ভেবে দেখলাম ।সত্যিই স্কুলের জব টা খারাপ না । জুনিয়র সেকশনে এপ্লাই করলে বাচ্চাদের সাথেই সারাদিন কেটে যাবে ।
ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে থাকলে পুরনো কথা গুলো ও ভুলে থাকা যাবে। আর বাচ্চা ব্যাপারে দুর্বলতা তো আছেই।
.
.
বেশ ক মাস হয়েই গেল স্কুলের চাকরিটার। ।।
বেশ ভালোই কাটে দিন গুলো। ছোট ছোট বাচ্চা গুলোর সাথে প্রায় সারাদিন থাকতে খুব ভাল লাগে । ওদের ছোট ছোট হাত ধরে ধরে পড়াতে লিখাতে খুব ভালো লাগে ।। কি সুন্দর করে ম্যাম ম্যাম বলে ডাকে ছোট্ট ছোট্ট মুখে।। 
কিন্ত আফসোস এরকম ছোট্ট মুখে মা ডাক শোনা হবে না কোন দিন
.
.
এবারের নতুন সেশনে ক দিন ধরেই বছর পাচেক এর এক পিচ্চি কে খেয়াল করছি।
পিচ্চি অন্য সবার থেকে আলাদা । অন্যদের চেয়ে খুব বেশি চঞ্চল । সব সময় দুঝুটি করে স্কুলে আসবে ঠিক ই। কিছুক্ষণ পরেই দেখব ঝুটি উধাও। চুল ছেড়ে একাকার। এলোমেলো করে অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে ।

বাড়ির কাজ ও ঠিক মতো করে না । ক্লাসের পড়া ও ঠিক মতো দেয় না।।
নাহ এর গার্জিয়ান এর সাথে কথা বলতে হবে মনে হচ্ছে । তারা মেয়েটার পড়াশুনার দিকে একদমই নজর দেয় না মনে হয় ।
আগে পিচ্চিকে ডাকলাম,
— আম্মু আমার কাছে এসো তো 
— জ্বি ম্যাম
— আজ হোমওয়ার্ক করেছ?
— না
— রোজ রোজ হোম ওয়ার্ক না করলে কিভাবে হবে বাবা? ক্লাসের পড়া ও তো দিতে পারলে না আজ। এভাবে করলে চলবে???
— ম্যাম আমার পড়তে ভালো লাগে না । আমার গান গাইতে ভালো লাগে আর নাচতে। আর আমি বড় হয়ে হিরোয়িন হতে চাই। আমার দাদু মা বলে আমি নাকি আমার বাবার মতো ই সুন্দর দেখতে। আমকে হিরোইন হলে খুব মানাবে
— পড়তে ভালো কারোর ই লাগে না সোনা কিন্ত পড়তে তো হবেই। এরপর থেকে এমন করলে আমি কিন্ত বাবা মাকে সব বলে দেব। । 
—ওকে ম্যাম । কিন্ত বাবা মা আমাকে কিছুই বলবে না ।
— এটা আবার কেমন কথা? ভয় পাও না বাবা মাকে?? 
— একটু ও না ।
— আমি কিন্ত সত্যি সত্যি বাবাকে কল করব
— বললাম তো ওকে
— এই পিচ্চি নাম বলো তো তোমার?
— ইনায়া 
— বাবার নাম?
— ইফতেখার।
.
.
.
চলবে............................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।