আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

পরিপূরক - পর্ব ১৮ - স্পৃহা নূর - ধারাবাহিক গল্প


— এটা আবার কেমন কথা? ভয় পাও না বাবা মাকে?? 
— একটু ও না ।
— আমি কিন্ত সত্যি সত্যি বাবাকে কল করব
— বললাম তো ওকে
— এই পিচ্চি নাম বলো তো তোমার?
— ইনায়া 
— বাবার নাম?
— ইফতেখার 
.
.
ইফতেখার নাম টা শুনেই বুকের ভেতর কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠলো । এ নাম যে আমার বড্ড পরিচিত।
.
আমি ইনায়া কে খুটে খুটে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কয়েকবার দেখলাম।
নাহ কোন মিল নেই আমার ইফতেখার মানে অহনের সাথে ।তবে ইনায়া যে বলল, ওর দাদুমা বলে ও ওর বাবার মতো হয়েছে । আর অহন ওর মেয়েকে ওর বাড়ি থেকে এত দুরে এ স্কুলেই বা দেবে কেন? কিন্ত এই অহন ব্যাটার কোন গ্যারান্টি নেই। নিশ্চই মেয়েকে জাসুসি করতে পাঠিয়েছে।
.
.
— ম্যাম তুমি না বললে পাপা কে ফোন দেবে?  
— রাখ তোর পাপা তোর কাছে । তোর পাপার মতো ভন্ডের সাথে কোন কথা নেই আমার । এত দিন খোজ না নিয়ে মেয়েকে পাঠিয়েছে আমার ই কাছে।
— ম্যাম আমার পাপা ভণ্ড?
— না ধোয়া তুলসি পাতা 
— আমার পাপাকে তুমি ভণ্ড বলছ দাড়াও আজ ই বলে দেব পাপাকে। 
— যা যা বল
— ম্যাম আমাকে তুই করে বলছ কেন তুমি? এটা কিন্ত ঠিক না । আমার একটা মান সম্মান আছে
— ওরে আমার পাকনা বুড়ি রে। তো এতই যখন মান সম্মান আপনার তো ক্লাসের পড়া আর হোম ওয়ার্ক কমপ্লিট করে আসতে কি প্রবলেম হয় আপনার??
— আছে ম্যাম একটু পার্সোনাল প্রবলেম ।
— ওরে বাপ্রে । এই বয়সে আপনার পার্সোনাল প্রবলেম ও আছে।
— হ্যা পারসন যখন পার্সনাল প্রবলেম তো থাকবেই ম্যাম।
— তা তোর বাপ ও কি পার্সনাল প্রবলেম এর জন্য এত দিন আমার খোজ খবর না নিয়ে তোকে পাঠিয়েছে জাসুসি করতে? 
— ম্যাম আমাকে কিন্ত আবার তুমি তুই করে বলছ। এটা কিন্ত একদম ঠিক না ।আর একটা কথা বল তো আমার পাপা কত দিন তোমার খোজ নেয় নি??? একচুয়ালি পাপা ফরেনে গেলে আমার ও খোজ নিতে ভুলে যায় মাঝে মাঝে ।
— ওয়েট হিসেব করছি। ......
সাত মাস একুশ দিন
 .
.
কথা টা বলেই আমি নিজে নিজেই থ মেরে গেলাম। আর এক বার হাতে ভালো করে গুনলাম । 
আল্লাহ্ ...মা একদম ঠিক ই বলে। অহনের কথা দিন রাত ভাবতে ভাবতে আমি সত্যি পাগল হয়ে গেছি। সব কিছু তে অহন কে খুজে পাই। 
শেষ পর্যন্ত কোন না কোন ইনায়ার বাবা কে.....
ছিহ...কি কি সব বলে ফেললাম রাগের মাথায় । এই মেয়ে যে পাকনা বুড়ি। নিশ্চই সব বলে দেবে ওর বাবাকে ।
আমার মান সম্মান টা কোথায় চলে যাবে তখন।সাত আসমনের ওপর? নাকি পাতাল পুরির নিচে???
অহনের সাথে আমার যোগযোগ নেই প্রায় সাত মাস। আর ইনায়া তো বছর পাচেক এর। উফ্ফ এত বড় পাগলামো আমি কি করে করলাম । আমাকে কি গাজার নেশায় ধরেছিল নাকি আল্লাহ ই ভালো জানে ।
.
.
— ওকে ম্যাম আমি পাপাকে বিষয় টা আস্ক করব।কেন সাত মাস একুশ দিন তোমার খোজ নেয় নি। তারপর আমি এসে তোমাকে জানাব
.
.
আমি শুকনো গলায় কয়েক বার ঢোক গিলে বললাম
— ইনায়া আম্মু আমার, সোনা আমার এসবের মধ্যে পাপা কেন আবার?? ম্যাম এর কথা পাপাকে বলতে হয় না মা।আমি তো ভুল বলেছি। 
— তাহলে যে বললে পাপা তোমার খোজ নেয় না?
—তোমার পাপা আমার খোজ নেবে না কেন?? রোজ ই খোজ নেয়। তোমার পাপা অনেক ভালো । কোন ভণ্ড না ।। 
— সত্যি??
— হ্যা সত্যি বাবু। নাও চকলেট খাও। আর হ্যা আমার কথা পাপাকে বল না কিন্ত
— ওকে ম্যাম তাহলে আর একটা চকলেট দাও
— নাও সোনা আমার পার্সে যতগুলো আছে সব ই নাও।
— থ্যাংক ইউ সো মাচ ম্যাম। জানো দাতে পোকা হবে বলে পাপা আমাকে কিছুতেই চকলেট আর আইসক্রিম খেতে দেয় না। কিন্ত আমার দাদু মনি আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে কিনে দেয়। 
— হুম সোনা এসব বেশি না খাওয়াই ভালো । দাতে ক্যাভিটি হবে । 
.
.
ততক্ষণে ইনায়া ক্যাটবেরি সিল্ক খেয়ে মুখ একদম মাখিয়ে ফেলেছে। পার্সে দেখি ফেইস টিস্যু শেষ । তাই শাড়ির আঁচল দিয়েই ওর মুখ মুছে দিতে দিতে বললাম,
— তুমি আসলেই অনেক সুন্দর ইনায়া। একদম বিড়াল ছানার মতো । 
— হ্যা ম্যাম আমি জানি আমি অনেক সুন্দর। 
— কিন্ত পড়াশুনা তো করতে হবে বাবা। তাহলে আরো সুন্দর লাগবে তোমায়।
— সত্যি ম্যাম??
— হ্যা সত্যি তো ।আর শোন কেউ বাবা মার নাম আস্ক করলে পুরোটা বলতে হয় । ওরকম নিক নেম বলতে হয় না।
— নিক নেম কই বললাম? আমার পাপার নিক নেম তো ইফ্তি। আমার দাদু মনি ডাকে ।
— যাই হোক এখ্ন থেকে কেউ আস্ক করলে ইফ্তি ইফতেখার যত কিছু আছে পুরোটা ই বলবে ।ওকে?
 .
.
বাড়ি ফেরার পর থেকে আজ অহনের কথা খুব মনে পড়ছে । সত্যিই সাত মাস একুশ দিনে একটা বার ও কথা হয় নি আমাদের। ও তো এরকম ছিল না । সব সময় ই বলত আমার সাথে কথা বলতে তার ভালো লাগে ।আমি যেন ঝগড়া করে হলেও ওর সাথে কথা বলি।
অথচ এ কয়েক মাসে আমি বেচে আছি নাকি মরে গেছি সেই খোজ টা পর্যন্ত নিল না । ফোনে না হয় ব্লক করে দিয়েছি।কিন্ত ও নিজে এসে কি এক বার ও খোজ নিতে পারত না ?  
এত দিনে নিশ্চই ওদের বেবি টাও পৃথিবী তে এসেছে। বেবি আর বেবির মাকে নিয়ে হয়ত অনেক বেশি ব্যস্ত সে।
কিন্ত তারপর ও কেমন যেন কিন্ত কিন্ত করে মন। 
এই কিন্তর কি কোন উত্তর আছে?
আমি চাই একবার সে অন্তত আসুক। আমার সব কিন্তু গুলোর কারণ বলতে
। তারপর আবার না হয় চলে যাক ।
কিন্ত কিছু তো একটা বলে যাক ।
.
.
সেদিন স্কুলে ছুটির পর মিটিং ছিল । মিটিং শেষে হতে হতে বেশ লেট হয়ে গেল।।
 তাড়াহুড়ো করে ফিরতেই দেখি মাঠের এক পাশে রাখা বেঞ্চে ইনায়া গাল ফুলিয়ে বসে আছে ।
স্কুল ছুটি হয়েছে প্রায় দু ঘণ্টা। ওকে এখনো এখানে দেখে এগিয়ে গেলাম 
— কি ব্যাপার বিড়াল ছানা? গাল ফুলিয়ে এভাবে বসে আছ কেন? 
— ম্যাম আমার একা একা এভাবে বসে থাকতে ভয় করে 
— স্কুল তো অনেক্ষন ছুটি হয়েছে তোমাকে কেউ নিতে আসে নি?
— না। পাপা প্রায় ই এরকম লেট করে । কিন্ত আমার এভাবে রোজ রোজ একা বসে থাকতে ভাল লাগে না ।
— পাপা হয়ত ব্যাস্ত থাকে কিন্ত তোমার মা কি করে সারাদিন? মাকে আসতে বলবে এর পর থেকে । 
— ম্যাম আমার মা নেই।
— নেই মানে?
— নেই মানে নেই।
.
.
কথাটা শুনে ইনায়ার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে টপিক চেঞ্জ করলাম। কারণ বুঝতে পারলাম ওর মন আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।
— আচ্ছা,ইনায়া তোমার গরম লাগে না? এত্ত বড় বড় চুল এভাবে ছেড়ে দিয়ে রাখ? সকালে তো রোজ ই দুই ঝুটি বেধে আস কত সুন্দর 
— ম্যাম,পাপা অনেক শক্ত করে ঝুটি বেধে দেয়। আমার চুলে লাগে তাই খুলে ফেলি।
— তাই বুঝি?? ওকে আমি আজকে তোমার চুল বেধে দিই?? 
— লাগবে না তো?
— উহু একটু ও লাগবে না । তোমাকে আরো প্রিটি দেখাবে
— তাহলে দাও।
.
আমি ওর চুলে দুপাশে দুটো ফ্রেঞ্চ বেণী করে দিলাম। সত্যিই বিড়াল ছানা টা কে আরো প্রিটি লাগছে ।
— ইনায়া তোমার পাপা কখন আসবে? অনেক্ষণ তো হলো ।
— আজকে তো পাপা আসবে না ।
— তো কে আসবে?
— পাপা তো দেশে নেই। দাদু মনি আসার কথা 
— তো উনি এত দেরি করছেন কেন?
— জানিনা। ম্যাম আমার না খিদে পেয়েছে । তোমার কাছে কি চকলেটস আছে?
— না তো সোনা। আচ্ছা ওয়েট আমি ক্যান্টিন থেকে কিছু নিয়ে আসছি তোমার জন্য ।এসো চল আমার সাথে।
—না আমি এখানেই থাকি। যদি দাদু মনি আসে
— আচ্ছা। এখানেই থাকো । আমি আসছি
.
.
ইনায়ার জন্য ফ্রুট ড্রিঙ্কস,কেক আর চকলেট নিলাম।
নিয়ে ফিরতে ফিরতে দেখি ইনায়াকে কোলে নিয়ে স্যুট টাই পড়া এক ভদ্র লোক মাঠের মাঝ বরাবর চলে গেছে প্রায়। লোক টা কি ইনায়ার বাবা। নাহ ও তো বলল ওর বাবা দেশে নেই। নিশ্চই ছেলেধরা। আজকালকার ছেলেধরা রা এমন ই শুনেছি ভদ্র লোক সেজেই থাকে।
আমি দৌড়ে গিয়ে ওদের সামনে দাড়ালাম
.
.
— এই ওয়েট । কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ইনায়া কে?? দেখি দিন আমার কাছে দিন।
 .
জোর করেই ইনায়া কে উনার কোল থেকে আমার কোলে নিলাম
.
— Excuse me...এটা কি হলো???
— কোনটা??
— এই যে আপনি এভাবে জোর করে ওকে আমার কোল থেকে কেড়ে নিলেন???
— তো কি করব শুনি?? আপনার সাথে যেতে দেব???
— হ্যা অবশ্যই 
— এটা কি মামার বাড়ির আবদার??
— Sorry???? আপনি ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন???
— কিছুই না । আপনার কপাল ভালো আমি এখনো লোকজন জড়ো করি নি।। আপনার মতো লোক কে গনধলাই দেয়া উচিত ।বাচ্চা মেয়েকে একা পেয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিডন্যাপ করে তাই না??? 
— What nonsense???

— এই চুপ একদম চুপ।। আপনি কি ভাবেন স্যুট টাই আর সানগ্লাস পড়ে আসলেই আপনাকে সবাই ভদ্র লোক ভাববে আর আপনি পার পেয়ে যাবেন?? আপনি নিশ্চই হিষ্ট্রি সিটার। এর আগে আরো কত গুলো বাচ্চা কে এভাবে চুরি করেছেন বলুন।
— এই আপনি কি পাবনা থেকে পালিয়ে এসেছেন?? নাকি আপনার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওরা আপনাকে বের করে দিয়েছে?? কোনটা?? দিন পূর্ণতা কে আমার কাছে দিন
— কে পূর্ণতা?? অহ আচ্ছা এখন নাম ও বানিয়ে বানিয়ে বলছেন বাহ। ইনায়া তুমি এসবে কান দিও না তো । নাও সোনা তোমার না ক্ষিদে পেয়েছে । 
.
ইনায়া আমার হাত থেকে খাবারের প্যাকেট নিয়ে ফ্রুট ড্রিঙ্কস খেতে শুরু করল।
.
ভদ্র লোক সাথে সাথে ওর হাত থেকে কেড়ে নিয়ে তা মাটিতে ফেলে দিল।
— তোমাকে না এসব খেতে বারণ করেছি আমি। এসব খেলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় । আর রাস্তার অপরিচিত কেউ কিছু দিলে খাবে না বলেছি না তোমায়। আর এসব পাগল মহিলার তো নয় ই।এসো বলছি আমার কাছে এসো
— কিহ?? আমি মহিলা?? আমাকে মহিলা মনে হয় আপনার?? আর আমি পাগল??? আপনি জানেন আমি পুলিশ কল করে আপনাকে জেলে দিতে পারি??
— পুলিশ তো আমি কল করব। দিন আমার পূর্ণতা কে আমার কাছে দিন বলছি। দেখুন আপনি মেয়ে মানুষ বলে জোর খাটতে পারছি না বলে আপনি একদম সুযোগ নেবেন না । ভালোয় ভালোয় আমার মেয়েকে আমার কাছে দিন। 
— আপনার মেয়ে?? প্রথমে তো ভুল ভাল নামে ডাকছেন। তারপর আবার নিজেকে বাবা দাবি করছেন??? আপনার সাহস তো কম নয় । 
— এই আমি আমার নিজের মেয়ের নাম কি আপনার কাছ থেকে শিখব?? পূর্ণতা মা আমার এসো আমার কাছে বলছি। তুমি কাকে এভাবে জাপটে ধরে আছ?? পাপা এসে গেছে তো সোনা।
.
 .
ইনায়া আমাকে আরো বেশি করে জাপটে ধরল।
— কি হচ্ছে টা কি পূর্ণতা? পাপা কিন্ত এবার রাগ করবে।
— এই যে শুনুন । মিথ্যা কথার ও না একটা লিমিট আছে । ও কি এতই ছোট যে, যে কেউ এসে বলবে আমি তোমার পাপা। আর ও মেনে নেবে??? আশ্চর্য তো । আর আপনি এত বড় বাচ্চার বাবা সেটাও আমাকে মেনে নিতে হবে??? আপনি বিয়ে করেছেন কি না এই নিয়েই আমার সন্দেহ আছে।।।।
— সাইকো লেডি একটা ।। পূর্ণতা তুমি এই সাইকো লেডির সাথে কি করছ। কোথায় পেয়েছ একে?? আর তুমি চুপ করে আছ কেন বলছ না কেন যে আমি তোমার পাপা
— পাপা হলে তো বলবে। আর আমি সাইকো লেডি না ।আপনি সাইকো ম্যান।।
.
.
.
চলবে...........................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।