সাইত্রিশ দিন পর জ্বালাতন করার মানুষ টা আবার ফিরে আসছে ভাবতেই অবন্তীর মনের কোনে আর ঠোটের কোণে এক টুকরো হাসি ফুটে ওঠে নিজের অজান্তেই।
.
.
অভ্র ফেরার পর থেকেই বেশ হাসিখুশি ই আছে। তাকে খুব সহজ আর সাবলীল লাগছে । রেণু খালা আর আজমির সাহেব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন । অবশেষে ছেলে হয়ত সব কাটিয়ে উঠতে পেরেছে । জীবন থেকে তিক্ত অতীত গুলো মুছতে পেরেছে ।
.
তবে অর্নি এত দিনে একবার ও ওকে দেখতে যায় নি। আজ বাড়ি এসেছে । তবে তার চাল চলন চাহুনি দেখে রেণু খালা আর অবন্তী ঠিক বুঝতে পেরেছে ভাই সুস্থ হওয়াতে অর্নি হিংসেয় জ্বলছে ।
.
অবন্তীর জন্য চকলেট আনতে ভোলে নি অভ্রনীল। বাবা আর রেণু খালার সাথে কথা বলে রুমে গিয়ে পকেট থেকে বের করে নিজে এক কামড় খেয়ে বাকিটা অবন্তীর হাতে ধরিয়ে দিল।
.
— প্রথম দিনের মতো আবার এটো খাওয়াবেন?
— বুদ্ধিমতী।
— হুম আমি জানি আমি বুদ্ধিমতী। খুব মজা তাই না নিজের এটো অন্যকে খাওয়াতে?
— অন্যকে কই? বৌ কে দিয়েছি। জানোনা এটা সুন্নাত?
— বাবাহ। ফরজ আদায় করেন তো ঠিক মতো? নামাজ পড়েন কয় ওয়াক্ত?
— হুম এখন পড়ি পাচ ওয়াক্ত। আগের সব কিছুর জন্য তাওবা করি, ইস্তেগফার করি ।
— বাবাহ এত পরিবর্তন?
— হুম । তুমি বোঝ না কেন বার বার নিজেকে ভাঙি গড়ি আমি? কেন ক্রমে ক্রমে পরিবর্তিত হই?
— কেন?
— জানি তুমিও বোঝ। স্বীকার করতে অস্বিকৃতী তো?
— জানিনা।
.
.
ডক্টর অভ্রকে সব সময় কাজের মধ্যে রাখতে বলেছেন। কাজের ভেতর থাকলে অন্য কিছু সহজেই ভুলে থাকতে পারবে। তাই ওর বাবা ওকে কন্সট্রাকশন সাইট ম্যানেজ করার দায়িত্ব দিয়েছে আপাতত। সারাদিন ফিল্ডে থাকা, টেন্ডার হ্যান্ডেল করা , ডিল,মিটিং এসবে ব্যাস্ত থাকবে সারাদিন। অভ্র আগে কাজ, ব্যাব্সার ব্যাপারে অনীহা দেখালেও এবার সব চুপচাপ মেনে নিচ্ছে ।
.
.
অভ্র যে এতটা ধীর স্থির আর শান্ত হয়ে উঠবে অবন্তীর তা কল্পনায়ও ছিল না । অবাক চোখে আড়াল থেকে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে অবন্তী।। অভ্র যে তা বুঝতে পারে না তা ও নয়। বুঝতে পেরে নিজেও মনে মনে মুচকি হাসে । যার জন্য এত আয়োজন অবশেষে সে তা সার্থক করে তুলছে হয়ত।
.
.
" "অবন্তী তুমি যে অভ্রনীল কে চেন, চিনছ সে অভ্রনীল আসলে কুচকুচে কালো রঙের অভ্রনীল। চামড়া সাদা হলেও তার কর্ম কুচকুচে কালো । নীল রঙের কালো । সে তোমার জীবনের সকল অভিশাপের সূচনা। অভ্রনীলের জীবনটা শুরু থেকেই অভিশাপ ছিল। কিন্তু হুট করে সে অভিশাপের অংশীদার যে অবন্তী নামের ও কেউ হবে তা অভ্রনীল কোন দিন ও জানত না । হ্যা অবন্তী তোমার জীবনে সব গুলো লাশের মিছিলের সৃষ্টিকর্তা আমিই। তোমার সব কান্নার কারণ আর রঙও আমি। এ সৃষ্টি আমি চাই নি, এ কান্নার রঙ আমি চাই নি। আমিও হারিয়েছি আমিও জানি হারানোর রঙ,কান্নার রঙ। কিন্তু আমার দ্বারাই কেন হারিয়ে যায় সব? আমি চাই নি এসব চাই নি""
.
.
— অভ্র, অভ্রনীল....এই অভ্রনীল। আপনি নাকি সুস্থ হয়ে গেছেন? তাহলে ঘুমের মধ্যে আবার কি কি সব বিড় বিড় করছেন? কি চান নি আপনি? ভালো করে বলেন ও না খালি অসপষ্ট কথা বলেন ঘুমের ভেতর। বিশ্বাস করুন "চাই নি ,চাই নি" এ কথা ছাড়া আর কিছুই বুঝতে পারি নি আমি ।এই ছেলে আর কত ঘুমাবেন?
— হুম?
(অভ্র ঘুমের ভেতর ই অবন্তীর হাত টেনে ধরে)
— অবন্তী আমার কিছু কথা ছিল।
— হ্যা পরে হবে সেসব কথা। আগে উঠুন তো । ক'টা বাজে দেখুন। এই জন্য ই ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমোতে নিষেধ করেছিলাম। আজ আপনার অফিসের প্রথম দিন না? উঠুন উঠুন।
.
.
অভ্র আস্তে ধীরে আড়মোড়া দিয়ে ঘুম থেকে ওঠে।
— শোননা, একটা কথা ছিল আমার ।
— এখন না বললাম তো । বাবা ন'টার মধ্যে আপনাকে বের হতে বলেছে। আটটা বেজে গেছে । যান ফ্রেশ হয়ে, শাওয়ার নিয়ে নিচে খেতে আসুন।
.
অভ্র তৈরি হয়ে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে টাই পড়ছে আর নিজেকে দেখছে। টাই এর প্যাচ কোন দিক থেকে কোন দিকে যাচ্ছে সে দিকে কোন খেয়াল ই নেই তার ।সে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে নিজেকে। এ মিথ্যে আর কতদিন। এই পোশাক সাজসজ্জার নিচে ভেতরের খুনি কে আর কতকাল আড়াল করে রাখবে মেয়েটার থেকে? যদিও ব্যপার টা ইচ্ছে করে নয়। তবুও তো দায়ী সে ই। মেয়ে টা ওর জন্য নিজের আপনজনদের হারিযেছে। এসব শুনলে অবন্তী ঠিক কি করবে তাকে? ছেড়ে চলেই যাবে হয়ত।মেয়েটার মধ্যে সবে আলতো অনুভূতি তৈরি হচ্ছে তার জন্য ।অনুভূতি বাড়লে হয়ত কষ্ট বেশি পাবে। তারচেয়ে বরং এখন ই...
.
.
— অভ্রনীল!!! টাই পড়া ভুলে গিয়েছেন বুঝি এ ক'দিনে? আয়নায় তাকিয়ে এসব কি প্যাচ গোজ দিচ্ছেন? এত উদাসী হয়ে অফিস গেলে তো চলবে না । ঘুমের মধ্য থেকে উদাসী হয়ে আছেন দেখছি।
.
.
কথাটা বলে অবন্তী এগিয়ে আসে অভ্র'র দিকে। টাই এর উল্টো পাল্টা প্যাচ গুলো যত্ন সহকারে খুলে দিচ্ছে মেয়েটা। তারপর নিজেই য্ত্ন করে টাই পড়িয়ে দিচ্ছে।
অভ্র ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে মেয়েটার দিকে । একদম পুরোপুরি গিন্নি লাগছে অবন্তীকে। জামাই অফিস যাবে বলে কতই না ব্যস্ততা সকাল থেকে তার। কোমরে শাড়ির আচল গুজে রেখেছে , ঝোলানো খোপা প্রায় খুলেই গেছে,কিছু চুল বের হয়ে গালের দু পাশে ছড়িয়ে আছে । কি মায়াবি লাগছে তাকে দেখতে। বা পাশে বিউটি বোনের ঠিক উপরের তিল টা আজ বড্ড বেশি টানছে অভ্র কে।
আগে মাকে দেখত মা একটু সুস্থ হবার পর বাবা অফিস যাবার আগে এরকম ই ব্যাস্ত হতে। অথচ সেই বাবা ই হয়ত...কি জানি এটাও হয়ত ভুল ।
.
.
— নিন বেধে দিয়েছি ঠিক মতো টাই ।
— হুম?
— অভ্র কি হয়েছে বলুন তো আপনার? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন চোখ ছলছল করে?
.
অভ্র অবন্তীর কোমর ধরে নিজের দিকে টেনে নিয়ে খুব আস্তে আস্তে বলে,
.
— তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে তাই না? আমি খুব খারাপ তাই না?
— অভ্র আপনি কি আদৌ ঠিক হয়েছেন? বাড়ি ফেরার পর দু দিন তো ভালোই ছিলেন আজ আবার কি হলো?
— বিশ্বাস করো আমি এতটা খারাপ নই। ইচ্ছে করে কিছু করি নি আমি।
— আমি জানি তো বলতে হবে না আপনার সেসব আর ।
— কি জানো তুমি?
— এই যে আপনি ইচ্ছে করে কিছু করেন নি। আপনাকে কেউ ফাসিয়েছে ।
— তুমি কি করে জানলে? ফাসাবে কেন? আমি নিজেই...
— উফ্ফ চুপ করুন তো ।নিজের মাকে কেউ খুন করে নাকি? এখনো নিজের ভেতর এসব পুষিয়ে রেখেছেন? ভুলে যান তো পুরনো কথা । সব সময় নিজেকে দোষ দেবেন না আপনি।
— আসলে ব্যাপারটা সেটা নয়। আ..আমি বলছি তো শোন
— ব্যাপার যেটাই হোক এখন কিছু শোনার সময় নেই। আর আপনার জীবনের ব্যাপার তো ঐ একটা ই। অবুঝ এর মতো করেন কেন সব সময়? বোঝেন না আপনি এসব নিয়ে পড়ে থাকলে উন্মাদ হয়ে যাবেন আপনি। যেটা করেন ই নি সেটা নিয়ে এত মাথা ঘামালে তো মুস্কিল।
.
— তুমি এত বিশ্বাস কই পাও আমার ওপর? । সবাই তো আমাকেই অবিশ্বাস করে সব বিষয়ে ।
— সেটা সবার প্রবলেম, আপনার না ।
— এত বিশ্বাস?
— হুম এতই।
— এ ক'দিনেই?
— হুম
— যদি ভেঙে ফেলি সে বিশ্বাস?
— ভাঙবেন না আপনি। জানি আমি। দেখুন এ কদিনে আমি আপনাকে যতটুকু চিনেছি বুঝেছি আপনি অবিশ্বাস করার মতো মানুষই নন ।আপনি স্বভাবে একটু ছটফটে আর দুষ্টু হলেও ভেতর থেকে অনেক ভালো একটা মানুষ। অনেক শুদ্ধ ,সরল আপনি। সবাই শুধু আপনার ছোট খাট ভুল,খামখেয়ালিপনা কে পূজি করে আপনাকে বড় সমস্যায় ফাসাতে চায়। আর আপনি শুধু সুযোগ দিয়ে যান তাদের। আপনি যদি ওদের মতো কুটিল হতেন তাহলে আপনি সহজেই ধরতে পারতেন সেসব আর নিজেকে এভাবে দোষ দিতেন না ।
.
— আমি এতটা শুদ্ধ নই অবন্তী। আমি খুন করেছি খুন। খুনি আমি। মেরে ফেলেছি...
.
.
অবন্তীর চড় টা খুব ভালো ভাবেই পড়ল অভ্র'র কান বরাবর।
— সকাল সকাল অফিস যাবার আগে ভূতে চেপেছে তাই না? বাবাকে বলে একদম পাবনা পাঠিয়ে দেবার ব্যাবস্থা করব। শেকল দিয়ে বেধে রাখবে সারাদিন । ভুল বকেই যাচ্ছে তো বকেই যাচ্ছে। বড় খুনি এসে গেছেন উনি। একটা ব্যাপার মাথা থেকে নামাতেই পারা যাচ্ছে না সবাই মিলে এত চেষ্টা করেও। চুপচাপ নিচে আসুন খেয়ে নিন। চড় খেয়ে নিশ্চই পেট ভরে নি। কিছু গিলে অফিস যান কাজ করুন কাজ। কিছু করে খেতে শিখুন। বেকার বেকার কত দিন বসে থাকবেন? কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে তোমার জামাই কি করে? আমার কি উত্তর দিতে হয় জানেন? আমার জামাই বেকার। বাবার কাছে হাত পেতে খায় , ভিক্ষে চায়। আপনার বৌ এভাবে ছোট হয় অন্যের কাছে । ভাল লাগে আপনার? হুম? নিজে কিছু করার তো কোন যোগ্যতা ই নেই। আবার শুভ্রর সাথে নিজেকে তুলনা করেন? ও নিজের যোগ্যতায় ডিফেন্স জব পেয়েছে ।। আর আপনি? বেকার কোথাকার। বাবার যতই টাকা থাক ।বেকার তো বেকার ই।
.
.
অবন্তী ইচ্ছে করেই কথা গুলো এক নিশ্বাসে বলল। এছাড়া আর উপায় ছিল না । এখন যদি জেদ করে কাজে মনোযোগ দেয়। বাবা বলেছে যেভাবেই হোক ওকে অফিসে বসতে রাজি করাতে। কিন্ত আজ এসব অফিস না যাবার জন্যই ফন্দি আটছে অভ্র ,অবন্তীর তাই মনে হয় । তাই ইচ্ছে করেই খুচিয়ে খুচিয়ে কথা বলেছে।
.
.
এদিকে অভ্র চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে হনহন করে বেরিয়ে যায় । সত্যিই খুব অপমান করেছে অবন্তী তাকে। সব ঠিক আছে কিন্তু শুভ্রর সাথে কেন তুলনা করতে হবে?
আর সব কথা সে আজ সত্যিই বলতে চেয়েছিল। কিন্তু অবন্তী তাকে এত বেশি বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে কেউ কোন দিন অভ্র কে এতটা বিশ্বাস করে নি। নিজের বাবা, বোন ও না । এ বিশ্বাস নিতে কেন জানি খুব লোভ হয় অভ্র'র । কেউ যেন ভেতর থেকে নিষেধ করে সব টা বলতে। হই না একটু মিথ্যেবাদী, একটু মিথ্যের জন্য যদি একটু ভালোবাসা, বিশ্বাস আর আস্থা পাওয়া ই যায়? চলছেই তো সব ঠিকঠাক।
আর এসব শুনলে যে অবন্তী ও কষ্ট পাবে না তা তো নয়।
যাকে এতটা বিশ্বাস করে সে নিজেই এতটা অবিশ্বাসী।
অভ্র চাইলেও সবটা বলতে পারে না ।
.
.
রেণু খালা সন্ধ্যায় অভ্র'র বাবার রুমে যায় । সকাল বেলা অভ্র এভাবে না খেয়ে চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়েছে সারাদিন খোজ ও নেই কোন ,এখনো বাড়ি ফিরল না অফিস থেকে । অবন্তীকে নিয়ে সে যে খুব সুখি নেই তা রেণু খালা ভালোই বুঝতে পেরেছে। আর অবন্তী নিজেও একদিন বলেছে তাদের মধ্যে কিচ্ছু ঠিক চলছে না । সেদিন কথার ভাবে রেণু খালা ঠিক বুঝেছিল অবন্তী এসব থেকে মুক্তি চায়। ও আপন করতে চায় না অভ্র কে।রেণু খালা তার তনু আপাকে কথা দিয়েছে তার ছেলেকে দেখে রাখবে। এখন সেই ছেলের এমন অব্স্থা দেখতে তার মোটেই ভালো লাগছে না । অবন্তী ও তার মেয়ের মতো । সে ও সুখি নেই এ সম্পর্কে। কিন্তু এখন যে মেয়েটা মনে মনে কি চায় তা যদি রেণু খালা বুঝত হয়ত এমন কিছু ভাবত না ।
.
— ভাইজান একটা কথা ছিল।
— হুম রেণু বলো
— ভাইজান আপনার কি মনে হয় না অভ্রনীলের সাথে অবন্তীর বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা ভুল করেছি?
— কেন? তোমার তা কেন মনে হচ্ছে?
— ভাইজান আমরা ওদের দুটো জীবন ই নষ্ট করছি আমার তাই মনে হচ্ছে । অভ্রনীল কে আমি আজ আবার কান্নাকাটি করতে দেখেছি। ও অবন্তী কে দেখলেই সেসব মনে করে আর আপসেট হয়ে পড়ে । সুস্থ হতে হতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছেলেটা।
— এ ছাড়া আর কি করার ছিল বলো? মেয়েটার দুর্ভাগ্যের জন্য তো আমার ছেলেটা ই দায়ী। অভ্র'র জন্য ই ওর বাবা, মা, ভাই
— হ্যা তা মানছি। কিন্তু এভাবে থাকতে থাকতে ছেলেটা পাগল না হয়ে যায় ।
.
— সে চিন্তা তো আমার ও হচ্ছে এখন অব্স্থা দেখে।
— ওর সাথে অবন্তীর বড় চাচার মেয়ে অবনীর যে বিয়ের কথা হয়েছিল প্রথমে আমাদের মনে হয় সেদিকেই এগোনো উচিত ছিল। অবন্তীর দিকে না ।
— হুম । কিন্তু সেটা আরো বড় অন্যায় হয়ে যেত।
— কিন্তু অভ্রনীল সুখি থাকত । আমি অনেক লক্ষ্য করেছি অবন্তী কেমন গা ছাড়া ভাব করে থাকে। অভ্রনীল কে ও তেমন আপন করে নিতে চায় না । তাছাড়া অবন্তীর চাল চলনে আমার মনে হয় ...
— তুমি কি চাইছ তাহলে রেনু?
.
— আমার মনে হয় আপনি বুঝতে পেরেছেন? ছেলেটার সুখ , সুস্থতার চিন্তা আমাদের আগে করতে হবে । তনু আপা থাকলেও হয়ত এ সিদ্ধান্ত ই নিত। আর আমি তনু আপাকে কথা দিয়েছি ছেলের সব কিছুর খেয়াল রাখব । ছেলেকে তার মতো ই আগলে রাখব। আফসোস তনু আপার সাথে কি হলো কেন হলো তা আজ ও জানতে পারলাম না । ভাইজান আমার মনে হয় অভ্রনীল তনু আপাকে কিছু করে নি। কিন্তু কে..
.
— রেণু বাদ দাও ওসব । অভ্রনীল ছোট থেকেই ...থাক যাই হোক, তার মানে তুমি বলতে চাইছ অবনী কে?
— হ্যা ভাইজান এতে মনে হয় সবার ই ভালো হবে। অবন্তী কে ডিভোর্স দিয়ে অবনীকেই....
.
.
রুমের দরজায় অবন্তীর হাত থেকে চায়ের কাপ গুলো পড়ে যাবার শব্দে চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকায় ওরা দুইজন।
.
.
.
চলবে...........................