হাতে ড্রাগস এর লিথাল ডোজ (মারণ ডোজ) আর ইনজেকশন নিয়ে বসে আছে । লিথাল ডোজ পুশ করলে নিশ্চিত মৃত্যু, জীবনের সাথে আজ সত্যি অনেক বড় বাজি ধরে ফেলেছে সে।
.
এসবের পরিণতি যে কি হতে পারে শেষ পর্যন্ত তা সে নিজেও যেন বুঝতে পারছে না । শুধু যেন একটা ঘোরের মধ্যে ডুবে গেছে অভ্রনীল। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে অবন্তী নামক একটা শুদ্ধ নেশায়।
.
.
অভ্র বার বার ঘড়ি দেখছে। চিটাগাং ফ্লাইট অলরেডি মিস। আর জার্মানের ফ্লাইট এর আছে ঘন্টা দুয়েক। কিন্তু সে তো সেখানে যাবেই না । সে টিকেট আগেই ছিড়ে ফেলেছে
। মনের মধ্যে কোথাও একটা আশা ছিল হয়ত ফেলে যাওয়া মানুষটা ফিরে আসবে। কিন্তু নাহ। টিকেট দুটো বের করে কুটি কুটি করে ছিড়ে ফেলল। আকাশের দিকে উড়িয়ে দিল। ড্রাগস এর ছোট্ট শিশির ওপর লেখা কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ছে সে। কোন উপাদান কত পার্সেন্ট আছে। এক্সপায়ার ডেট, কত মিলি গ্রা. ইত্যাদি ইত্যাদি। কত মিলি গ্রা. এর ওপর লিথাল ডোজ। তারপর ইনজেকশনে পুরেও নিল ডোজ ।
.
.
অবন্তী নিজেও রাস্তার পাশে সোডিয়াম আলোর নিচে একটা ছোট বেঞ্চিতে বসে আছে প্রায় অনেক্ষন। শুভ্র অনেকবার ফোন দিচ্ছে । কিন্তু ওর ফোন একটু ও রিসিভ করতে মন চাইছে না । সে চাইছে অন্য কেউ ফোন টা করুক। আর এক বার শাসন করুক। বার বার শাসন করুক।
.
.
অভ্র অবন্তী বাড়ি থেকে একসাথেই বেরিয়েছিল বাড়ির সবাই জানে এয়ারপোর্ট থেকে চিটাগাং দিন দুয়েক । সেখান থেকে কক্সবাজার যাবে ওরা । কটেজ ও সেভাবেই বুক করা হয়েছে । মাঝ পথে অবন্তী আগেই নেমে যেতে চায় । অভ্রকে চলে যেতে বলে এয়ারপোর্টে । বাড়ির সবাই না জানলেও অবন্তী জানে অভ্র জার্মানি চলে যাবে আজ সারাজীবনের জন্য ।
.
অভ্র এভাবে মাঝ পথে অবন্তী কে একা ছাড়ে না । গাড়িতে করে ওকে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেই নেমে যায় ।
অবন্তীর গন্তব্য খুলনা শুভ্র'র কোয়ার্টারে অভ্র এটাই জানে । বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে সে ও গাড়ি থেকে নেমে পড়ে । অভ্র'র গাড়ি ফেরত পাঠায় । তারপর নিজেও উদভ্রান্তের মতো কিছু দূর হেটে সোডিয়াম বাতির নিচে বসে পড়ে ।
.
" সত্যি কি ঠিক হচ্ছে এসব?"
.
গত কয়েক দিন ধরে এই একটা প্রশ্নই অবন্তী নিজেই নিজেকে বার বার করে যাচ্ছে।
.
.
গতকাল রেণু খালা অবন্তীর হাত ধরে হিড় হিড় করে টেনে নিজের রুমে নিয়ে যায় । অভ্রকে দিয়ে এইবার কোন কাজ ই হচ্ছে না । মুখ ই খুলছে না । কিন্তু এদের ভেতর যে কিছু একটা চলছে রেণু খালা সে ব্যাপারে নিশ্চিত ।
.
.
— এই মেয়ে কি চলছে তোমাদের মধ্যে সত্যি করে বলো তো ।
— কি চলবে । কিছুই না ।
— অবন্তী আমি লক্ষ্য করেছি তুমি গত কয়েক দিন ধরে আমার সাথে ঠিক মতো কথা বলছ না । আর কোন দিন থেকে বলছ না সে হিসেব ও কিন্তু আমার আছে।
— হিসেব যখন আছে তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন কেন আপ্নার সাথে ঠিক মতো কথা বলছি না । অর কি চলছে তাও নিশ্চই আন্দাজ করতে পারছেন ।
— মানে? তার মানে...
—হ্যা সেদিন আমি সব শুনেছি রেণু খালা ।
— সব মানে কি কি শুনেছ তুমি?
— আপনারা উনার জন্য প্রথমে আমার বোন কে ঠিক করেছিলেন। আবার এখন ওকেই আনতে চাইছেন। আমাকে ডিভোর্স করাতে চাইছেন। আমি উনার বৌ হবার যোগ্য না এসব ই তো বলেছিলেন তাই না?
— হ্যা বলেছিলাম । কিন্ত অভ্রনীল এখনো তোমাকে ওসব খুলে বলে নি?
— হ্যা বলেছে । বলেছেন তো আমি চলে গেলে উনি অবনী কেই আবার বিয়ে করবে।
— কিহ? আরে অবন্তী অভ্রনীল কেন বিয়ে করতে যাবে আর একটা?
— আপনাদের মতে আমি যোগ্য না তাই। চিন্তা করবেন না খালা আমি পথের কাটা হয়ে থাকব না । আমি চলে যাব।
— কোথায় যাবে তুমি?
— কি জানি ।
— আরে পাগল মেয়ে ওসব অভ্রনীল আমাকে বলতে বলেছিল তোমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে। এত দিন ধরে ছেলেটার সাথে থাকছ তাও ওর এসব পাগলামোর ব্যাপারে একটু ও আন্দাজ করতে পারো নি? আর এই ছেলেও বা কেমন তোমাকে এখনো এসব ভাঙিয়ে দেয় নি?
— ভাঙিয়ে দেবে কেন? উনি তো চায় আমি চলে যাই । উনি আমাকে আটকাবেন না সাফ সাফ বলে দিয়েছেন ।
.
— শোন তোমাকে একটা গল্প বলি,
"তনু আপা চলে যাবার প্রায় এক বছর পর অর্পি যখন অভ্রনীল কে নিয়ে চলে গেল তখন আমার এ বাড়িতে তেমন কোন কাজ ছিল না । কারণ আমি প্রথমত এসেছিলাম তনু আপার দেখাশোনা করতে । অভ্রনীল তখন তনু আপার গর্ভে। মানে অভ্রনীল আর তনু আপা দুজনেরই দেখাশোনা মূলত আমার কাজ ছিল। অর্পি অর্নি তো বেশ বড় ই ছিল তাই ওদের সেভাবে দেখাশোনা করতে হতো না । আপা চলে গেল তারপর অভ্রনীলকেও অর্পি নিয়ে গেল । তখন ভাবলাম এ বাড়িতে থেকে আর কি করব? অর্নি তো তেমন সহ্য করে না আমাকে অভ্র কে আদর য্ত্ন করার কারনে । আমি চাচির কাছেই আবার ফিরে গেলাম । অভ্রনীলের সাথে আমার ফোনে কথা হতো মাঝে মাঝে । যাবার দিন ও কথা বললাম । বললাম আমি চলে যাচ্ছি তোমাদের বাড়ি ছেড়ে তোমার নানুর বাড়ি । ও খুব নর্মাল ভাবে বলল "আচ্ছা যাও" । চলে যাবার তেইশ দিনের মাথায় ও ভাইজান কে নিয়ে উপস্থিত ওর নানার বাড়ি । আমাকে দেখতে পেয়েই সে কি মার আমাকে। ইচ্ছে মতো থাপ্পড়, কিল, ঘুষি, লাত্থিও দিয়েছে একটা , আর মাথার চুল যে কতগুলো ছিড়ে নিয়েছে । এত এত বাজে কথা ও বলেছে তুই তাকারি করে । ভাইজান থামাতেই পারছিল না । আমার অপরাধ একটাই ছিল আমি কেন ছেড়ে চলে এসেছি। বিশ্বাস করো সেদিন আমার একটু ও খারাপ লাগে নি । বরং আমার জীবনের খুশির দিন গুলোর একটা ছিল সেদিন। জীবনে প্রথম বার অনুভব করতে পেরেছিলাম আমার মতো তুচ্ছ কারো , তুচ্ছ একটা কাজের লোকের অনুপস্থিতিতে কারো মনে এতটা দাগ কাটতে পারে। অর্পির সাথে জেদ ধরে ফিরতে ফিরতে তেইশ দিন লেগেছিল তাছাড়া নাকি সে তখন ই এসে আমার হাত পা বেধে রাখতে চেয়েছিল, এরপর যদি আমি কোথাও চলে যাই তাহলে নাকি সে সুইসাইড করবে।। ওর ছোট্ট মুখে এসব রাগী শাসনের সুর শুনে এত হেসেছিলাম সেদিন বাড়ির সবাই। ও ওর মাথা ছুইয়ে আমাকে সেদিন প্রতিজ্ঞাও করতে হয়েছিল যেন আমি আর কোন দিন ওকে ছেড়ে না যাই । চাচা চাচি বলল রেণু তুই বরং ফিরেই যা । অভ্রনীল তাছাড়া আরো পাগলামো করবে, একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছি চাই না একমাত্র নাতির কোন অসুবিধে হোক।। "
বুঝেছ মেয়ে অভ্রনীল এমন ই। আরো কবে বুঝবে তুমি ওকে? হুম?কাল হানিমুনে যাচ্ছ তো সব ঠিকঠাক করে নাও এবার অন্তত।
.
.
অভ্র'র কথা, শুভ্র'র কথা, রেণু খালার কথা। তিন জনের তিন রকম কথা আজ আরো বেশি মাথার ভেতর দলা পাকাচ্ছে।
.
.
ফোন বের করে শুভ্র'র ইনকামিং কল কেটে দিয়ে নিজেই ফোন করে এক নিঃশ্বাসে কথা গুলি বলে দিল অবন্তী,
.
.
"দেখো শুভ্র অনেক হয়েছে । আর নয় ।
এত দিন আমি তোমার সাথে অভ্র্কে তুলনা করতাম । কিন্তু না আজ অভ্রর সাথে তোমাকে সাথে তুলনা করার দিন ।
আমার জীবনে অন্য কেউ আসবে তা তুমি আগে থেকেই জানতে। হ্যা যেভাবেই হোক এসেছে । আর এমনি এমনি কিন্তু আসে নি। শক্ত একটা বাধনের অধিকার নিয়েই এসেছে । যেই বাধনটা আমার তোমার সাথে চার বছরেও হয়ে ওঠে নি। নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা চায় নি বলেই হয় নি। চেনা জানাহীন অভ্রকে এক মুহুর্তে যেই অধিকার টা সৃষ্টিকর্তা দিয়ে দিলেন, তোমাকে সেই অধিকার কিন্তু চার বছরেও দেন নি। সৃষ্টিকর্তা চাইলেই এই চার বছরে হুট করেই অভ্রর মতো তোমাকেই এই অধিকার টা দিতে পারতেন। শুভ্র জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিনটে জিনিস ই সম্পূর্ণ ভাবে সৃষ্টিকর্তার হাতে। হ্যা ক্ষণিকের জন্য প্রণয়ের সম্পর্ক হয়ত তোমার সাথে হয়েছিল কিন্তু পরিণয়ের বাধন কিন্তু তকদীরে অভ্রনীলের সাথেই লেখা হয়ে গেছিল ।
.
আর আমি এখন বুঝি শুভ্র তুমি আমার ছোট বয়সের শুধুই একটা মোহ ছিলে। তখন হয়ত আমি এসব ভালবাসা মানেই ঠিক মতো বুঝতাম না । সারাদিন মুভি সিরিয়াল দেখে ভাবতাম তেমন ই সুপার হিরো চাই আমার। প্রেমিক মানেই বুঝি সুপার হিরো হতে হয়। আর তোমাকে প্রথম দিন দেখে ও রকম ই একটা মোহে পড়ে যাই । কিন্তু না রিয়েল লাইফে সব হিরো সুপার হিরো হয় না ।
এ কদিনে আমার যত বার তোমার সাথে কথা হয়েছে বার বার ই তুমি নিজের কথার চেয়ে অভ্রর ভুল ধরতে বেশি টাইম ওয়েস্ট করেছ। আমার মাথায় অভ্রর জন্য ঘৃণার বীজ বুনতে চেয়েছ। কিন্তু অভ্রকে দেখো, হ্যা ও অভ্রদ্র , অসভ্য । কিন্তু ও কিন্তু তোমার ব্যপারে আমাকে কোন বাজে উস্কানি তো দূরের কথা ভালো মন্দ কিছুই বলে নি। বার বার বলেছে "তুমি যা চাইবে তাই হবে । মনের বিরিদ্ধে জোর করব না ।" ও আমার মন কে গুরুত্ব দিয়েছে । আর তুমি আমার মন কে গুরুত্ব দিয়েছ? বার বার জোর দিয়েছ অভ্রকে ডিভোর্স দিয়ে ফিরে যেতে।
হ্যা অভ্র হয়ত রাগের বশে কিছু কথা বলে ফেলেছে আমায় । তুমি সেগুলো পূজি করে ভুল বোঝাতে চেয়েছ আমায়। অভ্রর অধিকার আছে আমি ভুল করলে আমাকে বোঝানোর। হ্যা ওর বোঝানোর কায়দা বা ভাষা হয়ত একটু খারাপ ছিল। সেটাও ওর কোন একটা সমস্যার জন্যই। কিন্তু তারপর থেকে ও প্রত্যেক বার নিজেকে শুধরিয়ে ঠান্ডা মাথায় বোঝাতে চেয়েছে আমায়।
.
শুভ্র , একটা সুন্দর গড়া জিনিস ভেঙে আবার নতুন করে অন্য কিছু দারা গড়ার কোন মানেই হয় না। হ্যা গড়ার প্রয়জন হয়ত পড়ত যদি প্রথম গড়া তে খুব বেশি খুত থাকত। আমি মনে করি না যে তেমন কোন খুত আছে আমার আর অভ্র'র সম্পর্কে। যেটুকু খুত যদি থেকেও থাকে আমরা দুজন তা নিখুত করে নেবার চেষ্টা করব।
আমি চাই তুমিও নতুন করে গড়ে নাও তোমার জীবন। মনে করো না আমাদের সম্পর্ক একটা ভুল ছিল।মিস ম্যাচ ছিল । তা না হলে বিয়ের সব কিছু ঠিকঠাক হবার পরেও আমাদের বিয়েটা কেন হলো না? নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা চান নি। উনি হয়ত আমাদের জীবন টা অন্য রকম করতে চেয়েছেন। আমাদের পথটা হয়ত আলাদা ই ছিল । তোমার পথে হয়ত অপেক্ষা করে আছে অন্য কেউ। যেমন আমার পথে অভ্র ছিল অপেক্ষা করে।
ভুলে যাও শুভ্র । ভুলে যাও। বাস্তবতা মেনে নিতে শেখো।
আর সব কথার ও একটা শেষ কথা থাকে। আর তা হলো..."
.
— তুমি এখন অভ্রকে ভালবাস তাই তো?
— হ্যা। হয়ত তোমার সাথে আমার ভাললাগা টা ছিল হয়ত বিয়ের পর ভালবাসা টাও হয়ে যেত। কিন্তু ভালবাসা ব্যাপার টা আমার অভ্রর সাথেই হয়ে গিয়েছে। আর এটাই বৈধ।
— বোকা মেয়ে এটা বুঝতেই এতক্ষণ সময় নিলে?
— মানে?
— কিছু না । ভালো থেকো পিচ্চি । যে স্থায়ী সে ই যেন চিরস্থায়ী হয় তোমার জীবনে। আমি বরাবরই বাস্তবিক । তা তুমি ভালো ভাবেই জানতে। বাস্তবতা মেনে নেয়ার যথেষ্ট অভ্যেস আমার আছে। আমি মেনেও নিয়েছি অনেক আগেই। খুব সুন্দর লাগছিল সেদিন পার্টি তে দুজন কে। আবার বলি ,ভালো থেকো ভালো রেখো। বিদায় । আমার চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিও আজ থেকে ।আমিও ভাগ্যে প্রচন্ড রকম বিশ্বাসী। বিশ্বাস করো আমার কোন অভিযোগ নেই তোমার প্রতি, নেই কোন অভিমান । শুভ্রর গল্প এখানেই শেষ । শুভ্রর কাছেও তার পিচ্চির গল্প এখানেই শেষ ।
.
ফোন কেটে শুভ্র চোখের কোণে পানি মুছে এক চিলতে হাসি হাসে।
.
.
খুব সহজে মরতে যে কারোর ই মন চায় না এ তারই প্রমাণ। মন চাইছে আর একটু অপেক্ষা করতে । যদি সে আসে। হয়ত এয়ারপোর্টে এসেছে, হয়ত খুজে পাচ্ছে না তাকে। হয়ত এ রাস্তায় আসার কথা মাথায় ই আসছে না হতেও তো পারে ।। আবার অন্য কিছুও হতে পারে ।
.
" আবার অভ্রনীল ? আবার? এটা কার জন্য আমি ফিরে আসলাম? বলুন এমন একটা অভ্রনীলের জন্য আমি ফিরে আসলাম? নেশা ভাঙের অভ্যেস এখনো ছাড়তে পারলেন না? "
.
কথাটা বলেই অবন্তী হাত থেকে খপ করে ইনজেকশন কেড়ে নিল। অভ্র এতক্ষণ ধরে ওটা নাড়াচাড়া করছিল। অবন্তী কে দেখে চট করে উঠে পড়ল। ওর এসব শাসন শুনে অভ্র মুচকি হেসে মিথ্যে বলল,
.
— ভিটামিন এর ইনজেকশন ওটা । এত রাগ হবার কিছু নেই ।
.
—মিথ্যে বলার আর জায়গা পান না তাই না? ভিটামিন এর ইনজেকশন হয় বুঝি? আর কি এমন ভিটামিন যে এটা আপনাকে এখন ই নিতে হবে?
.
—তুমি ফিরে আসার অভাবের ভিটামিন।
— আমি যদি না ফিরতাম?
— ভিটামিন পুশ করে নিতাম।
— অভ্রনীল আপনি আমাকে ছুয়ে কথা দিন আপনি আর এসব নেশা করবেন না । মদ খাবেন না ।
— আরে পাগল ওসব তো আমি অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। (সত্যি অভ্র এসব অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে)
— তাহলে এটা কি?
— বললাম তো ভিটামিন। দেখি দাও ফেলে দিই।
.
.
অভ্র অবন্তীর হাত থেকে ড্রাগস এর ইনজেকশন টা কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল। তারপর অবন্তীর খুব কাছ বরাবর গিয়ে দাড়ালো । এতটা কাছে যে অবন্তীর প্রত্যেকটা নিশ্বাস অভ্রর বুকের ওপর পড়ছে। অবন্তী শুধু স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে আছে অভ্রর চোখের দিকে ।।
.
" অবশেষে আজ কি আমি তোমায় একটু জড়িয়ে ধরতে পারি? আজ খুব খুব ইচ্ছে করছে শুধু একটা আলিঙনের। দেবে কি আমায় এটুকু অধিকার? নাকি এখনো অন্যের আমানত হয়ে থাকার দোহায় শুনতে হবে?"
.
কথাটা শুনে অবন্তী নিজেই অভ্রকে খুব শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরে ।
.
" আমি আর অন্য করো আমানত নই। আমি শুধু আপনার সম্পদ, আমি আপনার ই আমানত । আমি আপনারই পরিপূরক"
.
.
.
চলবে.........................