""জিসান, তিশা ও রায়হান সবাইকে বিদায় দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো,তারা পৌছাতে পৌছাতে বিকেল হয়ে গেলো।জিসানও তিশাদের বাসায় গেলো কারন তিশাদের বাসার গ্যারেজ এ হুন্ডাটা রেখে গিয়েছিলো তা নিতেই ওদের সাথে আসছে।রায়হান অনেক বললো ঘরে আসতে কিন্তুু আজ না পরে আসবো।এখন বাসায় যাওয়া জরুলী বলে চলে গেলো।
""তিশা ঘরে ডুকার সাথে সাথে তিশার মা তিশাকে ধরে কাঁদতে লাগলো।কারন রায়হান ফোন করে সব বলেছিলো, যা যা হইছে।তিশা মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে মাকে গালে কতো গুলো চুমো দিয়ে বললো মা দেখো আমি টিক আছি।তুমি এভাবে কাঁদলে আমিও কেঁদে দেবো কিন্তুু! দেখো মা কতো দূর জার্নি করে এসেছি, আমার পেটে খোরগোশ দৌড়াচ্ছে।খুব ক্ষুধা পাইছে।
"""আচ্ছা আচ্ছা যা তুই ফ্রেস হয়ে আস,আমি এখনি খাবার রেডি করছি।তোর পছন্দের চিংড়ীর মালাইকারি রান্না করছি।
"""সত্যিইইইইইইই।(তিশা)
""''হুমমমমমম।
"""আগে আমার কথার জবাব দে।(ভ্রুটা কুচকিয়ে তিশারকে রায়হান)
""কি......(তিশা)
""'ক্ষুধা পেলে সবাই বলে পেটে ইদুর দৌড়াচ্ছে।কিন্তুু তোর খোরগোশ দৌড়াচ্ছে কেনো।
"""ইয়ায়ায়ায়াক।তুমি জানো না আমি ইদুর একদমই সহ্য করতে পারি না।তাহলে আমার পেটে ইদুর কেনো দৌড়াবে।আমার খোরগোশ পছন্দ তাই আমার পেটে খোরগোশই দৌড়ায় ক্ষুধা পেলে।বুজছো.....।
(তিশা মুখ ভেঙ্গছিয়ে চলে যায়।)
""আসলে রায়হান ইচ্ছা করেই ওর সাথে এমন করেছে,যাতে তিশার মনটা ভালো হয়ে যায়।
জিসানের বাড়ী....
"""গল্পের নায়ক জিসানের পরিচয় এখন দেয়া হবে,এতো দিন প্রয়োজন ছিলো না তাই দেয়া হয়নি।
জিসান তৌফিক হাওলাদার এর মেঝো সন্তান।জিসানেরা তিন ভাইবোন।তাওহিদ,জিশান আর ছোট বোন নিশি।তাওহিদ জিসানের বড় ভাই, বাবার সাথে ফ্যামিলি বিজনেস এ জরিত।জিসানেরা এলাকার স্থানীয়। আর ওর বাবাও এলাকার নামীদামী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।বড় ভাই তাওহিদ এর স্ত্রীর নাম তানজিলা।আর মা রাবেয়া বেগম কে নিয়ে জিসানের পরিবার।আর সবার আদরের মধ্যমনি হলো জিসান।জিসানকে তার পরিবার কখনো কিছু বলে না।শুধু জিসানের রাগটাকে সবাই ভয় পায়।জিসানের রাগ খুবই খারাপ সহযে কাউকে মাপ করে না,তাই ওর ফ্যামিলি কখনো কোন কিছুতে বাধা দেয় না।
""""জিসান বাড়ীর কলিংবেল বাজাচ্চে।গেট খুলতে আসছে জিসানের ছোট বোন নিশি।
"""নিশি-ভাইয়য়য়য়া। জরিয়ে ধরে।আরে ভাবি কই।
""""জিসান -ভাবি কই মানে,ভাবি ওর বাসায়।
"""নিশি-কেন ওর বাসায় কেনো।আমিতো ভাবলাম তুমি সাথে করে নিয়ে আসবে,সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে।
"""জিসান-পাগল.....।তুই ছাড়া বাসায় কেউ জানে না বিয়ের কথা।আগে সবাইকে বলি তার পর....
"""নিশি -কবে বলবা,সবাইকে।
"""জিসান-দেখি আজই বলে দেবো।বাবা আসুক তার পর।
"""জিসানের মা-কিরে তোরা দরজায় দাঁড়িয়ে ভাই বোন কি প্লানিং করছোস।
"""মার কথায় জিসান নিশিকে চুপ থাকতে ইশারা করে।
আরে মা কিছু না, তুমিতো জানো ওও কেমন,এসেই আগে আমার মাথা খাচ্ছে।এখন বলো তুমি কেমন আছো(মাকে জরিয়ে ধরে)
""জিসানের মা-পাগল ছেলে আমার,আমি ভালোই আছি,তুই বল।সব ঠিকঠাক হয়েছে তো।
"""জিসান-মানেনননন।(জিসান একটু ভয় পেয়ে)
""জিসানের মা,আরে বাবা,তুইনা রায়হান এর মামাতো বোনের বিয়ে খেতে গেলি,বিয়েটা ঠিকঠাক মতো হলো কিনা তা জানতে চাইলাম।আর তুই এতো মানে মানে করছিস কেন,সব ঠিক আছে তো।
""জিসান-হে মা সব ঠিক আছে।তুমি খাবার রেডি করো,আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
""জিসানের মা-আচ্ছা যা।
নিশি মুখ চেপে হাসছে, ভাইয়ের কান্ড দেখে।
""জিসান-ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে বসলো।ভাবি ভাইয়া আর বাবা কখন আসবে।
""তানজিলা(জিসানের ভাবি)-এইতো আসতে আসতে ৭টা-৮টা বাজবে।কেনো,খুব বেশি দরকার।
""জিসান-তোমাদের সবার সাথে আমার কিছু কথা আছে তাই।
""তানজিলা -ওওওও তো কি এমন ইমপোর্টেন্ট কথা,আমাকে আগে বলো।
""জিসান-না না সবাইকে এক সাথেই বলবো।
""তানজিলা -ওকে।
""জিসান খাবার খেয়ে রুমে চলে গেলো।কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া দরকার।
রাতে সবাই খাবার টেবিলে বসছে
""রাবেয়া বেগম-জিসান সবাইকে কি বলতে চাস বল।সবাইতো আছে এখন।তোর কি টাকা পয়সা লাগবে।
""জিসান-না মা,আমার টাকা লাগলে তোমাকেই বলতাম।
""জিসানের বাবা-রাবেয়া এই বয়সে তোমার ছেলে টাকা না লাগলে আর কি চাইবে,বিয়ে করার জন্য কাউকে পছন্দ হইছে মনে হয়।
""জিসানের মা-আরে কি বলো,আমার ছেলে কাউকে পছন্দ করবে,আর আমি জানবো না।আর যদি কাউকে পছন্দ হয় সমস্যা কি,ওর যাকে পছন্দ হবে আমরা তাকেই বউ করে আনবো।
বল বাবা তুই কি বিয়ে করতে চাস।
""নিশি মুখ চেপে আসছে।
""তানজিলা -নিশি কি হইছে তুমি হাসছো কেন এতো।
""জিসান-আসলে মা বিয়ে করতে চাইনা,বিয়ে করে ফেলছি।।।
খাবার টেবিলে সবাই....কিকিকিকিকি।
"""জিসান মাথা নিচু করে আছে।হ্যা মা আমি বিয়ে করে ফেলছি।
"""নিশি-সবাই এমন করছো কেনো।দেখো ভাইয়া লজ্জা পাচ্ছে।
""রাবেয়া বেগম-নিশি তুই চুপ থাক।আর জিসান এসব কি বলছোস, আমরা কখনো তকে কিছুতে মানা করছি,তুই বললে আমরাই বিয়ে করিয়ে দিতাম এভাবে একা একা কাউকে কিছু না বলে বিয়েটা করে ফেললি।আমাদের কথা একবারও চিন্তা করলি না।(জিসানের মা রাগ করে)
""জিসানের বাবা-কবে করলা।
""জিসান-গতকাল
""তাওহিদ -তো মেয়েটা কে।আর তুইতো বিয়ে খেতে গেলি আর নিজেই বিয়ে করে ফেললি।
""তানজিলা -কি হলো দেবারজি, বলো তোমার বউয়ের নাম কি,কি করে।
""জিসান-একবার সবাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,,,,তিশা।
"""তিশাশাশাশাশশা।উপস্থিত সবাই এক সাথে.....
""জিসান -নিরব।
""তাওহিদ -রায়হানের বোন।রাইট।
"""জিসান -হুমমমমমম।
"""'তাওহিদ -এই কারনেই বলি এতো ঘন ঘন ওদের বাসায় যায় কেনো।
""জিসানের বাবা-তুমি আমাদের বলতে পারতে একবার,আমরাই সবাইকে রাজি করিয়ে বিয়েটা করিয়ে দিতাম।এভাবে করাটা মানে কি।
"" জিসান এর পর সবাইকে বললো,গ্রামে কি কি হইছে, আর কোন পরিস্থিতির মধ্যে বিয়েটা করতে হলো।
""খাবার টেবিলে সবাই চুপ।কেউ কিছুই বলছে না।
""জিসান-আমি কি কোন ভুল করেছি বাবা।
""জিসানের বাবা -আমি আজ খুব গর্বিত মাই স্যান।তুমি দুটো পরিবারকে বাঁচিয়েছো।তাদের সম্মান রক্ষা করেছো।তুমি ভুল কিছুই করো নি।।
""তানজিলা -ছবি আছে তোমার কাছে দেখাও, তিশাকে দেখতে চাই।
""জিসান নিজের ফোনটা থেকে তিশার কিছু পিক বের করে দিলো।
""তিশাকে দেখে সবার পছন্দ হলো।।।।।
.
.
.
চলবে................................................