"এই মহিলা এ পুরো ফ্যামিলিকে ঘোল খাইয়ে রেখেছে। উনিই আপনার আসল মা। আপনি আসলে আসল অভ্রনীল না আপনি রেণু খালার ছেলে।আর উনিই মেরে ফেলেছে উনার তথাকথিত পরম ভালোবাসার তনু আপাকে!"
'
'' কিহ?''
''হু। আর আমার মনে হয় আপনি আসল অভ্রনীল না । জন্মের পর হয়ত আসল অভ্রনীল মারা গেছিল বা আপনি যাকে মা মনে করেন তার হয়ত কখনো ছেলে সন্তান হয়ই নি। তার রেণু খালার ছেলেকে মানে আপনাকেই আহনাফ চৌধুরী অভ্রনীল বানানো হয়েছে । আর আপনি যাকে নিজের মা মনে করেন তাকে মেরে ফেলা হয়েছে । আর সেই কাজটা রেণু খালাই করেছে।''
'
কথাটা শোনার পর অভ্র অবন্তীকে ঠিক কতটা জোরে চড় মারে তা সে আন্দাজ ও করতে পারে না । অবন্তীর গালে চার আঙুলের ছোপ পড়ে , ঠোটের কোনেও রক্ত জমাট বেঁধে যায় কিছুটা । রেণু খালা দৌড়ে এসে না থামালে হয়ত পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেই চলে যেত। রেণু খালা অভ্রকে জাপটে ধরে থামায় ।
" অভ্রনীল এসব কি পাগলামো হচ্ছে বাবা আমার? মেয়েটা অসুস্থ তার ওপর তুমি ওর সাথে এমন করছ? যদি পড়ে গিয়ে একটা অঘটন ঘটে যেত? তাহলে? তোমার নিজেরই তো ক্ষতি হতো তাই না? অবন্তী তো আর এখন একা নয় বাবা ওর ভেতর তোমার অস্তিত্বও আছে।"
'
অভ্র কাদো কাদো হয়ে বলে," রেণু খালা ও কি সব উল্টোপাল্টা বলছে? এসব শুনে আমি কি করে মাথা ঠিক রাখবো?"
'
" কি বলেছে? "
'
" আমি নাকি আমার মায়ের ছেলে না । আমার মা নাকি আমার আসল মা না। আমি নাকি আসল অভ্রনীল না । আমি নাকি নকল অভ্রনীল ।"
'
" অবন্তী এসব তোমায় বলেছে? "
'
" আরো অনেক কিছু বলেছে। "
" আর কি বলেছে?"
" আমি নাকি তোমার ছেলে। তুমি নাকি আমার মাকে মেরেছ?অবন্তী পাগল হয়ে গেছে রেণু খালা। ও জেনে গেছে আমিই ওর ফ্যামিলির সবার মৃত্যুর জন্য দায়ী এখন এসব বাজে কথা বলে আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে চাইছে। ও চাইছে এসব শুনে আমি কস্ট পাই। আমি আবার পাগল হয়ে যাই । ও আমার সব চেয়ে বড় ভরসায় স্থানে হাত দিয়েছে। কারণ ও ভালো করেই জানে আমার সবচেয়ে বড় ভরসার স্থান তুমি। আমি ওর বিশ্বাস ভরসার দাম দিতে পারিনি তাই ও আমার বিশ্বাস ভরসা নষ্ট করতে চাইছে।"
'
এসব শুনে রেণু খালা অবন্তীর দিকে এগিয়ে যায় । অবন্তী রেণু খালার দিকে তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়।
'
" এসব কি বলেছ তুমি ওকে? "
" সব ঠিক বলেছি তো রেণু খালা?"
" না সব ঠিক বলো নি।''
" অস্বীকার করতে পারবেন অভ্র আপনার ছেলে?"
" তুমি অস্বীকার করতে পারবে অভ্রনীলের চেহারা পুরোপুরি ওর মায়ের মতো মানে তনু আপার মতো? "
'
অবন্তী এবার বেশ খটকায় পড়ে যায় । সত্যি অভ্র ওর মায়ের চেহারা আর গায়ের রঙ দুটোই পেয়েছে ।ও আবার তাকায় অভ্রর দিকে। তাহলে রেণু খালা যে সকালে অর্নি আপুর সাথে ঝগড়ার সময় ওসব বলল।
" তাহলে আপনি সকালে অর্নি আপুর সাথে ঝগড়ায় ওসব বললেন কেন?"
" কি বলেছি?"
" আমি সবটা শুনেছি রেণু খালা। আমার মনে ঠিক যে সন্দেহ ছিল অর্নি আপু ঠিক একই প্রশ্ন করেছিল আপনাকে। কিসের এত টান আপনার অভ্রর প্রতি? আর অভ্রর ই বা কিসের এত টান? কই অর্পি অর্নি আপুর প্রতি তো আপনার এত টান,ভালোবাসা নেই? আপনি তো তিন জনেরই আয়া ছিলেন তাই না? আর এর উত্তরে আপনি কি বলেছিলেন?"
"তুমিই যখন সব শুনেছ তখন তুমিই বলো?"
" আপনি বলেন নি আপনি অভ্রকে ব্রেস্ট ফিডিং করিয়েছেন? "
" হ্যা। তো?"
" তো মানে? বাচ্চাকে তার মা ছাড়া আর কে ফিডিং করাবে? আমার বাচ্চাকে তো আমিই ফিডিং করাবো তাই না? "
" হ্যা বাচ্চাকে তার মা ই ফিডিং করায়। "
" তার মানে আপনি স্বীকার করলেন তো যে আপনি অভ্রনীলের জন্মদাত্রী?"
'
''অবন্তী মা আমার হাসালে তুমি! এতদিন অভ্রনীল আমাকে প্রায়ই বলত সাধারণ মেয়ে মানুষ যে কোন কথা দুলাইন বেশি বোঝে আর আর তুমি নাকি দু'শ লাইন বেশি বোঝ। আমি ওর কথা হেসে উড়িয়ে দিতাম। এখন তো দেখছি সত্যি সত্যি দু'শ লাইন বেশি বোঝ তুমি।''
.
অভ্রনীলের রাগের চেয়েও কৌতূহল বেশি জাগে । সে একবার রেণু খালার দিকে তাকায় আর একবার অবন্তীর দিকে তাকায় ।
" কি হচ্ছে এসব? "
অবন্তী উত্তর দেয়," অনেক রাগ দেখিয়েছেন । এবার দয়া করে চুপ থাকুন। "
'
অভ্র এবার রেণু খালার দিকে তাকিয়ে বলে," মানেটা কি রেণু খালা ? আমি আসলে কে? আমার মা আসলে কে? আমার বাবা ই বা কে?"
" অভ্রনীল তুমি। আহনাফ চৌধুরী অভ্রনীল । "
" আমার মা তাহলে কে?"
" তনু আর রেণু দুজন ই তোমার মা। "
" মানে?"
"তনু আপা যদি তোমার জন্মদাত্রী মা হয় তবে আমি তোমার লালন পালনকারী মা ,আমি তোমার দুধ মা অভ্রনীল। মা হিসেবে তনু আপার যতটা অধিকার তোমার ওপর ছিল তার সমান অধিকার আমারও আছে তোমার প্রতি অভ্রনীল ।"
অভ্র রেনু খালা কে জড়িয়ে ধরে । রেণু খালার কপালে চুমু খেয়ে বলে," হ্যা তা তো আছেই।"
তারপর অবন্তীকে বলে, এই সিম্পল ব্যাপারটা অবন্তী কতদূর নিয়ে গিয়েছিলে তুমি বলতো?শুধু শুধু মাথা গরম করিয়ে দাও আমার ।"
'
'
" এটা কোন সিম্পল ব্যাপার নয় অভ্রনীল । সিম্পল ব্যাপারই যদি হতো রেণু খালা তার অতীত সম্পর্কে কেন আমাদের জানান না? কেন নিজের সন্তানের কথা আমাদের বলেন না? অভ্রনীল আপনি জানেন রেণু খালার অতীত? "
" রেণু খালার আবার কি অতীত থাকবে? আগে গ্রামে ছিল, বাবা মা ছিল না । তাই মা রেণু খালাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।"
" অভ্রনীল আপনি যতটা সিম্পল ভাবে ভাবলেন ব্যাপারটা অত সিম্পল নয়। রেণু খালা আজ আপনাকে সব বলতেই হবে।"
" কি বলব আমি?"
" মাকে কিভাবে খুন করেছেন? "
অভ্র আবার চেচিয়ে ওঠে অবন্তীর ওপর , "খুব বেশি বাজে বকছ আজ তুমি অবন্তী। "
'
'
অবন্তী অভ্রর কথায় তেমন ভ্রূক্ষেপ করে না ।সে রেণু খালাকে বলতেই থাকে,
" খুব ভালোবাসেন আপনার অভ্রনীলকে তাই না? তাহলে নিজে খুন করে ওর ঘাড়ে দোষ চাপাতে একটুও খারাপ লাগল না বুঝি? অভ্রনীলকে নিজের ছেলে মনে করেন? এই আপনার ভালোবাসা ছেলের প্রতি? এই দোষের বোঝা সারাজীবন ওকে মাথায় নিয়ে বড় হতে হয়েছে । নিজের বোনের সাথে সম্পর্ক খারাপ করিয়েছেন, নিজের বাবার জন্য ওর মনে বিষ ঢেলেছেন । লজ্জা করে না রেণু খালা এরপরও নিজেকে মা দাবি করার? একজন সত্যিকারের মা এমন হয় বুঝি? নিজের দোষ সন্তানের ওপর চাপায়? রেণু খালা আপনি আসলে চেয়েছিলেন অভ্র এই দোষ ঘাড়ে নিয়ে জেলে পচে মরুক আর সেই সুযোগে নিজে আর নিজের সন্তান এসব কিছু হাতিয়ে নিন তাই না? তাই বাবার সাথেও নিজে বিশ্বস্ততা করেছেন ঠিকই কিন্তু অভ্রর মন বিষিয়ে দিয়েছেন বাবার প্রতি , আর বাড়ির অন্যদের মন বিষিয়ে দিয়েছেন অভ্রর প্রতি? আর অর্পি আপু এসব থেকে বরাবরই দূরে তাই তার মন আর কারো প্রতি বিষিয়ে দিতে হয় নি তাই না?"
'
অভ্র এসব শুনে অবন্তীকে দ্বিতীয় থাপ্পড়টা দেয়ার জন্য উদ্দত হবার সাথে সাথেই রেণু খালা ওর হাত ধরে ফেলে।
" দোহায় লাগে বাবা, আমার জন্য নিজেদের মধ্যে ঝামেলা ডেকে এনো না তোমরা। অবন্তীর ওপর এভাবে হাত তুললে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । সন্তান হারানোর কষ্ট আমি বুঝি বাবা । আমিও যে মা। আমার সন্তান আজ থেকেও আমার কাছে নেই।জানিনা সে কোথায় আছে কেমন আছে।"
অভ্র থেমে গিয়ে বিস্ময়ের সাথে তাকায় রেণু খালার দিকে।
" মানে কি রেণু খালা? কি বলছ এসব? তোমার সন্তান?"
" হ্যা। আল্লাহ্ তায়ালা পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর নেয়ামত আমাকেও দিয়েছেন। মা হবার সুযোগ আমাকেও দিয়েছেন।"
'
রেণু খালা অবন্তীর দিকে তাকিয়ে এক গাল হেসে বলতে শুরু করলেন,
" অবন্তী অনেক অপবাদ দিয়ে ফেলেছ মা তুমি আমাকে। অনেক বেশি অপবাদ আর অভিযোগ দিয়েছ তাও আবার আমার ছোট্ট অভ্রনীলের কাছে । এত অপবাদ নিয়ে আমি আমার ছেলের কাছে বাচতে চাই না । সন্দেহ নিয়েও বাচতে চাই না । আমি চাইলেই আজ সব কিছু অস্বীকার করতে পারতাম। অভ্রনীল কিন্তু আমাকেই বিশ্বাস করত, তোমাকে নয়। কিন্তু ওর মনের ভেতর কিছুটা হলেও সন্দেহের বীজ বুনন শুরু হয়ে যেত। আমি যা করিনি তা নিয়েও সন্দেহ করত। আমি চাই না আমার সব চেয়ে আদরের ধন আমায় ভুল বুঝুক। হ্যা চিনুক সে আমায় সঠিকভাবে।
আমার পুরোনাম আঞ্জুমান আরা রেণু । বাড়ি সোনাদিঘী উপজেলার শিমুলতলি নামের এক ছোট্ট গ্রামে। খুব ছোট বয়সে আমার বাবা মারা যায় । এরপর চার ভাইয়ের সংসারে মানুষ হই। মায়ের তেমন কতৃত্ব ছিল না ভাইয়েদের সংসারে। ভাইয়েরা আমার পড়াশুনার চেয়ে বিয়ে নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিল। বাবা নেই তাই আমার বিয়ের বোঝা তাদের ঘাড়ে পড়বে এটাই তাদের মুখ্য চিন্তা । পড়াশুনার খরচ দিত না বললেই চলে । গ্রামের প্রাইমারি স্কুল আর হাই স্কুলে ফুল ফ্রি স্কলারশিপে পড়েছি । রেজাল্ট ভালো করতাম বলে স্যার ম্যাডামদের সুনজরে ছিলাম। প্রাইভেটেও তারা বেতন নিত না । এভাবেই মাধ্যমিক পাশ করলাম। কলেজে ভর্তি হলাম । হঠাৎ ই একদিন বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব এলো । ছেলে ভালো, বিএ পড়ে শহরের কলেজে। জমিজমাও আছে বেশ। আমার শশুড় আমাকে দেখেই পছন্দ করেছিলেন। তাদের কোন দাবি দাওয়া ছিল না বলে ভাইয়েরা রাজি হয়ে গেল বিয়েতে । আমিও তখন কিশোরী । বিয়ে নিয়ে মনে মনে অনেক স্বপ্ন ছিল। আলহামদুলিল্লাহ উনি আমার স্বপ্নের কোন অংশে কম ছিলেন না । আমাকে সব কাজে সাপোর্ট দিতেন । কথায় কথায় কবিতা বুনে আমাকে শোনাতেন। আমি পড়াশুনা ছাড়তে চাইলেও উনি জোর করেই উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ান আমায়। এরপর কলেজে বিএসসি তে ভর্তি ও করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই আমি অন্তসত্ত্বা হই। খবরটা শুনে উনি কি যে খুশি হয়েছিলেন। খুশি হয়ে আমাকে বললেন, তুমি কি চাও বলো? আমি বললাম আমার নীলকন্ঠ আর বকুল ফুল চাই। উনি অনেক খুজে খুজে আমায় নীলকন্ঠ ফুল এনে দেন। কিন্তু বকুল ফুল এনে দিতে পারেন নি। অনেক খুজেও সেবার কোন গাছে বকুল ফুল পাননি উনি। সে কি মন খারাপ উনার। এই প্রথম আমি উনার থেকে কিছু চেয়েছি আর উনি দিতে পারলেন না তাই। আমি বললাম পরের বছর এনে দেবেন। কম বয়সে বাচ্চা নেয়ার কারণে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ি তাই সে বছর আর কলেজে ভর্তি হওয়া হলো না । কিন্তু দিন কে দিন যাবার সাথে সাথেই উনি কেমন যেন অসুস্থ হয়ে পড়লেন ধীরে ধীরে । রোজ রাতেই প্রায় জ্বর হতো । অজ্ঞান ও হয়ে পড়লেন দুদিন। সবাই বলল লক্ষন ভালো নয়। শহরে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে। এরপর উনার ক্যান্সার ধরা পড়ল। লিউকোমিয়া। তখন ক্যান্সারের এতো উন্নত চিকিতসা ছিল না । আর বিলেতে নিয়ে যাবার মতো টাকা কড়ি ও আমাদের ছিল না । উনি নিজেও বুঝতে পারলেন উনার পৃথিবীর সময়কাল ফুরিয়ে আসছে। প্রায়ই আফসোস করতেন সন্তানের মুখ হয়ত দেখতে পারবেন না বলে। এদিকে আমি নিজেও খুব ভেঙে পড়েছিলাম। আমি সারাদিন কাদতাম আর উনি অসুস্থ শরীর নিয়েই আমাকে সান্তনা দিতেন। আমি উনার বুকে মাথা গুজে আবার কাদতাম। একদিন সকাল বেলা আমাকে বললেন, রেণু আমি তোমায় বকুল এনে দিতে পারলাম না গো। আমার এই ব্যার্থতা আমার ছেলে বা মেয়ে পূরন করবে দেখো তুমি। ও তোমাকে বকুল এনে দেবে। আমি বললাম আমার এসব কিছুই লাগবে না । শুধু আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন। উনি হাসতে হাসতে বললেন, ধুর পাগলি সুস্থ হবার রোগে আমার ধরে নি। আমি তো মরেই যাব শুধু তোমায় দুটো বোঝা দিয়ে যাব। এক বিধবার বোঝা দুই এতিম সন্তানের বোঝা। পারলে আমায় মাফ করে দিও রেণু। বড্ড ভালোবাসি ফুলের রেণু।"
'
.
রেণু খালা চোখ মুছে আবার বলতে শুরু করে,
" এদিকে গ্রামের লোকজন আমাকে অপয়া বলতে শুরু করে দিয়েছে । আমার অনাগত সন্তানকে অপয়া বলতে শুরু করেছে । আমার শাশুড়ির চোখের বিষ হয়ে উঠলাম আমি। আমার কপাল দোষেই নাকি আমার সুস্থ সবল স্বামী বিয়ের দু বছরের মাথায় মরতে বসেছে। আমি সেসব শুনে শুধু দরজা বন্ধ করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতাম। উনি আমার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকতেন । একদিন হঠাত বললেন রেণু তোমার প্রিয় রঙ নীল তাই না? আমি বললাম হ্যা। উনি উত্তরে বললেন তুমি কি জানো বেদনার রঙ নীল? আমি বললাম শুধু বেদনা না শুভ্র আকাশের রঙ ও নীল । উনি মুচকি হেসে বললেন, বেশ বলেছ। আমাদের ছেলের নাম শুভ্রনীল রাখলে কেমন হয়? আর মেয়ে হলে শুভ্রা? আমি উনার বুকে মাথা রেখে বললাম হ্যা আমাদের অনাগত সন্তানের নাম হবে শুভ্রনীল সাখাওয়াত অথবা শুভ্রা সাখাওয়াত । "
.
.
.
চলবে.........................