ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ২৪ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


~ সকালে আমার ঘুম আগে ভাঙ্গলো।আর প্রতিদিনের মতো আজও নিজেকে জিসানের বুকের উপর পেলাম।ঘুমন্ত জিসানকে দেখতে কেনো জানি আজ অনেক ভালো লাগছে,আর কাল রাতের কথা মনে পড়তে বিষণ লজ্জাও লাগছে।ভালো করে দেখলাম উনি ঘুমিয়ে আছে,তাই আস্তে করে উনার কপালে,গালে কিস করে ঠোঁটে জেতেই এই কি হিটলার চোখ মেলে তাকালো।উনার এভাবে তাকানো দেখে লজ্জা পেয়ে চলে জেতে নিলে উনি হাতটা ধরেই নিজের কাছে টেনে আনলো।নিজেকে সামলাতে না পেড়ে উনার বুকের উপর গিয়ে পরলাম।কাল রাতের কথা মনে পড়ায় লজ্জায় উনার দিকে তাকাতে পারছি না।

~কি হলো ঘুমন্ত অবস্থায় আদর না করে,জেগে আছি এখন কর।

উমমম,উনাকে আদর করতে বয়েই গেছে আমার,বলে উঠার চেস্টা করলাম।

~তাইইই,,,, তাহলে এতোক্ষন কি করছিলি।

মোশা মারছিলাম।অনেকগুলো মোশা বসেছিলো,তাই আস্থে করে মেরে দিলাম।

~তাইইইনি।আমার গাল, আমার কপাল,তাহলে তুই মারলি কেনো,আমাকে ডেকে দিতি।আমিই তাদের একটু আদর করে দিতাম।

টিক আছে নেক্সট টাইম ডেকে দিবোনি।এখন ছাড়ুন আমায়।

~না ভুলতো করেছিস, এখন তোকে জরিমানা দিতে হবে।

~কি জরিমানা দেবো আমি।,,,কিছু বলার আগেই জিসান আমাকে বিছানায় ফেলে নিজে আমার উপর উঠে যায়।আমার ঠোঁটের চারপাশে স্লাইড করতে করতে বলো,যেটা বাকি ছিলো সেটা এখন চাই।

কি বাকি ছিলো।আমি কপাল কুচকে.....।

~এটা... ঠোটটা দেখিয়ে।

না না না কিছু বাকি নেই,বলার আগেই জিসান আমার ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নেয়।আমি বাধা দিতে চাইলে হাত দুটো বিছানায় চেপে ধরে।অনেকক্ষন পর জিসান ছেড়ে দেয়,আমি চোখ বন্ধ করে আছি এখনো।তাই জিসান আমার গাড়ে,গলার আর বুকের কমড়ের দাগ গুলোতো ডিপ কিস করে দেয়।

আমি চোখ খুলেই জিসানের দিকে তাকাই।

~আমি ব্যাথা দিয়েছি দেখছিস এখন আমিই আদর করে দিলাম।

আমি একটা ভেঙ্গছি কেটে,জিসানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।গায়ের চাদরটা ভালো করে পেছিয়ে উঠে চলে জেতে চাইলে জিসান আবার হাতটা ধরে ফেলে,

~কোথায় যাস।একটা ভ্রু উঠিয়ে জিঙ্গেস করে।

সারাদিন কি এভাবেই থাকব,ফ্রেস হতে হবে না,একটু রাগ করে।

~জিসান বিছানায় পা জুলিয়ে বসে আমাকে কোলে বসিয়ে কোমড়টা শক্ত করে ধরে আমার পিঠে নাক দিয়ে স্লাইড করে, __আগে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিবি তার পর যাবি।তা না হলে একদমও নড়তে পারবি না।

আমি ঢোক গিলে উনাকে জিঙ্গেস করলাম কি প্রশ্ন।

~কাল এমন করলি কেনো।তোকে কেউ কিছু বলছে।

না তো কেউ কিছু বলেনি। জিসানকে বলতে চাচ্ছি না, যদি উনি আরো রাগ করে।

~দেখ তিশা তোকে আমি নিজের চোখে বড় হতে দেখেছি,তুই কখন কি করস,আর কেনো করস তার আইডিয়া আমার আছে,তাই ভালো চাইলে বলে দে,কারন আমি পরে অন্যকরো থেকে জানলে তোর জন্য ভালো হবে না।জিসান তিশাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো।বল কে কি বলেছে।

আমি নিচের দিকে তাকিয়ে, লাবনি আপু।

~কি বলেছে......।জিসান জানতো লাবনি ছাড়া আর কেউ না।

এর পর তিশা জিসানকে লাবনি কি কি বললো সব বলে দিলো।

~জিসান কিছুটা রাগ হলেও তিশাকে বুজতে দিলো না

দেখ তিশা তোকে বিয়ে করে আফসোস হবার কোন কথাই আসে না,আমি তোকে ভালোবাসি।তাই আজ হলেও করতাম,কাল হলেও তোকেই বিয়ে করতাম,তুই রাজি না হলে জোর করে হলেও তোকে বিয়ে করতাম।তবুও তোকে আমি অন্যকারো হতে দিতাম না।কারন তুই শুধু আমার।তিশার মুখটা দুহাতে আবদ্ধ করে।আর হে অনেক প্রস্তাব আসছে,আসতেই পারে,লাবনির সাথে বিয়ের জন্য মামা ও বলেছে,কারন লাবনি আমাকে অনেক আগে থেকেই নাকি ভালোবাসে।কিন্তু আমি ওকে সেই নযরে কখনো দেখিনি,ভালোবাসাতো দূরে থাক।দিন দিন লাবনির পাগলামো বেড়ে যাচ্ছিলো,এমনকি নিজের শরীল দেখিয়েও আমাকে বশে করতে চাইছিলো,সেদিন আমার সহ্যেরবান শেষ হলো,আর আমি সেদিন ওকে কয়েকটা থাপ্পর মেরেছিলাম।শরীল দেখিয়ে ছেলেদের বশে করা মেয়েগুলো পতিতা থেকেও খারাপ হয় জানিস।সেদিনের এই কথায় ও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো।কিন্তু মামা সময় মতো বাঁচিয়ে ফেলে।এর পর মামাও অনেকবার বলেছে ওকে বিয়ে করতে,কিন্তু আমি মানা করেদি।আর মামাকে লাস্ট বার মানা করার সময় বলেদি,আমি অন্যকাউকে ভালোবাসি।

মামা এটা শুনার পর আমাকে আর কখনো বিয়ের জন্য কিছু বলেনি।

তোর সাথে বিয়ের কথা মামা জানার পর লাবনিকে তারাতারি দেশের বাহিরে ওর মামার কাছে পাঠিয়ে দেয়।এতো দিন ও ওখানেই ছিলো। কিন্তু কিভাবে জেনো লাবনি জেনে যায়।আর সাথে সাথে মামাকে না বলে আমাদের বাসায় এসে পরে।আমি ওকে প্রথম দিন দেখেই বুজতে পারি ও কেনো এসেছে।ও রিয়েক্ট করলে আমার স্বাভাবিক লাগতো কিন্তুু ও চুপচাপ থাকতো,যা একদম অস্বাভাবিক। আমি বুজতে পারছিলাম না ওর মনে কি চলছিলো।এখন বুজছি।ও কৌশলে তোকে আমার কাছ থেকে সরাতে চাইছিলো।
কিন্তু ব্যাচারীর কস্ট বিফলে গেলো।আমি একটু হেসে.....।
ও তো আমার তিশাকে টিকমতো জানেই না।কোমরটা শক্তকরে জরিয়ে।তিশার মাথায় যে বুদ্ধি কম গিলুবেশি।তা যদি জানতো তাহলে এমন প্লান করতো না।

কি আমার মাথায় বুদ্ধি কম,ছাড়ুন আমায়, থাকবো না আমি আপনার সাথে।বুদ্ধিমতী কাউকে বিয়ে করে নিয়েন।জিসানের হাত ছাড়ানোর বৃথা চেস্টা করে একটু রেগে।

~আমার বুদ্ধিমতী লাগবে না,আমার উচ্চ শিক্ষিত লাগবেনা,আমার শুধু তিশা লাগবে।তুই যেমন আছিস আমি তোকে তেমনি পছন্দ করি।তোর পরিবর্তন আমি চাই না।তাই নিজেকে চেন্জ করার চেস্টাও করবি না।আর আমাকে ছেড়ে যাওয়ার খুব শখ তাই না,একদম পা দুটো ভেঙে দেবো আর একদিন এমন কথা শুনলে।

হইছে এবার ছাড়ুন,ফ্রেস হয়ে আসি।

~না আমার আরো একবার লাগবে রাতের টা।একটু দুষ্ট হাসি দিয়ে।

কিকিকিকিকি একদম না,এমনেই সারারাত ঘুমাতে দেননি।আমি এখন ফ্রেস হয়ে নিচে যাবো ছাড়ুন।

~ওকে পাওনা রইলো,আজ রাতের জন্য।আমি ছেড়ে দিলে তিশা দৌড় দিয়ে কাভার থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াসরুম এ চলে গেলো।

~আমি হাসত হাসতে উপর হয়ে আবার বিছানায় শুয়ে পরলাম।

 বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে চোখ উপরে উঠে গেলো আমার,শরীলের দাগ গুলো দেখে।কোনো রকম গোসল সেড়ে বাহির হয়ে দেখি জিসান শুয়ে আছে উপর হয়ে।আমি গিয়ে চুল ঝারা দিলাম উনার সামনে ইচ্ছা করে,এতে চুলের পানি উনার শরীলে পরলে লাফ দিয়ে উঠে পরে।

~এটা কি হলো,আমাকে এভাবে পানি মারছিস কেনো।

এগুলো কি....নিজের দাগ গুলো দেখিয়ে।

~ কোন গুলো....।

 এগুলো দেখেন না,এগুলো নিয়ে আমি নিচে যাবো কি করে।নিশা ও ভাবী আমাকে জ্বালিয়ে মেরে ফেলবে।আর মা দেখলে কি মনে করবে।বাড়ীতে আপনার কাজিনরা ও আছে।আমি মুখ দেখাবো কি করে।মুখ দুহাত দিয়ে ডেকে।

~আমার খুব হাসি পাচ্ছে তিশার কথা শুনে।তিশার হাত দুটো ধরে নিজের সামনে এনে,এগুলো আমার ভালোবাসা।আমি এমনেই ভালোবাসি।তোকে অভ্যাস করে নিতে হবে।আর হে কেউ কিছু বললে আমাকে বলিস আমি সবাইকে বলে দেবো জেনো কেউ আমার তিশাকে না জ্বালায়।ঠিক আছে।আমি মুসকি মুসকি হাসছি আর তিশাকে বুঝাচ্ছে।

আপনে একটা শয়তান,অসভ্য, আর রাক্ষস।বলেই দৌড় দিয়ে বাহিরে চলে গেলাম।

~এই দাড়া দাড়া কি বললি।ব্যাচারী ভয়ে নিচে চলে গেলো।আমিও ফ্রেস হতে চলে গেলাম।

আমি ভালো মতো চুল আর আচল দিয়ে দাগ গুলো ডেকে নিলাম,ভাবীর সাথে টেবিলে নাস্তা লাগাচ্ছিলাম।
ভাবীর চোখ ফাকি দিতে পারলাম না,ভাবী হেসে হেসে বলছে,সব ঠিক আছে তিশা।

উমমম ভাবী সব ঠিকই আছে।

সকাল সকাল গোসল, উমমম তাইতো বলি জিসান আজ এখনো বাসায় কেনো।তাহলে সাহেবের রাগ ভাঙ্গছে মনে হয়।

ভাবী তুমিও না,একটু বেশি ভাবো।

আমি ভাবিনা বোন,তেমার শরীলই বলে দিচ্ছে।ভাবী হাসতাছে।

এমন সময় নিশি ও লাবনি এসেও হাজির হলো।লাবনি ভাবলো আমি মন খারাপ করে থাকবো।কিন্তু আমাকে ভাবীর সাথে হাসতে দেখে অনেকটা অবাক।কি হলো কি নিয়ে এতো হাসাহাসি।

তুমি বুঝবে না ননদিনী ,বিয়ের পর বুঝবে।~তানজিলা।

কি এমন কথা যা এখন বুঝবো না,বলে দেখো।~লাবনি।

তিশার সকালে গোছলের রহস্য।~তানজিলা।

হা হা হা করে তানজিলা ও নিশি হাসলেও লাবনি হাসতে পারলো না।

জিসান আছে নাকি আজও নাস্তা না করে চলে গেছে।~লাবনি।

না আপু ও তো বাসায়।আজ না আপনারা চলে যাবেন তাই একটু দেরি করে যাবে।আপনে বসুন নাস্তা করে নিন,তা না হলে আবার দেরি হয়ে যাবে।

~লাবনির মাথায় কিছু আসছে না, তিশা এমন বিহেভ কেনো করছে।হঠাৎ তিশার গাড়ের দাগগুলো দেখে লাবনির মাথায় রক্ত উঠে যায়।লাবনি নাস্তা না করেই উঠে রুমে চলে যেতে নিলে সিড়িতে জিসানের সাথে দেখা হয়।

কেনো করলে আমার সাথে এমন।~লাবনি।

~আমি কি করলাম তোর সাথে।জিসান হাত দুটো পকেটে রেখে।

তুমি আর তিশা কাল.......।আর কিছু বলতে পারলো না।

~উমমম আমি আর তিশা কাল এক হয়ে গেছি।জানিস আমাদের এক হওয়ার পিছে কার হাত বেশি। একটু হেসে ----তোর।তোর কারনেই তিশা কাল আমাকে ওর মনের কথা বলে দিয়েছে,ও আমাকে ভালোবাসে।আমি সত্যি খুব খুশি,ধন্যবাদ আমার এতো বড় উপকার করার জন্য।জিসান হাসতে হাসতে নিচে চলে গেলো।

আর লাবনি দাঁতেদাঁত চেপে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো।ওর মন চাইছে ঘরের সব ভেঙ্গে ফেলতে।

~জিসান নাস্তা করে ড্রয়িংরুম এ বসে ওর কাজিনদের সাথে কথা বলছে কারন ওরা কিছুক্ষন পর চলে যাবে।
তিশা আমার ফোনটা রুমে রেখে আসছি,নিয়ে আস তো।

আমি ফোন আনতে রুমে গেলাম,ফোনটা ডেসিং টেবিলের উপর ছিলো।ফোনটা নিয়ে পেছনে ঘুরতেই দেখি লাবনি আপু দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু তাকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম,কারন তাকে দেখলেই মনে হচ্ছে খুব রাগান্বিত সে।
আপু আপনে কিছু লাগবে।

তুই কি ভেবেছিস, তুই আমার জিসানকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিবি।আর আমি চুপচাপ বসে বসে দেখবো।ভেবেছিলাম তোকে বুঝিয়ে বললে তুই ভালোয় ভালোয় চলে যাবি।কিন্তু তুইতো ওকে তোর রুপ আর শরীল দিয়ে বশে করতে চাইছিস।তা আমি হতে দেবো না।

আপু এসব কি বলছেন,আপনার মাথাতো ঠিক আছে।জিসান আমার স্বামী।আর সব থেকে বড় কথা জিসান আমাকে ভালোবাসে,তাই ওকে আমার শরীল আর রুপ দিয়ে বশে করার প্রয়োজন নেই।তাই এসব চিন্তাবাদ দিন।আর আমি সব জেনে গেছি,জিসান আমাকে সব বলে দিয়েছে।তাই আপনার কোন কথাই শুনতে চাই না আমি।

তুই বেঁচে থাকলে আমি জিসানকে কোনদিনও পাবো না।তাই তোকে আজ আমি নিজের হাতেই মেরে ফেলবো।লাবনির হাতে একটা চাকু ছিলো যা ওড়না দিয়ে ডেকে রেখেছিলো,তাই তিশা এতোক্ষন দেখতে পারেনি।এখন চাকুটা বের করে তিশার দিকে এগিয়ে আসছে।

আপু আপনে পাগল হয়ে গেছেন।আমাকে মেরেও আপনে জিসানকে পাবেন না।তাই এসব পাগলামি বন্ধ করুন।

লাবনি চাকু নিয়ে তিশার দিকে এগোচ্ছে আর হে আমি পাগল হয়ে গিয়েছি।জিসানকে ছাড়া আমি এমনেই বাঁচতে পারবো না,আমি ওকে না পেলে তোকেও পেতে দিবো না।

আপুপুপু,,আআআআআআআআ।

লাবনিকো বাধা দিতে গিয়ে তিশার হাত কেটে গেছে,আর প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে।

~আর এ দিক দিয়ে,জিসান নিশিকে রুমে পাঠালো, দেখতো তোর ভাবী রুমে কি করে,ওকে মোবাইল আনতে পাঠালাম এখনো আসছেনা কেনো।

তাই নিশি রুমে এসে দেখে তিশা ফ্লোরে বসে আছে আর হাত দিয়ে রক্ত পরছে,আর লাবনি তিশাকে মারার জন্য সামনে আবার এগিয়ে আসলে, নিশি চিৎকার দিয়ে উঠে।ভাবীইইইইই।

তাওহিদ মাত্র রুম থেকে বের হয় নিচে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কিন্তু নিশির চিৎকারে ছুটে যায়।

জিসান ও বাকি সবও শুনতে পায় তারাও ছুটে যায়।

লাবনি তিশাকে চাকুটা মারতে নিলেই তাওহিদ হাতটা ধরে ফেলে।পাগল হয়ে গিয়েছোস। চাকু ছাড় বলছি।

লাবনি হাত পা ছুটাছুটি করে তাওহিদ থেকে মুক্ত হবার জন্য।

এতোক্ষন জিসান ও বাকি সবও এসে পরে।জিসান তিশাকে দেখে দৌড়ে তিশার কাছে যায়।

জিসানকে তিশার পাশে দেখে লাবনি সামনে একটা ফুলদানি ছিলো তা তিশাকে লক্ষ করে মারলে,জিসান তিশাকে জরিয়ে ধরে ফুলদানির সামনে এসে পরে।জিসানের পিঠে আঘাত লেগে ফুলদানিটা ভেঙ্গে যায়।
জিসানও পিঠে ব্যাথা পায় কিন্তু তাতে তার কোন রিয়েক্ট নাই।

রক্ত দিয়ে ফ্লোর ভরে গেছে।অতিরিক্ত রক্ত আর ভয় পাবার কারনে তিশা অঙ্গান হয়ে যায়।জিসান সাথে সাথে তিশাকে ধরে ফেলে।তিশা,,,, এই তিশা উঠ।

তিশাকে এই অবস্থায় দেখে জিসান প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছে,ও কিছু চিন্তাও করতে পারছে না।তানজিলা এসে তিশার হাতটা কাপড় দিয়ে পেছিয়ে দেয় রক্ত বন্ধকরার জন্য।

জিসান তারাতারি ওকে হাসপাতালো নিয়ে যা।উঠ জিসান, শুনতে পাসনা কি বলছি।তা না হলে আবার দেরি হয়ে যাবে।তিশাকে উঠা।জিসানের মা চিল্লিয়ে বলছে।

জিসানের এতোক্ষন পর হুস আসলো,তিশাকে কোলে করে নিয়ে গাড়ীতে তুললো।অর্ক গাড়ী চালাচ্ছে আর জিসান হাসপাতালে ওর বন্ধু নাঈম কে বলে সব রেডি করতে বলে দিলো।হাসপাতালে যাবার সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলো।

এদিকদিয়ে বাসায় জিসানের মামা এসব শুনে হতোভম্ভ হয়ে গেলো।সবার সামনে লাবনিকে কষে এক থাপ্পর মাড়লো।লাবনি এখনো রাগে ফুলছে।কারন তিশাকে পুরোপুরি মারতে পারেনি বলে।

তাওহিদ, তানজিলা ও জিসানের বাবা মা ও এসে পড়েছে হাসপাতালে। 

~মা আমার তিশার কিছু হলে ওই লাবনিকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, কেউ না।

জিসান শান্ত হো বাবা,সব ঠিক হয়ে যাবে।

নাঈম অপারেশন রুম থেকে বের হলে জিসান দৌড়ে নাঈমের কাছে যায়।

~তিশা ঠিক আছে। প্লিস দোস্ত বল,আমার নিশ্বাস নিতে কস্ট হচ্ছে।

আরে রিলেক্স ব্রো।সব ঠিক আছে।রক্ত একটু বেশি গিয়েছে।অল্পের জন্য হাতের রগটা কেটে যায় নি।ভয়ে আর দূর্বল হয়ে অঙ্গান হয়ে পরেছে।এখন ও ঘুমিয়ে আছে।আমরা স্যালাইন দিয়ে রেখেছি।কাল সকালে নিয়ে জেতে পারবি।

জিসান নাঈমকে জরিয়ে ধরে,হইচে এবার মেয়ে মানুষের মতো কান্না বন্ধ কর।

~কান্নার জন্য মেয়ে হতে হয় না,কস্টটা বেশি হলে চেখের জল এমনেই পরে।

আরে বাহ তুই দেখি রোমিও হয়ে গিয়েছোস। তা আবার জুলিয়েট এর না তিশার।

দুবন্ধু হেসে দিলো।জিসান সবাইকে বাসায় পাঠিয়ে দিলো।আর ফোন করে রায়হানকে সব বললো।কারন রায়হান তিশার ভাই,তাই তাদেরও অধিকার আছে সব কিছু জানার।
.
.
.
চলবে...........................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন