ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ২৯ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


তিশা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,আর আল্লাহর নাম নিয়ে জিসানকে স্মরন করে চোখ বন্ধ করে ফেলে,তিশা ভাবছে আজ হয়তো ওকে রক্ষা করার জন্য কেউ আসবে না।

এদিক দিয়ে রনি শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে তিশার দিকে এগিয়ে আসে,আর ডেবিল হাসি দিয়ে বলে,এবার কে বাঁচাবে সুন্দরী তোমাকে,আজ জিসান বুঝবে আমাকে আপমান করার শাস্তি কি ভয়ানক। রনি তিশার দিকে এগিয়ে যায়। আর তিশার শাড়ীটা হাত দিতেই।জোরে একটা শব্দ হয়।রনি ভয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে একটা নয় চারটা চোখ ওর দিকে ভয়ানক ভাবে তাকিয়ে আছে।

♣জিসান ও নিলয় দুজনি বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।কিন্তু নিলয় আগে পৌছায়।কারন নিলয় জিসানের আগে বের হয়েছিলো।কিন্তু বাড়ীর ভেতরে ডুকতে পারছিলো না কারন ভেতর থেকে লক করা।আর এতো বড় দরজা ও একা ভাঙ্গতে পারছে না।কিছুক্ষন পর জিসানও এসে পরে।ওর কাছে বাড়ীর সব দরজার চাবী ছিলো।দরজা খুলে দুজনেই ভেতরে ডুকলো আর চারদিকে খুঁজতে লাগলো।এমন সময় কিছু পরার শব্দ এলো সামনের একটা রুম থেকে।দরজাটা ভেতর থেকে লাগানো আর এটার চাবী দিয়েও খুলছিলো না। তখন নিলয় আর জিসান একে অপরের দিকে তাকিয়ে শরীলের সব জোর দিয়ে দরজায় লাথি মারলে দরজার ছিটকারীটা ভেঙ্গে যায়।ওরা ঘরে প্রবেশ করে অগ্নি চোখে রনির দিকে তাকায়।পারেনা চোখ দিয়ে গিলে খাবে এখন।

♣রনি নিলয় আর জিসানকে একত্রে দেখে ভয়ে বারান্দা দিয়ে পালাতে নেয়।কিন্তু নিলয় রনির পিছনে যায় ওকে ধরতে।আর জিসান গিয়ে তিশাকে ধরে।তিশাকে নিজের কোলে মাথা রেখে ডাকতে থাকে কিন্তু তিশার কোন হুশ নাই।রায়হান ও এসে পরে। 
জিসান তিশা অঙ্গান হয়ে পরেছে ওকে ওর ঘরে নিয়ে যা।বারান্দায় শব্দ পেয়ে রায়হান ওখানে চলে যায়।গিয়ে দেখে নিলয় ইচ্ছা মতো রনিকে পিটাচ্ছে।

♠নিলয় কি করছিস..... ছাড় ওকে এখন । জিসান আসুক।নিলয়,কে অনেক কস্টে আটকাতে পেরেছে রায়হান।

♣এদিক দিয়ে জিসান তিশাকে কলে করে রুমে নিয়ে গিয়ে বিছায়নায় শুয়ে দিলো।মুখে পানি ছিটানো তে তিশা জ্ঞান ফিরে পায়।আর জ্ঞান ফিরেই তিশা পাগলের মতো ছুটাছুটি করে,ও ভাবছে রনি মনেহয় ওর সামনে।তাই ও পাগলের মতো চিল্লাতে থাকে আর হাতপা ছুটাছুটি করে।জিসান ওকে শান্ত করার চেস্টা করে কিন্তু জিসানের কোন কথায়ই জেনো তিশার কানে পৌছাচ্ছে না,জিসান তিশাকে শান্ত করার অনেক চেস্টা করে কিন্তু তিশা কিছুতই শান্ত হচ্ছে না।তাই জিসান একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।থাপ্পটা খেয়ে তিশা গালে হাত দিয়ে সামনে বসে থাকা মানুষটার দিকে থাকায়।মানুষটাকে দেখে তিশা ছলচ্ছল চোখে মানুষটার বুকের দিকে ঝাপিয়ে পরে।আর চিৎকার দিয়ে কাঁদতে থাকে।জিসান শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে তিশাকে।

তিশা এখনো ভয়ে ওর পুরো শরীলটা কাপছে।তাই তিশার মুখটা সামনে এনে দুহাত দিয়ে ধরে আশ্বাস দিলাম সব ঠিক আছে তিশা,আমি আছি তো,আর আমি থাকতে কোন ক্ষতি তোর হতে দিবো না,বিশ্বাস আছে তো আমার উপর। তিশা এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে হয়তো কিছু বলতে যাচ্ছে,কিন্তু আমি জানি ও কি বলবে,তাই ওকে বললাম আর কোন কথা না।আমি ওর কপালে ফেটে যাওয়া জায়গাটা ডেসিং করে দিলাম,একটা ব্যাথার ওষুধ এর সাথে একটা ঘুমের ওষুধ ও দিয়ে দিলাম। কারন ওর বিশ্রাম এর প্রয়োজন।যতোক্ষন জেগে থাকবে ততোক্ষনই এসব চিন্তা করে কান্না করবে।ও ঘুমানোর পর আমি ওর কপালে একটা কিস করে, ওকে রেখে রুম থেকে বের হলাম।

"রনিকে স্টোররুমে একটা চেয়ারে বেধে রেখেছে,নিলয় আর রায়হান।"

♠তুই বাসায় কি করে এলি,আর সেকেউরিটি গার্ড কোথায়।~নিলয়।

"আমি সেকেউরিটি গার্ডকে নেশা দিয়ে বেহুশ করে দিয়েছি,আর কাজের মহিলাকে মিথ্যা ফোনদিয়ে বাসা থেকে বের করেছি।আর নিজে কুড়িয়ার ম্যান হয়ে তিশার সামনে এসেছি,তাই ও চিনতে পারেনি আমায় প্রথমে।~রনি।"

♠তোর এসব করতে বুক কাপেনি।তুই জানোস জিসান কেমন তবুও। তকে এখন কে বাঁচাবে বল।~রায়হান।

♣হঠাৎ স্টোররুমের দরজা খুলে জিসান ভেতরে ডুকে।জিসানের চেহারা দিয়ে মনে হয় আগুন বের হচ্ছে,চোখমুখ সব লাল হয়ে আছে।ওর হাতে একটা হকিস্টিক।আর জিসান ওটা নিয়েই রনির দিকে এগোচ্ছে।

♠নিলয় ও রায়হান দুজনি জিসানকে দেখে ভয় পাচ্ছে।এদিক দিয়ে রায়হান ভাবছে আজ জিসানকে কন্ট্রোল করা এতো সহয হবে না।

♣জিসান স্টিকটা দিয়ে রনির হাতে পায়ে ইচ্ছা মতো আগাত করতে থাকে।রনির এক হাত আর এক পা ভেঙ্গে দেয় তবুও জেনো ওর মনে শান্তি হচ্ছে না।কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে রনি মারাই যাবে।তাই রায়হান গিয়ে জিসানকে বাধা দেয় কিন্তু জিসানকে একা ও আটকাতে পারছে না।তাই নিলয়ও এসে গিয়ে জিসানকে ধরে কিন্তু জিসান পাগলের মতো চিল্লাতে থাকে.... ওর সাহস কি করে হলো তিশার দিকে হাত দেয়া।আমি ওকে ছাড়ব না রায়হান ওকে আমি মেরেইইই ফেলবো।

♠জিসান স্টোপ, এবার থাম ভাই।ওকে ছেড়ে দে।~নিলয়।

♣আমার তিশাও নিশ্চয় ওর কাছে অনেক রিকোয়েস্ট করছে ওকে ছাড়ার জন্য, ও ছেড়েছে, আর আজ যদি সময় মতো না আসতাম তাহলে কি ও ছাড়তো বল নিলয়, আছে তোর কাছে জবাব।জিসান আবার রনিকে মারতে যায়।

♠সব বুজছি ভাই,তবুও তুই একটু শান্ত হো।জিসানকে ধরে। ~রায়হান।

রায়হান ও নিলয় কেউ জিসানকে শান্ত করতে পারছে না।হঠাৎ জিসানকে কেউ এসে ঠাসসসস করে একটা থাপ্পড় মারে ।থাপ্পর খেয়ে জিসান ও সবাই পেছনে ঘুড়ে তাকায়।

~তাওহিদ বাসা এসে বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে। তাই ও উপরে উঠতে নিলে স্টোর রুম থেকে শব্দ পায়, তাই দেখতে গেলে জিসান, রায়হান ও নিলয়ের কথা শুনতে পায়।কিন্তু জিসানকে এভাবে পাগলামো করতে দেখে ওকে শান্ত করার জন্যই থাপ্পরটা দেয়।

ভাই তুমি,তুমি কখন এলে।~জিসান।

~কখন আসছি সেটা বড় কথা না,তুই কি করছিস।

ভাইয়া আসলে ও....

~স্টোপ রায়হান আমি সব শুনেছি বাহিরে দাঁড়িয়ে। আর কিছু বলতে হবে না।নিলয় জিসানকে এখান থেকে নিয়ে যাওতো একটু।

কিন্তু ভাইয়া.....~জিসান।

~তুই যাবি নাকি থাপ্পর আরো একটা খাবি।

♠জিসান চলরে ভাই,তোর মাথা ঠান্ডা করা প্রয়োজন।নিলয় জিসানের হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেলো।

~রায়হান তুমি থাকতে জিসান এমন করলো কিভাবে।রনির কিছু হয়ে গেলে কি হবে জিসানের জানো।রনি কি কোন ছোটোখাটো ঘরের ছেলে।ওর বাবা মা যদি ভেজাল করে।

কি করবো ভাইয়া, আপনেতো জানেন,জিসানের রাগ।আমরা অনেক চেস্টা করেও আটকাতে পারিনি।~রায়হান

~আচ্ছা ঠিক আছে,আগে ওর জ্ঞান ফিরাও।
 রনির মুখে পানি মারলে রনি জ্ঞান ফিরে পায়।রনির বা হাতটা ভেঙ্গে দিছে কিম্তু ডান হাতটা এখনো অনেকটা ভালো।তাওহিদ একটা সাদা কাগজে অনেক কস্টে রনির সাইন নিয়ে ওর ফ্যামিলি কে খবর দেয়।

রনির ফ্যামিলি থেকো ওর বাবা আর ছোট ভাই আসে রনিকে নিতে।

~তাওহিদ তাদেরকে সব কিছু বলে,আর হুমকি দেয় রনির হা পা ভাঙ্গার কারনে কোন কেস যাতে না করে,তাহলে ওর শাইন করা কাগজ আর সি সি টিভি ফুটেজ দিয়ে রনিকে জেল খাটাতে তখন বাধ্য হবো আমরা।

রনির ফ্যামিলি রনির কুকর্মের জন্য লজ্জিত, তাই তারা আর কোন জামেলায় জেতে চায় না,রনিকে নিয়ে চলে যায়।

♣এদিক দিয়ে জিসান ও নিলয় ছাদে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে।তুই জানলি কিভাবে নিলয়।

আমি সারারাত জার্নি করে আজ সকালে ঢাকায় আসছি।তাই ফোন অফ করে ঘুমিয়ে ছিলাম।আমার ফোন বন্ধ পাওয়ায় আমার ফ্রেন্ড রাকিব আমার বাসায় এসে আমাকে ডাকতে থাকে, আমি খুব বিরক্তি হয়ে ঘুম থেকে উঠলাম।তার পর ও আমাকে সব বললো,কাল নাকি রনি ক্লাবে বসে ড্রিংক করছিলো, একটু বেশিই করে ফেলেছিলো মনে হয় তাই নেশায় বলে দেয় ও কি কি প্লান করেছে,আর আজ নাকি তা বাস্তবায়ন করবে।আমি শুনেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।তাই তারাতারি বের হয়ে যাই আর তকে কল করি।সত্যি কথা বলতে আমি নিজেও আজ বিষণ ভয় পেয়ে গেছিলাম।ভাবলাম হয়তো আমি দেরি করে ফেলছি।

♣তিশা খুব আবেগপ্রবণ মেয়ে।আজ কিছু হলে নিজেকে শেষ করে দিতো।হয়তো আমি ও ওকে আর বাঁচাতে পারতাম না।তোকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।তাই বলবো ও না।আমি জানি তোর মনের কোনও একটা জায়গায় তিশাকে দখল করে রেখেছিস কিন্তু সরি আমি ওকে কারো সাথে ভাগ দিতে পারবো না।

♠নিলয় জিসান এর দিকে তাকিয়ে একটু বাকা হেসে।তোর কি মনে হয় আমি তিশুকে তোর কাছ থেকে চিনিয়ে নিবো,,,,,।নিতাম যদি ও তোর গার্লফ্রেন্ড হতো,কিন্তু কারো বউকে তার কাছ থেকে নিতে চাই না,এতোটা জঘন্য না আমি।আর আমি ভালো করেই বুঝেছি তিশুকে তোর চেয়ে বেশি কেউ ভালোবাসতে পারবে না। আমিও না।
আমার তিশুর প্রতি ফিলিংসটা একটা অদ্ভুত।প্রথম দেখায় এমন ফিলিংস কেনো হলো জানি না।কিন্ত আমি ওকে খারাপ নযরে কখনো দেখি না।কিন্তু হে ওর প্রত্যেক বিপদে তুই আমাকে পাশে পাবি,তুই চাস বা না চাস।আমি ওর কাছে যাবারও চেস্টা করবো না।দূর থেকে ওর হাসি দেখেই শান্তি, তাই ব্রো আসা করবো তুই আমার ফিলিংস টাকে সম্মান করবি।

♣জিসান নিলয়ের কথাগুলো শুনে একটা মুছকি হেসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।

ওদের মাঝখানে রায়হান এসে ঢুকে পরলো।নিলয়ের হাতের সিগারেট টা নিয়ে নিজেই টানতে লাগলো।
জীবনটা প্যারময় হয়ে উঠছে, আর ভালো লাগে না।মুখে এক রাশ বিরক্ত নিয়ে কথাগুলো বলছে।আর নিলয় জিসানকেই সামলাতে আমার ধম যায়।তুই আবার মাঝখান দিয়ে কোথা থেকে আমদানি হলি বলতো।তোদের মতো পাগলের দলে আমি যে কি করি আল্লাহ জানে।

কি বল্লি, কারে পাগল বলিস তুই।এতো কিছু হবার পরও তুই কিভাবে আমাকে শান্ত থাকতে বলিস।~জিসান

শোন জিসান সব সময় এতো জিদ আর এতো রাগ ভালো না।এটা মনে রাখিস, কিছু কাজ ভেবে চিন্তেও করতে হয়।

কি বলতে চাস তুই,জিসান কিছুটা রেগে।

তুই একা না এখন, তোর সাথে ওর বোনের জীবনটাও জরিত ও তাই বলতে চাচ্ছে।~তাওহিদ

♣সবাই পিছনে ঘুরে দেখি তাওহিদ ভাই দাঁড়িয়ে আছে।তাই তিনজনেই সিগেরেটটা পেছনে লুকিয়ে ফেলি ঝগড়া বন্ধ করে। হাজার হোক উনি আমাদের বড়।

~তাওহিদ ভাই জিসানের পাশে এসে,সিগারেটটা দে....

জিসান ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে বুঝার চেস্টা করছে।

~দেখ তোরা কেউ দুধে ধোয়া তুলছি পাতা না, আমি ভালো করেই জানি,তাই এতো ভালো সাজার দরকার নাই,দে সিগারেট, মাথাটা ধরে আসছে।জিসানের থেকে সিগারেট টা নিয়ে কয়েকটা ফু দিয়ে বলছে।

তুই এখন একা না জিসান,তিশার জীবনটাও জরিতো তোর সাথে।তিশার কোন শত্রু নেই, কিন্তু তুই তিশার জন্য যে সবার সাথে শত্রুতা করছিস তা তিশার জন্যই ক্ষতি হবে।তোকে আঘাত করতে না পারল তিশাকে আঘাত করবে।কারন তিশার প্রতি তুই দূর্বল।আর এসব কারনে কোনদিন তুই হয়তো তিশাকে হারিয়ে ফেলবি।তোরি কোনও শত্রুর দাড়া।তাই বলছি ভাই মাথাটা ঠান্ডা রাখ।প্রতিশোধ নে কিন্তু কৌশলে।ডান হাত দিয়ে কাজ করলে বাম হাত জেনো না জানে।আমি জানি তুই খুব বুদ্ধিমান, তাই তোকে জ্ঞান দিতে চাই না।কিন্তু বলবো সামনে বার যা করবি বুঝে করবি।

♣জিসান মাথা নেড়ে সায় দিলো।ও ভালো করেই বুঝতে পারছে ওর ভাই ওকে কি বুঝাতে চাইছে।পরিবেশটা নিরব হয়ে পরেছে।চারজনের হাতে চারটা সিগারেট, সবাই চুপ চাপ বাতাসকে দূষিত করে নিজের কস্টটাকে ধোয়ায় উড়াতে চাচ্ছে।

ভাই ভাবি কি জানে তুমি এতো সিগেরেটখোর।~জিসান।

তাওহিদ একরাশ বিরক্ত নিয়ে,শোন জিসান সব কথা বউদের বলতে হয়না,যদি বলি মাথাটা মাথার জায়গায় থাকবে না।আর তোর ভাবী যদি জানে এ কথা আমার জীবনটা তেজপাতা বানায় ফেলবো।সো চুপ থাক।

জিসান ও রায়হান মুসকি মুসকি হাসছে।করন ওরা ভালো করেই জানে তাওহিদ ভাই কিছুটা হলেও তানজিলা ভাবীকে ভয় পায়।তাই বউয়ের ভয়ে সিগেরেটটাও খায় না বউয়ের সামনে।
.
.
.
চলবে.........................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন