ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ২১ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


আজ তিশা তারাতারি ঘুম থেকে উঠে গেলো।একটা শাড়ী নিয়ে ওয়াসরুম এ চলে গেলো শাওয়ার নেবার জন্য।শাওয়ার নিয়ে বাহিরে এসে দেখে জিসান এখনো ঘুম,এখনো কিছুটা সময় আছে বলে আর ডাক দেয়নি।তাই তিশা আয়নার সামনে গিয়ে নিজের চুলটা তোয়াল দিয়ে ঝাড়ছে যাতে চুল গুলো তারাতারি শুকিয়ে যায়।আর তখনি চুলের কিছু পানি জিসানের গায়ে পরে ঘুম ভেঙ্গে যায়।ঘুম ঘুম চোখে তিশার দিকে তাকিয়ে থাকে।

এদিক দিয়ে তিশাতো চুল ঝাড়ছে কিন্তু ওর খবরি নাই,দুটো চোখ কখন ধরে ওকে দেখছে।

পিছে ঘুরে দেখি উনি আমার দিকে কেমন নেশাভরা চোখে তাকিয়ে আছে।আমার বুঝতে বাকি রইলো না,উনার মতলোব ভালো না,কালকের মতো আজকেও না আবার,,,, না না।তার আগে ভালো আমি কেটে পরি।
তিশা তোয়ালটা নিয়ে বারান্দায় গিয়ে মেলে দিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে গেলেই জিসান সামনে এসে দাঁড়ায়।

তিশা জিসান কে দেখে একটা ঢোক গিলে,আপনে এখানে কি করেন,ওয়াসরুম ওদিকে। জান ফ্রেস ওয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিন।আমি নিচে গেলাম।

এ কথা বলে সাইড দিয়ে চলে যেতে চাইলাম,কিন্তু উনি আমার কোমড় টা ধরে একটান দিয়ে তার বুকের সাথে চেপে ধরলেন।এতে ভিজা চুলগুলো আমার মুখের সামনে এসে পরেছে।

উনি একএক করে সব গুলো চুল কানের পেছনো সরিয়ে দিলেন।প্রতিটা স্পর্শে জেনো হ্রদয়ের স্পন্দন টা বেড়ে যাচ্ছে।।কেনো জানি আজ উনার চোখে চোখ রাখতেও পারছি না,এই চোখের নেশাভরা চাওনী আমাকে মনে হয় পাগল করে দেবে।

তোকে ভিজা চুলে অসাধারণ লাগছে।মনে হয় তোর মাঝে ডুবে যাই আমি।এমন হলে নিজেকে সামলানো আমার জন্য কস্টেকর হবে।

তিশার গালে জিসান নিজের নাকটা ঘষছে, আর বলছে।গরম নিশ্বাস গুলো তিশার মুখে পরছে।

তুই আমায় পাগল করে দিবি।আমি তোর মাঝে ডুবতে চাই,দিবি আমাকে একটু ডুবতে।আমার অতৃপ্ত মন তোর ভালোবাসার জন্য বেকুল হয়ে পরছে।কি করবো আমি,কিভাবে সামলাবো নিজেকে আর।

তিশা কিছু বলে উঠার আগেই,
জিসান তিশার ঠোটটাকে নিজের ঠোটের মধ্যে নিয়ে নিলো।আর তিশা জিসানের গেনজিটা খামচি দিয়ে ধরে ফেললো।জিসানের এক হাত তিশার কোমড়ে,আরেক হাত দিয়ে তিশার চুলগুলো আঁকড়ে ধরে রেখেছে,যাতে তিশা নড়তে না পারে।এভাবে কতোক্ষন ছিলো দুজনেরি কোন খবর ছিলো না।

হঠাৎ দরজার নক শুনে তিশা জিসানকে ধাক্কা দিলো,কিন্তু জিসান এক পাও নড়লো না।আরো শক্ত করে ধরে তিশার ঠোট থেকে গালে,গলায় কিস করতে লাগলো।জিসান জেনো আজ নিজের মধ্যে নেই।

এদিক দিয়ে দরজার বাহিরে নিশি দরজা নক করছে আর ভাইয়া ভাবী বলে চিল্লাচ্ছে।

তিশা জিসানকে ছাড়াবার বৃথা চেস্টা করছে কিন্তু্ু পারছে না।

জিসান প্লিজ ছাড়ুন, নিশি দরজা নক করছে।ওর চিল্লানিতে বাড়ীর সবাই এসে পরবে।প্লিস্,,,  

তিশার কথায় জিসানের ঘোড় কাটে।জিসান গিয়ে দরজাটা খুলেই নিশিকে এক ধমক দেয়, বেচারী নিশি কিছুই বুজতে পারে না,কেনো তার ভাই তার সাথে এমন করেছে।রাগ করে চলে জেতে নিলে তিশাও পিছে পিছে যায়।

আর জিসান রাগে কটমট করে ওয়াসরুম এ চলে যায়।

জিসান ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে রেডি হচ্ছিলো,এমন সময় অর্কও তিশা তিশা করে ডাকতে এলো,রুমে এসে দেখে জিসান রেডি হচ্ছে কিন্তুু তিশা নেই।

ভাই তিশা কোথায়.....।

জিসান শার্টের বোতাম গুলো লাগাচ্ছে আর অর্ককে ইশারা করে বলছে,অর্ক আমি তোর ছোট নাকি বড়।

অফকোর্স ভাই তুমিতো আমার বড়।

তাহলে আমার বউকে নাম ধরে ডাকার কারন কি।

ভাইয়া তিশা তো আমার ছোট তাই ওকে নাম ধরে ডাকি, আর তেমন কিছু না।এতে সম্পর্ক গভীর হয়।

এমন সময় জিসান তানজিলা কে দেখতে পায়,তানজিলা তাওহিদকে চা দিয়ে নিচে যাচ্ছিল ও।

ভাবী,একটু এখানে আসবে।

বলো জিসান কিছু বলবে।

ভাবী তুমি আমার কতো বছরের ছোট।

এই কথা কেনো জিঙ্গেস করছো।

আরে বলো না,তার পর বুজবে।

এই তো দুই বছরের ছোট হবো।

কখনো তোমাকে আমি নাম ধরে ডাকছি বলো।

নাতো,,,,,।

কেনো,তুমি তো বয়সে আমার ছোট তাহলে নাম ধরে ডাকতেই পারি,এতে নাকি সম্পর্ক ভালো থাকে।

না পারো না,কারন আমি তোমার বড় ভাইয়ের বউ হই,বয়সে তুমি আমার বড় হলেও সম্পর্কে আমি তোমার বড়।তাই তোমার নাম ধরে ডাকাটা যুক্তিসঙ্গত নয়।আর সম্পর্ক ভালো রাখতে নাম ধরে ডাকার প্রয়োজন নয়,সম্মান দিলেই হয়।
আর কিছু জানার আছে তোমার।

না ভাবী, তুমি সব বলেই দিয়েছো।আশা করি অর্ক বুঝে গেছে।

অর্ক মাথা নিচে করে চলে গেলো।

আসলে ভাবী,,,,,থাক বলতে হবে না আমি বুঝে গেছি।তুমিও তারাতারি চলে আসো।

এদিক দিয়ে তিশা নিশির পিছে পিছে ওর রুমে গেলো।নিশি রুমে গিয়ে ন্যাকা কান্না করতে লাগলো।

ভাইয়া আমাকে একটুও ভালোবাসে না।

কে বলছে তেমাকে এসব কথা।

কেনো তুমি দেখোনি, শুধু শুধু আমাকে কিভাবে ধমক দিলো,আমি তো আজ তেমন কিছুই করেনি,মা বলেছে বলে তোমাদের ডাকতে গেলাম।আর ভাইয়া এ্যা এ্যা এ্যা,,,,,করে কানতে লাগলো।

আরে পাগলী তখন তোমার ভাইয়া খুব সুন্দর স্বপ দেখছিলো,কিন্তুু তোমার কারনে বেচারার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো,তাই রাগে তোমার সাথে এমন বিহেভ করেছে।
 তুমিই বলো, তুমি কোন সুন্দর স্বপ্ন দেখছো,এমন সময় কেউ এসে তোমাকে ডাকাডাকি করলে কেমন লাগবে।নিশ্চয় ভালো লাগবে না।

জানো ভাবী মা প্রায়ই এমন করে আমার সাথে,যখনি কোন সুন্দর স্বপ্ন দেখতে নি,টিক ওই সময়ে মা এসে নিশি উঠ নিশি কলেজে যাবি না বলে ডাকাডাকি করতে থাকে।আর আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়।

এই কারনেই তোমার ভাইয়ের ও খারাপ লাগছে,তাই হয়তো একটু রেগে গেছে।তুমিতো জানো উনার রাগ কেমন।একটু উন্নিশ বিশ হলেই রাগ উঠে যায়।

হুমমম ঠিক বলছো।কিন্তুু ভাইয়াকে বলবে আমাকে সরি বলতে।ওকে

ওকে ওকে ওকে।এখন চলো।সবাই বসে আছে।

আবার না তোমার হিটলার ভাই আমার উপর রেগে যায়।তাই তারাতারি চলো।

জিসান রেডি হয়ে নিচে নেমে বড়সড় ধাক্কা গেলো লাবণি কে দেখে।

লাবনি অর্কের বড় বোন।বিদেশে ছিলো এতোদিন, জিসান বলতে লাবনি পাগল।ছোটবেলা থেকেই জিসানকে ভালোবাসতো, কিন্তুু জিসান কখনওই লাবনি কে সেই নযরে দেখেনি।এক সময় ওর পাগলামি অনেক বেড়ে যায়।তাই লাবনির বাবা লাবনিকে বিদেশে ওর মামার কাছে পাঠিয়ে দেয়।কিন্তুু জিসানের বিয়ের কথা শুনে কাউকে কিছু না বলেই এখানে চলে আসে আজ।

লাবনি জিসানকে দেখতে পেয়ে কাছে আসে,কেমন আছো জিসান।

আলহামদুলিল্লাহ, তুমি কেমন আছো।আর মামা কি জানে তুমি এখানে এসেছো।

ওগুলো বাদ দেও,শুনলাম তুমি নাকি বিয়ে করেছো।(লাবনি)

হুমম,ঠিক শুনেছো।

তো সেই লাকি গার্ল টা কে,এখনো তো দেখলাম না।কোথায় লুকিয়ে রেখেছো।

তেমন কিছু না,ও হয়তো নিশির ঘরে,নিশিকে নিয়ে আসছে।

এমন সময় তিশা ও নিশি নিচে আসলো।

ভাবী তোমার জামাইকে বলো সরি বলতে।নিশি মুখ অন্য দিকে ঘুড়িয়ে কথা গুলো বলছে।

থাপ্পর চিনোস,তখনতো ধমক দিয়েছি, এখন থাপ্পর দিয়ে দাঁত ফেলে দেবো।জিসান।

নিশির মন খারাপ বলে,তিশা জিসানের কাছে এসে বলতে নিবে, সরি বলার জন্য,তখনি জিসান তিশার দিকে এমন ভাবে তাকালো বেচারী ভয়ে নিশিকে বললো,নিশি উনার তরফ থেকে আমি সরি বলছি।উনি বলা আর আমি বলা একই কথা,ঠিক না।

এখন রাগকে ঝেড়ে নিচে ফেলে দেও,খালা ঝাড়ু দিয়ে বাহিরে ফেলে দিয়ে আসবে।

তিশার এমন কথা শুনে নিশি হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে।ভাবী তুমি এমন কেনো।এই কারনেই বলি ভাইয়া তোমার উপর এমন ফিদা কেনো।

এ্যা আমি আবার কি করলাম।।(তিশা)

সেটা তুই বুজবি না,এখনোও তুই বাচ্চা তো,আগে বড় হো,তার পর সব বুঝে যাবি,বলে তিশার হাতটা ধরে লাবনির সামনে নিয়ে আসে,লাবনি এটা আমার তিশা।তিশার এক কাধে হাত রেখে তিশাকে কাছে টেনে পরিচয় করিয়ে দেয় জিসান।তিশা কিছুটা অবাক জিসান এভাবে সবার সামনে কাধে হাত রেখে জরিয়ে পরিচয় করাচ্ছে বলে।

আর তিশা উনি আমার কাজিন,অর্কের বড় বোন,আর তোমার ননদ।

ওওওপ,হায় আপু কেমন আছেন।(তিশা)

লাবনি কোন জবাব না দিয়ে, তিশাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছে।

তিশা বুঝে উঠতে পারছে না কি সমস্যা।

কিন্তু জিসান বুঝে গেছে,লাবনি কি দেখছে।

আচ্ছা লাবনি পরে কথা বলবো,এখন আমার নাস্তা করে অফিসে যেতে হবে।

তিশা তারাতারি নাস্তা রেডি করো।

জিসান চলে গেলো খাবার টেবিলে,তিশাও পিছে পিছে চলে গেলো।

তিশা জিসানকে নাস্তা বেরে দিচ্ছে, আর তাওহিদ ও জিসান কথা বলছে।

জিসান তুই অফিস সামলা আজ,আমি ফেক্টরী থেকে ঘুরে আসি,ওখানকার কাজের কি অবস্থা দেখে আসি।

ওকে ভাইয়া।

এদিক দিয়ে লাবনি জিসানের দিকে তাকিয়ে আছে,জিসান তিশার হাত ধরে নিজের পাশের চেয়ারে বসিয়ে দিলো,আর নিজেই তিশাকে নাস্তা বেরে দিচ্ছে,তা দেখে লাবনি দাঁতেদাঁত কটমট করছে।
এটা আমার অধিকার ছিলো জিসান শুধু আমার,,,,,,,মনে মনে কথা গুলো বলে চলছে।

জিসান তিশার কাছ থেকে কোট আর ব্যাগটা নিয়ে তিশার গালটা ধরে বায় বলে চলে গেলো।

আর লাবনি জিসানের যাওয়ার পথে তাকিয়ে থাকলো।

জিসান অফিসে গিয়ে সবার আগে ওর মাকে কল করলো,,,মা আমি।

হে বল বাবা,কিছু ভুলে গেছোস।

না মা,একটা কথা ছিলো।

বল,,,,।

মা তিশা......।

তোকে কিছু বলতে হবে না,আমি তিশার খেয়াল রাখবো।আর লাবনি থেকে দূরে রাখবো।তুই চিন্তা করিস না।আমি ভালো করেই বুজতে পারছি লাবনি এখানে কেনো আসছে।আমি ওর বাবাকে ফোন দেবো যতো তারাতারি পারে ওকে জাতে নিয়ে যায় এখান থেকে।

টিক বলছো মা,ও যতো তারাতারি চলে যাবে ততই ভালো আমার জন্য,তা না হলে আমার সংসার করার আগেই ঘর ভেঙ্গে যাবে।

জিসান কিছুটা রিলাক্স হলো এখন,তবুও লাবনি যতোদিন থাকবে টেনশনে থাকতে হবে।

এদিক দিয়ে তিশা সারাদিন ঘরের কাজ আর জিসানের কাজিনদের সাথে গল্প করে কেটে গেলো।ফাঁকেফাঁকে জিসানও অনেকবার কল দিয়েছে তিশার খোঁজ নেবার জন্য।
কিন্তু লাবনির সাথে তেমন কথা হলো না,তিশা বুজতে পারলো লাবনির হয়তো তাকে পছন্দ করে না।মাজে মাজে কথার ফাকো কিছু ঠেস মেরে কথা বলছে তিশাকে।তাই তিশাও আর আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যায় নি।

সন্ধ্যার পর তিশা তার ঘরেই ছিলো আর বের হয়নি।কাপড়গুলো ভাজ করছে।

জিসান এসে দেখে সবাই ড্রয়িংরুম এ কিন্তুু তিশা নেই।

নিশি তোর ভাবী কোথায়।

ভাবী রুমে ভাইয়া।।

ওকে।বলে চলে জেতে নিলে।

কিরে জিসান এসেই বউকে খুজছোস,আমাদের মনে হয় চোখে দেখস না।লাবনি।

বউটা আমার, তাই আমি খুঁজবো নাতো কে খুঁজবে।

কি যে বলো লাবনি আপু,জিসান ভাইয়াতো ভাবীকে চোখে হারায়।ভাবীকে একদিনও তার বাবার বাড়ীতে থাকতে দেয়নি।আর ভাইয়া বাসায় থাকলে তার আসে পাসে ভাবী না থাকলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয়।যেনো তিশা ভাবী ছোট বাচ্চা একা ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাবে।

সবাই হা হা করে একত্রে হেসে দিলো।

বড্ড পেকে গেছোস তুই নিশা, দাড়া তোকে বিদায় করার ব্যবস্থা করতে হবে এবার।জিসান

মুখ ভেঙ্গছিয়ে, শখ কতো,,,,। উচিৎ কথা বললেই আমি খারাপ।যাও তোমার তিশা বেবির কাছে।
আবার সবাই হেসে দিলো।

জিসান বুজতে পারছে এরা আজ জিসানকে হেস্থনেস্থ করে ছারবে তাই কিছু না বলে রুমে চলে গেলো।

জিসান রুমে গিয়ে দেখে তিশা ধোয়া কাপড়গুলো ভাজ করছে,তাই চুপিচুপি গিয়ে পেছন দিয়ে তিশার কোমড় জরিয়ে ধরলো।

তিশা প্রথমে ভয় পেলেও বুঝতে বেশিক্ষণ লাগেনি কে এটা।কারন জিসানের শরীলের এর ঘ্রানটা তিশা খুব ভালো করে চিনে গেছে এ কয়েকদিনে।

এটা কি করছেন।ছাড়ুন,,,,।দরজা খোলা কেউ এসে পরলে তখন।

কে আসবে,সবাই গল্প করছে।

ওওওও তাহলে জান আপনেও ফ্রেস হয়ে নিচে গিয়ে গল্প করুন।
 আমার তিশা যেখানে নেই আমি ওখানে গিয়ে কি করবো।কিন্তুু তুই এ সময় এখানে কেনো।

এমনেই,,,,,।ভালো লাগছিলো না।

কেনো দেখি শরীলে জ্বর আসছে নি, আরে না এমনেই।

তিশার কাধে মুখ রেখে,কি হয়েছে তিশা বল আমায়,আমি তোকে তোর থেকেও বেশি চিনি,তাই মিথ্যা কথা একদম না।

লাবনি আপু,,,,,,,!

জিসান কাধ থেকে মুখটা উঠিয়ে, লাবনি তোকে কিছু বলছে।

তেমন কিছু না,কিন্তুু আমার মনে হয় সে আমাকে পছন্দ করে না।কেমন ভাবে তাকিয়ে থাকে,আবার মাঝে মাঝে ঠেস মেরে কথা বলে।কেনো এমন করছে বুঝতে পারছি না,আমি কি তাকে জিঙ্গেস করবো।

আরে বাদ দে,ওওওও এমনি।ওকে নিয়ে এতো বেশি চিন্তা করার কিছুই নেই।এখন বল, সারাদিন আমাকে মিস করেছোস।

না তো, একদমই না,আমি কেনো আপনাকে মিস করতে যাবো।

তাই,,,,,জিসান তিশার গাড়ে একটা কামড় দিয়ে দিলো।

আউচ,,,,,রাক্ষস কোথাকার।

জামাইকে মিস না করার প্রতিদান এটা বুজলি।

হঠাৎ দরজা খুলে লাবনি ঘরে ডুকে পরে।

জিসান ও তিশা দুজনেই অপ্রস্তুত ছিলো,তাই দুজনে একটু দূরে সরে যায়।

আরে লাবনি,দরজা নক করেতে ডুকবি,এখন আর আমি একা নই।

ও সরি,আসলে ভুলে গেছিলাম।তোমার জন্য কফি আনছি।

সরি লাবনি আমি এখন চা খাই,তা ও আবার শুধু তিশার হাতের।

কিন্তু্ু তুমিতো আগে চা খেতে না।

হুমমম।কিন্তু তিশার হাতে চা ছাড়া আর কারো হাতের চা খাই না আমি।

তিশা আমার কাপড়গুলো বের করে এক কাপ চা নিয়ে আস,আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।

জিসান চলে গেলো।

আপু আপনে কস্ট করতে গেলেন কেনো।আমিই আসছিলাম,দেখুন আপনার কস্টটা বৃথা গেলো।
যাই হোক, কফিটা আমাকে দিন,আর আপনে নিচে গিয়ে সবার সাথে বসুন,উনি এখন চেন্জ করবে।

লাবনি রাগে গজগজ করতে করতে নিজের রুমে চলে গেলো।
.
.
.
চলবে.........................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন