ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ২৬ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


♣আমি নিশির সাথে আয়নির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চলে গেলাম।কিন্তু্ু সাথে করে ফোনটা নিতে ভুলে গেছি।ফোনটা আমার রুমেই রয়ে গেলো।
কিছুক্ষন পর আমি ও নিশি আয়নির বাড়ীতে পৌছালাম। আয়নির বাড়ীতে এসেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।আমি ভেবেছিলাম অনুষ্ঠানে শুধু আয়নি আর নিশির ফ্রেন্ডেরা আসবে কিন্তু এখানে নিশি আর আয়নি থেকে বড় কিছু লোকও আসছে।আর ছেলে মেয়ে এক সাথে নাচ গান করছে,যা খুবই অসহ্য লাগছে।নিশি এসব কি তুমি বললে আয়নির জন্মদিন।তাহলে এরা কারা,এরা নিশ্চয় তোমাদের ফ্রেন্ডস না, বয়সে অনেক বড় তোমাদের,তার উপর এখানে অনেক ছেলেরাও আছে,তোমার ভাইয়া জানতে পারলে আমাকে মেরেই ফেলবে।তুমি কেনো আমাকেএখানে আনলে।

ভাবী বিশ্বাস করো আমিও জানতাম না, আমি ভেবেছিলাম ও শুধু আমাদের ফ্রেন্ডেসদের ইনভাইট করেছে,কিন্তু এখানে এসে আমিও কিছুটা হতোভম্ভ তোমার মতো।আর এরা মনে হয় আয়নির ভাইয়ের বন্ধুরা,কারন এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনি।

♣যাই হোক, এখানে আমি আর এক মুহুর্তও থাকবো না,চলো বাসায় যাই।

কিম্তু ভাবী আয়নি.....

-আরে নিশি দোস্তো, কখন আসলি,আর এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো।ভেতরে চল।দেখ সবাই আসছে।আরে এটা কে তোর পিছে।

তিশা আমার ভাবী,তোকে বললাম না,জিসান ভাইয়ের বউ।

-ওওওও ভাবী,বাহিরে কেনো ভেতরে চলুন।আপনে তো সেইই সুন্দরী, নিশিতো টিকই বলছে।(আমার হাতটা ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো।)

♣নিশি তার ফ্রেন্ডসদের সাথে ব্যস্ত হয়ে পরলো।অনেকবার আয়নিকে বলতে চাইছিলো চলে যাবার জন্য,কিন্তু আয়নি কোন কথাই শুনছে না নিশির।উপায় না পেয়ে আমিও ঘরের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি।আর আল্লাহ আল্লাহ করছি,এ কোন বিপদে ফেল্লা আমায়।আমি নিশিকে এই ভিড়ে অনেকবার ডাকার চেস্টা করলাম,কিন্তু মিউজিক এতো জোরে চলছে যে,আমার গলার সুর ওর কানে পৌচাচ্ছে বলে মনে হয় না।কেনো জানি বিষন ভয় লাগছে।

♠এদিক দিয়ে জিসান, ফোনটা খুলেই তিশার ফোনে কল করছে কিন্তু তিশা কল ধরছে না।ধরবেই বা কি করে ফোনতো বাসায়।এভাবে অনেকবার কল করার পরও যখন দেখলাম তিশা ফোন ধরছে না,তখন বাসার নাম্বারে কল দিলাম।ফোনটা মা ধরলো, মা তিশা কোথায়....?

কেনো তুই জানোস না।

♠মানে, কি জানবো।

মেয়ে গুলোকে এতো করে বলে দিলাম তোকে বলে জেতে,না আর পারি না এদের নিয়ে।

♠কোথায় গেছে,আর কার সাথে।

নিশি আর তিশা, নিশির কোন বান্ধবী আয়নি আছে না,ওর নাকি জন্মদিন আজ।ওখানে গেছে দুজন।

♠কিকিকি,,,, তুমি অনুমিত কেনো দিলে।

আরে আমি কি জানি ওরা তোকে কিছু না বলে চলে গেছে।তাহলেতো জেতেই দিতাম না।

♠আচ্ছা আমি রাখি,ফোনটা রেখে নিশিকে কল করলাম,কিন্তু নিশিও কল রিসিভ করছে না,মন তো চাইতাছে দুটারে সামনে পেলে একটা আছাড় মারতার।
অলরেডি ৮টা বাজে,আর এতো রাতে মেয়ে দুটো বাহিরে ,তার উপর ফোনও রিসিভ করছে না।আজ শুধু বাসায় আসুক।তার পর দেখাচ্ছি। বলে জিসান অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় গেলো।মা মা মা.....

কি হলো জিসান।

♠ওরা আসেনি এখনো।

না রে বাবা,দুজনকেই কল করছি কিন্তু কেউ কল ধরছে না।এখন তো আমারো টেনশন হচ্ছে।

♠ওকে তুমি টেনশন করো না,আমি দেখছি বলে জিসান রুমে গেলো।ফ্রেস হওয়া দরকার আগে।ফ্রেস হয়ে কাপড় চেন্জ করার সময় তিশার ফোনটা রুমে পায়,রাগের চোটে ফোনটা আছাড় মারে।কাপড় চেন্জ করে সোজা বাহিরে চলে যায়।ড্রাইভার কে ফোন করে এডড্রেসটা নিয়ে নেয়।বিকেলে তিশা ও নিশা যে গাড়ী দিয়ে এসেছে আয়নির বাসায়।

♣এতো রাত হয়ে গেছে নিশির কোন খবর নেই।চিন্তা করতে করতে কারো সাথে ধাক্কায় হাতের জুশটা আমার শাড়ীতে পরে গেলো।

-আরে ভাবী কি হলো।~আয়নি।

♣এইতো জুশটা পরে গেছে শাড়ীতে।

ভাবী এক কাজ করো তুমি আমার রুমে গিয়ে পরিষ্কার করে নেও তা না হলে দাগ লেগে যাবে।এই শুনো ভাবীকে আমার রুমটা দেখিয়ে দেও।

♣আমাকে একজন সার্ভেন্ট আয়নির রুমটা দেখিয়ে দেয়।আমি রুমে গিয়ে শাড়ীটা ভালো করে পরিষ্কার করে নি।রুম থেকে বের হতে নিবো দেখি সামনেই কিছু মানুষ জরো হয়ে কথা বলছে,হাসাহাসি করছে আর ড্রিংকস করছে।তা দেখে আমার মেজাজ টা আরো খারাপ হয়ে গেলো।কারন যখন এসেছিলাম তখন কেউ ছিলো না,হয়তো সবাই সামনের রুমে ছিলো,এখন বের হয়ে গিয়েছে।আমি আর কিছু চিন্তা না করে শাড়ীর আচলটা দিয়ে ভালো করে নিজেকে ঢেকে তাদের পাশ কেটে চলে যেতে নিলাম।হঠাৎ করো ডাকে..দাঁড়িয়ে গেলাম কিন্তু আমার বুকটা ধকধক করছে ভয়ে।কারন এখানে আমি একা,আর সব গুলো ছেলেই ড্রিংকস করা,আমি ভয়ে ভয়ে পেছনে না ঘুরেই,জি বলুন।

★who r u?আর এখানে কি করছেন।পার্টিতো নিচে।আপনে এখানে কেনো।~নিলয়,আয়নির ভাই।

♣আসলে আ,,, মি,,,,,,একটু আমতা আমতা করে।শাড়ীতে জুশ পরেছিলো, তাই আয়নি আমাকে এখানে পাঠালো।আমি একবারের জন্যও ঘুড়লাম না।তখন ওদের মধ্যে একজন বললো।

আরে একটু সামনে ঘুড়ুন।আমরা দেখতে এতো খারাপ না,এ কথা বলই সবাই হা হা করে হেসে উঠলো।

♣আমি চলে যেতে নিলে,কেউ আমার নাম ধরে ডাক দেয়।

তিশাএএএএএএ........।

♣আমি চমকে জাই,সাথে সাথে পেছনে তাকাই।একি এতো রনি,রায়হান ভাই আর জিসানের ফ্রেন্ডস।লোকটা সেদিনও আমার কাছে সুবিধার মনে হয়নি,আর আজ তার সাথেই দেখা।খোদা.....

আরে এ দেখি তিশা,তুমি এখানে,তোমাকেই স্মরণ করছিলাম,আর তুমি দেখি সত্যিই আমার সামনে,,, আমার তো বিশ্বাস ই হচ্ছে না,একটু ছুঁয়ে দেখি।

♣রনি ভাইয়া আমার হাতটা ধরতে এলে আমি দুপা পেছনে চলে যাই।

আরে রেরে ভয় পাও কেনো।ভালোই হলো তোমাকে এখানে পেলাম,সেদিনতো কথাই বলতে পারিনি।

★মেয়েটা কে রনি,তুই চিনিস।~নিলয়।

আরে রায়হানকে চিনোস না।ওর বোন তিশাএএএএ।

★মেয়েটা অদ্ভুত সুন্দর, আর সবথেকে সুন্দর ওর চোখের চাওনী। কেমন ভাবে জেনো তাকায়,অনেকটা মায়া কাজ করে।দেখলে দেখতেই মন চায়,চোখ জেনো ফিরানো যায় না।কিন্তু দেখেই বুঝা যাচ্ছে রনিকে বিষণ ভয় পাচ্ছে, হয়তো ওর স্বভাব সম্পর্কে অবগত।
রিলেক্স ব্রো ওকে জেতে দে।আমাদের ক্লাশ মেটের বোন,তাই,,,,। আপনে জেতে পারেন।~নিলয়।

♣আমি চলে জেতে চাইলে আমার পথ আগলে রনি দাঁড়ায়। আমি বিষণ ভয় পাই।ভয়ে সেই ছেলেটার দিকে তাকাই,কারন একমাত্র তার চোখে আমি আমার জন্য কোন খারাপ কিছু দেখতে পাই নি।

★মেয়েটও অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকায়,মনে হয় চোখের ঈশারায় বলছে তাকে সেভ করতে।তার চোখের ভাষা আমি পরতে পারছি।আমি গিয়ে রনিকে সড়ে জেতে বললাম।কিন্তু রনি সরবে না।রনি কি করছিস।জেতে দে ওকে।এভাবে সিনক্রিয়েট করবি না আমার বাসায়,তোর ড্রিংকস একটু বেশি হয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়,এই জাহিদ ওকে নিয়ে যা,জাহিদ রনিকে ধরতে এলে জাহিদ কে ধাক্কা দেয়।

আই এম ওকে দোস্ত। আমার নেশা এখনো চড়েনি,জানোস ওকে প্রথম দেখার পর থেকেই কোনও নেশা কেনো জানি ধরেই না,তাই কথা বলতে দে।চলো তিশা আমার সাথে।

♣রনি আমার হাতটা ধরতে এলে আমি নিলয়ের পেছনে চলে যাই।প্লিস ভাইয়া সেভ মি,প্লিস।পারিনা কান্না করে দি।

★রিলেক্স, আমি আছি,আপনে ভয় পাবেন না।~নিলয়।

রনি নিলয় কে সরিয়ে তিশার কাছে জেতে চাইলে কেউ এসে রনিকে ঠাসসসস করে একটা চড় মারে।উপস্থিত সবাই শোকড লোকটাকে দেখে।কারন সে আর অন্য কেউ না জিসান।রনি ফ্লোরে অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পরে থাকে।কারন সে আগের থেকেই নেশাগ্রস্ত ছিলো।আর জিসানের থাপ্পড়ে আর নড়তে পারছে না।

তিশাএএএএ।~জিসান।

♣আরে এতো জিসান,আমি নিলয়ের পেছন থেকে সামনে তাকাই,মনে হয় আমার জানের মধ্যে এখন জান এসেছে।

★জিসান তুই এখানে।তুই এখানে কি করছিস।~নিলয়।
(আর তিশার সাথে কি সসম্পর্ক,,,,,মনে মনে)

♠তোর বাড়ীতে আসার আমার শখও নাই।

★তাহলে.....~নিলয়।

♠আমার একটা অমুল্য জিনিস তোর বাড়ীতে না বুজে এসে পরেছে।তাই আমার জিনিস আমি নিতে এসেছি।

জিসান আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আর আমি নিচের দিকে ভয়ে।

★কিকিকি,,,,সেটা।যা তোর ঠিকানা ভুলে আমার ঠিকানায় এসে পড়েছে।

♠আমি নিলয়ের সামনে গিয়ে তিশার হাতটা ধরে সামনে নিয়ে এলাম।মিসেস জিসান আহমেদ। তিশা আমার ওয়াইফ।আর আমি আমার ওয়াইফ কে নিতে এসেছি।

★নিলয় জেনো আকাশ থেকে পড়লো,এতোক্ষন যে মেয়ে কে নিয়ে এতো চিন্তায় মগ্ন ছিলো,সে নাকি তারই শত্রুর ওয়াইফ।

কিছুটা এটিটিউড নিয়ে জিসানকে বললো,সুন্দরী বউকে সামলিয়ে রাখতে হয়।তা না হলে বাহিরে শুকুনের অভাব নেই।কখন কি করে বসে,এর পর প্রস্তুাতে হবে।সবাই আমার মতো ভালো না।।একটু বাকা হেসে।

♠আই নো দেট,আর আমার পাখিকে নজর দেয়া এতো সহয না। জিসান তিশার হাতটা ধরে চলে জেতে নিলে।নিলয়ের কথায় আবার তাকায়।

★তাহলে পাখি আজ খাঁচা থেকে উড়লো কিভাবে।এটা অসতর্কতার লক্ষণ।পাখির খেয়াল রাখতে না পারলে বলিস আমি নিয়ে আসবো,আর খেয়ালও রাখবো।

♠জিসান কথাটার অর্থ ভাল করে বুজতে পারছে,তাই রাগে কটমট করতে করতে তিশার হাতটা শক্ত করে ধরে বাহিরে চলে এলো।

♣জিসান আমার হাতটা এমন ভাবে ধরলো মনে হয় হাতটা এখনি ছিড়ে যাবে।আমাকে টানতে টানতে গাড়ীর সামনে এনে বসিয়ে দেয়।আমি লুকিং গ্লাসে নিশিকে দেখতে পাই।এক গালে হাত দিয়ে কাঁদছে। মনে হয় জিসান ওকে ডুস দিয়ে দিছে এখন আমার টা বাকি।আমাকে আজ কি করবে আল্লাহই জানে।আমার হাত পা জেনো এখনি কাপছে।

কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা বাড়ীতে এসে পরেছি।নিশি গাড়ী থেকে নেমেই দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো।কিন্তু আমি ভয়ে গাড়ী থেকে নামতেই পারছি না।জিসান গাড়ী থেকে বের হয়ে আমার হাতটা ধরে সোজা রুমে নিয়ে গেলো।রুমে গিয়ে দেখি আমার ফোনটা আগেই ইন্তেকাল করেছে,এখন আমার বাকি।জিসান সোফায় হেলান দিয়ে বসে পড়েছে চোখ বন্ধকরে।আর আমি অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছি।

♣কার অনুমতি নিয়ে তুই বাসা থেকে বের হলি।

আ,,,মি,,,,আ,,মি,,,আপনা,,,কে, কল,,,করে,,,ছিলাম।কিন্তু ফোনটা বন্ধ ছিলো।

♠ফোন খোলার ওয়েট করলি না কেনো।

নিশি বললো,মা নাকি জেতে অনুমতি দিয়েছে।তাইইইই,,,
আমি সত্যি জানতাম না।

♠নিশির কথা বাদ দে,আমাকে বলে যাওয়া তোর উচিৎ ছিলো কিনা।
বলিসনা কেনো.....(ধমক দিয়ে)

♣জিজিজি মানেননন সরিরিরি।

ঠাসসসস,,,, জিসান শরীলের সমস্ত জোর দিয়ে থাপ্পড় টা মারে।

তাল সামলাতে না পেরে আমি গিয়ে বিছানায় পরি,তাই ব্যাথা কম পাই।কিন্তু জিসানের পাঁচটা আঙ্গুলের দাগ বসে যায় গালে।জিসান আমাকে টেনে আবার দাড় করিয়ে আমার দুবাহুকে শক্ত করে ধরে,

♠তোর সাহস কি করে হলো আমাকে না বলে বাড়ীর বাহিরে যাওয়া।জানোস আজ কি হয়ে জেতো,যদি নিলয় না থাকতো,সেই নিলয় যে আমার আর রায়হানের শত্রু কলেজ থেকে।আজ ও তোকে বাঁচিয়েছে।কেনো তুই কিছু বুঝিস না,তোর কি মনে হয়।তোকে সারাক্ষন চোখে চোখে রাখা আমার অপরাধ।আজ তোর কারনে নিলয় আমাকে কি বলেছে শুনিস নাই,আমি আমার পাখির খেয়াল রাখতে পারিনা।সত্যি কি আমি তোর খেয়াল রাখতে পারিনা বল....বলোস না কেনো।ধমক দিয়ে।

♣আমি.... কান্না জরিত কন্ঠে, আই এম সরি।প্লিস,,, , মাপ করেদিন।আমি জানতাম না এমন কিছু হবে।

জিসান রাগে তিশাকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।

আমি হয়তো তোর যোগ্যই না,তাইতো তোর খেয়াল রাখতে পারিনা।এ কথা বলে দেয়ালে একটা জোরে ঘুষি মারে।আর সাথে সাথে হাত দিয়ে রক্ত পরতে থাকো।

♣একি করলেন, আমি দৌঁড়ে গিয়ে হাতটা ধরলাম।হাতটা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।দোষ আমার ছিলো আপনে নিজেকে কেনো আঘাত করলেন,আমি একটা রুমাল নিয়ে সাথে সাথে বেধে দিলাম।উনি হাতটা ছাড়িয়ে রুম থেকে চলে গেলেন।আমি জানি অনেকটা কস্ট দিয়ে ফেলেছি আজ। আই এম সরি জিসান বলে ফ্লোরে বসে পড়লাম।
.
.
.
চলবে.........................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন