ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ৩৩ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


নিলু কথা গুলো বলে জিসান আর রায়হান এর দিকে তাকায়।তিশা আমাকে পরের দিন কল করে ভিডিও আর ম্যাসেজ এর কথা বলে,আর অনেক কান্না করে, আমি ওকে অনেক বুঝাই আর ভাইয়ার সাথে ডায়রেক্ট কথা বলতে বলি।
এর পর কি হলো জানি না,ও আমাকে কিছুই বললো না আর।এক সপ্তাহ পরই ও বাড়ী ছেড়ে চলে গেলো।তখন আমিও কিছুই জানতাম না।ও কোথায় গেছে।জানলে ওকে আমার কাছেই নিয়ে আসতাম।তিশা নিখোঁজ হবার ২ সপ্তাহ পরে একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসে।আমি কল রিসিভ করার পর জানতে পারলাম, তিশা কল করেছে।আর কল করে শুধু বলেছে ও ঠিক আছে, আর এই কথা কাউকে না বলতে।ও প্রায়ই ফোন দিয়ে সবার খোঁজ নেয়।কিন্তু ও কোথায় আছে তা বলতে চায় না।আমি অনেকবার রিকয়েস্ট করেছি।চলে আস আমার বাড়ীতে,বা কোথায় আছে বল আমি নিজে তোকে নিয়ে আসি।কিন্তু ও শুনতে নারায।নিলু এসব বলেই কান্না করতে লাগে।

~~তুই কাজটা একদম ঠিক করেসনি,নিলু।আমাদের একটাবার বলার প্রয়োজন মনে করিসনি।ও হয়তো কোনও কিছু না ভেবে এতো বড়ো একটা ডিসিশন নিয়ে নিছে,কিন্তু তোকেতো আমি অনেক বুদ্ধিমান মনে করতাম আর তুই ও....।

সরি ভাইয়া কি করবো ও আমাকে কসম দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

~~জিসানের অস্থিরতা জেনো আরো বেড়ে গেলো এতো বড় একটা ভুল কিভাবে করলাম।ওকে সব ক্লিয়ার করে বললে হয়তো এতো বর ভুল বুঝাবুঝি হতো না।জিসান আবার চেয়ার থেকে উঠে জানালার সামনে গিয়ে উপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে এক গভীর নিশ্বাস নিলো।আজও মনে আছে সে রাতের কথা।
সে দিন অনেক রাত করেই বাসায় এসেছিলাম, এসে দেখি তিশা ঘুমিয়ে আছে।কিছুটা অবাক হলাম,কারন যতোরাতই হোক তিশা আমার জন্য জেগে থাকে।আজ কি হলো।আমি ও খুব টায়ার্ড ছিলাম তাই আর ডাক দিলামনা,ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।আজ সকালে উঠতেও খুব খারাপ লাগছিলো, তাই মাথায় হাত দিয়ে বিছানায় বসে রইলাম।এমন সময় তিশা আমার দিকে চা বাড়িয়ে দিলো।

নিন চা খান,এটা এখন আপনার খুব বেশি প্রয়োজন।

~~আমি মাথা তুলে তিশার দিকে তাকালাম। আজ কেনো জানি মনে হলো,আমি অন্য কোনোও তিশাকে দেখছি।

চোখেমুখের এই অবস্থা কেনও তোর।রাতে ঘুৃম হয়নি।

তিশা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে আমার দিকে তাকিয়ে,আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উল্টা প্রশ্ন করে, আমি কাল এতো রাত কোথায় ছিলাম,এতো দেরি কেনো হলো।

~~আমি একটু অবাকই হলাম,কারন তিশা কখনো আমাকে এমন প্রশ্ন করনি।তবুও একটু হেসে ওর কথার জবাব দিলাম।

একটা মিটিং ছিলো।মিটিং টা করে বাসার দিকেই আসছিলাম।হঠাৎ কিছু পুরানো ফ্রেড দের ফোন আসে।তাই তাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে কখন যে আড্ডায় পরে গেলাম বুঝলাম না,এতো দেরি হয়ে যাবে।আমি কথা গুলো বলে তিশার দিকে তাকিয়ে দেখি ও আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।ওর চোখের পলকটাও মনে হয় পরতে দিচ্ছে না।আমার কেনো জেনো মনে হলো তিশা আমার কোনও কথাই বিশ্বাস করলো না।

তিশা আর কিছু না বলে,জিসানের অফিসের কাপড়গুলো বের করতে লাগলো।আবার প্রশ্ন ছুড়ে মারলো জিসানের দিকে,রায়হান ভাই যায়নি আপনাদের সাথে।

~~হুমমমম,রায়হাম ও ছিলো।

আচ্ছা, আপনে ফ্রেস হয়ে নিচে আসুন।আমি নাস্তা রেডি করছি।

~~এ কথাগুলো বলেই তিশা চলে গেলো,আজ ওর আবভাব ভালো লাগছে না,তাহলে কি ও কিছু জানে।নাকি বুজে গেছে আমি মিথ্যা বলছি।আমাকে সব তারাতারি টিক করতে হবে,না হলে আবার, দেরি না হয়ে যায়।
সরি জান....এই প্রথম মিথ্যা বল্লাম তোকে,কিন্তু আমি নিরুপায়। কিছু দিন মাত্র তারপর আমি সব ঠিক করে দেবো।আমি জানি সত্য জানার পর তোর রাগ অভিমান সব চলে যাবে।

রায়হানের কথায় জিসান ধ্যান ভাঙ্গলো, আর অতীত থেকে চলে আসে বর্তমানে।

~~নিলু তিশা কাদের সাথে আছে এটাতো জানিস।-রায়হান।

না ভাইয়া.....কিন্তু ও একজনের নাম নিয়েছিলো, নামটা জানি কি!,,,,নিলু মাথা চুলকিয়ে মনে করার চেস্টা করছে।ও মনে পরেছে....রুপদা।না না না... রুপকদা।
হুমমম রুপকদা। সে নাকি অনেক ভালো ওর অনেক খেয়াল রাখে।

~~জিসান রুপকদা নামটা শুনে নিলুর দিকে তেড়ে আসে,যা দেখে নিলু কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।

এই রুপকদাটা আবার কে????~জিসান।

জিসান এর মাথাটা জেনো অনেক গরম হয়ে গেছে,এই জেনে যে অন্য একটা ছেলে তিশার খেয়াল রাখছে। আর কেনো।

ভাইয়া আপনে ভুল বুঝছেন।আসলে.....মানে..।নিলু কাঁদো কাঁদো ফেস নিয়ে রায়হানের দিকে তাকায়।
রায়হান বুঝতে পারে।

~~রিলাক্স জিসান।আই থিংক, আমি রুপকদাটা কে জানি।

~~জিসান রায়হান এর দিকে জিঙ্গেসা দৃষ্টি তে তাকায়,মানে তুই চিনিস।কে এই রুপকদা, যাকে আমি চিনি না।আমি তো তোর ফ্যামিলির সবাইকেই চিনি,তাহলে....!

~~আমিও এক রুপকদা কে চিনি,আগে দেখে নি এই সেই রুপকদা কি না।নিলু তিশা যে নাম্বার দিয়ে কল দিতো সেই নাম্বার দেও।
নিলুর কাছ থেকে নাম্বারটা নিয়ে আমি আমার এক পরিচিতো একজনকে কল দিলাম নাম্বারটা রুপকদা বা তাদের কেউর কিনা।আর জানতে পারলাম এটা রুপকদার মার নাম্বার।আর এটা ওরি চেনা রুপকদা। তার মানে তিশা রুপকদার বাসায়।

~~জিসান এখন চিল্লিয়ে রায়হানকে জিঙ্গেস করছে,কে এই রুপকদা,আর ওর সাথে তিশার কি সম্পর্ক।

~~রুপকদা আমার কাজিন জিসান।বাবার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।ছোটকালে দেশের কিছু সম্পত্তির জন্য তিশার সাথে রুপকের বিয়ে দিতে চাইছিলো আমার চাচা।তারি পেক্ষিতে অনেক বড় ঝগড়া লাগে চাচার সাথে আমাদের।আব্বু রাগ করে সেখানের সব কিছু বেচে একেবারের জন্য চলে আসে এখানে।অনেক বছর ধরে তাদের সাথে কোনও যোগাযোগ নেই।আর তখন তো তিশা অনেক ছোটছিলো।এই রুপক এতো বছর পর কোথা থেকো এলো।আর তিশাই বা কি করে চিনে।উফফ মাথাটা নস্ট হয়ে যাবে আমার।মনে হয় নিজের বিয়ের আগেই মরে যাবো আমি।

রায়হানের কথায় জিসানের মন চাইতাছে, রায়হানকে দশতালার ব্লিডিংটা থেকে ফেলেদি।বনের পুরানো প্রেমিক ফিরে এসেছে সে খবর নাই,নিজের বিয়ের কথা চিন্তা করছে।তুই কি আমার সাথে ফাজলামি করছিস।
একতো ওই রুপককের কথা শুনে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে,তার উপর তোর আজাইরা কথা।একটা কথা বলতো তোর বোনকি ছোটবাচ্চা, যে ওই রুপকেই ওর খেয়াল রাখতে হবে।আর ওর সাহস কি করে হয় নিজের পুরানো প্রেমিক এর বাসায় যাওয়া,আর এখনতো উনিও সেবাও নিচ্ছে। একবার পাই সামনে ওর খেয়াল রাখা ছুটিয়ে দিচ্ছি।খুব শখ না,নেকামি করে অন্যের সেবা পাওয়া।জিসান যা মন চাচ্ছে তাই বলছে।কি যে বলছে হয়তো ও নিজেও জানে না।

স্টোপ ভাইয়া,এসব কি বলছেন।ও অসুস্থ, তাই হয়তো রুপকদা ওর একটু খেয়াল রাখছে,এতে দোষের কি।

~~তিশার অসুস্থতার কথা শুনে জিসান ও রায়হান দুজনেই নিলুর দিকে ভ্রু কুচকে জিঙ্গেস করছে, কি হইছে তিশার।

নিলু কথাটা বলেই জেনো আরো ফেসে গেলো।এখন নিজেকে নিজেই গালি দিচ্ছে।

কি হলো নিলু,কথা বলছো না কেনো।কিকিকি হইছে তিশার।~জিসান।

নিলু মাথাটা নিচা করে,তিশা যখন বাড়ী থেকে চলে যায় তখন ও পেগনেন্ট ছিলো।

কিকিকিকিকি...... জিসান,রায়হান, নিলয় তিনজনই অবাক হলো কথাটা শুনে।

কিন্তু ও জানতো না তখনোও।ও আমাকে প্রথম যেদিন ফোন দেয়,সেইদিনই বলে।ওখানে যাবার পরই তিশা খুব অসুস্থ হয়ে পরে,তখন ডক্টর ওর পেগনেন্সি টেস্ট করায়।আর রিপোর্ট পজেটিভ আসে।~নিলু একদমনে কথাগুলো বলে ফেলে।

জিসান ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়লো।নিরবে ওর চোখ দিয়ে আজ অশ্রু ঝরছে,আজ এই অশ্রু কস্টের না সুখের।ওর জেনো বিশ্বাসই হচ্ছে না,ও বাবা হতে যাচ্ছে।তিশার মধ্যে ওর একটা অংশ বেড়ে উঠছে আর ও জানেই না।এ কথা মনে পড়ে রাগে টেবিলের উপর সব জিনিসগুলো ফেলে দেয়,তবুও জেনো রাগ কমছে না।নিজের চুল নিজেই ছিড়ে ফেলতে মন চাইছে এখন।জিসান চিৎকার পেরে মাটিতে হাটুগেড়ে বসে পড়ে।রায়হান ও নিলয় দুজনেই জিসানকে শান্ত করার চেস্টা করে।

রায়হান তিশা এটা ঠিক করেনি আমার সাথে।এতো বড় একটা কথা কিভাবে পারলো আমার থেকে লুকাতে।ওর একবারও কি মনে পরেনি,ওই সন্তান ওর একার না,আমারও,তাই আমারও জানার অধিকার আছে।আমি ওকে এর জন্য মাপ করবো না রায়হান, মাপ করবো না বলেই জিসান অফিস থেকে বের হয়ে গেলো গাড়ী নিয়ে।

এদিকে নিলয় চিন্তা করছে কি হবে এখন।জিসান এমনেই তিশার প্রতি অনেক রেগে আছে,এখন তো রাগ আরো বেড়ে গেছে।তিশার অবস্থা যে কি করবে,রায়হান ও ওকে রক্ষা করতে পারবো না এবার জিসান থেকে।

এর পর নিলয় আর রায়হান নিলুকে ওর বাসায় নামিয়ে দিলো,আর ভালো করে শাসিয়ে দিলো, জাতে তিশাকে কিছু না বলে।তিশা জানলে ওখান থেকেও পালিয়ে জেতে পারে.....তাই।

চলুন তিশা যেখানে সেখান থেকে ঘুরে আসি।

তিশা সেদিন জিসানের বাড়ী ছাড়ার পর রাস্তা দিয়ে হাটছিলো আর চিন্তা করছিলো কোথায় যাবে।নিজের বাসায়ও যাওয়া যাবে না।আমার পরিবার আমার কোনও কথা শুনতে রাজি হবে না।জোর করে হলেও আমাকে শ্বশুর বাড়ী পাঠিয়ে দেবে।আর রায়হান ভাইয়াও এখন নিজের বোনকে সাপোর্ট না করে,জিসানের সাথে মিলে আমাকে মিথ্যা বলছে।না আমি নিজের বাসায় যেতে পারবো না।নিলুর বাসায় গেলেও পেয়ে যাবে আমাকে।কে আছে আমার, কার কাছে সাহায্য চাইবো।তখনি নিজের ফেসবুকটা ছেক করলাম,দেখলাম ওনলাইন এ আছে কিনা সে,এই একজন আছে যিনি বিনা স্বার্থে আমাকে সাহায্য করবে।মেসেজ দেবার সাথে সাথেই কল এলো।

হ্যালো ভাইয়া।~তিশা।

~~তিশা কি হইছে,কান্না করছো কেনো।আগে কান্না বন্ধ করো আর খুলে বলো আমাকে।

আমি তাকে খুলে বললাম,উনি সব শুনে বুঝতে পারলো আমি অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে পরেছি।এখন
যতোকিছু বলুক আমি আর শুনছি না।তাই উনি আমাকে ঠিকানা ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন।ঢাকা থেকে অনেকটা দূরে একটা গ্রামের ঠিকানা।উনি আমার জন্য বাস স্টোপে অপেক্ষা করবেন বলেছেন।আমি ও তার ঠিকানা অনুজাই একটা বাসে উঠে পড়লাম,আর পৌছাতে পৌছাতে অনেকটা রাত হয়ে যায়।যখন বাস স্টোপে এসে নামি আমার নিজেরি অনেক ভয় লাগছে,যদি সে না আসে তখন।বাসটিও কিছুক্ষন পর চলে যায়।এখনতো আরো ভয় হচ্ছে।এমন সময় একটা ছেলে বাইক নিয়ে আমার সামনে এসে দাড়ায়।

আমি ছেলেটাকে দেখে কিছুটা অবাক হই,কারন গ্রামের ছেলেরাও এতো হেন্ডসাম আর স্টাইলিশ হয় জানা ছিলো না।

তিশাশাশা ..... সে আমার দিকে তাকিয়ে আমাকে ডাকে।
রুপকদা.....!!!~তিশা।
 
রুপকদা একটু হেসে বলে,হুমমম তোর রুপকদা।

কেনো জানি তাকে দেখে আমার রায়হান ভাইয়ার কথা মনে পড়লো।

এখানেই দাড়িয়ে থাকবি,নাকি বাসায় যাবি।~রুপক

না মানে,চাচা চাচী কিছু বলবেনাতো।~তিশা।

না কিছু বলবে না,তোর জন্যই অপেক্ষা করছে সবাই।আমি সবাইকে বলেছি তুই আসবি।এখন উঠ তারাতারি।রাত হয়ে গেছে অনেক।
~রুপক।

আমি একটু হেসে তার বাইকে বসে পরলাম।

বাসায় গিয়ে দেখি সত্যি তারা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।আমাকে দেখে চাচী তো কি রেখে কি করবে দিশা পাচ্ছে না,চাচাও আগের থেকে অনেকটা ভালো হয়ে গেছে,তার সম্পর্কে অনেক কথাই শুনেছিলাম বাবা থেকে,কিন্তু বলে না, মানুষ পরিবর্তনশীল। কে কখন পরিবর্তন হয়ে যায়।বলা যায় না।এমন সময় ভেতর থেকে রুপা এসে আমাকে জরিয়ে ধরেছে।রুপা রুপকদার ছোট বোন।

আপু কেমন আছো।কতো বছর পর দেখলাম তোমাকে।তুমি আগের থেকে আরো সুন্দর হয়ে গেছো।

~~আমি ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আর তুমিও অনেক সুন্দর।

হইছে আর বকবক করতে হবে না,মেয়েটা অনেক দূর থেকে আসছে।ওকে ফ্রেস হতে দে।খাবার দিচ্ছি আমি।ওকে তোর রুমে নিয়ে যা।~রুপকের মা রুকাইয়া বেগম।

ওকে ওকে,,,,,চলো আপি।~রুপা।

রুপক আমার মনে হয় তিশার পরিবারকে বলে দেওয়া দরকার তিশা এখানে।ওরা চিন্তা করবে।~রুপকের পিতা জসিম।

না বাবা এখন না,ও একটা শর্তে এখানে আসছে।আমি জাতে ওর পরিবারকে কিছু না বলি।ও জানতে পারলে ওর বিশ্বাস ভেঙ্গে যাবে আমার প্রতি।আর এখনো টিক মতো সব জানিনা কি হইছে,মেয়েটা অনেক জিদি কিছু করে ফেলবে।
.
.
.
চলবে.......................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন