ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ৩৬ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


~~জিসান মায়ের কোলে মাথা রেখে কাঁদছে। এই একটি মাত্র জায়গা যেখানে জিসানের সব কাস্ট, দুঃখ জেনো নিমিষে দূর করতে পারে।মায়ের কোলে মাথা রেখে এক পরম সুখ পায় জিসান।
"
"
"
কি হলো বাবা তোর,কাঁদছিস কেনো।তিশার কথা মনে পরছে।দেখিস তিশা জলদি ফিরে আসবে আমার মন বলছে।ছোট মানুষ তো তাই অভিমানটা একটু বেশি।দেখিস সময়ের সাথে জ্ঞান বুদ্ধি যখন বাড়বে,এমন ছেলেমানুষি ও কমে যাবে।
"
"
"
মায়ের এসব কথায় জিসানের এবার রাগ উঠে গেলো।
মা দুদিন পর যে নিজে এক বাচ্চার মা হবে,সে নিজে কোনদিক দিয়ে বাচ্চা বলোতো।
"
"

কিসব বলছিস তুই,আমিতো কিছুই বুজতে পারছি না।
"
"

আমি বাবা হবো,আর তুমি দাদী, বুজলে।তোমার ওই বাচ্চা বউ আমার বাচ্চাকে পেটে নিয়ে পালিয়েছে।চিল্লিয়ে কথাগুলো বলছে।
"
"
"
মানে.....জিসানের মা মনে হয় সাত আসমান থেকে নিচে ধপাস করে পরছে মনে হয়।
"
"
মানে.... তিশা পেগনেন্ট ছিলো,যখন ও বাসা থেকে চলে গেছে।~জিসান।
"
"
"
ওওও আচ্ছা, তাইতো বলি,ও কিছুদিন ধরে কেমন অসুস্থ অসুস্থ লাগছিলো।আমার তখনি সন্দেহ হইছিলো তাই আমি ডক্টররের কাছে নিয়েও জেতে চাইছিলাম,কিন্তু মেয়েটি জিদ ধরলো যাবে না,এমনেই ঠিক হয়ে যাবে নাকি।
"
"
আমাকে বলোনি কেনো।~জিসান।
"
"
আমি ভাবলাম তোকে হয়তো ও বলেছে।আমি কি জানি ও এভাবে আমার নায়নাতনী নিয়ে পালাবে।কিন্তু তোকে কে বলছে।
"
"
"
সেটা জেনে কি করবে.....শুনো কাল তোমার বাচ্চা বউকে আনতে যাচ্ছি।একবার শুধু পাই সব ভিমরিতি যদি না ছুটাইছি,তাহলো আমার নামও জিসান না।আদর করে করে মাথায় উঠাইয়া ফেলছিতো।এখন বুজাবো আমি যদি মাথায় তুলতে পারি,আবার জোরে আছাড় ও মারতে পারি।
"
"
"
এ কথা বলেই জিসান ওর মার রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।রুমে গিয়েই বিছানায় হাত পা মেলে শুয়ে পরলো,আজ খুব ক্লান্ত লাগছে,হয়ত এতো দিনের অপেক্ষা শেষ হবে বলে।কতোরাত জিসান ঘুমায় নি,তা হয়তো জিসানও জানে না।চোখ বন্ধ করলেই তিশার মুখটা জেনো ভেসে উঠত।তাই সে আজ রিলেক্স হতে চায়।জিসান মনে মনে ভাবছে,রোজ নামের সেই অভিশাপ ওর জীবনে পুনরায় যদি না আসতো,তাহলে আজ জীবনটা কতোনা সুন্দর হতো তিশা আর আমাদের বেবির সাথে।ওর অস্তিত্ব ও আমিও ফিল করতে পারলাম না।আমার কিছু ভুলের কারনে আজ আমি আমার সবথেকে দামি মানুষগুলো থেকে দূরে।আমাকে তিশাকে সব খুলে বলা উচিৎ ছিলো।কেনো বললাম না সেদিন।
"
"
"
আর তিশা কেনো তুই একটু ধের্য্য ধরলি না।তোর মনে কোনও সংশয় থাকলে,সন্দেহ হলে কেনো একবার আমাকে জিঙ্গেস করলি না।আমি তোর সব সংশয় দূর করে দিতাম,তবুও তোকো জেতে দিতাম না।তোর জিসান এমন কিছু করবে তুই ভাবলি কি করে।আমার প্রতি কি একটুও বিশ্বাস রাখতে পারলি না।কেনো আমাকে আমার সন্তান থেকো দূরে রাখলি।

(স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা এমনি,এখানে লুকোচুরি যতোবেশি থাকে সন্দেহ ততোই বাড়ে।জিসান একজন প্রাপ্ত বয়সের ছেলে।জীবনের অনেক কিছুর সাথে ওর অভিঙ্ঘতা আছে।কিন্তু অপর দিক দিয়ে তিশা অর পুরো জীবটা কেটেছে,নযর ধারিতে। কখনো রায়হান বা কখনো বাবা মা,বা কখনো জিসান ওর জীবনের সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তাই নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু ভাবার প্রয়োজন পরেনি।আর যখন পরছে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।)
"
"
"
অতীত....
"
"
"
সেদিন পার্টি থেকে ফিরে এসেই খুব টেনশনে পরে গেলাম,রোজ আবার কেনো এলো।এবারও কোনও প্লান করে এসেছে মনে হয়।আমি এসব ভাবতে ভাবতে তিশার দিকে তাকালাম।ওর চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে, মেয়েটি কস্ট পাইছে, রোজের সাথে এতোটা ক্লোজ হয়ে ডান্স করাতে,অনেক প্রশ্নও মনের মধ্যে জমে আছে।কিন্তু সরি জান আমি এখন কিছুই বলতে পারবো না,আগে রোজের প্লান কি জানতে হবে।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।কিন্তু রাত ৩ টায় হঠাৎ কেউ কল দিলো।আমি টাইমটা দেখে ফোনটা রিসিভ করলাম।
"
"
"
হ্যালো~জিসান।
"
"
নিশ্চুপ....
"
"
কথা না বলতে চাইলে ফোন কেন করেন,এতোরাতে।যতোসব আজাইরা লোক বলে ফোনটা কাটতে নিলাম,আর তখনি কেউ হ্যালো বললো।আমি খুব ভালো করে চিন্তে পারলাম ফোনের অপর পাশের এই হ্যালোর মালিক কে।আমি একবার তিশার দিকে তাকালাম।ও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তাই আমি বারান্দায় চলে গেলাম।
"
"
হে বলো, কেনো কল করেছো এতো রাতে।
"
"
কেনো আবার তোমাকে আমার চাই,তুমিতো খুব ভালো করে জানোই আমার কোন জিনিস পছন্দ হলে এতো সহযে ছাড়ি না,তা যেভাবেই হোক হাছিল করে নি।
"
"
আমি কোন জিনিস না রোজ,আমি মানুষ।সেটা তোমার ভাবা উচিৎ। এতো কিছু করার পরও শান্তি হওনি,আবার আসছো আমার জীবনে ঝড় আনতে।কেনো এলে....
"
"
কি করবো জান, আমার রাজ্যের রাজা এখানে আর আমি ওখানে থেকে কি করবো।তাই রানী নিজেই রাজাকে আপন করে নিতে আসছে।
"
"
রোজ,আমি রাজা কিনা জানি না,কিন্তু এতোটুকু বলবো আমার কোনো রানীর প্রয়োজন নেই।কারন আমার কাছে এক মায়াবী ঘুমন্ত পরী আছে।যার দিকে তাকিয়ে আমি সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবো।(জিসান বারান্দা থেকে তিশার দিকে তাকিয়ে কথাটা বলছে)
তাই বলছি নিজেও ভালো থাকো,আর আমাকেও ভালো থাকতে দেও।

ফোন কেটে দিয়ে,আমার ঘুমন্ত পরিটার দিকে চেয়ে আছি।তকে দেখলেই আমার অশান্ত মনটা কেমন শান্ত হয়ে যায়।কি যে যাদু জানিস তুই,আল্লাহই জানে।জিসান একটু মুসকি হাসি দিয়ে তিশাকে টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
"
"
"
সেরাত তিশা জিসানের বুকের উপর ঘুমিয়ে ছিলো।কিন্তু তিশা গভীর ঘুমে ছিলো বলে কিছুই জানতে পারনি।সকালে জিসান তিশা ঘুম থেকে উঠার আগেই চলে জেতে হইছে।কাজের চাপ বেশি ছিলো বলে।তিশাকে খুব ক্লান্ত লাগছিলো কাল,তাই জিসানও আর ডাক দেয়নি।তিশার কপালে একটু ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে গেলো।
"
"
"
রোজ এর কারনে জিসান এমনেই টেনশনে, তার উপর এই ডিলের দায়িত্ব রোজের, তাই জিসান চায় না,রোজ ডিল ক্যান্সাল করার বাহানা পাক।কিন্তু রোজ তো ছিলো বেহাইয়া টাইপের মেয়ে।প্রতিদিন জিসানের সাথে দেখা করতে আসতো,কাজের বাহানা দিয়ে।জিসান বেচারা কিছু বলতেও পারতো না।আর রোজকে সহ্য ও করতে পারছিলো না।
"
"
রোজ একদিন জিসানকে জোর করে এক হোটেলে নিয়ে গেলো ডিনার করবে বলে। 
"
"
রোজ আমাকে এখানে কেনো এনেছো।আরো অনেক রেস্টুরেন্ট আছে,আমার ওখানে জেতে পারি।
'
"
না আমি এখানেই ডিনার করবো, সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত।তাই চুপচাপ ডিনার করো।তার পর বাসায় চলে জেও।আমি কিছু বলবো না।
"
"
কিন্তু জিসানের কিছুটা সন্দেহ হলো।কারন রোজকে ও খুব ভালো করে চিনে।কারন ছাড়া কিছুই করে না।তাই রোজের নযর এড়িয়ে জিসান রায়হান কে কল দিয়ে আসতে বললো।
"
"
রাহয়ান এসে জিসানকে পেলো না,অনেকবার কলও দিলো কিন্তু জিসানের ফোন বন্ধ।রায়হান বুজতে পারছে,রোজ কিছু একটা করেছে।তাই রায়হান নিলয়কে কল দিলো।কিছুক্ষনের মধ্যে নিলয়ও চলে আসলো।নিলয়েরও অনেক ক্ষমতা আছে।ও একজন নামীদামী বিজনেস ম্যান। তাই ম্যানেজার এর সাথে কথা বলে হোটেলের সব সি সি টিভি ফুটেজ চেক করা শুরু করলো।আর পেয়েও গেলো।
"
"
জিসানকে রোজ হোটেলের একটা রুমে নিয়ে যাচ্ছে।জিসানকে দেখে বুজাই যাচ্ছে,জিসান জিসানের মধ্যে নেই।
"
"
রোজ ডিনারের সময় জিসানে জুসে কিছু নেশা জাতীয় মিক্সড করে দেওয়ার জন্যও আগেই ওয়েটারকে বলে রেখেছিলো।ওয়েটার টাকার লোভে তাই করলো।জিসান জুসটা কিছুটা খেয়েছে।খাওয়া কিছুক্ষন পরই মাথা ঘুড়াতে লাগলো।চিন্তা চেতনা লোপ পাচ্ছে জিসানের।ভাগ্যিস জুস পুরোটা খায়নি।তাই এখনো কিছুটা স্বাভাবিক রাখার জন্য চেস্টা করছে নিজেকে।
রোজ জিসানের হাত ধরে হোটলের রুমে নিয়ে হেলো।এই রুমটা রোজ মিস্টার & মিসেস জিসান আহমেদ নামে বুক করে আগেই রেখেছিলো।
"
"
"
জিসানকো রুমে নিয়ে রোজ এলোপাথাড়ি কিস করতে থাকে।কিন্তু জিসানের যেহেতু কিছুটা সেনস এখনো আছে,তাই ও বুজতে পারছে ওর সাথে কিছু একটা হচ্ছে।তাই জিসান রোজকে জোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।আর নিজেও বেড এ পরে যায়।কিন্তু জিসান বুজতে পারছে নিজের উপর কোন্ট্রল আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলছে।নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না।জিসান বেড থেকে উঠে জেতে চাইলে,রোজ এসে বাধা দেয়।জিসানকে আবার ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দেয়। নিজেও জিসানের উপর উঠে জিসানের সার্ট খুলতে থাকে।
"
"
"
তুমি কি ভেবেছো জিসান তোমাকে ছেড়ে দেবো।আজ আমি তোমাকে আপন করেই নেবো।আজ তো তুমিও নিজেকে আটকাতে পারবে না আমাকে আদর করতে।
এসব বলছে আর একটা পৈছাশিক হাসি দিচ্ছে।
রোজ সার্টটা খুলে জিসানের বুকে কয়েকটা কিস করলো।জিসান বাধা দিতে গিয়েও বাধা দিতে পারছে না।

এদিকদিয়ে রোজ জিসানের আরো ক্লোজ জেতে নিলেই কেউ দরজা খুলে ভেতরে আসে।রোজ তাকিয়ে দেখে,দরজায় রায়হান ও নিলয় দাঁড়িয়ে আছে।অগ্নিময় চোখে রোজ এর দিকে তাকিয়ে আছে।রায়হান রোজকে ধাক্কা দিয়ে জিসান থেকে সরিয়ে ফেললো।রোজ ফ্লোরে গিয়ে পরলো।তখন নিলয় রোজকে টেনে দাঁড় করিয়ে কষে একটা চর মারে।
"
"
"
এই তুই কি সত্যি একটা মেয়ে।একটা মেয়ে এতোটা নির্লজ্জ কিভাবে হতে পারে।বলতো.....।ছি:....। আমার তোকে দেখে নিজেরি লজ্জা করছে,তোর মতো মেয়ে আমার ক্লাসমেট ছিলো।তুই মেয়ে নামে কলঙ্ক।
"
"
"
এর পর রায়হান ও নিলয় জিসানকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে গেলে,ওকে স্বাভাবিক করতে।কয়েক ঘন্টা জিসান হসপিটালে ছিলো। একটু স্বাভাবিক হলেই জিসান বাসায় চলে আসে।সে রাতে তাই জিসান অনেক রাতে বাসায় আসে।ডক্টর রাতটা এখানেই থাকতে বলেছিলো।কিন্তু জিসান থাকতে রাজি হয়নি।তাই নিলয় ও রায়হান বাধ্য হয়েই জিসানকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে যায়।
"
"
"
সেদিন ঐরুমেও একটা ক্যামেরা লাগানো ছিলো।জিসানকে পরে ব্লাকম্যাল করার জন্যই ক্যামেরা লাগিয়ে ছিলো রোজ।কিন্তু ওর প্লান নস্ট হওয়ায় ও নতুন প্লান করলো।তাই ভিডিওটা কিছুটা এডিট করে তিশাকে পাঠিয়ে দিলো।
"
"
!
এ ছিলো জিসান ও তিশার বিচ্ছেদ হবার মুল করণ।
"
"
"
কিন্তু এই ভিডিও দেখার পরও তিশা জিসানকে সেদিনই ছেড়ে যায়নি,হয়তো জিসানের প্রতি ওর ভালোবাসার গভীরতাও বেশি ছিলো।তাইতো ওর বিশ্বাস করতে কস্ট হচ্ছিলো। জিসানকে বার বার জিঙ্গেস করতে চাইছিলো কি সত্য কি মিত্যা।কিন্তু পারনি। কোন না কোন কারনে।এক সময় ধৈর্যেরবান ভেঙ্গে পরে,ভালোবাসা আর সন্দেহ এর মধ্যে সন্দেহ জিতে যায়।
"
"বর্তমান.....
"
"
এসব ভাবতে ভাবতে জিসানের ও চোখ লেগে গেলো।
এ জেনো কতো বছরের শান্তির ঘুম।
জিসান আজই জেতে চাইছিলো তিশাকে আনতে,কিন্তু রাহয়ান নিশেধ করলো।কারন রুপকের গ্রামের ঠিকানা রায়হান ও জানে না।ও আজ ঠিকানা বের করে কাল সকালে যাওয়াই ভালো মনে করলো।আজ জেতে জেতে অনেক রাত হয়ে যাবে।জিসানকে অনেক কস্টে আটকাতে পারছে।
"
"
"
এদিক দিয়ে তিশার মনটা সকাল থেকেই বিচলিত করছে।নিলুর সাথেও তেমন কথা বলতে পারেনি।ক্লাসে ছিলো বলে।এরপর থেকেই ওর কিছুই ভালো লাগছে না।কেনো জানি মনটা আজ জিসানের জন্য ছটপট একটু বেশিই করছে।এমনতো না জিসানকে এতোদিন মনে পরেনি।মানুষটি কে ভুলতেই পারিনি,তাহলে না মনে করার কি আছে।কিন্তু আজ তাকে দেখতে খুব মন চাচ্ছে।কাল যদি আমি না বাঁচি তাহলে হয়তো মানুষটি কে না দেখেই চলে যেতে হবে।একটি বার তাকে দেখতে চাই।আল্লাহ কি আমার আশাটা পূরন করবে।
"
"
"
কিরে এতো কি চিন্তা করিস।~রুপকদা।
"
"
"
কিছুনা,কিন্তু তুমি এই সময় বাসায় কি করো।~তিশা।
"
"
"
এইতো হিসেবের খাতা টা বাসায় রেখে গেছি সকালে।তাই বাকি কাজ গুলো করতে পারিনি।কি আর করবো চলে আসলাম বাসায়।তুই বল তোর টোনাটুনি কেমন আছে।তোকে বেশি ঝালাচ্ছে না তো।রুপক তিশার পেটে হাত রেখে বলছে.....এই আমার টোনাটুনি তিশা মাকে বেশি জালিও না,তা হলে কিন্তু আমি তোমাকে একটুও আদর করবো না,আরতো মাত্র কিছুদিন।তার পরতো তোমার মামা বিশ্রাম করবে,আর আমরা গল্প করবো,খেলবো।কি বলো।এই মামুর সাথে খেলবে।
"
"
"
রুপকদা আমার কিছু হয়ে গেলে আমার সন্তানকে ওর বাবার কাছে দিয়ে দিও।আমি হয়তো জিসানকে শেষ দেখাও দেখতে পারবো না।জানি না কাল ভাগ্যে কি আছে।কিন্তু আমার সন্তানটাকে বাঁচিও। কোন সমস্যা হলে ডক্টর হয়তো আমাকে বাঁচাবার চেস্টা করবে।কিন্তু তুমি আমার সন্তানকে বাঁচাবার জন্য বলবে।
"
"
"
তুই এসব কেনো বলছিস।আল্লাহর উপর ভরসা রাখ।আল্লাহ সব ঠিক করে দেবে।আর আমার মনে হয় এখন জিসানকে জানানো দরকার সব।এই বাচ্চার উপর ওরও সমান অধিকার আছে।আমি বলি কি,তুই জিসানকে একটা কল করে দেখ ও কি বলে।
"
"
"
অনেক বার কল দিতে চাইছিলাম,কিন্তু সাহসি হয়নি আর।কে জানি কেমন রিয়েক্ট করে।
"
"
"
ভালোবাসিস ওকে,,,,,~রুপকদা।
"
"
"
কালও ভালোবেসে ছিলাম,আজও ভালোবাসি।কাল যদি বেঁচে থাকি ভালোবেসে যাবো।উনার প্রতি ভালোবাসা কখনো কম হয়নি আর হবেও না।শুধু কিছুটা রাগ তার উপর এর চেয়ে বেশি কিছু না।
"
"
পরের দিন......

আজ জিসান ও রায়হান রওনা দিলো তিশাকে আনতে।
দু পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছে জিসানদের বাসায়।

আর এদিক দিয়ে তিশা ঘুম থেকে উঠার পরই ওর শরীল টা ঠিক লাগছে না,মনটাও বিচলিত করছে।ঠিকমতো খাবারও খায়নি।সকালে ২ বার বমিও করছে।শরীল দূর্বল তবুও পায়চারি করছে ঘরে।কেনো তার এমন লাগছে ও নিজেও জানে না।কেনো জানি হারানোর একটা ভয় কাজ করছে।তিশা মনে মনে ভাবছে বাড়ীর সবাই ঠিক আছে তো।মা-বাবা,রায়হান ভাই,জিসান......এরা সবাই ঠিক আছে।আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখো।তিশা এসব ভাবতে ভাবতে হেটে ঘরের বাহিরে জেতে নিলেই মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে,মাথাটা ঘুড়িয়ে পরে জেতে নিলে দরজার পর্দাটা ধরে ফেলে তিশা কিন্তু তিশার ভার পর্দা টা নিতে না পাড়ায় ছিড়ে নিচে পরে যায় তিশা।আর ব্যাথাও পায় ভালো।
হঠাৎ কিছুর শব্দে রুপা দেখতে আসে কি পরেছে।এসে দেখে তিশা ফ্লোরে পরে আছে বেহুশ হয়ে।রুপা তিশা আপুওওওও..... বলে চিৎকার করে।ঘরের সবাই চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে।রুপক তিশাকে এই অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যায়।তারাতারি তিশাকে পাজা কোলে নিয়ে গাড়ীতে বসে সবাই হসপিটালের জন্য।গাড়ীতে ওর হাত পা ঢলে গরম করার চেস্টা করছে।কারন কেমন ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তিশা।
.
.
.
চলবে.......................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন