রুপক হসপিটালে বসে আছে।পাশে ওর বাবা মা,সুরভী ও রুপাও আছে।সবাই ডক্টর এর জন্য অপেক্ষা করছে।ডক্টর এখনো কিছু জানায়নি।তাই খুব টেনশনে আছে।কালও তো মেয়েটা ভালোই ছিলো।আজ কি থেকে কি হয়ে গেলো।
"
"
"
রুপক আমার মনে হয় তিশার পরিবারকে এখন বলা উচিৎ। আবার দেরি না হয়ে যায়।রুকাইয়া বেগম।
"
"
"
হুমমম ঠিক বলছো,মা।আমি খবর দিচ্ছি এখনেই।
এমন সময় ডক্টর এলো।
"
"
"
তিশা ঠিক আছে ডক্টর।দেখুন আমি আগেই বলেছি,পেসেন্ট এর অবস্থা এমনেই ভালো ছিলো না।তার উপর এমন এক্সিডেন্ট।পেসেন্ট এর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।তাই আমরা আর দেরি না করে তার সিজারিয়ান করতে চাইছি।এমনেই পেসেন্ট এর জন্য রিস্ক আর রিস্ক নেওয়া ঠিক হবেনা।আর পেসেন্ট এর হাসবেন্ড কই।আমাদের কিছু কাগজে সাইন লাগবে।আর তাকে বলতে হবে আমরা কাকে বাঁচাবো। আমরা মা এবং বেবি দুজনকেই বাঁচাবার চেস্টা করবো।কিন্তু সেটা মুশকিল।তাই পেসেন্ট এর হাসবেন্ড এর সাথে কথা বলা জরুরী।
প্লিস তারাতারি করুন।আমাদের হাতে একদমই সময় নেই।আমরা কি করবো বলুন।
আমরা কাকে বাঁচাবো।
"
"
"
রুপক পেপারগুলো হাতে নিয়ে কিছু বলতে যাবে....তার আগেই।
"
"
"
তিশাকে......তিশাকে বাঁচান।বাচ্চা না বাঁচলেও চলবে।যদি কোনদিন বাচ্চা না হয় তাহলেও চলবে,আমার শুধু তিশা চাই।আপনে বুজতে পারছেন ডক্টর।
"
"
কে আপনে....পেসেন্ট এর কি হন।
"
"
আমি পেসেন্ট এর হাসবেন্ড, আর আমার কথাই ফাইনাল।রুপকের কাছ থেকে পেপারগুলো নিয়ে সাথে সাথে সিগনেচার করে দিয়ে দেয়।আমার ওয়াইফের কিছু হলে আমি কিন্তু কাউকে ছাড়বো না।জিসানের চোখগুলো লাল হয়ে গিয়েছে।ডক্টর নিজে ও কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো জিসানকে দেখে।
দেখুন আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেস্টা করবো,বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।আপনারা আল্লাহর কাছে দোয়া করুন,কারন বাঁচানোর মালিক তিনি।আপনারা রক্তের ব্যবস্থা করুন,আমরা অপারেশন শুরু করছি।
"
"
"
রুপক আশ্চর্য হয়ে জিসানকে দেখছে।জিসানের চেহারা বলে দিচ্ছে ওর ভেতরের যন্ত্রনা।আর তিশাকে হারাবার ভয়।জিসানকে দেখেই রুপক চিন্তে পেরেছে।তিশার কাছে জিসানের অনেক ছবি ছিলো,যা প্রতি রাতে তিশা বিছানার এক পাশে রেখে ঘুমাতো।এতে নাকি জিসানের পাশে থাকার অনুভূতি হতো।কি অদ্ভুত ভালোবাসা।
"
"
"
ভেতরটা পুরে ছাড়খাড় হয়ে যাচ্ছে,সব কিছু পেয়েও জেনো সব হারিয়ে ফেললাম মনে হয়।দাঁড়িয়ে থাকার মতো শক্তিও জেনো পাচ্ছি না।হঠাৎ করে পরে জেতে নিলাম।~জিসান।
"
"
"
জিসানকে দেখেই বুজা যাচ্ছে ও আর সহ্য করতে পারছে না।ও পরে জেতে নিলো।আমি আর রায়হান ওকে ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিলাম।আর আমিও পাশে বসলাম।আল্লাহ কে ডাকো জিসান।আল্লাহ চাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে।তোমাকে একটি বার দেখার জন্য কাল থেকে খুব ছটফট করছিলো মেয়েটা।তখন বুজতে পারিনি কেনো।এখন বুজলাম......।~রুপক।
"
"
"
জিসান শুধু শুনছে, কিন্তু কোনও কথা বলছে না,চোখ গুলো শুকিয়ে গেছে।মনে হয় চোখগুলো অনেকটা বেঈমান হয়ে পরেছে।তাইতো আজ এই কঠিন সময়ও কোন জল দেখা যাচ্ছে না।
"
"
"
এতোক্ষন এ তিশা ও জিসানের পরিবার ও এসে পরেছে।খবর পেয়ে জিসানের ডক্টর ফ্রেন্ড নাঈম দেশের বেস্ট গাইনি ডক্টর কে সাথে করে এসে ওটিতে চলে গেলো।কারন রাস্তা থাকা অবস্থায়ই তিশার ডক্টর এর সাথে কথা বলেছে তারা।
"
"
"
ওটির বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে সবাই।সবার চিন্তা হচ্ছে।আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছে।
"
"
"
জিসানের মার সব থেকে বেশি চিন্তিত। কারন উনি ভালো করে জানে তিশার কিছু হলো ছেলেকেও হারাতে হবে।এবার আর ছেলেকে হয়তো বাঁচাতে পারবে না।এসব চিন্তা করতে করতে পেসার লো হয়ে যাচ্ছে তার।
"
"
"
তিসাকে রক্ত রুপক আর নিলয় দিয়েছে।দুজনের রক্তের গ্রুপ মেচ হয়ে গিয়েছিলো।তাই আর খুঁজতে হয়নি।
"
"
"
সবাই নিশ্চুপ।ঠিক তখনি কারো কান্নার শব্দ পাওয়া গেলো।সবাই ওটির দিকে তাকালো।একটা নার্স একটা সাদা কাপড়ে একটা বাচ্চাকে পেচিয়ে বের হলো।বাচ্চাটিকে সবার সামনে এনে বললো।পেসেন্ট একটি ছেলে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে।সবাই বাচ্চাকে দেখে স্থব্ধ হয়ে গেলো।ঠিক জেনো জিসান।জিসানের মা সবার প্রথমে বাচ্চাটিকে কোলে নিলো।এর পর সবাই নিতে চাইলে, নার্স বাধা দেয়।কারন বেবিটার কিছুটা সমস্যা আছে তাই বেবিকে কিছুদিন আইসিইড কেয়ারে রাখা হবে।কারন বেবিটা প্রি-ম্যাচিওর,সময়ের আগেই চলে এসেছে।তাই বেবি কে নার্স নিয়ে চলে গেলো।কিন্তু জিসানের কোন রিয়েকশন নেই।একটি বারও বাচ্চার দিকে তাকায়নি।মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।চিন্তা শুধু এক জায়গায় এসে শেষ হচ্ছে.... তিশা।
"
"
"
কিছুক্ষন পর ওটি থেকে নাঈম ও বের হয়ে এলো।নাঈমকে দেখে জিসান দৌড়ে ওর কাছে গেলো।কিন্তু কিছু জিঙ্গেস করার সাহস জেনো পাচ্ছিলো না।গলা থেকে কথা বের হচ্ছে না।গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে।
কিন্তু নাঈম বুজতে পারে।সামনে এসে জিসানের কাধে হাত রেখে....তিশা আপাতোতো আশংকা মুক্ত।কিন্তু তবুও জ্ঞান ফিরা না পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছিনা।কিছুক্ষন পর কেবিনে সিফট করছি তুই দেখতে পারবি।
"
"
"
তিশার হাতটা ধরে বসে আছে।কিছুক্ষন আগেই তিশাকে কেবিনে সিফট করা হলো।জিসানও সাথে সাথে এলো কেবিনে,জিসানের কাছে মনে হচ্ছে কতো যুগ পরে আজ তিশাকে দেখতে পেলো।তিশাকে ছাড়া একএকটা দিন বছরের মতো লেগেছিলো জিসানের।তিশার পাশে বসে একটা গভীর কিস দিলো কপালে।এতোদিন পরে জিসানের প্রাণ টা জেনো নিজের হাতে পেলো মনে হয়।কিস করতে গিয়ে দুফোটা চোখের জল তিশার গালে পরলো।তিশা বেহুশ, এখনো জ্ঞান ফিরে নাই।তাই হয়তো জিসানের এই কস্টটা দেখতে পায়নি। আর তখন থেকেই তিশার হাতটা ধরে এমন ভাবে বসে আছে মনে হয় ছেড়ে দিলেই আবার তিশাকে হারিয়ে ফেলবে।তিশার হাতে নিজের কপাল রেখে, এবার উঠ 'জান' আর কস্ট দিছনা আমায়।আমি যে আর সইতে পারছি না।আমার ভেতরটা পুরে যাচ্ছে।প্লিস তিশা উঠ।তুই ছাড়া যে আমি শুন্য.......।প্লিস!!!!
"
"
"
জিসানকে ছাড়া আর কাউকে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমিত নেই।তাই সবাই বাহিরে থেকেই আয়না দিয়ে তিশাকে দেখছে।
"
"
"রুপক হসপিটালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।নিজেকে দোষী লাগছে তার।কারন সে তিশার খেয়াল রাখতে পারেনি ভালো মতো।যদি রাখতো তাহলে তিশার আজ এ অবস্থা হতো না।এমন সময় রায়হান পাশে দাঁড়ালো।তিশা তোদের কাছে ছিলো এ কথা আমাদের কি একবার বলা উচিৎ ছিলো না।
"
"
"
না, প্রয়োজন মনে করেনি।~রুপক।
"
"
"
মানে,,,,এটা কেমন কথা বলছিস।তিশা আমার বোন, আমাদের জানার অধিকার আছে।
"
"
"
অধিকার!ঠিক বলেছিস তোরা ওর উপর শুধু অধিকারই খাটাস।ওর নিজের ভালো বন্ধ কখনো জানতে চাসনি।তাইতো ওর এমন কস্টের সময় ও তোকো স্মরন না করে আমাকে করেছে।ভাবতে পারোস।আমি কে ওর!!!আরে এতো বছর ধরে ওর সাথে দেখা পর্যন্ত হয়নি।কিন্তু সে দিন ওর সবথেকে চরম বিপদে আমাকে মনে করেছে।তার সাথে আমাকে কসম দিয়েছে কাউকে বলতে না।তুই বল,যে মেয়ে ওর সব আপমজনকে ত্যাগ করে আমাকে বিশ্বাস করেছে তার বিশ্বাস কেমনে ভঙ্গ করি।আর তুইতো ওর ভাই এতো সামনে থেকে ওর কস্টগুলো কেনো বুঝিসনি।নাকি বন্ধুর হাতে বোনকে তুলে দিয়ে নিজের সব কর্তব্য শেষ বলে মনে করেছিস।~রুপক।
"
"
"
এমন কিছুই না,তিশা আমার কলিজা।আমি ওকে কস্টে দেখতে পারবো না কোনদিন।ছোটকাল থেকে আগলে রেখেছি সব কিছু থেকে।সামান্য ভুল বুঝাবুঝিতে ও এমন কাজ করবে ভাবতেও পারিনি।একটা দিন শুধু অপেক্ষা করতো ও সব সত্য জানতে পারতো।কিন্তু ও বোকার মতো এমন কাজ করবে,আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।
"
"
"
ও বোকা না রায়হান।ও ইমোশনাল টাইপ মেয়ে,তোদের বুজা উচিৎ ছিলো।জিসানকে খুব বেশি ভালোবাসে,ওকে ছেড়ে এসে তিশাও খুব সুখী ছিলো না।প্রতি রাতে ওর কান্নার শব্দ পেয়েছি আমরা।হাসতে ভুলে গিয়েছিলো মেয়েটা জানোস, কতো কস্টে ওকে স্বাভাবিক করেছি।
"
"
আমি ওকে চিনি, কিন্তু জিসান ওকে ধোকা দেয় নি।এর পর সব কিছু রায়হান খুলে বলে রুপককে।
"
"
রুপক সব শুনে,আমিও বুজতে পেরেছিলাম কোথাও কোনো গন্ডগোল আছে।তিশার বুজার সমস্যা আছে।কিন্তু ওকে বললে আরো বেশি টেনশন করে।কান্নাকাটি করে।তাই সব আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছি।
'
"
দুজনেই নিরব।আসলে বলার কিছু নাই এখন আর।
"
"
প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর আমার ঙ্গান ফিরেছ।আর চোখ খুলে দেখি কেউ আমার হাতটা শক্ত করে ধরে হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে।আমার বুজতে সময় লাগলো না এটা আর কেউনা আমার জিসান।আমি আস্তে করে আমার হাতটা সরাতে চাইলাম কিন্তু আমার হাত নাড়ার সাথে সাথে জিসান ঘুম ঘুম চোখে আমার দিকে তাকালো।দেখে বুঝাই যাচ্ছে সাহেব আমার অনেকরাত ঘুমায়নি,তাই হয়তো ক্লান্ত হয়ে এখানে শুয়ে পরেছে।চোখগুলো লাল হয়ে আছে।চুলগুলো উষ্কখুষ্ক হয়ে আছে।মুখটা শুকিয়ে গেছে।
"
"
"
আমি চোখ খুলে দেখি তিশা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।ওর ঙ্গান ফিরে দেখে আজ আমি প্রাণ ফিরে পেয়েছি।ওর গালটা দুহাত দিয়ে ধরে ওর কপালে,গালে,আর ঠোঁটে একটা করে ভালোবাসার পরশ দিয়ে দিলাম।ওর কপালের সাথে নিজের কপাল লাগিয়ে কতোক্ষন ছিলাম জানি না।আর চোখ দুটো জেনো আজ আর কোনো কথা শুনছে না।~জিসান
"
"
"
এতোদিন পর তার স্পর্শ পেয়ে কি যে শান্তি লাগছে।তা হয়তো বলে বুঝাতে পারবো না।তার চোখ দিয়ে যে অশ্রুগুলো আমার গালে পরছে,তাও বলে দিচ্ছে তার ভালোবাসার কথা।এটাই আমার জিসান, হে এই মানুষটি শুধু আমাকে ভালোবাসে আর কাউকে না।
"
"
"
কিছুক্ষন পর উনি আমাকে ছেড়ে বাহিরে চলে গেলেন।আর আমি তার যাওয়ার পথে তাকিয়ে রইলাম।এর পর সবাই এক এক করে আমার সাথে দেখা করলো।এর পর রায়হান ভাই আমার পাশে বসে,আমাকে হালকা করে জরিয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে লাগলো।আমি মনে হয় এই প্রথম আমার এই ভাইকে কাঁদতে দেখলাম।খুব খারাপ লাগলো।রায়হান ভাই এক এক করে সব কিছু খুলে বললেন।জিসান কেনো আমার থেকে দূরে দূরে ছিলো,কতোটা টেনশনে ছিলো সে কয়দিন।সব আমি বুজতে পারলাম।রায়হান ভাইকে জরিয়ে কাঁদতে লাগলাম।জিসান এ কয়েকমাস কি কস্টে ছিলো, আমাকে খোঁজার জন্য কি কি করলো সব বললো।এ আমি কি করলাম ভাইয়া।আমার একবার উনাকে জিঙ্গেস করা উচিৎ ছিলো।তাকে কিছুই বলার সুযোগও দিলাম না।বিনা কোনো দোষে কতো বড় শাস্তি দিলাম আমি ভাইয়া।জিসান হয়তো আমাকে মাপ করবে না।
"
"
"
ও তোকে অনেক ভালোবাসে।তাই বেশিদিন রাগ করে থাকতে পারবে না দেখিস,তুই একটু ধের্য্য ধরিস।নিরাশ হইস না।আমি ওকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।কথা বল,ওর সাথে।
আমি মাথা নেড়ে সায় দিলাম।
"
"
"
রায়হান বাহিরে গিয়ে জিসানকে পাঠালো,জিসান এসে তিশার সামনে দাঁড়িয়ে রইলো কিন্তু তিশার দিকে একটিবারও তাকালো না।
"
"
আমার কাছে এসে একটি বসবেন, প্লিস।~তিশা।
"
"
জিসান তিশার পাশে এসে বেডের উপর বসলো,তিশা অধোশোয়া হয়ে বসে ছিলো।তাই জিসানকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে তিশা শক্ত করে জিসামকে জরিয়ে ধরলো।কিন্তু জিসান ধরেনি তিশাকে।
pls,forgive me.pls....আমি না বুঝে আপনাকে অনেক কস্ট দিয়ে ফেলছি।প্লিস, ক্ষমা করে দিন।প্লিস জিসান।তিশা কান্না করতে করতে জিসানের সাদা সার্টটা ভিজিয়ে ফেলছে।প্রচুর কান্না করাতে পেটের সেলাইও ব্যাথা করছে।কিন্তু তিশা থামছে না।তিশার কস্ট আরো বেরে গেলো,কারন জিসান ওকে ধরেনি।
"
"
কিছুক্ষন পর নাঈম আর বড় ডক্টরস রা কেবিনে ডুকে।ওদের এভাবে দেখে ডক্টরস রা চলে জেতে চাইলে জিসান বাধা দেয়।দাড়া নাঈম।
জিসান তিশার হাতটা ধরে তিশা থেকে নিজেকে জোড়করে ছাড়িয়ে নেয়।কারন তিশা জিসানকে ছাড়ছিলো না।এর পর ডক্টরসরা তিশাকে দেখে চলে যায় বেবিকে দেখতে।জিসানও নাঈম এর সাথে চলে যায়,বেবিকে দেখতে।
"
"
হসপিটালে আটদিন থাকতে হয়। এই আটদিনে জিসান তিশার সাথে একটা কথাও বলে নি।এর পর তারা ঢাকায় রওনা দেয়।জিসানের এমন আচরনের কারনে তিশার মা তিশাকে আর বেবিকে নিয়ে জেতে চাইলো কিন্তু জিসান দেয়নি।তাই কেউ আর কোনও কিছু বলার সাহস পায়নি।
.
.
.
চলবে......................................................