জিসানদের কম্পানি ১টা বড় ডিল সাইন করেছে।সাইন এর সময় জিসান ছিলো না,বড় ভাই তাওহিদই তাই পেপার সাইন করেছে।এতো বড় ডিল আগে কখনো পায়নি। যাদের সাথে ডিল সাইন করেছে তারা দেশের বাহির থেকে আসছে।তাই কাজটা অনেক ইম্পোর্টেন।
ডিলের কাগজ গুলো তাই জিসান চেক করছে।কাগজ দেখার সাথে সাথে জিসান এর মেজাজ গরম হয়ে গিয়েছে,ভাইয়া কি এসব কাগজ দেখে সাইন করেনি।কি এসব,,,,,,এটাতো কোম্পানিকে ডুবানোর প্লানিং চলছে।তাই কাগজ গুলো নিয়ে তাওহিদ এর কাছে গেলো
"
"
"
এসব কি ভাইয়া,তুমি কি দেখে কাগজ গুলো সাইন করছে। এতো বড় রিস্ক নেওয়ার কি দরকার ছিলো।
"
"
"
কি হইছে আগে খুলে বল।আমিতো ভালো মতো পড়েই পেপারগুলো সাইন করেছি।সমস্যা কি।
"
"
"
"নিচের শর্তগুলো দেখছো,টাইম মতো ডেলিভারি দিতে না পাড়লে বা লেট হলে বা কেনশালড করতে চাইলে আমাদের কোম্পানি AK কোম্পানিকে তিন ডোবল টাকা শোধ করতে হবে,লোকশান হিসেবে।।আর এতো অল্প সময় তাদের সব ডিমান্ড পূরণ করবো কিভাবে।বিজনেস এ সময়ের উনিশবিশ তো হয়।তাই বলে এমন শর্ত।এটা করতে গেলে আমাদের সব কিছু নিলামে উঠে যাবে।
"
"
"
তাওহিদ পেপারগুলো হাতে নিয়ে আবার দেখতে থাকে।পেপারগুলো দেখে তাওহিদ এর ও মাথা গরম হয়ে যায়।জিসান আমি পেপারগুলো ভালো করে চেক করেছিলাম,এ ধরনের কোন শর্ত তখন ছিলো না।আমি এতো বছর ধরে বিজনেস করছি,এতো বড় ভুল আমি কিভাবে করবো।এসব দেখলে আগে ডিলই সাইন করতাম না।
"
"
"
জিসান কিছুক্ষন চুপ থেকে ভাবতে লাগলো,সত্যি ভাইয়ার ধারা এতো বড় ভুল হওয়ার কথা না তার মানে আমাদের কোম্পানিতেই এমন কেউ আছে যে আমাদের ধোকা দিচ্ছে Ak company র সাথে হাত মিলিয়ে।
আচ্ছা Ak কোম্পানির মালিক কে?তুমি চিনো।এ ধরনের শর্তের পিছনে কারন কি। আমাদের সাথে তো এটাই তার প্রথম ডিল।
"
"
"
না চিনি না,কেনাডা থেকে এসেছে পরিবার নিয়ে।এতো বছর নাকি ওখানেই ছিলো।
"
"
"
আচ্ছা শুনো ভাইয়া, বাবাকে কিছু বলো না,অনেক বিশ্বাস করে তার গড়ানো ব্যবসা বাণিজ্য আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে,এসব জানতে পারলে অনেক টেনশন করবে।আমি এই ডিলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিলাম,তুমি বাকি কোম্পানির ডিলগুলো দেখো।তাওহিদ চিন্তা করলে,এটাই ভালো হবে।
"
"
"
ডিলটার কারনে জিসান পুরাই ব্যস্ত হয়ে পরলো,টাইম মতো ডিলটা ডেলিভারি করতেই হবে।তার জন্য নিজেকেই সব দেখতে হবে,কারো আসায় দিয়ে দিলে,সব হারাতে হবে।আর বাসায় বলেনি কারন অফিসের কোনও জামেলা তারা বাসায় নিয়ে যায় না।
"
"
"
কিছু দিন পর,Ak company র পক্ষ থেকে এক বড় পার্টি আয়োজন করা হলো।দেশের বড় বড় বিজনেস ম্যানদের ইনভাইট করা হলো।Ak company র মেনেজার এসে জিসানকে ইনভাইট করে গেলো আর কার্টে লিখা ছিলো নিজের লাইফ পাটনারকে সাথে করে নিয়ে জেতে হবে।তার মানে তিশাকে ও নিতে হবে সাথে।এধরনের বিজনেস পার্টিগুলোতে তিশাকে নিয়ে যাওয়া জিসানের একদম পছন্দ না।পার্টিগুলো খুব বিশৃঙ্খল টাইপের।কিন্তু এই পার্টিতে তিশাকে নিতেই হবে।কারন Ak company র মালিক কে দেখতে হবে।কে এই আরাফান খান।কেনো আমাদের সাথে এমন করছে।
জিসান আর কিছু না ভেবেই পার্টির দিন একটু তারাতারি বাসায় চলে গেলো।কারন রাতে আবার পার্টিতে জেতে হবে।
"
"
"
"জিসানকে এতো তারাতারি বাসায় আসতে দেখে আবাক আমি।আপনে এতো তারাতারি এলেন।শরীল ঠিক আছে তো।~তিশা।
"
"
"
হুমমম সব ঠিক আছে।আসলো রাতে একটা পার্টি আছে তো চাই তারাতারি চলে এসেছি।
"
"
"
ওওওওও,আচ্ছা।আমি চা নিয়ে আসছি।
"
"
"
তিশা শোন,তোকেও জেতে হবে আমার সাথে।
"
"
"
আমি ওখানে গিয়ে একা একা কি করবো।~তিশা।
"
"
"
জিসান তিশার সামনে এসে, তিশার দুকাধে হাত রেখে...কিছু করার নেই জান।জেতেই হবে।পাটনারকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে।আর যাওয়াটা ইম্পোর্টেন না হলে তোকো কোনদিনও আমি এই ধরনের পার্টিতে নেবার কথা বলতাম না,তুই তো জানিস।
"
"
"
ওকে,আমি যাবো।~তিশা।
"
"
"
শোন এই গুলো তোর জন্য,এগুলো পরেই জেতে হবে।
কিছু সোপিং ব্যাগ তিশার হাতে দিয়ে।
তিশা সোপিং ব্যাগগুলো রেখে জিসানের জন্য চা আনতে চলে গেলো।
"
"
"
সন্ধ্যার পর তিশা সব কাজ কর্ম করে, মাগরিবের নামাযটা আদায় করে নিলো।পরে যদি পরতে না পারে।
রেডি হবার জন্য সোপিং ব্যাগগুলো থেকে সব বের করলো,যা দেখলো তাতে তিশার চোখ উপরে উঠে গেলো,এ কি! এই লোকটা আমার জন্য বোরখা, ম্যাছিং হিজাব নিয়ে এসেছে।আমাকে পার্টিতে বোরখা পরে নিয়ে যাবে।তিশা বোরখাটা খুলে দেখে,এটা একটা পার্টি বোরকা,খুব সুন্দর কাজ করা।বোরখাটা হাতে নিয়ে তিশা ভাবতে থাকে,তাইতো বলি সাহেবে পার্টিতে নিয়ে যাবার জন্য রাজি কিভাবে হলো।আমাকে আড়াল করার সব প্লানিং করে রেখেছে।আর কিছু না ভেবে তিশা রেডি হয়ে গেলো।হিজাবটা ঠিক করছিলো তখনি জিসান এসে পেছনদিয়ে তিশার কোমড় জরিয় ধরে। আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখতো আমার তিশাকে কেমন লাগে।
"
"
"কেমন লাগে।~তিশা।
"
"
"
একদম আমার মনের মতো।এখন থেকে আপনাকে বাহিরে গেলে এসব পরেই জেতে হবে।নিজেকে পর্দায় রাখতে হবে।আমি চাইনা আমার বউকে অন্য কেউ দেখুক। বুজছিস।
"
"
"
সব জায়গায় পরতে হবে।(তিশা).....।জি ম্যাম বাহিরে গেলে এখন থেকো বোরখা পরে যাবেন।যতোটা পারবেন নিজেকে ঢেকে রাখবেন।ইসলামি জীবন মেনে চলার চেস্টা করবেন।আমিও নিয়মিত নামায ধরবো। আমি চাই ভবিষ্যৎ এ আমাদের সন্তান আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।আমরা জাতে তাকে ভালো শিক্ষা দিতে পারি,ইসলামি জ্ঞান দিতে পারি,তার জন্য নিজেদেরকেও আগে শুধরাতে হবে।ঠিক আছে।
"
"
"
জিসানের কথা গুলো শুনে তিশা খুবই অবাক হলো।এর পর তিশা মাথা নেড়ে হ্যা বললো।~তিশা।
"
"
"
জিসান তিশা পার্টিতে চলে গেলো।Ak company এর মালিক পার্টিটা আয়োজন করেছে।দেশের বড় বড় বিজনেস ম্যানরা ও পার্টিতে অংশ গ্রহন করেছে।জিসানকে দেখে Ak কোম্পানির মেনেজার নিজে এসে রিসিভ করতে আসলো।পার্টিতে এসে তিশার খুব অস্বস্তি লাগছে।কারন এধরনের পার্টিগুলোতে তিশা আগে আসেনি।আর আশে পাশের মেয়ে গুলো বেশির ভাগই ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে,হাতে ড্রিংক নিয়ে মেতে আছে।আর জিসান ও অন্য বিজনেস ম্যানদের সাথে কথা বলতে একটু ব্যস্ত হয়ে পরেছে।তিশা একা একা দাড়িয়ে ভাবছে আরে এখানে আমার কি কাজ,শুধু শুধু এনেছে।তিশার ভাবনার জগৎ এ ছেদ এনে কেউ পেছন থেকে তিশাকে ডাক দিলো।
"
"
"
পেছনে ঘুড়ে দেখি নিলয়।আরে আপনে এখানে,আর আমাকে চিনলেন কিভাবে।
"
"
"
আমিও তোমার হাসবেন্ড এর মতো একজন বিজনেস ম্যান।তাই আমাকেও ইনভাইট করা হয়েছে।আর তোমাকে হাজার মানুষের ভিড়েও চিনতে পারবো।তুমি একটু স্পেশিয়াল যে।
"
"
"
মানে,,,,,তিশা জানে না নিলয়ের মনে তিশার জন্য যে আলাদা একটা জায়গা আছে।
"
"
"
এতো মানে মানে করছো কেনো।জিসান ঠিকই বলছে তোমার মাথায় ঘিলু আছে।আরে তুমি একমাত্র নাড়ী এখানে বোরখা পড়ে এসেছো।আর এধরনের আইডিয়া যে তোমার স্বামীর ছাড়া আর কারো না তা আমি ভালো করেই জানি।তাই চিনতে সমস্যা হয়নি।যাই হোক তেমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
"
"
"
রাইট,,,,,,এধরনের পার্টিগুলোতে আমাকে কখনো আনে না।আর কেনো আনে না আজ বুজতে পারলাম।দেখুন আমাকে এনে নিজেই ব্যস্ত হয়ে পরলো।~তিশা।
"
"
"
বোর ফিল করছো সমস্যা নেই আমি আছিতো,আপনার সেবায় নিয়োজিত হতে।
"
"
"
থ্যাংকস ভাইয়া।~তিশা।
"
"
"
এখনোতো কিছু করলামই না।আগে কিছু করি তোমার জন্য তার পর বলো।~নিলয়।
"
"
"
আপনে আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন।আমাকে জিসান সব বলছে।কিন্তু ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাইনি তাই বলিনি।~তিশা।
"
"
"
তাহলে আজ কেনো বলছো।~নিলয়।
"
"
"
কারন উপকারের পাল্লা ভারী হয়ে যাচ্ছে।কিছুটা তো কমাতে হবে।~তিশা।
"
"
"
তাই তুমিতো দেখি ধারুন কথা বলো।এই কারনে বলি জিসান এতো পাগল কেনো """তুমি বলতে"""।
"
"
"
জিসান এতোক্ষন Ak company এর মালিক আরাফান খান এর সাথে কথা বললো।আর জানতে পারলো,আরাফান খানের ওয়াইফ ডিলটার দায়িত্ব এ আছে।কিন্তু সে এখনো আসেনি।কিছুক্ষন পর সবাইকে একটা করে মাস্ক দেওয়া হলো।জিসান মাস্কটা নিয়ে তিশার কাছে এসে পরলো।তিশাকে নিজের হাতে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে আর নিলয়ের সাথে কথা বলছে।
"
"
"
এমন সময় হলের লাইট সব অফ হয়ে ডান্স ফ্লোরে শুধু লাইট রাখা হয়।কাপল ডান্স করার জন্য।কিন্তু জিসান এতে একদমই ইন্টারেস্টিং না,তাই মেনেজারকে খুঁজছে।বলে চলে যাবে।আর তখনি কেউ এসে জিসানকে টান দিয়ে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়।জিসান কিছু বুজে উঠার আগেই মেয়েটি জিসানের এক হাত নিজের হাতে রেখে,আরেক হাত নিজের কোমড়ে রেখে ডান্স করা শুরু করে দেয়।ঘটনাগুলো এতোই দ্রুতু হলো যে জিসান কিছুই বুজে উঠতে পারছে না।
"
"
"
sorry Miss,I'm not interested in dancing with anyone expect my wife....এটা বলে জিসান মেয়েটা থেকে সরে জেতে নেয়।
"
"
"
If I say,I am Mrs Arafan khan....
"
"
"
oooh really, I'm glad to meet you....জিসান বলেই চলে জেতে চাইলে মেয়েটি আবার জিসান কে আটকে ফেলে।এদিক দিয়ে মিউজিক ও শুরু হয়ে যায়।আর জিসান বাধ্য হয়ে ডান্স করতে হয়।
"
"
"
তুমি আজও বদলাও নি জিসান।শুধু আগের থেকে অনেকটা হ্যান্ডসাম হয়ে গিয়েছো।
"
"
"
মাস্ক এর কারনে জিসান দেখতে পাচ্ছে না,মেয়েটা কে।
কে আপনে,আমি কি চিনি আপনাকো।জিসান ভ্রু কুচকিয়ে জিঙ্গেস করে।
"
"
"
তুমি যতোটা চিনো আমায় অতোটা কেউ চিনে না।এই বলেই নিজের মাস্ক টা সরিয়ে,একটা পৈচাশিক হাসি দেয়।
"
"
রোজ তুমি।তুমি মিসেস আরাফান খান।রোজ কে দেখে জিসান রোজ থেকে দূরে সরে জেতে নেয়।
(রোজ হলো জিসান ও রায়হানের ভার্সিটির ফ্রেন্ড, রায়হান এর সাথে তেমন কোন বন্ধুতা ছিলো না,কিন্তু জিসানের সাথে ছিলো।জিসানের তরফ থেকে শুধু বন্ধত্ব ছিলো,কিন্তু রোজ জিসানকে পাগলোর মতো ভালোবাসতো।এক কথায় dangerous love...তার কাহিনী পরে বলি)
"
"
"
হুমমম।ঠিক বলছো।কিন্তু রোজ জিসানের আরো কাছে গিয়ে ওর সাথে লেপ্টে গিয়ে ডান্স করছে।
"
"
"
এতোগুলো মানুষের সামনে জিসান কিছু বলতেও পারছে না।রোজ কি করছো,ছাড়ো আমায় সবাই দেখছে।লিমিট ক্রস করছো তুমি।
"
"
"
দেখুক এতে আমার কি,আমি কি তোমার সাথে এসব নতুন করছি।
"
"
"
রোজ জিসানকে অস্বাভাবিক ভাবে টাচ করছে।জিসান ভেবে পায় না একটা মেয়ে এতোটা নির্লজ্জ কিভাবে হয়।তার উপর ও এখন বিবাহিত।ওর হাসবেন্ড দেখলে ব্যাপারটা কতোটা খারাপ দেখাবে।রাগের বসে আবার ডিলটা না আবার কেনশালড করে দেয়।জিসান খুব কৌশলে রোজ থেকে নিজেকো ছাড়িয়ে ফেলে।
"
"
"
দূর থেকে তিশা এসবই দেখছিলো।কিছু না বললেও অর চোখ দুটো ছলছল করছে,হয়তো যে কোনও সময় বৃষ্টি নেমে পরবে।
"
"
"
ঠিক এসময় কোথা থেকে জিসান এসে আমার হাতটা ধরে টেনে পার্টি থেকে বের হয়ে যায়।কিছুক্ষণ পর আমরা বাসায় এসে পরি।গাড়ীতে কেউ কোনও কথা বলিনি।আর বাসায় আসার পরই জিসান অনেক টেনশন এ।মেয়েটা সম্পর্কে জিঙ্গেস করলে জিসান পরে বলবো বলে শুয়ে পরে।এর আগে জিসানকে এতো টেনশনে কখনো দেখিনি।
"
"
"
"আমার আর জিসানের মধ্যে কেনো জানি সেদিন থেকে দূরত্ব বেরে যায়।সে রাত নির্ঘুম কাটে,শুধু এ ভেবে কে এই মেয়ে।আর কি সম্পর্ক জিসানের এই মেয়ের সাথে।
"
"
"
হঠাৎ রুপকদার কথায় আমার ধ্যান ভাঙ্গে।অতিত থেকে ফিরে এলাম।
"
"
"
কি রে কি এমন চিন্তা করছিস।পালানোর আইডিয়া খুঁজছিস মনে হয়।লাভ নেই, পালাতে চাইলে ধড়ি দিয়া বাইধা রাখুম।মনে রাখিস।
"
"
"
রুপকদার কথা শুনে আমি একটু হেসে দিলাম,জানো রুপকদা জিসানও বলে,আমাকে নাকি ধড়ি দিয়া বেধে রাখবে।বেধে রাখলে হয়তো ভালোই হতো, তাই না।তাহলে আমাকে একা এই সময় কাটাতে হতো না।
"
"
"
কেনোরে আমরা আছি না,নাকি আমাদের চোখে পরে না।রুপকদা।
"
"
"
আমিও আছি......পেছনে তাকিয়ে দেখি সুরভী দাঁড়িয়ে আছে।আরে সুরভী আপু তুমি কখন এলে....।ভেতরে আসো।দাঁড়িয়ে আছো কেন।
(সুরভী চাচীর ছোট বোনের মেয়ে,বাল্যকাল থেকেই রুপকদাকে ভালোবাসে।অনার্স এ পড়ছে।দেখতেও খুব সুন্দর।সবথেকে সুন্দর ওর চুলগুলো,ঘন,কালো আর অনেক বড়।)
"
"
"
এই মাত্রই আসলাম।এই নোও, মা তোর জন্য চিড়ার মোয়া পাঠাইছে।~সুরভী।
"
"
"
তাই,কই দেওতো।আমি নিয়েই খাওয়া শুরু করেদিলাম।
"
"
"
আরে আস্থে খা,আর বেশি খাইচ না,পরে পেট ব্যাথা করবে।~রুপকদা।
"
"
"হো কইছে তোমারে,তিশা খাতো কিছু হইবো না।আর শোনও তোমার জন্য পিঠা আনছি।নিজের হাতে বানাইছি,খাইয়া কোও তো কেমন হইছে।
"
"
"
রুপকদা উঠে দাড়িয়ে, তোর ওই পচা পিঠা তুই খা।আর তকে কে বলছে আমার জন্য পিঠা বানাতে।তকে না বলছি আমার এসব ভনিতা একদম ই পছন্দ না।সর....আমার সামনে থেকে।বলে নিজেই চলো গেলো।
"
"
"
সুরভীর মুখটা মলিন হয়ে যায়।ভাইয়াকে খুব ভালোবাসো তাই না।
"
"
"
আমি বাসলে কি হইবো,তোর ভাইতো দুচোখে দেখতে পারেনা আমাকে।দেখোস না কেমন ব্যবহার করে।আমারে অপমান করে অনেক মজা পায় সে,বুজলি।কিন্তু আমার মনরে বুজাইতে পারিনা।তারে না দেখলে থাকতেও যে পারিনা।
"
"
"
ভালোবাসা মনে হয় এমনি,দেখো ভাইয়াও একদিন তোমাকে অনেক ভালোবাসবে।শুনো একটা আইডিয়া পাইছি।দেখো কিছুটা কাজে আসেনি।আমি সুরভী আপুকে সব বুজিয়ে দিলাম।কাল দেখা যাবে ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে কিনা।
"
"
"
পরের দিন সকালবেলা প্লান অনুযায়ী, রুপকদা যখন নাস্তা করতে বসে ঠিক তখনি সুরভীর আগমন ঘটে।
খালা তিশা কই।
"
"
"
এইতো আমি।আপু আমাকে ধরে চেয়ারে বসালো।।
"
"
"
তুই আমাকে ডাকছিস কেনো,তারাতারি বল।আমার আবার তাড়া আছে।
"
"
"
আগে বলো তুমি কোথায় যাচ্ছো এতো সেজেগুজে। তোমাকে তো একদম ঝাক্কাস লাগছে।
"
"
হে সুরভী আপু তিশা আপু ঠিক বলছে,তেমাকে খুব সুন্দর লাগছে।যে দেখবে পাগল হয়ে যাবে।~রুপা।
"
"
"
এবার রুপক না তাকিয়ে পারলো না।আসলে এতোক্ষন ধরে রুপক সুরভীর দিকে তাকায়নি।ভাবছে আবার কোনও প্যারা দিতে আসছে।কিন্তু এখন সুরভীকে দেখে হা হয়ে আছে।আর তা তিশা ঠিকই খেয়াল করেছে।
তুমি কোথায় যাচ্ছো আপু,এতো সাজছো কেনো।
"
"
"
এদিক দিয়ে রুপক চিন্তা করছে,ওকে আজ এতো সুন্দর কেনো লাগছে,নাকি আগের থেকেই ও সুন্দর ছিলো,কিন্তু আমি মনে হয় খেয়াল করিনি।গাধা একটা আমি।
"
"
"
হে রে বাবার বন্ধুর ছেলে, আজমীর আছে না,তার সাথে ঘুড়ার প্লানিং আছে আজ।উনি নিতে আসবে কিছুক্ষন পর।
"
"
"
ওওও, তা হঠাৎ আজমীর ভাইয়ার সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্লানিং, কোনও বিশেষ কারন।তিশা সুরভী সাথে কথা বলছে আর রুপকদার দিকে আড় চোখ দিয়ে দেখছে।রুপকদার চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো।চেহারে রাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
"
"
"
হুমমম,আছেতো।বাবা বিয়ে বিয়ে নিয়ে মাথা খারাপ করে ফেলছে।এতোদিনতো তাল বাহানা দিয়েছি।কিন্তু বাবা যখন কাল ডেকে নিয়ে বললো,হায়াত মরনের কথা বলা যায় না মারে, আমি তোকে কারও হাতে তুলে দিয়ে শান্তিতে মারতে চাই।বাবার কথায় নিজেরি খুব খারাপ লাগলো জানিস।কাল অনেক চিন্তা করলাম,শুধু শুধু বাবা কে এতো কস্ট দিয়ে কি লাভ।এমনতো না আমার জন্য কোন প্রিন্স বসে আছে।যার জন্য অপেক্ষা করবো।তাই রাজি হয়ে গেলাম।বাবা অনেক আগেই আজমীর কথা বলেছিলো,তাই আজ তার সাথে বের হবো।কি বলিস, যাকে বিয়ে করবো তাকে জানাওতো দরকার।
"
"
"
এদিক দিয়ে রুপক চিন্তা করছে,এতবছর এই ফুল আমার ছিলো,আমি এখনো তার সুভাষ নিলাম না।আর আমার বাগানের ফুলকে নাকি অন্য কেউ নিয়ে যাবে মগেরমুল্লুক পাইছে।দেখুম কেমনে নেয়।
"
"
"
"ঠিক বলেছো।অল দা বেস্ট আপু।~তিশা সুরভী কে।
"
"
"
এসব শুনে রুপকদা ওখান থেকে কোথায় জেনো চলে গেলো।আমি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকলাম।মনে মনে ভাবলাম,এবার পালাবে কোথায়।
"
"
"
সুরভী আপুও কিছুক্ষন পর চলে গেলো।কিন্তু সেদিনের প্লান টা খুব কাজ দিছিলো।ওই দিনিই রুপকদা চাচীকে পাঠায় সুরভী আপুদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে।আর সুরভী আর রুপকদার এংগেসমেন্টটা ও হয়ে যায়।
আর এভাবেই তাদের সাথে আমার দিনগুলো চলে গেলো। আজ প্রায় পাঁচ মাসের উপর আমি এখানে।
.
.
.
চলবে.....................................................