দেখতে দেখতে ছয়টা মাস কেটে গেলো।ঈশান ও এখন আগের থেকে একটু বড় হয়েছে। জিসান ও তিশার ছেলের নাম ঈশান রাখা হয়েছে।সে দিন হাসপাতাল থেকে বাসায় আসার সাতদিন পরই আকীকা দিয়ে ঈশানের নাম করণ করা হয়েছে।এই ছয়মাসে অনেক কিছু বদলে গেছে।তিশা আসার পর বাড়ীর সবাই কিছুটা রেগেছিলো,এভাবে কাউকে কিছু না বলে চলে যাবার জন্য,ঈশানের কথা লুকাবার জন্য।কিন্তু আস্তে আস্তে ঈশানকে পেয়ে সবাই ভুলে গেলো সব।
"
"
"
"
কিন্তু একজন মানুষ এখনো কোনো কিছু ভুলেনি।আর সে হলো জিশান।জিশান তিশার দেয়া কস্ট গুলো এখনো ভুলেনি,তাইতো তিশার প্রতি ওর অবহেলাটা বেরে গেছে।তিশাকে দেখেও না দেখার মতো থাকে।জিসানের এই অবহেলাটা তিশাকো খুব পোড়ায় ভেতরে।কিন্তু কাউকে বলতো পারেনা।এমন নয় জিসান তিশাকে ভালোবাসে না।ভালোতো এখনো বাসে আগের মতো,কিন্তু প্রকাশের ধরনটা বদলে গেছে।এই তো সেদিনের কথা।
"
"
"
"
ঈশানকে দেখতে কিছু আত্মীয় এসেছিলো।তাদের মুখে তো তিশার কথাই লেগে আছে।স্বামী সংসার ফেলে যে মেয়ে এতো দিন কই না কই ছিলো।এই মেয়েকে কিভাবে এতো সহযে ঘরে তুললো জিসান।আর জিসানের মা, তুমি বা কিছু বললে না কেনো।
তিশার শ্বাসুড়ী ভালো করেই বুজতে পারলো এরা শুধু ঈশানকে দেখতে আসেনি,সুযোগ বুজে আপমানও করতে এসেছে।তাই জিসানের মা কথা বাড়াতে চায়নি।অন্যকোনো প্রসঙ্গ তুলতে চাইলে।কিন্তু বলেনা কিছু মানুষের খেয়ে দেয়ে কাজ নাই।অন্যের সংসার নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকে তারা।নিজের সংসার জাহান্নামে যাক,তাতে কি।
"
"
"
"
ঠিক সে সময় জিশান এসে হাজির তাদের সামনে,তো কেমন আছেন আপনারা।নিশ্চই আমাকে নিয়ে আলোচনা করছেন।(বাড়ীতে এদের দেখে নিশু কল করে জিসানকে।নিশু ভালো করেই বুঝতে পারছিলো,যারা কোনদিন খোঁজ খবর নেয়নি,এমন আত্মীয় হঠাৎ উদয় হয়েছে।নিশ্চই কোন না কোন মতলবে)
"
"
"
আরে কি বলোস জিসান, আমরা তোকে নিয়ে কেনো আলোচনা করবো,আমরা তো তোর গুণবতী বউর কথা বলছি।এটা বলেই সবাই হেসে উঠলো।
"
"
"
জিসান একবার তিশার দিকে খেয়াল করলো,তিশা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।তিশার চোখের কোনের জলটা আর কেউ দেখুক বা না দেখুক জিশান ঠিকই দূর থেকে দেখতে পরেছে।
"
"
"
একই কথা আন্টি,,,,, আমি আর আমার বউতো আলাদা না।আর শুনুন বউতো আমার তাই তাকে কি বলবো,বা কি করবো সেটা আমার উপরে ছেড়ে দিন।আমার বউকে নিয়ে আপনাদের এতো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন তো আমি মনে করি না।বউ যেহেতু আমার তাই তার ভুলভাল সব ঠিক করার দায়িত্ব ও আমার।আপনাদের টেনশন করতে হবে না।আপনারা মেহমান হয়ে এসেছেন মেহমান হয়ে থাকুন।আমার পরিবারের কোন বিষয় নাক না গলালে খুশি হবো।
"
"
"
এসব কথার মাঝে ঈশান কান্না করে উঠে।তখন জিসান ঈশান কে কোলে নিয়ে তিশাকে উদ্দেশ্য করে বলে,ঈশানের মনে হয় ক্ষুদা লাগছে,ওকে নিয়ে গিয়ে খাওয়া।তিশা তখন ঈশানকে কোলে নিয়ে চলে যায় রুমে।
"
"
মেহমান গুলোও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে যায়।জিসানের মাও হাফ ছেড়ে বাঁচে।
"
"
এদিক দিয়ে তিশা ভাবতে থাকে,কি আশ্চর্য!!, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি এখনো জিসানকে চিন্তে পারিনি।নিজে অবহেলা করবে,অপমান কারবে অথচ কেউ আমাকে কিছু বললে,তা উনি সহ্য করবে না।নিজে কস্ট দেবে,কিন্তু অন্য কারো কাছে আমাকে ছোট হতে দেবে না।এ কেমন ভালোবাসা জিসানের।
"
"
"
"
হসপিটাল থেকে আসার পর থেকেই জিসান আমার সাথে হ্যা বা না ছাড়া কোনও কথা বলে না।আগের মতো আমাকে বকেও না আবার আদরও করে না।এমনকি রাতে আমার সাথে এক বিছানায় ঘুমায়ও না।জিসানের রাত কাটে সোফায় আর আমার কাটে ঈশানের সাথে বিছানায়।এই ছয় মাসে নিজ থেকে অনেকবার চেস্টা করেছি উনার কাছে আসতে কিন্তু প্রতিবারই কস্ট পেয়েছি।তবুও ধের্য্য হারায়নি।এভাবেই চলচিলো,,,,কিন্তু
একদিন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে উঠে দেখি জিসান নেই সোফায়।তাই আমি উনাকে দেখতে বারান্দায় গেলাম।উনি বারান্দায় রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগেরেট টানছে।আমি সব ভয়,লাজ স্মরম রেখে তাকে পেছন দিয়ে জরিয়ে ধরি।
"
"
"
কেনো এমন করছেন আমার সাথে, আমাকে বকুন, মারুন তবুও আমাকে এভাবে দূরে সরিয়ে রেখেন না। প্লিস জিসান।এবার তো ক্ষমা করুন।আমি আর কখনো এমন করবো না।আমার সাথে কথা বলুন জিসান।আপনার এই চুপ থাকা আমি যে আর নিতে পারছিনা।প্লিস আমার সাথে কথা বলুন।আমি উনার পিঠে মাথা রেখে কাঁদছি। ঠিক তখনি উনার বুকের সামনে থাকা দুটো হাতের মধ্যে একটা হাত ধরলো খুব শক্ত করে।এতো দিন পর এই প্রথম উনি আমার হাতটা ধরলেন।
"
"
"
জানিস তিশা তুই যাবার পর আমি এর থেকেও বেশি যন্ত্রনা ফিল করেছি।প্রতিটা রাত আমার নির্গুম কেটেছে।কতো রাত চিৎকার করে কেঁদেছি জানি না। শুধু এই ভয় পেতাম আমার তিশার কিছু হয়নি তো।ও ঠিক আছে তো।আমার ভালোবাসায় এমন কি ভুল ছিলো যার কারনে তুই আমাকে ছেড়ে জেতে বাধ্য হলি।আমি ভাবতাম তুইও আমাকে ভালোবাসিস।কিন্তু আমার সব ধারনাই ভুল ছিলো,তুইতো কখনো ভালোবাসিসই নি আমাকে। শুধু বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছিস স্বামী নামের এই আমাকে।
"
"
"
আমি জিসানের সামনে এসে উনার গালটা আমার দুহাতে আবদ্ধ করে, আমি আপনাকে ভালোবাসি জিসান।আর এটা মিথ্যা না।শুধু স্বামী বলে আপনাকে মেনে নিয়েছি,এটা সত্য না,আমি আপনাকে ভালোবাসি,ভালোবাসি বলে আপনার সাথে থাকতে চাই,ভালোবাসি বলে আপনার সাথেই মরতে চাই।আমার অস্তিত্বে আপনে মিশে আছেন,আপনাকে ছাড়া আমি নিজেকে কল্পনাও করতে পারিনা।
আমি কথাগুলো বলার সময় জিসান আমার দিকে কেমন ভাবে জেনো তাকিয়ে ছিলো,উনার আজকের চাওনী আমার কাছে খুব অচেনা লাগছিলো।উনি একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিলো আর আমাকে তার কাছ থেকে সরানোর জন্য একটা ধাক্কা দিলো।আমি তাল সামলাতে না পেড়ে নিচে ফ্লোরে পরে গেলাম।আর উনিও আমার সামনে হাটু গেড়ে বসলো।হাতে আরো একটা সিগারেট ধরিয়ে একটা টান দিলো,আর আমার দিকে তাকিয়ে বললো।
"
"
"
জানিস ভালোবাসার মুল মন্ত্র কি।""বিশ্বাস ""....যাকে আমরা ভালোবাসি তাকে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতে শিখতে হয়।আর তুইতো আমাকে বিশ্বাস ই করিসনা।ভালোবাসা তো দূরে থাক।যদি বিশ্বাস করতি তাহলে আমাকে এভাবে ছেরে চলে জেতে পারতি না।আমাকে কস্ট দিতে পারতি না।একটা সত্য কথা বলতো,তোর মনে হয়নি,আমার অপরাধ সম্পর্কে আমাকে অবগত করা।আরে ফাঁশির আসামী কেও একবার সুযোগ দেয়া হয় কিছু বলার।তাহলে আমি কেনো পেলাম না।বলতো।আমার ভেতরটাও পুড়েছে জানিস কেমনে,ঠিক এভাবে....
জিসান তিশার পা টা শক্ত করে ধরে জলন্ত সিগারেট টা লাগিয়ে দিলো।শুধু একবার না,একই জায়গায় তিনবার জলন্ত সিগারেট টা ধরে রেখেছিলো।
"
"
"
তিশা চিৎকার দিতে চেয়েও চিৎকার দিতে পারেনি,ঈশান উঠে যাবে বলে।তাই দুহাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরেছে,সহ্য করতে না পেরে।চোখ দিয়ে পানি তিশার অনোবরত পরছে।কিন্তু তবুও জিসানকে কিছু বলছে না।
"
"
"
আর কখনো আমার কাছে আসার চেস্টা করবি না,এখন যেমন আছিস তেমনি থাকতে হবে তোকো । এভাবেই থাকতে হবে বাকি জীবন আমার সাথে।তুই এখান থেকে কখনো মুক্তি পাবিনা।জিসান উঠে ওয়াসরুমে চলে গেলো।আর তিশা অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলো।নিজে উঠে দাঁড়াতেও পারছে না।খুব কস্টে দেওয়াল ধরে উঠে দাঁড়ালো। আস্তে আস্তে বিচানায় গিয়ে শুয়ে পরলো।কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়লো। কিন্তু ফজরের আজানে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।তাই উঠে নামায পরতে বসলো।তিশা যাবার পর জিসানও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরতো।তাই জিসানও উঠে নামায পড়ে আবার ঘুমিয়ে পরে।তিশা ও উঠে ঈশানের পাশে শুয়ে পরে।
"
"
"
"
সকালে একটু দেরি করেই জিসানের ঘুম ভাঙ্গে,কাল রাত দেরি করে ঘুমিয়েছিলো বলে।আজ উঠে তিশা ও ঈসান কে রুমে দেখতে পেলো না।হয়তো উঠে গেছে।জিসানও ফ্রেস হয়ে নিচে চলে গেলো।ঈশানের সাথে বসে কিছুক্ষন খেলা করে,নাস্তা করে নিলো।কিন্তু ঘুম থেকে উঠে এই পর্যন্ত তিশাকে একটিবারও আর দেখলো না।তাই হতাশ হয়ে জিসান অফিসে চলে গেলো।তিশা আজ রান্না ঘরেই ছিলো,ইচ্ছা করেই জিসানের সামনে আসেনি।কাল রাতের ঘটনা স্মরণ হলে তিশার বুকটা এখনো কেপে উঠে।জিসানের এমন একটা রুপ তিশা আগে কখনো দেখেনি।কাল তিশা জিসানের চোখে কোন দয়া বা মায়া দেখেনি নিজের প্রতি,দেখেছে শুধু অভিমান আর রাগ ।
"
"
"
"
ঈশান তানজিলার কাছেই বেশির ভাগ থাকে।শুধু খাওয়া আর রাতে ঘুমানোর সময় ঈশানকে পায় তিশা।তা না হলে সারাদিন ঈশান কখনো তানজিলা ,কখনো দাদা দাদী ,বা নিশুর কাছেই থাকে।মাঝে মধ্যে তিশার মন চায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে।কারন ও ছেলেকে মাজে মধ্যে খুঁজতে বের হতে হয়।সারাদিন যার কাছেই থাকুক না ঈশান,জিসান এলে আর কেউ নিতে পারেনা।জিসান বাসায় এসেই আগে ঈশান কে খুঁজে। আর ঈশানও আজকাল বাবাকে ভালোই চেনে।মাজখান দিয়ে আমি পর হয়ে গেলাম।ঈশান সবার কাছে থাকতে পারে বলে ভালোই হলো,কারন আজ শরীল খুব খারাপ লাগছে।পায়ের পুড়ার ব্যাথায় জ্বর আসছে মনে হয়।তাই ভাবীর কাছে ঈশান কে দিয়ে কিছুক্ষন শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষন পর কাপানি দিয়ে জ্বর আসছে।জ্বরের ঘরে কিছুই আর মনে নেই।
"
"
"
"
"
ঈশানকে খাইয়ে দাইয়ে বিকেলে ভাবীর কাছে দিয়ে এসেছিলো তিশা,এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে।জিসানও কিছুক্ষন পর চলে আসবে।আর এসেই ছেলেকে খুঁজবে। তাই তানজিলা ঈশানকে কোলে নিয়ে তিশার রুমে আসে।এসে দেখে তিশা ঘুমিয়ে আছে।
এই মেয়ে এই ভরা সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে আছে কেনো।এই দিক দিয়ে তো নামাযের সময় ও চলে যাচ্ছে।তাই তানজিলা তিশার কাছে এসে ওকে উঠানোর জন্য হাতটা ধরে ঝাকাতে নেয়।দেখে তিশার গা পুরে যাচ্ছে জ্বরে।তানজিলা তারাতারি ওর শ্বাসুড়ী কে ডেকে আনে।নিশুও চিল্লাচিল্লির শব্দ পেয়ে দৌড়ে চলে আসে।তারাতারি ডক্তর কে ফোন দেয়।কিছুক্ষন পর জিসানদের ফ্যামিলি ডক্তর চলে আসে।ডক্তর চেক করার সময় তিশার পায়ের দিকে চোখ যায়।পুড়া জায়গাটাতে ফোসকা পরে গেছে।খুবই খারাপ অবস্থা। ডক্তর সবাইকে জিঙ্গেস করলো,এটা কিভাবে হয়েছে।কিন্তু্ু উপস্থিত কেউ কিছু বলতে পারেনি।তখন ডক্তর পুড়া জায়গাটা ভালো করে ড্রেসিং করে দেয়,আর বলে এটার যন্ত্রনার কারনেই জ্বর আসছে।জ্বর, ব্যাথা আর শরীল দূর্বল হবার কারনে তিশা জ্ঞান হারায়।ডক্তর ঔষুধ দিয়ে তিশার শ্বাসুড়ীর সাথে কথা বলতে বলতে নিচে নামছিলো।জিসান ও তাওহিদ ঐসময় বাসায় প্রবেশ করে।আর ডক্তরকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
"
"
"
মা কে অসুস্থ, ঈশান ঠিক আছে তো।~জিসান।
"
"
জিসান বাবা ঈশান ঠিক আছে।আমি তো তোমার বউকে দেখতে এলাম।
"
"
কেনো?তিশার কি হইছে।
"
"
আগে বলো তোমার বউয়ের পা এভাবে কিভাবে পুড়লো।খুবই খারাপ অবস্থা। ব্যাথার কারনে জ্বর এসে পরেছে।আর খুব দূর্বলও শরীল।সারা দিন মনে হয় কিছু খায়নি।তুমি একটু খেয়াল রেখো।রাতও যদি জ্বর না কমে,তাহলে হসপিটাল এ নিয়ে জেতে হবে।আমি এখন আসি।
"
"
"
"
ডক্তরের কথাগুলো শুনে আমি এক মিনিটও দাঁড়ায় নি,দৌড়ে রুমে চলে আসি।এসে দেখি তিশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।নিশু জল পট্টি দিচ্ছে,আমি ওকে ইশারা করায় ও চলে গেলো।আমি তিশার পাশে বসে ওকে জরিয়ে ধরলাম।ওর গালে, কপালে ঠোটে পাগলের মতো কিস করলাম।তিশার শরীল গরম হয়ে আছে জ্বরে।আমি সত্যি সরি জান।আমি এমন চাইনি।তুই এতোটা কস্ট পাবি ভাবিও নি, সরি জান,সরি.....।সরি বলে তিশার কপালে একটা ডিপ কিস করে।হয়তো তিশা জাগনা থাকলে এসব কিছুই করতো না জিসান।
এদিক দিয়ে জিসান তিশার শরীল থেকে কাপড়গুলো খুলে পুরো শরীল মুছে দেয়।তিশাকে এতোদিন পর এতোটা কাছে পেয়ে জিসান কিছুটা ঘোরে চলে জেতে নেয়,কিন্তু পরমুহুর্তে নিজেকে সংযত করে ফেলে।তিশার পাটা দেখে।পা টার মধ্যে ও একটা কিস দেয়।
জিসান তিশাকে আজও আগের মতো ভালোবাসে।কিন্তু আজ অভিমানটা ভালোবাসা থেকে বেশি জায়গা করে নিয়েছে।তাই তিশাকে কস্ট দেয়, কিন্তু এতে জিসানও খুব কস্ট পায়।তা হয়তো বুঝতে দেয়না তিশাকে।তাতে কি!!!জিসানের ভালোবাসা কম হবে না তিশার প্রতি।তিশাকে হারানোর ভয়টা জিসান এতোই বেশি পেয়েছে যে,তিশা এখন জিসানের অনুমতি ছাড়া বাড়ীর বাহিরে যাওয়াও নিশেধ। বাড়ী চার পাশে গার্ড রাখা আছে।গার্ডকে নির্দেশনা ও দিয়ে দেওয়া হইছে।এমনকি এই ছয় মাসে জিসান তিশাকে বাপের বাড়ীও জেতে দেয়নি।এই হলো তিশার প্রতি জিসানের অন্যরকম ভালোবাসা।
.
.
.
চলবে...................................................