ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - অন্তিম পর্ব ৪৩ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


এখন কি করবো বাবা।মেহমানদের কিছু একটা বলতে তো হবে।~তানজিলা। 

সবাইকে বলো বউ মা এই বিয়ে হবে না। 

সবাই কিছুক্ষন নিরব হয়ে গেলো।কারো মুখে কোন শব্দ নেই।

আসলে সবই কপাল।ভাগ্যের উপর কারো নিয়ন্ত্রন নেই।কাল যে জায়গায় আমি ছিলাম,আজ নিশি দাঁড়িয়ে আছে।আমার জন্য তো জিসান ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।কিন্তু নিশির জন্য কে আসবে।বিয়ে ভাঙ্গার জন্য নিশিকে সমাজের কিছু নিকৃষ্ট মানুষের অনেক কথা শুনতে হবে।দোষ না হওয়া সত্যেও নিশিকে সবাই দোষী করবে।চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম রায়হান ভাই নেই এখানে।তাই আমি রায়হান ভাইকে খুঁজতে বের হলাম।বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগেরেট খাচ্ছে আর কিছু হয়তো চিন্তা করছে।
"
"
"
ভাইয়া কি চিন্তা করছো।
~জিসানের কথা, জিসান আজ কতোটা অসহায় ফিল করছে আমি জানি।কারন এমন একটা দিন আমিও অনুভব করেছিলাম।তাই জিসানের কস্টটা খুব ভালো করে বুঝতে পারছি।কিন্তু আমি জানি জিসান নিশিকে সামলিয়ে ফেলবে।
"
"
জিসান হয়তো নিশিকে সামলিয়ে ফেলবে কিন্তু কাল যখন বিয়ে ভাঙ্গার কারন সবাই জানবে তখন সবাই নিশির চরিত্রেও আঙ্গুল তুলবে।আদি আর নিশির রিলেশন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে।আদির চরিত্রে সমস্যা ছিলো,নিশির না।কিন্তু সবাই নিশির চরিত্রেও আঙ্গুল তুলবে,তখন কি হবে ভাইয়া।কাকে কাকে বুঝাবো,আর কিভাবে.....।একটা কথা বলি ভাইয়া..প্লিস রাগ করো না।
"
"
একদিন তোমার বোনের সম্মান জিসান বাঁচিয়েছে।আজ তুমি কি তার বোন আর পরিবারের সম্মান বাঁচাতে পারবে না।
"
"
মানে,তুই কি বলতে চাস।খুলে বল।রায়হান ভাই জিঙ্গেসা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
"
"
ভাই তুমি নিশিকে বিয়ে করে নেও।
"
"
তিশা তুই ঠিক আছিস।কি বলছিস।
"
"
কেনো ভাইয়া কি হয়েছে। নিশি খুব ভালো একটা মেয়ে।আদিকে ও ভালোবাসতো কিন্তু এতে ওর চরিত্রে একটা দাগও লাগতে দেয়নি।আমি জানি।ও না বুঝে একটা নোংরা মানুষকে ভালোবেসে ফেলেছিলো,তার জন্য ও কেনো শাস্তি পাবে বলো।
"
"
নিশি সে ধরনের মেয়ে না, আমি খুব ভালো করে জানি।
"
"
তাহলে সমস্যা কি?
"
"
সমস্যা হলো নিশি একটি বিত্তশালী পরিবারের মেয়ে,ওর ভাইয়েরা ওকে কোনও অভাব বুঝতে দেয়নি।ওর সব চায়িদা পুরোন করার মতো সমর্থ এখনো আমার হয়নি।আমার সাথে থাকতে হলে ওকে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হবে।আর আমার মনে হয়না আমার সাথে ও খুশি থাকবে।তাই এধরনের ভাবনা বাদ দে।
"
"
ভাইয়া তুমি জানো না নিশি এমন না,ও খুব বুঝের একটা মেয়ে।কোন পরিবেশে কিভাবে চলতে হয় ও খুব ভালো করে জানে।এতো বড় ঘরের মেয়ে হওয়া সত্যেও খুব সাধারন ভাবে চলাফেরা করে।হয়তো একটু সময় লাগবে কিন্তু ধীরে ধীরে ও তোমাকে মেনে নেবে।তুমি খুব সুখী হবে ওর সাথে।

তিশা জাস্ট স্টোপ, আমি আর কিছু শুনতে চাইনা।
"
"
"
কিন্তু আমরা শুনতে চাই রায়হান।

তিশা ও রায়হান পিছে ঘুরে দেখে জিসান ও তাওহিদ দাঁড়িয়ে আছে।ওরা সব শুনেছে।এতোক্ষন তিশা ও রায়হান এর সব কথা।

বলো রায়হান, তুমিও কি ভাবো আমার বোনের দোষ ছিলো,তাই ওর সাথে এমন হয়েছে।

ভাইয়া একদম না।এখানে নিশির কোনও দোষ নেই।কারো চেহারা দেখে যদি বুঝা যেতে কে কেমন,তাহলে কেউ ভুল মানুষকে ভালোবাসতো না।আসলে সমস্যা সেটা না।

তাহলে কি সমস্যা রায়হান।তুই শুুধু বল তুই বিয়ে করবি কিনা,হ্যা আথবা ন্যা উত্তর দিবি।আর এতে তোর উপর কোন ফোর্স করবো না।মন থেকে মেনে নিতে পারলে বলবি।

রায়হান কিছুক্ষন ভেবে,যদি নিশার কোন আপত্তি না থাকে,তাহলে ওকে বিয়ে করতে আমি রাজি।কিন্তু প্লিস পরিবারের মান সম্মান বাঁচাবার দায়িত্ব ওর উপর বলে ওকে জোরাজোরি করিস না।ও যদি মন থেকে এই সম্পর্কটাকে গ্রহন করে তাহলে আমার কোনও সমস্যা নেই।

তিশা রায়হান এর মুখে হ্যা শুনে খুশিতে রায়হান এর বাহুটা শক্ত করে ধরলো।
"
"
"
"
তিশা আর জিসান নিশির পাশে বসে আছে।নিশিকে সব খুলে বললো তিশা।নিশি আমার ভাই হয়তো তোমার সব চায়িদা পুরণ করতে পারবে না।কিন্তু ভালোবাসার কমতি হবে না সেখানে।আমরা তোমাকে জোড় করবো না।তুমি হ্যা বলো বা না,পুরো পরিবার তোমার সাথে আছে।আমরা জানি এতে তোমার কোনও দোষ নেই।তাই তুমি ভালো করে ভেবে বলো।নিশি শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো কিছুই বলছিলো না।
"
"
"
"
হল রুমে এখনো মেহমানদের সমারোহ। কিছুক্ষন পর বর এসে হাজির হলো।একদম সাদাসিধে ভাবে বরকে দেখে অনেকে অনেক কথা বলছে।কারন রায়হান ভাই একদম নরমাল একটা পান্জাবী পরে বিয়ের আসরে বসেছে।অবশেষে সবার সম্মতিতে রায়হান ও নিশির বিয়েটা হয়ে গেলো।দুপরিবারের সবাই খুশি।নিশির মুখে এখনো হাসি নেই।কিন্তু আমি জানি রায়হান ভাই ঠিক নিশির মনে জায়গা করে তুলবে।নিশিও একদিন রায়হান ভাইকে মেনে নিবে।
"
"
"
"
নিশিকে বিদায় দিয়ে সবাই বাড়ী চলে এলাম।সবার মুখে এখনো টেনশন বিরাজ করছে।সবার মনে একই চিন্তা নিশি ও রায়হান সুখে থাকতে পারবে কিনা।রাত ১২ টা বাজে এখনো জিসান আসেনি,আমি জানি ও এখন কোথায়।নিশ্চই নিশির ঘরে।হয়তো বোনকে স্মরন করে নিরবে কিছুক্ষন কাঁদবে।

এদিকে জিসান নিশির রুমে দেয়ালে টাঙ্গানো তাদের তিন ভাইবোনের ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে।

আমরা কি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি জিসান।তোর মনে হয়।

রায়হান খুব ভালো ছেলে ভাইয়া,তুমি দেখো একদিন তুমিও বলবে রায়হান নিশির জন বেস্ট চয়েজ।

তাই জেনো হয় ভাই।না হলে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হবে সারাজীবন।

তুমি চিন্তা করো না,রায়হান নিশিকে অনেক সুখে রাখবে।আমার বিশ্বাস নিশির হারিয়ে যাওয়া হাসিটা খুব শীঘ্রই দেখতে পাবো আমরা।

হুমমমম।অনেক রাত হয়েছে।গিয়ে এখন রেস্ট নে।গুড নাইট।তাওহিদ চলে গেলো।জিসান আরো কিছুক্ষন থেকে চলে গেলো।
"
"
"
নিশির বিয়ের চারমাস পর....

ঈশানের জন্মদিন আজ।দেখতে দেখতে ঈশানের এক বছর হয়ে গেলো।ঈশান এখন,জিসানকে দেখলে বা বা বলে দৌড়ে চলে যায়।ছেলেরা নাকি মায়েদের বেশি ভক্ত হয়,কিন্তু আমার ছেলে বাবা বলতে পাগল।বাবা কে পেলে আমাকে ভুলে যায়।কি আশ্চর্য!!
রাতে বড় পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।ঈশানের প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে সকল মেহমান এসে পরেছো,কিন্তু আমরা যাদের জন্য অপেক্ষা করছি তারা এখনো আসেনি।
ঐদেখো এসে পরেছে আমাদের লাভলি কাপল।পিছনে ঘুড়ে দেখি নিশি ও রায়হান ভাই।দুজনকে এক সাথে খুব সুন্দর লাগছে।আজ দুজনকে একসাথে খুশি দেখে সত্যি ভালো লাগছে।নিশিও ভাইকে মন থেকে মেনে নিয়েছে।তার জন্য ভাইকেও অবশ্যই কিছু কাঠকয়লা পুরাতে হয়েছে।বেচারা রায়হান ভাই, বিয়ের পর নিশির প্রেমে পরে গেলো,এর পর বউয়ের মন পেতে এক প্রকার যুদ্ধে নেমে গেয়েছিলো।অবশেষে নিশিও রায়হান ভাইয়ের ভালোবাসাকে মেনে নিলো।এর পর তো শুরু হয়ে গেলো নতুন জামেলা।রায়হান ভাই আর জিসান জিগারের বন্ধু।জিসান যেমন আমায় জালিয়েছে রায়হান ভাই ঠিক তেমনি নিশিকে জালাতে লাগলো।এটা করা যাবে না,ওটা করা যাবে না।কোথায় যাওয়া যাবেনা একা,উফফফ,এমন হাজারো অভিযোগ নিশি আমাকে করতো।কারন আমি যেমন জিসানের কোন অভিযোগ করলে ভাইয়ার কাছে পাত্তা পেতাম না,এখন নিশিও পায় না।বেচারী এক হিটলার থেকে মুক্তি পেয়ে আরেক হিটলারের পাল্লায় পরেছে।তাই নিশিকে সান্তনা দিয়ে বলি.... ভাইয়ের বন্ধু যখন বর হয় তখন কপাল এমন নি হয়।আর যদি কপাল গুনে রায়হান ভাই আর জিসানের মতো হলে তো কথাই নাই।......হা হা হা।

সবাই এসে পরেছে এবার তো কেকটা কাটো।[তানজিলা ভাবীর কথায় কল্পনা থেকে বের হয়ে আসলাম]

আরেক জন এখনো আসেনি,সে আসুক। [জিসান]
কে সে....????[তানজিলা ]

আমি এসে পরেছি.....নিলয়ের হাতে ঈশানের জন্য বিশাল বড় একটা টেডিবিয়ার।

এই তুই আমার এক বছররের ছেলের জন্য এতো বড় টেডিবিয়ার এনেছিস কেনো ছাগল।আমার ছেলে কি এটা দিয়ে খেলতে পারবে।

সমস্যা নাই ব্রো,ঈশান না খেলতে পারুক,ঈশানে মামা খেলবে।

তিশা ভ্রুটা কুচকিয়ে, আ...মি।আমি কি ছোটবাচ্চা যে টেডিবিয়ার দিয়ে খেলবো।

জি ম্যাম,আপনে তো জিসানের পিচ্ছি তিশা।জিসানের চোখে আজও আপনে একটা পুচকি মেয়ে,যাকে ছেড়ে দিলে হারিয়ে যাবে।বুঝলেন....

হইছে অফ জা।আমার তিশাকে এতো পিচ্ছি বলিস না পরে কলে উঠে কাঁদতে লাগবে।

সমস্যা কি একটা চকলেট দিয়ে দিস, ইসপেসিয়াল চকলেট।

আমিতো এদের কথা শুনে শোকড।এদের কারো লজ্জা শরম বলতে কিছু নাই।সবাই কি সুন্দর করে হাসছে।

হইছে আর আমার মেয়েটাকে লজ্জা দিতে হবে না।আয়তো মা, চল আমরা কেক কাটি।তোরা আসলে আস,না আসলে থাক এখানে।তিশা রাগ করায় তিশার শ্বাসুড়ী এসে নিয়ে যায়।কিছুক্ষন পর কেক কেটে ঈশানের জন্মদিন পালন করা হলো।বাচ্চাদের জন্য রিটার্ন গিফ্ট এর ব্যবস্থাও করা হলো।খুব আয়োজনের সাথে শেষ হলো ঈশানের জন্মদিন।
"
"
রাতে আস্থে আস্থে সব মেহমান চলে গেলো,রায়হান, নিশি ও নিলয় বাদে।জিসানের কোলে ঈশান ঘুমিয়ে পড়লো।তাই জিসান ঈশানকে রুমে নিয়ে গেলো।এক এক করে সবাই রুমে চলে গেলো,রায়হান ভাই ও নিশিকে আজ জেতে দিনাই।ড্রয়িংরুম এ আমি আর নিলয় বসে আছি।
"
"
সবাই তো বিয়ে করে ফেলেছে,আপনার খবর কি নিলয় ভাইয়া।এবার একটা বিয়ে করে ফেলেন।
"
"
নিলয় একটা মুসকি হেসে, তোমার মতো একটা খুঁজে দিতে পারলে বিয়ে করে নেবো।
"
"
এটা কিভাবে সম্ভব,যদি আমার একটা বোন থাকতো তাহলো আপনাকে ধরে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দিতাম।কিন্তু তাও এখন সম্ভব না।
"
"
আচ্ছা একটা কথা বলি মাইন্ড করবে নাতো।
"
"
হুমমমম,বলুন।মাইন্ড করবো কিনা তা তো কথার উপর ডিপেন্ড করে।
"
"
যদি জিসান না থাকতো তোমার জীবনে,তাহলে আমার জায়গা কি হতো তোমার মনে।
"
"
তিশা কিছুক্ষন ভেবে,একটু হেসে জবাব দিলো,আসলে ভাইয়া যদি জিসান না থাকতো তাহলো হয়তো আমার সাথে আপনার দেখাটাও হতো না।তখন হয়তো আপনে অন্য কাউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।হয়তো আমি আর জিসানও অন্য কাউকে নিয়ে ব্যস্ত হতাম।তখন আমাদের তিনজনই আলাদা তাকতাম।একজন আরেক জনকে হয়তো চিনতামও না।কিন্তু দেখুন আজ ভাগ্য আমাদের এক সাথে নিয়ে এসেছে।জানেন নিতো আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।আপনার জন্যও কোথাও হয়তো কেউ অপেক্ষা করছে।শুধু তাকে খোজার বাকি।মনে রাখবেন ভালোবাসা মানে চাওয়া না,দেয়ার নাম ভালোবাসা।আপনার সামনে বসে থাকা ব্যক্তিটা কে আপনে হয়তো ভালোবাসেন।কিন্তু বিনিময় সে আপনাকে ভালোবাসবে এটা চাওয়া বোকামি। লাইফটা তো তখন বেশি সুখী হবে যখন কেউ আপনাকে পাগলের মতো ভালোবাসবে,আর আপনে তার ভালোবাসা গুলোকে চাইলেও দূরে ফেলতে পারবেন না।আপনার জন্য নিশ্চই এমন কেউ আছে।শুধু মনের চোখ দিয়ে একবার খোঁজেন পেয়ে যাবেন। যা আপনার তা আপনারি থাকবে।কিন্তু যা আপনার না তাকে নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।ভাগ্য বলেও একটা কথা আছে।এই জীবনে আমি শুধু জিসানের।তাই উনাকে ছাড়াতো এখন কল্পনাও করতে চাই না।[তিশা আর কিছু বলার আগে জিসান রুম থেকে ডাকা শুরু করলো]

হুমমম, আমি সবই বুঝতে পেরেছি।চিন্তা করো না,আমার জন্য তোমার জীবনে কখনো ঝড় আসবে না।শুধু দোয়া করো আমি জেনে এমন কাউকো খুঁজে পাই।যে শুধু আমার.....আর কারো না।

নিলয়ের কথা শুনে তিশা হেসে দিলো।নিলয় বিদায় নিয়ে চলে গেলো।তিশা কথাগুলো আজ ইচ্ছা করেই বলেছে।কারন তিশা নিলয়ের চোখে নিজের জন্য কিছু ফিলিংস দেখেছে।আর তিশা চায়না,নিলয় এভাবে বাকি জীবন এভাবে কাটাক।অপেক্ষা জিনিসটা খুব খারাপ।আর নিলয় শুধু নিজের মনকে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে।কারন তিশা তো শুধু জিসানের আর কারো না।
"
"
"
রুমে এসে দেখি জিসান সাহেব রুমে নেই।কোথায় গেলো।বারান্দায় গিয়ে দেখি উনি এখানে, কি করছেন আপনে এখানে।ঘুমাবেন না।
জিসান আমাকে টেনে তার বুকের সাথে আমার পিঠটা রেখে জরিয়ে ধরলো।
তোর জন্যই অপেক্ষা করছি।
তাইই....
হুমমমম....
আচ্ছা বাবা মা কবে যাবে।
সামনের সপ্তাহে তাদের ফ্লাইট।তারা হাজ্ব করে আসলে তোকে আর ঈশানকে নিয়ে লন্ডনে যাবো।লাবনি বার বার ফোন দিচ্ছে, ও ঈশানকে দেখতে চায়।
লাবনি আপু সুখে আছে,এটা শুনেও খুব ভালো লাগলো।আপু নাকি পেগনেন্ট।
হুমমম, তাইতো আমাদের জেতে বলছে।ভাবলাম হানিমুনে তো কোথায়ও যাওয়া হয়নি, এই বাহানায় হানিমুন ও করা হবে।কি বলিস।
উমমম,আইছে বুড়া বয়সে হানিমুন করতে।শখ কতো।আমি উনার হাতের বাধনটা খুলে চলে জেতে নিলাম।
কি বল্লি আমি বুড়ো হয়ে গেছি।তাহলে দেখ এই বুড়োর রোমান্টিক অত্যাচার সহ্য করতে পারিস কিনা,জিসান আমাকে কোলে তুলে নিলো।
দেখুন নামান আমাকে একদম উল্টাপাল্টা কিছু করতে আসবেন না।ঈশান উঠে যাবে।
ঈশান আমার ছেলে,তাই আমার রোমান্সে ও ডিস্টার্ব কখনো করবে না।আর তোর সাথে করবো না তো কার সাথে করবো।পাঠকদের মধ্য থেকে এনেদে কাউকে।
জিসানের জন্য পাঠকরা ও পাগল।কি বলিস।

সব শাঁকচুন্নি কে আমি পচা পানিতে চুবিয়ে মারবো।কেউ আপনার দিকে নযর দিলে।

তাই পাঠকগন ওদের আমরা আর ডিস্টার্ব করতে চাইনা।এভাবেই বেঁচে থাকুক ওদের ভালোবাসা।
.
.
.
সমাপ্ত...........................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন