তিশা..! এই তিশা।
উফ! এই মেয়েটা এত অলস কেন?এই তুই সারা রাত করিসটা কী বলতো।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই চাস না।তোর না কলেজ আছে আজ।উঠ তাড়াতাড়ি।
ও, মাএএএ....!তিশা আড়মোড়া ভেঙ্গে হাই তুলতে তুলতে শোয়া থেকে উঠে বসলো।ঘুমকাতুর কন্ঠেই মাকে উদ্দেশ্য করে বলল,"সকাল সকাল কেন এত ডাকা ডাকি করো বলো তো।এত কষ্ট করে কত জায়গা খুঁজে জানো এই এলার্ম ঘড়িটা এনে ছিলাম।কিন্তু তুমি একদিনও ঘড়িটাকে বাজতে দেওয়ার সুযোগ দেওনা,তার আগেই তোমার এলার্ম শুরু হয়ে যায়।বলছি কি মা জননী,একদিন তো এই ঘড়িটাকে কষ্ট করে বাজতে দেও।নিজের জমানো টাকা দিয়ে এনেছি,তিশা অনেকটা আফসোস এর স্বরে বলে।
-'হঠাৎ মা নিজের টিউন চেঞ্জ করে,আমার পাশে বসে পরম যত্নে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।আমার মনটা ভীষন খুশি হয়ে গেলো।সকাল সকাল আজ মায়ের বকা না খেয়ে আদর পেলে যা হয় আর কী!আমার মনটা আবার কাঁদা মাটির মত নরম।খুব অল্পতেই মনটা গলে যায়।কিন্তু এর পর যা হলো,"তাতে আমি বেহুশ না হয়ে পাড়লাম না"।
"চলুন শুনি তিশার মা তিশাকে কী বললো।"
তিশা মা আমার, শুধু ঘড়ি কিনে এনে এলার্ম সেট করে লাগালে তো হবে না।ঘড়ি চলার জন্য কিন্তু ব্যাটারিও লাগে।যা তুমি ঘড়িতে আজও পর্যন্ত লাগাওনি।তাই বেচারা ঘড়িটাও তোমার মতো অলস হয়ে ঘুমিয়ে থাকে।তাইতো আমার এলার্মটা শুর করতে হয়।
আমি মার কথা শুনে আশ্চর্যবিমূঢ়!ছি, কী লজ্জার ব্যাপার।মায়ের কথা শুনে,আমি তড়িৎবেগে ঘড়িটা হাতে নিয়ে চেক করে দেখলাম সত্যিই তো ঘড়িটাতে তো আমি ব্যাটারি লাগাতে ভুলেই গিয়েছি।ও এখন মনে পড়েছে,সেদিন আমার কাছে ঘড়ি কেনার পর টাকাই ছিলো না,ভেবেছিলাম বাসায় এসে ভাইয়াকে বা বাবাকে বলবো ব্যাটারির কথা।কিন্তু বাসায় এসেই ফেসবুকে গল্প পড়তে বসে গেলাম আর মনেই ছিলো না।নিজের বোকামির উপর নিজেরই এখন রাগ উঠছে।এই রাগে আরো একটু ঘি ঢালছে,ড্রয়িংরুমে বসে থাকা আমার শয়তান রায়হান ভাই।আমার বোকামির কথা শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।আমার মন চাইছে ওকে গিয়ে ঠান্ডা পানিতে চুবাই।(কলমে-ইয়াসমিন তানিয়া)
আসুন এবার, আমার নিজের পরিচয়টা দিয়ে দিই এর মাঝে।আমি তিশা,এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছি।কয়েকমাস পর পরীক্ষা দিয়ে কলেজ লাইফকে টা টা করবো।আমাকে এতক্ষন ধরে ডাকছিলো আমার মা।সে একজন পাক্কা গৃহিণী। তার জীবনের একমাত্র প্যারা হলাম আমি।বাবা সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারী।কিছুদিন পর কাজ থেকে অবসরপ্রাপ্ত হবেন।
আর হাসতে হাসতে যে ব্যক্তিটি গড়াগড়ি খাচ্ছে তিনি হলো আমার একমাত্র বড় ভাই রায়হান।বর্তমানে টি.জি.এন কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। এই কোম্পানিটা রায়হান ভাইয়ের বেষ্ট ফ্রেন্ড জিসানদের।তবে রায়হান ভাই তার যোগ্যতায় জবটা পেয়েছে,কারো সুপারিশ এ নয়।
রায়হান ভাই এখনো হাসছে।আর হাসবেই না কেনো,আমি মাঝে মাঝে এমন বোকামি মার্কা কাজ করে ফেলি প্রায়ই।
এই তো সে দিনের কথা,আমি ড্রয়িংরুম এ বসে বসে গল্প পরছিলাম,#প্রেমময়_তৃষ্ণা …।নতুন রাইটার তানিয়ার গল্প।
গল্প পড়তে গিয়ে গল্পের মাঝে এমন ভাবে ডুবে গেলাম যে, হয়তো এই মুহুর্তে চার পাঁচজন মানুষ এসেও আমাকে ধরে তুলতে পারবে না।ঠিক সেই সময় আমার মা কানের সামনে জোরে চিল্লিয়ে বলতে লাগলো,
"তিশা চুলায় ডিম দিয়ে এসেছি,ডিম গুলো তুলে রাখ।আমি তোর চাচীর সাথে একটু কথা বলছি ফোনে।কথাটা এত জোড়েই বললো যে আমার কানের পর্দা মনে হয় ছিঁড়ে যাওয়ার উপক্রম"।
আমি ভীষণ বিরক্তি তার কর্মকান্ডে।মায়ের দিকে তাকিয়ে কিঞ্চিত বিরক্ত কন্ঠে বললাম,"এত চিল্লানোর কী আছে,সুন্দর করে বললেই তো হয়।আমাকে কী তোমার বয়ড়া মনে হয়"।
মা রাগি একটা লুক নিয়ে আমার দিকে তাকাতেই,আমি মুহুর্তেই যেনো বিলাই হয়ে গেলাম।কী হলো মা,এমন রাগ দেখাচ্ছো কেন এই অবুজ বালিকার উপর শুধু শুধু।
-'তিশা তোকে আমি কতবার ডাক দিয়েছি,জানিস তুই'।
-'আমি মাথা নাড়লাম।সত্যিতো আমিতো শুনতেই পাইনি,মা কখন ডাকলো'।
-'শুনবি কী করে,একবার ফেসবুকে ডুকলে তো তোকে খুঁজেই পাওয়া যায় না।এবার কথা কম বলে,রান্না ঘরে যা।দাঁতেদাঁত চেপে কথা গুলো বললো'।
আমিও নাচতে নাচতে রান্নাঘরের দিকে গেলাম।ঠিক সে সময় আমার ফোনটা বেজে উঠলো।আমার বেস্টি,আমার জানেমান নিলু ফোন দিয়েছে।আমি তো ওর ফোন পেয়ে ওর সাথে আজাইরা আলাপ পারতে লাগলাম।সাথে ডিম গুলো চামুচ দিয়ে তুলে একটা বাটিতে রেখে চলে এলাম।
'কিছুক্ষন পর আমার মা জননী আমার নাম ধরে ডেকে চিল্লাতে লাগলো।কিছুক্ষণের জন্য মনে হলো বাড়ীতে ভূমিকম্প শুরু হলো।আমি মাত্র একটু শুয়ে ছিলাম।মায়ের এত জোড়ে হাকে লাফ দিয়ে উঠে বসি।সামনে তাকিয়ে দেখি মা আমারই সামনে কোমড়ে কাছা মেরে,একহাত কোমড়ে দিয়ে,দাঁড়িয়ে আছে।
তার জলন্ত মুখখানি দেখে তো আমি ভয় পেয়ে গেলাম।কেমন চন্ডিরুপ ধারণ করেছে মা।আমি ভয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করলাম," কী হয়েছে মা,তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন"?
-মা দাঁতেদাঁত চেপে বললো,"তোকে আমি কী বলে ছিলাম।মনে আছে"।
-'আরে থাকবে না কেন,তুমিতো বলেছিলে ডিমগুলো নামিয়ে রাখতে আর আমি নামিয়েও রেখেছি,তাহলে শুধুশুধু এত চেচামেচি কেন করছো বলো তো'।
মা এক কদম কাছে এসে আমায় বললো,"ডিমতো নামিয়ে রেখেছিস,তাহলে চুলা কেন বন্ধ করলি না,গাধা মেয়ে।তোর জন্য আমার নতুন পাতিলাটা পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে গেছে।জানিস!
-'দেখো মা যা বলবে ঠিক করে বলবে। প্রথমত আমি গাধা না,গাধী হতে পারি।আর দ্বিতীয়তো তুমি আমাকে চুলা বন্ধ করতে একদমই বলো নিই,শুধু পাতিল থেকে ডিমগুলো তুলে রাখতে বলেছো।আমিতো শুধু তোমার কথা রেখেছি এতে আমার কী দোষ'।
তোর কী দোষ?ও আচ্ছা তোর কী নিজের জ্ঞান বুদ্ধি বলতে কিছু নেই।নিজের বুদ্ধিটাকেও একটু খাটা তা না হলে জং ধরে যাবে অল্প বয়সে।
-'উফ! মা। যাও তো ঘুমাতে দেও,কত সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলাম।তুমি এসে সব গুড়েবালি করে দিলে'।
কী বললি! আমি এসে তোর স্বপ্নের গুড়েবালি করে দিয়েছি।দাঁড়া! বুঝছি তুই এভাবে ভালো হবি না,তুই ভালো হওয়ার মেয়ে না।তোকে এখন থেকে উঠতে বসতে মাইর দিতে হবে।আজ তো তোকে আমি,মা একটা খুরচুন নিয়ে আমাকে মারার জন্য ছুটে আসলে,আমিও দৌড়ের উপর থাকি।
এমন সময় রায়হান ভাইও অফিস থেকে বাসায় এসে পরে।আমাকে আর মাকে এভাবে দৌঁড়াতে দেখে ব্যাচারা কিছুক্ষণ শকড এর মধ্যে ডুবে থাকে।আমি রায়হান ভাইয়ের পিছনে লুকিয়ে পরি।
মা রায়হান ভাইকে সরতে বলে।
-'না ভাইয়া তুমি এক কদমও সরবে না।দেখো মা আমার সাথে সৎ মায়ের মতো ব্যবহার করছে'।
রায়হান ভাই মাকে ইশারায় জিজ্ঞেস করে আজ আবার কী করেছে ও।
তিশার মা রায়হানকে দেখে নিজের রাগকে কিছুক্ষণ সংযত করে আস্তে আস্তে সব খুলে বলল।সব শুনে রায়হান ভাই একটা লম্বা শ্বাস ছেড়ে আমার দিকে ছদ্ম রাগ দৃষ্টিতে তাকালো।আমার মলিন মুখখানি দেখে হয়তো তার মনে দয়া হলো।তাই আমার হাতটা ধরে সামনের সোফায় বসিয়ে, হাতের ব্যাগটা টি টেবিলের উপর রেখে নিজেও আমার পাশে এসে বসলো।কিছুক্ষণ নির্বাক থেকে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
"দেখ তিশা ব্যাপারটা তুই যত ছোট করে দেখছিস ওতো টা ছোট না।একটা পাতিল পুড়েছে এতে কোনও সমস্যা নেই।কিন্তু যদি পাতিলা থেকে আগুন ছড়িয়ে কোনো ক্রমে আগুন লেগে যেতো,তখন কী হতো।মা ছিলো বলে,এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিস।তা না হলে একবার ভেবে দেখ কী হতে পারতো।আর তুই তো একবার ঘুম দিলে পাছে সব পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে গেলেও তোর খবর থাকবে না।তাহলে এখন বল দোষটা কার"?
-'আমি মাথা নেড়ে হা বললাম কারণ দোষটা সম্পূর্ণ আমার।আসলেই আজ একটা বিরাট বড় এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারতো মা না থাকলে।মা সত্যিই বলে,আসলেই আমার মাথাটা মোটা।সে দিন রায়হান ভাইয়ের সবগুলো একদম উচিত ছিলো,তাই তো প্রত্যুত্তরে কিছু বলার ছিলো না আমার'।
হঠাৎ মায়ের চিৎকারে,আমি আবারও চিন্তার সুত ছিঁড়ে চেতনায় ফিরে এলাম।পাশে তাকিয়ে দেখলাম,মা তারা দিয়ে যাচ্ছে,আমাকে রেডি হওয়ার জন্য।
"আমিও আর বাকবিতণ্ড না করে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।প্রয়োজনীয় সব কিছু ব্যাগে ভরে নিয়ে মাত্রই যখন বের হবো, এমন সময় ফোনে টু টু শব্দ করে ম্যাসেজ আসার আগমন জানালো।পাশের দেয়ালে টাঙ্গানো ঘড়িতে তাকিয়ে একবার সময় দেখে নিলাম।হাতে এখনো কিছু সময় বাকি আছে। তাই ফোনটা হাতে নিয়ে বার্তাটা পড়ার জন্য অপেন করলাম,
শুভোসকাল,
কেমন আছিস জানপাখি।আমি কিন্তু মোটেও ভালো নেই।এই দূরত্ব, এই বিরহ আমার আর সহ্য হয় না।মনে হয় উড়াল দিয়ে চলে আসি তোর কাছে।তুই কিন্তু খুলে রাখিস তোর দ্বার,আমি কিন্তু শীঘ্রই আসবো।
শুনেছি তুই নাকি আজকাল বেশ বড় হয়ে গিয়েছিস।তাহলে কী আমি ধরে নিবো,এখন তুই আর চকলেট এর জন্য বায়না করিস না।উল্টাপাল্টা কথা বলে কারো মেজাজ গরম করিস না।
তাছাড়া কখন যে নিজের বোকা বোকা কাজগুলো দিয়ে সবাইকে ইরেটিং করে তুলিস,তা তো তুই নিজেই জানিস না।তাহলে কী এসব ছেড়ে দিয়েছিস এখন।
যদি ছাড়িস তাহলে বলবো,আমার পাখিটি সত্যিই বড় হয়ে গিয়েছে।আচ্ছা... এখন কী শাড়ী পড়তে পাড়িস।জানিস তোকে শাড়ীতে দেখা আমার কতকালের শখ।কিন্তু দেখ তোকে শাড়ীতে কেন,চোখেও দেখতে পাচ্ছি না এখন আমি।তুই কী জানিস পাখি,আমার মনপাখিটা তোর জন্য ছটপট করে।তোকে দু'চোখ ভরে দেখার জন্য আমার চোখ দু'টো শুধু তোকে খুঁজে।আমার এই অপেক্ষার প্রহর যেনো শেষই হচ্ছে না।কবে শেষ হবে বলতো,আমি যে আর পাড়ছি না।(কলমে-ইয়াসমিন তানিয়া)
তিশা বার্তাটা পরে কোনো অনুভূতি দেখালো না।বরং চুপচাপ ফোনটা টেবিলের উপর রেখে রুমের বাহিরে চলে গেলো।গত দু'বছর ধরে প্রতিদিন এমন অনেক বার্তা আসে তিশার কাছে।প্রতিটি বার্তায়, কারো হৃদয়ের অসীম ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।মানুষটি তার মনের সকল না পাওয়া ইচ্ছাগুলো তিশার কাছে তুলে ধরে গোপনে।প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগলেও,এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।মানুষটির কষ্ট এখন কিছুটা হলেও অনুভব করে।তবুও কিছু একটা আছে,যা তিশা বুঝতে পারে না।তাছাড়া ম্যাসেজ করা ব্যক্তিটি কে তিশা জানে।
জানে বললে ভুল হবে শুধু চিনে।তাই ম্যাসেজ পড়ে কেমন অনুভূতি হওয়া উচিত ও আজও জানেই না।যে মানুষটিকে গত চার বছরের উপর হলো চোখে দেখে না সে মানুষটির প্রতি তার ভালোবাসার অনুভূতি কেমন হওয়া দরকার।ভালোবাসা কী তখন তো ও জানতোই না,যখন এই মানুষটি ওর জীবনের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে পড়েছিলো।আর এখন যখন বুঝে,সে তো অনেক দূরে।আর তার দূরে থাকাই আমার জন্য ভালো।
তিশা নিচে এসে দেখে নিশি দাঁড়িয়ে আছে।দ্রুত কদমে নিশির সামনে গিয়ে বলে,"চল দেরি হয়ে যাচ্ছে"।
নিশি একটু বাড়ীর দিকে উঁকি দিয়ে বলতে লাগলো,উম! চল।
কাঙ্কিত মানুষটিকে দেখতে না পেয়ে,কিছুটা নিরাশ হয়ে যখন গাড়ীর দরজা খুলতে যাবে,ঠিক সেই সময় রায়হান বের হলো পুরো ফরমাল ড্রেসআপে।কাঁধে তার একটা অফিস ব্যাগ।বাইকে বসে কখন ধরে হর্ণ বাজাচ্ছে কিন্তু ব্যাচারী নিশি পথ আটকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওর কোনও খবর নেই।
-'আমি জানি রায়হান ভাইয়া এখন রেগে যাবে।আর ব্যাচারী কে অনেকগুলো কথা শুনাবে।তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমিই নিশিকে টেনে,রায়হান ভাইকে পথ করে দিলাম'।
-'দেখা হয়ে গেলে গাড়ীতে উঠে পড়ুন ম্যাডাম,আপনার ক্রাশ চলে গেছে'।
-'সম্বিত ফিরতেই নিশি কিছুটা তোতলিয়ে বলতে লাগলো,ক.. কী যা তা বলছিস।আমি তো.....।
-'থাক আর বলতে হবে না,আমি জানি আমার ভাইটা অনেক হ্যান্ডসাম,তাই এভাবে ক্রাশ খাওয়াটা স্বাভাবিক'।
-'তাই নাকি তাহলে তুই আমার ভাইয়ের উপর ক্রাশ কেন খেলি না।সে তো তোর রায়হান ভাইয়ের থেকেও বেশি হ্যান্ডসাম, ডেসিং। আর সবথেকে বড় কথা তোর জন্য পাগল।তাহলে তুই আমার ভাইকে বাঁশ কেন মারিস বলতো।ব্যাচারা তোর জন্য কত দূরে পরে আছে'।
ক্রাশ খাওয়ার জন্য ব্যক্তিটাকে চোখে দেখতে হয়,বুঝলি।আর তোর ভাই চার বছর ধরে কারো নজরে আসছে না,তাহলে ক্রাশ কিভাবে খাই বলতো।আমার তো শুধু তার রাগগুলোর কথাই মনে আছে।
সে রাগলে সামনে থাকা ব্যক্তিটাকে ধ্বংস করে দেয়,একটি বারও ভাবে না।এমন মানুষের থেকে দূরে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
-'আচ্ছা দেখবো নিই।একবার ভাইয়া আসুক,ভাইয়ার সামনে বলিস,তোর এই বড় বড় কথা'।
কেন?আমি কী ভয় পাইনি তোর ভাইকে। মনে রাখিস আমার নামও তিশা,তোর ঐ ভাইকে আমার থেকে দূরে থাকতে বলবি,তা না হলে পচা পানিতে এমন চুবান চুবাবো না।দশদিন গোসল করলেও শরীর থেকে গন্ধ যাবে না।
-'আচ্ছা আমিও দেখবো নিই।এখন নামেন গাড়ী থেকে কলেজে এসে পড়েছি।।
.
.
.
চলবে………....................................................