অন্তর্দ্বন্দ্ব - পর্ব ১৮ - সাবরিনা ইমরান - ধারাবাহিক গল্প


ভিনা বাসায় এসেছে প্রায় সপ্তাহখানেক পর।নতুন যে অনলাইন বিজনেস শুরু করেছে,সেটার প্রোডাক্টগুলো কাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া লাগবে।ভিনা অনলাইনে অর্ডার রিসিভ করে কাদেরকে জানিয়ে দিবে,কাদের এ বাসায় এসে সেগুলো প্যাক করে ডেলিভারির জন্য দিয়ে দিবে।এই বিজনেসের স্বপ্ন পুরোটা যদিও মুনার ছিলো,কিন্তু মাহভিনের খেয়াল রাখতে গিয়ে সময় দেয়া হয় না।ভিনাও চাচ্ছে না মুনা এখানে বেশি সময় দেক,মাহভিনকে সময় দেয়াকেই ও সবেচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

-চা নে,তোর নাকি মাথা ব্যাথা ছিলো?

-হ্যাঁ,গত কয়দিন ধরে অনেক মাথা ব্যথা,বুঝতে পারছিনা কেন।

-পড়াশোনার বেশি চাপ নাকি?

-না,অত না।কী জানি কী হলো।

-এক কাজ কর,চোখের ডাক্তার দেখিয়ে ফেল।

-চোখের ডাক্তার?কিন্তু চোখে সমস্যা তো মনে হচ্ছেনা।

-অনেক সময় এমন হয়।দোলার ও হয়েছিলো এমন মাথা ব্যথা,পরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখে পাওয়ারের চশমা লাগবে।

এতটুকু বলেই মুনা কিছুটা চুপ হয়ে গেলো।আড়াই বছর হয়ে যাচ্ছে দোলার সাথে যোগাযোগ নেই।এতদিনে দোলার বাচ্চা হয়ে যাওয়ার কথা।কত আদর যত্ন দিয়ে দোলাকে বড় করেছিলো মুনা।নিজের আগে দোলার জন্য সুন্দর কানের দুল,চুড়ি,লেস দেয়া ওড়না কিনত,আজকে সেই দোলাই খোঁজ নেয়না।মুনাকে অন্যমনস্ক দেখে ভিনা মুনার হাত ধরে হালকা ঝাঁকুনি দিলো।

-কী হয়েছে?

-কিছুনা রে।দুপুরে কী খাবি?ওখানে ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করিস তো?

-দোলার কথা মনে পরছে?

-মনে করে কী লাভ বল।কেউ তো আমাকে মনে করে না।যাদের ভালোবাসা দিলাম,তারা দূর করে দিলো,যাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিলাম,সেই আমাকে ভালোবাসা দিচ্ছে।

-বাবা তোমাকে শুরু থেকেই ভালোবাসে,তুমি তার স্ত্রী,ভালোবাসবে না কেন?

-আমি তোমার কথা বলছি ভিনা।তুমি আমাকে মা হিসেবে যে সম্মান আর ভালোবাসা দিলে,এর তুলনা হয় না। যদিও আমি এর প্রাপ্য না ভিনা।

-এসব কথা ভাবো কেন?তুমিও তো মায়ের দায়িত্ব পালন করছো তাইনা?

-তোমার জন্যই পেরেছি....আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শূণ্যতা তোমার জন্যই দূর হয়েছে।

ভিনা মুনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বোঝার চেষ্টা করলো সব।হটাৎ কী হলো তার?
মুনা ভিনার এই চোখের চাহনির অর্থ বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি উঠে চলে গেলো।

বিকেলের দিকে সোহেল এসে দেখলো ভিনা মাহভিনকে কোলে নিয়ে খেলা করছে।মাহভিন ভিনার কোলের উপর দাঁড়িয়ে ইচ্ছামত লাফাচ্ছে।মুনা দূরে চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু বলতে চাচ্ছে,কিন্তু বলতে পারছে না।

সোহেল সরাসরি ভিনার কাছে না গিয়ে মুনাকে চোখের ইশারায় রুমে ডেকে নিলো।

-তোমাকে না বলেছিলাম মাহভিনকে ভিনার কোলে না দিতে?

-মানা কীভাবে করবো বলো?এতদিন পর বাচ্চাটাকে কোলে নিয়েছে।

-আশ্চর্য?মেয়েটা কয়দিন আগে হস্পিটালে থেকে এসেছে।তোমার কি সেন্সিবেল হওয়া উচিৎ ছিলো না?নাকি এখন ভিনাকে আবার অপছন্দ করছো?

-তুমি মাঝে মাঝে এমন কথা বলো,একদম ভেতরে কষ্ট লাগে।তুমিই বলো,আমি ভিনাকে কী বলে মানা করবো?রক্তের টান আছে না?

-তুমি কি নিজের সন্তান আবার হারাতে চাও?

মুনা একিসাথে বিস্ময় এবং করুণভাবে সোহেলের দিকে তাকালো।সোহেলের খারাপ লাগলেও,নিজের সিদ্ধান্তে শক্ত থাকলো।

মুনা ভিনার রুমে গিয়ে দেখলো মাহভিন ভিনার বুকের উপর পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে।দৃশ্যটা দেখে মুনার চোখে পানি এসে পড়লো,সেই সাথে মনে ভয়ও কাজ করলো।

-রুমে ঘুম পাড়িয়ে দেই?এভাবে কতক্ষণ রাখবে?

-থাকুক একটু। 

-ঘার একদিকে বেশি হেলে পরেছে,বিছানায় বালিশ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেই।

ভিনা আরো কিছু বলার আগেই দরজার পাশে সোহেলকে দেখলো।চোখ নামিয়ে নিয়ে মাহভিনকে মুনার কোলে দিয়ে দিলো।

-কেমন আছিস ভিনা?

-ভালো বাবা।তুমি?

-এইত ভালো।কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো ওখানে?

-না,কোনো সমস্যা নেই।

মুনা মাহভিনকে রুমে শুইয়ে দিয়ে ভিনার রুমে এসেছে।

-শোনো,তোমার মেয়ের কিন্তু মাথা ব্যথা হচ্ছে কয়দিন ধরে।ওকে চোখের ডাক্তারের কাছে নাও।

-কী ভিনা?কয়দিন ধরে মাথা ব্যাথা?

-তিন-চার দিন ধরে।চিন্তার কিছু নেই বাবা।

-সেটা নিয়ে তোকে ভাবা লাগবে না।সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছে যাবি আমার সাথে।

-তুমি তো মাত্রই এলে বাইরে থেকে,আবার যাবে সন্ধ্যায়?

-তোকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে না।রেডি থাকিস।

কথা শেষ করে সোহেল রুমে যেয়ে শুয়ে পড়লো।মুনা চলে গেলো রান্নাঘরে পাকোরা আর চা বানাতে।ভিনা নিজের রুমে একা বসে থাকলো বেশ কিছুক্ষণ।নিজের ঘরে নিজেকেই আগন্তুক মনে হচ্ছে।একই শহরে থেকেও পরিবার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে।কিন্তু আজকে বহুদিন পর সোহেলের এই চিন্তা দেখে ভিনার মনে হচ্ছে,সে যেন এখনো সেই ছোট্ট মেয়ে রয়ে গেছে,যাকে তার বাবা পৃথিবীর সব কঠিন সত্য থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।নিজের অসময়ে হারানো শৈশবের জন্য অনেক মায়া লাগছে,অস্থির লাগছে।

ভিনা ধীর পায়ে সোহেলের রুমের দরজার সামনে দাঁড়ালো।কত অভিযোগ ছিলো এই মানুষটাকে নিয়ে।অথচ সেই আজকে নিজের অবিবাহিত মেয়ের জীবনে করা ভুল নিজের কাঁধে দায়িত্বের নাম নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে।এই মধ্যবয়সে,যেখানে সন্তান বড় হয়ে যাওয়ার পর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময়,সেখানে নতুন আরেকজনের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য পরিশ্রম করছে।ক্লান্ত সেই মুখ দেখে ভিনার ভীষণ কান্না পেলো।পাপের চেয়ে প্রায়শ্চিত্তের ভার বেশি হয়ে গেছে সোহেলের।কিন্তু আজকে এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না।

ভিনাকে হঠাৎ এভাবে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সোহেল চমকে গেলেন।

-কী রে মা,ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?এখানে আয়।

ভিনা ছোট বাচ্চার মত দৌড়ে সোহেলকে জড়িয়ে ধরলো।সোহেল নিজের মেয়েকে শক্ত করে বুকের মাঝে আগলে ধরলো।

-আমার জন্য তোমার অনেক কষ্ট হয় তাইনা বাবা?আমি তোমাকে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তাইনা?

-এমন কথা কেন বলছিস মা?

-কোন মেয়ের বাবা নিজের মেয়ের এত বড় ভুলের দায়িত্ব নিয়েছে বলো?কেউ না বাবা,কেউ না।তুমিই আমার ছায়া হয়ে থেকেছো,আর আমি তোমাকে কত কষ্ট দিয়েছি,কত অভিমান করেছি।

-সব ভুলে যা মা,তুইও অনেক কষ্ট করেছিস।আজকে যাই হয়েছে,এর পেছনে অনেকের বড় বড় ভুল ছিলো।বড়রাই যেখানে এতকিছু করে ফেলেছে,তুইতো ছোট ছিলি।

-জানো বাবা,আমার বড় হতে একদম ইচ্ছা করে না।আমার এভাবেই তোমার ছোট মেয়ে হয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।একটা সময়ে আমার মনে হয়েছিলো আমি কখনো তোমার কাছে এভাবে ছুটে আসতে পারবো না।কী যে একা লেগেছে আমার!

-সব ভুলে যা ভিনা।এসব এখন ভাবিস না।

-আমাকে ক্ষমা করে দাও বাবা।আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি ক্ষমা করে দিলে,আমার জীবন সুন্দর হয়ে যাবে,দেখো।

-তোকে কে বলেছে আমি তোকে ক্ষমা করিনি?

-এত বড় ভুল ক্ষমার যোগ্য না।

-তুই ক্ষমা চাস?।

-হ্যাঁ। 

সোহেল ভিনাকে নিজের মুখোমুখি বসালো।চোখ মুছে দিয়ে চুল ঠিক করে দিলো।এরপর আস্তে করে ভিনার হাত নিজের হাতে নিয়ে বললো-

-তোকে কথা দিতে হবে। 

-কী কথা বাবা?

সোহেল চুমকিকে ডাক দিয়ে বললো,মাহভিনকে এই ঘরে দিয়ে যেতে।ঘুমন্ত মাহভিনকে সামনে রেখে সোহেল বললো-

-আমি জানি,আমাকে ছুঁয়ে কথা দিলেই হয়ে যেত।কিন্তু সত্য হলো,সন্তানের চেয়ে কাউকে মানুষ বেশি ভালোবাসতে পারে না। 

ভিনা কিছু বুঝতে পারছে না।একবার মাহভিনের দিকে,একবার সোহেলের দিকে তাকালো।

-বাবা,আমাকে খুলে বলো।

-মাহভিনকে ছুঁয়ে কথা দে ভিনা,আমি এরপর থেকে যা বলবো,তুই মেনে নিবি,মানা করবি না।

ভিনা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,ঠিকাছে বাবা।

-আরেকটা কথা।

ভিনা ভয়ার্ত চোখে তাকালো।ও আন্দাজ করতে পারছে সোহেল কী বলতে পারে।

-মাহভিন যে তোর মেয়ে,এটা তুই ভুলে যাবি।মাহভিন,এবং মাহভিন সম্পর্কিত সব কিছু তুই ভুলে যাবি।আর কখনো,মাহভিনের উপর নিজের মেয়ে হিসেবে অধিকার রাখবি না।তুই সময়মত বিয়ে করবি,সংসার করবি।ফিরেও তাকাবিনা ওর দিকে।

ভিনার চোখ থেকে অনবরত পানি পরছে।এটা প্রায় অসম্ভব ভিনার জন্য।ভিনা অনেক্ষণ সময় নিয়ে,এরপর উত্তর দিলো-

-ঠিকাছে বাবা।

-মাহভিনকে ছুঁয়ে কথা দিলি কিন্তু।

ভিনা মাথা নাড়ালো। সোহেল ভিনার কপালে চুমু দিয়ে এরপর রেডি হতে বললো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য।

সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছে গিয়ে আরেক ঘটনা ঘটলো।পরীক্ষা করে দেখা গেলো পাওয়ারের চশমা লাগবে ভিনার।ছোট থেকেই চশমা বরারবরই অপছন্দ ভিনার।নাকের উপর একটা অসহ্য জিনিস বসে থাকবে,ভাবতেই মেজাজ খারাপ লাগছে।সোহেল মেয়ের এই সামান্য পরিবর্তনে বেশ চিন্তায় পরে গেলেন।তড়িঘড়ি করে দামি কাচের দামি ফ্রেমের দুইটা চশমা অর্ডার দিয়ে দিলেন।চশমার দাম দেখে ভিনার উতখুত লাগছে,এত টাকা এই বিশ্রি জিনিসে খরচ করার কোনো মানেই ছিলো না।ভিনার মন বলছে,সোহেল এই চশমা নেওয়ার পেছনেও মাহভিনকে কারণ হিসেবে গণ্য করবে।পরেরদিন সকালেই চশমার আর্জেন্ট ডেলিভারির কথা দোকানে বলে দিলো সোহেল।ভিনা ভেবেছিলো,পরের দিন চশমা একবারে নিয়েই প্রিতির কাছে চলে যাবে,আজকে রাত হয়ে গেছে।কিন্তু ভিনাকে অবাক করে দিয়ে সোহেল তখনি ওকে প্রিতির বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলো।যেন এক রাত থাকা মানেই মাহভিনের সাথে অদৃশ্য পিছুটান তৈরি হওয়া।ভিনার মন খারাপ হয়ে গেলেও ভিনা হাসিমুখেই সোহেলকে বিদায় দিলো।

চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ভিনা দেখে পুরো বাসা অন্ধকার,কোনো সাড়াশব্দ নেই কারো।এরকম পরিবেশ দেখে ভিনা বেশ ভয় পেলো।প্রিতি নিজের কিছু করলো না তো?ব্যাগ থেকে ফোন বের করে আলো জ্বালাতেই পেছন থেকে প্রিতি এসে পরলো।ভিনা প্রচন্ড ভয়ে তাল হারিয়ে পড়তে নিলো।

-এই এই!কী হলো।

প্রিতি ভিনাকে ধরে ফেললো,সাথে সাথেই আলো জ্বালিয়ে দিলো রুমে।

-ইশশ রে আপু!আজকে আমি মরে যেতাম ভয়ে।এভাবে ঘর অন্ধকার করে রেখেছো কেন?এভাবে কেউ থাকে?

-আলো আমার ভালো লাগে না ভিনা।যখন একা থাকি এভাবেই থাকি।

-আর থাকবে না এমন!

প্রিতি বাধ্যগত হয়েছে,এমনভাবে হাসি দিলো।

-কিছু খেয়েছিলে সারাদিন?

-হ্যাঁ। 

-কী খেয়েছো শুনি?

-ম্যারি বিস্কিট

-ও বাবা!কী ভারি খাওয়া!

প্রিতি ভিনার বলার ভঙ্গি দেখে হেসে দিলো।

-হাসি থামাও তো,যা করতে পারো তুমি।অপেক্ষা করো,আমি কিছু বানিয়ে আনি।

ভিনা জলদি ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে যেয়ে দেখে নুডুলস ছাড়া কিছু নেই,এই নুডুলস ও ভিনা নিয়ে এসেছিলো।তাকের উপর আচারের বয়োম রাখা দেখলো।কিন্তু সেই আচার একদম শেষ হয়ে শুধু মশলা আর তেল রয়ে গেছে।ফ্রিজ ঘেটে একটা ডিম আর কিছু কাঁচামরিচ ছাড়া কিছুই পেলো না।

একটা কড়াইয়ে প্রথমে সব কয়টা কাঁচামরিচ তেলে ভেজে নিলো ভালোমত,এর মধ্যে আচারের একটু মশলা নিয়ে এর মধ্যে ডিম ভাজি করে নিলো।ডিমটাকে ভাজা ভাজা করে এর মধ্যে সেদ্ধ নুডুলস দিয়ে রান্না করে ফেললো।

এত কম উপকরণে রান্না করায় ভিনা ভেবেছিলো খেয়ে মজা হবে না বেশি।কিন্তু হলো উল্টো,ভাজা কাঁচা মরিচের ঘ্রাণ আর ঝালের সাথে আচারের মশলার কম্বিনেশন খুবই মজার হলো।প্রিতি খুব রুচি নিয়ে অর্ধেকের বেশি নুডুলস শেষ করলো।ভিনা প্রিতির এই তৃপ্তি দেখে ভেতরে অন্যরকম শান্তি অনুভব করছে।

-জানিস ভিনা,অনেক বছর হয়ে গেছে,কেউ এভাবে রান্না করে খাওয়ায় নাই আমাকে।

ভিনা প্রিতিকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে।পৃথিবীতে অর্থহীন মানুষগুলো সাহায্য পেলেও,ভালোবাসাহীন মানুষগুলো একাই রয়ে যায়।কেন মানুষ দৃশ্যমান না হলে সেটাকে এত অবহেলা করে?
.
.
.
চলবে....................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp