___রাত এগারোটায় আয়ান বাড়ি আসলো। ফোনে কথা বলতে বলতে নিজের রুমেই চলে গেল। শিরিন কিছু বলতে চেয়েছে। কিন্তু আয়ান ইশারা দিয়ে বলেছে ফ্রেশ হয়ে এসে শুনবে।
আয়ান রুমের দরজা খুলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। প্রাপ্তি!
সে ভুলেই গিয়েছিলো প্রাপ্তি নেই, এগিয়ে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে আরমিন কে। আরমিন হঠাৎ আয়ান এসে জড়িয়ে ধরতেই ব্যাপারটা বুঝতে আর দেরি হলো না। আরমিন চুপ করে চোখ বন্ধ করে আয়ানের স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করছে।
- স্যরি বউ, আজও দেরি করে ফেললাম তাই না? আজ তুমি আমায় বকা দাও মারো আমি কিচ্ছু বলবো না শুধু আমার থেকে হারিয়ে যেও না। আমার কষ্ট হয় তোমাকে ছাড়া থাকতে তুমি সেটা জানো। বলো জানো না? আমার দম বন্ধ হয়ে আসে তোমাকে ছাড়া। প্লিজ যেওনা তুমি।
কথাগুলোর মাঝে যেন আরমিন হারিয়ে যাচ্ছে। আয়ান যেন তাকেই বলছে। মনের ভেতর অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করছে।
- প্রাপ্তি কথা বলছো না কেনো? প্লিজ চুপ করে থেকো না। আজ কতটা দিন আমি মন খুলে তোমার সাথে কথা বলতে পারি না।
আয়ন আরমিনের কাঁধ ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে হতভম্ব হয়ে গেছে।
- আপনি?
- হু...
- এই শাড়িটা তো...
আয়ানকে থামিয়ে আরমিন বলল, প্রাপ্তির!
আরিয়া আমাকে আজ এই শাড়িটা জোর করেই পরিয়েছে। আমাকে নাকি এই শাড়ি পরে তার মায়ের মতো লাগছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি পরতে চাইনি, আপনার মাও বলল তাই পরলাম।
- হু।
- আসলে আরিয়া বলল আপনার রুমে তার এই শখের পুতুলটা ফেলে গেছে তাই নিতে আসলাম
আয়ান দ্বিধাকন্ঠে বলল, স্যরি। আসলে আমারও ভাবা উচিত ছিল, আমার প্রাপ্তি এইখানে নেই। নিজেকে সংযত রাখা আমার উচিত ছিল।
আরমিন আয়ানের কথা শুনে মনে মনে বলল, কী নিরামিষ খেয়ে যে ডাক্তার হইছে আল্লাহ ভালো জানে। নাকি টিকটিক, তেলাপোকা, খেয়ে হয়েছে। ওনি ডাক্তার হয়েছে কিন্তু মেয়েদের মন বুঝে না।
আরমিন কথাগুলো দাঁতের সাথে দাঁত লাগিয়ে বিড়বিড় করছিলো। আয়ান আরমিনের দিকে তাকিয়ে কিছু বলছেন নাকি?
আরমিন হে হে হে করে হাসি দিয়ে, না না। আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে আপনাকে কিছু বলার? আমার ঘড়ে একটাই মাথা তাই কিছু বলার সাহস নাই।
আয়ান আরমিনের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে মুচকি হেসে বাথরুমে চলে গেল।
আশরাফুল ইসলাম ফোন দিয়েছে আয়ানের ফোনে। আয়ানের সাথে অনেক কথায় বললেন তিনি।
- আপনি চিন্তা করবেন না। আরমিনকে পাঠিয়ে দিবো। ওনি যখন এসেছেন কয়েকটা দিন থাকুক।
- আচ্ছা ঠিক আছে বাবা। তোমার যেভাবে ভালো মনে হয়।
কয়েকটা দিন কেটে গেল, রাফি খোঁজ নিয়ে দেখেছে পাবেল নামের একজন সেদিন প্রথম থেকেই ঘটনার সময় ছিল।
আয়ানকে কথাটা জানাতেই আয়ান আর দেরি করলো না, রাফিকে নিয়েই পাবেলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।
দুই ঘন্টা পর পাবেলের বাড়ি এসে পৌঁছালো তাঁরা।
পাবেলের ড্রইংরুমে বসে আছে আয়ান আর রাফি। পাবেলের স্ত্রী নাশতা নিয়ে এসে বলল, উনি গোসল করেই আসছে। আপনারা নাশতা খেয়ে নিন। আয়ান মুচকি হেসে, আপনি দয়াকরে উনাকে ডাকুন। আমরা নাশতা অন্য একদিন সময় করে এসে খেতে পারবো। আয়ানের মন আনচান করছে। কী হয়েছিলো সেদিন? নিশ্বাসের শব্দ ঘন হতে লাগলো। সহ্যশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে তার।
- এই লোকটার এখনি গোসল করতে হবে? বেয়াদব অসভ্য লোক একটা। ইচ্ছা করছে বানর নিয়ে এসে পিছনে লাগিয়ে দেই।
আয়ানের বিড়বিড় করে বলা কথাগুলো শুনে, কিরে তুই কী যাতা বকছিস? তুই এসব বলা শিখলি কোনদিন থেকে?
- ওহ্ রাফি পরে তোকেও শিখিয়ে দিবো, এখন এই ভিজা বিড়ালটাকে বেরিয়ে আসতে বল।
কথাটা বলতেই পাবেল এসে,
আমি একেবারেই দুঃখীত। আপনাদের এইভাবে বসিয়ে রাখার জন্য। আসলে অফিস থেকে আসলাম তো তাই।
পাবেল আয়ানের সামনে বসে, আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি। কিন্তু কোথায় দেখেছি?
আয়ান পাবেলের কথা শুনে মনে যেন আশার আলো ফুটে উঠলো। আবেগী গলায় বলল, কোথায় দেখেছেন আপনি আমায়?
পাবেল একটুখানি অন্যমনষ্ক হয়ে ভেবে বলল, হ্যাঁ মনে পড়েছে। আরে মিঞা আপনি তো একজনের বউ নিয়ে পালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিলেন।
আয়ানের মুখটা যেন ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেল।
রাফি অবাক হয়ে, বউ নিয়ে পালিয়েছে মানে?
পাবেল রাফির কথার উত্তর না দিয়ে, সেদিন অনেকেই বলাবলি করছিলো আপনি একজন ডাক্তার। আর ডাক্তার হয়ে এমন একটা কাজ করতে আপনার মনে একবারে জন্যও কোনো বাঁধা আসেনি?
- আপনি এইসব কী আজগুবি কথাবার্তায় বলছেন? যে আমার সাথে ছিলো ও আমার স্ত্রী।
- আপনার স্ত্রী?
- হুম আমার স্ত্রী। আয়ান নিজের ওয়ালেটটা বের করে এই দেখুন আমাদের বিয়ে ছবি।
পাবেল গম্ভীর হয়ে বলল, কিন্তু ওই লোকটা তো বলল উনার স্ত্রী।
আয়ান পাবেলকে বলল, আপনি আমাকে প্রথম থেকে খুলে বলুন তো সেদিন কী হয়েছিলো? আজ আমি আপনার কাছে জানতে এতদূর ছুটে এসেছি।
পাবেল ধীর গলায় বলল, আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে, আমি আর আমার ভাগিনা মিলে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। একটা প্রাইভেট কার আমাদের পাশ দিয়েই গেল কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেনি। তার আগেই মালবাহী ট্রাক এসে প্রাইভেট কারের সাথে ধাক্কায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। লোকজন চারদিক থেকে দৌড়ে ছুটে আসছিলো, আমিও গেলাম। ভিড়ে মাঝে আমি দেখার চেষ্টা করছি। গাড়ির দরজা ভেঙ্গে শরীরের অর্ধেক বাহিরে আপনার। আর ওই মেয়েটার নিথর দেহ আপনার একটা হাত ধরে ছিল।
এইটুকু শুনে আয়ান চোখ বন্ধ করে ফেললো। দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। তবু তাকে শেষ পর্যন্ত শুনতে হবে। তাকে যে শেষ থেকে শুরু করতে হবে।
আয়ান ভারী গলায় বলল, তারপর?
- সেখানের কয়েকজন বলাবলি করছে আপনি ডাক্তার। কিন্তু কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না। তখনও কিন্তু আপনার একটা হাতের আঙুলগুলো নড়ছিলো।
এরমাঝে একজন লোক এসে বলল, আপনাদের দেখে আপনার স্ত্রীকে তার স্ত্রী বলে দাবি করে। এবং কী এটাও বলে আপনি তার স্ত্রীকে ভালোবেসে পালাতে চেয়েছিলেন। লোকজনকে বুঝিয়ে তিনি আপনার স্ত্রীকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু আপনার স্ত্রী বেঁচে ছিলো না।
আর আপনাকে পুলিশ আসার আগেই কয়েকটা ছেলে হসপিটাল নিয়ে যাবে বলে সেখান থেকে নিয়ে যায়। পরে টিভিতে দেখলাম আপনি বেঁচে নেই। পেপারে যখন এসেছে আপনি আর আপনার স্ত্রী এক্সিডেন্ট করেছেন তখন থেকে অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জেগেছে ওইলোকটাই সবাইকে বোকা বানিয়ে আপনার স্ত্রীর লাশটা সরিয়ে নিলো।
পাবেল একটু দম নিয়ে আবার বলল, আমি আপনাকে প্রথম দেখাই চিনেছি। এবং কী এটাও জেনেছি ওই মেয়েটা আপনারই স্ত্রী। শুধু মাত্র আপনাকে যাচাই করার জন্যই বলছি।
আয়ানের মুখে কোনো কথা নেই। চোখগুলো লাল রক্তবর্ণ হয়ে চোখে পানি টলমল করছে। তার মানে প্রাপ্তি সত্যিই আর আমার জীবনে নেই। আয়ান অনেক কষ্ট করে পাবেলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো।
কেনো হলো তার জীবন এতো এলোমেলো? কে ছিলো যে আমার পাগলিকে নিজের বলে দাবি করে নিয়ে গেল। নিজের রুমে এসে প্রাপ্তির ছবিকে বুকে জড়িয়ে বসে চিৎকার দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে সে। এতোদিন তার বিশ্বাস ছিল প্রাপ্তি যেখানে হোক বেঁচে আছে। কিন্তু পাবেলর কথায় আজ মনে হলো সে তার প্রাপ্তিকে সত্যিই হারিয়ে ফেলেছে।
আয়ানের কান্না শুনে শিরিন আর আরমিন দৌড়ে এসে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। তারা নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের চোখ মুছছে। আয়ানকে এই প্রথম সবাই কাঁদতে দেখেছে। নিলিমা বেগম নিজের রুম থেকে ছটপট করছে আয়ানের কান্না শুনে। পাগলের মতো শিরিন আর আরমিনকে ডাকতে লাগলো।
শিরিন দৌড়ে গিয়ে নিলিমা বেগমকে নিয়ে এলো।
- আয়ান, আয়ানরে... তুই এমন করে কেনো কাঁদছিস বাবা? আমার আয়ান তো ভেঙ্গে পড়ার ছেলে নয়। আমার আয়ান এতো সহজে হার মানে না।
আয়ানের কাছে এগিয়ে এসে, আয়ান, বাবা বল না?
আয়ান নিলিমা বেগমকে জড়িয়ে ধরে, মা প্রাপ্তি সত্যি সত্যিই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। মা আমার প্রাপ্তি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে মা। মা ও তো বলেছিলো আমায় রেখে কোথাও যাবে না। কিন্তু কই? সে তো কথা রাখলো না। ও মা কেনো রাখলো না? মা, মা তুমি বলো না? ও কেনো ওর কথা রাখে নাই। সবাই কাঁদছে আয়ানের কথা শুনে। নিলিমা বেগম ছেলেকে কী বলে সান্ত্বনা দিবে সে ভাষা তার নেই। যে মানুষ নিশ্বাসের সাথে মিশে থাকে তাকে কী আর ভুলা যায়?
কিছুদিন যেতেই আয়ান একটু স্বাভাবিক হয়ে উঠলো।
যাই ঘটে যাক, আরিয়া আর নিলিমা বেগমের জন্য তাকে বাঁচতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এসে আয়ান একটু অবাক হলো। আরমিন আরিয়াকে খাইয়ে দিচ্ছে আর গল্প শুনাচ্ছে। নাহ্ মেয়েটাকে আর এইভাবে আমাদের সাথে জড়ানো ঠিক হবে না। কয়েকটা মাস তো হয়েই গেল। ওকে চেন্নাইতে পাঠিয়ে দিবো। ওর বাবাও ওইখানে একা একা পড়ে আছে। এখানে থেকে শুধু শুধু নিজের জীবন নষ্ট করার মানে নেই।
আরমিন আরিয়াকে বিদায় দিয়ে ঘরে আসতেই আয়ান বলল, আরমিন, একটু শুনুন?
আরমিন মুচকি হেসে এগিয়ে এসে সোফায় বসে, জ্বি বলুন।
- ভাবছি আপনাকে চেন্নাইতে পাঠিয়ে দিবো তিন চারদিনের মধ্যেই। আপনি অনেক করেছেন আমার জন্য। আমি এই ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না। তবুও আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি আপনি যদি মনে করেন আপনার জীবনে আমি কোনো উপকারে আসি সেদিন নিশ্চয়ই আমায় স্মরণ করবেন। এই আয়ান আপনার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে কিছু করার।
- কিন্তু আমি যা চাই আপনি তো তা করবেন না। তাহলে ওই চাওয়ার কোনো মূল্য নেই। আপনার সাথে আমার পরিচয়ের কয়েকটা মাস কেটে গেল। কিন্তু আপনি এখনো পর্যন্ত আমাকে তুমি করেই বলতে পারলেন না। আমি জানি আপনার প্রাপ্তির জায়গায় কেউ কখনো নিতে পারবে না। আর আমি নিতে চাইও না। চেয়েছিলাম ওর জায়গা ওর থাক না। আমার জন্য আমি আলাদা জায়গা চেয়েছি। আমি যেরকম প্রাপ্তির জায়গা যেতে রাজি না। সেও আমার জায়গায় আসতে পারবে না। ভালোবাসা যদি হয় একজনের জন্য তাহলে একজন চলে গেলে যে আরেকজন আসে তাকে কী বলে? আমি এটাও মানছি আপনি সবার মতো না কিন্তু আপনি এলিয়েনও না। আপনিও মানুষ, আপনার শরীরও রক্তমাংসে গড়া। আপনারও সাধ আছে। আপনারও চাহিদা আছে। আচ্ছা আমি কী ভুল বলছি?
আপনি ডাক্তার, হাজার হাজার মানুষ আপনার উপর ভরসা করে থাকে। আর সেই মানুষটাই যদি অবুঝের মতো কাজ করে তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।
আয়ান কিছুক্ষণ আরমিনের দিকে তাকিয়ে থেকে জোরে নিশ্বাস ফেলে বলল, আপনি ভুল কিছু বলছেন না। তবে প্রাপ্তি ছাড়া কারোই উপর আমার কোনো চাহিদা নেই। মন কোনো খেলার মাঠ নয় একপ্রান্তে আমি আপনাকে যায়গা করে দিবো। সবার চাহিদা যে এক হবে তাও কিন্তু না। আপনি কী করতে চান সেটা বলেন। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আমার জন্য যদি এখানে থেকে নিজের ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চান তাহলে ভুল করবেন। যা করবেন ভেবে চিন্তে করবেন।
কথাটা বলে আয়ান উঠে দাঁড়াতেই আরমিন বলল, আসলে বাংলাদেশে আমার আরেকটা কাজ আছে। আমি কাজটা শেষ করে চলে যাবো। কিন্তু তার আগে আমি এভাবে বাসায় বসে থেকে ভালো লাগছে না।
আপনি যদি আপনার হসপিটালে একটা...
আরমিন বলার আগেই আয়ান বলল, কাল সকালে আমার সাথে যাবেন সব বুঝিয়ে দিবো।
আর হ্যাঁ আরেকটা কী কাজ? সেটার জন্য আমাকে প্রয়োজন হলে বলবেন। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার জন্য।
আরমিন বসা থেকে দাঁড়িয়ে, আসলে আমার বাবা বাংলাদেশে কেনো থাকে না জানেন?
আয়ান প্রশ্নবোধক চাহনি নিয়ে তাকালো।
- আমাদের দাদার বাড়িতে এখনো সবাই একসাথেই থাকে। আমার চাচা চাচী ফুফু সবাই। চাচাতো ভাইবোন মিলে পরিবারটা অনেক বড়। কিন্তু সেখানে আমাদের কোনো স্থান নেই। কেনো জানেন?
বাবা ভালোবেসে মাকে বিয়ে করেছে বলে। বাবার পরিবার মেনে নেয়নি বলে মায়ের পরিবারও মেনে নেয়নি। তারপর বাবা পাড়ি জমায় চেন্নাইতে। মাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে একটা ব্যবসা শুরু করে। যেখান থেকে আজ আমার বাবা সফল ব্যবসায়ী। কিন্তু বাকি সবার মতো আমারও ইচ্ছে করে দাদা-দাদি সবার কাছে গিয়ে একটু ভালোবাসা নিতে। মা তো চলেই গেছে। বাবাকে নিয়ে তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে বলতে, আমার বাবা কোনো অন্যায় করেনি। ভালোবাসা কী অন্যায় বলুন? কেনো আপনারা আমার বাবাকে এতো শাস্তি দিচ্ছেন?
দাদা কেও বলতে ইচ্ছে করছে, আপনি কী ভালোবাসেননি আপনার স্ত্রী কে? তাহলে আমার বাবার কেনো দোষে পরিবার থেকে আলাদা হতে হয়েছে?
কথাগুলো বলতে আরমিনের গলায় যেন আটকে গেল। আয়ান এগিয়ে এসে আরমিনকে বসিয়ে, আপনার বাবাকে আসতে বলুন। ওনি একা একা না থেকে আমাদের সাথে থাকলে ভালো হবে। আর হ্যাঁ আমরা কিন্তু আপনার দাদার বাড়িতে যাচ্ছি খুব শ্রীঘ্রই।
.
.
.
চলবে..................................