শেষ থেকে শুরু - অন্তিম পর্ব ২২ - রাবেয়া সুলতানা - ধারাবাহিক গল্প


___রাতের আকাশে চাঁদের আলোয়ে চারদিকে ঝলমল করছে। আয়ান জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রাপ্তি এসে পাশে দাঁড়াতেই,

- আচ্ছা প্রাপ্তি, আজকে ডাক্তারও বলল তোমার কিছু মনে ছিল না। তাহলে তোমার কখন থেকে মনে হয়েছে তুমি জানো, বুঝো?

- একমাস আগে। ইমতিয়াজ ভাইয়ার মা অনেক ভালো।
এবং কী উনিও। তোমার ছবি যখন পেপার বা টিভিতে দেখতাম তখন আমার মাথা ঠিক থাকতো না। আমার তখন মনে হতো আমি তোমাকে চিনি। বার বার এটাই মনে হতো, তুমি আমার এমন একজন যার ভালোবাসায় আমার সব কিছু পরিপূর্ণ ছিলো।

আস্তে আস্তে আমার সব মনেও পড়ে গেল। যখন আমি ইমতিয়াজ ভাইয়ার মাকে জানাবো যে আমার সব মনে পড়েছে, তুমিই আমার স্বামী । কিন্তু উনি আমি বলার আগেই আমাকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎই বলে ফেললেন, ইমতিয়াজের সাথে তোমার বিয়েটা হলে আমি নিশ্চিন্তে মরতে পারবো। আমি অনেক দিন থেকেই কথাটা ভাবছি।

কথাটা শুনে আমি আর কিছু বললাম না। আমি তখন ভাবতাম তোমাকে ফোন দিবো। একদিন দিয়েও ছিলাম একটা মেয়ে ধরলো। জানলাম মেয়েটার নাম আরমিন।

কিছু বললাম না। ফোন কেটে দিলাম।

কথাটা শুনে আয়ান অবাক হয়ে, তুমি আমায় ফোন দিয়েছিলে?

- হু।

- তারপর?

ভেবেছিলাম সুযোগ পেলে এদেরকে সব বলে সেখান থেকে চলে আসবো। আমি বলতেও চেয়েছি উনার মাকে। কিন্তু ওনি এটা ওটা বলে কথা ঘুরিয়ে নিতেন। যখন শুনলাম ইমতিয়াজ ভাইয়া ঢাকায় আসছে। তোমার প্রেস কনফারেন্সে জয়েন করবে এবং আমাকেও ডাক্তার দেখাবে।

জানো আমি সেদিন কতোটা খুশি হয়েছিলাম তোমাকে বুঝাতে পারবো না। ইমতিয়াজ ভাইয়া আমাকে নিজে থেকেই সেদিন তোমার প্রেস কনফারেন্সে নিয়ে গেল। আমি তো সুযোগ পেয়ে গেলাম। ভাবলাম তোমাকে অবাক করে দিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াবো।

কিন্তু আরমিনকে নিয়ে তোমার শেষ কথাটা শুনে ইচ্ছেটা যেন মরে গেল। যখন দেখলাম তুমি বাহিরে আসতেই ওই মেয়েটা তোমায় জড়িয়ে ধরেছে তখন যেন ইচ্ছে করছিলো সেখানেই মরে যেতে। তখন ভেবেছিলাম আমি ভুল ছিলাম। তবে আজ বলছি আমি সত্যিই ভুল ছিলাম তোমাকে ভুল বুঝে।

আয়ান মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থেকে, তাই? তাহলে এখন শাস্তি পেতে হবে তো।

- শাস্তি?

- হুম শাস্তি।

কথাটা বলেই প্রাপ্তির একদম কাছে গিয়ে নিশ্বাসের শব্দগুলো ভারি হয়ে এলো।

আর পশ্চিম আকাশের চাঁদ মেঘে ডাকা পড়লো।

আশেক মাহমুদ কবর জেয়ারত করে বাড়ি ফিরার উদ্দেশ্যে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আরিয়াকে স্কুলে দিয়ে আয়ান আজ নতুন একটা হসপিটালে যাচ্ছে। আজ সেটার উদ্ভাবন করা হবে। আয়ান না গেলেই নয়। কারণ আরমিন চেন্নাইতে সব বিক্রি করে নিজে এই হসপিটালটা দিচ্ছে। মাঝে পথে রাস্তায় আশেক মাহমুদকে দেখে গাড়ি থামিয়ে, আঙ্কেল উঠে আসুন। আশেক মাহমুদ আয়ানকে দেখে কিছু না বলেই গাড়িতে বসে, বাবা তুমি এইদিকে?

- জ্বি আঙ্কেল। একটা কাজ আছে তাই এইদিক দিয়ে যাচ্ছি। আপনার সাথে অনেক বছর পর দেখা হলো।

- হুম ঠিক বলেছো। নাতনিটা কেমন আছে? না ভুল বললাম, তোমার মেয়েটা কেমন আছে? নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়ে গেছে?

- জ্বি আঙ্কেল ভালো। এইমাত্র স্কুলে দিয়ে আসলাম।

নয়না কেমন আছে? ওর তো আর খোঁজ পেলাম না। আমার হসপিটাল থেকে সে যে চলে এলো জেদ করে আর যোগাযোগ হয়নি।

আশেক মাহমুদ মন পাথরের মতো শক্ত করে, মানুষ বেঁচে থাকলে তো যোগাযোগ করবে। মৃত মানুষ কী আর কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে?

- কথাটা শুনেই আয়ান ব্রেক করে গাড়ি থামিয়ে, কী বললেন? মৃত মানে?

আশেক মাহমুদ চোখের পানি মুছে, মেয়েটা অনেক পাপ করেছে অনেক। তাই হয়তো আল্লাহ শাস্তি হিসেবে ক্যান্সার তাকে উপহার দিয়েছে। তার খারাপ কাজের জন্য কতো অপমান লাঞ্চিত করেছি। কী করবো বলো বাবা? সন্তান খারাপ পথে গেলে তো বাবা মায়ের সে দায়ভার নিতে হবে তাই না? জীবনের শেষ কয়েকটি মাস আমাদের সাথে থাকতো না। কারণ মৃদুলের সাথে তার দেখা হয়েছে জানতে পেরেছি। তার সাথেই থাকতো।

আয়ান আশেক মাহমুদকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে, আরমিনের ওখানেই গেল।

আয়ান ইমতিয়াজকে আসতে বলেছে এখানে। অনুষ্ঠান শুরু করার আগে আয়ান আরমিনের একদম কাছাকাছি দাঁড়িয়ে, তুমি আমার জন্য অনেক করেছো। আমি আগেও বলেছি সে ঋণ আমার শোধ করা সম্ভব না।

আরমিন নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।

আজ আমি তোমাকে একটা উপহার দিবো নিবে?

আরমিন আয়ানের দিকে করুণ চোখে তাকালো।

- কী হলো নিবে?

আরমিন মুখে কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে হাত পাতলো আয়ানের সামনে।

- তুমি জানতে চাইলে না উপহারটা কী?

আরমিন চোখ বন্ধ থেকেই বললো, আমি জানি তুমি আমাকে খারাপ কিছু উপহার দিতে পারো না। যেটা দিবে সেটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার হিসাবেই মেনে নিবো।

আয়ান ইমতিয়াজকে ইশারা করে কাছে এনে ইমতিয়াজের একটা হাত আরমিনের হাতের উপর দিয়ে, এই নাও তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। আরমিন চোখ খুলে ইমতিয়াজকে দেখে আয়ানের দিকে ফিরে তাকিয়ে মুচকি হেসে, গ্রহণ করে নিলাম আমি তোমার উপহার।

- আরমিন এতো সহজে তুমি ইমতিয়াজকে মেনে নিলে? সত্যিই কী তোমার উপহার পছন্দ হয়েছে?

- তুমি আমার জন্য যেটা যাচাই করবে সেটা আমার ভালোর জন্যই করবে।

কয়েকটা দিন পার হয়ে গেল। আজ ইমতিয়াজ আর আরমিনের বিয়ে। সেই সুবাদে প্রাপ্তি আর আয়ান তাদের বিয়েতে এসেছে আরিয়াকে নিয়ে।

আশরাফুল ইসলাম আয়ান আসতেই জড়িয়ে ধরে, তুমি এতো দেরিতে আসলে কেনো বাবা?

- আসলে আঙ্কেল সকাল থেকে মায়ের শরীর ভালো না। তাই প্রাপ্তি আসতে চাইছে না। এখন জোর করেই নিয়ে আসলাম।

আশরাফুল ইসলামের বাবা এগিয়ে এসে আয়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে, আল্লাহ সারাজীবন তোমায় ভালো রাখুক। তুমি আমার ছেলে নাতনী সবাইকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো। সেদিন যদি তুমি আমাকে না বুঝিয়ে বলতে তাহলে সারাজীবন আমি আমার ভুল ধারণাগুলো নিয়ে কাটিয়ে দিতাম।

আরমিনও এগিয়ে এসে, তুমি বলতে না, আমার ঋণ তুমি কখনো শোধ করতে পারবে না। তোমার ঋণ তো সেইদিনই শোধ হয়ে গেছে। যেদিন আবার আমাদের পরিবারটাকে একসাথে করে দিয়েছো। আয়ান তুমি এমন একটা মানুষ যার তুলনা সে নিজেই। তার সাথে কারো তুলনা চলে না।

আরমিনের বিয়ে শেষ করে ইমতিয়াজ আরমিনকে রাজশাহী নিয়ে গেল। নতুন করে শুরু হলো আরেকটা জীবন।

আয়ান নয়নাকে নিয়ে আজ ভাবনার জগতে বসেছে। আশেক মাহমুদের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকেই আয়ান মনে মনে অংক কষে বের করলো, ডাক্তার ইকবাল যে মেয়ের বর্ণনা দিয়েছে সেটা নয়না ছাড়া কেউ নয়। আয়ান পরের দিন আশেক মাহমুদের বাড়ি চলে গেলেন। কলিংবেল বাজতেই ইয়াসমিন বেগম দরজা খুলে দিয়ে, তুমি?

- জ্বি আমি।

- ভেতরে এসে বসো। হঠাৎ কী মনে করে?

- আঙ্কেল বাসায় নেই?

- না। বাজারে গেছে বাজার শেষ তাই।

- আন্টি মৃদুলের বাসাটা কোথায় আপনি জানেন?

ইয়াসমিন বেগম কিছু না বলে উঠে ভিতরে রুমে চলে গেলেন।

আয়ান খানিকটা অবাক হয়েও চুপ করে বসে ছিল। ইয়াসমিন বেগম ফিরে আসলো কিন্তু সাথে একটা চিঠি। আয়ানের হাতে দিয়ে, নয়না তোমার জন্য এইটা রেখে গেছে। বলেছে তুমি আসলে দেওয়ার জন্য। হয়তো তুমি তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর এখানেই পাবে।

আয়ান চিঠিটা হাতে নিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে ছিল কিছুক্ষণ।

- আন্টি আজ তাহলে আসি।

- সেকি বাবা, তুমি আমাদের বাসায় এসেছো কিছু না মুখে দিয়ে চলে যাবে?

- অন্য একদিন।

আয়ান উঠে পা বাড়াতেই, তোমার মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেছে তাইনা? ভালো আছে ও?

- জ্বি ভালো আছে।

- ওকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু সামনে যেতে খুব ভয় হয়। যদি তুমি...

ইয়াসমিন বেগমকে থামিয়ে, আপনি গিয়ে দেখে আসবেন। ও প্রাপ্তির মেয়ে। চরিত্রও পেয়েছে মায়ের মতো। মা পাগল মেয়ে কখনো অন্যের কথায় কান দিবে না। আমি ওকে নিজের হাতে গড়ে তুলেছি ওর নিজের মায়ের মতো।

কথাটা বলে আয়ান আর এক মুহূর্তের জন্য দাঁড়ালো না।

প্রাপ্তি গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। কিন্তু আয়ানের চোখে কোনো ঘুম নেই। নয়নার চিঠিটার কথা মনে পড়তেই উঠে বসলো। আবছায়া আলোতে প্রাপ্তির দিকে তাকিয়ে কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে উঠে বেলকনির লাইটটা জ্বালিয়ে ইজিচেয়ারটায় বসলো। চিঠিটার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিঠিটা পড়তে শুরু করলো আয়ান।

 

'প্রথমে তোকে কী বলে শুরু করবো আমি জানি না। তবে এইটা নিশ্চিত তুই যখন এই চিঠিটা পড়ছিস তখন আমি আর এই দুনিয়াতে নেই। তোর মনে অনেক প্রশ্ন জমে আছে আমি জানি। তবে এই চিঠিটা পড়ার পর তোর সব উত্তর তুই পেয়ে যাবি।

তোর মনে আছে আয়ান? যেদিন মৃদুলের বাচ্চার বাবা তুই হতে চেয়েছিস আমি সেদিন থেকেই তোকে ভালোবেসে ফেলেছি। তুই শুধু বাচ্চার বাবাই হতে চেয়েছিস কিন্তু আমার মনে মানুষ নয়। বিশ্বাস কর তোকে অনেকবার বুঝাতেও চেয়েছি কিন্তু তুই আমাকে বুঝলি না। তোর মনে শুধু প্রাপ্তি আর প্রাপ্তি।

দেশে ফেরার পর তোর সাথে যখন আমার আবার দেখা ভেবেছিলাম অতীতের সব ভুলে তোকে নিয়ে সংসার করবো। আমি তুই আর আরিয়া। তোকে আমি মিথ্যা বলেছিলাম, আমার স্বামী সন্তান আছে। অবশ্য তুই সবটাই জেনে গেছিস এবং কী আমাকে অনেক অপমানও করেছিস।

আমার স্বপ্ন ধারণা সব ভেঙ্গে তুই আবার প্রাপ্তিকে বিয়ে করেছিস। তখন আমি সহ্য করতে পারিনি আয়ান। আমি জানি আয়ান, আমি খারাপ ছিলাম। মাদকাসক্ত ছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস কর তোকে পেলে আমি সব ছেড়ে দিতাম।

আয়ান তোর প্রাপ্তিও সেদিন আমাকে অনেক অপমান করেছিলো। সেদিন আমি কাঁদতে কাঁদতে তোর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলাম। পরেরদিন তোর বউয়ের হয়ে তুই আবারও আমায় অপমান করলি। আয়ান! আমি সত্যিই কী তোর যোগ্য ছিলাম না? তবে এর কিছুদিন পর মৃদুলের সাথে আমার আবার দেখা। মৃদুল সবকিছুর জন্য আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলো আমি তখন নিমিষেই মাফ করে দিয়েছিলাম। আর তোর কথাও সব বলেছিলাম ওকে। মৃদুল বলল, আরিয়াকে নিয়ে এসে আমরা একসাথে আবার থাকা শুরু করবো। তোদের এক্সিডেন্টের প্ল্যান ছিল ওরই। এক্সিডেন্টের পর প্রাপ্তিকে নিজের স্ত্রী বলে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলে। আর তোকে মারার প্ল্যান করেছিল। কিন্তু প্রাপ্তির কোনো দোষ ছিল না। হয়তো সে আমায় কম কথা শুনায়নি। তবে ওর জায়গায় আমিও থাকলে একি কাজ করতাম। সেটা ভেবেই আমি ওকে হসপিটালে নিয়ে যাই।

যখন তুই দেশে ফিরে এলি তখন মৃদুল আমাকে ছেড়ে চলে যায়। যাবে না কেনো বল? তখন যে ডাক্তার বলেছে আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু কোথায় গেছে আমি জানি না। ভেবেছিলাম প্রাপ্তিকে সুস্থ করে তোর কাছে ফিরিয়ে দিবো তাও আর হলো না। আমার সময়টা এতোই কম ছিল তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ারও ভাগ্যে জুটেনি। আয়ান আমি অনেক অন্যায় করেছি তোদের সাথে, আমি জানি এসবের ক্ষমা নেই। তুই আমাকে ক্ষমা করিস না। কিন্তু আমার মেয়েটাকে দেখে রাখিস। প্রাপ্তি ওর মা তুই ওর বাবা। সারা পৃথিবীর মানুষ শুধু এটাই জানবে। আমার মতো পাপীর ছায়া ওর উপর যেন না পড়ে হয়তো এই জন্যই আমি বেঁচে থাকবো না। তোকে এই চিঠি কেনো লিখেছি জানিস? আমি জানি তুই আয়ান একদিন না একদিন সব ঠিক করে নিবি। প্রাপ্তিকেও খুঁজে নিবি কারণ শেষ থেকে শুরু করাটাই আয়ানের কাজ। কিন্তু আমি পাপী মরে গেলে বেঁচে যাবে আরেকটা শয়তান। সেই শয়তান আমাকে বোকা বানিয়ে আবারও তোর সর্বনাশ ডেকে এনেছে। জানি না তার জন্য কী শাস্তি অপেক্ষা করছে। তবে আমি জানি তুই তাকে কখনোই ছাড়বিনা। ভালো থাকিস তোরা। খুব ভালো থাকিস। '

আয়ান চিঠিটা হাতে ধরেই চোখ বন্ধ করে বসে আছে। কারো স্পর্শ পেয়ে অনুভব করে, তুমি না ঘুমে ছিলে?

- হুম ঘুমেই ছিলাম। ক্ষমা করে দাও মানুষটাকে।

- তুমি কী চিঠিটা পড়েছো?

- হু, তোমাকে না বলেই পড়ে ফেললাম।সে জন্য স্যরি। কিন্তু আমি তোমাকে বলবো মৃত মানুষটাকে ক্ষমা করে দিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলি। জীবন কখনো থেমে থাকে না। জীবন নিজের গতিতেই চলে। পাপপুণ্যের হিসাব মানুষ করতে পারে না। সেটা আল্লাহর হাতে ছেড়ে দাও। তোমার অর্জন অনেক বেশি তাই মানুষ নামের কিছু শয়তান পিছনে পড়ে থাকবেই। আর আমরা সে মানুষগুলোকে হারিয়ে দিয়ে জীবনে হাজারো বাধা আছে, সব কিছুকে পিছনে ফেলে আমরা একসাথেই শেষ থেকে শুরু করবো।
.
.
.
সমাপ্ত...........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন