___প্রাপ্তির ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আয়ান। আজ একমাস পর তার জ্ঞান ফিরলো। তার প্রাপ্তি আর দুনিয়াতে নেই এইকথা সে এখনো পর্যন্ত জানে না।
তার পাশে আজ কেউ নেই। কিন্তু এই ছবিটা কি করে এলো এইখানে সে নিজেও এখনো জানে না। কিছুক্ষণ আগে জ্ঞান ফেরার পর তার আপন মানুষগুলো কাউকেই সে সামনে পায়নি। চোখ খুলে সামনে পেয়েছিলো আশরাফুল ইসলাম আর উনার মেয়ে আরমিন ইসলামকে।
জ্ঞান ফিরে সে শুনলো বর্তমানে সে চেন্নায়ের বড় একটা হসপিটাল আছে। তবে সে চেন্নাইতে এলো কি করে তা সে কিছুই মনে করতে পারছে না। তার এইটুকু স্পষ্ট মনে আছে তার প্রাপ্তি তার কাঁধে মাথা দিয়ে তার কবিতা শুনছিল। আর সে গাড়ি চালাচ্ছিলো। আচমকাই কোনো কিছুর সাথে ধাক্কা খেলো কিন্তু আয়ানের আর কিছুই মনে নেই।
কথাটা ভাবতেই প্রাপ্তি বলে চিৎকার দিয়েই নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
আরমিন এসে কাঁধে হাত দিয়ে পাশে দাঁড়ালো।
শান্ত গলায় বলল, প্রাপ্তি কী এই ছবির মেয়েটার নাম?
কথাটা শুনে আয়ান পাশে ফিরে আরমিনের দিকে করুণ চোখে তাকালো।
আরমিন আবার বলল, কী হয় আপনার?
আয়ান কিছুই বলল না। সবকিছু যেন স্থির হয়ে গেছে। আয়ান কোনো কথা বলছে না। শুধু প্রাপ্তির ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।
আরমিন জোরেশোরে নিশ্বাস ফেলে, ছবিটা আপনার ওয়ালেটে ছিল। আমি বড় করে বাঁধিয়েছি। কারণ মেয়েটার মাঝে এক অপরুপ মায়া আছে। যে কেউই প্রেমে পড়ে যাবে। কিন্তু বললেন না তো কী হয় আপনার?
আশরাফুল ইসলাম এসে আরমিনের কাছে এগিয়ে এসে, আমার মনে হয় ওর কিছু মনে নেই।
আরমিন হাত উঠিয়ে আশরাফুল সাহেবকে থামিয়ে,
আব্বু ডাক্তার আমি, তুমি নয়। উনার সব মনে আছে কিন্তু উনি কথা বলছেন না। অনেক সময় আমরা বড় কোনো আঘাত সহ্য করতে না পারলে এমন হওয়াটা স্বাভাবিক। যাইহোক আব্বু, এখন উনাকে কী করা যায় সেটা বলো? তুমি তো বলছো মা ছাড়া তুমি জানো না উনি বাংলাদেশে কোথায় থাকেন। এখন মা তো আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন পাঁচ মাস। আর মা ছাড়া উনার বাসা তো তুমি চিনোও না।
- নারে মা, আমি তেমন একটা চিনি না। আমার মনে হয় আমরা যেখান থেকে ওকে উদ্ধার করেছি সেখানেই খোঁজ নেওয়া উচিত। এতোদিন তুই আমাকে নিষেধ করেছিস তাই আমিও কোনো পদক্ষেপ নিইনি। কিন্তু এখন তো আর চুপ থাকা যায় না। ওর জ্ঞান ফিরে এসেছে। গিয়ে দেখ ওর বাড়ির লোক কতটা চিন্তা করছে।
কথাটা শেষ করতেই, আরমিন হাত উঠিয়ে চুপ করতে বলল আশরাফুল ইসলামকে।
আয়ান বিড়বিড় করে কি যেন বলছে আরমিন সেটাই বুঝার চেষ্টা করছে। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না।
শোকে কাতর নিলিমা বেগম যেন দূর্বল হয়েও হয়নি। শিরিনকে নিয়ে সবকিছুকে আঁকড়ে ধরেছেন তিনি। আরিয়াকে বাঁচাতে হবে। আয়ানের রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি আরিয়া। আরিয়াটাও সে চাঞ্চল্যকর আর নেই। তার মা তাকে যাওয়ার সময় শেষ কথাটা বলেছিল মা না আসা পর্যন্ত কোনো দুষ্টুমি না করতে, দাদীকে যেন না জ্বালায়। প্রাপ্তির কথাটা তার মনে গেঁথে আছে। মিজান সাহেব এখন নিলিমা বেগমদের সাথেই থাকেন। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। রাফি আর সুমনা মাঝে মধ্যে এসে সবাইকে দেখে যায়। কোনো কিছুর দরকার হলে রাফিই সব করে।
রাফি আরিয়াকে নিয়ে নিজেদের আসায় গেছে। সারাক্ষণ সে চুপ করেই থাকে কারো সাথে কোনো কথা বলে না। মাঝে মাঝে মা আর বাবাই বলে চিৎকার দিয়ে উঠে।
নিলিমা বেগমও সেইদিন প্রাপ্তির কথা ভাবলেই কান্না থামাতে পারে না। এই যেন এসে আয়ানের নামে বিচার দিবে, মা তোমার ছেলে এখন আর আমায় ভালোবাসে না। হসপিটাল মনে হয় আরেকটা বউ আছে তাই বাড়ির কথা তার মনে পড়ে না।
আবার আয়ান এসে বলবে, মা তুমি ঔষধ খেয়েছ? তুমি এখন আর আমাকে আগের মতো ভালোবাসো না। সব তোমার মেয়েকেই দিয়ে দিচ্ছো। পারভীন বেগম প্রাপ্তি চলে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই সব বিক্রি করে দিয়ে ভাইদের কাছে চলে গেলেন।
আরমিন আয়ানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসলো। হসপিটাল থাকার ছেয়ে বাড়িতে থাকাই ভালো। আয়ানের রুমটা নিজের হাতে গুছিয়েছে আরমিন। বাসায় এসে রান্নাও করলো আয়ানের জন্য।
আয়ান বারবার আরমিনের দিকে তাকাচ্ছে আর নিরব হয়েই থাকছে।
পরের দিন সকাল বেলা ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ পড়তেই আয়ান স্থির থাকতে পারলো না। এক মাস ছয় দিন হয়ে গেল।তার প্রাপ্তি নেই। আয়ান আশরাফুল ইসলামকে ডাকতে শুরু করলো। আয়ান হাসপাস করছে। অস্থিরতা যেন তার বেড়েই চলছে। আশরাফুল ইসলাম ছুটে এসে কী হয়েছে বাবা?
- আমি আপনাদের কাছে কতদিন থেকে আছি?
কোথায় পেয়েছেন আপনারা আমাকে?
আশরাফুল ইসলাম শান্ত গলায় আয়ানকে বসিয়ে বলল, আমার মেয়ে আরমিন, বাহিরের থেকে ডাক্তারি পাশ করে এইখানে আসার পর বারবার বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য বায়না করছিল। দুইমাস আগে আমার মেয়েকে নিয়ে আমি বাংলাদেশে যাই। এবং কিছু দিন থাকি। তোমাকে আমরা যেভাবে পাই সেটা আমরা কখনো কল্পনা করিনি বাবা। আরমিন পুরোটা শহর ঘুরে বেড়াবে বলে বাহির হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ না যেতেই আমাকে ফোন দিয়ে জানালো সে মেডিকেলে আছে আমি যেন তাড়াতাড়ি চলে আসি।
আমি সেদিন তোমাকে দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। একজন খ্যাতি সম্পূর্ণ ডাক্তার, যে কিনা মানুষের উপকার করে বেড়ায় তাকেই কিনা হত্যা করার চেষ্টা?
কথাটা শুনে আয়ান চমকে আশরাফুল ইসলামের দিকে তাকিয়ে, হত্যা!
- হুম। তোমাকে কয়েকজন লোক মিলে জঙ্গলে ধারে নদীতে ফেলার চেষ্টা করছিল। আরমিন তোমাকে সেখান থেকেই উদ্ধার করে। তারপর আরমিন তোমাকে ঢাকায় তিনদিন রেখে আমাদের সাথে চেন্নাইতে নিয়ে আসে।
কিন্তু আয়ান, কে তোমাকে মারতে চায় বাবা? কি হয়েছিল সেদিন?
- আয়ান আর প্রাপ্তির কথা কিছু বলল না। আয়ান এইটা বুঝতে পেরেছে আরমিন প্রাপ্তিকে দেখেইনি। তার মানে সেদিনের এক্সিডেন্টটা কারো প্ল্যান করা ছিল? কিন্তু কে সে? আমি তো কখনো কারো ক্ষতি করিনি।
- কি হলো বাবা, তোমার কিছু মনে পড়েছে? ওই মেয়েটা কে? জ্ঞান ফিরার পর থেকেই দেখছি ওই ছবিটার দিকেই তাকিয়ে থাকো।
আয়ান আর কিছু বলল না। চুপ করেই নিজের রুমে গিয়ে গুটিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো। হাঁটু উপর মাথাটা দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে এলো, আয়ান এখনো কিছু খায়নি। আরমিন এসে ফ্রেশ হয়ে আয়ানের রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে আয়ান ফ্লোরে বসে আছে। আশরাফুল ইসলাম আরমিন আসার পরেই সকালের ব্যাপারটা বলল।
আরমিন রুমে গিয়ে, আয়ানের পাশে বসলো। চা খাবেন?
আয়ান কিছু না বলে মাথা উঠিয়ে আরমিনের দিকে তাকালো।
- বাংলাদেশে যাবেন? আপনার বাসার নাম্বার জানেন? আব্বু বলেছে আপনি অনেক বড় ডাক্তার। অবশ্য বাসার নাম্বার আপনি জানবেন না এইটা কি হয়?
আয়ান এখনো চুপ।
আরমিন আবার বলল, বাংলাদেশে আপনার কে কে আছে? আয়ান আবারও আমিনের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে, আমাকে একটা সাহায্য করবেন?
- কী?
- আমি আপনাকে আমার বাসার নাম্বার দিবো, আপনি কথা বলবেন। কিন্তু আমি বেঁচে আছি সেটা বলার দরকার নেই। শুধু জানতে চাইবেন আমার বাড়ির কী অবস্থা এখন।
- তাহলে উঠুন। আমরা ড্রইংরুমে যাই। সেখানে বসে কথা বলবো। কথাটা বলে আরমিন উঠে দাঁড়িয়ে আয়ানের দিকে নিজের ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলো।
আয়ান কিছুটা অবাক হয়ে আরমিনের মুখের দিকে তাকালো।
আরমিন মুচকি হেসে, বন্ধু ভেবে হাতটা ধরতে পারেন।
আয়ান কিছুটা ইতস্ততভাবে হাত বাড়িয়ে দিলো। আরমিন ছাড়া তার সামনে এখন কোনো রাস্তাই খোলা নেই। তাই যেই করে হোক আরমিনকে তার পাশে পেতে হবে।
আয়ানের বাড়িতে ল্যান্ডফোনটা সে কখন থেকে বেজেই যাচ্ছে। কেউ ধরার কোনো নাম নেই। নিলিমা বেগম অনেক কষ্টে নিজে এসেই ফোনটা রিসিভ করলো।
- কে বলছেন?
- আমি আরমিন চেন্নাই থেকে বলছি। আয়ান সাহেব আছেন?
নিলিমা বেগম কিছুক্ষণ নিরব থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, নাহ্।
- কোথায় আছে? ঠিকানা দেওয়া যাবে?
- আমার ছেলে আমাদের সবাইকে রেখে চলে গেছে না ফিরার দেশে। ওইখানের ঠিকানা যে আমার জানা নেই মা।
আয়ান কথাটা শুনে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে ইচ্ছে করছে। তার মায়ের কথা শব্দ শুনে আবার ফিরে তাকালো,
- যাওয়ার সময় নিজের পাগলীটার কথায় ভেবেছে শুধু। আমাদের কারো কথায় সে ভাবেনি। কথাটা বলেই নিলিমা বেগম ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। তারপর আবার বললেন, আমার ছেলে আর মেয়েটার লাশ এখনো পাইনি মা। কথাটা শুনেই আয়ান একটু চমকালো, তার প্রাপ্তি! প্রাপ্তি তাহলে কোথায় আছে? সেও কি আমার মতে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে নাকি সে আমাকে এই দুনিয়ায় একা করে দিয়ে চলে গেছে?
আরমিন আর কিছু বলল না। চুপ করেই ফোন রেখে দিলো।
আয়ানের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে, আপনার সাথে কী সেদিন আরও কেও ছিল?
আয়ান উপর নিচ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুঝিয়ে, আমার স্ত্রী।
কথাটা বলতেই আরমিন বুকের ভেতর ধড়ফড়িয়ে উঠলো। নিজের চোখের অশ্রুগুলো লুকিয়ে, কোথায় সে?
আরমিন আয়ানকে পাওয়ার পর থেকেই নিজের মনে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল। এতোটুকু জীবনে আয়ানকেই তার প্রথম ভালোবাসার কথা জানাতে চেয়েছিল। আশরাফুল ইসলাম যখন আয়ানের পরিচয় আরমিনের কাছে বলল, আরমিন সেদিন থেকেই নিজের মনে আয়ান নামের বীজ রোপণ করতে লাগলো। কিন্তু আব্বু তো বলল আয়ান বিয়ে করেনি। তাহলে?
হয়তো দেড় বছরে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। শুধু আমিই পারিনি পাল্টাতে।
- প্রাপ্তি, আমার স্ত্রী। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম ওকে।
কথাটা শুনেই চমকে আয়ানের দিকে তাকালো। আয়ান আবার শান্ত গলায় বলল, ভালোবাসা মানুষটাকে নয় বছর পর খুঁজে পেয়েছিলাম। প্রথম বার যখন আমার জীবনে এসেছিল, তখন আমি মাঝ নদীতে সাঁতার নিয়ে ব্যস্ত। তাই ওকে হারাতে হয়েছিল। আবার যখন খুঁজে পেলাম তখন আমার জয়ের ধ্বনিতে মানুষ মুখরিত। পেয়েও গেলাম। ভাবলাম নয় বছর পর আমার অপেক্ষার অবসান হলো, সাথে তারও।
আরমিন আয়ানের কথাগুলো মনযোগ দিয়ে শুনছে, আর মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে নিজের কল্পনার জগৎ সাজিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আয়ান বলছে মনে হচ্ছে যেন সব তার সামনেই স্বপ্নের মতো ঘটে যাচ্ছে।
আয়ান একটু থেমে আবার শুরু করলো।
এই অপেক্ষার মাঝে আমার জীবনে আরেকজন এসেছে। আমার মেয়ে আরিয়া।
কথাটা বলে আয়ান হালকা হাসলো।
আমার নিজের মেয়ে নয়। নয়নার মেয়ে, যাকে আমি আমার পৃথিবী ভাবী। আরিয়ার জন্য মা নিয়ে এসেছিলাম। আর আমারও অপেক্ষা শেষ হলো। প্রাপ্তি তার সংসার আর মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত। আমি আমার হসপিটাল নিয়ে।
আরমিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, আপনার নিজের হসপিটাল?
- হু, আমার।
- তারপর!
- বিয়ের প্রথম কয়েকটা দিন প্রাপ্তিকে সময় দিতে পারলেও পরে আর পারতাম না। অবশ্য এই নিয়ে আমার পাগলিটার কোনো অভিযোগ ছিল না। দিন শেষে রাতে যখন আমায় একটু কাছে পেতো তখনি বাচ্চাদের মতো আমার বুকের সাথে লেপ্টে যেতো।
তখনও যদি হসপিটাল থেকে ফোন আসতো আমি উঠে চলে যেতাম। মনের ভেতর হয়তো রাগ হতো কিন্তু কখনো আমার সামনে প্রকাশ করতো না। আরেকটা রাত্রের অপেক্ষায় নিজেকে শান্তনা দিতো।
আয়ান আবার চুপ করে করুণ চোখে আরমিনের দিকে তাকিয়ে, জানেন? সে কিন্তু শুধু সংসার নিয়ে ছিলো না। আমার না করা কাজগুলো করে আমাকে অপরাধ বোধ থেকে মুক্ত করতো। যে কাজগুলো আমার করা উচিত সেইগুলো হাসি মুখে নিজেই করে নিতো।
আমি এতোটাই ব্যস্ত হয়ে ছিলাম নিজের স্ত্রী দুই মাসের প্রেগন্যান্ট জেনেও কখনো মুখ ফুটে বলতে পারিনি। যেদিন বলেছিলাম, নিজের দোষগুলো নিজেই স্বীকার করেছিলাম পরেরদিনই তাকে হারিয়ে ফেললাম।
আমরা দুজনেই গ্রামের একটা স্কুলের কাজে বেরিয়ে ছিলাম সেখান থেকে ফেরার পথেই কিছু একটার সাথে আমার গাড়ি ধাক্কা লেগে যায়। আমার আর কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন থেকে তো আপনি আছেন। কিন্তু আমার পাগলীটা আর নেই।
আরমিন বসা থেকে উঠে আয়ানের পাশে গিয়ে বসে আয়ানের হাতের উপর হাত রেখে, আমার বিশ্বাস আপনার পাগলী হয়তো বেঁচে আছে। আপনি এখানে থাকলে কোনো খোঁজ পাবেন না তার। আমার মনে হয় আপনার মেয়ে আর মায়ের জন্য হলেও বাংলাদেশে যাওয়া উচিত।
আয়ান আরমিনের দিকে তাকালো, কিন্তু কিছু না বলেই হাতটা ছাড়িয়ে নিজের রুমে চলে গেল।
.
.
.
চলবে..................................