অন্তর্দ্বন্দ্ব - পর্ব ৩০ - সাবরিনা ইমরান - ধারাবাহিক গল্প


মাহভিনকে নিয়ে মুনা বসে আছে বারান্দায়।সাদা আর গোলাপি রঙের ফ্রক পরে গ্রিল দিয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে অদৃশ্য কিছু ধরার চেষ্টা করছে মাহভিন।এভাবেই একদিন বারান্দায় বসে ছিলো মুনা,সেদিন গর্ভশূণ্য সদ্য সন্তানহারা মধ্যবয়স্ক এক নারী হয়ে বসেছিলো,সন্তান হারিয়ে,পরিবার হারিয়ে,স্বামীর ভালোবাসা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে একদম পাগল হয়ে গিয়েছিলো।সেই সময় ঠিক মাহভিনের মত দেখতে একটা বাচ্চা মেয়ে প্রায়ই স্বপ্নে আসতো।অর্থহীন ছিলো সেই স্বপ্ন,কিছুই ছিলো না সেখানে,শুধু একটা ছোট বাচ্চা খিলখিলিয়ে হাসতো।ক্ষতের মাঝে এই স্বপ্ন মানসিক ভারসাম্য হারানোতে অনেক বড় প্রভাবক ছিলো।প্রতিনিয়ত সন্তান হারানোর যন্ত্রণা এত তীব্রভাবে আঘাত করতো যে,জগৎ সংসার ভুলিয়ে দিয়েছিলো।সোহেলের কাছে কথার ফাঁকে শুনেছে যে শেকল ও পরিয়ে রাখা হয়েছিলো তাকে। এসবের কিছুই স্পষ্টভাবে মনে নেই মুনার,সবই যেন অবাস্তব কোনো গল্প মনে হয়।

ভিনা আর সোহেল যেদিন মাহভিনকে কোলে দিয়েছিলো,সেইদিনের কথা স্পষ্ট মনে আছে মুনার।ক্লান্ত বিধ্বস্ত ভিনা আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সোহেলের চেহারা কখনো ভুলবে না।ভিনার চেহারায় মলিনতা থাকলেও চোখে ছিলো পরম নির্ভরতার ছাপ।নাহলে নিজের সন্তানকে একজন মানসিক রোগীর কাছে তুলে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।যেখানে রুপিন শিউলি মারা যাওয়ার পর থেকে ভিনার ঢাল হয়েছিলো,সেখানে রুপিনের জায়গায় মুনাকে বেছে নিয়েছিলো ভিনা।যে মানুষ ভিনার জীবন তছনছ করে দিলো,তারই জীবন সাজিয়ে দিলো নিজের সন্তানকে দান করে দিয়ে।মানুষ অর্থ দান করে,সম্পত্তি দান করে,ভিনা নিজের সন্তানকে দান করে দিয়েছে মুনার শূণ্য কোলে।এতটুক মেয়ে কতখানি সাহস আর বিশ্বাস নিয়ে সেদিন মাহভিনকে মুনার কাছে দিয়েছিলো,সেটা ভাবতেই নিজেকে ভীষণ ক্ষুদ্র মনে হয় মুনার।এতকিছু হওয়ার পর ও যে স্বামীর ভালোবাসা আর নিজ সন্তানকে নিয়ে এত সুন্দর বিকেল দেখা হবে,সেটা কখনো স্বপ্নে ভাবেনি।যা কিছুর জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো,সেটা ক্ষণিকের জন্য হারিয়েছিলো নিজের দোষে,কিন্তু স্থায়ীভাবে ফিরে পেয়েছে ভিনার জন্য। জীবন কত অদ্ভুত হয়!যেই ভিনাকে এত ঘৃণা করতো,সেই ভিনার সন্তানকে বুকে নিয়ে বড় করছে মুনা।সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা এত কল্পনাতীত কেন?

হ্যাঁ, মুনা জানে মাহভিন কার সন্তান।সোহেল লুকায়নি কিছু।ভিনাকে হোস্টেল পাঠানোর বিরোধিতা করার সময়ই বলে দিয়েছিলো সত্যিটা।সোহেল কড়া কথা বলে মুনার মনে ভীষণরকম ভীতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো যেন মুনা কখনোই মাহভিনকে ভিনার কাছে ঘেষতে না দেয়।কিন্তু সত্যিটা সোহেল নিজেও জানে না।সন্তানের মৃত্যুর কষ্টের যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে মুনার ভেতরটা পুরো বদলে গেছে।আগের মত স্বার্থপরতার ছিটেফোঁটাও নেই।যে মুহূর্তে জেনেছিলো মাহভিন ভিনার সন্তান,সে মুহূর্তে ভয়ের পরিবর্তে কষ্ট লেগেছিলো।কারণ সন্তানের থেকে দূরে থাকা যেকোনো বয়সী মায়ের জন্যই কষ্টকর।মুনা এটাও বলেছিলো,যদি ভিনা কোনোদিন নিজের সন্তানের অভিভাবকত্ব দাবী করে,সে কোনো বিরোধিতা করবে না।কিন্তু সোহেলের কথায় আবেগের জগৎ থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছে।ভিনা অবিবাহিত,সে যে ভুল করেছে,এটা সমাজের সবাই খুবই ঘৃণিত।এই ঘৃণা মাহভিনের স্বাভাবিক জীবন চোখের নিমিষে নষ্ট করে দিবে।তার চেয়েও বড় কথা,ভিনার যার সাথে সম্পর্ক ছিলো,সে বেঁচে নেই।কিন্তু ভিনার তো জীবনে আগাতে হবে,এত কম বয়সে জীবন কীভাবে থেমে যেতে দেয় বাবা হয়ে,তাই ভিনার ভালোর জন্যই মাহভিনকে দূরে রাখতে হবে।ভিনার অন্য জায়গায় বিয়ে করে সংসার করতে হবে,নিজের জীবন সাজাতে হবে।পরিস্থিতির জন্য হওয়া এই ভুলের মাশুল ভিনাকে সারাজীবন দিতে দিবে না সোহেল।ভিনা নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেই ফেলেছে,এই কঠিন জগতে সব অনিশ্চয়তাকে উপেক্ষা করে,নিজের জীবন তুচ্ছ করে মাহভিনকে জন্ম দিয়ে।

সোহেলের কথার বিরোধিতা সেদিন করতে পারেনি মুনা।তাই স্বামীর কথামতো মাহভিনকে দূরে সড়িয়ে রেখেছে ভিনার থেকে।সেই সাথে সোহেলের ভালোবাসা না পেলেও,বিশ্বাস কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছে।এই জীবনে নিজের জন্য আর কিছু চাওয়ার নেই মুনার।এখন শুধু একটাই ইচ্ছা,মাতৃহীন এই মেয়ের জীবন যেন ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।

•••••••••••

ফারজানা আজকে হিজাব পরেনি।বরং স্ফার্ফ বাহারি ভঙ্গিতে মাথায় দিয়েছে।গত পরশু চুরি করা সাতশ টাকা দিয়ে কানের দুল,আইলাইনার,লিপস্টিক,কাজল আরেকটা সস্তার মধ্যে স্ফার্ফ কিনে এনেছে।ফারজানা দেখতে খারাপ না।বরং একটু পরিপাটি হয়ে চললে চোখে পরার মতই সুন্দরী।দিন দিন নিজের রূপের নানাদিক আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজের অন্যায়গুলোকে ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছে সহজেই। একবার,শুধু একবার যদি রুশানের মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা বলানো যায়,আর কেউ আটকাতে পারবে না ফারজানাকে।এই বাধাধরা জীবনকে চিরতরে পেছনে ফেলে আসবে।নিজের অযাচিত কল্পনার জগৎ থেকে বের হয়ে দেখলো,ফারজানার মা ফোন দিয়েছেন।আগে ভালো লাগলেও এখন কেন যেন ভালো লাগে না।ফোন দিলেই একি ভাঙা রেকর্ড।বাবা টাকা দিচ্ছে না,হাতখরচ পাঠাতে দেরি হবে,ভালোমতো পড়াশোনা করতে হবে,অনেক কষ্টে তার মা বিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে এরকম নানাকিছু।ফারজানা হু হা করে ফোন রেখে দিলো।এত কম বয়সে এত চাপ নিতে পারবে না।ওর বয়সী অন্যরা যেখানে ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে,সেখানে কেন ও এসব ঝামেলায় নিজেকে জড়িয়ে রাখবে?কপালে যদি না থাকে,কপালে নিজেই লিখে নিবে এসব।অনেক সহ্য হয়েছে,আর না।

ভার্সিটিতে আজকে হোসনে আরার ক্লাস ছিলো।যেহেতু এসেসমেন্ট কাউন্ট হবে না,ফারজানা ক্লাসই এটেন্ড করলো না।অথচ রুদমিলা হোসনে আরাকে আলাদাভাবে ডেকে বলে দিয়েছেন,যদি ফারজানা অনুতপ্ত হয়ে ক্লাস করার জন্য জোর দেয়,তাকে যেন সুযোগ দেয়া হয়।ফারজানাকে নিজের অজান্তে কত বড় ধাক্কা যে খাবে সামনে,সেটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারছে না।আজকে ফারজানার জায়গায় ভিনা হলে,নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতো অথোরিটিকে রাজি করানোর। প্রফেসর রুদমিলা নিজেকে বদলানোর এই চেষ্টাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।

ফারজানা ভার্সিটিতে এসেই রুশানকে খুঁজতে লাগলো।গতদিন রুদমিলার কাছে অপদস্থ হয়ে মন মেজাজ খারাপ ছিলো।আহাজারি করে রুশানের কাছে নিজের দুঃখের কথা বলতে গেলেও রুশান কোনো গুরুত্ব দেয়নি।ছুটির পরপরই ভিনার কাছে গিয়ে কথা শুরু করে দিয়েছে।ভিনার এই ছোক ছোক স্বভাব ফারজানার একটুও পছন্দ না।রুশান কথা বলতে চাইলেই কথা বলা লাগবে?কেমন লুজ ক্যারেক্টারের মেয়ে হলে এসব করে?

রুশানকে কালচারাল ক্লাবের বাইরে পেয়েই চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো ফারজানার।রুশান,আরো দুইটা ছেলে আর তিনটা মেয়ে মিলে গ্রুপ ডিস্কাশন করছে।একটা মেয়ে রুশানের একদম কাছে গিয়ে ডাটাশিট দেখছে।সেই মেয়েকে মনে মনে ভয়ংকর গালি দিয়ে ফারজানা এগিয়ে গেলো।নিজের *ফুটন্ত* রূপের বাহার দেখিয়ে রাশেদকে কুপোকাত করাই প্রধান উদ্দেশ্য। 

-উফফ,তুমি এখানে?আমি পুরো ভার্সিটি খুঁজে হয়রান।

রুশান চমকে গিয়ে ফারজানার দিকে তাকালো।কথার মাঝে অধিকার একেবারে টপকে টপকে পরছে।এত অধিকার নিয়ে জেবাও বোধহয় কথা বলেন না।গ্রুপের বাকি সবাই অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুশানের দিকে।রুশানের মাথায় রক্ত চড়ে গেছে।ইচ্ছাকৃতভাবে ফারজানা এটা করেছে,কোনো সন্দেহ নেই।রুশান কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হেসে উত্তর দিল-

-তোর না ক্লাস এখন?

ফারজানা মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে।কেউ যেন সরাসরি ওর মাথায় বাজ ফেলেছে।ভিনার টোটকা কাজে লাগিয়ে দৃশ্যমান সফলতায় রুশানের মন ভরে যাচ্ছে আত্মতৃপ্তিতে।

-কী রে?কথা বলিস না কেন?তোর না ক্লাস এখন?

-ইশশ!এত খেয়াল রাখতে হবে না তোর।তোর জন্যই তো ক্লাস বাদ দিয়ে এলাম।

রুশান এক কথাতেই বুঝে গেলো,ফারজানা সহজ মেয়ে না।সামনে যে বিপদে ফেলাবে এই মেয়ে সেটা এখন থেকেই আন্দাজ করতে পারছে। 

-ক্লাস বাদ দিয়ে আসলি কেন?

-হয়েছে!মানুষের সামনে হেজিটেট ফিল করা লাগবে না।সাইডে আসো,কথা আছে।মানে আরকি,সাইডে আয় কথা আছে।

রুশান ভাবতেও পারছে না মাত্র তিনদিনের পরিচয়ে মানুষ এমন কীভাবে করতে পারে।যেখানে ভিনা তুই বলায় ওর মাথা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো,সেখানে এই মেয়ে সামলে নিয়ে কীভাবে সিচুয়েশন ঘুরিয়ে দিলো।কত চিকন বুদ্ধি মাথায় নিয়ে ঘুরলে এসব করে মানুষ!

কাজ শেষ করে রাগ নিয়েই ফারজানার কাছে গেলো রুশান।ফারজানা পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে।

-বলো কী হয়েছে?কী এত ইম্পরট্যান্ট কথা যে এভাবে ডাকা লাগলো।

-আমাকে ওখানে তুই বললে কেন তুমি?

-কোনো সমস্যা?

-অনেক সমস্যা।মানুষকে রেস্পেক্ট করা উচিৎ। বড়লোক না দেখে কী যাচ্ছেতাই বিহেভ করবে?আমার কি সেল্ফ রেস্পেক্ট নেই?

-সবকিছুতে বড়লোক-ছোটলোক টেনে আনা জরুরি ফারজানা?

-না তো কী?তুমিই তো এসব বলতে বাধ্য করো।ভিনার সাথে এক বিহেভ,আমার সাথে আরেক।ওর আর আমার পার্থক্য কোথায় ক্লাস ছাড়া?

-পার্থক্য শুধু ক্লাসের? সিরিয়াসলি?

-তোমার ভিনার এত তরফদারি করো তুমি,অথচ ওর কারণে প্রফেসর রুদমিলা আমাকে কত ইনসাল্ট করেছে জানো?

-ওর কারণে?

-হ্যাঁ। আমি সি আর হয়েছিলাম,ভিনা বললেই পারতো ও সি আর হতে চায়।সেটা না করে এভাবে নালিশ দেয়ার কী দরকার ছিলো?

-তুমি কি কিছুই করো নাই ফারজানা?রুদমিলা ম্যাম এমনি এমনি এমন করেছে?

-কী বলতে চাচ্ছো?

-টিট ফর ট্যাট।তুমি যা করেছো তাই ফেরৎ পাবে।এখন কী করেছো তা তো আমি জানি না।

ফারজানা চুপ করে থাকলো।মাথা ঝিমঝিম করছে অস্থিরতায়।রুশানকে বাটে ফেলা যত সহজ মনে করেছিলো,আসলে তত সহজ হবে না। তাতে কী,ও নিজেও কঠিন হবে।এত কঠিন যে কিছু মানুষের ভিত্তিই নাড়িয়ে দিবে।

••••••••••

ভিনার ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে মাহভিনস এর ওয়েবসাইট নিয়ে। এই কাজ সময়সাপেক্ষ।ভিনার এই ব্যস্ততা দেখে প্রিতির মাঝেও পড়াশোনা শুরু করার ইচ্ছা জেগেছে।এইটুক মেয়ে কতকিছু করে ফেলছে,তাহলে প্রিতি কেন অপেক্ষা করবে।

-কি রে চকোর আম্মা,আর কত খাটবি।

-আপনার জন্য আমি সবসময় হাজির বেগম সাহেবা।

-রাখ তোর ভং চং।শোন,আমি পড়াশোনা করতে চাচ্ছি আবার।

-এই!কী বলো!সত্যি?

-হ্যাঁ, এখন হেল্প কর।কতদিন বাইরের কোনো খবরই জানি না।এখন কীভাবে কী শুরু করবো বুঝতে পারছিনা।

-কয়দিন সময় দাও।আমি সব জেনে তোমাকে জানাবো।আর সেদিন রুশান বললো ওর বড় ভাই এসেছে।উনার থেকেও সাজেশন নিবো আমি।

-রুশান তোর জীবনে কত কাজে আসছে তাইনা?

-হ্যাঁ।বন্ধু হিসেবে তুলনা হয় না।

-শুধু বন্ধু ভিনা?

-আপু তুমি সব জানো,তারপরো এভাবে বলছো কেন?

-কারণ তুই চাইলেই আবার সব ঠিক হতে পারে। আর যাবিরের মতো সবাই হয় না।

-বাদ দেই আপু।আমি আর ভুল করতে চাইনা।

-ভুল তোর থাকলে ভুল যাবিরের ও ছিলো।ওরটা ভুল বলাও যায় না।ও একটা ক্রিমিনাল।

-যত যাই হোক আপু,একি শহরে থেকে অন্তত এত বছরে একবার তো দেখা হতেই পারতো।সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো না কোনো খোঁজ পাওয়াও যেত।কিন্তু যাবির যেন হারিয়ে গেলো একদম।কত অদ্ভুত না?মনে হচ্ছে না ও নিজেকে লুকিয়ে রাখছে?

-কেউ শয়তানি করলে গা ঢাকা দেয় সবার আগে।এত বড় ক্রাইম করে কী তোর সামনে আসবে ও?কী বলিস এসব তুই?

-তবুও....দেখো আমি ওকে কখনো ক্ষমা করবো না।কিন্তু কো ইন্সিডেন্ট বলে তো কিছু আছে।

-তবুও কী?আমার এক্স ও গায়েব হয়ে গিয়েছিলো।আমার পরে আরো একটার সাথে রিলেশনে ছিলো।সেটাকেও বিয়ে করেনি।আরেকটাকে করেছে।গত বছর উদয় হয়েছে এতদিন পর।

-আমি যাবিরের কাছে ফিরবো না, কখনো না।কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো আপু।ওর সাথে আমার শেষ দেখাটাও হয়নি।এক ফোন কলে সব শেষ হয়েছিলো।

-ভালো হয়েছে যা হয়েছে।সব ভুলে যা ভিনা।অন্তত এবার তোর বাবার কথা ভাব?যাবির ফিরে আসলেও কী?মাহভিন কে ফেরৎ আনতে পারবি তুই?

ভিনা কিছু বলতে পারলো না। বুকের বাঁ পাশে চিনচিন করছে।
.
.
.
চলবে.....................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp