ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব ৩৮ - ইয়াসমিন তানিয়া - ধারাবাহিক গল্প


"জিসান একহাত দিয়ে তিশার আঙ্গুলগুলো নিজের আঙ্গুলগুলোর মাঝে নিয়ে খেলছে।আরেক হাতে তিশাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আধো শুয়ে আছে।জিসানের পুরো ধ্যান এখন তিশার দিকে,আজ অনেক দিন পর সব টেনশন ভুলে প্রিয়তমাকে কাছে পেতে মন চাইছে।"

           ---কিন্তু তিশা জিসানের সব ইচ্ছায় এক বালতি পানি ঢেলে সে কখন ধরে ননস্টোপ বেজে চলছে।আসলে আজকের ঘটনায় তিশার সব কিছু জানার কিউরিসিটি আরো বেড়ে গিয়েছে।মাথায় হাজারো প্রশ্ন জমা হয়েছে অথচ জিসান কোনও প্রশ্নের জবাব না দেওয়ায় তিশার মেঝাঝ অনেকটা খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে এখন।

"জিসান বুঝতে পারছে তিশার প্রশ্নের ভাণ্ডার খালি হবে না আজ।কিন্তু জিসানও ত্যারা।সে আজ জবাব দেওয়ার মুডে নেই তো নেই।সে এখন অন্য মুডে আছে।
তাই হঠাৎ ই তিশার দুহাত বিছানায় চেপে ধরে গলায় মুখ ডুবালো।"

---জিসানের এহেম কান্ডে তিশা খানিকটা বিরক্ত হলো।এতো টেনশনের মাঝে কারো এসব করার চিন্তা কি করে হতে পারে তিশা বুঝতে পারছে না।জিসানকে বার বার সরানোর চেস্টা করছে।
উফঃজিসান!
কি করছেন?আমার ভীষণ টেনশন হচ্ছে এখন কি হবে।

                   " জিসান তিশার ঘাড়ে কিস করতে করতে বললো,এখন আদর হবে।তুইতো করিস না,কিন্তু আমাকে তো করতে দে।
তিশা আরো কিছু বলতে নিবে তার আগেই জিসান তিশার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে শশশ চুপ!
আর কোনও কথা না।আমাদের ভালোবাসার মাঝে অন্য কারো কথা একদম না।"

---কিন্তু হঠাৎ তিশার কি হলো কে জানে,ও কিছু একটা চিন্তা করে মুহুর্তেই জিসানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ফেললো।

             "জিসান তিশার এহেম কান্ডে অনেকটা রেগে গেলো।কিছু বলবে তার আগেই তিশা নিজের কাপড়টা ঠিক করে জিসানকে উদ্দেশ্য করে বললো,শুনুন 
আমার মনে হয় আজ নিশিকে একা ছেড়ে ভুল করেছি।আমাদের বাসা থেকে আসার পরই নিশি আজ খুব অন্য রকম আচরণ করেছে।আমি একটু দেখে আসি ও ঠিক আছে কিনা।

তিশা যেতে নিলে জিসান হাতটা ধরে ফেলে,ওও জান,তুই একটু বেশিই ভাবছিস।একটু সময়দে ওদের। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।"

---কিন্তু তিশা কিছুতেই জিসানের কথা মানতে পারলো না।তাই জিসানকে বুঝিয়ে নিশির রুমের দিকে চলে গেলো।
প্রায় ১০ মিনিট ধরে তিশা নিশিকে বাহির থেকে ডাকছে,অথচ নিশির কোনও সারা শব্দ নেই।এবার তিশা ভয় পেয়ে গেলো।জিসানকে ডাকতে যাবে,তার আগেই জিসানও এসে হাজির।

"কি হলো,তুই এখনো এখানে কি করিস চল আমার সাথে।তিশার হাতটা ধরে।

             জিসান,প্লিজ দেখুন না কতোক্ষন ধরে আমি নিশিকে ডাকছি কিন্তু নিশির কোনও সারা পাওয়া যাচ্ছে না ভেতর থেকে।আমার ভীষন ভয় করছে।"

---এবার জিসানও টেনশনে পরে গেলো।নিশিতো এমন করে না কখনো। তাহলে!
জিসানও ডাকতে লাগলো নিশিকে,কিন্তু কোনও সারা পেলো না।
জিসান আর তিশার চিল্লাচিল্লিতে বাড়ীর সবাই এসে পড়লো।সবাই ডাকছে নিশিকে।
অবশেষে জিসান ও তাওহিদ মিলে দরজা ভেঙ্গে ফেললো।আর সবাই রুমে ডুকে যা দেখলো তা দেখার মতো অবস্থায় কেউ ছিলো না।
নিশি ব্লেড দিয়ে নিজের বাম হাতের রগ কেটে ফেলেছে,আর তা থেকে অনেক ব্লাডও বের হয়েছে।নিশির শরীরে এমনেই দূর্বলতা ছিলো,আর ব্লাড যাওয়ায় নিশি জ্ঞান হারিয়ে নিচে পরে আছে।

                       "রাবেয়া বেগম মেয়ের এমন অবস্থা দেখে ফ্লোরেই বসে পড়লো,তাওহিদ আর জিসান গিয়ে দৌঁড়ে নিশিকে ধরলো।
তাওহিদ তৎক্ষনিক চিকিৎসা শুরু করে দেয়।বাড়ীতে সব সময় প্রয়োজনীয় সব কিছুই তাওহিদ রেখে দেয়।তাই নিশির ট্রিটমেন্ট বাসায়ই করতে পারে।
বেশিক্ষণ হয়নি,তাই এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে।কিন্তু জ্ঞান এখনো ফিরেনি নিশির।"

---প্রায় দুঘন্টা পর নিশির জ্ঞান ফিরেছে।নিশি চোখ খুলে সবাইকে নিজের ঘরে দেখতে পায়।
নিশি জানে ওকে এখন অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।কিন্তু এদের কি করে বুঝাবো,
                    ভালোবাসায় একবার হেরে,বাঁচার ইচ্ছা থাকলেও।দ্বিতীয়বার হারার পর আর নেই।
কেনো যে আমাকে বাঁচালো আমার চলে যাওয়াই ঠিক ছিলো।

"কিন্তু আশ্চর্য কেউ কিছুই বললো না।হঠাৎ জিসান এসে নিশির হাত ধরে টেনে বাহিরে দিকে নিয়ে যেতে লাগলো।
কোথায়,কেনো কেউ জানে না।"

---সবাই পিছন থেকে অনেক ডাকলো কিন্তু কারো কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলো না জিসান।নিশিকে নিয়ে গাড়ীতে বসাল।নিশিও এখন ভাইয়ের এহেম কান্ডে কিছুটা ভয় পেতে লাগলো।
কি করতে চাইছে ভাইয়া।রেগে আছে নাকি নাই।কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।নিশির ভাবনার ছেদ ঘটলো গাড়ী হঠাৎ থেমে যাওয়ায়।কোথায় এসেছে তা নিশি দেখার আগেই জিসান হাত ধরে টেনে, নিশিকে গাড়ী থেকে বের করে একটি বাড়ীর ভেতরে নিয়ে গেলো।

           "কলিংবেল বাজানোর কিছুক্ষন পরই রায়হান দরজা খুলে। এতো রাতে জিসানকে দেখে একটু অবাক হলো।
 ভ্রুটা কিঞ্চিত কুঁচকিয়ে,জিসান তুই, এই সময়।সব ঠিক আছে তো।
--ঠিক এসময় তিশার বাবা মাও ড্রয়িংরুমে এসে জিসানকে দেখে যতোটা না অবাক হয় তার থেকে বেশি হয় নিশিকে দেখে।"

----রায়হান ওকে তো চিনিস।আমার বোন।যাকে উনিশটা বছর কতো আদর যত্নে বড় করলাম।আজ সেই বোন তার দুদিনের ভালোবাসার জন্য আমাদের উনিশ বছরের ভালোবাসাকে পায়ে ঠেলে দিয়ে আত্মহত্যা করার চেস্টা করেছে।
তার মনে কি ওর কাছে আমদের কোনও ইম্পোরটেন্ট নেই তাইতো।আমাদের জন্য যেহেতু ও বাঁচতেই পারবে না।তাহলে আমরা ওকে দিয়ে কি করবো।ওকেও আমাদের প্রয়োজন নেই।রেখে গেলাম আমি এখানে।রাখতে মন চাইলে রাখ,না হলে তুইও বিদায় করে দিস।গুড নাইট।

"জিসান নিশিকে ওখানে রেখেই চলে গেলো।নিশি এখনো পুরো শোকড এর মধ্যে আছে। এটা কি সত্যিই সম্ভব,ভাই আমাকে এভাবে ফেলে চলে গেলো।নিশি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে এখন কি করবে কোথায় যাবে।যে আমাকে চায় না তার কাছে অত্যন্ত করুনা হয়ে থাকতে চায় না নিশি।"
________

             " রায়হান নিশির হাতের ব্যান্ডিজটার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।রায়হান ভাবতেই পারেনি নিশি এমন কিছু করে বসবে।যদি ওর কিছু হয়ে যেতো।ভাবতেই রায়হান চোখদুটো বন্ধ করে ফেললো।"

---নিশির হাতটা ধরে রেনু ভেতরে নিয়ে গেলো।নিশিও এই মুহুর্তে কিছুই বলতে পাড়লো না।তবে মনে মনে চিন্তা করে নিলো,ভোর হলেই চলে যাবে কোথাও।এদের সবার থেকে দূরে।থাকবে না কারো কাছে।সব বেঈমান, স্বার্থপর। কেউ আমাকে ভালোবাসে না।

"জিসান বাসায় এসে দেখে সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে।তাদের সবার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে সবাই গভীর চিন্তা রোগে ভুক্ত এখন।
                           কিন্তু জিসান তাদের কেয়ার না করেই তিশাকে ইশারায় ডেকে নিজের রুমে দিকে চললো।
পিছন দিয়ে রাবেয়া বেগমের উৎকিত কণ্ঠ ভেসে আসলো জিসানের কানে।"

---জিসান নিশি কোথায়।তুই একা যে।ওকে কোথায় রেখে এসেছিস বাবা।

"জিসান সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে মাকে বললো,মা তোমার মেয়ে যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছে।চিন্তা করো না।গিয়ে ঘুমাও।কাল সকাল হলেই চলে আসবে।"

---জিসানের মা ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,তৌফিক সাহেব বুঝতে পেরে রাবেয়াকে শান্ত হতে বললো।কিছুক্ষণ পর যে যার রুমে চলে গেলো।

           "- জিসান গাড়ীর চাবিটা রেখে পিছনে ঘুড়েই দেখে তিশা কেমন সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছে।"
--কি হলো?আমাকে এভাবে দেখার কি আছে।

"এই সত্য করে বলেন তো নিশিকে কোথায় রেখে এসেছেন।"(তিশা)

---জিসান নিজের পান্জাবীটা খুলে সোফায় রেখে বিছানায় একটু আড়াম করে বসে,তোর কি মনে হয়।

"দেখুন কথা ঘুরাবেন না।"(তিশা)

---ওকে,কাছে আস আগে,তারপর বলি।

"না,একদম না।আপনার কি যে মোতলব আমি খুব ভালো করেই বুঝি।যা বলার ওখান থেকেই বলেন।
আর এমন সিরিয়াস সময়ও আপনার মাথায় এমন উদ্ভট চিন্তা আসে কি করে।"

---আরে,আমি আবার কি করলাম।তুই আমাকে কেনো রাগ দেখাস।
                 দেখ নিশি হয়তো ড্রিপরেশনে ছিলো তাই এমন একটা পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে।কিন্তু আমার মাথায় এটাই আসছে না ও এমন একটা ভোতা ব্লেড দিয়ে হাত কাটতে গেলো কেনো।আমার মনে হয় কি ও রায়হানকে একটা ধাক্কা দেওয়ার জন্য এমন একটা ঘটনা গঠিয়েছে।আত্মহত্যা করার জন্য না।

"তিশা এবার জিসানের কাছে এসে, সত্যি!"

---জিসান তিশাকে নিজের কোলে বসিয়ে কোমড়টা জড়িয়ে ধরে, 
আমার মনে হয় এমনি।সকালে তোর ভাই আমার বোনকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য, নিশিকে বিয়ে করতে পারবে না বলে এমন একটা ড্রামা করলো।আর এখন নিশিও রায়হানের সাথে তাই করেছে।দুটো পুরোই নাটক বাজ।তাই দুটোকে এক সাথে করা দরকার ছিলো।আরে ভাই নিজেদের ঝামেলা নিজেরা মিটা। 
শুধু শুধু ওদের দুজনের কারনে আমার মুডেরও বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।

"মানে,রায়হান ভাই কেনো নিশির সাথে এমন ড্রামা করেছে,আপনি জানেন।"

---জিসান তিশার কাধে একটা কিস দিয়ে,দেখ নিশি যে রায়হানের উপর রাগগুলো তোর উপর ঝাড়তো এটা আমাদের সবারই জানা।ভবিষ্যতে নিশি যাতে এমন আর না করে,তারই একটা ছোট ওয়ার্নিং দেওয়ার জন্যই রায়হান নিশিকে বিয়ে করবে না বলেছে।

"আপনি কি করে জানেন, ভাইয়া বলেছে।"

                --- জান, এতো প্রশ্ন কিভাবে করিস।এই অধম স্বামীর উপরও একটু মায়া কর।সারা দিন অফিসের এতো প্যারা সামলিয়ে বাসায় আসি একটু রিলেক্স হতে।
তিশাকে একটু শক্ত করে জড়িয়ে,আর তোর কাছে এলে সারা দিনের ক্লান্তি আমার নিমিষেই যেনো দূর হয়ে যায়।
তিশাকে নিজের দিকে গুরিয়ে,সারাদিন পর শুধু রাতেই তোকে একটু কাছে পাই। আর আমি চাই এসময় টুকু শুধু আমরা আমাদের কথা বলি।আমাদের ভালোবাসার কথা বলি।সারা দুনিয়ার কি হয়েছে তা নিয়ে পরেও আলোচনা করা যাবে।
আর তোকে তো আগেই বলেছি,আমি বেঁচে থাকতে তোকে এসব নিয়ে একদম ভাবতে হবে না।আমি সব ঠিক করে দিবো।কোনও ঝামেলা তোর কাছে আসতে হলে,আগে আমাকে পার করতে হবে।তাই বলছি বউ আপনি নিজেকে একটু শান্ত রাখুন,আর আমাকেও একটু শান্তি দেন।

"তাই নাকি,আহারে কতো কষ্ট আমার স্বামীর মনে,তিশা জিসানের গাল দুটো টেনে বলে।"

           --- আরে কি করছিস,আমি কি ছোট বাচ্চা,
আমার গাল টানিস।কই আমি মনে করলাম,আমাকে চুমো দিয়ে আমার কষ্টগুলো দূর করবি,তা না করে.....।

"উঁহু, আমার বয়েই গেছে উনাকে আদর করতে।"(তিশা)

---তাই নাকি,দাঁড়া তোকে তো আজ.......জিসান তিশাকে আবারো আবদ্ধ করে ফেললো নিজের মাঝে।একে অপরকে ভালোবেসে আরো একটি রাত ওদের কেটে গেলো।
______________

                  " নিশি তিশার রুমে বিছানায় হেলান দিয়ে ফ্লোরে বসে আছে। শুধু বসে আছে বললে ভুল হবে,ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদছে।ওর ধারণা ওকে কেউ ভালোবাসে না।কারো কাছে ওর প্রয়োজন নেই।
হঠাৎ মনে হলো ওর পাশে কেউ বসে আছে।ঘাড় গুড়িয়ে দেখে,সত্যি রায়হান ঠিক ওর পাশে বসে আছে।তবে রায়হানের দৃষ্টি যে এখনো নিশির কাটা হাতটির উপর তা নিশি বুঝে গেলে।"

---রায়হানের বুকে মাথা রেখে খুব কাঁদতে মন চাইছে নিশির।কিন্তু রায়হানতো এখন ওকে চায় না।কবেই বা নিশিকে চাইছে।তাই একটু অভিমানে রায়হান থেকে একটু দূরে সরে বসতে নিলে, রায়হান হঠাৎ নিশির কোমড় ধরে নিজের কোলে বসালো।

"কিন্তু নিশি সরে যাওয়ার জন্য চেস্টা করছে,কারন এমন একটা মানুষের কোলে কেনো বসবে,যে তাকে ভালোই বাসে না।
-রায়হান নিশির হাত দুটো ধরে,হাত কেনো কেটেছিস। জানিস মন তো চাইছে,তোকে কামড়িয়ে লাল করে ফেলি।কিন্তু তোর ভাই জানে,আমি অত্যন্ত ভদ্র ছেলে তাই নিজের রাগটাকে সংযোত করলাম।"

                    --- জাহান্নামে জান আপনারা সব,আমার কাউকে লাগবে না।আর আমার শরীর, আমি হাত কাটি নাকি পা কাটি সেটা আমার ব্যাপার দরকার পড়লে এই মাথাটাই কেটে ফেল......নিশি আর কিছুই বলতে পারলো না।
সাথে সাথে নিশির ওষ্ঠগুলো নিজের ওষ্ঠদ্বয়ের মধ্যে নিয়ে নিলো রায়হান ।
-'রায়হানের এহেম আচরনে নিশি বরফের মতো জমে গেলো।এর আগে রায়হান কখনো এমন কিছু করেনি নিশির ধারণা অনুযায়ী।তাই নিশি বুঝতে পারছে না এই মুহুর্তে কি করা উচিৎ।'
"কিন্তু রায়হানের কোনও দিকে কোনও খেয়াল নেই।সে তো মোত্ত আজ তার ভালোবাসার মানুষের মাঝে।নিজের মাঝে দাবিয়ে রাখা, নিশির প্রতি ওর ভালোবাসা গুলো আজ প্রকাশ পেয়ে গেলো।রায়হান পাড়লো না আজ নিজেকে আটকাতে।নিশির আত্মহত্যা করার কথা শুনে ভীষণ ভয় পেয়ে নিশিকে কাছে টেনে নিয়েছে।পারবে না রায়হান নিশিকে হারাতে।নিশিকে হারিয়ে বাঁচবে কি করে।"

---কিছুক্ষণ পর রায়হান নিশিকে ছেড়ে দিয়ে কপালে কপাল লাগালিয়ে বললো,
নিশি.....খুবই সফ্ট ভয়েজে।
"আই লাভ ইউ সুইটহার্ট।"

--অনেক ভালোবাসি তোকে,পাড়বো না ছাড়তে তোকে।বউ হবি আমার।লক্ষী বউ।

"নিশি যেনো বিশ্বাসই করতে পারছে না।রায়হান অবশেষে ওকে আই লাভ ইউ বলেছে।
নিশির সব স্বপ্ন যেনো মুহুর্তেই পূরণ হয়ে গেলো।নিশিও সব রাগ অভিমান দূরে ফেলে,রায়হানের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।
রায়হানের বুকে মাথা রেখেই কাঁদতে লাগলো।
রায়হান ও নিশিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
রায়হান জানে এই কান্না কষ্টের না,বরং কিছু পাওয়ার।
.
.
.
চলবে.............................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp