প্রহেলিকা - পর্ব ০৬ - আশফি শেহরীন চিত্রা - ধারাবাহিক গল্প


ভাঙ্গা কাঠ দিয়ে জেহের যখনই ইনশিতাকে মারতে যাবে তার আগেই ইনশিতাকে কেউ একজন সরিয়ে নিলো। রাগে গজরাতে গজরাতে জেহের পেছন ফিরলো। ইতিমধ্যে ইনশিতা অজ্ঞান হয়ে গেছে। ইনশিতাকে ধরে আছে জিহাদ। 

-“হাউ ডেয়ার ইউ টু টাচ হার ইডিয়ট?” 

বলেই এগিয়ে যায় জিহাদের দিকে। জিহাদ এক হাতে ইনশিতাকে আগলে ধরে আরেক হাতে জেহেরকে থামায়। 

-“ভাই, লুক। তুই এভাবে মেয়েটাকে আঘাত করতে পারিস না…”

-“আমার রোজের সাথে আমি যা ইচ্ছা করবো। তাতে তোর পারমিশন নেবো না আমি, গবেট কোথাকার।” জেহের দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দেয়। 

-“ভাই-ভাই, দেখ, তুই তো চাস তোর রোজ যাতে তোকে ভালোবাসে, তোর সাথে যাতে সবসময় থাকে। তাহলে এখন যদি ওকে মারিস তাহলে ওর তো ক্ষতি হবে তাই না? তুই কি চাস তোর রোজের কোনো ক্ষতি হোক? রোজ কষ্ট পেলে তো তুই নিজেও কষ্ট পাবি তাই না? তাহলে শুধু শুধু ওর কাছে খারাপ হয়ে নিজেকে ঘৃণার পাত্র বানাচ্ছিস কেন? এভাবে তো ও তোর কাছে থাকতে চাইবে না। উল্টো ওকে ভালোবেসে বোঝা।”

জেহের যেন বুঝতে পেরেছে জিহাদের কথাটা। হাতের কাঠটা ফেলে দেয় সে। জিহাদ হাফ ছেড়ে বাঁচে। এখন যদি এই ধরনের কথা না বলতো তাহলে শিওর ইনশিতাকে বোধহয় আজ মেরেই ফেলত জেহের। সঠিক সময়ে জেবা তাকে মেসেজ করেছে বলেই সে পৌঁছাতে পেরেছে। জেহের মনে মনে ভাবছে আসলেই তো সে তার রোজের কোনো ক্ষতি করতে চায় না। রোজকে জিহাদের কাছে দেখে ইনশিতাকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয় সে। তারপর ইনশিতার গাল ধরে আদুরে কন্ঠে বলে, 

-“আই এ্যাম সরি রোজ। আমি-আমি তোমাকে কোনোদিন কষ্ট দেব না রোজ। কোনোদিন না।”

অচেতন ইনশিতাকে কোলে করে নিয়ে চলে যায় জেহের। নয়নিকা বাঁধা দিতে চাইলে জিহাদ আটকায়। এখন জেহেরকে বাঁধা দেওয়া মানে সিংহের সাথে হাডুডু খেলতে যাওয়া। 

.

.

নিজের উপর কোনো ভারী কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করতেই নড়েচড়ে উঠার চেষ্টা করলো ইনশিতা। কিন্তু পারলো না। নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হবার যোগার। চোখ খুলে নিজেকে শোয়া অবস্থায় আবিষ্কার ‌করলো সে। রুমটাও অচেনা। সে কোথায়? তাকে কেউ জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। বাপরে! এত ভারী! হঠাৎ করে আগের ঘটনাগুলো মনে পড়ল ইনশিতার। লোকটাকে খুব জোরে ধাক্কা দিলো সে। জেহের! এটাতো জেহেরের রুম! ধাক্কা খেয়ে জেহেরের ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম থেকে উঠেই চেঁচাতে লাগল, 

-“রোজ-রোজ, রোজ!” 

ইনশিতা কানে হাত দিয়ে রইল। ইনশিতাকে দেখে জেহের খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। মনে হচ্ছে তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ইনশিতা ভাবল তার হাড্ডি আর হাড্ডি নেই। জেহের অস্থির কন্ঠে বলতে থাকল, 

-“আমি ঘুম থেকে না ওঠা পর্যন্ত তুমিও শোয়া থেকে উঠবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার ঘুম ভাঙবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার বুকেই ঘুমিয়ে থাকবে।” 

ইনশিতা এখনো মাথাটা ধরে আছে। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। তারপর এক ঝটকায় ছাড়াতে চাইল জেহেরকে। কিন্তু বান্দা ছাড়ছেই না। কি জ্বালা! এদিকে তার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন। এখন ঝামেলা করা যাবে না, একটু নরম হয়ে বোঝাতে হবে। 

-“একটু ছাড়ুন না প্লিজ।”

-“কক্ষনো না, একদম আমার থেকে ছাড়া পেতে চাইবে না। এর ফল খারাপ হবে।” দাঁত কিড়মিড় করে বলল জেহের।

-“একটুই তো। বাথরুমে যাবো প্লিজ। অনেক জরুরী।”

-“কি বললাম শুনতে পাওনি? কোত্থাও যাবে না তুমি।” আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল ইনশিতাকে। 

ইনশিতা হতবাক! এ কেমন ছেলে! বাথরুমে যাবে তাও যেতে দিচ্ছে না? ইনশিতা এবার কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, 

-“বিশ্বাস করুন। অনেক জরুরী। আর বাথরুমে গেলে কি কেউ পালাতে পারে নাকি? বাথরুমে তো সকলকেই যেতে হয়। প্লিজ।” 

জেহের ইনশিতাকে ছেড়ে শান্ত নজরে তাকাল। 
-“যাও। তবে পাঁচ মিনিট। এক সেকেন্ড বেশি হলে খবর করে দেব আমি।” 

ইনশিতা দৌড়ে বাথরুমে যেতে পা বাড়াল। হঠাৎ করে জেহের হাত ধরে ফেলল। ইনশিতা বেশ বিরক্ত হলেও জোর করে মুখে হাসি ঝুলিয়ে তাকাল। জেহের চোখমুখ শক্ত করে বলল, 

-“মাত্র পাঁচ মিনিট। মনে থাকে যেন। অনলি ফাইভ মিনিটস।”

ইনশিতা মাথা নাড়াল। যার মানে আচ্ছা। জেহের ছাড়তেই ইনশিতা বাথরুমে ঢুকে গেল। দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। যেন কত বছর পর ভালো মতো নিঃশ্বাস নিতে পারল। বাথরুম দেখে তার মুখ হা হয়ে গেল। তাদের একটা রুমের সমান হবে মনে হয় বাথরুমটা। কাঁচ দিয়ে গোসলের সাইড আলাদা করা। বাথটাবটাও ইয়া বড়। পুরো বাথরুম সাদা টাইলসে মোড়ানো। জেহের বাথরুমের দরজায় বাড়ি দিচ্ছে একনাগাড়ে। মনে হচ্ছে ভেঙেই ফেলবে। 

-“রোজ! পাঁচ মিনিট ডান। বের হও।” 

ইনশিতা অবাক! সে তো মাত্রই ঢুকল। 
-“রোজ!”

-“আসছি। আর এক মিনিট প্লিজ।” 

জেহের অস্থির হয়ে পায়চারি করছে বাথরুমের দরজার সামনে। নিজের মাথার পেছনের চুল টেনে ধরে বিড়বিড় করছে। আবার যখন দরজায় নক করতে যাবে তখনই ইনশিতা বের হলো। ইনশিতা দেখল জেহের কেমন অস্থির হয়ে আছে। যেই জেহের আবার জড়িয়ে ধরতে যাবে তখন ইনশিতা বলে উঠল, 

-“এখানে কেন এনেছেন আমায়? আর নয়নকেই বা তখন তুলে নিয়েছিলেন কেন?” 

ইনশিতার রাগান্বিত কন্ঠ শুনে উল্টো জেহের বেশ রেগে গেল। 

-“ও তোমাকে টাচ করেছিল। আর ঐ ছেলেটাও। এবং আমি ছাড়া তোমাকে আর কেউ টাচ করতে পারবে না। টাচ করলে হাত গুড়িয়ে দেব তাদের, মাইন্ড ইট।” 

ইনশিতা হা করে তাকিয়ে রইল। একটা মানুষ কতটা পজেসিভ হলে এমন করতে পারে! 

-“ও আমার ফ্রেন্ড, আর ছেলেটা আমার কাজিন। আর আপনি তো আমার কেউই না। সুতরাং আপনার হাত গুড়া করা উচিত।” 

আচমকা ইনশিতাকে চেপে ধরে জেহের বলল, 

-“আমি তোমার সব সব সব। আমি ছাড়া আর কেউই তোমার কেউ হয় না। তোমার কোনো ফ্রেন্ড লাগবে না, আর না কোনো কাজিন। আমিই শুধুমাত্র তোমার। আর এটাই তোমার বাড়ি।” 

জেহেরের ক্রোধান্বিত কন্ঠ শুনে ইনশিতা কাঁপতে লাগল।

-“আ-আমি যাবো। বাড়ি ফিরবো।”

জেহের চিৎকার করে বলল, 

-“শুনতে পাওনি কি বলেছি? কোত্থাও যাবে না তুমি। এটাই তোমার বাড়ি আর আমিই তোমার সব।” 

ইনশিতা কানে হাত দিলো আবার। এ কার কাছে বন্দী হলো সে! এখন বাড়তি কথা বললে শিওর তখনকার মতো মারতে চাইবে। এখন ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। কোনোরকমে একটা ফোন হাতে পেলেই হবে। ওদিকে রাফিদের কী অবস্থা কে জানে! এখন একটু পেট পুজা করা যাক আগে। পেটে বোধহয় ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। 

-“আমার খুব খিদে পেয়েছে। কিছু খাবার আনবেন?”

জেহের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেলে তাকাল। যার অর্থ 'তোমাকে একবার বিশ্বাস করে খাবার আনতে গিয়েছিলাম তখন তুমি কী করেছিলে মনে নেই?' ইনশিতা বুঝল সে দৃষ্টির মানে। তবে তার এখন প্রচুর খিদে পেয়েছে। সেই দুপুর থেকে কিছুই খায়নি। তাই মিনতি স্বরে বলল, 

-“প্লিজ কিছু খাবারের ব্যবস্থা করুন। আমি সত্যি বলছি পালাবো না।” 

জেহের ইনশিতাকে একবার দেখে পুরো রুমে চোখ বুলালো। বারান্দার দরজা বন্ধ করে দিলো। তারপর রুমের বাহিরে গিয়ে আবার কি মনে করে ফিরে এলো। ইনশিতাকে ধরে চেয়ারে বসিয়ে ইনশিতার ওড়না টান দিয়ে খুলে দিলো। চমকে উঠলো ইনশিতা। বেশ রাগ হলো তার। 

-“কী করছেনটা কী?” 

-“শসসহ, কোনো আওয়াজ হবে না।” 

ওড়না দিয়ে চেয়ারের সাথে হাত দুটো শক্ত করে বেঁধে দিলো। ইনশিতার বিরক্তির মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সে তো বলেছেই যাবে না। তাও এই সাইকোটা এমন করে কেন! জেহের কপালে কপাল ঠেকিয়ে হিসহিসিয়ে বলল, 

-“এখন তুমি চাইলেও কোথাও যেতে পারবে না রোজ।”

-“আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি। আপনার মতো সাইকোকে কীভাবে যে আপনার বউ সামলাবে ভাবতেই পারছি না।” 

জেহের ধীর কন্ঠে বলে, 

-“তুমি আছো তো। তুমিই আমাকে সামলাবে। তুমিই আমার বউ রোজ।” 

কথাটি শুনে ইনশিতার রগে রগে শিহরণ বয়ে গেল। একে তো লোকটির নিঃশ্বাস তার মুখে পড়ছে, তার উপর এত সুন্দর কন্ঠ। নিজেকে শক্ত রেখে হঠাৎ কপাল দিয়েই খুব জোরে জেহেরের কপালে বারি মারল। এতে জেহের ব্যথা না পেলেও ইনশিতার কপাল জেহেরের শক্ত কপালের সাথে লেগে বেশ ব্যথা পেয়েছে। জেহের চোয়াল শক্ত রেখে বলল, 

-“আমার সাথে লাগতে আসবে না। এর ফল ভালো হবে না তা তুমি ইতিমধ্যে টের পেয়েছ নিশ্চয়। সো, তুমি যত শান্ত থাকবে ততই তোমার জন্য মঙ্গল।”

বলেই ধুপধাপ পা ফেলে দরজা আটকে চলে গেল। বেচারি ইনশিতা ভাবতে লাগল কীভাবে এখান থেকে পালানো যায়। উফফ! শালা সাইকোর বাচ্চা সাইকো। 

.

.

হসপিটালের করিডোরে দাঁড়িয়ে আছে জিহাদ। পাশের চেয়ারে জেবা বসে আছে। নয়নিকাকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। জিহাদকে দেখে মনে হচ্ছে সে কোনো এক বিষয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। 

-“ছোট ভাই, কী হয়েছে তোর? কী নিয়ে এত চিন্তা করছিস?”

ভাবনার সুতো ছিঁড়ে গেল জিহাদের। চোখ দুটো বন্ধ রেখে বড়সড় দীর্ঘশ্বাস ফেলল সে। শান্ত দৃষ্টিতে জেবার দিকে তাকাল। 

-“তোর কী মনে হয় জেবা?”

-“কীসের কথা বলছিস?”

-“ইনশিতার কথা। ভাইয়ের সাথে ইনশিতা ভালো থাকতে পারবে তো?” 

-“অসম্ভব। জেহের ভাইয়ের সাথে থাকলে মেয়েটা নিশ্চিত দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে। ভাই যেভাবে ইনসিকিউর ইনশিতাকে নিয়ে, সেভাবে ইনশিতার বেঁচে থাকাই অসম্ভব। আর ভাই যেই জিনিসের প্রতি একবার নজর দেয় সেটা যেকোনো মূল্যে ছিনিয়ে নেয়। আর এ তো একটা জ্যান্ত মেয়েমানুষ। স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকবে না ইনশিতার।” 

জিহাদ নিজের মাথার চুল টেনে ধরল চিন্তায়। 

-“ইনশিতাকে ভাইয়ের হাত থেকে ছুটাতে হবে।” 

-“সেটাও কল্পনার বাইরে। একবার যখন ইনশিতাকে পালাতে সাহায্য করেছিলি তখন মনে আছে কী করেছিল জেহের ভাই? এখন সেই একই কাজ আবার করলে সিওর রক্তারক্তি হয়ে যাবে।” 

কিছুই বলল না জিহাদ। ওটির থেকে ডক্টর বেরিয়ে আসল। জেবা জিজ্ঞেস করল, 

-“ছেলেটির এখন কী অবস্থা ডক্টর? কোনো সিরিয়াস কিছু হয়নি তো?” 

-“নাউ হি ইজ ফাইন। বাট রেস্টে থাকা দরকার। হাত, পিঠ মাথায় বেশ খানিকটা আঘাত লেগেছে, ঔষধ নিলে আর রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে। ওনাকে নিয়ে যেতে পারবেন। এক্সকিউজ মি।”

ডক্টর চলে গেলে জেবা বলে উঠে,

-“ছেলেটার বাড়ির কারো খোঁজ পেয়েছিস?”

-“হু। মোবাইলে তার বাবার নাম্বারে কল দিয়ে বলেছি। তারা আসছেন। চল, ছেলেটার সাথে কথা বলি।” 

জেবা গিয়ে রাফিদের কপালে হাত লাগল। ছেলেটাকে এই প্রথম সে দেখেছে। আর দেখেই কেমন মায়া লেগে গেল। ছেলেটার এমন অবস্থা দেখে নিজেরই কেন যেন কান্না পেয়ে গেল। কপালে কারো স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলল রাফিদ। দেখল তখনকার সেই মেয়েটা অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, আর তার পাশে একটা ছেলে দাঁড়ানো। 

মিনিট পনেরো পর একজন ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলা আসেন তাদের কাছে। মহিলাটি কেঁদে কেঁদে নিজের অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে। কেঁদে কেঁদেই জিজ্ঞেস করল, 

-“রাফিদের কী হয়েছে? আমার ছেলেটা কোথায়?” 

-“হি ইজ ওকে। ছোটোখাটো একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল আর আমার গাড়ির সামনে পড়েছে, তাই হাসপাতালে নিয়ে আসলাম।” 

মিথ্যে বলল জিহাদ। কারণ সে চায় না আসল ঘটনাটা শুনে তারা আরও প্যানিক হয়ে যাক। রাফিদ তার মাকে আশ্বস্ত করে বলল, 

-“আমি ঠিকাছি মা, একটু ব্যথা পেয়েছি খালি।” 

রাফিদের বাবা ধমকে উঠলেন, 

-“হাত পায়ের অবস্থা দেখেছ? আবার বলছো ঠিকাছো? আর ইতু কোথায়? ওকে দেখতে পাচ্ছি না কেন।” 

সকলে চুপচাপ। কী বলবে এখন? বলবে ইনশিতাকে জেহের তুলে ধরে নিয়ে নিজের বন্দিনী করে রেখেছে? বললে কেলেঙ্কারি ঘটে যাবে। রাফিদ নিজেই বলল, 

-“ও ওর বাড়ি চলে গেছে ওর ফ্রেন্ড কে নিয়ে। ওকে নিয়ে ভাবতে হবে না। এখন চলো আমরাও আমাদের বাড়ি চলে যাই।” 

রাফিদ ভেবেছে কোনোরকমে বাবা মাকে বাড়ি পাঠিয়ে এক ফাঁকে এখানে চলে আসবে। তারপর ঐ জেহেরকে দেখে নিবে। তার ভালোবাসার দিকে হাত বাড়ানোর ফল তো তাকে পেতেই হবে। 
.
.
.
চলবে…..........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন