-- কেনো রে বাপ,বলার জন্য বললেই কি মনে নিয়ে নিবি?কী করলি তুই?
রেহান প্রিতিকে নিয়ে বসে আছে খালা সায়বা আর খালু ওয়াহেদের সামনে।কাইফ পাশে বসে হাসি কোনোমতে থামিয়ে রেখেছে।এধরনের পারিবারিক ড্রামা সচরাচর দেখার সুযোগ পায়না।সায়বা মাটির মতো মানুষ,ঝগড়া করার একশো অজুহাত থাকলেও সে এড়িয়ে যাবে।কাইফকে অনেকবার ইশারায় চলে যেতে বলা হলেও সে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দরজার কাছে,চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে রেহান এবং প্রিতির দিকে।
-- মা আমার বিয়ের জন্য কাকে মনে ভেবে রেখেছিলো জানোই তো।তুমি বলো,মেজবা মামার মেয়ে সুরাইয়ার সাথে বিয়ে দিলে খুব ভালো হতো?জানো না তাদের ক্যারেক্টারেস্টিক?
-- কী!সুরাইয়াকে ভেবে রেখেছিলো তোর জন্য?আমি বিশ্বাস করিনা।জেবা আপা এত বড় বোকামি করতে পারেইনা।অজুহাত চেয়েছি তোর কাছে?তাহলে এসব কথা বলছিস কেন?
রুশান এবার নিজের মুখ খুললো।রেহান কে চুপ থাকতে বলে নিজেই কথা শুরু করলো।
-- কেন?মেজবা মামা গত দুই দুই মাসে কতবার এসেছে বলো তো।
-- ঐটা তো এমনি ফলটল নিয়ে আরকি...
-- ভাইয়া বাসায় ফিরে যাওয়ার পর আর এসেছে?ফোন পর্যন্ত দিয়েছে তোমাকে?আর এইযে এত দরদ,এই দরদ গত পাঁচ-দশ বছরে কোথায় ছিলো?কাইফকে ও তো জন্মের পর দেখতে আসেনি মনে হয়।এসব কী বলো।
-- বাবারে,মুরুব্বিদের এত দোষ ধরে না।
-- আচ্ছা?মুরুব্বিরা ভুলের পর ভুল করলেও না?আম্মুর একটা ভুলের কারণে ভাইয়ার জীবনের আট বছর নষ্ট হয়ে গেছে,শুধুমাত্র ভুল না ধরার কারণে।আর তারপরো বিশ্বাস না হলে বাবাকে ফোন দিয়ে কথা বলো তুমি।
-- ধুর!তোরা থাম তো।দুলাভাইকে ফোন দিতে হবে না।বিশ্বাস করলাম তোদের কথা।এখন আয়,গেস্ট রুম গুছিয়ে দিয়েছে।নতুন বউকে ঐ ঘরে নিয়ে যা,অনেক ক্লান্ত বাচ্চাটা।
প্রিতি কাঁপা কাঁপা গলায় বললো-
-- না খালা,আমি আর রেহান ছোট ফ্ল্যাট ঠিক করে ফেলেছি,উঠে যাবো জলদিই।
-- হ্যাঁ! এতক্ষণ বলোনি কেন?তাহলে আমার কাছে কী চাও তোমরা?
-- আমার শ্বাশুড়িকে জানিয়ে কয়দিন শ্বশুরবাড়ি থাকতে চাই।তাছাড়া ওর বাবার শরীর ও ভালো না।
-- সম্ভব না রে মা।তোমরা যা করেছো,দুলাভাই ই থাকতে পারে নাকি কে জানে।
-- সমস্যা নেই খালা।যদি আলাদাও হতে চায় রেহান,তখনো তো প্রশ্ন আসবে একা কোথায় আলাদা হবে।তখন তো জানাতেই হবে বিয়ের কথা।আপনি আমাদের সাহায্য করলে,অনেক সহজ হয়ে যাবে সব।আমি আপনার ভরসায় এসেছি খালা....
সায়বা শেষের বাক্য শুনে নববিবাহিতা প্রিতির দিকে তাকালেন।বেচারি,সংসার শুরুর আগেই সংঘাত শুরু হয়ে গেছে কপালে।কোনোভাবে যদি জেবাকে ঠান্ডা রাখা যেত,তৃপ্তিতে তার মন ভরে যেত।
দুপুরের দিকে খেয়ে রেহান,রুশান এবং প্রিতি বের হয়ে গেলো।কিছু শপিং করবে নতুন ঘরের জন্য।গাড়ি রেহানই ড্রাইভ করছে,প্রিতি পাশে বসা।রুশান পেছনের সিটে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।জীবনের কত দিক!কত রং।আসলেই অনেক ইম্যাচিওর ছিলো নিজে।ইম্যাচিউরিটির একটা প্রধান দিক হলো ছকে ফেলে সবকিছুর ফলাফল বের করা।যেমন সে ধরেই নিয়েছিলো প্রিতি রেহানকে নিয়ে বিদেশে চলে যাবে।অনেক কষ্ট হলেও মেনে নিয়েছিলো ব্যাপারটা।এমনকি এত কষ্ট পাবে জেনেও প্রিতিকে আপন করে নেয়ার বিষয়টাতে নিজেকে অনেক বড় এবং উদার মনে হচ্ছিলো।কিন্তু এমন হলো না,প্রিতি নিজেই থেকে গেলো,নিজেকে অনেক উপরে উঠিয়ে। প্রিতি নিজেও জানে না,ভিনার দিকে তাকিয়ে এই স্যাক্রিফাইসের মূল্য সে কতগুণে পেতে যাচ্ছে।
-- আই এম স্যরি প্রিতি।আমার ডিসিশানের জন্য এত ভুগতে হচ্ছে তোমার।এত আশা দিলাম জার্মান সেটেল হওয়ার,কিন্তু দেশেই রাখলাম শেষে।
-- আমার খারাপ লাগছে না।একা বড় হয়েছি,আর কতো একা থাকবো।ফ্যামিলিয়াল প্রবলেম ছাড়া কারো কোনো লাইফ আছে?
-- তবুও...আসলে বাবা এত ইমোশনাল কখনোই ছিলো না।এভাবে আমাকে আটকে ফেলবে,বুঝিনি।
-- তুমি কত লাকি,তাইনা রেহান?
রেহান গাড়ির গতি ধীর করে প্রিতির দিকে তাকালো।প্রিতি রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে আনমনে।হয়ত নিজের বাবার কথাই মনে পরছে।আসলে প্রথমে কিছুটা নাখোশ হলেও রেহান ভালোমতো উপলব্ধি করতে পারছে জীবিত,সুস্থ এবং স্নেহময় বাবা মা থাকা কতটা অমূল্য। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে, সেইসব মানুষদের জন্য,যারা ওর জন্ম থেকেই সাথে ছিলো,কিন্তু ও উপলব্ধি করেনি তাদের মর্ম।
রুশান ব্যাক সিট থেকে বাম দিকের সাইড মিররে তাকালো,প্রিতিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেখানে।অর্থপূর্ণ হাসি দিয়ে প্রিতিও দৃষ্টি বিনিময় করলো পরক্ষণেই।
রুশান বড় নিঃশ্বাস ফেলে গত দুইদিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মনে করলো। সেদিন ভিনার বাসা থেকে প্রিতির সাথে কথা হওয়ার পর বাসায় এসেই বাবা ফারুককে সব জানায় রুশান।ফারুক সাহেব প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি যে তার পুত্রবধূ এতখানি বিচক্ষণ এবং নিঃস্বার্থ হবে।নিজের ছেলেকে আবার বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে অনেকদিন ধরেই বিমর্ষ হয়ে ছিলেন।জেবার সাথে তার দাম্পত্য জীবনে একজন বন্ধুর অভাব সবসময়ই রয়ে গিয়েছিলো।উচ্চশিক্ষিতা হলেও জেবা অনুভূতি প্রবণ না,ফলে দিনশেষে কথা বলার মানুষ নেই ফারুক সাহেবের।সত্যি বলতে বড় ছেলের প্রতি তিনি বেশি টান অনুভব করেন।রেহান রাগ করে একবারো দেশে না ফেরায়,বিগত বছরগুলোতে তিনি প্রচন্ড মানসিক অবসাদে ভুগেছেন।এই অবসাদ তার জীবনীশক্তি সময়ের আগেই যেন শুষে নিয়েছে।এখন ব্যবসায় তেমন সময় দিতে ইচ্ছে করে না,ইচ্ছে করে পরিবারের সাথে সুখ-দুঃখের গল্প করতে।এই ছয় দশকের সাময়িক ঘটনাবহুল জীবনের গল্প বলতে।শ্রোতা হিসেবে চান নিজের ছেলেদের,তাদের স্ত্রীদের এবং নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে,যে সারাজীবন পাশে থেকেও কাছে থাকেনি।
রুশান এবং প্রিতির কথামতোই ফারুক সাহেব রেহানের সাথে একদিন ছাদে ডেকে নিয়ে ধরা গলায় কথা বলেন,জানান ইদানিং তার শরীর ভালো থাকে না,একা থাকতে থাকতে কবে যেন পৃথিবীকে বিদায় জানাতে হবে।আংশিক আদেশ এবং অনুরোধের সুরে তিনি বলেন রেহানকে এখানে থেকে যেতে।বাবার এই অনুরোধ রেহান ফেলতে পারেনি।জেদি হলেও বাবা মায়ের অবাধ্য ছেলে না সে,বিশেষ করে বাবার।আর জেবার ব্যাপারে অভয় দেন,সামলে নিবেন তাকে।রেহানের সম্মতির পর কালক্ষেপণ না করে ফারুক সাহেব দেড় বছর আগে কম্পলিট হওয়া প্রোজেক্টের একটি বিল্ডিং এ ছোট ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা করে দেন রেহান এবং প্রিতিকে।দেশে একটু দূরে থাকলেও সমস্যা নেই,বিদেশে যাওয়ার চেয়ে তো এটা ভালো।
শপিং শেষে প্রিতিকে ভিনার বাসায় নামিয়ে রেহান ও রুশান চলে গেলো।রেহানকে এখনো ভিনাকে নিয়ে থাকার ব্যাপারে বলা হয়নি।সময় হলে বলে দিবে।একশোভাগ বিশ্বাস আছে রেহান আপত্তি করবে না।
বাসায় পৌঁছেই ভিনার রুমে আসলো প্রিতি।বিছানার এক পাশে অনলাইন বিজনেসের হিসাবের ডায়রি,রিসিট এলোমেলো করে রাখা।আরেকপাশে ইকোনমিকস এর বই এবং সাদা অফসেট পেপার।কতগুলো পেপার আবার ফ্যানের বাতাসে ছড়িয়ে পরেছে ফ্লোরে।মাথার কাছে মাহভিনের কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো ছবি এবং খাপছাড়া কলম।মামার ফ্ল্যাটে সেই দূর্ঘটনায় ইঞ্জুরড হওয়ার পর ভিনা এখন অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়।শরীরে ভালো ধকল গেছে।
ফ্লোর থেকে পেপার উঠিয়ে ফাইলে রেখে এরপর বইগুলো স্টাডি টেবিলে রেখে দিলো প্রিতি।ব্যবসার রিসিট এবং ডায়রি বেড সাইড টেবিলের প্রথম ড্রয়ারে রাখলো যেখানে ভিনা সবসময় রাখে।এরপর কলমগুলোতে খাপ লাগিয়ে মাহভিনের ছবির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে সেটা টেবিলের একদম কোণায় রেখে দিলো।বিছানার চাদর টানটান করে ভিনার গায়ে কাঁথা দিয়ে প্রিতি চলে গেলো মুনার ঘরে।দরজায় নক করে ভেতরে ঢুকে দেখলো সোহেল এবং মুনা একসাথেই বসা।তাদের একসাথে পেয়ে প্রিতি খুশিই হলো।
-- আঙ্কেল,কথা ছিলো।সময় হবে?
-- বলো মা।
-- শুনলাম,আপনি নাকি ভিনাকে ওর কোন মামার কাছে যেন পাঠাবেন?
সোহেল কিছুটা থতমত খেলেন।কী উত্তর দিবেন,বুঝে উঠতে পারলেন না।
-- ভেবেছি আরকি,এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
-- আমার কাছে থাকলে কোনো সমস্যা হবে?এবার আর কোনো বিপদ আসতে দিবো না।
-- মানে!তুমি তো জার্মান চলে যাচ্ছো..
-- না আঙ্কেল,রেহানের বাবার শরীর ভালো থাকে না এখন।সারাজীবন একা একাই বড় থেকেছি।এখন এই অবস্থায় বিদেশ যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।রেহান সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা এখানেই থাকবো।এখন ও যখন ঠিক করেই ফেলেছে এখানে থাকার,তাহলে ভিনা আমার কাছেই থাকুক।আপত্তি আছে কোনো?
-- নাহ।আমার মেয়ে বরং তোমার কাছেই ভালো থাকে।কয়দিন ধরে অনেক মনমরা ভিনা, কিন্তু কী করবো বলো,মাহভিনের....
সোহেল থেমে গেলেন তৎক্ষনাৎ। ঢোক গিলে হাসলেন।প্রিতি যে মাহভিন সম্পর্কে জানে না,মাথা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো।এখন প্রিতি আরো গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে,কারণ সে শুধু ভিনার বড় বোনের মতোই না,রুশানের ভাবিও হয়।যত অযৌক্তিক ই হোক না কেন,কম বয়সই হোক না কেন,রুশান ছেলেটাকে তার পছন্দ ভীষণ।অন্তত ভিনার প্রতি রুশানের অনুভূতিতে কোনো খাদ নেই তিনি জানেন।যদিও ভিনা এ ব্যাপারে অনিহার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে,তবুও সোহেল আশা রাখেন,তার মেয়ে রাজি হবে একদিন।এই প্রিতির মাধ্যমেই হয়ত।
-- কিছু বলছিলেন আঙ্কেল?
-- মানে,বুঝোই তো,মাহভিনের সাথে ভিনার গ্যাপ অনেক।আসলে কীভাবে বুঝাই...
-- আমি বুঝি আঙ্কেল। এর জন্যই বলছি,ভিনা আমার কাছেই থাকুক?
-- হ্যাঁ,তোমার কাছেই থাকবে।
প্রিতি প্রফুল্ল মন নিয়ে বের হলো ঘর থেকে।সোজা চলে গেলো ভিনার ঘরে,ভিনা তখনো গভীর ঘুমে।খুব ধীরে সাবধানে পাশে বসে,ভিনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো প্রিতি।জেগে থাকলে এই খবর শুনে নির্ঘাত চেঁচামেচি করতো,কোনোভাবেই মানানো যেতো না ওকে।'আমার জন্য কেন সংসার করবা না' এই কথা অবশ্যই বলতো।হায়রে মেয়ে!এত কান্না পাচ্ছে কেন বুঝতে পারছে না প্রিতি।এত ঋণী কেন সে এই ছোট মেয়ের কাছে।ভালো লাগে না এত ঋণ,ভালো লাগে না!ভিনার সুখেই হয়ত এর মুক্তি।
••••••••••••••••
রুশান যদিও ভিনার কাছ থেকে ল্যাপটপ এনেছিলো ইমার্জেন্সি এসাইনমেন্ট করার জন্য,কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে কোর্স টিউটর ডিউ ডেট বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।গত কয়দিন ব্যস্ততা গেছে পারিবারিক নানা দায়িত্বে। মাঝে মাঝে মনে হয় ভিনাই ঠিক,অনেক ইম্যাচিওর সে।পৃথিবী মাত্র দেখা শুরু করেছে।কত সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের কত নাম,সেটা ঘিরে কত দায়িত্ব!ভিনা কি তাহলে এসবকিছু আগে আগে দেখে ফেলেছে?সত্যিই কি জীবনের ভার অনেক বেশি ভিনার কাছে?কীভাবে পাওয়া যায় এই উত্তর?
রুশান আনমনে নিজের নষ্ট গিটারের স্ট্রিংগুলোতে হাত বুলালো।হাসি পাচ্ছে ভেবে যে ফারজানার ঘটনায় কত ভেঙে পরেছিলো,অথচ মাথা ঠান্ডা রাখলেই সামলানো যেত।এর জন্যই তো ভিনাকে ভালোবাসে,ভিনার জীবন সম্পর্কে গভীরতার জন্য,ওর মায়াবী চোখের ধারালো চাহনির জন্য,সবকিছুর জন্য।পৃথিবীর সবকিছু নিয়ে দ্বিধা থাকলেও,নিজের ভালোবাসা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই রুশানের।এই অনুভূতি ধ্রুব,পরিবর্তন হবে না।যতই বয়স বাড়ুক,এই অনুভূতির গভীরতা সমানুপাতিক হারে বাড়বে।
রুশান ফ্রেশ হয়ে বসলো ল্যাপটপ নিয়ে।প্রথমে ল্যাপটপ ব্যাগসহ বুকের উপর নিয়ে শুয়ে থাকলো কিছুক্ষণ।এরপর খুব সাবধানে যত্নের ব্যবহার করলো মধ্যরাতে এসাইনমেন্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত।ভিনার ল্যাপটপে মাহভিনের ওয়ালপেপার দেয়া।মাহভিনের সাথে ভিনার আরো ছবি বের করার জন্যই রুশান অন্য ফোল্ডারগুলোতে ক্লিক করলো।প্রথমে এথিকালি নিজেকে ভুল মনে হলেও পরে ভাবলো,কারো ক্ষতি তো করছে না অন্তত।নিজেকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে ছবি খোঁজার সময় 'Medical ' নামের আলাদা ফোল্ডার চোখে পরলো।সেটা ওপেন করতেই রুশানের পুরো পৃথিবী যেন ভেঙে পরলো এক মুহূর্তে। ভিনা নিজের মেডিকেল রিপোর্ট গুলো কনফিডেনশিয়াল রাখার জন্যই কাগজের কোনো ফাইল রাখেনি নিজের কাছে কাছে।সেগুলো স্ক্যান করে ল্যাপটপে রেখে ডাক্তারের আসল ফাইল ফেলে দিয়েছে।সেখানেই প্রেগন্যান্সির সব রিপোর্ট, এমনকি ভার্সিটিতে জমা দেয়া এডিটেড নকল রিপোর্ট ও রয়েছে। রুশানের বুঝতে বাকী থাকলো না যে,মাহভিনের সাথে ভিনার সম্পর্ক কী এবং মাহভিন কার সন্তান।
.
.
.
চলবে........................................................................