মাদবরের নাতি, এটা এখনও বেলীর ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে। কেনো দাঁড়িয়ে? অবশ্যই বেলীকে ডিস্টার্ব করার জন্য৷ আজ ছেলেটাকে কী একটা স্পষ্ট ওয়ার্নিং দিয়ে দিবে? বলবে কী, ' দেখুন ভাই৷ আমি বিবাহিত এবং খুব সাংঘাতিক রাগী একজনের বউ৷ আপনাকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিবে৷ আপনার মাতবর দাদাজান কিছুই করতে পারবে না তখন৷'
বেলীর পাশে দাঁড়ানো শীলা তখন বাদাম চিবুচ্ছে৷ মনোযোগ দিয়ে সে বাদাম চিবুতে নিয়ে বলল,
-- কল দিয়েই দি ভাইকে একটা। কি বলিস?
বেলী অসহায় হয়ে পড়লো৷ তার চারপাশের সবাই কেনো তৃষ্ণাতেই বিভোর? ভাই-বোন থেকে ধরে বন্ধুবান্ধব সবাই এই লোকের সুনাম, নাম গাইতে থাকে কেনো? কোথায় এই মেয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে তা না, ভাই ভাই করছে৷ শক্ত দৃষ্টি শীলার পানে ছুঁড়ে প্রশ্ন করলো,
-- তারপর?
-- তারপর? তারপর আর কি? কিছুদিন আর ভার্সিটি আসতে হবেনা তোকে৷ ভাইয়ার সাথে বেডরুমে রেস্ট নিবি নিরিবিলি।
বেলী কয়েকটি ঘুষি মারল শীলার পিঠে৷ বেয়াদব মেয়ে। ভালো কিছু বলবেনা। সব উদ্ভট।
-- দেখ একদম বাজে কথা বলবি না৷ এভাবেই আমি খুব চিন্তিত৷ আচ্ছা তোরা সবাই কেনো আমাকে এতো বিরক্ত করিস ? কী ক্ষতি করেছি তোদের? তোরা সবাই শয়তান, জোচ্চর, ফালতু৷
শীলা মিটিমিটি হাসছে৷ পরপর সেলফোন থেকে তৃষ্ণার গম্ভীর কন্ঠের স্বর শোনা গেলো,
-- কাকে গালাগাল দিচ্ছে এভাবে?
বেলীর মুখ মুহুর্তেই চুপসে গেলো। এই ইতর মেয়ে কল দিয়ে ফেলেছে? তার কী শান্তি নেই এই বড় পৃথিবীতে? ওড়না দিয়ে চোখমুখ ঢেকে সে অন্যপাশ ফিরে গেলো। এই লোকের সাথে তার কোনো কথা নেই৷
শীলার জোড়াজুড়িতে বেলী ভার্সিটি থেকে বেরোলো৷ ভেবে রেখেছে দ্রুত পায়ে টমটম চড়ে একবারে বাড়ির সামনে নামবে। কোনো দাঁড়ানো টাড়ানো যাবেনা৷ অথচ হাঁটতে শুরু করতেই মাদবরের নাতি নায়ক সেজে দাঁড়িয়েছে তার সামনে, রাস্তা আটকে। বেলীর বুক ধুকপুক করছে সাথে ইচ্ছে করছে একটা ঈট তুলে এনে এই ছেলের মাথায় মারতে৷ বেকুব ছেলে একটা৷ পৃথিবীতে আর মেয়ে খুঁজে পায়নি আর৷ অথচ বেলীর ঈট মারতে হয়নি পূর্বেই দেখতে পেয়েছে চেনা সেই জিপগাড়ি৷ যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত পোহায়। কথাটা একদম পইপই মিলে গেলো। বরাবরের মতো তৃষ্ণার সাথে আবিদ, আয়ুশ, অভি। বেলী তৃষ্ণাকে দেখেই শীলার পেছনে দাঁড়ালো নিজেকে সুরক্ষায় রাখতে৷
এদিকে তৃষ্ণা ছেলেটির কলার চেপে ধরেছে৷
ছেলেটা ইতস্তত গলায় নিজের সাফাই গেয়ে বলল,
-- ভাই!! খারাপ কিছু করছিনা। টিজ ও করিনি। শুধু পছন্দ হয়েছ....
বেচারার অসম্পূর্ণ কথা আঁটকে গেলো একটি থাপ্পড়ে। থাপ্পড় একটা মেরে যেমন তৃষ্ণার শান্তি মিলেনি৷
-- শালা। বউ আমার। চোখ কই দেস?
-- আমি জানতাম না ভাই।
মানুষ জড়সড় হয়ে আছে চারপাশে। তৃষ্ণা ছেলেটিকে ছেড়ে বেলীর দিক তাকাল৷ বেলী তখন আরো গভীর ভাবে শীলার পিছু লুকিয়ে ।
-- আমার দিক তাকিয়ে। আমি কি করেছি। আজব!
-- তুই তো মাসুম। কিছুই করিস না৷ সব আমি করি৷
পরপরই তৃষ্ণা শক্ত করে বেলীর হাত চেপে নিজের সাথে নিতে লাগলো৷
-- শীলা একা যাবে? ওর সাথে যাই?
তৃষ্ণার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সাথে নিজের দৃষ্টি মিলতেই, বেলী একাই হাঁটা ধরলো গাড়ির দিক। যেতে যেয়ে সে শুনলো তৃষ্ণার কন্ঠ,
-- আর যদি দেখি আমার বউয়ের দিক তাকানো হয়েছে মুহুর্তে মাটিতে পুঁতে দিব।
বেলী নাক কুঁচকালো। এহ, বউ আমার। বউয়ের কী খবর রাখে? বউ মরেছে না বেঁচে আছে তার ধারণা কী রাখে সে? গাড়িতে চড়ে বেলী চুপ করে বসে। সে ভেবে রেখেছে তৃষ্ণা এসেই কয়েক ঝাড়ি দিবে তারপর গাল চেপে ধরবে। অথচ হলো উল্টো,
তৃষ্ণা প্রথমে আড়াল হয়ে শক্ত এক চুমু খেয়েছে। বেলীকে এদিকসেদিক ছুঁয়ে দিয়ে ঝাড়ি মারল,
-- এভাবে ছেলে পিছু ঘুরঘুর করলে ভালোলাগে?
বেলী দ্রুত মাথা দুলালো।
-- কিন্তু আপনার পিছে তো বেশি ঘুরে।
তৃষ্ণা ভ্রু উঁচু করলো,
-- কখন দেখেছিস?
-- এহ। আমি সব জানি। আমাকে সব বলে আবিদ৷ আপনাকে তো প্রতিদিন মেয়েরা বিরক্ত করে।
-- তাই ?
-- হ্যাঁ।
তৃষ্ণা গম্ভীর কণ্ঠে হাসলো৷ বেলীর গাল টিপে ধরে দুষ্ট সুরে বললো,
-- বিরক্ত করলেই কী? আমিতো শুধু বেলীর৷
চৌধুরী বাড়ির সদরদরজায় পৌঁছাতেই লিমন ছোটছোট পায়ে দৌঁড়ে তৃষ্ণার কোলে চড়ে বসেছে৷ তৃষ্ণার গলা ছোট দু'হাতে আঁকড়ে ধরেছে শক্ত করে৷ লাগাতার বলে চলেছে,
-- তিষ বাবা। তিষ বাবা। তৃষ বা এসেছে৷
বেলী লিমনের মাথা বুলিয়ে ভেতরে চলে গিয়েছে ৷
ব্যাগ ভেতরে রেখে রান্নাঘরে যাবে সে ৷এদিকে তৃষ্ণা দু'হাতে লিমনলে জড়িয়ে নিয়ে ভেতরে যেতে গিয়ে প্রশ্ন করলো,
-- কেমন আছে আমার বাবা?
-- অনেক ভালো। আজকে লিমনের বার্থডে।
তৃষ্ণা অবাক হওয়ার অভিনয় করলো,
-- তাই?ইশ, বাবা তো ভুলেই গিয়েছি।
-- না৷ বাবা কখনো ভুলেনা।
ড্রয়িংরুমে উপস্থিত সবাই হাসছে লিমনের দুষ্টু কথাবার্তায়৷ লিমনকে কোলে নিয়েই তৃষ্ণা সোফায় বসলো। আওয়াজ তুলে বলল,
-- বেলী! এক গ্লাস পানি।
সময় করে গ্লাস হাতে বেলী উপস্থিত হলো৷ গ্লাস কফি টেবিলে রেখে সে আবারও রান্নাঘরে চলে গেলো৷ এদিকে আজ চোদ্দগুষ্টি চৌধুরী বাড়ি৷ সোলাইমানের ছেলে লিমনের বার্থডে সেই উপলক্ষে। সন্ধ্যার পরপর অনুষ্ঠান শুরু হবে।
আবিদের পাশে আরিকা বসে। নাকফুল, চুড়ি পরে একদম বউ রুপে। বিয়ে হয়েছে বছরের পর বছর হচ্ছে। অথচ এখনও আরিকার চোখ অন্য যায়গায় থাকেনা৷ সদার মতো আবিদকে দেখতে ব্যস্ত। তাদের মাঝে এখন একটি বাচ্চার অনুপস্থিতি। সেটাও পূর্ণ হয়ে যাবে। কারণ আরিকা দু'মাসের প্রেগন্যান্ট।
এভাবে এরেঞ্জম্যারেজ হলেও আয়ুশ, তার বউকে চোখে হারায়। সে আঁড়চোখে রান্নাঘরের দিক তাকাচ্ছে। তার বউ সকালের সাথে রান্না ঘরে। রান্নাঘরে থাকলে কি মেয়েদের একটু বেশি সুন্দর দেখায়? কি জানি। তার কাছে তো সুন্দরই দেখাচ্ছে।
অভি একবার রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে এসেছে। বিমান কিছুতেই আসছেনা। কয়দিন ধরে কাছে নেই সে। অথচ একবার কাছাকাছি এসে বসছেও না। এ কেমন নির্দয় মেয়ে বিয়ে করলো সে।
আবির আর আয়েশা এসেছে একদম লাঞ্চের সময়। আবিরের কোলে এক বছরের বাচ্চা। এই বাচ্চার জন্যই আয়েশা এখন কম আসে। মেয়েটা তার প্রচন্ড জ্বলায়। তাদের দেখতেই তৃষ্ণা উঠে বাচ্চাকে কোলে নিলো৷ আবিদ, আয়ুশ এরাও বাচ্চা নিয়ে হাসাহাসি শুরু করেছে।
তৃষ্ণা ছাঁদে বসে তার ভাইদের সাথে। কয়েকদিন পর এলো। কোথায় একটু বউয়ের সাথে সময় কাটাবে । তা না, সেটাতো হচ্ছেই না। কারণ, হাওলাদার বাড়ি এসেছে। সকলে সেখানে কথা বলতে ব্যস্ত। এখন তো বেলীকে জোরপূর্বক ও আনা যাবেনা। আবার সাথে তো টাম্মি আছেই।
তৃষার চেঁচামেচিতে বাড়ি মেতে। আবার বাবলু ও চেঁচাচ্ছে। এরা দুজন আবারও ঝগড়া লেগেছে। দুজন-দুজনের চুল ছিঁড়ে ফেলবে এমন অবস্থা । আমিদ তার মেয়েকে টেনে নিয়ে এসেছে। মেয়েকে ধমক কি দিবে, মেয়ে তার আগেই কেঁদে ফেলেছ। কাঁদতে কাঁদতে বলছে,
-- এটাকে বাড়িতে ঢুকতে দিবেনা। ও সয়তান। আমার সাথে ইচ্ছে করে লাগে আব্বু।
বাবলু চুল ঠিক করছে। সে বেশ ভাব নিয়ে বলল,
-- এ কার মতো হয়েছে। অদ্ভুত মেয়ে।
তৃষা পারছেনা খেয়ে ফেলতে। সেধে তার মাথা থাপ্পড় মেরে, এখন ভালো সাজা হচ্ছেনা। ছেলেটা এমন সয়তান কেন? দেখা গেলো তৃষার বিচারে, বেলী ভাইয়ের কান মুড়ে দিলো। তারপর টানতে টানতে নিজের সাথে নিয়ে গেলো। এদের ঝগড়া লেগেই থাকে। একদম মিলে না দুজনের। সাপ আর বেজি৷
সন্ধ্যার দিক অনুষ্ঠান। লিমনের বার্থডে সেলিব্রেট হচ্ছে। ছাঁদ সুন্দর ভাবে সাজানো। মিউজিক সিস্টেম বাজানো হচ্ছে। বাড়ির মেয়েরা সবাই ব্যস্ত কাজে। লিমন একবার সোলাইমানের কোলে তো একবার তৃষ্ণার কোলে, নাহলে আবির, আবিদ, আয়ুশ, অভি। এদের কোলে বিচরণ করছে। আজ তাকে নামানো হচ্ছেনা। ভালবাসায় তাকে আগলে রাখা হচ্ছে। সকলের জন্য তৃষা একটি নাচ করবে বলা ছিলো। অথচ বাবলু'কে দেখতেই সে নাচ করবেনা জানালো। তো কি করার? বাবলু নিজেই নাচ করলো। বাবলুর নাচ দেখে বড়রা তাকে বকশিস দিলো। রমরমা পরিবেশে লিমনের বার্থডে কেক কাঁটা হলো। অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে রাত বারোটার দিক। সেই রাত্রেই যে যার মতো তাদের গাড়ি নিয়ে রফাদফা। পুরো বাড়ি সুনসান করে দিয়ে গেলো। এতো চেঁচামেচি নিমিষেই শেষ।
ড্রয়িংরুমে তৃষ্ণা মুভি দেখছে। সাথে লিমন তৃষাও আছে। মুভির থেকে বেশি নজর তার রান্নাঘরের দিক। এখনও কি কাজ করছে? অনেকক্ষন যাবত ধরে অপেক্ষা করছে সে বেলীর। অথচ এই মেয়ে আসছেই না। এবার সে উঠে দাঁড়ালো। নিজেই রান্না ঘরের দিক গেলো। বেলী তরকারি গরম করছিলো। আর কাউকে রান্নাঘরে না পেয়ে, তৃষ্ণা পেছন থেকে বেলীকে জড়িয়ে ধরে। হঠাৎ এমন হওয়ায় বেলী ভয় পেয়ে যায়। তৃষ্ণাকে সরাতে চাইলেও, সে সরছেনা।
-- দ্রুত আয়।
কথাটা বলেই সে রান্নাঘর থেকে চলে যাচ্ছে। বেলী খেয়াল করলো তৃষ্ণা বেডরুমে যাচ্ছে। এবং যাওয়ার পথে আরেকবার বেলীকে ডেকে গেলো। বেলী হেসে ফেলল। লোকটা এমন অধৈর্য কেন?
______
বেলী রুমে পৌঁছালো রাত একটার দিক। এতো এতো কাজ ছিলো। শেষ করতে সময় লেগে গেলো। সে ধীরে উঁকি দিলো। তৃষ্ণা ল্যাপটপে কি যেন করছে। বেলী ভাবলো আরেকটু দেরি করে আসবে। তার আগেই তৃষ্ণা তাকে দেখে ফেলেছে। অগ্যত বেলী ভেতরে ঢুকলো। তৃষ্ণা তখনই ল্যাপটপ সরিয়ে, উঠে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো। বড়বড় পা ফেলে বেলীকে কোলে তুলে ফেলল। গভীর ভাবে বেলীর গলায় মুখ ঘষতে ঘষতে বলল,
-- মিসড ইউ বেলী।
বেলী শক্ত ভাবে তৃষ্ণার টি-শার্ট ধরে।
-- মিথ্যুক।
পরপর তৃষ্ণা বেলীর ঘাড়ে কামড় বসালো। বেলীর মুখ দিয়ে অস্ফুট শব্দ বেরোলো। উফ, ঘাড়টা শেষ মনে হচ্ছে।
-- ছাড়ুন। আমার ঘুম পাচ্ছে।
তৃষ্ণা শুনেও শুনলো না। সে বেলীকে বেলকনিতে নামালো। পেছন থেকে বেলীকে জড়িয়ে বাহিরে তাকিয়ে। আকাশের অবস্থা ভালোনা। বৃষ্টি হবে। ঠান্ডা বাতাসে বেলীর চুল উড়ছে। তৃষ্ণার হাত সেই চুল ঠিক করতে ব্যস্ত। ফোঁটা-ফোঁটা বৃষ্টির আগমন শুরু। বাতাসের সাথে তা ছিঁটকে এসে দুজনকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। বেলী দ্রুত তৃষ্ণাকে সরাতে চাইলো,
-- আপনার ঠান্ডা লেগে যাবে। চলুন।
তৃষ্ণা ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলো। সে গভীর ভাবে বেলীকে দেখতে লাগলো। বেলী লজ্জায় আবারও আকাশের দিক তাকালো। বৃষ্টি কেমন অদ্ভুত সুখ দেয়। আর সাথে প্রিয় মানুষ থাকলে তো কথাই নেই।
ধীরে ধীরে তীব্র বৃষ্টির ছোঁয়ায় তারা দুজন ভিজে চুপচুপ। বেলীর বুক ধুকপুক করছে। বিয়ের এতদিন হচ্ছে, এখনও সে তৃষ্ণার দুষ্টু হাতের স্পর্শ নিতে অক্ষম। তৃষ্ণা ধীরে বেলীর কানে ফিসফিস করলো,
-- তোর মনে হয়না, এখন আমাদের এক রাজকুমারীর প্রয়োজন?
বেলী অবাক হলো,
-- আমি এখনও ছোট।
-- কিন্তু আমিতো বুড়ো হয়ে যাচ্ছি।
-- ইশ, আপনি এখনও,
-- আমি এখনও?
বেলী সরতে চাইলে তৃষ্ণা শক্ত করে তাকে ধরে। তাকে পাজাকোলে তুলে ফেলে। ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলে,
-- বেবি নেবার প্রেপারেশন স্টার্ট।
-- না।
-- হ্যাঁ।
-- না। এখন না।
-- হ্যাঁ।
এবার বেলীকে না বলার পথ না দিয়ে, তার মুখ দ্বারা বেলীর মুখ আঁটকে দেয়।
-- আমার অতিরিক্ত চাওয়ার একটা ফুল তো দরকার তাইনা?
বেলী অস্ফুট ভাবে বলল,
-- আপনি বাজে।
-- আর তুই তাকেই ভালবাসিস।
-- হ..হ্যাঁ।
তৃষ্ণা অবাক স্বরে বলল,
-- কি?
-- ভালবাসি। অতিরিক্ত।
বাকিটা জীবন নাহয় তারা আড়ালে থাকুক। সুখ দুঃখের মাঝে এক অসীম জীবন অনুভব করুক।
.
.
.
সমাপ্ত.........................