আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

কনফিউশন - পর্ব ২২ - মৌরি মরিয়ম - ধারাবাহিক গল্প


আরশি একটা লাল রঙের শাড়ি পরেছে। চুলগুলো খোলা। কোনো এক বনের ভেতর সে কাব্যর হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটছে। আরশি কি হাসছে নাকি বিষন্ন সেটা বোঝার জন্য কাব্য আরশির দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু বুঝতে পারছে না কারণ আরশির চুলগুলো তার মুখটা ঢেকে রেখেছে। মুখটা দেখার জন্য একটু এগিয়ে যেতেই হঠাৎ সে একটা বিশাল গর্তে পড়ে গেলো। আরশি কাব্যকে ধরে রাখতে না পেরে চিৎকার দিলো। ঠিক সেই মূহুর্তেই কাব্যর ঘুমটা ভেঙে গেলো। লাফিয়ে উঠে বসলো। ঘাম হচ্ছে হঠাৎ! এ কী আজব স্বপ্ন দেখলো সে? এই স্বপ্নের অর্থ কী?

অদ্ভুত এক ঘ্যার ঘ্যার শব্দে তিরার ঘুম ভেঙে গেলো। প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে সে আবিস্কার করলো তার সেরা ক্রাশ বিকট শব্দে নাক ডাকছে। তিরা যাদিদের বুকে হাত বুলিয়ে দিলো। সাথে সাথেই তার নাক ডাকা বন্ধ হয়ে গেলো। তিরা আপনমনেই হেসে ফেললো। পরক্ষণেই আবার মনটা খারাপ হয়ে গেলো এই ভেবে যে কাল থেকে ঘুম ভাঙলে এই মানুষটাকে আর পাশে দেখতে পাবে না। কীভাবে কেটে গেলো বিবাহিত জীবনের পাঁচটা দিন! এই পাঁচ দিন সময় এতো দ্রুত কেন অতিবাহিত হলো? 

স্বপ্নটা দেখে ঘুম ভেঙে আর ঘুমোতে পারলো না কাব্য। প্রচন্ড অস্বস্তি হচ্ছে তার, সাথে মাথাব্যথা। আরশি শাড়ি পরতে পছন্দ করে না, পছন্দ করেনা কোনো রঙও। যদিও তার নিজের শাড়ি খুব পছন্দ তবুও যেহেতু আরশির অপছন্দের কথা সে জানে, তার মস্তিষ্কের কখনোই আরশিকে শাড়িতে কল্পনা করার কথা নয়। সচরাচর আমরা যা ভাবি তাই নিয়েই স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আমাদের ভাবনার বাইরের বিষয় নিয়ে যখন স্বপ্ন দেখি তার একটা বিশেষ অর্থ থাকে। এই অর্থটা হয় কোনো বিশেষ ঘটনার আগমনী ইঙ্গিত। কাব্য এটা বিশ্বাস করে কারণ একাধিক বার সে এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছে। 
সিগারেট ধরালো কাব্য। আপাতত সে এই স্বপ্নের অর্থ খোঁজার চেষ্টা করছে। প্রথমে তারা বনের ভেতর হাত ধরে হাঁটছিলো, এই দৃশ্য বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় তারা একই পথে হাঁটছে এটার অর্থ হতে পারে আরশি এবং সে দুজনেই দুজনার প্রতি আগ্রহী। 
স্বপ্নে সে আরশির মুখটা দেখতে চাচ্ছিলো সে কিন্তু চুলের জন্য দেখতে পারছিলো না। এই দৃশ্যের অর্থ হতে পারে আরশিকে এবং আরশির বিষন্নতার কারণ জানার তার প্রবল আগ্রহ অথচ আরশি নিজের চারপাশে এমন এক দেয়াল তৈরি করে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে যার জন্য সে জানতে পারছে না। স্বপ্নে সে নিজে আরশির চুল সরিয়ে দেখতে পারতো, কিন্তু দেখেনি ঠিক যেমন বাস্তবে সে কখনোই আরশিকে জানার জন্য নিজ থেকে কোনো প্রশ্ন করেনা।
আরশিকে দেখতে গিয়েই সে গর্তে পড়ে গেলো। গহীন জঙ্গলে আরশি একা হয়ে পড়লো। এই দৃশ্যের অর্থ হতে পারে আরশিকে জানতে গিয়ে তার নিজের সাথে বড়ো কোনো দূর্ঘটনা ঘটবে, অন্যদিকে একই দূর্ঘটনায় আরশি গহীন জঙ্গলে একা হয়ে যাওয়ার মতোই কোনো বিপদে পড়বে। 
এইটুকু আপাতত ক্লিয়ার কিন্তু আরশির পরনের লাল শাড়ির কোনো অর্থ এখনো খুঁজে পাচ্ছেনা কাব্য। 

আসন্ন দূর্ঘটনা থেকে কাব্য যদি নিজেকে এবং আরশিকে বাঁচাতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে আরশির চিন্তা মাথা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। অনেক দূরে থাকতে হবে তার থেকে। কিন্তু ঢাকা ফিরে আসার পর গত চার-পাঁচ দিনে তার মস্তিষ্ক এতোটাই উত্তপ্ত ছিলো যে আরশিকে নিয়ে ভাবার সু্যোগ পায়নি সে। এ কদিনে সে একবারও আরশিকে দেখেনি কোথাও। এমনকি একটা মেসেজ বিনিময়ও হয়নি। আগের থেকে দূরত্ব বেড়েছে। তাহলে হঠাৎ এমন স্বপ্ন দেখার কারণ কী? মাথাব্যথায় মাথাটা ছিড়ে যাচ্ছে।
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।