___ডেকোরেশনের লোক এসেছে বাড়ি সাজাতে।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সবাই অবাক। এই কোন এলাহি আয়োজন? কে করছে, কেনো করছে কেউ কিছু বুজতে পারছে না।নিবিড় আর প্রিয়তা এখনো নিচে নেমে আসেনি।নাদিয়া একটু এগিয়ে এসে ডেকোরেশনের লোকদের বললো,আপনারা হঠাৎ এইভাবে বাড়িতে এসে এসব কী শুরু করেছেন?
-স্যারের অর্ডার।
ডেকোরেশনের লোকের কথা শুনে মোশারফ হোসেন এগিয়ে এসে,আমি তো কোনো,,,,,,
-বাবা আমি করেছি।
কথাটা শুনেই পিছনে উপরে সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে নিবিড়কে দেখে মোশারফ হোসেন বললেন,তুই?
-জ্বি।
-কিন্তু কেনো?
-তোমাদের একটা কথা জানানো হয়নি।জানাবোই বা কী করে? বাড়ির অবস্থাও এমন ভালো ছিলো না।বাবা সেদিন জুহিকে যে লোকগুলো দেখতে এসেছে তারা তো রিসাদের লোক ছিলো এইটা কারো এখন অজানা নয়।সে ভেবেছিলো জুহিকে দিয়েই আমার সাথে খেলবে।কিন্তু পারেনি।এখন আমি নিজেই জুহির বিয়ে ঠিক করেছি।কাল ওর এনগেজড।
কথাটা শুনে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নিবিড়ের দিকে।জুহি কিছু না বলে দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
নিবিড় সেদিকে কুরুক্ষেপ না করে আবার বললো,আমার বোনের এনগেজ হবে ধুমধামে না হলে আমার নিজেকেই অপরাধী মনে হবে।বাবা আপনি সকল আত্মীয়স্বজনদের ইনভাইট করে দিন।আর হ্যাঁ প্রিয়তাদের বাড়ির সবাইকে বলবেন।ওর বোনদেরও।
কথাটা শুনে প্রিয়তা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো।
মোশারফ হোসেন এগিয়ে এসে, তোকে আমি জিজ্ঞেস করবো না ছেলে কে বা কী করে।কারণ আমার থেকেও তুই জুহিকে বেশি ভালোবাসিস।কিন্তু এতোবড় একটা কাজ করার আগে জুহির ছেলেকে পছন্দ অপছন্দেরও তো একটা ব্যাপার আছে তাই না?
নিবিড় গম্ভীরমুখে বাবার দিকে তাকাতেই,না ঠিক আছে তুই যা ভালো মনে করিস।
সালমা বেগম মুচকি হেসে মোশারফ হোসেনের দিকে তাকিয়ে, শুরু করেছো তো? সকাল সকাল ছেলেটা মন খারাপ করে দেওয়ার জন্য।আমার ছেলে মেয়ে যা ইচ্ছে করবে তুমি মাথা ঘামানোর কে? বোনের জন্য ভাই যেমন পাত্র নিয়ে আসুক না কেনো বোনকে বিয়ে করতে হবে।আমার ছেলে যদি অন্ধ, বোবা, খোঁড়াও নিয়ে আসে তাহলে সেটা জুহির ভালোর জন্যই নিয়ে আসবে।এখানে ওর মতামতের কী এসে যায়?
নিবিড় মায়ের দিকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।তার মা তাকে এতোটা বিশ্বাস করে? এতোটা ভরসা করে?
মা সত্যিই তুমি আমায় আজও অবাক করে দিলে।ভেবেছিলাম কেউ কিছু না বললেও তুমি অমত করবে।
-কিরে নাশতা করবি না?তোর আবার অফিসে যেতে হবে তো।
নিবিড় সালমা বেগমের কথা শুনে চমকে উঠে,মা আমি আসছি তুমি যাও।নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে, আপু অধরাকে আজ থেকে আমি স্কুলে নিয়ে যাবো।
-কিন্তু ভাই তুই অনেক ব্যস্ত থাকিস।আমিই নিয়ে যেতে পারবো।তুই আমাকে নিয়ে এতো ভাবিস না তো।
নিবিড় মুচকি হেসে, ওকে।
প্রিয়তা জুহির কাঁধে হালকা স্পর্শ করতেই,জুহি পিছনে ফিরে প্রিয়তাকে দেখে হন্তদন্ত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রিয়তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
-ভাবী তুমি ভাইয়াকে একটু বুজাও না।তুমি তো সব জানো।
প্রিয়তা জুহির মাথায় হাত বুলিয়ে, আমি তোমার ভাইয়াকে সেদিন বলেছি মাহিদের ব্যাপারে। কিন্তু ও কথাটা কানেই তুলেনি।
-কিন্তু আমি তো মাহিদ ভাইয়াকে ভালোবেসে ফেলেছি।
-মাহিদ জানে?
জুহি মাথা উঠিয়ে, ডানেবামে মাথা নাড়িয়ে না বুজালো।তবে আমার মনে হয় উনি বুজেছে।
-মুখে তো বলতে পারোনি।এখন কিছু করারও নেই।তোমার ভাইয়া শুনলে রাগারাগি করবে।
-না ভাবী,, আমার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।আসলে আমিও বোকার মতো কান্না করছি।আমি নিবিড় ইসলামের বোন সেটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।ভাইয়া তো আমার খারাপ চায় না।কেনো যে শুধু শুধু কষ্ট পাচ্ছি বুজতেই পারছি না।
জুহি কথাগুলো বলছে ঠিক কিন্তু বার বার হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের পানিগুলো মুছে যাচ্ছে।
নিবিড় রুমে বসেই অফিসে একটা ফাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে।হঠাৎই প্রিয়তা এসে নিবিড়ের সামনে একবার এদিক আরেকবার সেদিক করে হাঁটতে লাগলো।
নিবিড় নিচের দিকে তাকিয়ে, কিছু বলবে?
কথাটার অপেক্ষায় ছিলো প্রিয়তা এতোক্ষণ।
দৌড়ে পায়ের কাছে বসে,আমার একটা কথা ছিলো।
-বলো?
-আপনি জুহিকে হুটহাট করে কোথায় বিয়ে দিচ্ছেন?ওর তো ছেলেটা নাও পছন্দ হতে পারে।
-আর কিছু?
-প্লিজ শুনন।আপনি মাহিদের কথা একবার ভেবে দেখুন। জুহির জন্য খারাপ হয় না।
নিবিড় চুপ করে নিজের কাজেই করে যাচ্ছে।প্রিয়তা একটু বিরক্তি নিয়ে,আজিব মানুষ আপনি।আমি একটা কথা বললাম আর আপনি কাজ করে যাচ্ছেন?
নিবিড়ও বিরক্তি গলায় বললো, প্লিজ প্রিয়তা এখান থেকে যাও।আমাকে কাজ করতে দাও।আর বিয়ে তো এখুনি হয়ে যাচ্ছে না।মাত্র এনগেজ হবে।জুহির পড়ালেখা শেষ হওয়ায় পর বিয়ে।এরমাঝে দুজনে চলতে চলতে ভালো লেগে যাবে।এরপরে তো আর সমস্যার কিছু দেখছি না।
প্রিয়তা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালো।মনে মনে নিজেকে বললো,নিবিড়ের বোন নিবিড়ের সব ও কেনো আমার কথা শুনবে? এমনিতে আমার জন্য অনেক করেছে।তাও বা কম কিসের!
মোশারফ হোসেন ড্রইংরুমে বসে পেপার পড়ছেন আর চায়ের কাপে অনেকক্ষণ পর পর চুমুক দিচ্ছেন।
প্রিয়তা মন খারাপ করে সিঁড়ি দিয়ে নামে আসতেই সালমা বেগম এসে,কিরে তোর আবার কী হলো?
-কিছু না মা।আচ্ছা মা! তোমার ছেলে জুহির বিয়ের কথা বললো আর তোমরা সহজে মেনে নিলে?
-সালমা বেগম ছাড়া চুলগুলো হাত খোপা করতে করতে, মেনে না নেওয়ার কি আছে?
প্রিয়তা অস্বস্তি মুখে বললো,তোমরা ছেলেটাকে দেখবে না?জুহির সাথে মানাবে কি মানাবে না তাও?
সালমা বেগম মুচকি হেসে,ধুর পাগলী,,,শুন! নিবিড়কে তুই হয়তো এই দুই বছর থেকে চিনিস।কিন্তু আমি ওকে সেই ছোট থেকেই দেখে আসছি।ও ওর বোনদের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিতে পারে।আর সেই নিবিড় বোনের জন্য খাপার পাত্র নিয়ে আসবে সেটা আমি কল্পনাতেও আনতে পারি না।আর যদি জুহির সাথে না মানায় তবুও নিবিড় এমন ছেলে নিয়ে আসবে না যেটা জুহির খারাপ হয়।
প্রিয়তা ঠোঁটের কোনে মুচকি হেসে,হু।
বিকেলের আগেই পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে।বিভিন্ন রঙের ক্যান্ডেল লাইট,বেলুন,ফুল দিয়ে সাজানো শেষ করে ডেকোরেশনের লোকগুলো চলে গিয়েছে।নাদিয়ার মন এখন আগের থেকে অনেক ভালো।নিজেকে সব পরিস্থিতে সামলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে দেখে সবার খুব ভালো লাগছে।অধরাকে কোলে নিয়ে নিচে নেমে এসে, বাবা!
-কিছু বলবি?
-মা বলছে জুহিকে নিয়ে শপিং করে আসার জন্য।তুমি চলনা আমাদের সাথে।
-আমি?
-হ্যাঁ তুমি!
-প্রিয়তাকে নিয়ে যা!
-ওহ্ বাবা! প্রিয়তা কিন্তু এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ না।আমি চাই না শুধু শুধু ওকে কষ্ট দিতে।
-আচ্ছা ঠিক আছে রেডি হয়ে নে।আমি যাবো।
মোশারফ হোসেন বসা থেকে উঠে দাঁড়াতেই দেখে সালমা বেগম রেডি হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এসেছে।
-তুমি কোথায় যাচ্ছো?
-সেকি,মেয়ের বিয়ে সবাইকে দাওয়াত করতে হবে না।সবাইকে বলা শেষ। প্রিয়তার মায়ের বাড়ির লোকদের বলা হয়নি।ভাবছি আমি এখন গিয়ে বলে আসবো।আর আমার ভাইয়ের সাথেও দেখা করে আসবো।তাদেরও তো একটা অধিকার আছে তাই না।
নাদিয়া মুচকি হেসে, ঠিক আছে মা! তাহলে তুমি যাও।আমি বাবা আর জুহি শপিংএ যাচ্ছি।
মোশারফ হোসেন অবাক হয়ে,এই সন্ধ্যায় মেয়েটাকে একা বাড়িতে রেখে সবাই চলে যাবে?
-প্রিয়তার কথা বলছো?
- হ্যাঁ!
-সমস্যা নেই বাবা,শেফালী আপা আছে, আর ভাই তো একটু পর চলেই আসবে।
-না না,, তাই বলে সবাই একসাথে?
সালমা বেগম বিরক্তিকর গলায় বললো, ওহ্ এতো কথা বলো কেনো যাও রেডি হয়ে আসো।
তোমাকে ওকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।মেয়েরা শপিং করতে যাচ্ছে ওদের দেখে রাখতে হবে।
মোশারফ হোসেন আর কথা বাড়ালেন না।চুপ হয়েই নিজের রুমের দিকে গেলেন।আর এইদিকে নাদিয়া আর সালমা বেগম অট্র হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
-মা আমাদের প্লান কাজে দিবে?
-অবশ্যই দিবে।ছেলে আমার গম্ভীর হতে পারে তবে আনরোমান্টিক নয়।
নাদিয়া হাসি মুখটাকে একটু মলিন করে,রিসাদের কারণে দুইজন কতদিন আলাদা হয়ে থেকেছে।আজ আমি চাই ওদের ভালোবাসাটা পরিপূর্ণ হোক।ওর ভুলগুলোর জন্য তো আর আমার ভাইয়ের জীবন পাল্টাতে পারে না।
-তুই মন খারাপ করিস না।শুন রাতে একসাথে খেয়েদেয়ে আসবি।আমি শেফালীকে বলে দিচ্ছি রান্নাবান্না সব আজকের জন্য আপাতত বন্ধ।তোরা আসার সময় বাহিরে থেকে খাবার নিয়ে আসিস ওদের জন্য।তাহলে আমি গেলাম।
-ওকে মা!
বাবা আসলে আমরাও বেরিয়ে যাবো।
নিবিড় বাহিরে থেকে এসে পুরো বাড়িটা নিস্তব্ধ দেখে একটু অবাক হলো।মা! মা! আপু!এই আপু!
জুহি কোথায় সবাই?
শেফালী নিজের রুম থেকে হাই তুলতে তুলতে এসে,ভাইজান বাড়িতে কেহ নাই।
-তুমি এই সন্ধ্যায় ঘুমাচ্ছো?
-কি করমু।খালাম্মা কইয়া গেছে রান্নাবান্না সব বন্ধ।উনারা আসার সময় নিয়া আইবো।তাই আমার তো এহন কোনো কাজ নাই।তাই ঘুমাইতে ছিলাম।
-তোমার ভাবী! ও কী ওদের সাথে গেছে?
-কইতে পারুম না।যাওনের সময় তো কাউরেই দেহি নাই।আমি ছাদে ছিলাম।
-ওহ্ আচ্ছা! তাহলে আমায় এককাপ কফি দিয়ে যাও।আমি ফ্রেশ হয়ে নিচ্ছি।
-আইচ্ছা।
নিবিড় সিঁড়ি দিয়ে উপরে যেতেই শেফালী খিলখিল করে হেসে,ভাইজান রুমে গিয়া কফির কতাই ভুইলা যাইবেন।এর মাঝে আমি লম্বা একখান ঘুম দিয়া লই।
নিবিড় রুমে দরজা খুলে ঢুকে দেখে লাইট বন্ধ।বিরক্তিকর গলায় বললতে লাগলো,সবাই গেছে যাকনা,না উনারাও সবার সাথে যেতে হবে।বাড়িতে থেকে আমার জন্য ওয়েট করলে কী এমন ক্ষতি হতো?
কথাগুলো বিড়বিড় করতে করতে এগিয়ে গিয়ে লাইট ধরিয়ে খাটের দিকে তাকিয়ে নিজেই চমকে উঠলো।
কিছুক্ষণ পর ঘোর কাটতেই,মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো।
প্রিয়তা বউ সেজে খাটে বসে আছে। ফুল দিয়ে খাট সাজানো না হলেও তার বুড়ীকে যে খুব সুন্দর করে ঠিকে সাজিয়েছে।এইটা আপু ছাড়া কেউ হতে পারে না।কারণ প্রিয়তা কখনো এইভাবে সাজবেই না।আর মা সাজালেও সেটা আমার জানা।নিবিড় ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতেই প্রিয়তার দম যেনো বন্ধ হয়ে আসছে।নতুন কোনো অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে আজ।মনে হচ্ছে এই প্রথম নিবিড় সাথে তার দেখা।প্রিয়তার বুকের ভিতর ঢিপঢিপ শব্দটা বেড়েই চলেছে।চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলাতে চেষ্টা করছে।
নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে।লজ্জায় যেনো মরে যেতে ইচ্ছে করছে তার।কেনো যে আপুর কথা শুনতে গেলো!
নিবিড় কাছে এসে বসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আস্তে করে কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো আজ তোমায় একদম নতুন বউয়ের মতো মিষ্টি লাগছে।
নিবিড়ের কথায় ঢিপঢিপ শব্দটা দ্বিগুণ বেড়ে গেলো,হাত পাগুলো কাঁপছে সাথে ঠোঁট। নিবিড় প্রিয়তার অবস্থা দেখে মুচকি হেসে,এতো লজ্জা কোথায় রাখো? তবে তোমার লজ্জা আমার খুব ভালো লাগে।তবে সবসময় নয়।
কথাটা বলে প্রিয়তার কানের নিচে চুলের ভিতরে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মুখটা তুলে ধরে নিজের কাছে আনতেই প্রিতার নিশ্বাস ভারী হয়ে আসতে লাগলো। নিবিড়ের নিশ্বাস আর প্রিয়তার নিশ্বাস এক হতে লাগলো আর নিবিড় সেই গরম নিশ্বাসে প্রিয়তার কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবালো।প্রিয়তাও আস্তে আস্তে নিবিড়ের মাঝে হারাতে লাগলো।
কিছুটা সময় নিয়ে প্রিয়তার ঠোঁট থেকে নিজেকে সরিয়ে,কী বাজে লিপস্টিক দিয়েছো বলো তো?
প্রিয়তা অবাক হয়ে চমকে,বাজে লিপস্টিক মানে?
নিবিড় দুষ্ট হাসি দিয়ে ঠোঁটের ফ্লেভারটাই নষ্ট করে দিলো।
প্রিয়তা বুজে গেলো নিবিড় আজও তাকে ক্ষেপাতে চাইছে। প্রিয়তাও দুষ্ট হাসি দিয়ে, নিবিড়কে জড়িয়ে ধরে,ফ্যাসফ্যাসে গলায় বললো,আজ আপনি আমায় ক্ষেপাতে পারবেন না।
আমি এখন আপনার সব বুজি।
নিবিড় মুচকি হেসে প্রিয়তার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো,আমি জানি।প্রিয়তা লজ্জা পেয়ে নিবিড়ের বুকে মুখ লুকালো।নিবিড় সেই লজ্জা আস্তে আস্তে অতিক্রম করতে চাইছে। প্রিয়তাকে শুয়ে দিয়ে নিজের শরীরে সমস্ত ভর প্রিয়তার উপর দিয়ে নিজের কপাল প্রিয়তার কপালের সাথে ঠেকিয়ে গাঢ় গলায় বললো আজ তো একটাবার বলতে পারো। প্রিয়তা কাঁপা গলায় বললো,
আই লাভ ইউ!
নিবিড় মুচকি হাসলো। প্রিয়তা লজ্জা পেয়ে নিবিড়ের বুকে মুখ লুকিয়ে নিলো।নিবিড়ের হাত আস্তে আস্তে প্রিয়তার কোমরের দিকে নিয়ে ধীরে ধীরে হারাতে লাগলো দুজনে অন্য এক জগতে।