ডাক্তার এসে দেখে চলে যাওয়ার পর নাদিয়ার জ্ঞান ফিরে এসেছে।ডাক্তার বলেছে হঠাৎ শকড হওয়ার কারণে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।তাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।তবে চিন্তার কিছু নেই।
দুপুর বারোটা বাজাতে চলেছে নাদিয়া খাটের মাঝখানেই স্থির নির্বিকার হয়ে বসে আছে।কারো দিকেই তাকাচ্ছে না।রিসাদ এখনো সেই রুমের এক কোনায় দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নিবিড় নাদিয়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে।
-আপু আজ কি তোর চুপ করে থাকার সময়? যে মানুষটা তোর বিশ্বাস এক নিমিষেই ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে।তাকে তোর কোনো কিছু বলার নেই?
নাদিয়া নিচের দিকেই নিস্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।
-আপু ছোটো বেলা থেকে আমাদের মা ছিলো না তুই আমায় শিখিয়েছিস কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।কখনো বুজতেই দিসনি তুইও কষ্টে আছিস।আর আমি ভাই হয়েও তোকে বুজতে পারিনি আপু।আজ তোর এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী। সেদিন যদি রাগ না করে তোকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসতাম। তাহলে হয়তো আজ এই দিন দেখতে হতো না।
মোশারফ হোসেন পাশ থেকে বলে উঠলো,তুই নিজেকে দায়ী করছিস কেনো? তুই যদি ওকে ফিরিয়েও নিয়ে আসতি ও কি সেদিন আসতো? আসতো না! ও তো এই লম্পটের প্রেমে অন্ধ হয়ে ছিলো।
-বাবা প্লিজ এখন এইগুলো বলার সময় নয়।আপু তুই প্লিজ চুপ করে থাকিস না।তুই কথা বল।তোর এইভাবে চুপ করে থাকাটা আমি মেনে নিতে পারি না।তুই কেনো বুজিস না তোর চুপ করে থাকাটা আমার জন্য কতটা কষ্টের।আপু তোকে আমি আগেও বলেছি অন্ধের মতো কাউকে বিশ্বাস করতে নেই।ও তোকে এইবাড়িতে আসার পর থেকেই দিনের পর দিন ঠকিয়ে গেছে।আজ তুই সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকবি?
নাদিয়া আস্তে করে নিবিড়ের দিকে মাথা উঠিয়ে, শান্ত গলায় বললো,কে বললো আমি চুপ করে থাকবো?
আমি চুপ করে থাকবো না।প্রিয়তা এই রুমে এখনো আসেনি? এককাজ কর প্রিয়তা যেহেতু ওকে চায় দুজনকে একসাথে থাকতে দে।ভাই তুই আমার কথা মোটেও ভাবিস না।আমি বাবা মা তোকে আরও ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে দিবো। আমি যেমন ঠকেছি তুইও কিন্তু কম ঠকিসনি।তুই নিজেকে এতোটা শান্ত কীভাবে রেখেছিস? চলে যাক দুজনে এই বাড়ি ছেড়ে।
নিবিড় বোনকে শান্ত হতে বলে উঠে দাঁড়িয়ে, আপু ভুল ভাবছিস প্রিয়তা এমন মেয়েই নয় কাউকে ঠকাবে।
জুহি তোর ভাবীকে ডেকে নিয়ে আয়।
-ভাইয়া ভাবী এখানে এসে কী করবে?
নিবিড় বিরক্ত গলায় বললো,ম্যাজিক দেখাবে।হা করে তাকিয়ে না থেকে এখন যা ডেকে নিয়ে আয়।
নাদিয়া টলটলে চোখে নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
-ভাই তুই কী করতে চাইছিস?
-স্যরি আপু।তোকে আমি এতোটা কষ্ট দেওয়ার জন্য।আজ যদি তোকে এই কষ্টটা না দিতাম তোকে সারাজীবন একটা ঠক চরিত্রহীন মানুষের সাথে দিন কাটতে হতো।
প্রিয়তা এসে দরজায় দাঁড়াতেই সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।পরনে আকাশী রঙের শাড়ি ম্যাচিং ব্লাউজ, গায়ে গয়না হাত ভরতি চুড়ি, সেই আগের রূপ যেনো ফিরে এসেছে।মোশারফ হোসেন চোখমুখ কুঁচকে তাকিয়ে থেকে, প্রিয়তা!
নিবিড় শান্ত গলায় বললো, হ্যাঁ বাবা প্রিয়তা।
- জুহি তুই ওকে এই অল্প সময়ে সাজালি কখন?
-বাবা আমি সাজাইনি।
নিবিড় জুহিকে থামিয়ে দিয়ে,বাবা আমি বলছি,,কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও আমি বলবো,প্রিয়তার মেমোরি লস হয়নি।ও এখন একদম পারফেক্ট আছে।
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নিবিড়ের দিকে।রিসাদ দেওয়াল থেকে প্রিয়তার দিকে এগিয়ে এসে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে।
নিবিড় এগিয়ে গিয়ে প্রিয়তাকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে নাদিয়ার সামনে দাঁড় করিয়ে,তুই বলেছিস না, প্রিয়তা আমাকে ঠকাচ্ছে? কিন্তু সত্যিটা হলো রিসাদের আসল চেহারাটা তোর সামনে নিয়ে আসার জন্যই আমাদের দুজনের এতো ড্রামা করতে হয়েছে।
রিসাদ হঠাৎই এসে প্রিয়তার হাত টেনে নিজের দিকে ফিরিয়ে, তুমি আমার সাথে এতোদিন অভিনয় করছিলে? আমাকে দিয়ে কানে ধরানো, নাশতা বানানো আরও অনেক কিছু সবকিছুই তুমি ইচ্ছে করে করেছো?
প্রিয়তা চুপ করে আছে।কিছু বলছে না দেখে রিসাদ আবার বললো সকালের কথাগুলোও মিথ্যা?
প্রিয়তার কাঁধ ধরে ঝাকিয়ে, এই তুমি কথা বলছো না কেনো? তুমি আমার সাথে থাকবে না? তোমার কথামতোই তো আমি নাদুকে সব সত্যি বলেছি।তাহলে এখন কেনো তুমি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছো?
- হ্যাঁ হ্যাঁ করেছি।তুমিও তো কম করনি! তুমি ভাবলে কী করে যার কারণে আমি আমার বাচ্চা হারিয়েছি তাকেই আমি বিয়ে করবো?
কথাটা শুনে সবাই চমকে উঠলো।মোশারফ হোসেন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে নিরব স্থির হয়ে।
কথাটা শুনেই রিসাদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে, তুমি আমার সাথে এতো বড় বেঈমানী করতে পারলে? কথাটা বলেই প্রিয়তাকে থাপ্পড় দেওয়ার জন্য হাত উঠাতেই নাদিয়া উঠে ধরে ফেলে রিসাদের হাত নামিয়ে, নিজেই সমস্ত শক্তি দিয়ে রিসাদের গালে থাপ্পড় মেরে,কাকে বেঈমান বলছিস তুই?বেঈমান কাকে বলে তুই জানিস?ও তোর থেকে লক্ষগুন ভালো আছে।আর যাই হোক নিজের স্বামীর সাথে বেঈমানী করেনি।
কিন্তু তোকে বেঈমান বললেও বেঈমানদেরও অপমান করা হবে।
রিসাদ গালে হাত দিয়ে, নাদু তুমি আমায় থাপ্পড় দিলে? আমাকে!
- হ্যাঁ দিলাম।তোকে শুধু থাপ্পড় নয় জুতা পেটা করা উচিত। ভাই তুই এখনো এই লম্পট স্বৈরাচারীকে এখনো ছেড়ে রেখেছিস?
নিবিড় রিসাদের সামনে দাঁড়িয়ে শার্টের কলার ঠিক করে দিয়ে,তোকে দেখে এখন আমার বড্ড আফসুস হচ্ছে।তোকে বলেছিলাম না? নিবিড়ের সাথে খেলতে আসিস না।কাল রাতেও তোকে আমি সুযোগ দিয়েছিলাম ভালো হওয়ার।তবে আমি জানতাম তুই ভালো হবি না।উল্টো জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলে পা দিবি।
কথাটা বলেই রিসাদের গালে একটা ঘুসি দিয়ে,তোকে যদি আমি এখন মেরে গুম করে ফেলি না তোকে বাঁচানোর এইমুহূর্তে কেউ এগিয়ে আসবে না।আর বাহিরের মানুষও জানবে না।কথাটা বলে আরেকটা ঘুসি দিলো।রিসাদের ঠোঁট ফেঁটে রক্ত বের হচ্ছে।
নাদিয়া চোখ বন্ধ করে অন্য দিকে ফিরে চোখের পানি ফেলছে।
রিসাদ নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে, নাদু তোমার ভাই আমায় মারছে আর তুমি চুপ করে আছো?
নাদু আমি তোমায়ই ভালোবাসি।নাদু প্লিজ আমাকে আরেকটা বিশ্বাস করে দেখো।একটাবার সুযোগ দাও।
নাদিয়া কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে ড্রইংরুমে চলে এলো।
সবার আর কিছু বুজার বাকী নেই।তার মানে এতোদিন যা যা হয়ে আসছিলো সবকিছুর পিছনে রিসাদ।
মোশারফ হোসেন প্রিয়তাকে নিজের বুকে মাথা রেখে, মারে এতো ধৈর্য সহ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তোকে দিয়েছেন।আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করি এমন একটা বউ আমার ঘরে দিয়েছেন।
নিবিড় মাহিদকে ফোন দিয়ে,সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে?
- ওকে,, রায়হান আর মুনিরকে নিয়ে এসে নিয়ে যাও।বাকীটা পরে বলে দিবো।
রিসাদ নিবিড়ের ফোনে বলা কথাগুলো শুনে,তুমি আমায় কোথায় পাঠাচ্ছো?
নিবিড় তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে,তোকে রাজপ্রাসাদে মানায় না।যে জাগায় মানায় সেটারই ব্যবস্থা করলাম।
-না আমি কোথাও যাবো না।আমার মেয়েকে ছাড়া আমি কোথাও যাবো না।আমি এখান থেকে কোথাও যাচ্ছি না।
নিবিড় শান্ত গলায় ফোন পকেটে রেখে বললো,কিপ ইউর ভয়েস ডাউন!
কথাটা বলতেই রিসাদ হা হা হা করে হাসি দিয়ে,তুমি আমাকে এই বাড়ি থেকে তাড়াতে পারবে না।কারণ আমাদের এগ্রিমেন্ট এখনো শেষ হয়নি।
কথাটা শুনে নিবিড় মুচকি হেসে,কিসের এগ্রিমেন্ট?
ওওও হ্যাঁ মনে পড়েছে।এক বছর তো কবেই শেষ মিস্টার রিসাদ। এখনো সেই আশায় বসে আছো? ভেরি সেড।
রিসাদ কি বলবে বুজতেই পারছে না।নিবিড় আজ সব প্রমাণ নিয়েই যে মাঠে নেমেছে তা রিসাদ খুব ভালোই বুজতে পেরেছে।কিন্তু নিবিড় আমায় থানায় না দিয়ে কোথায় নিয়ে যাবে? ওর সাথে পেরে উঠা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব না।কেনো যে সকাল সকাল না জেনে বুজে ওর ফাঁদে পা দিতে গেলাম?
রিসাদ কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই খাটের কিনারায় বসে পড়লো।
নিবিড় নিচে নেমে এসে,প্রিয়তাকে ইশারা দিলো নাদিয়াকে সরিয়ে নিতে।
প্রিয়তা এসে, আপু এখানে বসে না থেকে চলো আমরা বাবার রুমে যাই।কথাটা বলে নাদিয়াকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে নিলো।প্রিয়তা নাদিয়াকে নিয়ে বাবার রুমে গিয়ে খাটে বসালো।
নাদিয়া হতভম্ব হয়েই আছে,কিছুই বলছে না।ভিতর থেকে কান্নাটাও আসছে না।বেশি কষ্ট পেলে কি মানুষ পাথর হয়ে যায়? হয়তো আমি তাই হয়েছি।আজ আমিও পাথরের মুক্তিতে পরিনত হয়েছি।
রিসাদকে নিয়ে গেলো মাহিদ আর দুটো ছেলে এসে।কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রিসাদ এখনো কিচ্ছু জানে না। ভবিষ্যত তার জন্য কী অপেক্ষা করছে সেটাও অজানা।
কেটে গেলো দুইটা দিন।সবাই এখন কিছুটা স্বাভাবিক। নাদিয়া এখন সারাক্ষণ নিজের রুমেই বসে থাকে।কারো সাথেই তেমন কথা বলে না।নিবিড় প্রিয়তাকে বারণ করছে কিছুদিন যেনো নাদিয়ার রুমে না যায়। প্রিয়তাকে দেখলে রিসাদের কথা ভেবে আরও কষ্ট পাবে।
অধরার দেখাশুনা এখন প্রিয়তাই করে।জুহির রেজাল্টের দিন বাড়ির অবস্থার কারণে কেউ তেমন জুহিকে কিছু বলেনি।তবে জুহি ভালো রেজাল্ট করাতে সবাই প্রিয়তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে।
প্রিয়তা বিছানা গুছিয়ে দাঁড়িয়ে জামাকাপড় গুছিয়ে নিচ্ছে।নিবিড় বসে বসেই ল্যাপটপে কাজ করছে।এই দুইদিন প্রিয়তার সাথে তেমন কথা বলেনি।চুপচাপ হয়েই থাকে।বাড়িতেও এখন রাত করে ফিরে।
-আচ্ছা একটা কথা বলবো?
নিবিড় আড় চোখে তাকিয়ে আবার কাজে মন দিয়ে,বলো!
-রিসাদ কোথায়? ওকে তুমি পুলিশে না দিয়ে কোথায় নিয়ে গেছো?
নিবিড় চুপ করেই আছে।
-আপনি কথা বলছেন না কেনো? আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি!
-তোমার না জানলেও চলবে।
-আপনি ওকে পুলিশে দিলেই তো হয়।শুধু শুধু বিপদ কাঁধে রেখে লাভ কী?
-শেটাপ!তোমাকে আমি বিয়ের সেই প্রথম দিন থেকে একটা কথা আজও বুজাতে পারলাম না।তোমার আমার কাজের ব্যাপারে কখনো কোনো কিউরিওসিটি দেখাবে না। তাহলে কেনো দেখাচ্ছো?
প্রিয়তা কিছু বলার আগে কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ শুনে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।শব্দটা নাদিয়ার রুম থেকে এসেছে।
নিবিড়ও ল্যাপটপ রেখে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
প্রিয়তা এসে দেখে রুটি, গরুর মাংস ভুনা,ডিম, কফি সব নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সাথে প্লেট বাটির কাঁচ ভাঙ্গাগুলো।
শেফালী কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কপাল কুঁচকে।
প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে শুকনো গলায় বললো,আপার লাইগা খাবার আনছিলাম। কিন্তু আপা খাইবো না বইলা সব পালাইয়া দিছে।
প্রিয়তা আস্বস্ত চোখে ইশারা করলো শেফালীকে চলে যেতে।
প্রিয়তা নাদিয়ার পাশে বসে, আপু তুমি খাবারগুলো ফেলে দিলে কেনো?
নাদিয়া কিছু বলছে না,চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
-আপু তোমার এই কষ্ট তুমি হয়তো কাউকে দেখাতে পারছো না।তোমার মনে কী চলছে কেউ হয়তো অনুভব করতে পারবে না।কিন্তু যে মানুষটার জন্য করছো সেও কখনো করতে পারবে না। কারণ সে তোমাকে কখনো ভালোইবাসেনি।
তুমি হয়তো তার কথা ভেবে নিজেকে শেষ করতে চাইছো।কিন্তু যার জন্য করছো সে কি এই মূল্যবোধ বুজে? বুজে না! যদি বুজতো তোমাকে আর অধরাকে কখনো কষ্ট দিতো না।প্লিজ আপু নিজেকে এইভাবে কষ্ট দিও না।নিজের জন্য না হোক মেয়েটার পানেচেয়ে
সব ভুলে যাও। জানি এতো সহজে সম্ভব নয়।তবুও চেষ্টা করতে তো দোষের কিছু নেই।
নিবিড় দরজায় দাঁড়িয়ে সব শুনছে।নাদিয়ার দিকে তাকালে নিজেকে সামলাতে পারছে না সে।
নাদিয়া প্রিয়তার হাত টেনে দুই হাতে শক্ত করে ধরে,প্রিয়তা তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও।তোমাকে আমি কতো খারাপ কথা শুনিয়েছি।তোমাকে আমি পতিতা-দের সাথে তুলনা করেছি তবুও তুমি মুখ ফুঁটে কিছু বলোনি শুধু আমার সুখের জন্য।
-আপু তুমি নিজেকে কেনো এতো নিচে নামাচ্ছো?তুমি আমার বড় বোনের মতো তুমি আমায় শাসন করতেই পারো।
-আমি তোমায় অন্যায় ভাবে শাসন করেছি।আমার একদম উচিত হয়নি এসব করার।
প্রিয়তা কিছু বলার আগেই নিবিড় এসে নাদিয়ার পাশে বসে, আপু! প্রিয়তা তোকে অনেক ভালোবাসে।সো এসব মনে করে কষ্ট পাওয়া কোনো দরকার নেই।
নাদিয়া স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে প্রিয়তাকে জড়িয়ে ধরে,তুমি এতো ভালো কেনো বলো তো?
এতো ভালো হলে সবসময় কষ্টই পেতে হয়।
প্রিয়তাও কিছু বললো না।চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।