তৃষ্ণা - পর্ব ১৫ - মিশু মনি - ধারাবাহিক গল্প


জ্ঞান ফিরলে অংশী নিজেকে খুব অসহায় ভাবে আবিষ্কার করলো। জ্ঞান হারানোর আগের কথাগুলো ভেবে শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো। সদ্য কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যে পা রাখা এই মেয়েটা কতটুকুই বা বোঝে এত কঠিন বাস্তবতা সম্পর্কে। নিজেকে ওর খুব তুচ্ছ ও হতভাগা মনে হচ্ছিলো। মারের প্রভাবে শরীরের কিছু জায়গা জখম হয়ে গেছে, ব্যথা করছে ভীষণ। ফোন বের করে মাহিবের নাম্বারে কল করলো অংশী। আজ আর লুকোচুরির কিছু নেই, সব কিছু প্রকাশ হয়েই গেছে। 

মাহিব রিসিভ করে বললো, 'এখন ব্যস্ত আছি। তুমি পরে ফোন করো..'
'আমার কথাটা আপনে আগে শুনেন। নয়তো বইলা দেন আমি মইরা যাই'
- 'কি হইছে অংশী? তুমি এভাবে বলছো কেন?'

সব কথা মাহিবকে খুলে বললো অংশী। শুনতে শুনতে মাহিবের কান গরম হয়ে উঠছিলো। ও কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলো না। অনেক্ষণ নিশ্চুপ থেকে বললো, 'অংশী, টেনশন কোরো না। আমি তোমাকে একটু পরে ফোন দিচ্ছি।'

মাহিব ফোন কেটে দিলে অংশী অনেক্ষণ গাছে হেলান দিয়ে বসে রইলো। যা ঘটেছে তা যে সত্যিই ঘটেছে সেটা বিশ্বাস করতে নিজেরও কষ্ট হচ্ছিলো। পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে অংশীর মুখ। কেবলই অপেক্ষা করতে লাগলো মাহিবের ফোনের জন্য। 

সারাদিন পেরিয়ে গেলো। অংশী পুরোটা বিকেল একই জায়গায় বসে কাটিয়ে দিলো। ওর চোখমুখ শক্ত হয়ে গেছে। মাহিব এসব কি করলো, কেন করলো আর অংশী নিজেও অবুঝের মত মাহিবের সাথে পাগলামী করে বসলো সবকিছু ভেবে ভেবে অংশীর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। এমন সময় মাহিবের নাম্বার থেকে কল। মাহিব কল দিয়েই বললো, 'তুমি আজকেই চলে আসতে পারবে? কিভাবে আসতে হবে আমি বলে দিচ্ছি।'
'পারমু। কিন্তু আমার কাছে একটা পয়সাও নাই। ক্যামনে আসমু?'
'আমি বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছি। বাজারে গিয়ে একটা দোকানের নাম্বার আমাকে দাও। আর একটুও দেরি কোরো না অংশী।'

মাহিবের কথায় ভরসা পেলো অংশী। জামাকাপড় কিছুই বদলালো না। পড়নে যা ছিলো সেভাবেই বেরিয়ে পড়লো। বাড়ির দিকে একবার ফিরেও তাকালো না। দ্রুত বাজারে এসে একটা দোকান থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে মাহিবকে জানালো অংশী। 

বাসে উঠে অংশীর বুক দুরুদুরু কাঁপছিলো। যা হচ্ছে তা কি সত্যিই হচ্ছে? মাহিবের কাছে সারাজীবনের মত চলে যাচ্ছে এই ভেবে আনন্দ হতে লাগলো অংশীর। আজ থেকে মুহুর্তের জন্যও মাহিব আড়াল হবে না। একসাথে ঘুমানো হবে, সারাক্ষণ মাহিবের বুকে ঘুমাবে অংশী। ভাবতে ভাবতে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছিলো ওর। এমন সময় হঠাৎ ই অংশীর মনে হলো পেটের বাচ্চাটার কথা। যদি সত্যিই পেটে বাচ্চা এসে থাকে! সেটা ভেবে নিজের পেটের উপর হাত রেখে ভাবতে লাগলো অংশী। যদি এটা সত্যিই হয় তাহলে দুজনের ভালোবাসার একটি প্রমাণ আসবে পৃথিবীতে। ভাবলেই কেমন যেন অনুভূতি হচ্ছে। মাহিবের স্পর্শ লেগে আছে ভেবে খুশিতে উচ্ছ্বল হয়ে উঠলো অংশী। নিমেষেই পাগল মন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিলো। প্রতিদিন সকাল হবে, একটা ছোট্ট সোনামণিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে অংশী। মাহিব বাবুকে কোলে নিয়ে বসে থাকবে, অংশী খাবার তৈরি করে আনবে। এরপর মাহিব অফিসে চলে গেলে সারাদিন বাচ্চাটাকে নিয়েই কাটবে অংশীর। এসব ভেবে ভেবে কি যে আনন্দ হচ্ছিলো তা অভাবনীয়। অংশীর বড্ড সুখ সুখ অনুভূতি হচ্ছে। এ সুখ যেন আজীবন থাকে!

১৭!!
খুব ভোরবেলা বাস ঢাকা শহরে নামিয়ে দিলো অংশীকে। মাহিব বাস কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করছে। অংশী মাহিবকে দেখে আর থাকতে পারলো না। ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। মাহিব অংশীর দিকে চেয়ে মৃদু হেসে বললো, 'একদম টেনশন কোরো না। আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?'

অংশী দুদিকে মাথা নাড়ালো। মাহিব নিজের গাড়ি নিয়ে এসেছে। গাড়িতে অংশীকে উঠতে বললে অনেক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো অংশী। অবাক হয়ে বললো, 'এইটা আপনের?'
- ‘হ্যাঁ আমার। ওঠো তো..'

গাড়িতে বসে অংশী মাহিবের হাত শক্ত করে ধরে রইলো। অংশীর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করলো মাহিব। সকালের আলো ফুটছে সবেমাত্র। অংশীকে আগে কিছু খাওয়ানো দরকার ।

বেলা বেড়ে গেলে মাহিব অংশীকে নিয়ে একটা হাসপাতালে চলে এলো। অংশী অবাক হয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছে আর মুগ্ধ হচ্ছে। মাহিব শক্ত করে ওর হাত ধরে রেখেছে। ডাক্তারের সাথে কথা বলার জন্য মাহিব অংশীকে রেখে আড়ালে চলে গেলো। আড়ালে কেন যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারলো না বোকা অংশী। মাহিব ফিরে এলে অংশী বললো, 'আমরা এইখানে ক্যান আইছি?'
'তোমাকে টেস্ট করাতে। ভয় পেও না মোটেও।'

অংশী মোটেও ভয় পায়নি। মাহিবকে কাছে পেয়ে ওর আনন্দের সীমা নেই। কেবলই মনে হচ্ছে ওর জীবনে সবচেয়ে ভরসার মানুষটাকে পেয়েছে ও। স্থির হয়ে বসে রইলো অংশী। ডাক্তার ওকে কিসব পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন , করতে দিলেন। এরপর নিশ্চিত হয়ে বললেন, অংশী আসলেই প্রেগন্যান্ট। 

মাহিব আবারও ডাক্তারকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলো। ডাক্তার কি বললো শুনতে পায় নি অংশী। মাহিব অংশীকে নিয়ে বেরিয়ে এলো হাসপাতাল থেকে। বের হওয়ার সময় বললো, 'কাল আবারও আসতে হবে।'

অংশী বেচারার কিছুই বোঝার সাধ্য হলো না। মাহিব ওকে একটা বাসায় নিয়ে এলে অংশী অবাক হয়ে বললো, 'এটা কার বাড়ি?'
‘এখানে আজ থেকে তুমি থাকবা।'
'আর আপনে?'
'আমি মাঝেমাঝে আসবো। সবসময় তো থাকতে পারবো না এখানে। আমার এখন অনেক কাজ অংশী। তুমি এখানে থেকে পড়াশোনা করবে।'
'ও'

অংশীর মুখ কালো হয়ে গেছে। মাথা নিচু করে ফেললো ও। মাহিব চলে গেলেই নিজেকে অসহায় মনে হবে ওর। এ কি করে হতে পারে। মাহিবকে ছাড়া একটা মুহুর্তও থাকতে পারবে না অংশী। ও মাহিবের হাত চেপে ধরে বললো, 'আপনেরে ছাড়া আমি থাকতে পারুম না। আপনে যেইখানে যাইবেন আমারেও সেইখানে নিয়া যাইবেন।'

মাহিবের চোখে আগুন জ্বলে উঠলো। বললো, 'এটা কি করে সম্ভব তুমি বলো? এটা তোমার গ্রাম নয় অংশী। এটা শহর।'
'তাতে কি হইছে? আমি কিচ্ছু করুম না। চুপচাপ হইয়া থাকুম।'
'বেশি বাড়াবাড়ি করবে না। আমি যেভাবে বলবো সেভাবে থাকার চেষ্টা করো।'

অংশীর কান্না পেয়ে গেলো। মাথা নিচু করে বললো, 'আইচ্ছা।'
'খাবার দিয়ে যাচ্ছি খেয়ে নিও। আর হাড়ি পাতিল কিনে দিয়ে যাবো, কিভাবে রাঁধতে হয় দেখিয়ে দিবো। নিজে রান্না করে খাবা।'

মাহিব অংশীকে অনেক বুঝিয়ে বাসায় রেখে চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলো। কিন্তু অংশীর দম আটকে আসছিলো যেন। ও মাহিবের হাত টেনে ধরে বললো, 'আমি একলা থাকতে পারুম না। আমারে রাইখা যাইয়েন না আপনে।'
'অংশী পাগলামী কোরো না। যা বলছি শোনো। আমি ফোনে কথা বলবো, আর কাল আবার আসবো।'

মাহিবকে আটকানো গেলো না। অংশীর বুকের ভিতর দ্রিম দ্রিম শব্দ হতে লাগলো। মাহিবের আচার আচরণ সবই বদলে গেছে। মানুষটা আগে কত আদর করতো, কত মিষ্টি করে কথা বলতো, এখন সেসবের কিছুই নেই। কত কঠিন একটা মানুষ হয়ে গেছে। এই মানুষটাকে চিনতেও কষ্ট হচ্ছে অংশীর। 

বিছানায় শুয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো অংশী। মাহিবকে কয়েকবার কল দিলো কিন্তু ফোন রিসিভ হলো না। কষ্ট ক্রমশ বেড়ে যেতে লাগলো অংশীর। কাঁচের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে একটা অচেনা শহর। গাড়ি আর মানুষে গিজগিজ করছে রাস্তা। এখানে কোনো রাস্তা আছে বোঝাই যায় না। শুধু গাড়ি। সব গাড়ি একটার পিছনে একটা লেগে আছে। লোকজনের চেঁচামেচি, গাড়ির হর্ন উপরতলা থেকেও শোনা যাচ্ছে। অংশীর নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এই শহরে একা কিছুতেই থাকতে পারবে না ও। এভাবে সারারাত থাকলে তো মরেই যাবে। 

এমন সময় দরজার তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করলো মাহিব। মাহিবকে দেখে ছুটে এসে জাপটে ধরলো অংশী। মাহিব বললো, 'খাবার এনেছি, খেয়ে নাও।'

খাবার খাওয়ার পর অংশীকে নিয়ে শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো মাহিব। মাহিব জাপটে ধরামাত্র চিৎকার করে উঠলো অংশী, 'আঃ, গায়ে খুব ব্যথা। আম্মা মারছে অনেক।'
'আহারে, আমার জন্য কত কষ্ট পেতে হলো তোমাকে। কিন্তু আমি তো প্রটেকশন নিয়েছিলাম। কে জানে সেদিন রাতে তোমাকে দেয়া পিলটা তুমি খাওনি।'
-'খাইতে ভুইলা গেছিলাম।'
-'ভুলে গিয়ে উদ্ধার করেছো আমাকে। এখন ঘুমাও। তোমাকে ঘুম দিয়ে আমি চলে যাবো।'
- 'আপনি যাইবেন না দোহাই লাগে। আপনে চইলা গেলে আমি ক্যামনে থাকি?'
- 'বাচ্চাদের মত কোরো না অংশী। আমার একটা পরিবার আছে।'
- 'পরিবার আমার নাই?'

মাহিব এর উত্তরে কিছু বলতে পারলো না। অংশীর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো অনেক্ষণ। অংশী মাহিবের বুকের ভিতর লুকাতে লুকাতে বললো, 'আমারে রাইখা যাওয়া মানা। গেলে আমি মইরাই যামু যে।'
মাহিব কিছু বললো না। নিরবে অংশীকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে রইলো। 

অংশীর ঘুম ভাংলে চোখ মেলে দেখলো মাহিব নেই। ওর আচমকা কষ্ট হতে লাগলো। চোখের কোণ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। এত বড় ঘরে নিজেকে বন্দী মনে হচ্ছে ওর। তবুও মাহিবের জন্য এইটুকু কষ্ট স্বীকার করে নিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করলো না। 
রাতে মাহিবকে কল দিয়ে অংশী বললো, 'আচ্ছা আমাগো তো সন্তান আইতাছে। এখন বিয়া তো করতেই হইবো।'

মাহিবের দিক থেকে কোনো উত্তর নেই। অংশী বললো, 'কিছু কন না ক্যান?'

মাহিব ঠান্ডা স্বরে বললো, ‘এখন আমরা বিয়ে করবো না অংশী। আর বাচ্চাটাকে আমরা রাখবো না, নষ্ট করে ফেলবো।'

অংশী বড়সড় একটা ধাক্কা খেয়ে গেলো। এমন একটা কথা মাহিবের মুখ থেকে শুনে বুকের মাঝে ব্যথা হতে লাগলো। 

মাহিব বললো, 'তুমি এসব নিয়ে ভেবো না। সব ব্যবস্থা আমি করবো। শোনো, তুমি পড়াশোনা শিখে নাও, আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করো। নয়তো আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না।'
'কি কন আপনে এইগুলা!'

অংশীর মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়লো। নিজের কানকেও বিশ্বাস হতে চাইলো না। মাহিব এত কঠিন করে কথা বলছে কেন। অংশী বললো, 'আমারে কি করতে হইবো আপনে কন। আমি সব করমু, কিন্তু আমার পেটের বাচ্চাটারে আপনে নষ্ট কইরেন না।'
- 'তাছাড়া উপায় নেই অংশী। এটা একটা এক্সিডেন্ট ছিলো। তোমার দোষে এটা হয়েছে। আমার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ো না।'
- 'আমার দোষে! আমি কি এসবের কিছু বুঝতাম? আপনে ক্যান আমার লগে এমন করলেন? এখন আমি বাঁইচা থাকতে বাচ্চা নষ্ট করতে দিমু না।'

মাহিব রেগে বললো, 'একটাও কথা বলবা না। এখন আমি যা বলবো সবই শুনতে হবে তোমাকে। যদি নিজেকে গড়ে তুলতে পারো তবেই আমাদের বিয়ে হবে নয়ত নয়। আমি সোজাসাপটা বলে রাখি, অন্তত পাঁচ বছরের আগে আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। পাঁচ বছর পরে যে তোমাকেই বিয়ে করবো এমন কোনো গ্যারান্টিও দিতে পারবো না।'

সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যেভাবে তীরে আছড়ে পড়ে, অংশীর বুকে ঠিক সেভাবেই কষ্টের ঢেউ আছড়ে পড়লো। এমন কঠিন কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারে নি ও। সব স্বপ্ন মুহুর্তেই চুরমার হয়ে যেতে লাগলো অংশীর। মনে হচ্ছিলো এখনই বুঝি মরে যাবে ও। 

অংশী অনেক কষ্টে বললো, 'তাইলে আমারে কথা দিছিলেন ক্যান?'
'রাখো তোমার কথা। ওই নিবিড় পাহাড়ি এলাকায়, রোমান্টিক পরিবেশ। তুমি ছাড়া আর কোনো মেয়ে ছিলো না, আর তুমিও যথেষ্ট সুন্দরী। প্রেমে পড়াটাই স্বাভাবিক। এটাকে এত সিরিয়াস করে দেখার কিছু নেই।'
'সব মিথ্যা ছিলো?'

মাহিব স্পষ্ট করে বললো, 'জাস্ট একটা রিলেশনশিপ। তারমানে এই নয় যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে বাধ্য। গতকাল রাতেই এটা বুঝতে পেরেছি যে তুমি আমার একটা জাস্ট দূর্বলতা ছিলে। তারপরও যদি তুমি তোমাকে গড়ে তুলতে পারো, আমার তোমাকে বিয়ে করতে আপত্তি নেই। এতদিন আমাদের সম্পর্ক থাকবে। এখন যেরকম আছি, সেরকম থাকবো। তোমার ভরণ পোষণ, থাকা, পড়াশোনা সব দায়িত্ব আমার।'

অংশীর হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো। বিছানায় শুয়ে গলাকাটা পশুর মত আর্তনাদ করে উঠলো অংশী। পৃথিবীর সমস্ত দরজা ওর জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। মাহিব এভাবে প্রতারণা করবে তা কল্পনারও অতীত ছিলো ওর। আজ ঘরে ফেরারও উপায় নেই, আর উপায় নেই আত্মহত্যা করারও। মাহিবের আশ্রিতা হয়ে দিনের পর দিন তার ভোগ লালসা মিটিয়ে যেতে হবে। একটা মানুষ এতটা বিবেকহীন কিভাবে হতে পারে! বুকের উপর একটা ভারি পাথর জমে উঠলো অংশীর। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন