পরাণ প্রিয়া - পর্ব ২০ - রাবেয়া সুলতানা - ধারাবাহিক গল্প


___বাড়িতে ফিরে এসে যেই যার মতো করে রুমে চলে গেলো।প্রিয়তা দাদীকে নিয়ে উনার রুমে দিয়ে এসে,দাদী তুমি ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নাও।আমি রুমে যাচ্ছি।একটু পর তো বাবা চা চা করে বাড়ি মাথায় তুলবে।

-হে রে পিউ,তোর বাপের বাড়ির লোকগুলান সেদিন আইয়াই চইলা গেলো।আর তো আইলোই না।

-দাদী আমার মা তো একা একা, হয়তো সব সমলে  পরে আবার একদিন আসবে।তখন আমার মাকে বলবো তোমার সাথে ভালো করে আড্ডা দিতে।

-কতা হইলো তুই রাইতে একা ঘরে শুইতে পারবি? 
নিবিড় দাদুভাই তো হঠাৎ কইরা চইলা গেলো।

-দাদী চিন্তা করো না।আমি পারবো।বিয়ের পর,,, 
প্রিয়তা মুখের কথা মুখে রেখেই,আচ্ছা দাদী আমি গেলাম।

প্রিয়তা হেঁটে এসে সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই রিসাদ নেমে আসছে।দুজন দুজকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো।
-নিবিড় সাহেব তো চলে গেলেন।এখন কাকে নিয়ে থাকবে? 
-সেটা তোমাকে চিন্তা না করলেই হবে।সামনে থেকে সরে দাঁড়াও।
-প্রিয়তা, নিজেকে বেশি চালাক মনে করো তাইনা?নিবিড়ের টাকা দেখে কী চোখ কপালে উঠে গেলো নাকি?
-ভদ্র ভাবে কথা বলো।আর হ্যাঁ আমি যদি নিবিড়ের টাকার জন্য বিয়ে করে থাকি তুমি তাহলে নাদিয়া আপুকে কিসের জন্য বিয়ে করেছো? 
মুখে যে বড় বড় কথা বলো  সেটা বেশিদিন টিকবে না যদি আমি একবার মুখ খুলি।
-ওহ্ রিয়েলি?  তাহলে খোলো! সবাই বিশ্বাস করবে তোমার কথা? নাদু করবে? কেউ করবে না।ভুলে যেও না আমি নিজের ইচ্ছায় এই বাড়িতে আসিনি।
প্রিয়তা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু বলতেও পারছে না।নিবিড় যেদিন এসব জানতে পারবে তার স্থান কী সত্যিই আর এই বাড়িতে হবে না।এই লোকটা না জানি উল্টো পাল্টা কিছু করে বসে।
-ওহ্ আরেকটা কথা,,যে টাকার জন্য বিয়ে করলে ছেলেটাকে সেটা তো দেখছি ছেলেটার একার নয়।
নিজের বোনেদের জন্যও সব করে রেখেছে।
বুজতেই পারছো তাহলে তো আমিও এই প্রপার্টির ভাগ পাচ্ছি।
-দেখো রিসাদ এসব শুনতে আমার মোটেই ইচ্ছে করছে না।উনার বাড়ি,উনার সব,উনি কাকে দিবে না দিবে এতে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কথাটা বলে প্রিয়তা রিসাদের পাশ কেটে নিজের রুমে এসে বসে পড়লো।
নিবিড় আমায় এই কোনো বিপদে ফেলে গেলো? এইলোকটাকে আমি কীভাবে সামলাবো এই কয়েকটা দিন?
সারাক্ষণ যেভাবে পিছনে পড়ে থাকে তাতে তো দেখছি কিছু একটা ঘটিয়ে ছাড়বে।

রিসাদ এই কয়েকদিনে সবার মন জুগিয়ে নিয়েছে।মোশারফ হোসেন আর সালমা বেগম চোখে হারায়, সবকিছুই এখন বাড়ির ছেলের মতো করে রিসাদ।
নিবিড় চলে যাওয়ার দুইদিন পার হয়ে গেলো।রিসাদ প্রিয়তার সাথে তেমন কিছু আর বলেনি।
রিসাদের মনে এখন একটা কথা ঘুর ঘুর করে, সেটা হলো নিবেড়ের যাওয়ার আগে শেষ কথাগুলো।তার মানে নিবিড় বোনদের নামই সব কিছু করে যাচ্ছে।
ব্যংকের টাকাও এখন নাদিয়া নিজের ইচ্ছে মতো খরচ করতে পারে।নিবিড় সেই ব্যবস্থাই করে দিয়ে গেছে।

প্রিয়তা তুমি এখনো রেডি হওনি?জুহি তুইও বসে আছিস?
সালমা বেগম বসে বই পড়ছেন।কিন্তু নাদিয়ার কথা শুনে একটু অবাক হয়ে,কোথায় যাবি তোরা?

-মা কাল রাতে প্রিয়তা সহ ভাবলাম শপিং করবো।দুইদিন পর তো ভাই চলে আসবে।তাই প্রিয়তা ভাবছিলো ভাইকে সারপ্রাইজ দিবে।
-কিসের?
-আগে শপিং করে আসি তারপর সব বলবো।তাই নারে জুহি?কথাটা বলে নাদিয়া হাসতে লাগলো।

জুহি উঠে দাঁড়িয়ে, মা তোমার গোমড়া মুখো ছেলে ভাবীকে এখনো আই লাভ ইউ বলেনি। আর আমরা প্ল্যান করেছি এইবার বাড়ি আসলে ভাইয়ার মুখ থেকে কথাটা বের করেই ছাড়বো।আর এখন আপাতত আমরা শপিং করবো,তিনজনে মিলে ঘুরবো, বাহিরে খেয়েও আসবো।

সালমা বেগম মুচকি হেসে, আমার মনে হয় না,নিবিড় এতোটা সহজে আই লাভ ইউ বলে ফেলবে।তোরা দেখ চেষ্টা করে। 
প্রিয়তা রেডি হয়ে এসে,আপু আমি রেডি।
নাদিয়া জুহির দিকে তাকাতেই জুহি তড়িঘড়ি করে গিয়ে রেডি হয়ে আসলো।

প্রিয়তা নাদিয়া জুহি শপিং শেষ করে নাদিয়ার ফোন আসতেই,প্রিয়তা তোমরা দাঁড়াও আমি কথা বলে আসছি।হাতের শপিং ব্যাগগুলো প্রিয়তার হাতে দিয়ে নাদিয়া সাইডে গেলো।

-ভাবী তুমি দাঁড়াও আমি ওইদিকটা থেকে আসছি।
-কোথায় যাবে তুমি?
-আমার বন্ধু তৃণা ওই দেখো।আমি কথা বলেই চলে আসছি।
প্রিয়তা মুচকি হেসে, ওকে তাড়াতাড়ি ফিরে এসো।

প্রিয়তা শপিং ব্যাগগুলো নিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে,হঠাৎই কাঁধে হালকা স্পর্শ পেতেই পিছনে ফিরে তাকিয়ে, ইভা!
-কিরে তুই এখানে? ওই বাড়ির লোকেরা বুজি তোকে দিয়ে ব্যাগ বহন করাতে এখানে নিয়ে এসেছে?
-ইভা,আসলে,,,,
-কী আর বলবি বল? আমাদের যা বুজার বুজ হয়ে গেছে । ওরা কোথায়? শপিং করছে বুজি? তোকে এইখানে দাঁড় করিয়ে?
আসলে কী বলতো তোর সাথে ওদের যায় না।ওরা ঠিক বুজতে পেরেছে।কিন্তু তোর বলদ শ্বশুরটা সেদিন না বুজেই ছেলের পায়ে কুঁড়াল মারলো।এখন নিশ্চয়ই হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছে?
-ইভা তুই আমার কথা তো শুনবি!
-তোর কী বলার আছে আমার ভালো করেই জানা আছে।তোর ন্যাকা কান্না আর বানিয়ে বানিয়ে ওই বাড়ির মানুষের নামে বদনাম করবি এইছাড়া আর কিইবা করবি বল? আসলে কী জানিস? ওরাও বুজে তোর মতো অপয়াকে কোন জায়গায় রাখতে হয়।
জাফর কথাগুলো শুনে মুচকি হেসে, ইভা চলো আমাদের সময় নষ্ট হচ্ছে। 
জাফরকে থামতে বলে ইভা আবার বললো,তোর জামাইটা কোথায়রে? অন্য মেয়েকে নিয়ে নিশ্চয়ই আমোদ করছে।যাই করুকনা কেনো,এই বয়সে তোকে বিয়ে করেছে এটাই বেশি।অন্তত তোর কপাল থেকে কুমারী নামটা তো গুজলো।

প্রিয়তা কিছু বলতে যাবে এমন সময় নাদিয়া এসে,প্রিয়তা জানো ভাই ফোন দিয়েছে।তোমার জন্য এক কোটি টাকার ডায়মন্ডসেট পাঠিয়েছে।
ইভার চোখ তো কপালে উঠে গেছে।হা করে তাকিয়ে আছে নাদিয়ার দিকে।
-ভেবেছিলো তুমি বাড়িতে আছো। কিন্তু শো রুম থেকে লোক এসে তোমাকে না পেয়ে মায়ের হাতে দিয়ে গেছে।ভাই তো জানে না আমরা এখানে এসেছি।নাদিয়া কথাগুলো বলে অট্র আসি দিয়ে,ইভা আর জাফরের দিকে চোখ পড়তেই,প্রিয়তা তুমি ওদের চিনো নাকি?

ইভা মুচকি হেসে,হ্যাঁ আমি ওর,,,,,
প্রিয়তা এর আগেই থামিয়ে দিয়ে না আপু ওদের আমি চিনি না।উনি আমাকে কিছু বলতে চাইছেন।জ্বি বলুন আপনি কী বলতে চাইছেন?
ইভা কথাটা শুনে গম্ভীর হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে জাফরের হাত ধরে এগিয়ে গেলো।
প্রিয়তা তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে, এক কোটি টাকা শুনে আমি তোর বোন হয়ে যাবো এইটা আমি জানতাম।কিন্তু আমি তোর এমন ভালোবাসা চাই না।যে ভালোবাসা টাকার জন্য বোনের পরিচয় হয়। 

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেই প্রিয়তা নাদিয়া জুহি বাড়ি ফিরে এলো।প্রিয়তা দুইটা শপিং ব্যাগ নিয়ে দাদীর ঘরে গিয়ে,দাদী দেখো তোমার জন্য কী নিয়ে এসেছি?

দাদী উঠে বসতে বসতে, তুই আবার আমার লাগি কি আনতে গেলি?
-দুইটা শাড়ি কিছু হাদীসের বই।তুমি যখন সময় পাবে তখনই এই বইগুলো পড়বা।
প্রিয়তার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে, তুই সত্যিই অনেক ভালা মাইয়্যা। 
আমাগো নিবিড় অনেক ভাইগ্য নিয়া তোরে পাইছে।এহনকার সময় তোর লাহান ফকফক্যা মনের মাইয়্যা পাওন যায় না।অনেক দোয়া করি তগো লাইগা, আমার নিবিড়টা যেনো তোরে সারাজীবন এমন কইরা ভালোবাসে।কথাগুলো বলে চোখ লুকালেন শাড়ির আঁচলে।

প্রিয়তা সালমা বেগমের কাছ থেকে এখনো সেটটা নিয়ে আসেনি।একটাবার দেখেওনি।সালমা বেগম দিতে চাইলো,কিন্তু প্রিয়তা প্রয়োজন হলে নিবে বলে নিজের রুমেই চলে এলো।

ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে দূর সীমানা ছাড়িয়ে ক্রমাগত বাতাসের স্রোতের দিকে তাকিয়ে আছে প্রিয়তা।রাতের অন্ধকারে চাঁদের আলোয়,সাথে তারারা মিটমিট করে জ্বলছে।তবে বাতাসের প্রবল স্রোতে প্রিয়তার ছেড়ে দেওয়া চুলগুলো এলোমেলো হয়ে বারবার উড়ছে।নিবিড়ের ভালো খারাপ মিলিয়ে  কথাগুলো প্রিয়তার চোখের সামনে যেনো ভেসে বেড়াচ্ছে।সেদিনের এসএমএস এর ব্যাপারে নিবিড় তো কিছুই বলেনি।নাকি সে দেখেইনি? প্রিয়তার মনে প্রশ্ন উঁকি দিলেও তাকে জিজ্ঞেস করার ক্ষমতা তার নেই।সিঙ্গাপুর যাওয়ার পর তো আমাকে একটাবার ফোনও দেয়নি।আসলেই কী উনার মনে আমার জন্য একটু জায়গা হয়েছে? নাকি আমিই সব ভুল ভাবছি? ছেলেরা কী সত্যিই পানির মতোন?যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আঁকার ধারণ করে নেয়? কিন্তু আমার কেনো বার বার মনে হয়,মিস্টার নিবিড় সবার মতো নয়।সবার থেকে আলাদা।উনি আমাকে বুজেন।কিন্তু না বুজার ভাণ করে থাকেন।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রিয়তা পিছনে ফিরে চমকে উঠে, তুমি?
-হুম আমি।তুমি ছাদে একা একা, তাই ভাবলাম তোমাকে একটু সময় দিই।কি কাজটা ভালো করিনি?
-না করোনি।প্লিজ রিসাদ আমি তোমার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি,তুমি যেচে পড়ে বিপদে পড়ো না।তুমি নাদিয়া আপুকে নিয়ে ভালো আছো, আর ভালো থাকো।কেনো শুধু শুধু নিজের জীবনকে নষ্ট করে দিচ্ছো?
-প্রিয়তা বিশ্বাস করো তোমাকে আবার দেখার পর আমার মনের কোনে যা ভালোবাসাটা কিছুদিনের জন্য চুপটি করে ছিলো সেটা আবার জেগে উঠেছে।এখন আমার কী দোষ বলো? মনকে তো আর বুজাইতে পারি না।
প্রিয়তা তুমি শুধু শুধু নাদুর জন্য চিন্তা করছো।নাদুর ভাই আছে।সে ঠিক সব সামলে নিবে।তুমি টাকার জন্য কোনো চিন্তা করো না।নাদুকে বলে আমি নাদুর একাউন্ট থেকে অনেক টাকাই নিতে পারবো।তারপর আমরা দূরে কথাও চলে যাবো।আর সেখানে আমাদের সুন্দর একটা সংসার হবে।
-শাটাপ রিসাদ।বিশ্বাস করো নিবিড় যদি জানে তোমাকে দুনিয়াতে বাঁচতে দিবে না। আমি নিবিড়ের চোখে নাদিয়া আপুর জন্য যে ভালোবাসা দেখেছি সে ভালোবাসায় আঘাত যদি একবার লাগে তাহলে তুমি  আগুনেই জ্বলে ছারখার হয়ে যাবে।
কথাটা বলে প্রিয়তা না পা বাড়াতেই রিসাদ হাত ধরে টেনে সামনে এনে,আমি নিবিড়কে ভয় পাই না।বুজেছো তুমি?
প্রিয়তা তুমি একবার হ্যাঁ বলো, দেখবে আমি নাদুকে ছেড়ে দেতে একটুও সময় লাগবে না।
-ঠিক আছে,নিবিড় আসুক তারপর ভেবে দেখবো।
-সত্যি?
-হ্যাঁ সত্যি।নিবিড়কে বলবো তোমাকে এই বাড়ি থেকে দূর করে দিতে।কথাটা বলেই প্রিয়তা হাত ছাড়িয়ে নিচে চলে এলো।

প্রিয়তা রুমে এসে দেখে রিসাদ এসএমএস দিয়ে রেখেছে।ফোনটা ছুড়ে দিয়ে লাইট বন্ধ করে শুয়ে পড়লো।সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গলো কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে, চুলগুলো মুখের উপর থেকে সরিয়ে, হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে প্রিয়তার দিকে।
প্রিয়তা চোখ খুলেই, তড়িৎ ভাবে উঠে বসে, আপনি?
প্রিয়তা আর কিছু বলতে পারলো না,নিবিড়কে জড়িয়ে ধরে আছে শক্ত করে।নিবিড় হতভম্ব হয়ে, কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে নিজেও জড়িয়ে ধরলো।

প্রিয়তা কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, আপনি খুব খারাপ,খুব।
নিবিড় তখনও চুপ।
-আপনি ছিলেন না,আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিলো এই রুমে।আমি পাগল হয়ে যেতাম আর কয়েকটা দিন গেলো।

প্রিয়তা মাথা উঠিয়ে, চুপ করে আছেন কেনো?
নিবিড় প্রিয়তার মুখের দিকে তাকিয়ে নিশ্চুপ হয়ে আছে।
-আচ্ছা আপনি আমাকে তো বললেন না আজ আসবেন? এবং কি বাবাকেও না!
তাহলে আপনি যে কাজে গেলেন সেটা কি হয়নি?
কী হলো বলেন না।
নিবিড় প্রিয়তার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে আবার টেনে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখলো।
প্রিয়তা আর একটা কথাও বললো না।নিবিড়ের বুকে চোখ বন্ধ করে মিশে আছে।এই যনো দুজনে মিলেমিশে একাকার। কয়েকটা যুগ পার করে যেনো দুজন দুজনার দেখা পেয়েছে।
কোনো কবি যদি তাদের দেখতো ঠিক তখনি উচ্চারণ করতো,
তোমাতে আমিও হারিয়েছি
শত জনম জনমেরও পরে।
মনেরেও গহীনের স্পর্শ কাতর, 
যেনো একফোঁটা পানি পেয়েছে শত শতকেও পরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন