পরাণ প্রিয়া - পর্ব ২৮ - রাবেয়া সুলতানা - ধারাবাহিক গল্প


প্রিয়তা নিবিড়ের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।মাহিদ এসে ফাইল নিবিড়ের হাতে দিতেই, প্রিয়তা বললো,আপনি সত্যিই আমার চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন?
-হু,,,
ফাইল খুলে প্রিয়তার হাতে দিয়ে আগে এইটা পড়ো তারপর তোমায় বিদায় করবো।ফাইলের শোকে তুমি কাতর হয়ে আছো।
প্রিয়তা ভয়ে ভয়ে ফাইল হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফাইলের দিকে তাকিয়ে থেকে অবাক চোখে নিবিড়ের দিকে তাকালো।
-কী করলেন আপনি এইটা? 
-কী করেছি?
-আপনার প্রোপার্টির ৭০% আপনি আমার নামে দিয়ে দিলেন?
-হু।
-কিন্তু আমি তো এসব কিছুই চাইনি।কেনো করলেন এইসব?  
-তোমার বকবক থামাবে? যখন কথা শুরু করো তখন তোমার মনে থাকে না তোমার এইবার থামা উচিত তাই না?
-আপনি আসলেও একটা রাক্ষস। আমি এসবের কিচ্ছু চাই না।আমার শুধু আপনি হলেই চলবে।আপনার বুকে মাথা রাখতে দিলেই হবে।
নিবিড় কিছু বলতে যাবে তখনি নুর জাহান বেগম এসে, বাবা ঘরে আসো।অনেকক্ষণ বাহিরে দাঁড়িয়ে আছো।
-নিবিড় ঘরের ভিতরে যাচ্ছে আর পিছন পিছন প্রিয়তা আর মাহিদ। 

নিবিড় সোফায় বসেছে আর মাহিদ পাশে দাঁড়িয়ে। 
প্রিয়তা এসে আরে ভাইয়া আপনি দাঁড়িয়ে কেনো বসুন।
-ম্যাডাম আমি ঠিক আছি।
নিবিড় মাহিদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে, বসো।
নুর জাহান বেগম হালকা কিছু নাশতা নিয়ে এসেছে।
চা, বিস্কুট, পাটিসাপটা পিঠা, আর আপেল।
নিবিড়ের সামনে রেখে,আসলে বাবা তুমি হঠাৎ করে এভাবে এসেছো তেমন কিছু করতে পারিনি।
-মা সমস্যা নেই আমাকে বাড়ির একজন মনে করুন দেখবেন সব সঞ্চয় কেটে যাবে।
প্রিয়তা নাশতার দিকে তাকিয়ে, মা উনি এসবের কিছুই খান না।কফি ছাড়া তো উনি চা খাবেনই না। তারপর তোমার এসব পিঠা! উনি এগুলোও খায় না মানে পছন্দ করে না।
নিবিড় প্রিয়তার দিকে গম্ভীরমুখে তাকিয়ে, মা আপনি ওর কথা শুনবেন না।আমি পিঠা খুব পছন্দ করি।আর চা সেটাও।নিবিড় পিঠা খাওয়ার জন্য কাটা চামচের কথা জিজ্ঞেস করতেই প্রিয়তা হা হা হা করে হেসে,নিবিড় সাহেব এই পিঠা খেতে কাটা চামচের প্রয়োজন হয় না।হাত দিয়েই খেয়ে ফেলুন। নিবিড় কথা কাটিয়ে, মাহিদ শুরু করো ম্যাডামের কথায় কান দেওয়ার কোনো দরকার নেই।

সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। মাহিদ বসে আছে ড্রইংরুমে আর নিবিড় আর প্রিয়তা বাড়ির পুকুরে ঘাটে বসে আছে।চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর হালকা হালকা ঠান্ডা বাতাস মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার অবস্থা। 
চাঁদের আলোয় চারদিকে ঝলমলে করছে।খন্ডখন্ড মেঘগুলো চাঁদের সাথে লুকোচুরি খেলা নিয়ে ব্যস্ত।
আর সেই আকাশে নিছে হাজারও জোড়া মনের মাঝে একটি জোড়া মন পুকুর পাড়ে নিজেরদের ক্ষনিকের জন্য আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে।নিরব হয়ে বসে আছে দুজনেই।আর নিবিড় সেই নিরবতা ভেঙ্গে বললো,
-অনেক দিন পর পুকুর পাড়ে এইভাবে, তাও আবার তোমার সাথে বেশ ভালোই লাগছে।
-জানেন? আমার খুব ভয় হচ্ছে।আপনি এখানে এসেছেন আপু জানলে খুব রাগ করবে।
নিবিড় প্রিয়তার আরেকটু পাশে গিয়ে বসে, একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে শক্ত করে ধরে,আমি থাকতে তোমার ভয় কিসের? তোমার নিবিড় যতদিন বেঁচে আছে কেউ তোমায় কিচ্ছু করতে পারবে না।
-হু,
-তুমি তখন তোমার মায়ের সামনে উল্টো পাল্টা কথা বলছিলে কেনো?
-আপনি তো সত্যিই এইগুলো খান না তাই না? 
-প্রিয়তা মাঝে মাঝে কেউ নিজের ভালোবাসা দিয়ে কষ্ট করে কিছু দিলে ফিরাতে নেই।হ্যাঁ আমি খেতে পারি না ঠিক কিন্তু মায়ের রান্না ভালোবেসে বানিয়েছে তাই খারাপ লাগেনি খেতে। 
-আপনি সত্যিই একটা রাক্ষস। 
-এখন আমায় সত্যিই একটা কথা বলবে? 
-কী বলুন?
-রিসাদের সাথে তোমার সম্পর্কটা কী?
তোমরা কি আগে থেকেই,,,, 
প্রিয়তা শান্ত গলায় বললো, আমি জানি আপনি কি বলতে চাইছেন। রিসাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিলো না।ওই যে আমার বিয়ে হচ্ছিলো না বলে মা ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে।ও নাকি আমায় ভালোবাসতো মাকে বলতেই মা রাজি হয়ে যায়। 
আমি প্রথমে রাজি হলেও পরে ভাবলাম আমি বিয়ে করলে আমার বোনদের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।তখন শুধু ইভার বিয়ে হয়েছিলো। ইভাকে বিয়ে দিতে আমার দশ লাখ টাকা ওর শ্বাশুড়িকে দিতে হয়েছিলো।টাকা তো আমার কাছে নগদ ছিলো না।ঋণ করে টাকাটা দিতে হয়েছে।তার পর অনিলার বিয়ে,রিয়ার পড়াশোনা,সব মিলেয়ে তখন আমার পক্ষে বিয়ে করা একেবারে সম্ভব ছিলো না।তখন এই কথা রিসাদকে আমি অনেক বুজিয়েছি। কিন্তু এটা নিয়ে রিসাদ কয়েকদিন ঝামেলা করলেও পরে যেনো কথায় সে চলে যায় আমরা জানি না।বিশ্বাস করেন, আমি ওকে এটাও বলেছিলাম ও যদি আমার জন্য অপেক্ষা করে আমি ওকে বিয়ে করবো।কিন্তু ও তো আর ফিরেও আসেনি।তারপর তো আপনি সব জানেন।এখন আপনিই বলুন এতে আমার দোষটা কোথায়?
নিবিড় গম্ভীর গলায়, আছে তো।
-কী?
- এই যে আমায় তোমার ভালোবাসার ফাঁদে ফেলেছো?
-সিরিয়াস অবস্থায় আপনি মজা করছেন?
-একটু তো করতেই হয়।
-ঢং দেখাতে হবে না।সেদিন তো ঠিকি আমায় ভুল বুজেছেন।
-কে বললো আমি তোমায় ভুল বুজেছি? তুমি জানো আপু যখন তোমার নামে এসব কথা বলছিলো আমার কতটা কষ্ট হচ্ছিলো আমি বুজাতে পারবো না।তোমাকে যদি সেদিন বাড়ি থেকে না চলে যেতে বলতাম সারাজীবন আমার আপুকে হারাতে হতো।তোমাকে তো আমি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবো কিন্তু আপুকে তো পারবো না।উল্টো সারাজীবন আমার বোনটা একটা নোংরা লোকের সাথে কাটাতে হতো।
তোমার উপর আমার সবচেয়ে বেশি রাগ হয়েছিলো দুইটা কারণে, তুমি যখন বলেছিলে আমি আমার শরীরের জ্বালা মিটিয়েছি তোমাকে দিয়ে।বিশ্বাস করো তখন মনে হয়েছিলো নিজেকে নিজে খুন করি।দ্বিতীয় কষ্ট হয়েছিলো তুমি যখন রুমে গিয়েছো তোমার জামা কাপড় নিতে তখনও আমি তোমায় জিজ্ঞেস করেছিলাম সত্যিটা বলার জন্য।তখনও তুমি বলোনি।
-আপনি কীভাবে এতোটা শিওর হলেন আমি মিথ্যা বলছিলাম?
-আমার মন কেনো যেনো মানতে পারছিলো না আমার প্রিয়তা এমন একটা নোংরা কাজ করবে।যে নিজে আমার মায়ের ব্যাপারটা আমার সামনে তুলে ধরেছে এতোটা নিখুঁতভাবে সে কীভাবে আবার একি অন্যায় করবে?
সবাই যখন নিচে তোমাকে রেখে চলে গিয়েছিলো। আমি কিন্তু রুমে এসে আবার তোমাকে জিজ্ঞেস করতে যাচ্চিলাম।তখন শেফালী আপা আর তোমার সব কথাই আমি শুনেছি।এইজন্য বেশি রাগ হয়েছে তোমার উপর। তাই ইচ্ছে করেই এতোদিন যোগাযোগ করিনি।

প্রিয়তা নিবিড়ের কাঁধে মাথা রেখে,জানেন আমি ভাবতাম দুঃখ আমায় কোনোদিন ছাড়বে না।সুখ নামের পাখিটা আমার জীবনে ধরা দিবে না।কিন্তু আল্লাহ মানুষকে নিরাশ করেন না।ঠিক ধৈর্যের ফল সময় মতো দিয়ে দেন।
নিবিড়ও প্রিয়তাকে জড়িয়ে নিজের আরও কাছে টেনে,ঠিক বলেছো।এখন প্লিজ বাড়ি চলো।ওইটা তোমার বাড়ি তোমারই তো সব।তাহলে তুমি কেনো বাহিরে থাকবে? নিবিড় কাউকে কখনো পরোয়া করে না।রিসাদের আজকেই আমি একটা ব্যবস্থা করছি বাড়ি গিয়ে।
প্রিয়তা মাথা উঠিয়ে,আপনার মাথাটা পুরোই গেছে।আপু জীবনেও আপনার কথা বিশ্বাস করবে না।উল্টো বাড়ি ছেড়েই চলে যাবে।বরং আমি কয়েকটা দিন এই বাড়িতে থাকি।আপনি আস্তে আস্তে আপুর চোখের সামনে রিসাদের মুখুশটা খুলে দিন।
-হুম এইটা খারাপ বলেনি।কিন্তু আমি যে তোমায় না দেখলে ঘুমাতে পারি না।এই কয়েকটা দিন আমি একটুও ঘুমাতে পারিনি।
-আর কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরে থাকুন না।সারাজীবন শত্রু বয়ে বেড়ানোর চেয়ে ধৈর্য ধরে শত্রুকে পরাজিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
নিবিড় দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে, তাহলে আমি তোমায় প্রতিদিন একবার করে দেখতে আসবো।সেটা বাঁধা দিতে পারবে না।বিয়ের আগের প্রেমটা এখন সেরে ফেলি। কি বলো?
প্রিয়তা হেসে,আচ্ছা ঠিক আছে।চুপিচুপি দেখা বেশ ভালো ব্যাপারস্যাপার। 

 অনেক রাত নিবিড় বাড়ি ফিরছে না দেখে,নাদিয়া চিন্তিত হয়ে,সালমা বেগমকে বললো, মা ভাই এখনো তো এলো না।
-আমি তো তাই ভাবছি।ছেলেটার কি হলো? আবার আগের মতো শুরু করেছে। প্রিয়তা যতদিন ছিলো সবঠিক ছিল,, 
নাদিয়া রাগী গলায় সালমা বেগমকে বলো,মা আমি চাই না ওই অসভ্য মেয়ের কথা এই বাড়ির কেউ মনে করুক।রিসাদ তুমি দাঁড়িয়ে না থেকে যাও তো ভাই কোথায় আছে দেখে আসো। 
রিসাদ ভিতরে ভিতরে বিরক্তি হলেও মুখে মুচকি হাসি ফুটিয়ে,ঠিক আছে নাদু।
রিসাদ সামনের দিকে পা বাড়াতেই নিবিড় বাড়িতে ঢুকলো।
-ওই তো রিসাদ এসে গেছে আমার আর যেতে হলো না।
নাদিয়া রিসাদের কথা শুনে সামনের দিকে তাকিয়ে, নিবিড়ের কাছে গিয়ে,ভাই তুই কোথায় ছিলি এতোক্ষণ? 
-নিবিড় গম্ভীর গলায়,আপু আমার একটা মিটিং ছিলো।তাই আসতে লেট হয়ে গেছে।
-ওহ্, ফোন দিয়ে জানাতে তো পারতি। আচ্ছা এখন চল খেয়ে নিবি।
-আপু তোরা খেয়ে নে। আমি বাহিরে থেকে খেয়ে আসছি।
-তুই খেয়ে এসেছিস? আমি তোর জন্য রান্না করেছি।
-আজ তোরা খেয়ে নে।কাল আমার জন্য আবার রান্না করিস তখন না হয়ে খাবো।
কথাটা বলেই নিবিড় নিজের রুমে চলে গেলো।
রিসাদ এগিয়ে এসে নাদিয়ার কাঁধে হাত রেখে,নাদু বিয়ে করলে ভাই আর ভাই থাকে না।তুমি এতো কষ্ট করে রান্না করলে না খেয়েই চলে গেলো।বউ হলে কখনো মানা করতে পারতো?
-তুমি ভুল বলছো রিসাদ, আমার ভাই আট/দশটা মানুষের মতো না।এখন কথা না বাড়িয়ে খেতে বসো।

সকাল সকাল প্রিয়তার ফোনে নিবিড়ের ঘুম ভাঙ্গলো। 
-কী মশাই এখনো ঘুমাচ্ছেন?
নিবিড় ঘুমঘুম চোখে,হু,তোমাকে দেখে আসার পর চোখে অনেক ঘুম ধরেছে।কতদিন পর ঘুমালাম।
-অফিসে যাবেন না? 
-যাবো তো।এখনো তো টাইম হয়নি।তুমি কি করছো?
-কলেজে,ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে তোমায় দিলাম।তোমার অফিসে টাইম হয়নি ঠিক কিন্তু আর সবার অফিস ছুটি হওয়ার টাইম ঘনিয়ে এসেছে।
নিবিড় প্রিয়তার কথা শুনে ঘড়ির দিকে তাকি,ও মাই গড এগারোটা বেজে গেলো।বুড়ী এখন ফোন রাখো আমি অফিসে গিয়ে কাজ শেষ করে তোমায় নিতে আসবো।আজ বিকেলটা তুমি আমায় দিতে হবে।
-আচ্ছা স্যার ঠিক আছে।
দুজনে দূরে থেকেও যেনো ভালোবাসার কমতি নেই।আরও কয়েকটা দিন  কেটে গেলো।জুহিরও পরীক্ষা শেষ হয়েছে।বাসায় বিয়ে প্রস্তাবও আসছে।নিবিড় বিয়ে দিতে না চাইলেও মোশারফ হোসেন রাজি হচ্ছে না।মোশারফ হোসেন নিবিড়কে বুজিয়ে শুনিয়ে জুহির বিয়ে নিয়ে রাজি করালেন।
নিবিড় সায় দিয়ে, আচ্ছা বাবা আপনি যখন চাইছেন তাহলে ছেলে দেখুন।তবে এমন ছেলে দেখবেন যে কোনো মেয়ের সাথে রিলেশন ছিলো কিনা? পরে আবার পুরনো প্রেম মনে উতলিয়ে উঠলে বোনের কপালটাই পুড়বে। কথাটা শুনে রিশাদ কাশি দিয়ে গলাটা ঝেড়ে নিলো।নাদিয়া নিবিড়ের কাছে গিয়ে,ভাই তুই এমন করে বলছিস কেনো? 
-না আপু এমনি বললাম। হয়তো এইরকম তাই না? 
নাদিয়া কিছু বলার আগেই নিবিড়ের ফোন বেজে উঠতেই নিবিড় ফোন রিসিভ করে,
-নিবিড় কেমন আছো?
-তনুসা? হঠাৎ ফোন?
-আসলে আমেরিকায় আসার পর এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম তোমায় ফোন দিতে পারিনি।নিবিড় আমি চাকরি পেয়েছি তাই তোমায় ফোন দিয়ে জানাতে ইচ্ছে হলো।
-ওহ্। তবে ভালো ভেবে থেকো।ওইখানে নিবিড় নেই যে তোমার সব আবদার ভালো না বেসেও মেনে নিবে।কথা বলতে বলতে  নিবিড় বাড়ির বাহিরে চলে গেলো।
-তোমায় জোর করে ভালোবেসেছি।হয়তো ক্ষনিকের জন্য তুমিও আমায় ভালোবেসেছো তবে এটাতেও আমি অনেক খুশি যে নিবিড় আমায় একদিনের জন্য হলেও মনে একটু খানি জায়গা দিয়েছে।
-তনুসা আমি এখন রাখি।
-হু।প্রিয়তাকে নিয়ে ভালো থেকো।
দুজনে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রাখলো। 
নিবিড় ফোন রেখে হাতে নিয়ে দেখে প্রিয়তার ফোন থেকে তেইশ বার কল দিয়ে রেখেছে।ফোন সাইলেন্ট ছিলো বলে নিবিড় টের পায়নি। গাড়ি সাইডে থামিয়ে, প্রিয়তা এতোবার তো আমায় কখনোই ফোন দেয়নি।ওর কিছু হয়নি তো।
নিবিড় তড়িঘড়ি করে ফোন দিতেই রিসিভ হয়েছে দেখে,বুড়ী ঠিক আছো তো তুমি? স্যরি বুড়ী আমি তনুসার সাথে কথা বলতে বলতে খেয়াল করিনি।
বুড়ী প্লিজ ক্ষমা করে দাও আর কখনো এমন হবে না।বুড়ী  কি হয়েছে বলো না।চুপ করে আছো কেনো? 
-আমি রিয়া।আর আপনি আপুকে বুড়ী ডাকছেন কেনো? এইটা ঠিক আপুর অনেক বয়সে বিয়ে হয়েছে তাই বলে বুড়ী ডাকবেন? 
-বুড়ী ভালোবেসেও ডাকা যায়।সেটা বয়স মেটার করে না।প্রিয়তা কোথায় ওর কাছে দাও।
-আপুর অবস্থা খুব খারাপ।আমরা হসপিটাল আছি।
নিবিড় কথাটা শুনে শকড হয়ে,কী হয়েছে ওর?  কোন হসপিটাল আছো বলো আমি এখুনি আসছি।
রিয়া ঠিকানা বলতেই, নিবিড় পাগলের মতো হয়ে হসপিটাল গিয়ে পৌঁছালো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন