--"প্রত্যয় এই শহরটা কেমন তুই জানিস? না মানে তোর ধারণা আছে কি? যে কেমন হতে পারে এই শহরটা?" (সাদ)
--"হুমম, একটু একটু জানি! আসার আগে বাবাই বলেছে আমাকে।" (প্রত্যয়)
--"কি বলছে রে তোর বাবা? আমাদেরও বল তো একটু শুনি।" (পৃথা)
--"এটা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। সেন নদীর তীরে ফ্রান্সের এই প্যারিস শহর টা অবস্থিত। এটা ব্যাণিজ্যিক ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী উভয় বৈশিষ্ট্যের জন্য প্যারিস শহর বিখ্যাত। মূল প্যারিস শহরে জনসংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ। কিন্তু প্যারিসের মহানগরী এলাকায় প্রায় ১ কোটি লোকজন বসবাস করে। এই শহরটা স্বপ্নের মত সুন্দর একটা শহর! ইউরোপের রাজকন্যা হিসেবে পরিচিত এই প্যারিস শহরটা! আর এই শহরেই আইফেল টাওয়ার আছে।" (প্রত্যয়)
--"কিহহ্! আইফেল টাওয়ার এখানে? কবে দেখবো রে প্রত্যয়? আমাকে নিয়ে চল না রে ভাই প্লিজ! প্লিজ!দুচোখ ভরে দেখে প্রাণখান জুড়াই!" (পৃথা)
--"আমিই তো এখানকার কিছু চিনি না। তোকে কিভাবে নিয়ে যাবো?" (প্রত্যয়)
--"মেয়েদের নিয়ে এই একটা সমস্যা বুঝলি! যখন যা শুনবে সেটা সাথে সাথে করার জন্য উঠে পড়ে লাগবে!আর থামাথামির কোন স্কোপ নাই।" (সাদ)
--"কুত্তা তুই কম কথা বল।" (পৃথা)
--"থাক, হয়েছে আর ঝগড়া করিস না। চল এবার রুমে যাই।" (প্রত্যয়)
--"হুম চল।" (সাদ)
ওইদিকে বাংলাদেশে_____
গতকাল থেকে তুয়া কান্না করেই যাচ্ছে প্রত্যয়কে দেখতে না পেয়ে! তুয়া মনে করেছে তুয়া প্রত্যয়কে কামড় দিয়েছে তাই প্রত্যয় রাগ করে কোথাও চলে গেছে। এজন্য তুয়া খুব কান্না করছে। কেউ ওকে থামাতে পারছেনা। প্রত্যয়ের বাবা মা এই কথা প্রত্যয়কে বলে নি কারন এটা শুনলে প্রত্যয় কষ্ট পাবে কান্নাকাটিও করতে পারে! তুয়া প্রত্যয়ের আম্মুকে বার বার প্রত্যয়ের কথা জিজ্ঞাসা করছে। বার বার প্রত্যয়ের রুমে যাচ্ছে! বার বার প্রত্যয়কে ডাকছে বাট প্রত্যয়ের কোন সাড়াশব্দ নেই। তুরাগ তুয়াকে কোলে নিয়ে অনেকক্ষণ থেকে ওর কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। তুরাগ কিছু বললে দাঁত মুখ খিচে কামড় দিচ্ছে। আর না হয় জেদ করে তুরাগের নাক মুখে খামচি দিচ্ছে।অনেকটা সময় তুয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে প্রত্যয়ের দেওয়া টেডিটা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। এত টুকু মেয়ে রাগ আর জেদ দেখে ওর বাবা মা ও অবাক হচ্ছে!
আজকে তুয়ার পরিবার প্রিয়মদের বাসায় যাবে এজন্য রেডি হচ্ছে। তুয়া মুখ ফুলিয়ে আছে। তার একটাই কারণ প্রত্যয় কেন ওকে রেখে চলে গেল? তুয়ার ছোট্ট মাথা আর মনে এই কথাটাই ঢুকে গেল। তুয়ার মনে প্রত্যয়কে নিয়ে একটা জেদের সৃষ্টি হলো। তুয়া প্রিয়মদের বাসায় গেলো আর প্রিয়মের সাথে খেলতে খেলতে প্রত্যয়ের কথা ভুলে গেলো। প্রিয়ম সাথে দুষ্টুমি করছে আর তুয়া খিলখিল করে হাসছে।
--"এই টুপা আমার রুমে চল। তোকে রিমোট কন্ট্রোল প্লেন দেখাবো।"
--"আমার নাম তুয়া! তুমি আমাকে টুপা বললে তেনো?"
--"ওহ সরি সরি! এবারের মত মাফ কর। আর হবে না।"
--"আততা! এবাল করলে নাগ(রাগ) করবো।"
--"রাগ করতেই দিবো না তোকে।" (প্রিয়ম)
প্রিয়ম কথাটা বলে তুয়াকে কাতুকুতু দিচ্ছে! আর তুয়া খিলখিল করে হাসছে। তুয়াকে এখন হাসতে দেখে তুয়ার বাবা মা ও যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো! অনেকটা সময় তুয়া রা প্রিয়মদের বাসায় থাকলো আর খুব মজা করলো। তুয়া এখন ফ্রেশ মুডে আছে।
ওইদিকে______
প্রত্যয় ওর কোচিং, পড়াশোনা, স্কুল নিয়ে খুব বিজি হয়ে গেলো। প্রত্যয় এখন সারা দিন-রাত নিজেকে বিজিই রাখে, না হলে বাবা মায়ের আর তুয়ার কথা মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে। সাদ আর প্রত্যয় নিজেদের মানিয়ে নেওয়া চেষ্টা করলেও পৃথা এক সপ্তাহ পর পর কান্না করে একাকার অবস্থা করে ফেলে। প্রত্যয় আর সাদ পৃথাকে অনেক সাপোর্ট করে আবার অনেক বুঝায়ও।কিছুদিন আগে পৃথার কান্না দেখে সাদ ও কান্না করেছে!তবে প্রত্যয় নিজেকে শক্ত রাখে! কিন্তু নিজেকে কতটা শক্ত রাখে সেটা প্রত্যয়ের চোখ আর ওর বালিশ জানে।প্রত্যয় রাতে ওর কষ্টটাকে দামিয়ে রাখতে পারেনা। তখন কষ্ট গুলো অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে চোখের কোণা বেয়ে।প্রত্যয় তুয়ার কথা ভেবেই এতটা কষ্ট পায়। কারণ তুয়াই ছিলো প্রত্যয়ের সাথে এত এত কথা বলার একমাত্র তোতাপাখি। আর সেই তোতাপাখিটা এখন ওর থেকে অনেক দূরে।
প্রত্যয় ওর বাবা মায়ের সাথে ওর সময় মতো কথা বলে নেয়। প্রত্যয়ের বাবা মা ও নিজেদের শক্ত রেখে প্রত্যয়ে সাথে কথা বলে। একটা ছেলেকে এতদুরে পাঠিয়ে তারা যে কেমন আছে সেটা শুধু তাঁরাই জানে! প্রত্যয়ের সাথে কথা বলে প্রতিদিন চোখের পানি ফেলে ওর বাবা আর মা। এই কথাটা হয়তো প্রত্যয়ের কাছেও অজানা থেকে যাবে। প্রত্যয়ের মা আবার একটা কলেজে টিচার হিসেবে জয়েন্ট করছে! আর তা না করলে উনার বাসায় সময় কাটে না বরং দম বন্ধ হয়ে আসে এতো বড় ফ্ল্যাটে।
সময়ের সাথে সাথে এভাবে কেটে গেল আরো পাঁচটা মাস! এই ৫ মাসে ওরা ওখানকার ভাষাটা নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে। এখন প্রত্যয় সাদ আর পৃথা পড়াশোনায় বিজি থাকে বেশি সময়। মাঝে মাঝে তিনজন মিলে আশে পাশে ঘুরে দেখা, বাঙালি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা, একসাথে গ্রুপ স্টাডি করা, আড্ডা দেওয়া এভাবেই ওরা নিজেদের স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। এসবের মাঝে সবচেয়ে বেশি পড়াশোনাকে গুরুত্ব দেয় তাঁরা। ওদের স্কুলে একটি নিয়ম; ফেইল করলে স্কুল আর হোস্টেল দুটো থেকেই বের করে দিবে। তেমনি ভাল রেজাল্ট করলে এবং ভালোভাবে থাকলে সুযোগ-সুবিধাও বেশি পাবে। এখানকার সব কিছুই খুব কড়া নিয়মে চলে! কোনকিছু এদিক ওদিক হওয়া চলবে না। সব কাজ টাইম টু টাইম করতে হবে। এখানকার সবাই সময়ের মূল্যটা বুঝে এবং সময় অনুযায়ী কাজ করতে পছন্দ করে।
প্রত্যয় তো চলে গেলো প্যারিসে। কিন্তু ছোট্ট তুয়ার মনে প্রত্যয়ের জন্য যে জায়গাটা ছিলো, সেই জায়গাটা এখন দখল করেছে প্রিয়ম। কারণ প্রিয়ম তুয়াকে হাসায়, ওর সাথে দুষ্টুমি করে, কতকিছু কিনে দেয়। প্রিয়ম এখন প্রায় রোজই আসে তুয়াদের বাসায়। প্রিয়ম তুয়াকে গানও শোনায়! এভাবেই দিন দিন তুয়ার চোখের আড়াল হওয়ার সাথে সাথে তুয়ার মন থেকে মুছে যাচ্ছে প্রত্যয়ের নামটা। যেটা প্রত্যয়ের কাছে খুব অনাকাঙ্ক্ষিত একটা চমক হবে! এই কথা প্রত্যয় যখন জানবে যে তুয়া এখন ওর কথা মনেই করেনা! তখন প্রত্যয় কি করবে সেটা প্রত্যয়ই জানে।
প্রত্যয়ের স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে! আর পরীক্ষায় প্রত্যয় হয়েছে ২য়, সাদ ৯ম আর পৃথা দশের বাইরে। এটা নিয়ে পৃথা অনেক কেঁদেছে। প্রতিবারের মত এবারেও সাদ আর প্রত্যয় পৃথাকে অনেক বুঝালো। প্রত্যয় এই কথা ওর বাবা মাকে জানালো,
--"হ্যালো বাবাই, কেমন আছো?"
--"আমি ভাল আছি আব্বু। তুমি কেমন আছো?"
--"আমিও ভাল আছি। বাবাই আম্মু কই?"
--"তোমার আম্মু কলেজে গেছে আব্বু। কলেজ থেকে ফিরলে তোমাকে ফোন দিতে বলবো।" (বাবা)
--"হুমম।"
--"খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করবে আব্বু। আর নিজের যত্ন নিবে। একটা কথা সব সময় মনে রাখবে, যে নিজেকে ভালবাসতে জানে সে অন্যকেও ভালবাসতে পারবে।"
--"হুমম। বাবাই আজকে আমাদের পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। আমি ২য় হয়েছি।"
--"আলহামদুলিল্লাহ! অনেক ভাল হয়েছে রেজাল্ট।"
--"বাবাই তুমি খুশি তো?"
--"হুম আব্বু! আমি খুব খুব খুশি!" (চোখের কোণে থেকে পানি মুছে)
--"বাবাই, আমি ডাক্তারি পড়তে চাই! এটা আমার ইচ্ছা স্বপ্ন দুটোই বলতে পারো।" (প্রত্যয়)
--"বাহ্! দারুন ডিসিশন তো! আমরা সব সময় তোমার পাশে আছি। তুমি তোমার লক্ষে এগিয়ে যাও।"
--"হুম। বাবাই তুয়া আর আসে না আমাদের বাসায়?"
--"না আব্বু। তুয়া আমাদের বাসায় আগের মত আসে না। এখন প্রিয়মের সাথে খেলা করতে দেখি। আর তুমিও তো নেই এসে কি করবে বলো?"
--"হুমম, তা ঠিক! আচ্ছা বাবাই রাখি।"
--"আচ্ছা আব্বু।"
প্রত্যয়ের চোখের কোণা বেয়ে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো! নতুন করে প্রত্যয়ের মনে আবার জেদের সৃষ্টি হলো; তুয়া তো ওকে মনে করে না, ও কেন তুয়াকে মনে করবে? প্রত্যয় এটা ভাবলো ঠিকই কিন্তু তুয়ার কথা না মনে করলে প্রত্যয়ের দিনই যাবে না! প্রত্যয় পড়াশোনা নিয়ে আরো বিজি হয়ে গেল। প্রত্যয় সাদ আর পৃথা তিনজনেই ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে! তিনজনের মাঝেই প্রবল জেদ যে ডাক্তারি ডিগ্রী এখান থেকে নিয়ে তারপরেই ফিরবে। এভাবেই দিন যাচ্ছে, মাস যাচ্ছে, বছরের পর বছর অতিবাহিত হতে থাকে। প্রত্যয় ওর লক্ষ থেকে একচুল পরিমাণ নড়ে নি বরং সে এখন নিজেকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে।ওকে পারতে হবে ওর স্বপ্নটাকে সত্যি করে তুলতে!ওকে পারতে হবে বাবা মায়ের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোঁটাতে! ওকে পারতে হবে কাউকে পরিপূর্ণ ভাবে নিজের করে পেতে হলে। ও ছেলে, ওকে এত সহজে হেরে গেলে চলবে না। ওকে এই কঠিন ভয়কে জয় করতেই হবে।
প্রায় ১৫ বছর পর......
একদিন না দুইদিন না পুরো ১৫টা বছর পর আবার শুরু হলো নতুন ভাবে কয়েকটি জীবনের চলমান গল্প! এই ১৫ টা বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে! প্রত্যয় এখন নামকরা এমবিবিএস ডাক্তার! প্যারিস আর বাংলাদেশের প্রতিটা নিউজ পেপারে ও টিভিতে প্রত্যয়ের ছবিও বের হয়েছে। আর এতকিছু এমনি এমনি হয়নি; এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর প্রত্যয় এই কঠিন পরিশ্রমের ফলও পেলো। এখন প্যারিসের এমবিবিএস দশ জন ডাক্তারদের মধ্যে প্রত্যয় আছে ১ম স্থানে! সাদ আছে ৪র্থ তে আর পৃথা আছে ৬ষ্ট তে। ওরা পেরেছে ওদের স্বপ্নকে হাতে মুঠোয় ছুঁতে। বাংলাদেশ থেকে এসে প্যারিসের মত একটা শহরে উচ্চ স্থানে নাম তৈরি করা সামান্য ব্যাপার নয়।
এখন প্রত্যয় আর সেই আগের ছোট্ট প্রত্যয় নেই। এখন হয়েছে সুদর্শন একজন যুবক। যার কথা ও ভাষা মার্জিত। যে কথায় কথায় মুচকি হেসে সবার সাথে কথা বলে। সে এখন রোগীদের সেবা করে সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে সব দিক থেকে পারফেক্ট করে তুলেছে প্রত্যয়। আল্লাহর রহমত আর ওর প্রচেষ্টায় ওকে এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে।
আর ওইদিকে প্রিয়ম এখন মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। সে সবার ক্রাশ। সে সব সময় ফিটফাট আর হিরো লুকে থাকতে পছন্দ করে। তবে প্রিয়ম এখন মডেল হিসেবে নিজের নাম তৈরি করেছে! গান করা আর মডেলিং হচ্ছে প্রিয়মের পেশা। সে তার গান দিয়ে অনেক মানুষের ভালবাসা জয় করে নিয়েছে। আর হিরো লুক দিয়ে সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কারণ চোখে দেখলে মনে আর জায়গা করে নিতে আর কতক্ষণ।
আর ছোট্ট তুয়া এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ার এ। আগের মতই রাগ আর জেদ আছে! তুয়াও আগের মত নেই সেও নিজেকে বদলে ফেলেছে। আর তুরাগ পড়াশোনার সমাপ্তি ঘটিয়ে নিজের বাবার অফিসের হাল ধরেছে। মিশি (প্রিয়মের বোন)সে এবার অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী।এখন সবার জীবন বদলে গেছে। কেউ আর আগের মত ছোট্টটি নেই। সময়ের সাথে ওরাও এখন বড় হয়েছে আর বুঝতে শিখেছে।
এবার আসুন আর কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক!প্রত্যয় কিভাবে কি হলো?
প্রত্যয় ফাইভ এ যখন পড়তো তখন ওর বয়স ছিলো ৯ বছর! কারণ প্রত্যয় সরাসরি ৫ বছরে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিলো। আর তুয়ার যখন জন্ম হয় প্রত্যয়ের বয়স ছিলো ৯ বছর। তুয়ার জন্মের দেড় বছর পর যখন প্রত্যয় প্যারিসে গিয়েছিলো তখন প্রত্যয়ের বয়স ছিলো ১১ আর ১৫ বছর পর ১১+১৫=২৬ বছর।
প্রত্যয়ের বর্তমান বয়স ২৬
আর তুয়ার চেয়ে বড় -৯
---------------------------------------------
এখন তুয়ার বয়স ১৭ বছর
প্রত্যয় তুয়ার ৯ বছরের বড়।
আর এমবিবিএস ডাক্তার হয় ২৫-৩০ বছর বয়সে।এটাও পড়াশোনার উপরেই নির্ভর। কারণ ইন্টার পর্যন্ত বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে এমবিবিএস এর জন্য ছয় বছর বা আট বছর লাগে।
প্রিয়ম ৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো কে.জি তে। তুয়া যখন হয় তখন প্রিয়ম ক্লাস ফোর এ পড়তো, তাহলে তখন প্রিয়মের বয়স ৯ বছর! তুয়ার জন্মের দেড় বছর পর যখন প্রিয়ম সিক্সে পড়ে তখন প্রিয়মের বয়স ১১ বছর।আর ১৫ বছর পর প্রিয়মের বয়স ২৬ বছর। প্রিয়মও তুয়ার ৯ বছরের বড়। প্রত্যয়, প্রিয়ম সমবয়সী কিন্তু পড়াশোনার দিক দিয়ে প্রত্যয় এগিয়ে! পড়াশোনার দিক থেকে সবার বয়স যে এক হবে এটা ভাবাটা বোকামি।