-ভাই তুই কী এখনো আমার উপর রাগ করে থাকবি?
নিবিড় নাদিয়ার দিকে চোখ ফিরিয়ে,ডান হাতটা বাড়িয়ে নাদিয়াকে বুকে জড়িয়ে, কেমন আছিস আপু?
নাদিয়া কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,এখন অনেক ভালো আছিরে।তোদের সবাইকে পেয়ে আমি সত্যিই অনেক ভালো আছি।
রিসাদ বার বার প্রিয়তার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। প্রিয়তা নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে রিসাদের দিকে তাকিয়ে।
নাদিয়ার প্রিয়তার দিকে চোখ পড়তেই,মেয়েটা কে?
নিবিড় প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে, আমার ওয়াইফ।
-আপু কেমন আছেন আপনি?
-ভালো।তবে ভাই বেশ লাগছে মেয়েটাকে।অবশ্য আমার ভাইয়ের পছন্দ বলে কথা।
মোশারফ হোসেন মাঝ থেকে বলে উঠলো,তুই ভুল ভাবছিস নাদিয়া,পছন্দটা আমার।
ঘরের লক্ষ্মীকে আমি একাই পছন্দ করে নিয়ে এসেছি।
নিবিড় অধরার দিকে তাকিয়ে কোলে নিয়ে, আপু ঠিক তোর মতো হয়েছে।
-ভাই তোর মনে আছে তুই ছোটো বেলা যখন,,,
-আপু প্লিজ আজকের দিনে আমার ছোটো বেলা আমি মনে করতে চাই না।মিস্টার রিসাদ আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? বসুন।
-স্যার,আমি ঠিক আছি।
-মিস্টার রিসাদ এইটা অফিস নয় বাড়ি।আর আপনি এখানে আমার নাম ধরেও ডাকতে পারেন।
মাহিদ সব কমপ্লিট?
-ইয়েস স্যার।
মোশারফ হোসেন কিছু বলতে যাবে তখনি নিবিড় হাত উঠিয়ে,বাবা আমি জানি সবার মনে অনেক প্রশ্ন জমেছে আপুর ব্যাপারে। পার্টিটা শেষ হয়ে যাক তারপর না হয় সবাইকে বুজিয়ে বলা যাবে।
সবাই নিবিড়ের সাথে তাল মিলালো।
কথা শেষ করে নিবিড় উপরের দিকে চলে যেতেই প্রিয়তা হাত টেনে, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
নিবিড় প্রিয়তার থেকে হাত ছাড়িয়ে বিড়বিড় করে বললো,আমার যে সময় সেটা আমি আগেই নিয়ে নিয়েছি।এখন তুমি সময়টা ওদের দাও।
-কিন্তু আমি তো চাই আপনি এখানেই থাকুন।
- ওকে তুমি কেক কাটো আমি এখানেই আছি।
পার্টি শেষ করে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে নাদিয়াকে পেয়ে।ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে এসেছে।
-সালমা বেগম আর মোশারফ হোসেন অধরাকে নিজেদের কাছ থেকে ছাড়তেই ছাইছে না।অধরাও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের আপন করে নিয়েছে।
-তোমরা হোগগোলেই কিন্তু বইসা বইসা আশর জমাইছো কিন্তু খেয়াল করছো মোশারফের কোলে নাদুর মাইয়াডা কেমন উম পাইছে? কাছ থেইক্যাই সরতে চায় না।
-হু দাদী তুমি ঠিক বলছো।জানো অধরা মাঝে মাঝেই ওর নানা নানীকে নিয়ে প্রশ্ন করতো কিন্তু আমি তো কিছু বলতে পারতাম না।
কথাটা বলেই এপাশ ওপাশ তাকিয়ে,ভাই কোথায় গেলো মা? ওকে তো দেখছি না।
সালমা বেগম মুচকি হেসে, ও তো আড্ডা পছন্দ করে না তাই হয়তো নিজের রুমে চলে গেছে।
প্রিয়তা সবার জন্য কফি নিয়ে এসে,আচ্ছা ঠিক আছে জুহি তোমার ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে আসো।এইবার সবাই কফি খেয়ে নিন।
প্রিয়তা ট্রেটা সবার সামনে দিয়ে রিসাদকে দিতে সামনে ঝুঁকতেই,ভালোই আছো দেখছি।অবশ্য বেঈমানরা সবসময় ভালোই থাকে।
রিসাদ ফিসিরফিসির করে কথাগুলো বলতে বলতে কাপ হাতে নিলো।
প্রিয়তা চুপ করে ট্রেটা রেখে, তোমরা কথা বলো আমি আসছি।
নিজের রুমে দৌড়ে গিয়ে দেখে নিবিড় খাটের সাথে ইজিচেয়ারটায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।
নিবিড়কে কিছু না বলেই ওয়াশরুমে চলে গেলো।
নিবিড় একটু অবাক হয়ে,কী হলো ওর? এইভাবে ওয়াশরুমে গেলো কেন?
প্রিয়তার কান্না যেনো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।যখনি সে একটু সুখের দেখা পায় তখন অতীত কেনো বার বার পরাজিত করে।আজ নিবিড় একটু আমায় ভালোবেসেছে আর আজই রিসাদের সাথে দেখা হতে হলো?রিসাদ যদি নিবিড়ের সামনে একবার মুখ খুলে তাহলে আমাকে শুধু এই বাড়ি থেকে নয় জীবনের থেকেও মুছে দিবেন।কি করবো আমি এখন?
ওয়াশরুমের দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ শুনে প্রিয়তা তড়িঘড়ি করে চোখে মুখে পানি দিয়ে এসে দরজা খুলে নিচের দিকে তাকিয়ে চোখ লুকানোর চেষ্টা করছে।
-কী হয়েছে তোমার?
-কিছু হয়নি।
-তাহলে এইভাবে দৌড়ে এলে কেনো?
-এমনি।
-কি হয়েছে বলবে?
প্রিয়তা চিৎকার দিয়ে বললো,বললাম না কিচ্ছু হয়নি।বার বার জিজ্ঞেস করছেন কেনো?
নিবিড় অবাক হয়ে,হোয়াট?
প্রিয়তা নিবিড়কে আর কিছু না বলে খাটের উপর থাকা নিজের জামা কাপড়গুলো গুছিয়ে নিচ্ছে আলমারিতে রাখার জন্য।
প্রিয়তার হাত শক্ত করে ধরে,আমি যেটা পছন্দ করি না সেটা কেনো করো?
প্রিয়তা নিজের হাত ছাড়ানর চেষ্টা করতে করতে,আজ একদিনে আপনি কী আমার মাথা কিনে নিয়েছেন? হ্যাঁ আমি মানছি আজকের দিনটা আপনি আমাকে এতো এতো দিয়েছেন যে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।তাই বলে এই নয় আপনার সব কিছু সহ্য করবো।
-হোয়াট?
প্রিয়তা কিছু না বলে আলমারিতে জামা কাপড় রাখতেই নিবিড় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে,মুচকি হেসে, আচ্ছা তোমার কী কোনো কারণে আমার উপর অভিমান হয়েছে? দেখো আমি ছোটো বেলা থেকে এমন ছিলাম না।কিন্তু সমাজের মায়া জ্বালে নিজেকে পাল্টাতে বাধ্য হয়েছি।
প্রিয়তা নিবিড়ের কথা শুনে নিবিড়ের দিকে ফিরে,কেনো করছেন এইসব। সে তো দেড় বছর পর আমাকে চলেই যেতে হবে।তাহলে এইসব করে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? আপনার তনুসা তো ঠিকে আপনার।মাঝখান থেকে আমি এসে আপনাদের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছি।আমি ভাবছি কাল বাবাকে সত্যিটা বলে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।
নিবিড় প্রিয়তাকে ছেড়ে দিয়ে,তুমি কখনোই শুধরাবে না।ওকে যাও তোমার যা ইচ্ছা করো।তবে হ্যাঁ আমার শর্ত অনুযায়ী তোমাকে দেড় বছরই এই বাড়িতে থাকতে হবে।
কথাটা বলে নিবিড় খাটের উপর থেকে ফাইলগুলো নিয়ে মাহিদকে ফোন দিলো।
-জ্বি স্যার।
-হোটেলে একটা রুম বুকিং করো।আজ রাত আমি ওইখানেই থাকবো।
-স্যার আপনি ম্যাডামকে ছাড়া আজকের দিনে,,,,
-শাটাপ, তোমাকে যা বলেছি তাই করো।
নাদিয়া নিবিড়কে নামতে দেখে,ভাই তুই কি কোথাও যাচ্ছিস?
- হ্যাঁ আপু।আসলে আমার বাহিরে একটা কাজ আছে সেটা করতেই যাচ্ছি।তাই আজ রাত আর বাড়ি ফিরবো না।
-ভাই আজ আমি এসেছি, ভাবলাম তোর সাথে কথা বলবো আর তুই থাকছিস না।
-আপু কাল কথা বলবো।তুই তো আছিসই।
রিসাদ এগিয়ে এসে, স্যার আমি কি আসবো?
-না, বাড়িতে সবাইকে সময় দিন তাহলেই হবে।
নিবিড় বাহিরে বেরিয়ে গেলো।
রিসাদ মনে মনে ভাবলো, যাক ভালোই হয়েছে।প্রিয়তা এখন তো তোমাকে আমার প্রশ্নগুলোর আনসার দিতেই হবে।
লুকিয়ে লুকিয়ে কতক্ষণ থাকবে আমার কাছ থেকে?
সালমা বেগম এসে,বাবা রিসাদ সারাদিন অনেক ধকল গেছে।জুহি যা তোর আপু আর ভাইয়াকে রুমে নিয়ে যা।শেফালী তাদের রুমটা গুছিয়ে দিয়েছে।
জুহি উঠে দাঁড়িয়ে, আসেন ভাইয়া।জুহি রিসাদকে উপরে নিয়ে গেলো।নিবিড়ের রুমের সামনের দক্ষিণ রুমটাই নাদিয়াদের দিলো।
রিসাদ এদিক সেদিক তাকিয়ে,স্যার বাড়িটা তো বেশ বানিয়েছেন।আচ্ছা বাড়িটা কি শুধু স্যার নিজের জন্য বানিয়েছেন নাকি সবার?
-ভাইয়া কখনো নিজের জন্য একা কিছু করে না।যা করে সবার কথা মাথায় রেখেই করে।
আপনি বিশ্রাম নিন আমি আসছি।
নিবিড়ের রুমের দরজার দিকে চোখ পড়তেই, ওই রুমে কে থাকে?
-ওইটা ভাইয়া আর ভাবীর।
-ওও।
-আচ্ছা আমি তাহলে যাই।আপনি থাকুন।
রিসাদ জুহি চলে যেতেই আস্তে আস্তে নিবিড়ের রুমের দিকে গেলো।দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকতেই, রাগ কমেছে তাহলে? দেখুন মিস্টার নিবিড় যতই রাগ করেন না কেনো কথাগুলো তো সত্যি তাই না?
কথাটা বলে পিছনে ফিরতেই প্রিয়তা অবাক হয়ে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে বললো, আপনি এইখানে?
-শেষ মেষ তাহলে বড়লোক ছেলে পেয়ে হাত ছাড়া করলে না,বিয়েটা ঠিক করেই নিলে।
প্রিয়তা অন্য দিকে তাকিয়ে, দেখুন কেউ আসার আগে আপনি এখান থেকে চলে যান।আমি চাই না আমাদের ব্যাপারটা নিয়ে কেউ জেনে এই বাড়িতে অশান্তি হোক।
-অশান্তি তো নিবিড় সাহেব নিজেই ডেকে এনেছেন নিজের হাতে।আমি তো আসতে চাইনি আমাকে জোর করেই আনা হয়েছে।
-দেখুন আপনাদের মাঝে কি হয়েছে না হয়েছে আমার জানার ব্যাপার নয়।কিন্তু আপনার আর আমার ব্যাপারটা সেই দিন সমাপ্ত হয়ে গেছে, সো এইটাকে টেনেটুনে এইখানে নিয়ে আসবেন না।
-বাহ্,এতোটাই সহজ। আমার যে দুইটা বছর লস হলো সেটার কি হবে?
-রিসাদ প্লিজ নিবিড় জানতে পারলে কি হবে বুজতে পারছো?
-কি হবে? জানবে আমার আর তোমার পুরনো প্রেমটা আমার উথলিয়ে উঠলো।
-প্লিজ রিসাদ, আমি অনেক কষ্ট করে নিবিড়কে অনেকটা কাছে পেয়েছি আর তোমারও স্ত্রী বাচ্চা সবই আছে।তাকেও তো তুমি ভালোবেসে বিয়ে করেছো।
-সেটা তো তুমি আমায় ঠকিয়েছো বলে।
-আমি তোমায় ঠকিয়েছি মানে? শুনো তোমাকে আমি তখনও বলেছি আর আজও বলছি,আমার বোনেরা আমার কাছে সব।আমার ফ্যামিলি রেখে আমি তোমাকে বিয়ে করলে আমার ফ্যামিলি তখন রাস্তায় নামতে হতো।দোষটা তো তোমার ছিলো তুমি তো পারতে সেদিন আমার জন্য অপেক্ষা করতে। আর হ্যাঁ এই যে প্রেম ভালোবাসা বলছো না।ওইটা আমার দিক থেকে ছিলো না।তুমি আমার মাকে রাজি করিয়েছো বলেই আমিও রাজি হয়ে ছিলাম।আর আমি তোমাকে বলেও ছিলাম আমি রাজি ঠিক কিন্তু আমার বোনেদের বিয়ে ছাড়া আমি কখনো বিয়ে করবো না।
রিসাদ অট্র হাসি দিয়ে,হিসাব চুকিয়ে দিচ্ছো নাকি এইসব বলে?
-রিসাদ প্লিজ তুমি এখান থেকে যাও আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না।
হুম আজ আমি যেতেই পারি,কিন্তু তোমাকে দেখে তো আমার প্রেমটা নতুন করে সবুজ গাছের মতো সতেজ নির্মল হয়ে উঠেছে।তোমাকে তো আমি ছাড়ছি না প্রিয়তা।তোমাকে যখন সামনেই পাচ্ছি তাহলে তো,,,,,,,,
রিসাদ আর কিছু না বলে ভয়ংকর হাসি দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
রিসাদ একটু হেঁটে যেতেই নাদিয়া উপরে উঠে,তুমি কোথায় ছিলে আমি তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি।
ভাইয়ের রুমে গেছিলে নাকি? কিন্তু ভাই তো রুমে নেই।
-আসলে নাদু তোমার ভাবীর সাথে তেমন পরিচয় হয়নি তাই একমাত্র শালার বউ পরিচয় হবো না।
নাদিয়া হাসি দিয়ে,আচ্ছা ঠিক আছে,তুমি রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নাও।অধরাও রুমে ঘুমাচ্ছে। আমি ওর সাথে একটু কথা বলে আসছি।
প্রিয়তা খাটের কিনারায় চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে বসে আছে।
-প্রিয়তা আসবো?
-আরে আপু,আসুন।আপনি আসলে বলা লাগবে?
-জানো আমি তো ভাবতাম আমার ভাই কখনো বিয়েই করবে না।কারণ ও মেয়েদের এতোটাই ঘৃণা করে কি বলবো।আসলে এক কথায় ও সম্পর্কগুলো বিশ্বাস করে না।
প্রিয়তা চুপ করে আছে।
-তোমাকে আমার খুব ভালো লেগেছে।এইজন্যই তো বলি আমার ভাই বিয়ে করে এতোটা পাল্টে গেলো কিভাবে?
-আপু আপনি ভুল ভাবছেন।ওনি এখনো আগের মতোই আছেন।
-নাহ্ আজ তোমার প্রতি ওর চোখে যে ভালোবাসা দেখলাম সেটা কিছুতেই মিথ্যা হতে পারে না।
তো প্রিয়তা তোমার বাপের বাড়িতে কে কে আছে?
-আমার মা আর বোন।ভাই কিংবা বাবা কেউ নেই।
-ওও আচ্ছা। ঠিক আছে তুমি থাকো আমার ও আবার আমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারে না।
নিবিড় হোটেলের রুমে পায়চারী করছে। প্রিয়তার মুখ দেখে ঘুমাতে ঘুমাতে যেনো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।অনেক চেষ্টা করেও চোখে ঘুম ধরাতে পারছে না।
প্রিয়তা গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। নিবিড় নিজেকে আর সামলাতে না পেরে বাড়ি এসে নিজের প্রিয় চেয়ারটায় বসে পড়লো।
প্রিয়তা একবার ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছে ভেবে চোখ বন্ধ করে আবার লাফ দিয়ে উঠে বসে,আপনি? কখন এলেন?
নিবিড় গম্ভীরমুখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে, উঠলে কেনো? ঘুমাও।
-আপনি ঘুমাবেন না? নিবিড় উঠে এসে প্রিয়তার এক পাশে শুয়ে,ঘুমিয়ে পড়ো।আর আমার কানের কাছে একদম বকবক করবে না।
-আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো।
বলো শুনছি কথাটা বলেই নিবিড় অন্য পাশ ফিরে শুয়ে আছে।
-কথাটা আপনি কিভাবে নিবেন আমি জানি না।তবে এইটা সত্য আমি কোনো অন্যায় করিনি।আমি শুধু মায়ের কথা রাখতে সেদিন রাজি হয়ে ছিলাম।
আমি জানি কথাটা শুনলে আপনি ঠিক থাকতে পারবেন না কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার কোনো দোষ নেই।রিসাদকে আমি আগে থেকেই চিনি।মানে রিসাদের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো।ওর ভালোবাসার কথা শুনে মা রাজি হয়ে গিয়েছিলো।
কথাটা বলেই প্রিয়তা নিবিড়ের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাকিয়ে, শুনছেন আপনি?
নিবিড় কথা বলছে না দেখে প্রিয়তা উঠে নিবিড়ের উপর ঝুঁকে দেখে সে ঘুমিয়ে গেছে।
প্রিয়তা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,আপনার এখুনি ঘুমাতে হলো আমার কথাটা না শুনে?