আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

নীরব সাক্ষী (পর্ব ২০)


"" প্রিয়ন্তি কি বিয়ের জন্য রাজি বাবা?"" গম্ভির গলার বললো রিদ..

"" হুম প্রিয়ন্তির অনুমতি নিয়ে ওদের আসতে বলেছি ৷ আর প্রিয়ন্তির পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে টা ঠিক করছি রিদ""

রিদ আর কিছু শোনার প্রয়োজন বোধ করলো না দ্রুত পায়ে হেটে গেল প্রিয়ন্তির রুমে , রুমে ঢুকে রিদ ভিতর থেকে দরজা  বন্ধ করে দেয় ৷ দরজা লাগানোর শব্দ পেয়ে প্রিয়ন্তি তাকিয়ে রিদ কে দেখে পেয়ে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় ৷ অন্যদিকে রিদ কে এভাবে প্রিয়ন্তির রুমে ঢুকতে দেখে দেখতে আসা লোক জনের মধ্যে কানা কানি শুরু হয়ে গেছে ৷ রায়হান আহাম্মেদ  তার ছেলের কান্ডে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে ৷ ওই দিকে রিদ প্রিয়ন্তির দিকে এগোতে এগোতে কোমরের বেল খুলতে খুলতে রিদ বলতে লাগলো "" খুব শখ না তোর বিয়ে করার তাই না? আজ আমি তোর বিয়ের শখ মিটিয়ে দিবো ৷ ""

রিদ বেল খুলে প্রিয়ন্তি কে মারতে লাগলো প্রিয়ন্তি রিদ কে কিছু বলতে না মার খেয়ে  কেদে যাচ্ছে ৷ ফর্সা শরীলে বেল্টের দাগ স্পষ্ট ফুটে আছে ৷ রিদের মাথায় কাজ করছে না ৷ অফিসের বসের যন্ত্রণা ৷ অন্যদিকে মুনের স্মৃতি রিদ কে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ৷ আর এখন প্রিয়ন্তি ... সব মিলিয়ে রিদের নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে ৷ 

দরজায় বার বার কড়া আঘাত আর রায়হান আহাম্মেদ এর গলা পেয়ে প্রিয়ন্তি দৌড়ে দরজা খুলে দেয় ৷ হরমুর করে রায়হান আহাম্মেদ আর রিয়ানা বেগম রুমের ভিতর ঢুকে পরে ৷ দুজনে প্রিয়ন্তির এই করুন অবস্তা দেখে রায়হান আহাম্মেদ এর প্রচন্ড খারাপ লাগছে ৷ আর রিয়ানা বেগম প্রিয়ন্তিকে জরিয়ে ধরে আছে ৷ আজ রিয়ানা বেগমের মুনের কথা বড্ড মনে  পরছে ৷ আজ প্রিয়ন্তিকে যে ভাবে মেরেছে ঠিক একই ভাবে মুন কেও সে আর ছেলে এভাবে মারতো ৷ 

"" রিদ তোমার সাহস কি করে হয় প্রিয়ন্তির গায় হাত তোলার ?""(রায়হান আহাম্মেদ )

"" তার আগে  প্রিয়ন্তির কাছে জানতে চাও ওর সাহস কি করে হয় বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায় ৷""(রিদ)

"" কেন এতে সাহস এর কি আছে ৷ বিয়ের বয়স হয়েছে তাই বিয়ে করবে এতে তোর সমস্যা কোথায় রিদ?""(রায়হান আহাম্মেদ )

"" সব সমস্যাই আমার বুজতে পেরেছো বাবা কারন টা হলো এই মেয়েটার জন্য আমি আমার সাজানো  সংসার ভেঙে চুরে শেষ করেছি ৷ মুন কে হারিয়ে ফেলেছি ৷ আর এখন ও বিয়ে করে সুখি হবে আর আমি ঘুমরে ঘুমরে মরবো তা কখনো হবে না ওকে ও ঘুমরে মরতে হবে জ্বলতে হবে আমার-ই মতো বুজতে পেরেছো তোমরা "" চিৎকার করে বলতে লাগলো রিদ...

"" না বাবু তুই যা করছিস ভূল করছিস সব দোষ আমার সব ভূল আমার বাবু দয়াকরে মেয়ে টাকে আর কষ্ট দিস না ""

"" ঠিক বলেছো সব দোষ তোমার মা , তোমার জন্য আমি সব হারিয়েছি""

প্রিয়ন্তি আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে উঠলো"" চুপ করো তোমরা সবাই ৷ কি ভেবেছো আমি তোমাদের হাতের পুতুল যে যেভাবে পারছো আমাকে আঙ্গুলে নাচিয়ে যাচ্ছো ৷ হ্যা আমি কি মানুষ না সেই ছোট বেলা থেকে তোমরা দুজনে আমাকে ব্যাবহার করে এসেছো ৷ শেষ পর্যন্ত আমার দুটো সন্তান কে খুন করতে পর্যন্ত বাধ্য করেছে তোমাদের ছেলে ৷ আর আজ যখন আমি এই নরক থেকে বের হতে চাচ্ছি  বাচঁতে চাইছি তখন আবার তোমার সমস্যা হচ্ছে রিদ ৷ আমিও মানুষ রিদ কোন জড় বস্তু না যে যে ভাবে পারবে আমাকে ব্যবহার করে যাবে ৷ আমার ও ইচ্ছে হয় সংসার করার মা ডাক শোনার কিন্তু তুমি তা হতে দিচ্ছো না কেন রিদ কেন"" কাদতে কাদতে কথা গুলো বলতে বলতে প্রিয়ন্তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷ আর আজ প্রিয়ন্তির কথা শুনে রায়হান আহাম্মেদ যেন তার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে ৷ তার ছেলে এতো জঘন্য এটা তার জানা ছিলো না ৷ তিনি চুপচাপ  প্রিয়ন্তি কে কোন রকম ধরে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ডাক্তার কে কল করে আসতে বলে ৷ 

"" রায়হান ভাই প্রিয়ন্তি মায়ের এই অবস্তা হলো কি করে?"(ডাক্তার)

"" এক জানোয়ারের জন্য ভাই ৷ তুমি দ্রুত মেয়েটাকে সুস্থ করে তোলার ব্যাবস্তা করো"" (রায়হান আহাম্মেদ )

"" আমি  একটা ইনজেকশন পুশ করে দিচ্ছি প্রিয়ন্তি মা কিছুক্ষন ঘুমাবে ৷ আর প্রেসক্রিপ্‌শন দিলাম ঔষধ গুলো আনিয়ে নিবেন আর নিয়ম লিখে দিয়েছি ৷ নিয়ম অনুযায়ি খাইয়ে দিবেন ৷""

প্রেসক্রিপশন টা রায়হান আহাম্মেদ এর হাতে দিয়ে ডাক্তার চলে যেতে তিনি ঔষধ আনতে বেরিয়ে গেল৷ তখনি রিদ প্রিয়ন্তির রুমে চুপি সারে রুমে ঢুকলো.... নিঃশব্দে প্রিয়ন্তির মাথার কাছে দারিয়ে প্রিয়ন্তি কে দেখছে ৷ খুব গিল্টি ফিল করছে রিদ ৷   এভাবে প্রিয়ন্তিকে মারা যে তার উচিত হয়নি এটা বেশ বুজতে পারচ্ছে ৷ আজ প্রিয়ন্তির প্রত্যেকটা কথা খুব মন দিয়ে শুনেছে রিদ এর আগে শুনেছিলো কিন্তু গায় মাখে নি কিন্তু আজ বুজতে পারছে কতো বড় অন্যায় করেছে সে প্রিয়ন্তির উপর নাহ শুধু প্রিয়ন্তির উপর নয় মুনের উপর ও ৷ একি সাথে দুটো মেয়ে জীবন নিয়ে খেলেছে সে ৷ প্রিয়ন্তিকে স্পর্শ করার সাহস রিদ করতে পারলো না ৷ দু ফোটা চোখের পানি ফেলে বেরিয়ে গেল রুম থেকে ৷ দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেল প্রিয়ন্তি এখন পুরো সুস্থ ৷ রায়হান আহাম্মেদ প্রিয়ন্তির অনুমতি নিয়ে আবার ও প্রিয়ন্তির জন্য ছেলে দেখতে লাগলো ৷ কিন্তু এবার আর রিদ কোন শব্দ করেনি না কোন অসান্তি করেছে ৷ আজ প্রিয়ন্তিকে ছেলে পক্ষ দেখতে এসে প্রিয়ন্তিকে রিং পরিয়ে দিয়ে গেছে ৷ ছেলে পক্ষ চলে যেতে রায়হান আহাম্মেদ রিয়ানা বেগম কে ডেকে কিছু পেপারস এগিয়ে দিলো....

"" এগুলো কিসের কাগজ রিদের বাপ?""

"" ডিভোর্স পেপার রিয়ানা ৷ কথা না বারিয়ে ঝটপট সাইন করে দেও বাইরে আমার উকিল দারিয়ে আছে ৷""

রিয়ানা বেগম ধুপ করে সোফায় বসে পড়লেন ৷ রিয়ানা বেগমের মাথায় যেন পুরো পৃথিবী ঘুরছে ৷ রিয়ানা বেগমের মনে হচ্ছে তিনি এখুনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন৷ এদিকে রিদ এখনো তার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে , রিদ বিশ্বাস করতে পারছে না তার বাবা এমন কিছু করবে ৷ রিদ কিছু বলতে যাবে তখনি রায়হান আহাম্মেদ ইশারায় থামিয়ে দিলেন৷
.
.
.
.
.
___________ মুন অফিস থেকে ফিরে রুমে এসে দেখে আবিদ ওর বিছানায় শুয়ে আছে ৷ মুন মুচকি হেসে ব্যাগ ফাইল গুলো ড্রয়ারে রেখে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল ৷ ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে দেখে আবিদ রুমের কোথাও নেই৷ তার দু মিনিট পর দেখে আবিদ দু-কাঁপ চা আর স্নাক্স নিয়ে হাজির ৷ 

"" মনপাখি ঝটপট চা আর স্নাক্স খেয়ে নেও ৷ তারপর তোমার অফিসের গল্প শুনবো৷""(আবিদ )

"" হুম তা না হয় গল্প তোমায় শুনাবো তার আগে তুমি বলো আজ সারা দিনে মাত্র দুবার কেন কল দিলে আমাকে? "" মুখ ভার করে বললো মুন...

আবিদ মুনকে কোলে বসিয়ে গলায় ঠোটের স্পর্শ দিয়ে বললে উঠলো"" ক্ষমা করো মনপাখি ৷ আজ দোকানে প্রচুর ভির ছিলো তার উপর আ,,, বলতে গিয়ে থেকে যায় আবিদ..

"" কি হলো কথাটা শেষ করো আ মানে কি ? " কথাটা বলার পর মুনের টনক নরে উঠলো সাথে সাথে আবিদের দিকে ঘুড়ে তাকায় মুন"" সত্যি করে বলো আবিদ আজ কি হয়েছে ? তোমার বাবা এসেছিলো ?""

"" হুম আব্বু আজ দোকানে এসে মামা আর আমাকে বেশ শাশিয়ে গেছে ৷ যাতে আমাকে ওবাড়িতে ফিরে যাই"" মন খারাপ করে বললো আবিদ...

"" তুমি কি চাও আবিদ ? ফিরে যেতে চাও তোমার পরিবারের কাছে তাহলে আমি বাধা হবো না তোমার , তুমি নিশ্চিন্তে ফিরে যেতে পারো তোমার পরিবারের কাছে ৷""

মুনের কথা শুনে মুহূর্তে আবিদের চোখ মুখের রং পাল্টে গেল৷ আবিদের মুখের দিকে তাকাতে মুনের  চোখ মুখ ভয়ে যেন শুকিয়ে গেছে কয়েক মুহূর্তে ৷ আবিদ মুন কে বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে বলে""" ভূলেও নিজের থেকে আমাকে দুরে সরানোর চিন্তা মাথায় এনো না মনপাখি ৷ তাহলে আমি এবার আর চুপ থাকবো না সব জ্বালিয়ে পুরিয়ে সব শেষ করে দিবো ৷ আর কান খুলে শুনে রাখো আমি না তোমাকে ছেড়ে দিবো আর না তোমাকে ছেড়ে যেতে দিবো কারন এখন তোমার উপর বৈধ অধিকার আছে আমার  তাই আর কখনো এই কথা গুলো বলার সাহস করবে না মনপাখি ""

মুন শুকনো ঢোক গিলে মাথা নারালো... 

মুন আর কিছু বলার সাহস পেল না ৷ চুপ চাপ খেয়ে নিলো ৷ তখনি দরজায় কেউ নক করতে মুন আবিদের কোল থেকে উঠে দারিয়ে পরে ৷ 

"" মুন মা ভিতরে আসবো"" সামসু হক

"" কি বলছেন মামা ৷ আসুন ভিতরে আসুন প্লিজ""

সামসু হক ভিতরে ঢুকে ৷ মুন চেয়ার টা এগিয়ে দেয় বসার জন্য ..

"" মামা বসে কথা বলুন ""

"" মুন মা আর আবিদ তোমাদের এক টা কথা বলার জন্য এসেছি""

"" বলুন মামা কি বলবেন?""

"" আবিদ আর মুন মা আমাকে তোমরা ভূল বুঝো না কিন্তু কথাটা তোমাদের বলতে হচ্ছে ""  সামিু হকের কথা শুনে মুনের ভয় হচ্ছে এটা ভেবে যে এবাড়ি থেকে চলে যেতে না বলে ৷ 

"" বলুন মামা কি বলবেন""(আবিদ)

"" বলছিলাম যে তোমরা কিছুদিনের জন্য কোথাও থেকে ঘুড়ে এসো কারন তোমার বাবা তোমাদের উপর নজর রাখার জন্য লোক লাগিয়েছে ""

সামসু হকের কথা শুনে আবিদের চোখ মুখ শক্ত হয়ে এলো ৷ নিজের বাবার প্রতি ঘৃনাটা যেন দিন কে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ এর আগে মুনের মা আলিয়া বেগমের সাথে প্লান করে কয়েকবার যে মুন কে ওর থেকে সরাতে চেয়েছিলো এটা আবিদ জেনে যাওয়ার পর নিজের বাবার প্রতি ঘৃনা জন্মালো আর আজ মামার কথা শুনে  ঘৃনা যেন আরো বেশি হলো৷

মুন এবার বলে উঠলো.. "" মামা আপনি চিন্তা করবেন না আমি কিছু একটা করছি "

"" মুন মা তোমরা আমাকে ভূল বোঝনি তো?""(সামসু হক)

"" না মামা আপনাকে ভূল বোঝার প্রশ্ন-ই আসে না ৷ আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন আমি আর আবিদ সব টা সামলে নিবো"" 

"" আচ্ছা মা তাহলে তোমরা গল্প করো আমি সামিরা কে সামলাই মেয়েটা তোমার কাছে আসার জন্য পাগল হয়ে গেছে""

"" মামা আপনি সামিরাকে আমার কাছে পাঠিয়েদিন দয়া করে ৷ ওকে সারাদিন না দেখতে পেয়ে আমার মনটাও আনচান করছে ৷""

"" আচ্ছা মা আমি ওকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ""

সামসু হক চলে যেতে মুন ফোন বের করে ফারিহার নাম্বারে ডায়েল করে ৷ একবার বাজতে ফারিহা কল রিসিব করে ৷ মুন সবটা ফারিহা কে জানায় ৷ ফারিহা কিছুক্ষণ চুপ থেকে মুন কে বরিশাল আসতে বলে ৷ মুন রাজি হয়ে যায়৷ ফারিহার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে কল কেটে দেয় মুন৷ 

"" কি বললো সালিকা?""(আবিদ)

"" রুমে গিয়ে জমা কাপড় প্যাক করে নেও কাল সকাল সকাল আমরা বরিশালের উদ্দ্যশ্যে বের হবো ""

"" কিন্তু টিকিট তো কাটা হয়নি যাবো কি করে?""

"" অফিস থেকে গাড়ি পাঠিয়ে দিবে ফারিহা ৷ আমরা সেই গাড়িতে যাবো বুজলে৷ এখন কথা না বারিয়ে রুমে যাও আর আমি মামা মামি কে কাল যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়ে আসি  ""

"" ওকে মহারানি আপনি যা বলবেন তাই হবে"" আবিদ মুনের গালে টুপ করে একটা চুমু দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ... 

মুন রাতে খাওয়ার টেবিলে মামা মামি কে সব টা বলে তারা রাজি হয়ে যায় ৷ তবে শর্ত একটা ঝামেলা মিটে গেলে আবার এই বাড়িতে ফিরে আসতে হবে ৷ মুন আবিদ দুজনে রাজি হয়ে যায় ৷ রাতে খেয়ে দুজনে দু রুমে ঘুমিয়ে পড়ে ৷ আর মুন সামিরাকে মন ভরে আদর করে নেয় ৷ 

পরেরদিন ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে মুন আবিদ রেডি হয়ে নাস্তা করে  সবাই কে বিদায় নিয়ে ফারিহার পাঠানো গাড়িতে উঠে বসে ৷ দুঘন্টায় মুন আবিদ বরিশাল পৌছে যায় ৷ ফারিহার ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী ড্রাইবার মুন আবিদ কে ফারিহার বাড়িতে নিয়ে আসে ৷ ফারিহা আর আয়ান দুজনে মুন আর আবিদ কে অয়েলকাম করার জন্য গেটের কাছে দারিয়ে ছিলো মুন আবিদ কে আসতে দেখে ফারিহা দৌরে মুন কে জরিয়ে ধরে ৷ আর আয়ান আবিদ দুজনে হ্যান্ডশেক করে ৷ 

""কেমন আছিস তোরা? জিজু কেমন আছেন?"" (ফারিহা)

"" এই তো ভালো সালিকা , তুমি কেমন আছো ? আর আপনি কেমন আছেন মিস্টার আয়ান?""(আবিদ)

"" এইতো আপনার সালিকা যেমন রেখেছে তেমন আছি মিস্টার আবিদ"" আড়চোখে ফারিহার দিকে তাকিয়ে বললো আয়ান...

"" তাই না জিজু মুন ভিতরে চল জার্নি করে এসেছিস এখন নিশ্চয় ট্যায়ার্ড আছিস ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে রেস্ট নিবে চলো ভিতরে""(ফারিহা)

আয়ান আর কিছু বলার সাহস করলো না কারন ফারিহার রাগ সম্পর্কে আয়ান খুব ভালো করেই জানে ৷ 

ফারিহা মুন আবিদ কে রুম দেখিয়ে দেয় ৷ মুন আবিদ ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এসে দেখে বিশাল আয়োজন করা হয়েছে ৷ ফারিহা আবিদ কে ঠেসে ঠুসে খাইয়ে ছেড়েছে আর অন্যদিকে মুন আবিদের অবস্তা দেখে  মুখ টিপে টিপে হাসছে ৷ অন্যদিকে আয়ান ভিতরে ভিতরে ফুসছে ৷ ফারিহা আয়ানের মুখ দেখে বেশ মজা পাচ্ছে ৷ আয়ান কে আরো জ্বালানোর জন্য ফারিহা আবিদ কে নিজ হাতে খাওয়াতে লাগলো ৷ মুন বেশ বুজতে পারছে ফারিহা আয়ানকে জ্বলানোর জন্য ফারিহা এমনটা করছে ৷ মুন আয়ানের পাশে বসে আস্তে করে বলে উঠলো "" জিজু  ফারিহা আপনাকে জ্বালানোর জন্য এমন টা করছে তাই প্লিজ এখন শান্ত থাকুন৷""

"" মানে তুমি সবটা জানো?"" অবাক হয়ে বললো আয়ান

"" ওহ জিজু আপনি এখনো ফারিহা কে চিনতে পারলেন না ? কিছুক্ষন আগে যে ওকে টিস করে কথা বলেছিলেন ভুলে গেছেন? ও তার প্রতিশোধ নিচ্ছে ""

আয়ান এবার বুজতে পারলো ফারিহা কেন এমনটা করছে ৷

"" সালি সাহেবা আপনার বান্ধবী তো পুরাই একটা বোম ""

"" হু এখন বুজতে পারলেন ৷ ""

আবিদ মুন ফারিহা আয়ান এর  খাওয়া শেষ হওয়ার পর ওদের গেস্ট রুমে পাঠিয়ে দেয় রেস্ট নিতে ৷ 

দুপুরে লান্চ করার সময় ফারিহা তার বাবা ফারুক খানের সাথে আবিদের পরিচয় করিয়ে দেয়৷ আবিদের ব্যবহার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে ফারিহার বাবার বেশ ভালো লাগে তিনি আবিদ কে তার অফিসে চাকরির অফার করে ৷ আবিদ প্রথমে না করতে চেয়েও করলো না কারন ফারিহার বাবা আবিদ কে রিকুয়েস্ট করে ৷ আবিদ রাজি হয়ে যায় ৷ 

"" মুন আর জিজু আগামিকাল রেডি থেকো , কাল থেকে তোমরা দুজনে আমার সাথে অফিসে যাবে ৷ ""

"" কিন্তু....""(মুন)

"" কোন কিন্তু নয় মুন আর শোন কাল একজনের মুখো মুখি হবি সো গেট রেডি ফর টুমোরো কারন কাল ধামাকা হবে কারো কারো হুস উরে যাবে তোদের দেখে....."" কথাটা বলে রহস্যময় হাসি দিলো ফারিহা.....
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।