পরাণ প্রিয়া - পর্ব ৩৫ - রাবেয়া সুলতানা - ধারাবাহিক গল্প


সকাল সকাল নিবিড় চোখ খুলে আড়মোড়া ভাঙ্গতেই হাতের দিকে নজর পড়লো।
চমকে চোখেমুখে বিস্মিত হয়ে ডান হাতটাকে বাম হাতে হালকা স্পর্শ করে,দরজার দিকে তাকালো।দরজাতো আটকানোই আছে।তাহলে কে এলো? 
পাশে ফিরে প্রিয়তার দিকে তাকাতেই দেখে প্রিয়তা গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। হাতের দিকে আবার তাকিয়ে, থেঁতলিয়ে যাওয়া জায়গাটা এইভাবে অনেকটাই শুকিয়ে গেলো? মনে হচ্ছে রাতে কেউ মলম লাগিয়ে দিয়েছে।কিন্তু রাতে তো দরজা বন্ধ ছিলো।তার মানে আর কেউ নয় প্রিয়তাই আমার হাতে মলম লাগিয়েছে।কিন্তু যার দুনিয়ায় ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই সেই কিনা মলম লাগাবে? সত্যি সত্যিই কি ওর মেমোরি লস হয়েছে নাকি অন্য কিছু?

নিবিড় উঠে যাওয়ার আগে প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে কপালে আলতো করে চুমু দিতেই প্রিয়তা নিবিড়ের  গাড়ের উপর হাত দিয়ে জড়িয়ে এনে,আপনি চুরি করে আমায় কিসি দিলেন কেনো?
নিবিড় লজ্জা পেয়ে,স্যরি আসলে,,, 
প্রিয়তা নিবিড়কে ছেড়ে দিয়ে, জানি এখন মিথ্যা বলবেন।
নিবিড় উঠে দাঁড়িয়ে মনে মনে ভাবছে, বুড়ী তুমি জাতে মাতাল তালে ঠিক এইটা আমি খুব বুজতে পারছি। 

-তুমি বসো আমি আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
-আমিও যাবো। 
-কোথায়?
-আপনি যেখানে যাবেন।
-এই না,,তুমি এইখানে বসো।
-না আমি যাবো।
-যাও তুমি আগে যাও।
-না আমি আপনার সাথে যাবো। 
-আচ্ছা চলো।
-নিবিড় দাঁত ব্রাশ করছে দেখে প্রিয়তা নিবিড়ের হাত থেকে ব্রাশ নিয়ে নিজে ব্রাশ করতে শুরু করলো।
নিবিড় চোখ মুখ কুঁচকে,তুমি পাগল হয়ে গেলে? আমার ব্রাশ দিয়ে,,,,,
প্রিয়তা নিবিড়কে কিছু না বলে মনের সুখেই দাঁত ব্রাশ করতে থাকলো।
নিবিড় নিজের কপালে নিজে হাত চাপড়ে,,, আল্লাহ তুমি আমায় রক্ষা করো।এই আর কতো পাগলামি করবে।

রুমে ফোন বেজে যাচ্ছে দেখে নিবিড় মুখ ওয়াশ করে এসে ফোন রিসিভ করে,জ্বি বলুন! 
-মিস্টার নিবিড় আপনার ওয়াইফ একদম সুস্থ। উনার কোনো রিপোর্টে কোনো প্রবলেমই আসেনি।
-জ্বি আমি জানি আমার ওয়াইফ একদম সুস্থ। প্লিজ মিসেস শারমিন এই কথা শুধু আপনার আর আমার ভিতরে থাকবে।আপনি কাল সকালে আমাদের বাড়ি এসে সবার সামনে বলবেন, প্রিয়তা সুস্থ হতে সময় লাগবে।
-কিন্তু মিস্টার নিবিড়, এই ড্রামার মানে কী? আমি ডাক্তার হয়ে মিথ্যা বলবো?
-প্লিজ মিসেস শারমিন। এইখানে আপনার তো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।এবং কী আমারও না।কিছু কিছু সময় ভালো করতে মিথ্যা বলাটা শ্রেয়।
- ওকে মিস্টার নিবিড়। তাহলে কাল দেখা হচ্ছে।

নিবিড় ওয়াশ রুম থেকে বের হওয়ার পর থেকেই প্রিয়তা গম্ভীর হয়ে বসে আছে শাওয়ারের নিচে। কান্না যেনো গলাটাই আটকে আছে চোখের পানিগুলো যেনো ঝর্ণার ধারায় নেমে যাচ্ছে।
নিবিড় কথা শেষ করে পিছনে ফিরে প্রিয়তাকে না দেখে একটু এগিয়ে গিয়ে ওয়াশরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে 
প্রিয়তার দিকে গম্ভীরমুখে তাকিয়ে আছে।
-তুমি কেনো এমন করছো আমি জানি না।তবে আমার মনে হচ্ছে তুমি নিশ্চয়ই কোনো প্লান করেছো।কিন্তু বুড়ী! আমাকে তুমি একটা বার সব বলতে পারতে। আমার তো খুব কষ্ট হচ্ছে।
নিবিড় ওয়াশরুমে ঢুকে, বুড়ী তোমার ঠান্ডা লাগবে তো। উঠো তাড়াতাড়ি। প্রিয়তার হাত ধরে টেনে উঠিয়ে,এই সকাল সকাল কেনো ঠান্ডা পানিতে নিজেকে ভিজিয়েছো।দেখি চলো চেঞ্জ করবে।
প্রিয়তা নিবিড়কে জড়িয়ে ধরে,কান্না করছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। 
নিবিড় প্রিয়তাকে কোলে তোলে নিয়ে রুমে এনে জামা কাপড় চেঞ্জ করে চুলগুলো ভালো করে মুছে দিয়ে,কেনো যে ভিজতে গেলে? এখন আমার অফিসের দেরী হয়ে যাচ্ছে। 
আমি অফিসে গেলে, মা যা বলবে প্লিজ শুনে চলিও।
খুব ভালো মেয়ে হয়ে থাকবে।কারো পিছনে লাগার কোনো দরকার নেই।
-আপনিই তো এখন আমার পিছনে লেগে আছেন।ছাড়েন আমাকে! আমি নিচে যাবো।জুহির সাথে গল্প করবো।
-আচ্ছা ঠিক আছে করো।আমি রেডি হয়ে নি তারপর নিচে যাবো।

নিবিড় অফিসে চলে গেলো।কিন্তু প্রিয়তা রিসাদের হাত টেনে ধরে রেখেছে।কিছুতেই অফিসে যেতে দিচ্ছে না।
নাদিয়া সকালের নাশতা করে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলো।সালমা বেগম একটা প্লেটে প্রিয়তার নাশতা নিয়ে এসেছে।ঝাউ ভাত আর মুরগী। 
প্রিয়তার কাছে বসে এদিকে আয় মা সকাল থেকে তো কিছু খাসনি।আমি তোর জন্য ঝাউ ভাত আর মুরগী ভুনা করেছি।আয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

-না আমি এগুলো খাবো না।সকাল বেলা এগুলো কেউ খায়?
 -খায় না ঠিক,কিন্তু তুই তো অসুস্থ। তোকে তো এগুলো খেতেই হবে।

-আমি এইগুলা খাবো না।

জুহি কলেজের এডমিশনের ব্যাপারে রিয়ার সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে ড্রইংরুমে এসে দেখে মা প্রিয়তাকে নিয়ে জোরাজোরি করছে খাওয়ার জন্য।রিসাদ চিন্তিত হয়ে বসে আছে গালে হাত দিয়ে।

-মা তুমি জোর করছো কেনো বলো তো?ভাবী যেটা খেতে চাইছে না সেটা নিয়ে জোর করছো কেনো?

-কি করবো বল।ও সকাল থেকে না খেয়েই আছে।

ভাবী কী খাবে সেটা জিজ্ঞেস করো।রিয়া তোর সাথে পরে কথা বলছি।জুহি এসে, ভাবী তুমি আমায় বলো কি খাবে?
প্রিয়তা হাসিমুখে বললো,আমি পরটা দিয়ে সবজি আর চা খাবো।
- ওকে,শেফালী আপা! ভাবীর জন্য পরটা বানাও।
প্রিয়তা উঠে দাঁড়িয়ে, না না শেফালী বানালে আমি খাবো না।আমি ওর হাতের বানানো পরটা খাবো।
কথাটা শুনেই রিসাদ নিজের দিকে তাক করা প্রিয়তার আঙ্গুল দেখে,অবাক হয়ে, আমি!
- হ্যাঁ তুমি।
-কিন্তু আমি তো পরটা বানাতে পারি না। 
-না না আমি মানবো না।এই বাড়িতে তোমার মতো কেউ আমায় ভালোবাসে না।তুমিই আমায় পরটা বানিয়ে দিবে।
-রিসাদ অসহায় গলায় বললো, আচ্ছা ঠিক আছে। 
রিসাদ আস্তে আস্তে বিরক্তিকর মুখ নিয়ে রান্নাঘরে গেলো।
শেফালী রিসাদকে দেখে,এইযে আটা, লবণ, পানি,তৈল  সব কিছু সামনে দিয়ে, আপনি ঝটপট বানিয়ে ফেলুন।

রিসাদ রাগে গজগজ করছে।কীভাবে পরটা বানাবে সেটাই বুজতে পারছি না।
-শেফালী, তুমি কোথায় যাচ্ছো?
-স্যার নিবিড় ভাইজান বইলা গেছে আজ খাবার বাহিরে থেকে পাঠাইবো। আমাকে বাহিরে কাজ করতে বলছে।
-প্লিজ শেফালী, আমাকে একটু হেল্প তো করে যাও।
-স্যার আপনিই তো কইলেন আমি আপনার পাশ দিয়া যেনো না হাঁটি।আমাগো মতো গরিব আপনি পছন্দ করেন না।কথাটা বলেই শেফালী জুরির রুমে গেলো পরিষ্কার করার জন্য।
রিসাদ বিরক্তিকর  দীর্ঘশ্বাস ফেলে পকেট থেকে ফোন 
বের করে নিয়ে ইউটিউবে দেখে দেখে পরটা বানিয়ে নিলো।চা বানালো।ডিম অমলেট করে প্রিয়তার সামনে নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে, এই নাও! 
রিসাদ আসতেই জুহি হা হা হা করে হাসতেই রিসাদের মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
সালমা বেগমও মুখে হাত দিয়ে মিটমিট করে হাসছে।
-জুহি তুমি হাসছো কেনো? আমার অবস্থা দেখে তোমার হাসি আসছে?
-না ভাইয়া তা না।আপনার মুখে শার্টে আটা লেগে আছে।
-সমস্যা নেই।প্রিয়তা তুমি খেয়ে বলো তো কেমন হয়েছে?

প্রিয়তা মুখে হাসি ফুটিয়ে, অনেক সুন্দর গন্ধ বেরিয়ে এসেছে।জুহি রিসাদের হাত থেকে ট্রে নিয়ে প্রিয়তার সামনে দিলো।
প্রিয়তা ডিম দেখে,মুখটা গম্ভীর করে,আমি তো ডিম খাবো না।চেঁচিয়ে উঠে  রিসাদের দিকে ডিম ছুড়ে মেরে,তুমি ডিম নিয়ে এলে কেনো? আমি ডিম খাই? 
নাদিয়া সদর দরজা দিয়ে ঢুকে প্রিয়তার চেঁচামেচি শুনে দৌড়ে এসে,রিসাদ তুমি এখনো অফিসে যাওনি?
রিসাদ করুন গলায় বললো, কী করে যাবো? ও তো আমাকে যেতেই দিচ্ছে না।সকাল থেকে নানা রকম বায়না করে আমায় আটকিয়ে রেখেছে।
নাদিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে, প্রিয়তা তুমি এসব কেনো করছো? তুমি কী বাচ্চা হয়ে গেলে? তুমি এতো বুজের একটা মেয়ে তুমিই যদি অবুঝের মতো বিহেভ করো তাহলে কেমন দেখায় বলো?

-এই ডাইনি আমি তোমাকে বলেছি? তুমি চুপ করে থাকো।ও কাল আমায় বলেছে ও আমায় ভালোবাসে। 
তাহলে ও আমার জন্য রান্না করছে তোমার লাগছে কেনো?
কথাটা বলতেই নাদিয়া রিসাদের দিকে তাকিয়ে, রিসাদ প্রিয়তা এসব কী বলছে?
-নাদু তুমি ওর কথা বিশ্বাস করছো? যার দুনিয়ায় কোনো জ্ঞান নেই।
-রিসাদ ওর জ্ঞান নেই দেখেই তো বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম।আগে ওর জ্ঞান ছিলো বলেই ওকে আমি ভুল বুজেছি।এখন তুমিই বলো, এই বাড়িতে ও নিবিড়কেও আপন ভাবে না যতটা তোমায় ভাবে।
রিসাদ ধামকিয়ে,নাদু প্লিজ! তুমি আমায় সন্দেহ করো? ওকে ঠিক আছে।আমি আজ থেকে ওর সাথে আর কথাই বলবো না।এইবার শান্তি? 
নাদিয়া কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেলো 
পিছন পিছন রিসাদও,নাদু প্লিজ আমার কথা শুনো, নাদু, এই নাদু"

রুমে যেতেই নাদিয়ার পিছন থেকে জড়িয়ে, নাদু আমি তো আমার বউটাকেই ভালোবাসি তাই না? আমার প্রতি তোমার এতো অবিশ্বাস জন্মানোর কারণ কী একটু বলো তো?

নাদু কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, রিসাদ আমার মনে হয় আমাদের সম্পর্কটা আগের মতো নেই।কোথাও যেনো খাঁদ রয়েই গেছে।আমাদের মাঝে কোনো পরিপূর্ণতা নেই।এই বাড়িতে আসার পর থেকে তুমিও কেমন যেনো দূরে সরে থাকো।কিন্তু তুমি তো এমন মোটেও ছিলে না।
-বুজেছি, তোমার অনেক রাগ জমে গেছে তাই তো?ঠিক আছে কয়েকদিনের জন্য অফিস ছুটি নিয়ে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।
-লাগবে না।আমি এমনিই ভালো আছি।কথাটা বলেই
নাদু মুচকি হেসে,তখনকার জন্য স্যরি। আসলে আমার কি যে হয়েছিলো আমি নিজেই বুজতে পারিনি।
নিচে যাও প্রিয়তা তোমায় না দেখলে অভিমান করবে।
আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

দুপুরে খাওয়ার আগেই নিবিড় বাড়ি এসে শেফালীকে ডেকে বললো সবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে এসেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ড্রাইভার নিয়ে আসবে। কথটা শেষ করে উপরে নিজের 
রুমে এসে দেখে প্রিয়তা তার একটা ছবি নিয়ে বসে কাঁদছে আর বলছে,আমি জানি আপনি অনেক কষ্ট পাচ্ছেন আমার জন্য।কিন্তু কি করবো বলুন সেদিন আমি আপনার আর ডাক্তার শারমিনের সব কথাই শুনেছি।শুনেছি আমার বেবিটা নাকি মিস ক্যারেজ হয়ে গেছে।হবে নাই বা কেনো? সেদিন রিসাদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমি আপনার বেবিটাকেই বাঁচাতে পারলাম না।জানি না আপনি আমায় ক্ষমা করবেন কিনা।কিন্তু আমি!  আমি কখনোই রিসাদকে ক্ষমা করতে পারবো না।আপনি হয়তো আপনার বোনের দিকে তাকিয়ে ওকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।কিন্তু আমি পারবো না।বাবা আমায় শিখিয়েছে যে অন্যায় করে এবং যে সয়ে দুজনে সমান অপরাধী। জীবনে অন্যায় সয়ে অনেক অপরাধ খাতায় জমা পড়ে গেছে।এখন আমি মা।আর মা হয়ে সন্তানের উপর অত্যাচার কীভাবে সহ্য করবো।এর জন্য যদি আপনার জীবন থেকে আমায় চলে যেতে হয় আমি যাবো।
কথাগুলো বলে প্রিয়তা চোখের পানি মুছে আবার বলতে লাগলো,প্রতিনিয়ত আমি আমার বাচ্চাটাকে মিস করি।মিস করি মাতৃত্বের স্বাদ।আপনার ভালোবাসাটা আমি মিস করি।জানি না রিসাদকে শাস্তি দিতে গিয়ে আমার আর আপনার এক সাথে থাকা হবে কি না।তবে বিশ্বাস করুন আমি শুধু আপনার হয়ে থাকতে চাই। আপনার বুড়ী হয়ে সারাজীবন কাটাতে চাই আপনার বুকে মাথা রেখে।
কাল রাতে আপনার সাথে পাগলামো করেছিলাম আদর খাবো বলে।সত্যিই আমার খুব খুব ইচ্ছে করছিলো আপনার আদর অনুভব করতে।আপনার মাঝে হারাতে।হয়তো এই পাগলামোগুলোতে আপনার অনেক কষ্ট হয়।কিন্তু মিস্টার নিবিড় আমার কিচ্ছু করার নেই।ছোটো বেলা থেকে অনেক হারিয়েছি। কি পেয়েছি কি হারিয়েছি হিসাবের খাতাটা কখনো খুলে দেখনি।তবে রিসাদের জন্য যা হারিয়েছি তা হয়তো কখনো আমি ফিরত পাবো না তবে তাকে ক্ষমাও করবো না।এতো যদি আপনার ফ্যামিলি আমাকে ছাড়তে হয় আমি ছাড়বো।
কথাটা শেষ করতেই নিবিড় দরজায় দাঁড়িয়ে জোরে জোরে চার পাঁচ বার হাতে তালিয়ে বাজিয়ে পকেটে হাত গুজে রাগন্বিত চোখে তাকিয়ে আছে। 
প্রিয়তা তালির শব্দ পেয়েই চমকে পিছনে ফিরে দাঁড়িয়ে নিবিড়কে দেখে ঢোক গিলে ভয়ে ভয়ে নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন