পরাণ প্রিয়া - পর্ব ৩১ - রাবেয়া সুলতানা - ধারাবাহিক গল্প


___নিবিড় ফুলের দোকানে এসে গাড়ি থামিয়ে একগুচ্ছ  রজনীগন্ধা আর বেলীফুলের মালা নিলো।
প্রিয়তাকে সারপ্রাইজ দিয়ে আজ বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাবো।কতদিন প্রিয়তাকে বাহিরে নিয়ে আসা হয় না।মেয়েটা মুখ ফুটে কখনো কিছু চায় না।একটা শাড়ি নিলেও ভালো হয়।অনেক দিন প্রিয়তাকে লাল শাড়িতে দেখা হয় না।আজ আমার বুড়ীকে লাল শাড়িতে আমি নিজের হাতে সাজিয়ে দিবো।বেলীফুলের মালা খোপায় পরিয়ে আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবো।
বিয়ের পর থেকে প্রিয়তার সাথে এই প্রথম একা একা সময়।আল্লাহ ভালোই করেছে মিটিংটা ক্যান্সেল করে।

কলিং বেলের শব্দ শুনে শেফালী এসে দরজা খুলেই অবাক হয়ে,ভাইজান আপনি? বাসায় তো কেহো নাই।
-সমস্যা নেই।তুমি আমার জন্য এক কাপ কফি বানাও আমি উপর থেকে আসছি।
-আপনি উপরে যাইবেন ক্যান? উপরে ভাবী আছে আপনার এহন যাওন যাইবো না।
-তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে এই কথা বলার? আমি আমার রুমে যাবো তাও কাজের লোকের অনুমতি নিয়ে? 
কথাটা বলেই রিসাদ শেফালীর পাশ কেটে বাড়ির ভিতরে ঢুকে উপরে উঠে যাচ্ছে।প্রিয়তা রুম থেকে বেরিয়ে এসে,শেফালী আপা কলিং বেল বাজলো শুনলাম কে এসেছে?
প্রিয়তা কথাটা বলেই রিসাদকে উপরে উঠে আসতে দেখে থমকে যায়।
কিছুটা সময় তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থেকে, তুমি বাড়িতে? আপুর সাথে যাওনি?
-না! তোমাকে একা রেখে যেতে মোটেও ইচ্ছে করলো না।তাই অফিস থেকে এখানেই আসলাম।
-কিন্তু তোমার তো এখানে আসার কথা নয়।আর আমি রান্নাও করিনি। এরচেয়ে ভালো তুমি এখান থেকে যাও।ওই বাড়িতে গিয়ে আপুকে সময় দাও।

শেফালী নিচে দাঁড়িয়ে উপরে তাকিয়ে দেখছে।শেফালীর ইচ্ছে করছে কাঠ দিয়ে মাথটা পাটিয়ে দিতে।কতবড় সাহস নিবিড় ভাইজানের বউয়ের লগে অসভ্যতামী।
শেফালীর দিকে নজর পড়তেই রিসাদ তাকিয়ে, তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো? বললাম না কফি বানাতে?
প্রিয়তা শেফালীর দিকে তাকিয়ে, শেফালী আপা, কফিটা বানিয়ে দিয়ে ওকে বিদায় করো।কথাটা বলেই প্রিয়তা নিজের রুমে যেতেই রিসাদ হাত ধরে ফেলে পিছন থেকে।
প্রিয়তা থমকে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে রিসাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
-আমার কথা এখনো শেষ হয়নি প্রিয়তা।
-ঠিক আছে কী বলবে বলো?
-তুমি কি সত্যিই প্রেগন্যান্ট। নাকি আমাকে শুনানোর জন্য এসব কথা বলছো?
-রিসাদ তোমার মতো এতো নিচ মন মানুষিকতা নিয়ে আমি থাকি না।কোনো মেয়ে তার মাতৃত্ব নিয়ে মিথ্যা বলে? যারা বয়ফ্রেন্ডের সাথে অবৈধ ভাবে রাতের পর রাত কাটিয়ে যখন প্রেগন্যান্ট হয় তখন কিন্তু সে যতই খারাপ মেয়ে হোক না কেনো মাতৃত্বের কথাটা ঠিকি সবার সামনে প্রকাশ করে।আর আমার সন্তান তো কোনো অবৈধ নয়। তাহলে লুকানোর তো কোনো মানেই আসে না রিসাদ।
-প্রিয়তা তুমি কেনো বুজতে চাইছো না আমাকে?আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি প্রেগন্যান্ট আমি কিছুতেই মানতে পারছি না।তুমি জানো নিবিড়কে বোকা বানিয়ে আমি কনস্ট্রাকশনের কাজের কথা বলে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নিয়েছি।আর সে টাকা দিয়ে আমি প্লাট কিনেছি।অবশ্য নাদুর থেকেও টাকা নিয়েছি অনেক।
কথাটা শুনেই প্রিয়তা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে,তুমি এইভাবে তাদের ঠকাচ্ছো? তুমি একদিন দেখবে এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে আর সেটা নিবিড় নিজে তোমাকে দিবে।
রিসাদ অট্র হাসি দিয়ে, তুমি ভুল বলছো। নিবিড় কিছু করার আগেই আমি এখান থেকে চলে যাবো তোমাকে নিয়ে।
প্রিয়তাও তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে, রিসাদ তুমি যার দিকে হাত বাড়াতে চাইছো সে নিবিড়ের জান।তুমি কী ভাবছো নিবিড়,,,,,, 
প্রিয়তা কথাটা এখানেই বন্ধ করে মনে মনে ভাবছে সত্যিটা বলা যাবে না।নিবিড় সব জানে এইটা জানলে ও নিজেকে গুটিয়ে নিবে।তাহলে নিবিড়ের সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে। 
রিসাদ মুখ প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে, চুপ করে আছো কেনো? নিবিড়ের কি?
প্রিয়তা চুপ করে আছে,দেখে রিসাদ একটু এগিয়ে এসে,প্রিয়তা প্লিজ তুমি আমার সাথে চলো।তোমার পেটে যে বাচ্চা আছে আমি সেটাও মেনে নিবো।তোমার যা হয়ে যাক আমার তাতে কিছু যায় আসে না।তবুও আমি তোমাকে আমার করে পেতে চাই।
কথাগুলো বলতে বলতে রিসাদ এগিয়ে আসছে আর প্রিয়তা পিছনে যাচ্ছে।
প্রিয়তা তুমি কাছে এসো প্লিজ।তুমি দূরে যাচ্ছো কেনো?
-রিসাদ তুমি আমার কাছে এগিয়ে আসবে না।আমি কিন্তু চিৎকার করবো।
-প্রিয়তা তুমি কি পাগল,তুমি চিৎকার দিলে কেউ এগিয়ে আসবে না।আর শেফালী! তার সাহস এখনো হয়নি আমার সামনে দাঁড়িয়ে তোমাকে ছিনিয়ে নেওয়ার।
নিবিড় সদর দরজা খোলা দেখে কপাল ভাঁজ করে,দরজা খোলা কেনো? গার্ডগুলো তো এই সময় বাড়ির ভিতরে যাবে না।তাহলে বাড়িতে কে আসছে? 
নিবিড় হাতের শপিং ব্যাগ আর ফুলগুলো নিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকেই একটু এগিয়ে যেতেই উপরে দিকে চোখ পড়লো।
রিসাদ প্লিজ তুমি সরে যাও,,,,,,,

নিবিড় হতভম্বের মতো তাকিয়েই আছে নির্বিকার হয়ে, 
রিসাদ হা করে তাকিয়ে আছে প্রিয়তার সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যাওয়ার দিকে। প্রিয়তার হাত টেনে ধরার আগেই প্রিয়তা স্লিপ খেয়ে পড়ে যায়।

প্রিয়তা গড়িয়ে একদম নিচে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।নিবিড় নিজের হাতের সব কিছু ছেড়ে দিয়ে স্থির হয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে প্রিয়তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ধপাস করে বসে পড়ে।
প্রিয়তার মাথা কোলে তুলে নিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে কতক্ষণ জড়িয়ে ধরে গালে হাত দিয়ে, প্রিয়তা!  প্রিয়তা তুমি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো না? 
প্রিয়তা! প্লিজ তুমি কথা বলো।দেখো আমি এসেছি।তোমার নিবিড় তোমার কাছে চলে এসেছে।
প্রিয়তা নিথর হয়ে পড়ে আছে।কপাল ছুয়ে রক্ত বেরিয়ে নিবিড়ের শার্ট ভিজে যাচ্ছে।
শেফালী দৌড়ে এসে,ছোটো ভাইজান!  ভাবীর কী হয়েছে?
রিসাদও দৌড়ে এসে,  ও পড়ে গেলো কী করে? আমি তো খেয়াল করেনি।

নিবিড় কারো কোনো উওর না দিয়ে মাহিদকে ফোন দিলো  এম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য।

হসপিটালের করিডোরে অপেক্ষা করছে, নিবিড়,মাহিদ মোশারফ হোসেন, সালমা বেগম আর দাদী।
ডাক্তার অপারেশন রুম থেকে বেরিয়ে এসেছে আধাঘন্টা পর।মোশারফ হোসেন এগিয়ে এসে, ডাক্তার প্রিয়তার কী অবস্থা? 
-স্যরি চাচা,মেডিকেল সাইন্স এর কাছে এখন আর কিছুই নেই।উপর ওয়ালাকে ডাকুন। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি এখনো জ্ঞান ফিরেনি।

নিবিড় এগিয়ে এসে, জ্ঞান ফিরেনি মানে?ডাক্তার ও আমার ওয়াইফ! বুজেছেন আপনি? ও আমার স্ত্রী! কত টাকা লাগবে আপনার? আমি দিবো, আপনি আমাকে চিনেন? আমি নিবিড় ইসলাম! আর আমার ওয়াইফ এইভাবে এখানে পড়ে থাকবে? আপনি বলুন কত টাকা চাই আপনার?
কথাগুলো চিৎকার দিয়ে ডাক্তারকে ঝাঁকিয়ে বলছে নিবিড়। ডাক্তার শান্ত গলায় নিবিড়েকে বললো,দেখুন নিবিড় সাহেব! আমি জানি আপনার অনেক টাকা,কিন্তু সব তো টাকা দিয়ে হয় না।মেডিকেল সাইন্সের অনেক কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে যা ডাক্তারেরা কিছু করতে পারে না এক আল্লাহ ছাড়া।
মাহিদ আর জুহি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে।
-স্যার প্লিজ আপনি শান্ত হন।ডাক্তারদের উপর সব ছেড়ে দিন আর আল্লাহকে ডাকুন।আল্লাহ নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা করে দিবে।
জুহি নিবিড়কে জড়িয়ে, ভাইয়া উনি ঠিক বলছেন।আল্লাহকে ডাকো। ভাবী ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে।
নিবিড় নিস্তব্ধ স্থির হয়ে পিছাতে পিছাতে চেয়ারে গিয়ে ধপাস করে বসে পড়লো।
মোশারফ হোসেন পাশে বসে কাঁধে আলতো করে হাত রাখতেই,ধীরে ধীরে শান্ত গলায় বললো, বাবা আমার এতো টাকা এতো প্রোপার্টি এসবের তো কোনো মূল্য নেই।সারাজীবন টাকার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কখনো এই কথা তো ভাবিনি অনেক সময় টাকার কোনোই মূল্য থাকে না।
বাবা আজ আমার সব মূল্যহীন। 
মোশারফ হোসেন ভারী গলায় বললো, বাবা তুই এইভাবে ভেঙ্গে পড়ছিস কেনো? প্রিয়তা ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে।কিন্তু আমি বুজতে পারছি না প্রিয়তার এই অবস্থা কীভাবে হলো? শেফালী যদি ফোন করে না বলতো তাহলে তো আমরা জানতেই পারতাম না।
দাদী এসে পাশে বসে,নিবিড়! আমারে তুমি একখান কথা কও দেখি প্রিয়তার এই অবস্থা হইলো কেমনে? 
শুনলাম তুমি নাকি খুলনায় গেছিলা? তাহলে বাড়ি আসলা কি কইরা?

নিবিড় কিছুই বললো না।চুপ করে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো। ডাক্তাররা প্রিয়তাকে অপারেশন রুম থেকে বের করে ইমার্জেন্সি স্পেশাল কেবিনে দেওয়া দিয়েছে।
নিবিড় সেইদিকেই করুন চোখে তাকিয়ে আছে।
ডাক্তার এসে নিবিড়ের কাঁধে হাত দিয়ে, স্যরি মিস্টার নিবিড় আপনার বাচ্চাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলাম না।
নিবিড় নিরব হয়েই দাঁড়িয়ে আছে।
রিসাদ আর নাদিয়া দৌড়ে এসে নিবিড়ের সামনে দাঁড়িয়ে, ভাই প্রিয়তার এখন কী অবস্থা?  ডাক্তার কী বলেছে?

নিবিড় কিছুই বললো না।পাশ কেটে নাদিয়ার পাশ থেকে সরে গিয়ে প্রিয়তার কেবিনে গেলো।
নিবিড় টলমলে রক্তাক্ত লাল চোখে তাকিয়ে আছে প্রিয়তার দিকে।
পাশে এসে চেয়ার টেনে বসে, কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবেগী গলায় বললো,বুড়ী, এই বুড়ী!  দেখো আমি খুলনায় যাইনি।তোমার কাছে আবার ফিরে এসেছি।বুড়ী জানো আজ আমি তোমার জন্য লাল বেনারসি এনেছি,রজনীগন্ধা আর তোমার পছন্দের বেলীফুলের মালা এনেছি।আজ আমি তোমায় নিজের হাতে সাজাবো।এই বুড়ী উঠো না।এতো ঘুমাচ্ছো কেনো তুমি?বুড়ী জানো আজ আমি শুধু তোমাকে সময় দিবো।তোমার জন্য একটা দিন লিখে দিবো।এই বুড়ী উঠো না! 
তুমি না উঠলে আমি কার সাথে কথা বলবো? তোমার মতো করে কেউ তো আমায় বুজে না! তোমার মতো করে কেউ আমার রাগ সহ্য করে না।বুড়ী তুমি ঘুমিয়ে থাকলে আমি কার সাথে কথা বলে নিজেকে হালকা করবো? বুড়ী এইবার কিন্তু আমি সত্যি সত্যি রেগে যাবো।তোমার সাথে কথা বলে যে শান্তিটা আমি পাই সে শান্তি আমি আর কোথাও পাই না বুড়ী। 
তোমাকে আমি আর কখনো বকবো না।আর কখনো রাগ দেখাবো না।তবুও উঠো।প্লিজ একবার তাকাও আমার দিকে?
নিবিড় ঢোক গিলে কিছুক্ষণ প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে থেকে,আবার মজা করছো তুমি আমার সাথে? কেনো করছো এমন? 
নিবিড় এবার ধামকিয়ে,এই মেয়ে তুমি পেয়েছোটা কী আমাকে? তুমি প্রতিদিন নতুন নতুন ড্রামা করবা আমি সেসব সহ্য করবো? তোমাকে তো আমি বলেইছি আমি আর তোমাকে রাগ দেখাবো না।মাপ চাইতে হবে তোমার কাছে? পা ধরে? বলো তুমি?  কী করলে তুমি উঠবে? 
নিবিড় আবার চুপ হয়ে গেলো।প্রিয়তার একটা হাত টেনে নিজের গালে সাথে ধরে চোখের পানি ছেড়ে,তুমি বলেছিলে না আমি তোমার জন্য কখনো কাঁদবো কী না? আজ দেখো আমি কাঁদছি তবে ইচ্ছে করে নয় বুড়ী। চোখ দুটো আজ যে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই।আমি তো সব নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দ করি।কিন্তু আজ হচ্ছে না।জানো প্রিয়তা তোমার এই ঘুমের কাছে আমার সব সম্পদ মূল্যহীন।কিচ্ছুর দাম নেই।প্রিয়তা তুমি আজ আমায় যা ইচ্ছে বলে ডাকতে পারো।আমি একটুও রাগ করবো না।তবে যার জন্য তোমার এই অবস্থা তাকে আমি কী অবস্থা করি তা কোনো জানোয়ার দেখলেও আঁতকে উঠবে।ও ভেবেছে তোমাকে আমার জীবন থেকে সরিয়ে ও খুব ভালো থাকবে।কিন্তু ও জানে না নিবিড় কতটা ভয়ংকর এবং ভয়াবহ। 

ডাক্তার এসে নিবিড়ের পাশে দাঁড়িয়ে, মিস্টার নিবিড় আপনি বাহিরে যান।রোগীর পাশে এভাবে বসে থাকাটা ঠিক না।
নিবিড় উঠে চোখ মুছে, ডাক্তার ওর কতোদিন পর জ্ঞান ফিরবে?
-সেটা তো জানি না।তবে আজও ফিরতে পারে,ছয় মাসও লাগতে পারে, আবার এক বছরও। 
- ওকে। আপনি এককাজ করুন,ওকে বাড়ি নেওয়ার ব্যবস্থা করুণ।সাথে দুজন সিস্টার দিয়ে দিন।আর আমি ওর সেবা করবো।আজ থেকে এটাই আমার দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ওকে সুস্থ করার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন