__পশ্চিম আকাশে হেলে যাওয়া সূর্যের দিকে আনমনে হয়ে তাকিয়ে আছে প্রিয়তা।ছোটো থেকেই নিজের জীবনের কষ্ট গুলো ভাবতেই চোখের কোণে বিন্দু বিন্দু অশ্রু ঝমে গেছে।এতোকিছুর পরেও মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।কিন্তু মোশারফ হোসেনের অবাধ্য হওয়াটা উচিত হবে না। যে লোকটা নিজের মান সম্মান ভুলে আমার কথা ভেবেছে তাকে কী করে ছোটো করবো।
কথা না বললে হয়তো আমি মরে যাবো না।কিন্তু ওনাকে ছোটো করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
কথাটা ভেবেই দীর্ঘ শ্বাস ফেলতেই,কানের মধ্যে ভেসে আসছে,প্রিয়তা,প্রিয়তা তুমি কোথায়?
একটু আমার রুমে আসো তো।
-এইটা তো ওনার মায়ের গলা।ওনি আমাকে ডাকছেন? আমি আসার পর থেকে তেমন একটা কথা বলেননি।
প্রিয়তা ছাদ থেকে দৌড়ে নিচে নেমে এসে, আপনি আমায় ডেকেছেন?
সালমা বেগম আলমারি থেকে একটা লাল রঙের বাক্স বাহির করতে করতে,দরজায় দাঁড়িয়ে আছো কেনো?
আর মা বলতে কী লজ্জা লাগে? লাগলে বলার দরকার নেই।অবশ্য শিক্ষিকা মানুষ তাদের তো ব্যাপার স্যাপার আলাদা।আসো রুমে আসো।
সালমা বেগমের চ্যাটাং চ্যাটাং কথা গুলোর মাঝে প্রিয়তা মমতা, ভালোবাসার পরশ খুঁজে পাচ্ছে।
কথার গন্ধটা যে আজ অন্যরকম। এতো দিন সে বকাঝকা শুনে এসেছে কিন্তু সে বকার মাঝে তৃপ্তি খুঁজে পায়নি।কিন্তু আজ সে তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছে সালমা বেগমের কথায়।
প্রিয়তা এগিয়ে আসতেই বাক্স থেকে কতগুলো গহনার মাঝ থেকে এক জোড়া ছুড়ি বের করে,হাত দুটো এইদিকে দাও।
সালমা বেগমের কথা শুনে প্রিয়তা বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে আছে।
সালমা বেগম নিজেই হাত টেনে নিয়ে,শরীরে তো চিমটি কেটেও মাংস নেওয়া যাবেনা।বাপের বাড়িতে কী খাওয়া দাওয়া করো নাই নাকি?
কথাটা শুনে প্রিয়তার মনের অজান্তেই মুচকি হেসে,এখন নতুন মায়ের কাছে এসেছি ঠিক হয়ে যাবে।
কথাটা সালমা বেগমের যেনো কলিজায় ছেঁদ করে গেলো।
চুড়িগুলো পরিয়ে দিয়ে,প্রিয়তাকে বুকে টেনে নিয়ে,একবার মা বলে ডাকবি? অনেক দিন হয়েছে বড় মেয়েটার মা ডাক শুনি না।তোকে দিয়ে সে খালি জায়গাটা পূরণ করতে চাই।
-বড় মেয়ে?
-না কিছু না।
-তুই আমাকে মা বলে ডেকেছিস সারাজীবন যেনো মা ডাকটাই শুনতে পারি।আমার বাড়ির ফাঁকা জায়গাটা যেনো আবার পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
সালমা বেগম চোখ মুছে, এই চুড়ি গুলো আমার মা আমাকে দিয়ে বলেছিলো নিবিড়ের বউকে দিতে।কিন্তু আজ ওনি বেঁচে নেই।তাই আমিই দিলাম।গহনার বাক্সটা প্রিয়তার হাতে দিয়ে,এইগুলোর দায়িত্ব আজ থেকে তোর।আমি যখন এইবাড়িতে এসেছিলাম তখন আমার শ্বাশুড়ি আমাকে কিন্তু এইভাবে আমার মতো ছেলের বউয়ের হাতে তুলে দেয়নি।সবকিছুকে নিজের করে আঁকড়ে ধরে থাকতে চেয়েছিলেন।কিন্তু আমার বিয়ের দশ বছর পর ওনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে গেলেন না ফেরার দেশে।তোর শ্বশুর তো তখন ডুবাইতে থাকতো।বাড়ি আসলেই কয়েকদিন থেকে আবার চলে যেতো।যে কয়েকটি দিন তোর শ্বশুর বাড়িতে থাকতো আমার শ্বাশুড়িও ততদিন আমায় অনেক আদর করতো।নিজের হাতে খাইয়ে দিতো।পরে যখন চলে যেতো সব শোধ এক সাথেই তুলে নিতো।
কথাগুলো বলতেই সালমা বেগম খিলখিল করে হাসতে লাগলেন।আর প্রিয়তা সেই হাসিতে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে নিজের ভেতরে ঘায়েল করে নিচ্ছে।এই হাসিতে পবিত্রার ছোঁয়া আছে। এই হাসিতে নেই কোনো হিংসা, অভিমান, দ্বিধা। আছে যেনো একগুচ্ছ রজনীগন্ধার মতো সাদা ধবধবে ভালোবাসা।
সালমা বেগম হাসি থামিয়ে আবার বললো,শুন তুই যখন হঠাৎ করে আমাদের মাঝে এসেই গেছিস তাহলে আজ থেকে আমরা একসাথে পাড়ি দিবো বলে সেই ভাবনাটাকে মনে গুজে নিবো।
তুই আমার কাছে মন খুলে সব শেয়ার করবি।কখনো এইকথা ভেবে নিয়ে বসে থাকিস না আমি তোর পর।
জানিস আমার শ্বাশুড়ি যখন আমায় কথায় কথায় বকাবকি করতো মাঝে মাঝে গালি দিতো বাপ মা তুলে, তখন আমি ভাবতাম আমার নিবিড়ের বউ এলে তাকে মাথায় করে রাখবো।তাঁর সাথে বন্ধুর মতো মিশবো।কখনো বুজতে দিবো না আমি তাঁর শ্বাশুড়ি। যখন সে কষ্ট পাবে মা হিসেবে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে নিজেকে শান্তনা না দিবে,আর যখন আনন্দে থাকবে তখন বন্ধুর মতো সব শেয়ার করবে।
সালমা বেগমের কথাগুলো শুনে প্রিয়তা নিজেকে সামলাতে পারেনি।সালমা বেগমকে ঝাপটে ধরে হাউমাউ করে কাঁদে দিলো।
সালমা বেগম প্রিয়তাকে জড়িয়ে ধরে, আমি জানি তোর মনে অনেক কষ্ট লুকিয়ে আছে।সেদিন তোর বিয়েতেই যা দেখলাম তারপর আর বুজার বাকী নেই।
প্রিয়তা নিজেকে সামলিয়ে,গহনার বাক্সটা সালমা বেগমের হাতে দিয়ে, আমার এইসব কিচ্ছু লাগবে না মা।তুমি শুধু আমাকে একটু ভালোবাসা দিও।
কথাটা বলেই প্রিয়তা নিজের রুমে দৌড়ে চলে গেলো।সালমা বেগম সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। জুহি প্রিয়তাকে দৌড়ে যেতে দেখে সালমা বেগমের রুমে এসে,মা তুমি ভাবীকে কী বলেছো? ভাবী এইভাবে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো কেনো?
সালমা বেগম হাতের বাক্সটা আলমারিতে রেখে,তুই ওইটা বুজবি না।আমাদের মা মেয়ের ব্যাপারে একদম নাক গলাতে আসিস না।
জুহি কথাটা শুনে একটু অবাক হয়ে সালমা বেগমকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে, মা আমি কী সত্যি শুনছি?
তুমি ভাবীকে মেনে নিয়েছো?
-আমি আবার কখন বললাম আমি ওকে মেনে নিই নাই?তোরাও বাপ বেটি যা শুরু করেছিস!
সন্ধ্যার পরেই নিবিড় বাড়িতে এসেছে, হাতে অনেকগুলো শপিং ব্যাগ।
মোশারফ হোসেন ড্রইংরুমে বসে নিবিড়কে দেখে চমকে উঠলেন।
নিবিড় বাসায় ঢুকেই কাউকে কিছু না বলে নিজের রুমেই চলে গেলো।
মোশারফ হোসেন মুচকি হেসে, তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে, সালমা, তোমার ছেলে তো ঘরে ফিরে এসেছে।
সালমা বেগম ভ্রু কুঁচকে,ঘরে ফিরে এসেছে মানে? আমার নিবিড় রাত এগারোটা ছাড়া ঘরে আসেনা।
-কিন্তু আজ এসেছে।
-সত্যি! কিন্তু আমায় তো একবারও ডাকলো না।
তবে ভালো হয়েছে,প্রিয়তা রুমে একা একা বসে আছে।জানো মেয়েটা অনেক লক্ষ্মী। আসলে তুমি যা করো আমাদের ভালোর জন্যই করো।
-এইবার তাহলে বুজেছেন? যাক তবু্ও যে এতো বছর পর বুজলে এটাই অনেক।
প্রিয়তা রুমের লাইট বন্ধ করে শুয়ে আছে।সালমা বেগম বলেছেন নিবিড় অনেক রাত করেই বাড়ি ফিরে।তাই নিচিন্তা মনে প্রিয়তা শুয়ে আছে।
কিন্তু কখন যে চোখটা লেগে গেলো বুজতেই পারলো না।
নিবিড় রুমে ঢুকে ভুলেই গিয়েছিলো প্রিয়তা তাঁর রুমে আছে।লাইটটা জ্বালিয়ে পিছনে ফিরে তাকাতেই প্রিয়তার দিকে চোখ পড়লো।প্রিয়তাকে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখে যেনো নিবিড়ের মনে উতালপাতাল শুরু হয়ে গেছে।নেশা নেশা চোখে তাকিয়ে আছে পলকহীন চোখে।হাতের ব্যাগ গুলো হাত থেকে ছেড়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে প্রিয়তার দিকে।পরার পাতলা শাড়ির ফাঁকে বুজা যাচ্ছে প্রিয়তার শরীরের অংশগুলো।পরীর মতো মায়াবী কোনো মেয়েকে নিবিড় এতোটা কাছ থেকে কখনো দেখেনি।
এই প্রথম সে প্রিয়তাকে এতোটা কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছে।নিবিড় ঘোরের মাঝে যে কখন প্রিয়তার কাছাকাছি চলে গেলো খায়ালই করেনি।
নিবিড় ধীরে ধীরে প্রিয়তার সামনে আসা চুলগুলো সরিয়ে গাড়ের ভেতর দিয়ে হাত দিয়ে প্রিয়তার মুখের উপর নিজের মুখটা এনে থমকে গেছে।প্রিয়তার নিশ্বাসে যেনো তাঁর পুরো শরীর শিহরিত হয়ে উঠছে।নিবিড়ের নিশ্বাসের শব্দটা ঘন জারালো হয়ে উঠেছে।
প্রিয়তা নিবিড়ের নিশ্বাসের গরম উষ্ণতা অনুভব করতে পেরে চোখ খুলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না।নিবিড় তার বুকের উপরে!
প্রিয়তা তাঁর শরীর নাড়াতে পারছে না।কোনো শক্তিই যেনো শরীরে নেই।
ফ্যাসফ্যাসে গলায় বললো,আপনি?
প্রিয়তার কথা শুনে নিবিড়ের ঘোর কাটতেই,তড়িৎ গতিতে উঠে বসে,স্যরি।
নিবিড় দাঁড়িয়ে এগিয়ে গিয়ে শপিং ব্যাগ গুলো হাতে নিয়ে আবার এগিয়ে আসলো।
প্রিয়তা শাড়ির আঁচল ঠিক করে উঠে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে মুখে ভয়ের ছাপ।
নিবিড় এসে সামনে দাঁড়াতেই কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, আসলে আমি বুজতে পারিনি আপনি এতো তাড়াতাড়ি চলে আসবেন।আমার কখন চোখ লেগে গেছে তাও বুজতে পারিনি।আমাকে ক্ষমা করে দিন।
নিবিড় কী বলবে বুজতে পারছে না।অন্যায়টা তো আমারি।আমিই ওর কাছে গিয়েছি।
-আপনি ক্ষমা চাইছেন কেনো আসলে আমারই ভুল হয়েছে।কখন যে নিজের সীমানা ছাড়ায়ে গিয়েছিলাম খেয়াল করিনি।
হাত থেকে শপিং ব্যাগগুলো রেখে, এইগুলো আপনার জন্য।সকালে দেখলাম মায়ের শাড়ি পরেছেন তাই নিয়ে আসলাম।
নিবিড় রাতে একবারও প্রিয়তার দিকে ফিরেও তাকায়নি।সকালে সবার আগে উঠে অফিসে চলে গেলো কাউকে কিছু না বলে।
সালমা বেগম উঠেই নিজে নিজে নাশতা বানিয়ে কাজের মহিলা শেফালীকে ডেকে বললো,টেবিলে নিয়ে নাশতাগুলো রেখে দিতে। নিবিড় আর প্রিয়তা আবার বেরিয়ে যাবে।
প্রিয়তা ফ্রেশ হয়ে একদম রেডি হয়ে এসেছে।
মা কাল থেকে তুমি আর নাশতা বানানোর দরকার নেই।
-কেনোরে? আমার নাশতা ভালো হয়নি?
-মা আমি সে কথা বলিনি।কাল থেকে আমি নিজে বানাবো।তোমার কষ্ট আমার ভালো লাগে না।
-মেয়ে বলে কী? আমাকে এই সংসার থেকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে,তাই না?
-মা, আমি কিন্তু সিরিয়াস।
-হু,আমিও সিরিয়াস।আমার মেয়ে কষ্ট করে চাকরি করতে যাবে আর আমি কিনা বসে থাকবো? আমার কোনো কষ্ট হয়না শেফালী আমায় সব করে দেয়।আমি শুধু দাঁড়িয়ে রান্নাটাই করি।
-ভাবছি চাকরি আর করবো না।আমার মায়ের সাথেই সময় কাটাবো।কী বলো?
-আমি বাপু সেসব জানি না।তুই নিবিড়কে বলে দেখিস।আচ্ছা নিবিড় এখনো ঘুম থেকে উঠেনি।অফিসে যাবে কখন?
-কী বলো মা।ওনি তো সেই সকালেই বের হয়ে গেছে।তবে আমি দেখেনি।পরে বুজলাম ওনি চলে গেছেন।তোমাকে বলে যায়নি?
-কই না তো।আচ্ছা তুই নাশতা খেয়ে নে।জুহি তোর বাবাকে ডেকে নিয়ে আয়।
প্রিয়তা একটা রিকশা নিয়ে কলেজে যাওয়ার পথে নিবিড়ের গাড়িটা দেখতে পেয়ে রিকশা ওয়ালাকে দাঁড় করিয়ে,
-চাচা,একটু দাঁড়ান আমি আসছি। ওনার গাড়িটা এখানে দাঁড়িয়ে? কোনো বিপদে পড়লো নাকি?
গাড়ির পাশে ফুচকা ওয়ালাকে দেখে,এই যে চাচা এই গাড়ির মালিক কোথায়?
-জানি না মা, কিছুক্ষণ আগেই এসে দাঁড়ালো গাড়িটা।
লোকটা রাস্তার ওপর পাশে রেস্টুরেন্টটা দেখিয়ে, হয়তো ওখানে খেতে গেছে।বড়লোকদের ব্যাপার সেটা তো বুজই।
প্রিয়তা ফুচকা ওয়ালাকে আর কিছু না বলে রিকশা এসে উঠতেই দেখে নিবিড় একটা মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে আসছে।
প্রিয়তা তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে কলেজে চলে গেলো।
-তনুসা আস্তে আসো।আজ যে রেস্টুরেন্টে মিটিং ছিলো সেটা যদি তুমি রাতে এসএমএস দিয়ে না জানাতে আমাদের কিন্তু অনেক টাকাই লস হয়ে যেতো।থ্যাংকইউ তোমাকে।
-স্যার এইটা আমার ডিউটি। তবে আপনার সাথে কিন্তু আমি রেগে আছি।
-কেনো?
কথাটা বলতে বলতে দুজনেই এসে গাড়িতে বসলো।
-আপনি বিয়ে করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাকে একবারও বলেননি।
-উহু।
-কেনো বলেননি?
-আসলে হঠাৎ করে হয়ে গেছে।
-ম্যাডাম কী করে?
-বাড়িতেই আছে।
-তাহলে দেখা করে আসায় যায়।
-হু।
-তাহলে কাল অফিসে আসার আগে দেখা করে আসবো।
-হু।
-স্যার বিয়ে পর কী মানুষ হু,উহুতেই সীমাবদ্ধ?
-আসলে তনুসা আমার মনে হয় তুমি পাগলের মতো বকবক করছো।
-কেনো স্যার? আমি তো একদম ঠিক আছি।
নিবিড় গাড়িটা থামিয়ে৷
-তুমি কী ভেবেছো আমি তোমার কষ্ট বুজি না? তুমি যে পাগলের মতো প্রলাপ করছো আমি বুজি না?
তনু আমিও তোমায় ভালোবাসি।কিন্তু কী করবো বলো? বাবার আদেশ অমান্য করা এতোটাও সহজ নয়।প্লিজ তনু একটু বুজার চেষ্টা করো।
-তুমি আমায় আর এইনামে ডাকবে না।আমার শুনতে অসহ্য লাগে।এই দুইদিন মেয়েটার সাথে কাটিয়ে এখন আসছো আমাকে বুজাতে?গাড়ি থামাও! আমি বাসায় যাবো।আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না।কথাটা বলেই তনুসার গলটা ভারি হয়ে এলো।
নিবিড় তনুসাকে নিজের কাছে টেনে এনে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তনুসার ঠোঁটে নিজেকে হারাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
নিবিড় তনুসাকে এখন যতই বুজাক এই ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।