প্রিয়তা তড়িঘড়ি করে ইশাকের থেকে হাতটা সরিয়ে,আপনি হঠাৎ কলেজে?
নিবিড় আস্তে আস্তে প্রিয়তার দিকে এগিয়ে সামনাসামনি দাঁড়িয়ে, আমি আসাতে কী আপনার বিরাট সমস্যা হয়ে গেলো?
-সমস্যা হবে কেনো?
নিবিড় কিছু না বলে প্রিয়তার হাত শক্ত করে ধরে বাড়ির পথে পা বাড়াতেই, কি করছেন কি আপনি?
ইশাক কিছুটা অবাক হয়ে,আরে মিস্টার নিবিড় আপনি ওর এইভাবে হাত ধরতে পারেন না।এইটা কলেজ এখানে একটা আইনকানুন বলে কথা আছে।
-শাটাপ।আমার বউয়ের হাত আমি যেখানে ইচ্ছা সেখানে দরবো তারজন্য আপনার কাছে অনুমতি নিয়ে নয়।ওর হ্যাজাবেন্ড হাত ধরলে আইন দেখাচ্ছেন আপনি যখন পরপুরুষ হাত ধরেছেন সেটা কী অবৈধ ছিলো?
প্রিয়তা অবাক হয়ে নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে আছে।বাড়িতে নিয়ে গেলে তাঁর কপালে যে দুঃখ আছে প্রিয়তার অজানা নয়।তবুও ভালো লাগছে নিবিড় আজ প্রথম তাকে কোনো কারণে নিজের পরিচয়টা একজনকে হলেও দিয়েছে।ইশাক নিবিড়ের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে আছে।মুখে কোনো কথা নেই। নিবিড়ও প্রিয়তার হাত ধরে টেনে গাড়িতে বসিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলো।
ইশাকের মনে হলো সেই এতোক্ষণ প্রিয়তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে।প্রিয়তা সেদিন বললো,তাঁর স্বামী এইট পাশ,মুদী দোকানী কিন্তু আজ দেখি শহরের নাম করা বিজনেসম্যান। যাক বাবা এইতো দেখি রাতারাতি কোটিপতি। তবে কী থেকে কি হইলো বুজতেই তো পারলাম না।হাত ধরলাম কিসের জন্য আর হয়ে গেলো কি।প্রিয়তাকে ফোন করে স্যরি বলবো? না থাক হেতে যদি কোনো বিপরীত হয় বরং এর ছেয়ে ভালো পরে সব বুজিয়ে বলা যাবে।
নিবিড় প্রিয়তাকে হাত ধরে টেনে বাড়ির ভেতর ঢুকতেই সালমা বেগম নিবিড়ের দাদী সবাই বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়লো।আরে কি করেছেন আপনি আমার কথা তো শুনবেন।প্লিজ আপনি আমাকে ছেড়ে একটু শান্ত হয়ে আমার কথা শুনুন।কিন্তু নিবিড় কোনো কথায় বললো না।
সালমা বেগম বিস্ময় নিয়ে,নিবিড় কি হয়েছে? তুই প্রিয়তাকে এইভাবে টানাটানি করছিস কেন?
নিবিড় কোনো কথা না বলে গম্ভীরমুখে প্রিয়তাকে নিয়ে উপরে উঠে গেলো।
-নিবিড়ের মা,তোমার পোলাডার যখন রাগ উঠে তহন আমার খুব ভয় হয়।সেই কতা কয় না।হাসিতামাশা করে করে না হেরাই কিন্তু বিপদ ডাইকা আনে
-মা,নিবিড় শান্ত, কথা কম বলে,রাগী,কিন্তু যথেষ্ট বুদ্ধিমান।আমি কবে তাঁর শেষ হাসিটা দেখেছি আমি জানি না।কিন্তু প্রিয়তা আসার পর ওর আড়ালে আবডালে মুচকি হাসিটা দেখেছি।
মা ওরে মনে যে কষ্ট লুকিয়ে আছে সে হয়তো আমাকে কখনো বলবে না কিন্তু আমি চাই তাঁর আর্দশ মা হয়ে সারাজীবন তাঁর পাশে থাকতে।
-নিবিড়ের মা তোমারে আমি কষ্ট দিতে চাইনি তয়ে আমি আসার পর থেইক্যা যা দেখতাছি তাই বলতে চাইছি।
-মা নিবিড় কি কিরে না করে সেটা নিয়ে ওর বাবা কিংবা আমি কখনো মাথা ঘামাই না।আমি জানি আপনি প্রিয়তার ব্যাপারটা নিয়ে বলতে চাইছেন।আমার বিশ্বাস তাঁর অতীতের মতো প্রিয়তাকেও একদিন ঠিক নিজের করে নিবে।
কথাটা বলেই সালমা বেগম নিজের রুমে চলে গেলেন।
নিবিড় প্রিয়তাকে টেনে এনে খাটের উপরে ফেলে দিয়ে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিলো।
একটু এগিয়ে এসে প্রিয়তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়তা দাঁড়িয়ে ঝাঁঝালো গলায় বললো,আপনার সমস্যাটা কোথায় একটু বলবেন প্লিজ?
নিবিড় ভারি গলায় বললো, আপনি কলেজে যান কেনো ? ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দিতে তাইনা? ছিঃ আমার ভাবতেই অবাক লাগছে আপনি,আপনিই কিনা,,,,,উঁহু আমার ভাবতেই অবাক লাগছে আপনি অফিসে দাঁড়িয়ে ওই ছেলেটার সাথে,,,,
-তাতে আপনার কী? আমার যা ইচ্ছে আমি করব।কারণ আমি তো আপনার কাছে এক বছর পাঁচ মাস আছি।তারপর তো আমার জীবনে একজনকে প্রয়োজন তাই না?সে যদি ইশাকই হয় তাহলে আপনার ক্ষতি কী?
নিবিড় প্রিয়তার কথা শুনে রাগ অতিক্রম করে লাল লাল চোখে তাকিয়ে আছে হিংস্র বাঘের মতো।
-আপনি আপনার তনুসাকে নিয়ে ভালো থাকেন শান্তিতে থাকেন সেখানে তো আমি এন্ট্রি করি না।তাহলে আপনি কেনো করছেন? আপনার এতো জ্বলে কেনো?
নিবিড় তড়িৎ ভাবে প্রিয়তার দুই বাহু শক্ত করে ধরে, কারণ আমি আপনাকে,,,,,,,,,এইটুকু বলেই নিবিড় থেমে গিয়ে নিজেকে সংযত করে,কিছুক্ষণ চুপ থেকে,কাল থেকে আপনার কলেজে যাওয়া বন্ধ।
প্রিয়তা কপাল ভাজ করে, মানে?
-খুব সোজা।আপনি কলেজে যাবেন না তো যাবেন না।চাকরিটা ছেড়ে দিন।
-মিস্টার নিবিড় আপনার মাথা ঠিক আছে,এই চাকরি চলে গেলে আমি কোথায় থাকবো? কি করবো?
আপনার কাছ থেকে চলে গেলে তো এটাই আমার সব।
-আমার বাড়িতে থাকতে হলে চাকরি নামের এইসব নোংরামি বাদ দিতে হবে।বাবা মায়ের সেবা করুন এটাই আপনার জন্য ব্যাটার।
কথাটা বলেই নিবিড় মনে মনে ভাবছে, সালা আমার বউয়ের হাত ধরা? নিবিড় কী সেটা তোকে আজ ভালো করে বুজিয়ে দিবো।
কথাটা ভেবেই নিবিড় চলে যেতেই প্রিয়তা পিছন থেকে এগিয়ে গিয়ে, কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
আমার কথা এখনো শেষ হয়নি?
নিবিড় থমকে দাঁড়াতেই প্রিয়তা আবার বললো,আমি আপনার কোনো কথা শুনতে বাধ্য নই।আমি আমার মতো থাকবো। দরকার প্রয়োজনে ইশাকের সাথে,,,,প্রিয়তা আর কিছু বলতে পারলো না।নিবিড় পিছনে ফিরেই হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে প্রিয়তার গালে থাপ্পর লাগিয়ে দিয়ে,আমার কথার উপরে কথা আমার একদম পছন্দ না।
কথাটা বলেই নিবিড় দরজা খুলে বাহিরে চলে গেলো ফোনটা কানে নিয়ে।
প্রিয়তা গাল ধরে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত চোখে মুখে হাসি ফুটিয়ে, আমি তো তাই ছেয়েছিলাম। আমি আজ বুজেছি আপনি আমাকে ভালোবাসেন।শুধু মুখে বলতে পারছেন না।আপনি যদি আমাকে ভালোই না বাসতেন তাহলে ইশাক আমায় হাত ধরেছে আপনি এতোটা কষ্ট পেতেন না।আপনার ভিতরে আগুন জ্বলছে তাইনা? এইরকম আমারও জ্বলে যখন আপনি তনুসার সাথে কথা বলেন আমাকে দেখিয়ে।এখন বুজেছেন তো ভালোবাসার মানুষ অন্যজনের কথা ভাবলে কথাটা কষ্ট হয়? আপনি আমার গায়ে হাত তুলেছেন আমার কোনো দুঃখ, কষ্ট কিছুই নেই।তবু্ও তো জেনেছি আপনি আমাকে ভালোবাসেন।হোক না সেটা অস্পষ্ট। তাতে কি? আপনার মনে তো আগুন জ্বলেছে।
কাঁধে হালকা স্পর্শ পেয়ে সালমা বেগম পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে মোশারফ হোসেন। সালমা বেগম তড়িঘড়ি করে চোখ মুছে, কি গো,তুমি না নিবিড়ের অফিসে যাওয়ার কথা। এখন দেখি তুমি বাড়িতে।
-সালমা,আমি বুজি তোমার লুকানো চোখের পানির কথা।সে কি বলতে চায়। কিন্তু সালমা,নিবিড় কিন্তু তোমাকে কখনো,,,,
সালমা বেগম তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়িয়ে মোশারফ হোসেনের মুখে হাত দিয়ে,কেউ শুনতে পাবে।তুমি বসো আমি চা নিয়ে আসছি।
সালমা বেগম কথাটা বলেই রান্নাঘরের দিকে গেলেন।
নিবিড় মাহিদকে ফোন দিয়ে ইশাককে তুলে নিয়ে আসতে বললো।
নিবিড়ের চোখে বার বার প্রিয়তার হাত ইশাকের মুঠোর ভিতরে তা ভেসে উঠছে।প্রিয়তা আপনি জানেন না আমি আপনাকে এই মনে কোন জাগায় রেখেছি আর আপনি কিনা,,,
কেনো ঠোকালেন আমাকে? আপনার জন্য আমি তনুকে ছেড়ে এসেছি।অবশ্য তনু আমাকে কখনো ভালোই বাসেনি।ভালোবেসেছে আমার টাকাকে।কিন্তু আপনার মাঝে আমি সেসব কিছুই দেখিনি।আপনার সততা, বিশ্বাস আমাকে মুগ্ধ করেছে।কিন্তু আজ আপনার চরিত্র দেখে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে।
ইশাক বসে আছে নিবিড়ের সামনে।ভয়ে ভয়ে ইশাক নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে, আমাকে এইখানে কেনো এনেছেন জানতে পারি?
নিবিড় গম্ভীর হয়ে বসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর বললো,মেয়েদের হাত ধরতে খুব ভালো লাগে তাই না?
-কী বলছেন এইসব?
-ভাজা মাছ এখনো উল্টো খেতে যানেন না তাই না।আপনি আমার ওয়াইফের হাত দরলেন কেনো? আপনি জানেন তাঁর জন্য আমি আপনাকে কি করতে পারি?
-দেখুন আমি খারাপ কিছু ভেবে ওর হাত ধরিনি।আর ও যে আপনার ওয়াইফ আমি সেটাও জানি না।আমি জানতাম,,,যাইহোক আসলে আমি প্রিয়তার কাছে অনুরোধ করছিলাম ওর ছোটো বোনটাকে আমার ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য।আমার ছোটো ভাই ওর বোনকে খুব ভালোবাসে।কিন্তু ওর ফ্যামিলির মেজো বোনটা রাজি না এই বিয়েতে।সেটা নিয়েই প্রিয়াতাকে অনুরোধ করে রাজি করাচ্ছিলাম।কিন্তু প্রিয়তা বললো ওদের কারো সাথে নাকি ওর যোগাযোগ নেই।তাই আমি ওর,,
নিবিড় ইশাককে থামিয়ে,, তাই বলে আপনার হাত ধরতে হবে?
-আসলে আমি এতোটাই ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম কোনো উপায় না দেখে।প্লিজ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
নিবিড় কিছু না বলে উঠে গিয়ে মাহিদকে বললো ইশাককে বাড়িতে দিয়ে আসতে।
রাত এগারোটা, নিবিড় বাড়ি এসে ড্রইংরুমে দেখে মোশারফ হোসেন সহ সবাই বসে কথা বলছে।
নিবিড়কে দেখে,কিরে এতো রাত করে বাড়ি ফিরে এলি?
নিবিড় গম্ভীরমুখে বললো,কাজ ছিলো।চোখ দুটো যেনো প্রিয়তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।বার বার উপরের দিকেও তাকাচ্ছে।অন্য সময় প্রিয়তা নিবিড়ের কথা শুনলেই নিচে নেমে এসে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দেয় কিন্তু আজ এলো না।হয়তো দুপুরের থাপ্পরটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে।এতোটা বাড়াবাড়ি আমি না করলেও পারতাম।
ড্রাইভার কয়েকটা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এসে,স্যার এইগুলো গাড়িতে রেখে আসছিলেন।
শেফালী আপা এইগুলো নিয়ে সবাইকে দাও।
-কিসের মিষ্টি? তুই তো কোনো কিছু ছাড়া মিষ্টি নিয়ে আসিস না?
-মা,আজ আমি অনেক বড় একটা প্রজেক্ট হাতে পেয়েছি সেটারই ।
-আলহামদুলিল্লাহ শেফালী সবাইকে মিষ্টি দিয়ে দাও।কথাটা বলে সালমা বেগম উঠে গিয়ে টেবিলে খাবার দিয়ে, নিবিড় খেতে আয়।
-মা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।তারপর খাবো।
মোশারফ হোসেন উঠে গিয়ে, সালমা তোমাকে একটা কথা বলা হয়নি দুপুরে।তবে যা দেখে আসলাম আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
কথাটা শুনে নিবিড় সিঁড়িতে পা দিয়েই দাঁড়িয়ে পড়লো।সেটা,কেউই খেয়াল করেনি।
নিবিড়ের অফিসে রিসাদ নামের একটা ছেলেকে দেখে আসলাম।আমার খুব পরিচিত মনে হলো।
নিবিড় মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে উপরে উঠে গেলো।
প্রিয়তা রুম অন্ধকার করে শুয়ে আছে।দুপুরের পর থেকে কিছুই খায়নি। সালমা বেগম অনেক বার ডেকেছে কিন্তু প্রিয়তা যায়নি।
নিবিড় লাইট জ্বালাতেই প্রিয়তা চোখ মুখ কুঁচকে,জুহি তুমি আবার আসছো?
নিবিড় গায়ের কোট খুলে,প্রিয়তার কাছে এসে বসে,আপনার অনেক লেগেছে তাই না?
প্রিয়তা নিবিড়ের কথা শুনে উঠে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
নিবিড় প্রিয়তার গালের দিকে তাকিয়ে দেখে অনেকটাই লাল হয়ে আছে।
উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে মলম নিয়ে বসে, কাছে আসুন।
কথাটা বলতেই প্রিয়তা নিবিড়ের দিকে করুন চোখে তাকালো।
নিবিড় ধমকিয়ে,-কি হলো কথা কানে যায় না? কাছে আসতে বললাম তো।
প্রিয়তা এগিয়ে এসে বসলো।নিবিড় মলম লাগিয়ে দিতে দিতে, আপনি আমাকে তখন বললেই তো সব মিটমাট হয়ে যেতো।আপনিও জেদ ধরে উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন আর আমিও রেগে নিজেকে সামলাতে পারিনি।
প্রিয়তা নিশ্চুপ হয়ে আছে।চোখ দুটো টলমল করছে।
নিবিড় প্রিয়তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে, চলুন খাবেন!দুপুর থেকে না খেয়ে আছেন তা আমি ভালো করেই জানি।
-আমি খাবো না। আপনি খেয়ে আসুন।
-প্লিজ আমার উপর কথা বলবেন না।এইটা আমার একদম অপছন্দ।
প্রিয়তা কিছু না বলে উঠে দাঁড়াতেই মাথাটা ঘুরে পড়ে যেতেই নিবিড় ধরে ফেলে।
প্রিয়তা নিজেকে সামলিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে আমি যাচ্ছি আপনি আসুন।
নাদিয়া কয়েকদিন থেকেই রিসাদের সাথে তেমন কথা বলে না।চুপচাপ হয়ে থাকে।রিসাদ জিজ্ঞেস করলেও ব্যাপারটা সে এড়িয়ে যায়।রিসাদ অফিস থেকে ফিরেই নাদিয়াকে চেপে বসেছে, কেনো সে এমন করছে?
নাদিয়া আজও চুপ করে আছে।
-নাদু প্লিজ তুমি আমাকে বলো।তোমার বাড়ির জন্য মন খারাপ করছে?
-না রিসাদ।তবে মাঝে মাঝে অতীতগুলো সামনে এসে যায়।তখন হয়তো মন খারাপ হয়।মিস করি অনেক কিছু।
-অতীত? নাদু প্লিজ আমাকে বলো কি হয়েছে?
-ভাই!
-কার ভাই?
-রিসাদ আমার ভাই।যার গন্ধ আমি প্রতিনিয়ত পাই।
-তোমার ভাই এইখানে আসে? কই তুমি তো আমায় এ-ব্যাপারে কিছু বললে না?
-রিসাদ, আমার ভাইকে তুমি চিনো?
-না, তবে তোমার মুখ থেকে যা জেনেছি তাতে আমার অফিসের বসের মতো তার খ্যাতি তাই না?
নাদিয়া রিসাদের দিকে করুন চোখে তাকিয়ে,ওই আমার ভাই রিসাদ।
রিসাদ কিছুটা সময় নিস্তব্ধ থেকে, উঠে দাঁড়িয়ে আমায় এতোদিন বলোনি কেনো?
-রিসাদ কিভাবে বলবো? আর কিইবা বলতাম আমি?
-কাল আমি চাকরিটা ছেড়ে দিচ্ছি।
-মানে?
-হুম নাদু।এই চাকরি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।
নাদিয়া রিসাদের কথায় কিছু না বলে চুপ করেই চোখের পানিগুলো ঝরিয়ে যাচ্ছে।