আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১০ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


"" স্যরি বাবা আমি পারবো না এই কাজ করতে আর না...বাকিটা বলার আগে অন্য কারোর কন্ঠস্বর শুনে থেমে যায় কাব্য দরজার দিকে তাকিয়ে দারিয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে ভয়ে ফ্রিজড হয়ে যায় কাব্য..

"" তোমাকে পারতেই হবে মিস্টার মাইমুন আহাম্মেদ কাব্য আর নাহলে এখানে প্রত্যেকের লাশ পড়বে৷""(আর কে)

"" ম,,মানে কি বলতে চাইছেন আপনি??""(কাব্য)

"" কাব্য তুই থাক আমাকে কথা বলতে দে৷ স্যার দেখুন এটা আমাদের পারিবারিক বেপার আপনি দয়াকরে এর ভিতর ঢুকবেন না৷""(সাব্বির আহাম্মেদ )

সাব্বির আহাম্মেদ এর কথাটা যেন জোকস মনে হলো আর কের কাছে৷ কোন ভাবে হাসি থামাতে পারছে না আর কে.. আর কের হাসি দেখে কাব্য আর সাব্বির আহাম্মেদ হত বম্ভ হয়ে দারিয়ে আছে৷

কিছুক্ষন পর আর কে হাসি থামিয়ে চোখে মুখে ভয়ঙ্কর রাগ নিয়ে কাব্য আর সাব্বির আহাম্মেদ এর উদ্দ্যেশ্য বলতে লাগলো"  আর কের সামনে দারিয়ে থাকার মতো যগ্যতা তোদের নেই৷ আর হ্যা আমার কথা মতো কাজ না হলে পুরো ফ্যামিলিটাকে শেষ করে দিবো যেটা কিছু বছর আগে করার কথা ছিলো সেটা আজ হবে৷""

"" স্যরি স্যার এমন টা আর হবে না কিন্তু প্লিজ আমার পরিবারের কোন ক্ষতি করবেন না"(কাব্য)

"" করবো না তবে তার জন্য তোকে একটা কাজ করতে হবে""

"" কি কাজ স্যার?"" 

""আমার আজ রাতের জন্য একজন বেড পাটর্নার  চাই ৷ আর তাকে তুই নিয়ে আসবি""

" ওকে স্যার""

আর কে নিজের স্টাইলে সিঙ্গেল সোফায় পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে বলতে লাগলো"" পয়েন্টে আসা যাক ৷ আকরামকে কে খুন করেছে ?""

"" এটা আমরাও ভেবে পাচ্ছি না কার এতো বড় কলিজা যে ছোট স্যার কে খুন করতে পারলো?""

"" আমি পালটা প্রশ্ন শুনতে চাই না উওর চাই আমার"" জোড়ে চেচিয়ে বললো আর কে ৷ 

"" স্যা,,স্যার আমরা তাকে খুজে বের করার চেষ্টা করবো"(সাব্বির আহাম্মেদ )

আর কে কিছুক্ষণ চুপ থেকে ধির গলায় বলতে লাগলো"" মিস্টার সাব্বির আহাম্মেদ আপনার ছোট মেয়ে ছন্দ নিশ্চয় এখন অনেক বড় হয়ে গেছে? ক-বছর আগে দেখিছিলাম "" আর কের মুখে ছন্দের নাম শুনে কাব্য সাব্বির আহাম্মেদ দুজনে ঘাবড়ে যায়৷ 

"" স্যার ছন্দ মারা গেছে সেই এক্সিডেন্টে "" (সাব্বির আহাম্মেদ )

"" ওয়াট ..""(আরকে)

"" ইয়েস স্যার" 

কাব্য বুজতে পারছে তার বাবা তার বোন কে বাচাতে এতো বড় মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে তাই সেও সেই তালে তাল দিতে থাকে৷ 

"" হ্যা স্যার সেদিনের এক্সিডেন্টে ছন্দ গাড়ি থেকে ছিটকে পড়লে ও তাকে বাচানো যায় নি ৷ "" কথাটা বলে কাব্য কান্নার ভান করলো....

"" সো স্যাড, বাট কাব্য তোমাকে তো নিজের ওয়াইফ কে খুন করতে হবে নাহলে যে তোমার মুক্তি নেই""(আর কে)

"" স্যার আমার ওয়াইফ প্রেগনেন্ট প্লিজ বাচ্চা টা জন্মানোর সময় টুকু দিন?"" অনুরোধের স্বরে বললো কাব্য..

"" ফাইন তাহলে দিলাম সময় বাচ্চাটা জন্মানোর সাথে সাথে ওই মেয়েকে পৃথিবী থেকে বিদায় করতে হবে৷""

"" ওকে স্যার তাই হবে""

৩১!!

"" হ্যালো ভাইয়া আমি রুনা বলছি""

"" রুনা এতো দিন পর কেমন আছিস?""(নিলয়)

"" আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাইয়া ৷ তুমি কেমন আছো?""(রুনা)

"" আলহামদুলিল্লাহ ""

"" ভাইয়া তোমার কাছে একটা কাজের জন্য ফোন করেছি প্লিজ না বলো না""

"" আরে পাগলি আগে বলবি তো কি কাজ?""

"" ভাইয়া তুমি তো একজন সি বি আই পুলিশ তুমি নিশ্চয় আমার এই সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে """

"" কি সমস্যা রুনা বলবি তো বোন""

"" ভাইয়া আমার শশুর বাড়ির মানুষ গুলো না কেমন যেন ৷ আমার মনে হয় এরা কিছু একটা লুকাচ্ছে ৷ এদের অতিতে কিছু না কিছু ঘটনা আছে যেটা আমরা জানি না ৷ তুমি প্লিজ সেগুলো খুজে বের করার চেষ্টা করো ৷ ""

"" বুজতে পেরেছি কিন্তু তোর এই সন্ধেহের কারন টা কি?""

"" ছন্দ..""

""ছন্দ!""

"" হ্যা ভাইয়া , ওকে আমি তোমাকে সব টা বলছি ...""

রুনা তার কাজিন ব্রাদার নিলয় কে সবটা জানায় যেটা সে নিজে জানতো ...

"" ওহ মাই গড রুনা তুই সাবধানে থাকিস ""

"" হ্যা ভাইয়া , এখন রাখছি কেউ এসে  পরতে পারে ""

"" ওকে ""

রুনা কল কেটে ফোন বালিসের নিচে লুকিয়ে রাখে তখনি ছন্দ রুমে আসে ৷ 

"" ভাবি এই নেও তেতুলের চাটনি এটা খেতে থাকো ওদিকে বিরয়ানি দমে দিয়ে দিয়েছি ৷ আদঘন্টার মতো রান্না হয়ে যাবে৷""

"" বাহ আমাদের ছন্দ রানি দেখছি রান্নায় বেশ পটু হয়ে গেছে ৷ উহু এবার ছন্দ রানিকে তার রাজকুমার খুজে দিতে হয় কি বলো?"" হাসতে হাসতে বললো রুনা ৷ কিন্তু কথাটা শুনে ছন্দের মুখ অন্ধকার হয়ে যায়৷ 

"" ভাবি তুমি রেস্ট করো আমি রান্নাটা দেখি গিয়ে..."" ছন্দ রুনা কে কিছু বলতে না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ ""

ছন্দের এভাবে চলে যেতে দেখে রুনার নিজের উপর রাগ হয় কেন যে ওই কথাটা বলতে গেলো এটা ভেবে যে ছন্দ হয়তো কষ্ট পেয়েছে৷ 

কিছুক্ষন  পর কিয়ারা বেগম রুমে এসে রুনা কে দেখে যায় আর নানা রকম উপদেশ দিয়ে যায়৷ এদিকে ছন্দ নিজের রুমে বসে কাদঁছে ৷ যেটা দেখে কষ্টে বর্ণের বুক ছিড়ে যাচ্ছে ৷ গতকাল রাতে বর্ণ যখন ছন্দের রুমে যায় তখনি ছোট্ট একটা ক্যামেরা রুমের এক কোনে সবার চোখের আড়ালে লাগিয়ে দেয়৷ আর সেটা বর্ণের ফোন আর ল্যাপটপে কানেক্ট করা ৷ বর্ণ ছন্দ কে কান্না করতে দেখে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এখন সে নিরপায় সে ছন্দ কে কল করতে পারবে না৷ তাহলে হয়তো ছন্দ ওকে ভূল বুজতে পারে ৷ 

"" বর্ণ.."(মুরাদ)

" হুম ""

"" ভাবিকে কলটা করে ফেল আমার মনে হয়না ভাবি তোকে ভূল বুজবে""

"" কিন্তু যদি ভূল বুঝে?""

"" বুজবে না আমি বলছি কল কর""

বর্ণ এক বুক সাহ নিয়ে ছন্দের নাম্বারে ডায়েল করে...

ছন্দ কান্নার মাঝে ফোন রিং হওয়ার আওয়াজ পেয়ে বিছানা থেকে ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার .. ছন্দ কল রিসিব করে কানে ধরে ৷ কিন্তু ওপাশ থেকে শুধু নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পায় ছন্দ তাই বিরক্ত হয়ে বলতে লাগলো"" কে বলছেন কথা বলছেন না কেন?""(ছন্দ)

"......"" 

"" দেখুন কথা না বললে কল কেটে দিবো বলুন কে আপনি?""

"" আমি টিয়াপাখি..."" 

টিয়াপাখি নাম টা শুনে ছন্দের মুহূর্তে যেন সব মন খারাপ ভ্যানিস হয়ে গেল ৷ কিন্তু কেন এটা ছন্দ বুজতে পারছে না ৷ ছন্দ বর্ণের গলা পেয়ে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো"" আ,, আপনি আমার নাম্বার পেলেন কি করে?""

উওরে বর্ণ শুধু হাসলো.. 

"" কি হলো কথা বলছেন না কেন?""

"" বোকার মতো কথা বললে কি বলবো টিয়াপাখি? তোমার ফোন নাম্বার আমি জানবো না এটা কি করে সম্ভব তুমি বলো টিয়াপাখি?""

"" একদম টিয়াপাখি বলবেন না আমি কারোর টিয়াপাখি নই""

"" সেটা তো সময় বলবে তুমি আমার কে হও আর আমি তোমার কি হই৷ আচ্ছা এখন বলো কাদছো কেন তুমি? কি হয়েছে তোমার কেউ কিছু বলেছে ? একবার বলো তার নাম..."

"" কেন কি করবেন খুন ? খুন করবেন ৷ এটাই তো করতে পারেন আপনি ৷""

"" হ্যা খুন করবো যে বা যারা আমার কলিজা আমার টিয়াপাখির দিকে চোখ তুলে তাকাবে ছোয়ার চেষ্টা করবে তাদের কে এই পৃথিবীতে আয়ান চৌধুরী বর্ণ বাচঁতে দিবে না৷ তাদের একমাত্র ঠিকানা হলো কবর৷""

বর্ণের কথা শুনে ছন্দ শুকনো ঢোক গিললো ৷ এখন এক গ্লাস পানির খুব প্রয়োজন ছন্দের ৷ বর্ণের কথা শুনে ছন্দের গলা শুকিয়ে গেছে অলরেডি আর কিছুক্ষন কথা বললে হয়তো এখানে ইন্তিকাল করবে ছন্দ ৷ এটা ভেবে কল কেটে দ্রুত টেবিলের উপর থেকে পানির গ্লাস নিয়ে পানি খেতে লাগলো ৷ ছন্দ কল কাটার পর পরই বর্ণ ভিডিও অন করে দেখে ছন্দের অবস্তা ..

"" দোস্ত বলেছিলাম তো ভাবি ভূল বুজবে না দেখ উলটো দেখ ভাবির কান্না বন্ধ হয়ে গেছে৷""

"" হুম ঠিক বলেছিস..৷ আচ্ছা তোকে যা বলেছিলাম তা করেছিস?""

"" একদম সব খবর পেয়ে গেছি ৷ এই আর কের পুরো ডিটেইলস আমার হাতে ৷ তবে একটা ইন্টারেস্টিং নিউজ হলো তোর হবু শশুর আর সালা ওই আরকের সাথে যুক্ত৷""

"" এটা আমিও আন্দাজ করেছিলাম মুরাদ""

"" এখন কি করবি ?""

"" গেম স্ট্রাট নাউ মুরাদ ৷ ওদের কে ওদের মতো খেলতে দে ৷ সময় মতো বর্ণ চাল দিবে ৷ চেক মেট করতে৷ ""

"" হুম..""

"" মুরাদ মিলন কে কেটে পিস পিস করে ওর বসের কাছে গিফ্ট পাঠিয়ে দিয়ে স্বাগতম জানা আমার পক্ষ থেকে..""

"" ওকে দোস্ত কাজ হয়ে যাবে"""

বর্ণ মুরাদের সাথে কথা শেষ করে চৌধুরী ম্যানশনে ঢুকতে আয়মান চৌধুরীর মুখোমুখি হয়৷ 

"" বর্ণ এই সব কি শুনছি তোমার মমের থেকে ?""(আয়মান চৌধুরী )

"" ড্যাড আমি জানি না মম তোমাকে ঠিক কি কি বলেছে বাট ড্যাড আমি যা করছি আমার টিয়াপাখির ভালোর জন্য করছি""

"" আই নো মাই স্যান তুমি যা করবে তা আমার বউমার জন্য ঠিক করবে ৷ কিন্তু মাথায় রেখো বউমা কিন্তু এখনো সুস্থ নয়৷""

"" ড্যাড আমি ডক্টরের সাথে কথা বলবো কোন ট্রিটমেন্ট করলে আমার টিয়াপাখির স্মৃতি যাতে ফিরে আসে ৷""

"" আমি লন্ডনের ফেমাস ডক্টরের সাথে কথা বলেছি তিনি বলেছেন ছন্দ মামুনির স্মৃতি ফিরে আসা সম্ভব তবে শুধু মেডিসিনে কাজ হবে না ইলেকট্রিক শক দিতে হবে৷""

"" ওয়াট!""

"" ইয়েস মাই স্যান , তাই বলছি তুমি আগে ডক্টরের সাথে কর্নস্লাট করো দেন ট্রিটমেন্ট করানোর কথা ভাবা যাবে ৷""

"" বাপ ছেলের কি বুদ্ধি মেয়েটাকে আগে এখানে না এনে ট্রিটমেন্টের কথা বলছে৷ বলে কি মেয়েটাকে তো আগে এ বাড়িতে আনতে হবে ৷ ওই বাড়িতে থেকে কি ওর ট্রিটমেন্ট করানো সম্ভব?""

" রাইট বর্ণালি তুমি ঠিক কথা বলেছো ৷ বর্ণ আগে আমার বাড়িতে বউমাকে নিয়ে আয় তারপর না হয় বাকি টা হবে৷""

"" ওকে ড্যাড, মম আমি রুমে যাচ্ছি তুমি কাউকে দিয়ে আমার রুমে ব্লাক কফি পাঠিয়ে দেও"

"" হু দিচ্ছি , বাপ ছেলে সমান কি যে স্বাদ পায় এই তেতো কফি খেয়ে ছিঃ .."" নাক সিটকে কথা গুলো বলে কিচেনে ঢুকে গেল মিসেস বর্ণালি .....

বর্ণালির কথা শুনে মিস্টার চৌধুরী র বর্ণ দুজনে হাসতে লাগলো...

"" ড্যাড আমি উপরে যাচ্ছি""

"" হুম""

৩২!!

 "" বস গতকাল রাতে যারা আপনাকে এট্যাক করেছিলো তাদের কোন খোজ পাওয়া যায় নি এখনো"" 

কথাটা শোনা মাত্র আর কে মদের বোতল টা দিয়ে লোকটার মাথায় বাড়ি মারে ৷ সাথে সাথে লোকটির মাটিতে নেতিয়ে পরে ৷ এটা দেখে বাকি লোকেরা প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়৷ 

"" এই আর কে কখনো না শুনতে পছন্দ করে না ৷ "" (আর কে)

আর কের কথার মাঝে একটা লোক এসে হাজির হয়৷ আরকে  রেগে থাকতে দেখে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো"" ব,,বস আপনার নামে একটা পার্সেল এসেছে""

"" পার্সেল! ভিতরে নিয়ে এসো"" 

আরকের কথা মতো বড় একটা পার্সেল ভিতরে নিয়ে আসে দুজন লোক.... কাব্য আর সাব্বির আহাম্মেদ এখনো সেখানে দারিয়ে আছে আর আরকের ভয়ঙ্কর রুপ দেখছে৷ আর কে বক্সটার প্রথম ফিতে টা টান দিতে সাথে সাথে পুরো বক্সটার চার কোনা খুলে মেলে গেল ৷ 

 , কাব্য সাব্বির আহাম্মেদ এবং বাকি লোকেরা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে শুধুমাত্র আর কে ছাড়া....

মিলনের কাটা মাথা আর বাকি বডি টা যেন চিনতে পারছে না ৷ শুধু মাত্র কাটা মাথাটা দেখে চিনতে পারছে আর কে.... কাটা বডির মাঝ একটা চিরকুট দেখতে পায় আর কে , কাব্য কে বলে চিরকুট টা ওঠাতে , কাব্য বাধ্য হয়ে নাক মুখ চেপে ধরে চিরকুট টা তুলে আর কের হাতে দেয়৷ 

** হ্যালো মিস্টার RK সারপ্রাইজ টা কেমন লাগলো ৷ আশা করি নিশ্চয় খুব ভালো লেগেছে ৷ ওহ হ্যা আমার খোজ করছিস নিশ্চয় ৷ কোন ক্লু না পেয়ে নিজের অকর্মা লোকদের কে ঝাড়ছিস ৷ তোর মতো কাপুরুষের কাছ থেকে এর থেকে আর কি বা আশা করা যায়৷ 

আমি কে নিশ্চয় এটা ভাবছিস? ভাবতে থাক আর কে ৷ আমি কে এটা ভাবতে ভাবতে তোর রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে৷ আর একটা কথা তোর ভাই কে আমি মেরেছি ৷ এবার তোর পালা৷ 
                      ইতি
            তোর আজরাঈল 

চিরকুট টা পড়ে রাগে চিরকুট টা ছিড়ে কুচি কুচি করে চিৎকার করে গার্ড কে ডাকে....

"" আনিসসসসসস.."" 
.
.
.
বর্ণের ঠোটের কোনে বাকা হাসি , হাতে কফির মগ , কানে ব্লু টুথ ,, বর্ণ আর কের চিৎকার শুনে হাসছে ৷ 

"" বর্ণ কখনো বিশ্বাসঘাতক কে ক্ষমা করে না আর কে ৷ তৈরি হো আমি আসছি তোর মৃত্যুদূত হয়ে """

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন