আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১৪ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


ছন্দ রিকসার ভাড়া মিটিয়ে একটা পোড়া বাড়িতে ঢুকে পড়ে৷ ধিরে ধিরে পোড়া বাড়ির ভিতরে ঢুকে আদপোড়া  আসবাবপত্র ছুয়ে ছুয়ে দেখছে ৷ ছন্দ ছোট্ট একটা রুমে ঢুকে দেয়ালে টাঙানো একটা আদপোড়া ছবির দিকে তাকিয়ে আছে ৷ ধুলো ভরা অস্পৃষ্ট ছবিটা দেখে ছন্দের চোখের কোনে পানি টলমল করছে যেন এখুনি বৃষ্টির মতো অঝড়ে ঝড়ে পড়বে.......

ছন্দ চোখের পানি মুছে বলতে লাগলো"" ছাড়বো না কাউকে ছাড়বো না"" 

যে চোখ দিয়ে পানি ঝরছিলো আর এখন সেই চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে৷ ছন্দ রুমের পোড়া জিনিস গুলো ছুয়ে ছুয়ে দেখছে৷ হঠাৎ কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে দরজার পিছুনে লুকিয়ে পড়ে ৷ একটা লোক পুরো বাড়িতে কিছু একটা খুজে বেরাচ্ছে ৷ মুখে মাকস থাকায় ছন্দের চিনতে বেশ কষ্ট হচ্ছে কিন্তু লোকটির ড্রেসআপ দেখে চোর বা গুন্ডা মনে হচ্ছে না ৷ ছন্দ মুখে মাকস পড়ে খুব সাবধানে বাড়িটা থেকে বের হয়ে আসে ৷ 

"" আম্মু ছন্দ কোথায়...??""(কাব্য) কাব্যের প্রশ্নের প্রত্তরে কিয়ারা বেগম কিচেন থেকে খুন্তি হাতে বেরিয়ে এসে বলে "" কেন ছন্দ তো ওর রুমে ৷ কিন্তু তুই এতো প্রশ্ন করছিস কেন?"

"" কখন ফিরে ছিলো ?"

"" রোজ যে সময়ে আসে ঠিক তখন"" কাব্য আর কিছু না জ্বিগাসা করে উপরে ছন্দের রুমে সামনে গিয়ে নক করে....
"" দরজা খোলা আছে ভাই ৷ ভিতরে এসো"" কার্বাডে ভিতর ছুড়িটা লুকাতে লুকাতে বলল ছন্দ...

কাব্য রুমে ঢুকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে ছন্দ কে পর্যবেক্ষন করছে কাব্য...

"" ভাইয়া তোমার পর্যবেক্ষণ হয়ে গেলে বলো আমি কফি নিতে নিচে যাবো"" ছন্দের কথা শুনে কাব্য হচকিয়ে যায় ৷ 

"" ম,,মানে আমি তোকে কেন পর্যবেক্ষণ করবো কি সব আবল তাবল বলছিস""

"" পর্যবেক্ষণ করছো বিধায় কিছু বলতে গিয়ে দু বার আটকে গেলে ভাইয়া""

"" বাহ সে ক্ষেত্রে বলতে গেলে তুই ও আমাকে খুব ভালো করে পযর্বেক্ষন করেছিস"" কাব্যের কথা শুনে ছন্দ হেসে ফেলে .. 

"" কি বলতে এসেছো তাই বলো..?""

"" ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে অন্য কোথাও গিয়ে ছিলি?""

"" নাহ কেন?""

"" কিছু না , আচ্ছা তুই রেস্ট কর আমি মুন্নি কে বলে তোর জন্য কফি পাঠিয়ে দিতে বলছি""

"" ওকে ""

কাব্য মুখে একরাশ চিন্তা নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়৷ তা দেখে ছন্দ ফিক করে হেসে ফেলে.... 

বর্ণ এতোক্ষন যাবত ভাই বোনের কথা শুনছিলো কিন্তু কথা গুলোর আগা গোড়া কিছুই বুজতে পারেনি বর্ণ তবে এই টুকু বুজতে পেরেছে ছন্দ  পুরো একটা রহস্যময়ী ৷ ছন্দের আসে পাশে সবটা এক অদ্ভুত রহস্য দিয়ে ঘেরা..... 

বর্ণের ভাবনার মাঝে মিহির এসে হাজির হয়..."" বস ...!""

"" বল মিহির কি ইনফরমেশন এনেছো?""

"" বস আর কে সবটা জেনে গেছে ৷ আর আপনাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য আপনার পুরো পরিবার কে আগে টার্গেট করেছে ৷""

মিহিরের মুখে কথা গুলো শুনে বর্ণের প্রচন্ড রাগ লাগছে ৷ ভেবেছিলো আরকে  কে নিয়ে আর একটু খেলবে ৷ হাইড এন্ড সিক গেম টার মতো ৷ কিন্তু তার আগে আরকে ওর পরিচয় নেনে গেল ৷ বেপারটা বর্ণের মটেও পছন্দ হয়নি৷ 

"" মিহির মুরাদ কে পাঠিয়ে দে আমার কেবিনে.."

"" ইয়েস বস.."" কিছুক্ষণ বাদে মিহির এসে হাজির হয়.."" ডেকেছিলে আমাকে?""
"" হুম , আর কে সব টা জেনে গেছে সো এখন আর নো চুহা বিল্লি খেলা ৷ এবার যা হবে সামনা সামনি ব্যাবস্তা কর""

"" ওকে তুই যেমনটা চাইছিস তেমন টাই হবে""

৪০!!

রক্তিম আকাশে শুভ্র মেঘের খেলা ৷ পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়া সূর্যটা কমলা রঙ ধারন করে আছে ৷ ছন্দের  ইচ্ছে করছে ওই শুভ্র রাঙা মেঘ গুলো হাত দিয়ে ছুয়ে দিয়ে৷ না ছুতে পেরেও ছুতে চাওয়ার ইচ্ছে টা প্রবল ছন্দের .... 

সূর্যের রক্তিম আলোয় ছন্দকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে ৷ দুরে দারিয়ে বর্ণ ছন্দ কে দেখে যাচ্ছে ৷ মুখে মাক্স চোখে সানগ্লাস কালো হুডিয়ালা জেকেট ৷ বর্ণকে দেখলে কেউ চিনতে পারবে না৷ ছন্দ প্রকৃতি দেখতে ব্যাস্ত ৷ কেউ একজন যে ওকে দুর থেকে দেখছে এটা ছন্দ ঘুনাখরে টের পায়নি৷ 

অন্ধকার নামতে ছন্দ রুমে চলে আসে ৷ 

"" আমি জানি বনরাজ তুমি আমার আসে পাশে আছো ৷ কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত তোমাকে আমি এখনি সবটা বলতে পারবো না ৷ আর না তোমার কাছে নিজেকে ধরা দিবো ৷ আমার সাথে ঠিক যা যা অন্যায় হয়েছে তার প্রতিশোধ আমাকে নিতেই হবে ৷ ছাড়বো না ওদের কে আমি ছাড়বো না বনরাজ"" বির বির করে কথা গুলো বলল ছন্দ তখনি রুনা রুমে আসে....

"" আরে ভাবি তুমি এখানে! আমাকে ডাকলে তো পারতে আমি তোমার রুমে চলে যেতাম"" ছন্দ তার ভাবি রুনাকে হাত ধরে বিছানায় বসাতে বসাতে বলল...

" আর কতো শুয়ে বসে থাকবো বলো ছন্দ রানী? ভালো লাগছিলো না আর তাই তো তোমার কাছে আসা ৷ ""

"" উমম কাজ টা খুব একটা খারাপ করো নি ৷ আচ্ছা তুমি বসো আমি কফি নিয়ে আসি তারপর দজনে মিলে জমিয়ে আড্ডা দিবো""

"" ওকে...""

ছন্দ রুম থেকে বেরিয়ে যায় কফি বানিয়ে আনতে ৷ এদিকে ছন্দ রুম থেকে যেতে রুনা উঠে ছন্দের কার্বাডের কাছে গিয়ে দারায়....

"" সব প্রশ্নের উওর আমি এখান থেকে পাবো আশা করি"" (রুনা)

রুনা কার্বাড খুলে পুরো কাবার্ড চেক করে কিন্তু কোন ছুড়ি বা কোন ধরনের অস্ত্র পায় না ৷ অস্ত্র না পেয়ে সব গুছিয়ে দ্রুত বিছানায় বসে পড়ে ৷  তখনি ছন্দ কফি আর স্নাক্স নিয়ে রুমে ঢুকে রুনার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে...

"" এই নেও তোমার কফি..""(ছন্দ)

"" থ্যান্কস ছন্দরানী..""

"" মোস্ট ওয়েলকাম ভাবি,""

"" আচ্ছা ছন্দরানী সেই লোকটার সাথে তোমার আর দেখা হয়নি?""

ছন্দ কফি খাওয়া বন্ধ করে তার ভাবির দিকে তাকিয়ে আছে৷ 

"" না তুমি না বলতে চাইলে থাক বলতে হবে না""

"" উহু তেমন কিছু হয়নি যেটা তোমাকে বলা যাবে না৷ দেখা হয়েছে বেশ কয়েক বার "

"" কিহ তোমাকে কিছু বলেনি?""

"" না ভাবি বলেনি আর না আমি কথা বলেছি""

"" ওহ .."" রুনা গল্পের ফাকে ফাকে নানা নানা রকমের প্রশ্ন করে ছন্দকে , ছন্দ তা সুন্দর করে এরিয়ে যায়৷ প্রায় এক ঘন্টা গল্প করে রুনা তার রুমে চলে যাওয়ার পর ছন্দ উঠে কাবার্ড খুলে ডান সাইডে ছোট্ট একটা বোতামে টিপে দিতে খুলে গেল ছোট দরজাটা ৷ ছন্দ সেই ছুড়িটা সাথে গান বের করলো৷ ছন্দ ঠোটের কোনে রহস্যময় হাসি ৷ 

রুনা যখন ছন্দের কার্বাড তন্য তন্য করে কিছু একটা খুজছিলো তখন ছন্দ দরজার বাইরে দারিয়ে ছিলো আর সব দেখছিলো৷ যেটা রুনা জানে না ৷ 

"" আমাকে ধরা এতোটা সহজ নয় ভাবি ৷ আমি একটা রহস্য যে রহস্য ভেদ করার ক্ষমতা তোমার নেই৷ না এই পৃথিবীতে অন্য কারোর আছে""  কথা গুলো বলে ছন্দ গান টা টেবিলের উপর রেখে ছুড়িটা যথা স্থানে রেখে লক করে দেয়৷ 

রাতে ডাইনিং টেবিলে খাবার সময় সাব্বির আহাম্মেদ বলতে লাগলেন .."" কিয়ারা আমাকে কিছুদিনের জন্য শহরের বাইরে যেতে হবে বিজনেসে কাজের জন্য আর আমার যাওয়ার দুদিন পর কাব্য কেও যেতে হবে ৷""

"" তাহলে তো বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ থাকবে না সাবু?"" কিয়ারা বেগম বলে উঠলেন..

"" চিন্তা করো না সেই কয়দিন আমার বন্ধুর ছেলে রোদ থাকবে তোমাদের সাথে...

"" রোদ কোন রোদ?""(কিয়ারা বেগম)

"" রায়হান খানের বড় ছেলে আব্রাহাম খান রোদ ৷ ""

"" ওহ এবার চিনতে পেরেছি ৷ সেই ছোট্ট রোদ এখন অনেক বড় হয়ে গেছে তাই না?""

"" হ্যা বড় তো হয়েছে ৷ এখন রায়হানের সাথে বিজনেস সামলায়"

"" বাহ বেশ ভালো তো? কিন্তু ""

" কোন কিন্তু না কিয়ারা ৷ আমি অন্য কাউকে ভরশা করতে পারছি না একমাত্র রোদ কে ছাড়া.. তাই রোদ থাকবে যতোদিন না আমরা ফিরে আসবো""

ছন্দ খেতে খেতে সাব্বির আহাম্মেদ আর কিয়ারা বেগমের সব কথা শুনলো মন দিয়ে৷ কিন্তু ছন্দ এটা বুজতে পারছে না হঠাৎ করে বাইরে যাওয়ার কেন প্রয়োজন পড়লো আর দুজন কে এক সাথে বা কেন আর রোদ কে-ই বা থাকতে রাজি হলো?"" অলেক গুলো প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে ছন্দের যে প্রশ্নের উওর পেতে হলে তাকে আবার ও...... ভাবতে ভাবতে ছন্দ তার ভাবি রুনার দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি দিলো যে হাসির হাসির মানে রুনা বুজতে পারলো না৷

৪১!!

মুরাদ হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে ৷ এক হাতে আর পায়ে গুলি লাগার জন্য আজ হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে মুরাদ ৷ সার্জারি করে গুলি দুটো ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷ ইতি মধ্যে জ্ঞান ও ফিরে এসেছে মুরাদের ৷  কিছুক্ষন পর বন্যা ছুটে মুরাদের কেবিনে ঢুকে পরে .. মুরাদ হঠাৎ বন্যা কে দেখে অবাক হয়ে যায় ৷ এলোমেলো চুল , চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে এটা কান্নার কারনে হয়েছে৷  বন্যা মুরাদের বেডের পাশে দারিয়ে আছে...

"" তুমি এখানে?"(মুরাদ)
"" তাহলে আমার কোথায় থাকা উচিত ছিলো মিস্টার মুরাদ?""রাগি গলায় বললো বন্যা...

"" নাহ মানে এখন এতো রাতে তুমি হসপিটালে আমার কেবিনে ..""
"কেন তোমার কি প্রব্লেম হচ্ছে " অনেকটা মুরাদের কাছে গিয়ে কথা টা বললো বন্যা.. বন্যা এতো কাছে আসায় মুরাদের যেন দম বন্ধ লাগছে ৷ যাকে এতো দিন মনে মনে ভালোবেসে এসেছে সে নিজ থেকে তার এতো কাছে দারিয়ে আছে নিজ ইচ্ছায় ভাবতে মুরাদের মুখের হাসি ফুটে উঠলো ৷ মুরাদ নির্লিপ্ত গলায় বলে উঠলো "" ভালোবাসো আমায়?""  
বন্যা মুরাদের প্রশ্ন শুনে চুপ হয়ে যায়৷ তা দেখে মুরাদের মুখের হাসি উবে যায়৷ হুট করে বন্যা মুরাদের বুকে ঝাপিয়ে পরে কাদঁতে লাগলো.. বন্যার কান্না দেখে মুরাদ ঘাবড়ে যায়৷ 

"" আই এম সরি বনপাখি আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি ৷ তুমি প্লিজ কেদো না"" বন্যা মুখ তুলে মুরাদের দিকে তাকিয়ে রাগি চোখে তাকিয়ে বলল"" কি তার মানে তুমি আমাকে ভালোবাসো না ?"" 

"" এ্যা এটা আমি কখন বললাম ? আমি তো তোমাকে প্রশ্ন করেছি তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা?"" বন্যা এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে প্লেটে ফল আর পাশে একটা ফল কাটা ছুড়ি পরে আছে ৷ বন্যা ছুড়িটা এনে মুরাদের গলায় চেপে ধরে বলে..."" বল তুই আমাকে ভালোবাসিস না? ""

"" কি করছো বনপাখি লেগে যাবে তো?"" ভয়ে ভয়ে 
"" লাগুক তার আগে বল তুই আমাকে ভালোবাসিস কি না?""
"" আল্লাহ এই পাগলিটা যে আমার অন্তরালে আমাকে এতোটা ভালোবাসে কখনো বুজতে পারি নি ৷ শুধু এটা ভেবে-ই গেছি আমি একাই ভালোবাসি বনপাখি কে ৷ না এখনি বলতে হবে ভালোবাসার কথা নয়তো সত্যি মেরে দেবে হু যেমন ভাই তেমন বোন .."" মনে মনে...

"" কি হলো কথা বলছিস না কেন বল ভালোবাসিস কিনা ? নাহলে .."" গলায় আর একটু ছুড়িটা চেপে ধরে বললো বন্যা...

"" ভালোবাসি .... ভিষন ভালোবাসি তোমায় বনপাখি..""

"" সত্যি বলছিস ""

"" একদম.. এবার তো ছুড়িটা সরাও"" বন্যা ছুড়িটা সরাতে মুরাদ বন্যাকে বুকের সাথে এক হাত দিয়ে চেপে ধরে... "" বাহ আমার বনপাখি দেখছি ভিষন ভয়ঙ্করী লেডি , ভালোবাসি কথাটা মুখ থেকে বের করেই ছাড়লো..""

"" তাহলে কি করতাম হুম রোজ ভার্সিটির বাইরে লুকিয়ে ফলো করতে ৷ পিছু পিছু যেতে আমার-ই অজান্তে আমার পছন্দের ফুল পাঠাতে ৷ শুধু মাত্র ভালোবাসি কথাটা বলতে ভয় পেতে ৷ ""

"" মটেও না আসলে তুমি আমার বেস্টফ্রেন্ডের বোন যদি বর্ণ কিছু মনে করতো তাই..."" 

"" তাই কি মুরাদ..?"" বর্ণের গলা পেয়ে মুরাদ বন্যা কে ছেড়ে দেয়৷ 

"" আসলে  বর্ণ"" 

"" এই সব কতোদিন ধরে চলছে হ্যা "" রাগি গলায়..

"" দোস্ত প্লিজ রাগ করিস না এখানে বনপাখির কোন দোষ নেই ৷ সব দোষ আমার যা বলার বা শাস্তি দেওয়ার আমাকে দে ওকে কিছু বলিস না প্লিজ""

"" ফাইন যখন তুই একা শাস্তি পেতে চাচ্ছিস তো ঠিক আছে ৷ তোর শাস্তি হচ্ছে ... ""

বর্ণের কথা শুনে ভয়ে বন্যা কাদো কাদো অবস্তা এক পর্যায়ে কেটে ফেলে ..

"" তোর শাস্তি হলো তুই আমার বোনের সারা জীবনের দ্বায়িত্ব নিবি ৷" 

"" ওকে,,, আনমনে ,, কিহ বললি..??" অবাক হয়ে...

" হুম আমার এই পাগলি বোনটার সারা জীবনের দ্বায়িত্ব তোর নিতে হবে..": 

"" আলহামদুলিল্লাহ আমি রাজি"" 

বর্ণ বন্যার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে.."" পাগলি মেয়ে কাদঁছিস কেন হুম""

"" আই লাভ ইউ ভাইয়া"" বর্ণ কে জরিয়ে ধরে বললো বন্যা "" লাভ ইউ টু বোনু"" কপালে চুমু দিয়ে বললো বর্ণ...

"" বনু তুই একটু বাইরে যা আমার মুরাদের সাথে কিছু কথা আছে৷""

বন্যা মাথা নেরে বাইরে চলে যায়৷

"" আই এম সরি বর্ণ ""

"" ডোন্ট বি সরি মুরাদ ৷ তোর যে গুরতর কিছু হয়নি এইটাই অনেক৷ চিন্তা করিস না সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে"" 

"" বাট বর্ণ আরকে কিন্তু তোর সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তত৷"

"" এই বর্ণের সাথে লড়াই করার মতো ক্ষমতা আর কের এখনো হয়নি ৷ ওর শেষ আমার হাতে মুরাদ""

"" বর্ণ আর একটা কথা আজ আমি এখনো বেচে আছি একজনের জন্য...""

"" কার জন্য..??""

"" জানি সে ব্যাক্তি টা কে তবে তার জন্য আজ আমি তোদের সামনে বেচে আছি"" 

"" মানে! ""

"" আমি যখন আরকে কে বন্দি করতে গিয়েছিলাম তখন আগে থেকে আরকে প্রস্তত ছিলো আমাদের সাথে লড়াই করার জন্য , দু পক্ষের মধ্যে যখন লড়াই চলছিলো তখন পিছুন থেকে আরকে আমাকে শুট করে পরাপর দুটো তৃতীয় শুট করার পূর্বে আরকের পিছুন থেকে আর কের হাতে শুট করে ৷ আমি অন্ধকারে সেই ব্যাক্তির ফেস দেখতে পাইনি ৷""

"" কিন্তু কে সে ব্যাক্তি যে তোর প্রান বাচালো? তাকে খুজে বের করতে হবে মুরাদ ৷ "" বর্ণ ঘড়ি দেখে তাকিয়ে দেখে অলরেডি চারটা বেজে গেছে কিছুক্ষন পর ভোর হয়ে যাবে৷

"" মুরাদ ভোর হতে চল্লো তুই রেস্ট নে আমি বন্যা কে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি ৷ ""

"" ওকে""

৪২!!

দরজা লক করে ছন্দ দ্রুত চেন্জ করে লকারে গান টা রেখে উজু করে নামাজ পরে নিয়ে ল্যাপটপ অন করে পেনড্রাইব লাগিয়ে ফোল্ডারে ঢোকার চেস্টা করে কিন্তু পাসওয়ার্ড লক দেখে ছন্দের মেজাজ বিগড়ে গেল৷ 

"" কি হতে পারে পাসওয়ার্ড..? কোন নাম নাকি সংখ্যা... " ছন্দ কয়েকটা নাম দিয়ে ট্রাই করলো কিন্তু কিছুতেই খুললো না লাস্ট বার ট্রাই করবে এবার যদি পাসওয়ার্ড না মিলে তাহলে সব ক্রাস হয়ে যাবে...ছন্দ ভাবতে লাগলো হঠাৎ দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ পড়লো ছন্দের ছন্দ কি একটা ভেবে 752013 দিয়ে ইন্টার দিতে লক খুলে গেল৷ ছন্দ প্রথম  ভিডিওটা  দেখে হাত পা কাপতে লাগলো ৷ চোখ দিয়ে অঝড়ে পানি পড়ছে ছন্দের.....
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।