আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ০৪ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


বন্যা  তার ভাইয়ের কথা শুনে হ্যা করে তাকিয়ে আছে ৷ বন্যা এতো বছরে বুজতে পারলো তার ভাইয়ের এতোটা পাল্টে যাওয়ার কারন আর এই কারন টা তার-ই বেস্টু ছন্দ ৷ তবে বন্যার এটা ভেবে ভালো লাগছে ছন্দ হয়তো বার সুখি হবে ৷ হয়তো ওর সুখ  ওর ভাই ৷ 

বন্যা একগাল হাসি নিয়ে হাসি নিয়ে বসা থেকে উঠে দারিয়ে বর্ণ কে জরিয়ে ধরে.......

" থ্যাংকিউ সো ম্যাচ ভাইয়া থ্যাংকিউ আমার বেস্টুর লাইফে আসার জন্য এবার হয়তো মেয়েটা তোমার হাত ধরে সুখের মুখ দেখবে৷"

বন্যার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বর্ণ বলল" এখন থ্যাংক্স জানাতে হবে না তোকে যখন তোর বেস্টুকে এই চৌধুরী বাড়িতে তোর ভাবি বানিয়ে নিয়ে আসতে পারবো সে দিন দিস৷ "

" ওকে ভাইয়া.."

বন্যা বর্ণের রুম থেকে বেরিয়ে যায় ৷ 

১২!!

পরের দিন ছন্দ ফজরের আজান শুনে উঠে পরে ৷ উজু করে নামাজ পড়ে নিয়ে ছাদে চলে যায়৷ ভোর বেলার এমন শীতল নির্মল সিগ্ধ হাওয়া বার বার ছন্দ কে ছুয়ে দিচ্ছে ৷ আর প্রতিবার ছন্দ আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে ৷ 

চারিদিকে সূর্যের মিষ্টি আলো ছড়িয়ে পড়েছে ৷ এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে ছন্দের মাঝে ৷ আবার মাঝে মাঝে কিছু একটা মিস করছে ছন্দ ৷ কিন্তু সেটা কি তা ছন্দ বুজতে পারছে না ৷ 

সূর্যের কিরন বেরে যেতে ছন্দ নিজের রুমে চলে আসে৷ রুমে আসতে ছন্দের মাথাটা ভিষন ভার হয়ে আসে ৷ ব্যাথা অনুভব করছে ছন্দ ৷ ছন্দ গতকাল রাতে ভাইয়ের নিয়ে আসা মেডিসিন থেকে দুটো মেডিসিন নিয়ে খেয়ে ফেলে ৷ মেডিসিন নিয়ে ছন্দ আবার ঘুমের তলদেশে হারিয়ে যায়৷ ছন্দের ঘুম ভাঙে তার ভাবির গলা পেয়ে...

"" ছন্দ বোন এখনো উঠছো না কেন? তোমার তো ভার্সিটিতে যেতে হবে ৷ ডাইনিং টেবিলে বাবা মা আর তোমার ভাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে""

"" উঠছি ভাবি ""

" হ্যা ওঠো আর ঝটপট রেডি হয়ে নিয়ে নিচে নেমে এসো""

" ওকে আমার কিউট ভাবি"" ছন্দ রুনা কে জরিয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷

"" পাগলি একটা "" রুনা ছন্দের রুম থেকে বের হতে যাবে এমন সময় ছন্দের পড়ার টেবিলের উপর নজর যায় ৷ টেবিলের উপর মেডিসিন গুলো  ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে৷ রুনা কৌতুহল বসত এগিয়ে যায় টেবিলের দিকে , বলা বাহুল্য রুনা একজন ডক্টর কিন্তু কাব্যর সাথে বিয়ে হওয়ার  পর কাব্য বাধ্য করে রুনা কে তার প্রফেশন থেকে সরে আসতে৷ কাব্য একজন সফল বিজনেসম্যান হলেও তার ভাবনা চিন্তা খুব ছোট ধরনের যেমন স্বামীর থেকে স্ত্রী বেশি উন্নতি করলে পরবর্তীতে সে তার স্ত্রীর থেকে নিচে নেমে যাবে বা সে তাকে সন্মান করবে না ৷ ভালোবাসবে না ৷ রুনা কাব্য কে ভালোবাসে বিধায় তার সব কথা মেনে নেয়৷ হোক না সেটা নিজের স্বপ্ন কে কবর দিয়ে৷ 

রুনা মেডিসিন গুলোর নাম দেখে চমকে যায়৷ ঝটপট মেডেসিন গুলো নয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে কেউ দেখার আগে৷ 

ছন্দ ফ্রেস হয়ে একে বারে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে ৷ নিচে নেমে ঠোটের কোনে মুচকি হাসি ফুটিয়ে তোলে...

"" গুড মরনিং মাই প্রিন্সেস ""(সাব্বির আহাম্মেদ )

"" গুড মরনিং আব্বু""

"" ছন্দ আজ একটু তারাতারি বাড়ি ফিরে আসিস তো ৷ তোকে সাথে নিয়ে বউমাকে নিয়ে হসপিটালে যাবো বিকেলে সিরিয়াল পরেছে৷""(কিয়ারা বেগম)

"" আচ্ছা আম্মু আমি আগে চলে আসবো৷ কিন্তু ভাবি কোথায় ? ভাবিকে দেখছি না কোথাও?""(ছন্দ)

"" হয়তো রুমে রেস্ট নিচ্ছে চিন্তা করিস না বউমাকে আমি আগে-ই খাইয়ে দিয়েছি৷""

"" ওহ আচ্ছা ""

"" বনু ঝটপট খেয়ে নে আজ আমি তোকে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিবো ""

"" ওকে ভাইয়া""

১৩!!

" হ্যালো হ্যা আমি বলছি, তোকে কিছু ছবি পাঠাচ্ছি তুই মেডেসিন গুলো ভালো করে দেখে এর সাইড ইফেক্ট গুলো  প্লিজ আমাকে জানা ইট'স আর্জেন্ট""(রুনা)

কথাটা বলে কল ডিসকানেক্ট করে দেয় রুনা৷ চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ৷ রুনা মেডেসিন গুলো চুপিসারে ছন্দের টেবিলের উপর রেখে আসে যেমনটা আগে ছিলো৷ 

"" আল্লাহ আমি জানি না আমার শ্বশুর শাশুড়ী আমার স্বামী কি লুকাচ্ছে আমার কাছ থেকে আর ছন্দ সে তোর তাদের মেয়ে তাহলে ওর সাথে ... না রুনা তুই মন গড়া কোন কাহিনি বানাস না সবটা আগে যেনে নে তারপর না হয় ডিসিশন নিবি" রুনা নিজের মন বুঝাতে ব্যাস্ত তখনি রুনার ফোনটা বেজে ওঠে ৷ রুনা দ্রুত কল টা রিসিব করে কানে ধরে...

"" নায়মা জানতে পেরেছিস কিছু?"(রুনা)

"" কি যে বলিস রুনা আমি জানবো না ৷ আমার কাজ-ই তো মেডেসিনের ৷ যাই হোক আমি যা বলছি তা মনোযোগ দিয়ে শোন ৷ যে মেডেসিন গুলোর পিক আমাকে দিয়েছিস সে গুলো সব হাই কোয়ালিটির  ড্রাগ'স এই ড্রাগ'স গুলো যাকে দেওয়া হবে সে কয়েকদিনের জন্য তার অতিত ভূলে যাবে বাট মোস্ট ইমপটেন্ড কথা হচ্ছে এই মেডেসিন গুলো তাদের দেওয়া হয় যারা কোন ভাবে তাদের স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে তাদের মেডেসিন গুলো দেয় যাতে অতিত যেন সে মনে করতে না পারে৷ "

রুনা নায়মার কথা শুনে ধপ করে বিছানায় বসে পরে ৷ 

"" হ্যালো হ্যালো রুনা তুই কি শুনতে পাচ্ছিস?"

"" হ,,হ্যা নায়মা আ,,আমি তোর সাথে পরে কথা বলছি" কাপা কাপা গলায় কথা গুলো বলে কল ডিসকানেক্ট করে দেয় রুনা...

" ছিঃ মানুষ এতোটা নিকৃষ্ট হলে এমন কাজ করতে পারে? নিজের মেয়ের সাথে এমনটা কি করে করতে পারে এরা? নাহ এবার আমাকে এর শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে ৷ ওহ হ্যা নায়মা কি যেন বলছিলো অতিত যেন মনে করতে না পারে তাই এই ড্রাগ'স দেওয়া হয় কিন্তু ছন্দের অতিত টা কি? ওর কি কখনো এক্সিডেন্ট হয়েছিলো? নাহ এগুলো আমাকে জানতে হবে সেটা যে করে হোক.."  

রুনা একটু দম নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়৷ ইদানিং প্রেগনেন্সির জন্য শরীলটা বড্ড দূর্বল লাগে রুনার না চাইতেও দুচোখ বুজে আছে ৷ গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় রুনা৷

১৪!!

কাব্য ছন্দ কে ভার্সিটির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ৷ গেটের সামনে বন্যা দারিয়ে ছন্দের জন্য অপেক্ষা করছিলো ৷ ছন্দ কে গাড়ি থেকে নেমে এদিকে আসতে দেখে বন্যা ছন্দের কাছে গিয়ে ছন্দ কে জরিয়ে ধরে বলে" আ'ম স্যরি ছন্দ ৷"

"" স্যরি ফর ওয়াট বন্যা বেপি?"

" গতকাল... "বাকিটা বলার আগে ছন্দ বন্যাকে থামিয়ে দিয়ে বলে 
" গতকালের কথা আমি ভূলে গেছি বন্যা এখন প্লিজ ওই সব নিয়ে কথা বলিস না আমার ভালো লাগছে না৷"

" ওকে ফাইন , তাহলে ভিতরে চল তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে"

"" রিয়েলি বাট কিসের সারপ্রাইজ ?"

" ভিতরে গিয়ে দেখতে পাবি চল এখন..""

বন্যা ছন্দের চোখ জোড়া রুমাল দিয়ে বেধে দিয়ে হাত ধরে ভিতরে ভর্সিটির পিছুনে বড় পুকুরটার পাশে বটতোলায় সামনে নিয়ে এসে দার করায় বন্যা...

"" বন্যা কোথায় নিয়ে আসলি আমায় আর চোখের বাধন তো খুলে দে এবার""

"" ওহ হ্যা দিচ্ছি ওয়েট..."

বন্যা ছন্দের চোখের বাধন খুলে দেয় ৷ ছন্দ চোখ মেলে চারিদিক তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়৷ চারিদিকে গোলাপের পাপড়ি বেলুন ছড়িয়ে আছে ৷ পুকুরের পানিতে ভাশমান প্রদিপ তার চারিদিকে পদ্মফুল ৷ অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷ হঠাৎ করে গিটারের আওয়াজ শুনতে পেল ছন্দ ৷ এই গিটারের টিউন শুনে ছন্দের কেন যেন খুব চেনা চেনা লাগছে ৷ মাঝে মাঝে ছন্দের মাথায় আবছা কিছু ছবি ভেশে ওঠে ৷ আর তখনি সেই অহ্যকর মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়৷ আর আজ এই গিটারের টিউন শুনে ছন্দের একি অবস্তা হলো৷ তবুও ছন্দ সেই সুর শুনে চারিদিক খুজতে লাগলো সে মানুষটিকে যে গিটার বাজাচ্ছে৷ হঠাৎ কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে পিছুনে ফিরে তাকাতে বর্ণের বুকে হেলে পড়লো ছন্দ......

জ্ঞান ফিরতে ছন্দ মাথা ধরে উঠে বসে ৷ আশে পাশে তাকিয়ে বুজতে পারলো এটা হসপিটাল ৷ হঠাৎ নার্স ছন্দের জ্ঞান ফিরে আসতে দেখে দৌরে কেবিনের বাইরে চলে যায়৷ তার একমিনিটের মাথা বন্যা কে কেবিনে ঢুকতে দেখে ছন্দ...

"" তুই এখন ঠিক আছিস ছন্দ? এখন কেমন লাগছে?""(বন্যা)

"" আমি এখন একদম ঠিক আছি কিন্তু আমি এখানে কি করে আসলাম আমি তো ভার্সিটিতে ছিলাম?""

"" থ্যাংকস গড ছন্দের তাহলে ভাইয়াকে মনে নেই ৷ বেশ ভালো হলো নাহলে এখন অনেক প্রশ্নের উওর দিতে হতো আমার মতো কিউট বাচ্চা শিশুকে""(মনে মনে)

"" কি হলো গাধী বলছিস না কেন আমি এখানে কেন?"

"" কারন তুই ভার্সিটিতে থাকা কালিন সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলি"" 

"" কিন্তু..""

"" হুস এতো কথা কি করে বলতে পারিস ছন্দ ৷ এখন চুপচাপ রেস্ট নে বাকি কথা পরে হবে৷ (ভাইয়া কে খবর টা দিতে হবে ) আমি ডক্টরের সাথে কথা বলে আসছি"

ছন্দ কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল বন্যা৷ করিডরে এসে ভাইয়ের এমন উস্কখুস্ক চুল ভয়ে শুকিয়ে যাওয়া মুখটা দেখে বন্যার বুকের ভেতর মোজচর দিয়ে উঠলো.." আমার ভাইয়া ছন্দ কে এতোটা ভালোবাসে যে মাত্র দু-ঘন্টায় নিজের চেহারার এই হাল করলো.." মনে মনে কথা গুলো বলতে লাগলো বন্যা..

বন্যাকে আসতে দেখে বর্ণ ছুটে আসে বন্যার কাছে..

"" ভাইয়া তুই কিছু জ্বিগাসা করার আগে আমি তোকে বলছি চিন্তা করার কিছু নেই ছন্দ একদম ঠিক আছে ৷ আসলে মাথায় একটু বেশি চাপ নেওয়ায় সেন্সলেস হয়ে গেছে৷"

"" সত্যি বলছিস তো? "

" তোর কেন মনে হলো আমি মিথ্যে বলছি ভাইয়া? তুই তো আলাদা করে ডক্টরের সাথে কথা বলেছিস তাহলে এখন কেন এতো টেনশন করছিস?""

"" বুজবি না তুই ৷ টিয়াপাখির সেন্স ফিরেছে?"

"" হুম কিছুক্ষণ হলো সেন্স ফিরেছে৷"" 

" আমি ওর সাথে দেখা করবো ""

"" কিন্তু!"
" কোন কিন্তু না বন্যা আমি টিয়াপাখির সাথে দেখা করবো৷"

" ওকে আমি কেবিনের লাইট টা অফ করে দিসি ৷ বাহিরের হালকা আলোয় তোকে ওকে দেখতে হবে রাজি"

"" হামম""

১৫!!

বন্যা খুব সাবধানে ছন্দের আড়ালে লাইট টা অফ করে দেয় ৷ ছন্দ চোখ বুজে থাকায় আলো না থাকায় টের পায়না৷ বর্ণ নিঃশব্দে ভিতরে ঢুকে ছন্দের কপালে আলতো করে ঠোটের স্পর্শ দিয়ে বেরিয়ে আসে৷ সাথে সাথে বন্যা লাইট অন করে বেরিয়ে যায়৷

কপালে স্পর্শ পেয়ে ছন্দ চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে পুরো কেবিন খালি ৷ ও ছাড়া আর কেউ নেই তাহলে কে স্পর্শ করলো ওকে নাকি সবটাই মনের ভূল? দ্বিধায় পড়ে যায় ছন্দ... 

ছন্দের ভাবনার মাঝে বন্যা কেবিনে প্রবেশ করে ৷ 

"" ছন্দ বেবি তোর ডিসট্রাস হয়ে গেছে ৷ রেডি হয়ে নে তোকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসবো আমি...""

ছন্দ উঠে রেডি হয়ে নেয়৷ বন্যা ছন্দ কে ধরে গাড়িতে বসিয়ে দেয়৷ বন্যা নিজে ড্রাইব করে ছন্দ কে বাড়িতে নামিয়ে দেয়৷

" ভিতরে চল সবার সকথে দেখা করে আসবি ৷ কখনো তো আমাদের বাড়িতে আসলি না"(ছন্দ)

"" আজ না জানু অন্য কোন দিন আসবো ৷ তুই ভিতরে যা""

ছন্দ আরো কিছুক্ষন বন্যা কে ভিতরে যাওয়ার জন্য জোর করে কিন্তু বন্যা রাজি হয়না ৷ কারন বর্ণ আগে-ই বন্যাকে এবাড়িতে যেতে বারন করেছিলো৷ আজ যদি বর্ণ বারন না করতো তাহলে ছন্দের এতো জোড়াজুরি করার কোন প্রয়োজন পড়তো না৷ 

বন্যা ছন্দ কে বিদায় দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দেয়৷ 
.
.
.
বর্ণের হাতে ইলেকট্রিক করাত ,বর্ণ করাত একবার অন করছে তো একবার অফ করছে ৷ সামনে সেই লোক টি বর্ণের পা ধরে বসে আছে ৷ 

" বস আমি সত্যি বলছি আমি ওই লোকটিকে চিনি না শুধু ফোনে-ই যোগাযোগ করে আমার সাথে.."(অচেনা লোকটি)

"" আর টাকা গুলো কি ভাবে দিয়েছে?""

"" বস টাকা গুলো একটা ব্যাগে ভরে ড্যাসবিনে ফেলে যায় আর আমি সেটা তুলে নি"" 

বর্ণ  করাতটা ইলেকট্রিক অন করে লোকটির গলায় চেপে ধরে সাথে সাথে লোকটার মাথাটা দুরে ছিটকে পড়ে৷ 

মিহির দূরে দারিয়ে সবটা দেখছে ৷ তার বস যে কেন এমনটা করছে এটা মিহির কিছুতেই বুজতে পারছে না ৷ পুরো সাইকোর মতো বিহেব করছে ৷
মিহির ভয়ে ভয়ে বর্ণের দিকে পানির বোতল নিয়ে এগিয়ে......
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।