আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ০৭ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


মিলন ছন্দ কে যে রুমে রাখা হয়েছে সে রুমে চলে যায়৷ 

"" বাহ সত্যি দুইটাই খাসা মাল ৷ বস আসার আগে এটাকে একটু চেকে দেখলে মন্দ হয়না ৷"" 

মিলন ছন্দের গায়ের ওরনার দিকে হাত বারাতে কেউ একজন খুব শক্ত করে মিলনের হাত চেপে ধরে ৷ মিলন রেগে সেই হাতের মানুষ টার দিকে তাকাতে মিলনের ভয়ে রুহু কেঁপে ওঠে.....

"" তু,, তুই এখানে ব,,বর্ণ?" বর্ণের রক্ত চক্ষু দেখে ভয়ে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না মিলনের..

"" কুকুকের বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় আমার কলিজাকে টার্চ করার.."" কথাটা বলে বর্ণ এক হাত দিয়ে মিলনের হাত পিছুন দিকে মুরে ধরে তো অন্য হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে৷ 

"" বল তোর সাহস কি করে হয় আমার বোন আর ওকে তুলে আনার ? অনেক বেরেছিস আর না .."" 

২৩!!

বর্ণ মিলনের হাত পিছুন থেকে খেঙে দেয় যে হাত দিয়ে ছন্দ কে ছুতে চাইছিল৷ অন্যদিকে মুরাদ মিলনের বস কে বেধরক পিটিয়ে বর্ণের পায়ের কাছে ফেলে ৷ 

"" আকরাম তুই.. তুই আমার কলিজাদের তুলে এনেছিস তোর এতোবড় সাহস..""প্রচন্ড রেগে বললো বর্ণ ৷ বর্ণের এই রাগ দেখে আকরামের কলিজার পানি শুকিয়ে গেছে ৷ আকরাম জানে ওর খেলা শেষ ওকে মরতে হবে বর্ণের হাতে তবুও আকরামের মুখে হাসি এটা দেখ বর্ণের রাগ যেন আকাশ সমান হয়ে গেল৷ 

"" আয়াত চৌধুরী বর্ণ কি ভাবছিস মৃত্যুর পূর্বে আমার মুখে হাসি কেন ? কারন টা সিমপিল কারন আমার মৃত্যুর সাথে সাথে তোর মৃত্যুর ঘন্টা বেজে যাবে ৷ সে মৃত্যু আর কেউ নয় বড় ভা... " বাকি বলে আর শেষ করতে পারলো না কারন বর্ণের গানের সব বুলেট আকরামের মুখ ছিদ্র করে বেরিয়ে গেছে ৷ 

--"মুরাদ এটা কে (মিলন ) নিয়ে যা ওর স্পেশাল ট্রিটমেন্ট এর ব্যাবস্তা কর ৷ "

" তা নাহয় করলাম কিন্তু ওদের কি হবে?""

বর্ণ ফোনে কাউকে মেসেজ করার ঠিক পাঁচমিনিট পর দানবের মতো দেখতে পাচজন লোক আসে ৷ বর্ণ মিলন কে নিয়ে যাওয়ার ইশারা করতে লোক গুলো মিলন কে নিয়ে যায় ৷ মিলন ততোক্ষন ভাঙা হাতের ব্যাথায় কাতর কি হচ্ছে বুজতে পারছে না তবে নিজের বসের মৃত্যু দেখে আন্দাজ করতে পারছে বর্ণ কতোটা ভয়ঙ্কর ৷ 

লোক গুলো মিলন কে নিয়ে যাওয়ার বর্ণ বন্যার আগে জ্ঞান ফিরায়....বন্যা চোখ মেলে তাকিয়ে ভাইকে দেখে উঠে জরিয়ে ধরে...

"" কিচ্ছু হয়নি বোনু দেখ সব ঠিক আছে৷" মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো বর্ণ..

"" ভাইয়া ওরা ওরা আমাদের গাড়ি থামিয়ে কিডন্যাপ করে৷""

"" আমি জানি আর দেখ তোর ভাই এসে হাজির ৷""

হঠাৎ বন্যার ছন্দের কথা মনে পরে যায় ৷ 

"" ভাইয়া আমার সাথে ছন্দ ও ছিলো ও কোথায়?ও ঠিক আছে তো?""

"" হুম টিয়াপাখি ও ঠিক আছে ৷ তবে সেন্সলেস হয়ে আছে এখনো , বন্যা তুই মুরাদের সাথে বাড়ি ফিরে যা আমি ততোক্ষন ছন্দ কে দেখছি ৷ ""

"" ওকে বাট ভাইয়া ওর জ্ঞান ফিরানোটা জরুলি ,ধরো আমরা চলে গেলে তুমি ওর জ্ঞান ফিরালে কিন্তু ও চোখ মেলে তাকিয়ে তোমাকে দেখে কিডন্যাপার ভেবে ভূল বুজতে পারে ৷ ভয় পেতে পারে তার চেয়ে ভালো হয় আমি থাকা কালিন তুমি ওর জ্ঞান ফিরাও"" 

বন্যার যুক্তি শুনে বর্ণ অবাক ৷ এতো সুন্দর করে তার বোনটা পুরো পরিস্তিটা বুঝিয়ে দিলো ৷ কি থেকে কি হতে পারে ৷ 

মুরাদ পানির বোতল টা বর্ণের দিকে এগিয়ে দেয় ৷ বর্ণ পানির ছিপি খুলে হাতে পানি নিয়ে ছন্দের চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয় ৷ কিছুক্ষনের মধ্যে ছন্দের জ্ঞান ফিরে আসে ৷ চোখ মেলে তাকিয়ে বর্ণ কে দেখতে পেয়ে ছন্দ ভয় পেয়ে যায় তখনি বন্যা এসে ছন্দ কে জরিয়ে ধরে বলে"" ভয় পাস না ছন্দ আমাদের কোন ক্ষতি হতে দেয় নি আমার ভাইয়া ৷ আমরা এখন সেইভ আছি৷""

"" সত্যি বলছিস তুই""

"" হ্যা সত্যি বলছি বেবি ৷ এখন উঠ এখানে কি সারা জীবন থাকার প্লান করেছিস নাকি ৷ আমাদের বাড়িতে চল বিকেলে তোকে বাড়িতে ড্রপ করে দিবো""

ছন্দের এখন তর্ক করার মটেও ইচ্ছে নেই তাই বন্যার কথা মেনে নিলো 

ছন্দ উঠতে নিলে পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে ৷ বর্ণ এক সেকেন্ড দেরি না করে ছন্দ কে কোলে তুলে নেয়৷ ছন্দ হা করে বর্ণের কান্ড দেখছে ৷ চেনা নেই জানা নেই হুট করে একটা মেয়ে কে কোলে তুলে নিলো? প্রচন্ড রাগ লাগছে ছন্দের ৷ ছন্দ চুপ না থাকতে পেরে বলে উঠলো "" আমাকে নামিয়ে দিন মিস্টার , আল্লাহ আমায় দু খানা পা দিয়েছে আমি হেটে যেতে পারবো৷ "" 

ছন্দের কথা যেন বর্ণের কান পর্যন্ত পৌছায় নি এমন ভাব করে বর্ণ ছন্দ কে নিয়ে গোডাউন থেকে বেরিয়ে এলো ৷ এদিক মুরাদ বন্যা দুজনে মিটমিটিয়ে হাসছে ছন্দের মুখের ভাব ভঙ্গি দেখে ৷ 

বর্ণ ছন্দ কে গাড়ির ফ্রন্ট ছিটে বসিয়ে ছিটবেল লাগিয়ে দিয়ে ড্রাইবিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়৷ আর পিছুনের গাড়িতে মুরাদ বন্যা আসছে৷ ছন্দ বন্যা কে একি গাড়িতে আসতে না দেখে বলতে লাগলো...

"" এই যে মিস্টার বন্যা কোথায়? ""

"" মুরাদের গাড়িতে, " নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললো বর্ণ..

"" ওহ তাহলে আমিও ওই গাড়িতে যাবো ৷"" কথাটা বলে ছন্দ ছিট খুলতে যাবে তখনি বর্ণ স্পিড বাড়িয়ে দিলো ৷ এতো স্পিড দেখে ছন্দের বেশ ভয় লাগছে কলিজা উড়ে যাওয়ার মতো, ভয়ে চোখ মুখ খিচে আছে ছন্দ...

"" ভা,,,ভাইয়া গাড়ির স্পিড প্লিজ কমান আমার ভয় লাগছে"" ভয়ে ভয়ে বললো ছন্দ...

ছন্দের মুখে ভাইয়া ডাকটা শুনে বর্ণ গাড়ি ব্রেক করে ছন্দের দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকায় বর্ণ ...

"" ওয়াট ডিড ইউ সে টিয়াপাখি ?"

"" ব,,বলেছি গাড়ির স্পিড কমাতে""

"" উহু তার আগে কি বলেছিলে?""

"" তার আগে ওহ হ্যা ভাইয়া ব... বাকিটা আর উচ্চারন করতে পারলো না কারন বর্ণ অনেক আগে ছন্দের ওষ্ঠাধর নিজের ওষ্ঠদ্বয়ের আয়ত্তে নিয়ে নেয়৷ ছন্দের দু-চোখ জোড়া ছানাবরা হয়ে গেছে ৷ বর্ণের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে ছন্দ কিন্তু বর্ণের পুরুষালি শক্তির কাছে ছন্দের শক্তি নিমিষে হার মেনে যায়৷ পাঁচ মিনিট পর বর্ণ ছন্দ কে ছেড়ে দেয় ৷ দুজনে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলো৷ বর্ণ আবার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ছন্দের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো"" নেক্টস টাইম ওই মুখ দিয়ে আমাকে ভাইয়া ডাকলে আজ যেটা হলো এটাই রিপিট টেলিকাস্ট হবে মাইন্ড ইট৷ আর হ্যা আমি তোমার ভাইয়া না ছাইয়া  বুজতে পেরেছো৷""

ছন্দ মুখে হাত দিয়ে এখনো ভেবে যাচ্ছে দুমিনিট আগে কি হলো ওর সাথে? প্রথমে কিডন্যাপ তারপর বন্যার ভাইয়ার এই আচরন সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে ছন্দের...

"" ওই ছোট্ট মাথায় এতো জোড় দিয়ো না টিয়াপাখি ৷ কিছু ভাবতে হলে আমি ভাববো তোমাকে ভাবতে হবে না'" 

টিয়াপাখি ডাকটা শুনে হুট করে ছন্দের হার্ড অসম্ভব জোড়ে বিট করতে লাগলো ৷ ব্রেন বলছে এই নামে কেউ একজন তাকে ডাকতো কিন্তু কে সে ৷ ভাবতে ভাবতে ছন্দ বর্ণের দিকে তাকায় বর্ণ এক দৃষ্টিতে ছন্দের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ ছন্দ বর্ণের ব্রাউন কালার চোখের দিকে তাকিয়ে ওর চোখ আটকে গেল৷ ধাড়ালো সেই চাউনি ছন্দের মনে হচ্ছে এই চাউনি দিয়ে ওর মনের ভিতর টা পড়তে পারছে ৷ অসীম গভিরতা ওই চোখে তাকালে যেন সেই গভিরতায় হারিয়ে যায়৷ চোখ সরিয়ে ফেলে ছন্দ আর সাথে সাথে হেসে ফেলে বর্ণ৷ বর্ণ বুজতে পারছে ওকে দেখে ছন্দের মনে কিছু একটা হচ্ছে কিন্তু সেটা ছন্দ বুজতে পারছে না ৷ 

হুট করে ছন্দ বর্ণ কে বলে উঠলো "" টিয়াপাখি কে?"

"" বাড়ি এসে পড়েছি নামো" ছন্দের প্রশ্ন ইগনোর করে বর্ণ এতে ছন্দের মন খারাপ হয়ে যায় ৷ ছন্দ গাড়ি থেকে নেমে দারাতে পরে যেতে নেয় তখনি বর্ণ ছন্দের কোমর জরিয়ে ধরে..

"" বি কেয়ার ফুল পরে যেতে তো এখুনি""

"" তাতে আপনার কি? ছারুন আমায় আমি একাই যেতে পারবো""

বর্ণ বুজতে পারলো ছন্দের অভিমান তখন প্রশ্নের উওর না দেওয়ায় তার টিয়াপাখি অভিমান করেছে৷ বর্ণ টেডি স্মাইল দিয়ে ছন্দ কে কোলে তুলে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে থাকে৷ ছন্দের কোন কথাই বর্ণ শুনছে না৷ 

"" এক দিনিট একমিনিট আমি কেন এতো মন খারাপ করছি ? টিয়াপাখি কে এটা না বলায় আমি কেন মন করবো কে হয় উনি আমার ভাইয়া...?" মনে মনে কথা গুলো ভাবতে ভাবতে নিজের মুখ চেপে ধরে ছন্দ কারন মনের ভূলে আবার সেই একি ভূল করে ফেলেছে ছন্দ ভাইয়া ডেকে..

"" ভাগ্যিস মনে কথা এই বিলাই ব্যাটা শুনতে পায় না নাহলে আবার তখন কার মতো ছিঃ ছিঃ ছিঃ "" (মনে মনে)

বর্ণ ছন্দ কে নিয়ে সোজা নিজের রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়৷ পিছু পিছু বন্যা মুরাদ দুজনে আসে কিন্তু বর্ণ যখন ছন্দ কে নিজের রুমে নিয়ে যায় তখন মুরাদ বন্যা দরজার কাছে দারিয়ে ফিরে যায়৷ 

"" মুরাদ ভাই আপনি গেস্ট রুমে গিয়ে রেস্ট করুন ৷ আমি মমের সাথে দেখা করে আসছি৷"" কথাটা বলে বন্যা চলে যায় আর মুরাদ বন্যার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে গেস্ট রুমের দিকে চলে যায়৷

২৪!!

বর্ণ ছন্দ কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেস হয়ে বের হয়৷ ততোখনে পুরো রুম স্কান করা শেষ ছন্দের৷ বর্ণ ছন্দের সামনে আসতে ছন্দ প্রশ্ন করে"" আমাকে আপনার রুমে নিয়ে এসেছেন কেন? বন্যার রুমে কেন নয়?""

"" কারন আমার ইচ্ছে ""

"" ওয়াট আপনার ইচ্ছে , দেখুন আপনি বন্যার ভাই বলে রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলছি কিন্তু এর মানে এই নয় আপনি যা তা করে যাবেন"" নিচের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো ছন্দ..

"" ওহ রেইলি তা ঠিক কি কি যা তা করেছি আমি শুনি?"" ঠোটের কোনে দুষ্টুমি মাখা হাসি নিয়ে ছন্দের দিকে তাকিয়ে বললো বর্ণ..

"" কি করেন নি আপনি তখন গাড়িতে বসে আপনি আমাকে কি.. বলতে বলতে থেমে যায় ছন্দ..""

ছন্দ কে চুপ থাকতে দেখে বর্ণ আবার বলে উঠলো "" কি হলো টিয়াপাখি বলছো না কেন গাড়িতে বসে আমি তোমাকে কি? ওয়ার্ট কম্পিলিট করো ?"

ছন্দ এবার প্রচন্ড লজ্জা পেল ৷ 

"" শালা বিলাই ব্যাটা ইচ্ছা করে আমাকে লজ্জা দিচ্ছে ৷ শালা চেনা নাই জানা নাই একটা মেয়েকে কিস করে বসলো ওয়াট মাই লাক " প্রথম কিস ,প্রথম ছোয়া, তাও এভাবে ছিঃ" 

ছন্দ বিছানা থেকে উঠতে নিলে বর্ণ ছন্দের হাত ধরে আটকে দিয়ে হাটু গেরে নিচে বসে ছন্দের ব্যাথা পাওয়া পা টা ধরে সাথে সাথে ছন্দ চেচিয়ে ওঠে"" এই কি করছেন কি ? আপনি আমার পায়ে হাত দিচ্ছেন কেন ? আপনি না আমার বড় ৷ বড়দের এভাবে ছোটদের পায়ে হাত দিতে নেই ৷ প্লিজ ছাড়ন ৷ "" ছন্দের কথা বলার মাঝে বর্ণ ছন্দের পায়ে মোচর দিতে ছন্দ বর্নের শার্ট খামচে ধরে ...

"" ডান টিয়াপাখি ""

বর্ণের মুখে যতোবার টিয়াপাখি ডাকটা শোনে ঠিক ততোবার হৃদয়ে শীতল হাওয়া বয়ে যায় ৷ এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে কিন্তু কেন ? আজ-ই তো প্রথম বিলাই চোখ ওয়ালা ব্যাটা কে দেখলো কিন্তু মনে হচ্ছে এটাই ওদের প্রথম দেখা না এর আগেও ওদের ভিতর দেখা হয়েছে কথা হয়েছে আর ও খুব ভালো করে ওকে চিনে...

বর্ণের কথায় ছন্দ ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে আসে৷ 

"" কিহ হলো টিয়াপাখি কি ভেবে যাচ্ছো তখন থেকে?"

"" কিছুনা"" কথাটা বলে ছন্দ বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ৷ বর্ণ ছন্দের এই অবস্তা দেখে জোড়ে জোড়ে হেসে ফেলে...

মিসেস চৌধুরী বর্ণালি চৌধুরী বর্ণের রুমের দিকে আসছিলেন ছন্দ কে দেখতে ৷ কতো বছর পূর্বে মেয়েটাকে দেখেছিলো আর আজ দেখবে ৷ বন্যা যখনি রুমে এসে সব টা বললো তখন ছন্দ দেখার লোভ টা সামলাতে পারলো না কারন মেয়েটা তার একমাত্র ছেলের কলিজা ৷ মিসেস বর্ণালি রুমের সামনে এসে দারাতে বর্ণকে হাসতে দেখে ৷ গত চার বছরে আজ প্রথম বর্ণ কে হাসতে দেখলো মিসেি বর্ণালি৷ চোখের কোনে জল চিক চিক করছে মিসেস বর্ণালির তার ছেলেকে এতো বছর পর হাসতে দেখে৷  
.
.
.
ছন্দ রুম থেকে বের হয়ে যেন হারিয়ে গেছে যেমনটা বাচ্চা কালে মেলায় হতো হাত ছুটে গেলে হারিয়ে যেত ঠিক সে অবস্তা হয়েছে ছন্দের ৷ বাড়িতে এতো গুলো যে কোন টা বন্যার রুম এটাই বুজতে পারছে ৷ 

"" ওয়াট মাই লাক এখন কি করি ধুর এতো বড় বাড়ি কেউ বানায় যাতে মানুষ হারিয়ে যায় ৷ এর থেকে তো আমাদের বাড়িটা ভালো এর থেকে ছোট্ট আর হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই ৷ হু" 

ছন্দ হাটতে হাটতে ভাবলো বর্ণ কে জ্বিগাসা করবে ৷ তাই ছন্দ পিছুনে ফিরতে গেলে কারোর সাথে ধাক্কা খায় ৷ তাকিয়ে দেখে মাঝবয়সি একজন মহিলা দেখতে বেশ সুন্দরী মুখে একটা আভিজাত্যের ভাব ৷ দেখে বোঝাই যাচ্ছে কম বয়সে আগুন সুন্দরী ছিলো৷ কিন্তু এই ভদ্র মহিলাটা কে? আগে যদি কখনো এবাড়িতে আসতো তাহলে চিনতো বাট আজ কেই নতুন... ছন্দের ভাবনার মাঝে মহিলাটা ছন্দ কে জরিয়ে ধরে৷ ছন্দের কেন যেন এই ছোয়াটা ভিষন চেনা চেনা লাগছে...

"" কেমন আছিস মামুনি ?""

"" আন্টি আমি কি আপনাকে চিনি?""
ছন্দের প্রশ্ন শুনে মিসেস বর্ণালি নিজের ইমোশন কে কন্ট্রোল করে ভারি গলায় বলে উঠলো "" না, তুমি কে আর এখানে কি করছো?""

ছন্দ মিসেস বর্ণালির আচরন বুঝে উঠতে পারছে না ৷ ছন্দ কিছু বলতে যাবে তখনি বন্যা এসে হাজির হয়"" মম তোমাকে আমার বেস্টুর কথা বলেছিলাম না এই সে ওর নাম ছন্দ, সুবহা জাহান ছন্দ...""

"" আচ্ছা তোমরা গিয়ে রুমে রেস্ট নেও আমি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসছি""

"" ওকে মম" বন্যা দ্রুত ছন্দের হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে গেল৷ 

২৫!!

বর্ণ জামা কাপড় পাল্টে নিয়ে নিচে ড্রইং রুমে এসে বন্যা ছন্দ দুজনের একজন কে না দেখতে পেয়ে বুজতে পারে বন্যার রুমে দুজনে... মিসেস বর্ণালি চৌধুরী বন্যা আর ছন্দের জন্য  নাস্তা না নিয়ে গরুর মাংস দিয়ে বিরয়ানি রান্না করে ৷ দুজনের জন্য নিয়ে যায়৷ বর্ণ ড্রইংরুমে ছিলো ৷ মিসেস চৌধুরী কেোদেখে বলতে লাগলো.."" মম ড্যাড কোথায়?""

"" কোথায় আর থাকবে অফিসে আছে ""

"" মম তুমি টিয়াপাখির খেয়াল রেখো আমি একটু বাইরে যাচ্ছি ৷""

"" কোথায় যাচ্ছিস ? যেখানে যা খেয়ে যাবি""

"" মম আমি যাবো আর আসবো প্লিজ এসে না হয় খাবো ততোক্ষন তোমার মেয়ে আর বউমাকে দেখে রেখো""

বর্ণালি কে আর বলার সুযোগ না দিয়ে বর্ণ বেরিয়ে পরে...

"" যাহ বাবা ছেলেটা না খেয়ে ঠিক বেরিয়ে গেল ৷ ধুর বাপ ছেলে কেউ আমার কথা শুনে না"" রাগে গজ গজ করতে করতে খাবারের ট্রে নিয়ে উপরে বন্যার রুমে চলে গেল৷
.
.
.
মিলনের গালে ছুড়ি দিয়ে স্লাইট করছে বর্ণ ৷ বর্ণের ভয়ঙ্কর রুপ দেখে মিলনের প্রান পাখি উড়ে যাওয়ার অবস্তা ৷ মিলনের সামনে নানা কালেকশনের অস্ত্র সস্ত্র ছড়িয়ে আছে ৷ বর্ণ এক এক করে সেই সব অস্ত্র দেখছে আর মিলনের হাতে মুখে স্লাইট করছে ৷ পাশে মিহির দারিয়ে সবটা দেখছে ৷ মিহির বুজতে পারছে না তার বস কি করতে চাইছে ৷ কিন্তু যাই করুক ন কেন আজ আবারও কোন এক ভয়ঙ্কর খেলা খেলবে বর্ণ ৷ এটা ভেবে-ই মিহিরের হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে ৷

মিহিরের ভাবনার মাঝে বর্ণ.......
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।