আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ০৯ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


কাব্য দরজার বাইরে কাউকে না দেখতে পেয়ে নিজের মনের ভূল মনে করে নিজের রুমে  যাওয়ার  জন্য পা বাড়াতে  কিছু একটা পড়ার শব্দ পেয়ে থেমে যায় কাব্য ৷ শব্দ টা কোথা থেকে এসেছে তা আন্দাজ করে স্টাডি রুমের পাশে ছোট্ট স্টোর রুমের সামনে গিয়ে কাব্য থেমে যায় ৷ হাত পা কাপতে থাকে কাব্যের.....

২৭!!

হসপিটালের করিডরে পাইচারি করছে কাব্য একঘন্টা আগে রুনা কে ওটিতে নিয়ে গেছে এখনো কোন খবর পাইনি কাব্য৷ ছন্দ টেনশনে বসে বসে হাতের নখ কেটে যাচ্ছে এদিকে সাব্বির আহাম্মেদ দম মেরে বসে আছে ৷ চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রচন্ড টেনশনে আছে তবে রুনাকে নিয়ে নয় ৷ টেনশন হচ্ছে কে আড়াল থেকে ওদের কথা শুনেছে ৷ কাব্য রুনাকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে দিকবিদিক শূন্য হয়ে পড়ে দ্রুত সাব্বির আহাম্মেদ কে ডেকে আনে ৷ কাব্যের চেচামেচিতে ছন্দ আর কিয়ারা বেগম ছুটে আসে ৷ রুনা কে ওই অবস্তায় দেখে ছন্দ কিয়ারা বেগম   স্তব্ধ হয়ে যায় ৷ কাব্য রুনা কে কোলে তোলে দ্রুত গাড়ি করে হসপিটালে নিয়ে আসে৷ গাড়িতে আসতে আসতে কাব্য সাব্বির আহাম্মেদ কে সবটা জানায়৷ সেই থেকে সাব্বির আহাম্মেদ চিন্তায় পড়ে গেছে৷ কিছুক্ষন পর ওটি থেকে ডক্টর বেরিয়ে আসে৷ 

"" ডক্টর রুনা কেমন আছে আর আমার বাচ্চাটা বেচে আছে তো?""(কাব্য)

"" জ্বি আল্লাহর রহমতে মা বাচ্চা দুজনে ঠিক আছে৷ তবে এখন থেকে মা বাচ্চার এক্সট্রা কেয়ার করতে হবে৷  আর সম্পূর্ন বেড রেস্ট ৷ হাটা হাটি করা যাবে না৷""(ডক্টর)

 "" ওকে ডক্টর আমি নিজে রুনা আর আমার বাচ্চার যত্ন নিবো""

"" ওকে আজ পেশেন্ট কে ওবজার্ববেশনে রাখবো ৷ আপনারা চাইলে আগামিকাল পেশেন্টকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন৷ আর হ্যা একজন থাকতে পারবেন পেশেন্টের সাথে""

"" ওকে ডক্টর আমি থাকবো""

"" না ভাইয়া আমি থাকবো ভাবির সাথে তুমি বাড়ি ফিরে যাও""(ছন্দ)

"" ছন্দ তোকে থাকতে হবে না তুই নিজের খেয়াল-ই ঠিক মতো রাখতে পারিস না ৷ তুই কি করে বউমার খেয়াল রাখবি? এর থেকে ভালো হয় কাব্য বউমার সাথে থাকুক""

ছন্দ আর কিছু বলার সুযোগ পেল না ৷ রুনা কে কেবিনে শিফট করে দেওয়ার পর ছন্দ আর ছন্দের বাবা মা রুনাকে চোখের দেখা দেখে বাড়ি ফিরে যায়৷ 
.
.
.
"" ওয়াট আর ইউ শিওর ?""(মুরাদ)

"" ইয়েস স্যার ""(মিহির)

"" ওকে খবর টা আমি বর্ণ কে এখুনি দিচ্ছি ৷ তুমি সবাই কে রেডি হতে বলো ""

"" ওকে স্যার""

মুরাদ দ্রুত গাড়িতে উঠে গাড়ি স্ট্রাট দেয় ৷ 
.
.
.
ছন্দ একগ্লাস দুধ খেয়ে রুমে চলে যায়৷ সাব্বির আহাম্মেদ রাতে খাবার নিয়ে কাব্য কে দিয়ে আসে৷ ছন্দ মেডিসিন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে৷ 

ছন্দের ঘুমন্ত মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বর্ণ ৷ ছন্দের মুখের উপর  এলোমেলো চুল গুলো সরিয়ে কানের পিঠে গুজে দেয় ৷

"" টিয়াপাখি কবে তোমার সব কিছু মনে পড়ে যাবে ৷ কবে তুমি আমাকে চিনতে পারবে ৷ আমাকে তোমার ভালোবাসার চাদরে জরিয়ে নিবে? আর সহ্য হয়না এতোটা দুরত্ব ৷ ট্রাস্ট মি টিয়াপাখি যে বা যারা তোমাকে আমার থেকে এতোটা দূরে সরিয়ে দিয়েছে ৷ তাদের কে আমি ছাড়বো না ৷ ছাড়বো না তাদের৷ ভয়ানক মৃত্যুর  যন্ত্রণা দিয়ে মারবো৷ আমি জানি টিয়াপাখি তুমি আমাকে খুন করতে দেখে ফেলেছো ৷ আমাকে ভয় পাচ্ছো তুমি ৷ আমি জানি তোমার যেদিন সবটা মনে পড়ে যাবে সেদিন তুমি আর আমাকে ভয় পাবে না ৷ ভালোবাসা দিয়ে জরিয়ে নিবে""

বর্ণ ছন্দের মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলে কপালে আলতো করে চুমু দেয়৷ 

"" টিয়াপাখি আমাকে এখন যেতে হবে ৷ রাঘব বোয়াল ধরতে যাচ্ছি ৷ প্লান মাফিক চললে তাকে তো আমি ধরে ফেলবো ৷ আমি এখন আসছি টিয়াপাখি সাবধানে থেকো মনে রেখো তোমার কোন ক্ষতি হলে তুমি কঠিন শাস্তি পাবে ""

বর্ণ ছন্দের গোলাপি ঠোট জোরায় নিজের ঠোট জোড়া ছুয়ে দিয়ে বেলকনি দিয়ে বেরিয়ে গেল৷ 

২৮!!

বর্ণ যেতে ছন্দ চোখ মেলে তাকিয়ে উঠে বসে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগলো৷ বর্ণ যখন ছন্দের কপালে ঠোটের স্পর্শ দিলো তখনি ছন্দের ঘুম ভেঙে যায়৷ বর্ণের গলা পেয়ে ভয়ে চোখ মেলে তাকায় না ছন্দ ৷ তবে বর্ণের প্রত্যেকটা কথা ছন্দ শুনতে পায়৷ ছন্দ এতোটুকু বুজতে পারে বর্ণ নামের ভয়ঙ্কর লোকটা ওকে আগে থেকে চিনতো হয়তো সে নিজেও চিনতো ৷ কিন্তু বর্ণের কথা অনুযায়ি "তোমার সব টা কবে মনে পড়বে? " এর মানে কি ? 

"" ওই লোকটা কি বলতে চাইছে যে আমি সবটা ভূলে গেছি? "" কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ছন্দ মাথা চেপে ধরে ৷ চোখের সামনে কিছু আবছা ছবি ভেশে উঠছে ৷ ছন্দের মাথা যন্ত্রনায় ছিড়ে যাচ্ছে কোন ছবি স্পষ্ট না ৷ ছন্দ না পেরে মাথা চেপে ধরে বসে থাকে৷ না পারছে ঘুমাতে না সহ্য করতে পারছে এই যন্ত্রনা ৷ 
.
.
.
"" বস সবাই রেডি আছে ৷ ভোর চারটায় ফ্লাইট ল্যান্ড করবে""(মিহির) 

"" বর্ণ আমাদের এখুনি বের হতে হবে অলরেডি দুইটা বেজে গেছে৷""

"" হুম , গাড়ি বের করতে বল আমি রেডি হয়ে আসছি""

বর্ণ দশ মিনিটের মাথায় বর্ণ এসে হাজির হয় ৷ ব্লাক লং কোট চোখে ব্লাক সানগ্লাস , মুখে মাক্স ৷ বর্ণ কে দেখে মুরাদ মিহির দুজনে অবাক ৷ বর্ণ কে একদম চেনা যাচ্ছে না ৷ বর্ণ নিজের BMW কার নিয়ে বেরিয়ে পড়ে পিছু পিছু মিহির মুরাদ আর বাকি লোকজন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে৷ 
.
.
.
গভীর ঘুমে মগ্ন মিস্টার সাব্বির ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় মিস্টার সাব্বিরের ৷ ফোন হাতে নিতে দেখে কাব্যের নাম ফোনের স্কিনে ভেষে উঠছে ৷ ঘুম ঘুম চোখে কল রিসিব করে কানে ধরে সাব্বির আহাম্মেদ ৷ 

"" ড্যাড সে এসে গেছে ""(কাব্য)

কাব্যের কথা শুনে সাব্বির আহাম্মেদ এর ঘুম ছুটে গেছে....

"" কি কি বলছিস কাব্য ? এতো তারাতারি কি ভাবে সম্ভব? ""

"" জানি না ড্যাড কি করে সম্ভব বাট সে এসে গেছে ৷ আমি সকাল সকাল তোমার বউমাকে নিয়ে আসছি তুমি রেডি থেকো বাড়িতে রুনা কে নামিয়ে দিয়ে তুমি আর আমি বের হবো""

"" ঠিক আছে...""

"" রাখছি আমি""

"" জানি না কাল কি হতে চলেছে কোন নতুন ঝড় নিয়ে আসছে এই লোক .....""
.
.
.
পুরো এয়ারপোর্ট ঘিড়ে রেখেছে বর্ণের লোকজন৷ মিলন কে টর্চার করে তাদের বড় ভাই অর্থাৎ তাদের বসের খবর জানতে পারে বর্ণ ৷ তবে তাদের বসের ছবি দেখতে পায়নি বর্ণ তবুও সোর্স লাগিয়ে জানতে পারে তাদের বস আজ রাতে বিডিতে ফিরছে৷ বর্ণ মিলনের থেকে আরো অনেক তথ্য জানতে পারে যেগুলো বর্ণের অজানা ছিলো ৷ বর্ণ ভাবতে পারেনি তার অগোচরে তার কাছের লোকজন এতো টা নোংড়া খেলা খেলবে ওদের সাথে ৷ কথা গুলো ভাবতে বর্ণ রাগে কপালের রগ ফুলে ফেপে ওঠে ৷ রক্ত জবার মতো দুচোখ ৷ যেন এখুনি সেই ব্যাক্তি কে পেলে চোখ দিয়ে ভশ্ম করে দিবে৷ 

Rk আর তার পিএ এপেক এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে কিছু লোক তাকে ঘিড়ে ধরে ৷ প্রথমে Rk বুজতে না পারলেও পড়ে বুজতে পারে ৷ বর্ণ মুরাদ তখন ও RK বা তার পিএ সামনে যায়নি আর না বর্ণ RK মুখ টা দেখেছে ৷ বর্ণ দূর থেকে দেখতে চাইছে RK ঠিক কি করে ৷ বর্ণের ভাবনা সত্যি করে দিয়ে RK তার হাতে থাকা চাবির রিং আঙুলে ঘুড়াতে ঘুরাতে বর্ণের পাঠানো লোকদের ডাবল লোক এসে বর্ণের লোকদের আটকে ফেলে ৷ বর্ণের নির্দেশ মতো তারা ফায়ারিং না করে হার মেনে নেয়৷ 

"" সিলি বয়েস ৷ তোদের বস কে বলে দিবি আর কের সাথে খেলতে হলে তার সমক্ষক হতে হবে নাহলে এই আর কের সাথে লড়তে পারবে না৷ "(আর কে)

আরকে তার স্টাইলে আঙুলে চাবির রিং ঘুড়াতে ঘুড়াতে এয়ারপোর্টের এরিয়া  থেকে বের হয়ে নিজের গাড়িতে উঠে বসে ৷ আর কে চলে যেতে তার লোকজন বর্ণের লোকজনকে ছেড়ে দেয়৷ 

বর্ণ হাতের মুঠ শক্ত করে ধরে আছে৷ রাগে মুখ লাল টকটকে রঙ ধারন করেছে৷ বর্ণের ইচ্ছে করছে আরকে মাটিতে পুতে ফেলতে৷ কিন্তু না নিজেকে অনেক কষ্ট করে শান্ত করলো বর্ণ৷ 

"" বর্ণ এখন কি করবি? আর তুই তো ইচ্ছে করলে এই আর কে টাকে বন্দি করতে পারতি কিন্তু করলি না কেন?""(মুরাদ)

মুরাদের কথা শুনে বর্ণ রহস্যময় হাসি দিলো"" কেন বন্দি করলাম না সেটা না হয় সময় আসলে জানতে পারবি আপাদতো ওদের উপর নজর রাখ ৷ ওদের প্রত্যেকটা মুভ মেন্ট আমার জানা চাই৷""

"" ডান পেয়ে যাবি""

বর্ণ মুরাদ মিহির সাথে বাকিরা ফিরে আসে ৷ 

২৯!!

সকাল দশটায় কাব্য রুনাকে নিয়ে হাজির হয় বাড়িতে ৷ মুন্নি রুনা কে দেখে চিৎকার করে সবাই কে ডাকে ৷ ছন্দ মুন্নির চিৎকার শুনে বুজতে পারলো তার ভাবি এসে গেছে ৷ ছন্দ চোখে মুখে পানি দিয়ে দৌড়ে নিচে নেমে আসে ৷ কাব্য ছন্দের মুখ দেখে ব্রু কুচকে জ্বিগাসা করলো"" কিরে বনু তোর চোখ দুটো এমন লাল ফোলা কেন?""

ছন্দ ইতস্ত করতে করতে বলল" রাতে  ঠিক মতো ঘুম হয়নি তাই ভাইয়া"" 

"" আচ্ছা তোর ভাবিকে রুমে নিয়ে যা আর খাবার খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিস আমি একটু অফিস থেকে ঘুড়ে আসছি৷""

"" আচ্ছা ভাইয়া, ভাবি এখন কেমন আছো ?""

"" আলহামদুলিল্লাহ ভালো ছন্দ , তুমি কেমন আছো?""

"" আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবি , চলো আর কতোক্ষন দারিয়ে থাকবে ৷ রুমে দিয়ে আসি তোমায়৷""

"" হুম চলো ""

"" এক মিনিট , ভাইয়া তুই ভাবি কে কোলে করে রুমে নিয়ে যা ৷ এতো গুলো সিরি ভাঙা ভাবির জন্য মটেও ভালো হবে না""

"" পাকা বুড়ি নিয়ে যাচ্ছি"" কাব্য রুনা কে কোলে করে উপরে নিয়ে যায় ৷ ছন্দ সেই ফাকে কিচেনে গিয়ে তার ভাবির জন্য হটপটে রাখা গরম পরোটা আর মাংস নিয়ে প্লেটে নিয়ে সাজিয়ে ট্রেতে নিয়ে উপরে ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখে কাব্য রুমে নেই৷ খাবারের ট্রে টেবিলের উপর রেখে রুনাকে প্রশ্ন করলো "" ভাবি ভাইয়া কোথায়?""

"" তোমার ভাইয়া আমাকে রুমে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেছে""

"" ওহ এই নেও খাবার টা খেয়ে নেও তারপর মেডেসিন খেতে হবে ৷ উমম না আমি তোমায় খাইয়ে দি বরং"" 

"" আচ্ছা দেও""

ছন্দ যত্ন সহ কারে রুনাকে খাবার টাকে খাইয়ে দিয়ে মেডেসিন খাইয়ে দেয়৷

"" ভাবি এখন রেস্ট করো ৷ আম্মু সকালে বাজারে বেরিয়ে কি সব কেনাকাটি করতে ৷ আসলে তোমার সাথে দেখা করে নিবে ততোখন তুমি রেস্ট করো আমি তোমার পাশে আছি ৷""

রুনা কিছুক্ষন ছন্দের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো .."" ছন্দ তোমার ভাইয়া কে যা খুশি তুমি বোঝাতে পারো কিন্তু আমাকে পারবে না ৷ জানি না গতকাল তোমার সাথে কি কি হয়েছে ৷ কিন্ত যা হয়েছে আমার মনে হয় খুব খারাপ হয়েছে ৷ যেটা তোমার মুখ দেখেই বুজতে পারছি""

ছন্দ আর কিছু বললো না তার ভাবি কে জরিয়ে ধরে কেদে ফেলে ...

"" ডোন্ট ক্রাই বনু কাদে না বলো আমাকে বলো কি হয়েছে তোমার সাথে...?""

ছন্দ আর চুপ থাকলো না গড় গড় করে সবটা বলে দিলো রুনা কে কিডন্যাপ হওয়া থেকে শুরু করে গতকাল রাতে বর্ণের রুমে আসা আর সেই  কথা গুলো...

ছন্দের কথা শুনে রুনার মাথায় পুরনো চিন্তাটা মাথা চারা দিয়ে উঠে ৷ 

"" ছন্দ আমাকে একটু ক্লিয়ার করে বলতে পারবে সেই ছবি গুলো কার যে ছবি গুলো তোমার চোখের সামনে ভেষে ওঠে?""

"" নাহ ভাবি ছবি গুলো অস্পষ্ট আমি নিজেও কনফিউজড""

রুনার হঠাৎ মনে হলো ছন্দ তার রাখা মেডিসিন গুলো খাচ্ছে কিনা ৷ 

"" ছন্দ তুমি ঠিকঠাক মেডিসিন খাচ্ছো তো?""

"" হ্যা ভাবি , তুমি জানো ওই মেডিসিন গুলো খাওয়ার পর থেকে এরকমটা হচ্ছে ৷ আগে কিন্তু হতো না ৷""

""ওহ তার মানে মেডিসিনে কাজ হচ্ছে ৷ কিন্তু তার আগে এই পরিবারের অতিত সম্পর্কে আমাকে খোজ নিতে হবে ৷ কিন্তু কাকে দিয়ে নিবো?" মনে মনে ভাবতে থাকে রুনা হঠাৎ করে তার প্রিয় এক মানুষের কথা মনে পড়ে যায় কিন্তু ছন্দ সামনে থাকায় ফোন করতে পারছে না৷ রুনা ছন্দ কে রুম থেকে বের করার জন্য বলে উঠলো "" ছন্দ আমার না খুব বিরয়ানি খেতে ইচ্ছে করছে তোমার হাতের""

"" আমি এখুনি তোমার জন্য বিরয়ানি রান্না করে নিয়ে আসছি ভাবি কিন্তু প্রমিজ করো তুমি বেড থেকে একদম নামবে না আর কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে বলবে?""

" প্রমিজ করছি মি বেড থেকে একদম নামবো না আর কিছু প্রয়োজন হলে তোমাকে বলবো""

"" গুড গার্ল""

ছন্দ প্লেট আর ট্রে টা নিয়ে দরজা চাপিয়ে নিচে চলে যায়৷ ছন্দ যেতে রুনা ফোন বের করে কাউ কে কল করে....

৩০!!

"" কি বলছো আব্বু রুনা কে সরিয়ে দিবো ? যে আমার সন্তানের মা হতে চলে তাকে সরিয়ে দিবো শুধু মাত্র সন্ধেহের বশে ?""

"" হ্যা দিবে কারন ও ভবিষ্যৎ তে আমাদের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে উঠতে পারে৷""

"" স্যরি বাবা আমি পারবো না এই কাজ করতে আর না...বাকিটা বলার আগে অন্য কারোর কন্ঠস্বর শুনে থেমে যায় কাব্য দরজার দিকে তাকিয়ে দারিয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে ভয়ে ফ্রিজড হয়ে যায় কাব্য..

"" তোমাকে পারতেই হবে মিস্টার মাইমুন আহাম্মেদ কাব্য আর নাহলে.......

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন