বর্ণ আর মুরাদের ড্রিং করার মাঝে একটা লোক ব্রিফকেস নিয়ে হাজির হয় ৷ লোকটাকে দেখে বর্ণের চোখ মুখের রঙ পাল্টে গেল ৷ এদিকে মুরাদ বিষয় টা বুজতে পেরে বর্ণের হাত চেপে ধরে..
"" হ্যালো মিস্টার চৌধুরী ৷ অনেক দিন পর দেখা হলো আমাদের.."" ( সেলিম )
"" হুম অনেক দিন পর তো দেখা হলো মিস্টার সেলিম সিকদার ৷ বাট স্যরি টু সে আজ-ই আমাদের শেষ দেখা ৷" আগুন চোখে তাকিয়ে বললো বর্ণ..
"" মানে আপনি কোথাও কি যাচ্ছেন মিস্টার চৌধুরী ?""(সেলিম সিকদার)
"" নো মিস্টার সিকদার আমি কোথাও যাচ্ছি না আপনি যাচ্ছেন ""(বর্ণ)
"" মানে! আমি কোথায় যাচ্ছি?"
"" বর্ণ এই বেপার টা আমার উপর ছেড়ে দে ৷ আর মিস্টার সেলিম সিকদার অনেক উড়েছেন এবার আপনার পাখনা কাটার সময় হয়েছে ৷ ""
মিস্টার সিকদার কিছু বলার পূর্বে বর্ণের লোকেরা সেলিম সিকদারের মুখে ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে দেয়৷ সাথে সাথে সেলিম সিকদার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷
"" এই আবর্জনা কে গোডাউনে নিয়ে না ""(মুরাদ)
"" ওকে স্যার""
গার্ড সেলিম কে নিয়ে যাওয়ার পর মুরাদ বর্ণের দিকে তাকাতে বর্ণ বলে ওঠে "" এই জানোয়ার টিয়া পাখির ভাইয়ের বিজনেস পার্টনার ৷ এই লোকটা তার সোর্স আমার কোম্পানি লাগিয়ে কন্ফিডেন্টশিয়াল ফাইল চুরি করার চেষ্টা করে বাট আনফরচুন্টেলি তা করে উঠতে পারে নি আমার গার্ড ওদের ধরে ফেলে ৷ ""
"" এর মানে হলো কাব্য তোকে চিনতে পেরেছে ৷""
"" রাইট এটা আমিও ভাবছি কজ কাব্য যদি চিনতে না পারতো তাহলে সেলিম সিকদার কে এভাবে এখানে পাঠাতো না ৷ আমি শিওর কাব্য এই ক্লাবে আশে পাশে কোথাও আছে৷""
.
.
.
"" মুন্নি ভাইয়া কোথায় ? ভাইয়া কে দেখেছিস?"(ছন্দ)
"" হ আফা বড় ভাইরে দেখলাম খাওন খাইয়া বাইরে চইলা যাইতে""(মুন্নি)
"" ওহ বাট ভাইয়া এতো রাতে কোথায় গেল?""(ছন্দ)
"" আমি তো কইবার পারুম না আফা"(মুন্নি)
"" এই মেয়ে আফা বলছো কেন বলো আপু""
"" আফু ঠিক আছে?"
"" কিচ্ছু ঠিক নেই যা তুই ঘুমিয়ে পর ""
"" আচ্ছা আমি যাই গিয়া ঘুমাইগা""
মুন্নি যেতে ছন্দ সস্থির শ্বাস ছাড়লো..
"" উফফ কি ভাষা এই মেয়েটাকে ভাষা শিখাতে গিয়ে না যেন কবে আমি সঠিক উচ্চারন ভূলে যাই.. কিন্তু ভাইয়া কোথায়? আর এতো রাতে বা কোথায় গেল? ভাবির কাছে জ্বিগাসা করি""
ছন্দ তার ভাবি রুনার রুমে ঢুকতে দেখে রুনা ঘুমিয়ে আছে ৷ ছন্দ তার ভাবি কে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে ছন্দ তার রুমে ফিরে যায়৷ ছন্দ ড্রয়ার থেকে মেডেসিনের বক্স বের করে ঔষধ খেয়ে বেলকনিতে গিয়ে বসে বাইরের প্রকৃতি দেখতে লাগলো...
২০!!
মুরাদ আর বর্ণের তিক্ষ্ম চোখ জোরা কাব্য খুজছে ৷ বর্ণ শিওর কাব্য এই ক্লাবে আছে ৷ বর্ণ ড্রিং শেষ করে অন্য ড্রিং নিতে গ্লাসের নিচে একটা চিরকুট পায় ৷ বর্ণ মুরাদ দুজনে বুজতে পারে এটা কার কাজ ৷ মুরাদ বর্ণের হাত থেকে চিরকুট টা নিয়ে পড়তে লাগলো
"" তোর মৃত্য খুব ভয়ঙ্কর হতে চলেছে বর্ণ ৷ যদি বাচঁতে চাস তো ছন্দের থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যা নাহলে........... হা হা হা বুজতে-ই পারছিস কি বলতে চাইছি ৷ """
বর্ণের পুরো শরীল থরথর করে কাঁপছে রাগে ৷ রাগে হাতে থাকা ড্রিংকের গ্লাসটা ফ্লোরে ছুড়ে মারে ৷ সাথে সাথে সবাই স্টপহয়ে যায় ৷ কৌতুহল চোখে সবাই বর্ণ কে দেখছে ৷ দেশের নাম করা বিজনেসম্যান আয়ান চৌধুরী বর্ণের রাগ দেখে সবাই চুপ করে আছে ৷ কেউ কেউ ফোন বার করছে ভিডিও করার জন্য মুরাদ এটা দেখে কড়া চোখে আঙ্গুল উচিয়ে ইশারায় শাসাতে ভয়ে তার ফোন বন্ধ করে ফেলে....
"" বর্ণ কাম ডাউন ইউ নো না কাব্য তোকে উত্তিজিত করতে চায়ছে আর তুই ঠিক ওর প্লান মতো কাজ করছিস ৷ প্লিজ কাম ডাউন তোর একটা রেপুটেশন আছে ৷ আর কাব্য চাইছে সেই রেপুটেশন নষ্ট করতে বুজতে পারছিস না ?""(মুরাদ)
"" বুজতে পারছি বাট কাজটা কাব্য ঠিক করেনি এর শাস্তি কাব্য পাবে বাট তার আগে আমি আমার টিয়াপাখির সাথে দেখা করবো ""
" এতো রাতে যদি ওই বাড়ির কেউ তোকে দেখে ফেলে তাহলে কি হবে বুজতে পারছিস? ওরা আবার তোর টিয়াপাখিকে তোর থেকে দুরে সরিয়ে দেবে যেমনটা চার বছর পূবে করেছিলো...""
"" এমন টা আর রিপেট হবে না মুরাদ যদি হয় তাহলে রক্ত গঙ্গা বয়ে যাবে ৷ আমি আসছি""
মুরাদের কথা তোয়াক্কা না করে বর্ণ গাড়ি নিয়ে একাই বেরিয়ে যায় ৷ বর্ণ চলে যাওয়ার পর পর কাব্য বেরিয়ে পরে ...
"" বর্ণ সেলিম কে কোথায় লুকিয়ে রাখতে পারে ? নিশ্চয় গোপন কোন যায়গায়৷ সেলিম কে তো আমাকে খুজে বের করতে হবে নাহলে ও আমার সব প্লান ফাস করে দিবে বর্ণের সামনে ৷ আমার ভান্ডা ফেটে যাবে ৷ নাহ তা আমি কখনো হতে দিবো না ৷ সেলিম কে তো যে ভাবে হোক আমি খুজে বের করবো-ই ৷ ""
কাব্য কথা গুলো বলতে বলতে বর্ণের কোম্পানির গোডাউন গুলোর দিকে গাড়ি নিয়ে যেতে লাগলো....
২১!!
খুব সাবধানে পাইপ বেয়ে বর্ন ছন্দের বেলকনিতে এসে পৌছায়৷ বর্ণ ছন্দকে বেলকনিতে চেয়ারে বসে ঘুমাতে দেখে হেসে ফেলে ৷ চাঁদের আলোয় ছন্দের মায়াবী মুখটা দেখে বর্ণের হৃদয়ে তোলপার শুরু হয়ে গেছে ৷ ইচ্ছে করছে ছন্দকে একটু ছুয়ে দিতে ৷ এতো বছরের ভালোবাসার মানুষ টা তার চোখের সামনে কি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে ৷ বর্ণ ছন্দ কে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গায়ে চাদর টা চাপিয়ে দিয়ে ছন্দের কপালে আলতো করে ভালোবাসার স্পর্শ দেয় ৷ বর্ণের ঠোটের স্পর্শ পেয়ে ছন্দ একটু নরে বর্নের হাত জড়িয়ে ধরে ৷
বর্ণ ছন্দের বাচ্চাদের মতো ঘুমাতে দেখে হাসছে ৷ বর্ণ রুমের আলো নিভিয়ে ডিম লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে ছন্দের কাছে আসে৷ বর্ণ ঘুটিয়ে ঘুটিয়ে ছন্দ কে দেখছে ৷ মনে হয় কতো যুক পর ছন্দ কে দেখছে ....
"" ডোন্ট ওয়ারি টিয়াপাখি তুমি আমার ছিলে আর আমার-ই থাকবে ৷ আমার প্রান থাকতে তোমাকে আমার থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না ৷ আমার মনের রানি হয়ে থাকবে তুমি৷ কারন আমার অন্তরালে তুমি ৷ আমার ভালোবাসা আমার জীবন তুমি৷ "
বর্ণ পকেট থেকে একটা রিং বের করে ছন্দের বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুলে পরিয়ে দেয়৷
"" জান আমি জানি এই রিং টা দেখে তোমার আমার কথা মনে পড়বে ৷ আজ নয়তো কাল মনে পড়বে ৷ তোমার পরিবারের বিশ্বাসঘাতকতা সবটা মনে পড়বে তোমার আর তারপর .... " বাকি কথা বলার আগে কারো পায়ের শব্দ পায় বর্ণ ৷ বর্ণ দ্রুত লুকিয়ে পড়ে বেলকনিতে ৷ হুট করে দরজা খুলে যায় ৷ বর্ণ লুকিয়ে সবটা দেখছে ৷ ছন্দের রুমে আর কেউ নয় সাব্বির আহাম্মেদ প্রবেশ করেছে ৷
সাব্বির আহাম্মেদ রুমের লাইট অন করে রুম টা ভালো করে খুটিয়ে দেখতে লাগলো সাব্বির আহাম্মেদ ৷ সাব্বির আহাম্মেদ এর কেন মনে হলো ছন্দের রুমে ছন্দ ব্যাতিত অন্য কেউ আছে আর এটা ক্লিয়ার করার জন্য ছন্দের রুমে আসা ৷ কিন্তু রুমে কাউকে না দেখেতে পেয়ে সাব্বির আহাম্মেদ নিশিন্ত হন ৷ কিছুক্ষন পর লাইট অফ করে বেরিয়ে যায় সাব্বির আহাম্মেদ ৷ বর্ণ আড়াল থেকে বেরিয়ে বলতে লাগলো...
"" সাব্বির আহাম্মেদ তোদের খেলা এবার শেষ ৷ বিশ্বাসঘাতকার শাস্তি তোদের সবাই কে পেতে হবে ৷ তবে তার আগে আমার টিয়া পাখি কে সুস্থ করে তুলতে হবে৷ "
বর্ণ ছন্দের কাছে গিয়ে ছন্দের মাথা হাত বুলিয়ে দিয়ে আবারো চুমু দিয়ে বেলকনি দিয়ে নিচে নেমে যায় ৷ নিচে নেমে বর্ণ মুরাদ কে দেখতে পায়৷
"" তুই এখানে?""
"" পাহারা দিচ্ছি এই আর কি""
"" হু এখন চল ৷""
বর্ণ মুরাদ দুজনে বেরিয়ে যায় ৷ অন্যদিকে কাব্য পাগলের মতো সেলিম সিকদার কে খুজে যাচ্ছে কিন্তু কোন ভাবে শিকদারের কোন খোজ পাইনি৷ তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসে কাব্য .....
.
.
.
.
পরেরদিন সকাল বেলা ছন্দ ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পরে ৷ রিকশার জন্য ওয়েট করতে লাগলো ছন্দ ৷ ব্রেকফাস্ট টেবিলে সাব্বির আহাম্মেদ বার বার ছন্দ কে বলে দিয়েছিলো বাড়ির গাড়ি করে ভার্সিটিতে যেতে কিন্তু ছন্দ বরাবর কখনো বড়লোকি চাল দেখাতে পছন্দ করতো না বলে রিকশা করে সব সময় ভার্সিটি আসা যাওয়া করে ৷
ছন্দ কিছুক্ষন রিকসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে যখন কোন রিকসা পেলনা তখন বাধ্য হয়ে হাটতে লাগলো কিন্তু তার আগে বন্যা এসে হাজির হয়৷
"" ছন্দ বেপি দ্রুত উঠে আয় আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে৷""
" হ্যা বাট তুই হঠাৎ এখানে ?"
"" কেন আসতে পারি না বুঝি?"
"" ঢংগি মাইয়া , আমি তা বলেছি ৷ আচ্ছা চল অলরেডি অনেক দেরি করে ফেলেছি আর আজ নাকি ম্যাথের নিউ প্রফেসর আসবে ৷""
"" হু এই জন্য তো এতো তারাহুরো করে যাওয়া ভার্সিটিতে ""
"" হু বুজলাম ৷ আঙ্কেল একটু দ্রুত ড্রাইব করেন ""
"" জি আম্মা ..""
২২!!
ড্রাইবার ছন্দের কথা মতো দ্রুত ড্রাইব করতে লাগলো কিন্তু হুট করে গাড়ির সামনে অন্য একটা গাড়ি এসে হাজির হয় ৷ একটুর জন্য এক্সিডেন্ট হয় নি ৷ বন্যা ছন্দ দুজনে গাড়ি থেকে নেমে আসে ৷ ছন্দ বন্যা দুজনে গাড়ি থেকে নামতে পিছুন থেকে ছন্দ বন্যা দুজনে মুখ চেপে ধরে রুমাল দিয়ে ৷ কয়েক মুহূর্তে ছন্দ বন্যা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷
বর্ণ একটা জরুলি মিটিং করছিলো ৷ হঠাৎ বন্যার ফোন থেকে কল আসায় বর্ণ বেশ অবাক হয় কারন বন্যা কখনো এই সময়ে কল করে না বর্ণ ৷ বর্ণ মিটিংয়ের মাঝে কল রিসিব করে ৷
"" হ্যালো বন্যা এই সময়ে ফোন করলি সব ঠিক আছে তো?""(বর্ণ)
"" স্যার স্যার আমি রহিম বন্যা ম্যাডামের গাড়ির ড্রাইবার""
"" রহিম চাচা আপনি বন্যা ঠিক আছে তো?""
"" স্যার বন্যা ম্যাডাম আর তার বান্ধবি কে নিয়ে কলেজ যাচ্ছিলাম কিন্তু পথের মধ্যে একটা গাড়ি এসে সামনে থামিয়ে ম্যাডামদের অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে গেছে৷""
রহিমের কথা শুনে বর্ণের কলিজা উরে যাওয়ার উপক্রম ৷ এটা কি শুনছে তার কলিজার টুকরো দুজনকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে ?
বর্ণ এক মুহূর্ত না দারিয়ে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসে ৷ মুরাদ বর্ণ কে এতোটা উত্তিজিত দেখে বুজতে পারলো ভয়ঙ্কর কিছু হয়েছে না হলে বর্ণ এতোটা উত্তিজিত হতো না ...
"" বর্ণ কি হয়েছে তোকে এতোটা টেন্সড লাগছে কেন?""
"" টিয়াপাখি আর বন্যা কে কেউ তুলে নিয়ে গেছে মুরাদ..""
"" ওয়াট! ওকে কাম ডাউন আমি দেখছি ""
"" নো মুরাদ নো তোকে কিচ্ছু করতে হবে না যা করার আমি করবো ৷ কার এতো বড় কলিজা পাঠা যে আমার কলিজায় হাত দেয় ৷ আমি তার কলিজা ছিড়ে ফেলবো..""
"" বর্ণ আর কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে পিছু পিছু মুরাদ ও অন্য গাড়ি নিয়ে বর্ণ কে ফলো করতে থাকে৷""
.
.
.
বন্যা আর ছন্দ কে হাত পা বেধে আলাদা দুটো রুমে রাখা হয়েছে ৷ দুজনের কারোর এখনো জ্ঞান ফিরেনি৷
"" বস একটা মাল নিয়ে আসতে গিয়ে দুটো মাল পেয়ে গেছি ৷ কথায় বলে না বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ""(মিলন)
"" হা হা হা দারুন বলেছিস ৷ আগে বর্ণের বোনের ইজ্জত নিবো তার পর শেষ করবো ৷""
"" আর ওই মেয়েটিকে"
"" ওটাকে এতো তারাতারি মারবো না ৷ বেশ খাশা দেখতে মুখ খানা ভিষন মায়াবি মন চাইছে এটা কে সারা জীবন আটকে রেখে মজা করি""
"" তাহলে তাই করেন বস ৷ কিন্তু তার আগে বর্ণের বোন টার ব্যাবস্তা করেন বলা যায় না কখন তুফানের মতো এখানে এসে পরে আমাদের শেষ করে দেয়৷""
"" ভুল কিছু বলেসনি ৷ যাই হোক আমি যাচ্ছি ওর বোনকে একটু আদর করতে ""
"" বেস্ট অফ লাক বস, বস তো ওই মেয়েটার কাছে গেলো আমি কি করবো? আমি বরং অন্য মেয়েটার সাথে একটু মজা করে আসি""
কথাটা বলে মিলন ছন্দ কে যে রুমে রাখা হয়েছে সে রুমে চলে যায়৷
"" বাহ সত্যি দুইটাই খাসা মাল ৷ বস আসার আগে এটাকে একটু চেকে দেখলে মন্দ হয়না ৷""
মিলন ছন্দের গায়ের ওরনার দিকে হাত বারাতে কেউ একজন খুব শক্ত করে মিলনের হাত চেপে ধরে ৷ মিলন রেগে সেই হাতের মানুষ টার দিকে তাকাতে মিলনের ভয়ে রুহু কেঁপে ওঠে.......