আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১৩ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


সাব্বির আহাম্মেদ চা খেতে খেতে পেপার পড়ছিলো হঠাৎ একটা নিউজ দেখে আঁতকে ওঠে ৷ 

"" কি হয়েছে আব্বু এভাবে ভয় পেয়ে আতকে উঠলে কেন?"(কাব্য)

"" এটা দেখ"" নিউজ পেপারটা কাব্যের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো সাব্বির আহাম্মেদ .....

কাব্য নিউজ পেপারস টা হাতে নিয়ে ফ্রন্ট পেজে নিউজ টা দেখে বসা থেকে দারিয়ে পড়ে...

"" কি হলো কাব্য তুমি দারিয়ে পড়লে কেন?""(রুনা) 

 কাব্য রুনার প্রশ্নের উওর না দিয়ে সাব্বির আহাম্মেদের দিকে তাকিয়ে থাকে...

"" আব্বু আবির কে এতো নৃশংস ভাবে কে খুন করলো?"" কাব্যের কথা শুনে কিয়ারা বেগম ছন্দ রুনা তিনজনে অবাক!

"" মানে কি বলছিস কাব্য আবিরকে নৃশংস ভাবে খুন করলো ?""(কিয়ারা বেগম)

"" কাব্য যা বলেছে ঠিক বলেছে কাব্যের মা ৷ আবিরকে  কে বা কারা গতকাল রাতে খুন করেছে৷ আর ওর ডেড বডি ওর রুমে পাওয়া গেছে ৷ পুলিশ তদন্ত করছে ৷ ""

"" এটা কি করে সম্ভব গতকাল-ই তো ছেলেটা এবাড়িতে আসলো আর গতকাল রাতে ছেলেটা খুন হলো!""

"" পুলিশ যেহেতু তদন্ত করছে সেহেতু খুনি কে তা নিশ্চয় খুজে বের করবে পুলিশ"" ছন্দের কথা শুনে রুনা ছন্দের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ৷ গত একদিনে ছন্দকে কেমন যেন অচেনা লাগছে রুনার ৷ ছন্দের মুখের ভাব ভঙ্গি দেখে রুনার মনে হচ্ছে না আবিরের মৃত্যুতে খুব বেশি অবাক হয়েছে ছন্দ৷ হঠাৎ রুনার মনে পড়ে যায়৷ গতকাল রাতে সেই রক্তমাখা ছুড়ি কথা৷ সাথে সাথে রুনার পুরো শরীল শিউরে ওঠে ৷ 

"" ভাবি তুমি ঠিক আছো তো?""(ছন্দ)

"" হ,হ্যা আমি ঠিক আছি ৷ কাব্য আমার খাওয়া শেষ আমি রুমে যাচ্ছি ৷""

"" ওয়েট ভাবি আমি তোমাকে রুম পর্যন্ত ছেড়ে দিচ্ছি এভাবে একা একা উপরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই৷" ছন্দ জুস টা খেয়ে রুনাকে ধরে ধিরে ধিরে দোতালায় নিয়ে গেল৷ 

"" ভাবি তুমি রেস্ট করো ৷ আর শোন আমি আজ ভার্সিটিতে যাচ্ছি আমার আজ ইমপটেন্ট ক্লাস আছে ৷ তোমার কিছু প্রয়োজন হলে মুন্নি কে ডাকবে ৷ আমি ওকে বলে দিবো ৷""

"" অকে ছন্দ রানি ৷ সাবধানে যাবে আর নিজের খেয়াল রাখবে ৷""

"" একদম আর তুমি নিজের আর পুচকুর খেয়াল রাখবে বলে দিলাম""

"" আচ্ছা""

ছন্দ রুমে গিয়ে ড্রেস পাল্টে নিয়ে ডিপ ব্লু কালার চুড়িদার পড়ে রেডি হয়ে নেয়৷ তখনি কাব্য ছন্দের রুমে আসে৷ 

"" কোথাও বের হচ্ছিস ছন্দ?""

"" হ্যা ভাইয়া আজ একটা ইমপটেন্ট ক্লাস আছে না গেলে নয়""

"" ঠিক আছে আজ আমি তোকে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিবো""

"" ওকে চলো তাহলে আমি রেডি""

"" হুম তুই নিচে যা আমি গাড়ির চাবিটা নিয়ে আসছি""

"" আচ্ছা""

ছন্দ নিচে গেটের কাছে দারিয়ে কাব্যের জন্য অপেক্ষা করতে লাগে ৷ পাচমিনিট পর কাব্য আসে ৷ কাব্য গাড়ি ড্রাইব করতে করতে ছন্দ কে বলতে লাগলো"" ছন্দ ভার্সিটি থেকে অন্য কোথাও যাবে না ৷ ক্লাস শেষ হলে আমাকে একটা ফোন করে দিবি আমি তোকে নিতে চলে আসবো৷ "

"" হঠাৎ আজ এতো ভালোবাসা উতলে ওঠার কারন কি ভাইয়া?""

"" এভাবে বলছিস কেন? আমি কি কখনো তোকে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দেইনি?""

" দিয়েছো কিন্তু আমার রিকুয়েস্টে যাই হোক তোমাকে আসতে হবে না আমি আমার ফ্রেন্ডদের সঙ্গে ফিরে আসবো""

"" ওকে তোর যা ইচ্ছে ""

"" হুম"" বিশ মিনিট পর ছন্দ তার ভার্সিটিতে এসে পৌছায়৷ ছন্দ গাড়ি থেকে নেমে কাবকাব্যকে বিদায় জানিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেখে বন্যা ওর সামনে গাল ফুলিয়ে দারিয়ে আছে৷ 

" কি হয়েছে বন্যা বেপি এভাবে কিউট কিউট গাল দুটো ফুলিয়ে রেখেছিস কেন?"

"" সর ডাইনি তোর সাথে কথা নাই ৷ ""

"" কেন রে আমি কি করলাম আবার?"

"" কি করলি মানে , তুই যে আজ ভার্সিটিতে  আসবি আমাকে বলেছিস একবারও ফোন করে?"" দাঁতে দাঁত চেপে বললো বন্যা..

"" ইসস ভূল হয়ে গেছে স্যরি কিন্তু তুই জানলি কি করে আমি আজ ভার্সিটিতে আসবো?"" সন্ধেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো ছন্দ...

"" এই রে ভাইয়া যে আমাকে জানিয়েছে এটা তো ওকে বলতে পারবো না তাহলে আমাকে কেটে কিমা বানিয়ে ইদুর দিয়ে খাওয়াবে ৷ ইয়াক ছিঃ এই বন্যা কে শেষে কিনা ইদুর খাবে এটা জাতি মানে না সো নো মুখ খোলা খুলি""(মনে মনে)

"" কি হলো মুখে কি দই জমিয়ে রাখছিস বুঝি? উওর দিচ্ছিস না কেন?""

"" ছন্দ বাবু সোনা এটা তো মনের টান তুমি বুঝো না ৷ তোমাকে আমি কত্তো ভালোবাসি আর সেই ভালোবাসার টান থেকে জানতে পেরেছি তুই আজ আসবি""

"" বজ্জাত বেডি বলবি না তাই তো যাহ তোকে বলতে হবে না৷"" 
কথাটা বলে রাগে হন হন করে ক্লাসের দিকে চলে গেল৷ 

"" যাহ বাবা চলে গেল ধুর ভাল্লাগে না ৷ সব হয়েছে বর্ণ ভাইয়ার জন্য ৷ যাই এখন মেডাম এর রাগ ভাঙাই""

৩৮!!

"" বস মেয়ে গুলো কে সেইফলি তাদের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি আর যাদের থাকার জায়গা নেই তাদের আশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছি""(মিহির)

"" গুড এখন আর একটা কাজ কর মিহির এই ফাইল গুলো নিয়ে ড্যাডের কাছে চলে যা ৷""(বর্ণ)

"" ওকে বস""

"" মুরাদ আমি একটু আসছি তুই এদিক টা সামলে নিস""

" ওকে বাট কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি  নিশ্চয় ভাবির কাছে?""

বর্ণ মুচকি হেসে বেরিয়ে গেল৷ 

চতুর্থ ক্লাস শেষ করে ছন্দ ক্লাস থেকে বের হয় ৷ পুরো ক্লাসে বন্যা প্রচন্ড জ্বালিয়েছে ছন্দ কে ৷ ছন্দ রাগ করে বন্যার মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসে এদিকে বন্যার প্রায় কাদো কাদো অবস্তা ৷ দ্রুত ওয়াশরুমে চলে যায়৷ এদিকে ছন্দের খারাপ লাগছে বন্যার সাথে একটু বেশি রাগ দেখিয়ে ফেলেছে তাই ৷ ছন্দ খুব ভালো করে জানে বন্যাকে ভার্সিটিতে আসতে তার ভাই অর্থাৎ বর্ণ বলেছে কিন্তু বর্ণ কি করে জানলো এটাই বুজতে পারছে না ছন্দ ৷ ছন্দের ভাবনার মাঝে কেউ একজন ছন্দের হাত টেনে ফাকা ক্লাস রুমে নিয়ে যায়৷  

"" আ,,আপনি?"" 

"" কেন টিয়াপাখি তুমি অন্য কাউকে আশা করছিলে নাকি"" আঙ্গুল দিয়ে ছন্দের গলায় স্লাইট করতে করতে বললো বর্ণ...

"" না মানে ""

"" না মানে তুমি আমাকে আশা করছিলে তাই তো সুইটহার্ট "" ছন্দের কোমড় জরিয়ে ধরে বললো..

"" এই কি করছেন কি ছাড়ুন বলছি ৷ এভাবে কাছে আসবেন না তো হুট হাট করে আমার দম নিতে কষ্ট হয়"" 

"" কিহ তোমার দম নিতে কষ্ট হয় আর গতকাল কি করলে তুমি!"" বর্ণের কথায় ছন্দ প্রচন্ড লজ্জা পেয়ে যায় ৷ লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে আসে ছন্দের৷ 

"" আপনি ভিষন খারাপ বনরাজ"" কথাটা বলে ছন্দ চুপ হয়ে যায় ৷ এদিকে ছন্দের মুখে বনরাজ নামটা শুনে বর্ণ নিজে শক্টড..

"" কি কি বললে টিয়াপাখি আর একবার বলো?""

"" ক,,কি বলেছি আমি ব,,বর্ণ ""তুতলিয়ে 

"" উহু তুমি অন্য কথা বলেছিলে বলো  কি বলেছিলে?""

"" দেখুন আপনি কিন্তু একটু বেশি ভূলভাল বকছেন ৷ যান গিয়ে কানের ডাক্তার দেখান""

"" না আমার কান ভূল শুনতে পারে না তুমি আমাকে বনরাজ বলে ডেকেছো যেটা তুমি আগে ভালোবেসে ডাকতে আমাকে...""

" কিহ সব আজগুবি কথা বলছেন আপনি! আমি আবার কবে আপনাকে ভালোবেসে বনরাজ ডাকলাম ৷ আর আপনাকে তো আমি ভালোবাসি না তাহলে... "বাকিটা বলতে পারলো না তার আগে বর্ণ ছন্দের গলা টিপে ধরে..."" কি  বললি তুই আমাকে ভালোবাসিস না হাহ ৷ তোর সাহস কি করে হয় এই কথা বলার ৷ তুই শুধু আমার ৷ শুধু আমার ৷ আর তোর ভালোবাসা শুধু আমি অন্য কেউ নয় বুজতে পেরেছিস ৷ যদি কখনো এই কথা দ্বিতীয় বার উচ্চারন করিস তাহলে তোর জিব্বাহ আমি টেকে ছিড়ে ফেলবো"" বর্ণ রাগের মাথায় ছন্দের গলা চেপে ধরায় ছন্দের চোখ মুখ উল্টে আসছে  ৷ মুখ লাল হয়ে গেছে ৷ বর্ণ ছন্দের অবস্তা দেখে দ্রুত ছন্দের গলা ছেড়ে দেয় ৷ গলা ছেড়ে দিতে কাশতে লাগে ছন্দ ৷ বর্ণ মুহূর্তে ক্লাস থেকে বের হয়ে পানি নিয়ে আসে৷ 

"" টিয়াপাখি পানিটা খেয়ে নেও বেটার ফিল করবে"" বর্ণ ছন্দ কে পানিটা খাইয়ে দেয়৷ ছন্দ বিনা বাক্যে পানিটা খেয়ে নিয়ে চুপ করে বসে পড়ে ৷ 

"" আ'ম স্যরি টিয়াপাখি ৷ আ'ম রেইলি স্যরি ৷ তোমার মুখে ওই কথাটা শুনে রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারেনি ৷ আ'ম স্যরি টিয়াপাখি ""

"" আপনি এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে থেকে সরে যান৷ আপনার মতো খুনির থেকে ভালো আর কি আশা করা যায় বলুন?"

"" টিয়াপাখি...""

"" যাস্ট লিভ মি এলোন মিস্টার চৌধুরী""

বর্ণ ছন্দের কাপা কাপা হাত টা ধরে টেনে বুকের সাথে চেপে ধরে বলতে লাগলো"" আমার বেচে থাকতে তোমাকে কখনো একা ছেড়ে দিবো না টিয়াপাখি ৷ আমি জানি আমি রাগের মাথায় ভূল করে ফেলেছি বাট ট্রাস্ট মি আমি ইচ্ছে করে আমার কলিজাকে আঘাত করেনি ৷ " ছন্দের কপালে চুমু দিয়ে আবার বলতে লাগলো "" অনেক সহ্য করেছি আমার এই একাকিত্ব কিন্ত আর আমি সহ্য করবো না তোমাকে এবার পার্মানেন্টলি আমার কাছে নিয়ে আসবো৷ ""

"" মানে ! "

" মানেটা খুব তারাতারি বুজতে পারবে তুমি ৷ এখন আমাকে যেতে হবে টিয়াপাখি অনেকটা দেরি হয়ে গেছে ৷ ""

বর্ণ ছন্দের কোমড় ছেড়ে দিতে নিলে ছন্দ আরো শক্ত করে বর্ণ কে জরিয়ে ধরে ৷ বর্ণ ছন্দের কান্ড দেখে মুচকি হাসে ৷ 

"" টিয়াপাখি দেখি  এবার আমার ভালোবাসার খাচায় বন্দি হতে রাজি"" বির বির করে কথা টা বললো বর্ণ....
.
.
.
.
"" বস ছোট ভাইকে কে খুন করেছে তার খোজ পাওয়া গেছে৷""(আনিস)

"" কিহ কে কে খুন করেছে বল?"" আগুন চোখে তাকিয়ে বলল আর কে.... 

"" বস যেদিন ছোট স্যার খুন হয় সেই দিন নাম করা বিজনেসম্যান আয়ান চৌধুরী বর্ণের বোন আর তার বন্ধু কে তুলে আনে তার পরের দিন স্যারের লাশ খুজে পায় পুলিশ""

আর কে রাগ সংবরন না করতে পেরে    চেয়ারে লাথি মারে৷ 

"" ছাড়বো না ছাড়বো না ওই বর্ণ কে ৷ একবার ওকে ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু এইবার আর আমি তোকে ছাড়বো না ৷ ৷  তোর পুরো পরিবার কে তোর চোখের সামনে আমি শেষ করবো তারপর তোকে ৷ আনিস বর্ণের এখনকার সব ইনফমেশন আমার চাই দশ মিনিটের মধ্যে.."" (আর কে)

"" ই,,ইয়েস বস " কথাটা বলে আনিস দৌড়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায় ৷ আর এদিকে এপেক আর কের পিএ ভয়ে কাপঁছে ৷""

৩৯!!

ছন্দ বন্যা দুজনে রাস্তার পাশে দারিয়ে   ফুসকা খাচ্ছে ৷ দুরে  দারিয়ে বন্যা ছন্দ কে ফলো করছে এক ব্যাক্তি৷  রক্তচক্ষু দিয়ে তাকিয়ে আছে দুজনের দিকে৷ 

"" বন্যা অনেক লেট হয়ে গেছে এখন আমাকে যেতে হবে""(ছন্দ)

"" আচ্ছা ওয়েট আমি ড্রাইবার আঙ্কেল কে ফোন করে আসতে বলছি তোকে ড্রপ করে দিবো""

"" নাহ আমি রিকসা নিয়ে চলে যাবো তুই সাবধানে যাস "" 

বন্যাকে কিছু বলতে না দিয়ে ছন্দ রিকসা ঠিক করে উঠে বসে৷ 

"" যাহ বাবা চলে গেল ..."" বন্যা বিল মিটিয়ে ড্রাইবার কে ফোন করে আসতে বলে ৷ কিছুক্ষন পর গাড়ি আসতে বন্যা গাড়িতে উঠে বসে৷ 
.
.
.
.
ছন্দ রিকসার ভাড়া মিটিয়ে একটা পোড়া বাড়িতে ঢুকে পড়ে৷ ধিরে ধিরে পোড়া বাড়ির ভিতরে ঢুকে আদপোড়া  আসবাবপত্র ছুয়ে ছুয়ে দেখছে ৷ ছন্দ ছোট্ট একটা রুমে ঢুকে দেয়ালে টাঙানো একটা আদপোড়া ছবির দিকে তাকিয়ে আছে ৷ ধুলো ভরা অস্পৃষ্ট ছবিটা দেখে ছন্দের চোখের কোনে পানি টলমল করছে যেন এখুনি বৃষ্টির মতো অঝড়ে ঝড়ে পড়বে.......

ছন্দ চোখের পানি মুছে বলতে লাগলো"" ছাড়বো না কাউকে ছাড়বো না""
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।