আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১২ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


কিয়ারা বেগম ছন্দের ওরনা মাথায় ঠিক করে দিয়ে ছন্দ কে নিয়ে নিচে চলে যায় ৷ ছন্দ এখনো বুঝে উঠতে পারছে না কিয়ারা বেগম কি করতে চাইছে৷ 

ছন্দ নিচে ড্রইংরুমে এসে সামনে বসে থাকা মানুষ টাকে দেখে ছন্দ চমকে ওঠে ৷ সামনে থাকা মানুষটার ঠোঁটের কোনে  বাকা হাসি ..

৩৫!!

"" এই লোক এখানে কেন? আর আম্মু আমাকে কেন এখানে নিয়ে আসলো?"" ছন্দের ভাবনার মাঝে কিয়ারা বেগম ছন্দ কে তাদের সামনে বসতে বলে ৷ রাগে ফুসতে ফুসতে ছন্দ তাদের সামনে বসে৷ 

"" মাফ করবেন দাদা ৷ আসলে আমার মেয়ে আপনাদের দেখে একটু ঘাবড়ে গেছে""(সাব্বির আহাম্মেদ )

"" না না ঠিক আছে এমন একটু হয়""(অনিমেস রায়)

"" ছন্দ মামুনি এনি হলেন তোমার অনিমেস আঙ্কেল গতবছর এসেছিলো নিশ্চয় ভুলে যাও নি?""

"" না আব্বু" 

"" হুম আর এই যে দেখছো ছেলেটিকে ওর নাম আবির রায় তোমার অনিমেস আঙ্কেলের একমাত্র ছেলে৷""

"" কিহ এই লাফাঙ্গা বেয়াদপ মেয়েদের উতক্তকারি আঙ্কেলের ছেলে "" (মনে মনে)

"" আমাদের কোন আপত্তি নেই ছন্দ মামুনি কে আমার আবিরের বউ করে নিতে""(আবিরের মা বৃন্দা রায়)

বিয়ের কথা শোনা মাত্র ছন্দ দারিয়ে গেল...

"" কি কি বলছেন আপনারা ? আবির দা কে বিয়ে মানে , আপনারা ভূলে যাচ্ছেন আমরা আলাদা আলাদা ধর্মের ..""

"" নাহ মামুনি আমরা তা ভূলেনি আর না আমাদের কোন সমস্যা আছে এই ধর্ম নিয়ে তুমি তোমার মতো ধর্ম পালন করবে""(অনিমেস আঙ্কেল)

"" দুঃখিত আঙ্কেল আমি জানি না কেন আপনারা আপনাদের ধর্মের বিরুদ্ধে এই কাজ করতে চাইছেন ৷ তবে আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি আমি এই বিয়ে করবো না ৷ "" ছন্দ পুরো কথা শেষ করে ড্রইংরুম ছেড়ে উপরে নিজের রুমে এসে দরজা আটকে দেয়৷ সাব্বির আহাম্মেদ কিয়ারা বেগম এখনো যেন কোন ঘোড়ের ভিতর আছে ৷ তারা দুজনে ভাবতে পারেনি ছন্দ এভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করবে ৷ ছন্দের এরুপ দেখে দুজনে অবাক শুধু মাত্র কাব্য ছাড়া ৷ কাব্য মনে মনে এই বিয়ের বিপক্ষে কিন্তু সাব্বির আহাম্মেদ এর ভয়ে কিছু বলতে পারছিলো না ৷ 

এদিকে আবির রায় ভিতরে ভিতরে ফুসছে ৷ ছন্দের করা অপমান আবিরের কাটা গায়ে নুনের ছিটের মতো কাজ করছে ৷ ছন্দ জানতো না আবির তার বাবার বন্ধুর ছেলে ৷ আবির আর ছন্দ একি কলেজে পড়ে ৷৷আবির ছন্দের এক বছরের সিনিয়র৷ আবির একটু বখাটে টাইপ ৷ মেয়েদের উতক্তকারি ৷ একদিন ছন্দের ওড়না ধরে টান দেওয়ায় পুরো কলেজ স্টুডেন্ট এর সামনে আবির কে থাপ্পোর মেরে হেড প্রিন্সিপালের কাছে নালিশ জানায়৷ সেদিন স্যার আবির কে ছয় মাসের জন্য কলেজ থেকে বের করে দেয়৷ সেই থেকে আবিরের মনে ছন্দের জন্য এক সাগর বিষ জন্মায়৷ আবির ভেবে ছিলো এই বিয়ের মাধ্যমে তার প্রতিশোধ নিতে পারবে ৷ কিন্তু ছন্দ এভাবে মুখের উপর না করে দেওয়ায় আবিরের রাগ জেদ যেন আরো বেরে গেল৷ আবির রেগে বসা থেকে উঠে বেরিয়ে গেল৷ 

"অনিমেস আমি আমার মেয়ের হয়ে তোদের কাছে ক্ষমা চাইছি ""(সাব্বির আহাম্মেদ )

"" ক্ষমা চাইলে কি হবে সাব্বির ৷ তোর মেয়েতো জানিয়ে দিলো বিয়ে করবে না ৷ তাহলে ঘটা করে আমাদের নিমন্ত্রণ করতে গেলি কেন?""(অনিমেশ রায়)

"" দেখুন দাদা আপনি আপনার মেয়ে কে বোঝান ৷ আমরা বলছি তো আমরা ওকে ওর মতো ধর্ম পালন করতে দিবো ৷ তাহলে সমস্যা কোথায়? আমার আবির আপনার মেয়েকে পছন্দ করে বিধায় আমরা বিয়ের প্রস্তাব রেখেছি ৷ কিন্তু তার জন্য আমাদের দিল্লির পুরো প্রপার্টি ইভেন ওখানকার বিজনেস টাও ছন্দ মামুনির নামে করে দিতে চেয়েছি ৷ তারপর ও কেন রাজি নয় ?""(আবিরের মা)

"" কারন আমার বোন লোভি নয় আন্টি""(কাব্য)

"" কি বললে?""(অনিমেশ আঙ্কেল)

"" জ্বি আঙ্কেল আপনারা ঠিক যা শুনেছেন আমি সেটাই বলেছি৷ আমার বোন লোভি নয় বিধায় এই বিয়েতে তার কোন মত নেই""(কাব্য)

"" কাব্য চুপ কর""(সাব্বির আহাম্মেদ )

"" নে আব্বু আজ আমি চুপ থাকবো না কারন এখানে কথা বলার রাইট আমার আছে কারন আমি ছন্দের বড় ভাই""

"" আবিরের বাবা চলো এখান থেকে অনেক অপমানিত হয়েছি আর না ৷ আর একটা কথা ছন্দ যদি কোন বাড়ির বউ হয় তো সেটা রায় বাড়ি হবে মনে রেখো কাব্য"" 

কথাটা বলে বৃন্দা রায় আর তার স্বামী  অনিমেশ রায় বেরিয়ে গেলেন৷ ওনারা চলে যেতে সাব্বির আহাম্মেদ স্বজোড়ে কাব্যের গালে চর বসিয়ে দিলেন৷ 

"" তোমার সাহস কি করে হয় ৷ আমার কথার বিরুদ্ধে যাওয়ার?""

"" ছন্দ আমার বোন ওর ভালো মন্দ দেখা আমার দ্বায়িত্ব আর আমি সেই দ্বায়িত্ব বোধ থেকে তোমার কথার বিরুদ্ধে দারিয়েছি""

"" অনেক কথা শিখে গেছো কাব্য ৷ এতোটা বাড় ভালো নয়৷ ""

"" আব্বু অনেক নাটক হয়েছে এখন আর কোন নাটক দেখতে ইচ্ছে করছে না ৷ আমি রুমে যাচ্ছি "" 

কাব্য সাব্বির আহাম্মেদ এর কথা তোয়াক্কা না করে উপরে নিজের রুমে চলে যায় ৷ ছন্দ রাগে পুরো রুম এলোমেলো করে ফেলে ৷ প্রচন্ড রাগ লাগছে ছন্দের ইচ্ছে করছে ওই আবির কে খুন করে ফেলতে ৷
ছন্দ বিছানায় মাথা চেপে ধরে চুপ করে বসে থাকে ৷ কিছুক্ষন পর কাব্যএসে দরজায় নক করে ৷ ছন্দ তার ভাইয়ের কন্ঠ পেয়ে উঠে দরজা খুলে দেয়৷ কাব্য ভিতরে ঢুকে ছন্দের রুম দেখে অবাক হয়ে যায়৷ 

"" ছন্দ তুই ঠিক আছিস?""

"" হুম আমি ঠিক আছি ৷""

"" তোর কি মাথা ব্যাথা করছে ?""

ছন্দ চুপ করে থাকলো উওরে কিছু বললো না ৷ কাব্য বুজতে পারলো ছন্দ এখনো রেগে আছে বিধায় কথা বলতে চাইছে না ৷ কাব্য ড্রয়ার থেকে মেডেসিন বক্স এনে ছন্দ কে মেডেসিন খাইয়ে দেয়৷ 

"" আমি মুন্নি কে পাঠিয়ে দিচ্ছি ও রুম টা ক্লিন করে গুছিয়ে দিয়ে যাবে ৷ তুই ততোক্ষন রেস্ট কর""

কাব্য ছন্দের মাথা হাত বুলিয়ে দিয়ে নিচে গিয়ে মুন্নিকে ছন্দের জন্য রাতের খাবার রুমে নিয়ে যেতে৷ মুন্নি ভয়ে ভয়ে ছন্দের রুমে খাবার গুলো নিয়ে যায় ৷ মুন্নি চোখ কপালে উঠে যায় রুম এলোমেলো দেখে ৷ মুন্নি খাবারটা টেবিলের উপর রেখে চুপচাপ পুরো রুম ক্লিন করে গুছিয়ে দিয়ে ছন্দের সামনে গিয়ে দারায়...

"" কিছু বলবি?""(ছন্দ)

"" আফামনি রান্দাঘরের তো অনেক রক্ত ছিলো আমার গায়েও রক্ত ছিটছিলো তাহলে তা কই গেলো? আর মুরগি দেহি চারডাই জবাই করা কে করলো?""

"" কেন তুই""

"" আ,,,আমি কহন করলাম ?ও আফা কন না তহন কি হইছিলো আর রান্দাঘরে তো কোন রক্ত পাইলাম না কেন?""

"" কেন রক্ত থাকার কথা ছিলো বুঝি?"

"" ছিলো তো ""

"" আমার মনে হয় তোর মনে জিনে সব টা করে গেছে ""

"" কিহ কন আ,, আমি আর এ বাড়ি কাজ করুম না"" বলতে বলতে ভয়ে দৌড় দিলো মুন্নি...

এদিকে মুন্নিকে ভয় দেখিয়ে ছন্দ বেশ মজা পেল৷ 

"" বাহ ভয় দেখিয়ে বেশ আনন্দ পেলাম আমি মনটাও ফুরফুরে হয়ে গেল৷ আর মাথা ব্যাথাটাও এখন কমে গেছে ৷"" ছন্দ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত এগারোটা বেজে গেছে ৷ ছন্দ না খেয়ে শুয়ে পড়ে ৷ এদিকে বর্ণ ফোনের ছন্দের সব কথা শুনে হাসছে থাকে ৷ বেচারি কাজের মেয়েটার কথা ভেবে আরো বেশি হাসি পাচ্ছে বর্ণের ৷ কিভাবে বোকা বানালো ছন্দ ৷ 

"" বর্ণ..""(মুরাদ)

"" হুম বল"" 

"" ওই লোকটা সবটা শিকার করেছে৷""

"" গ্রেট , একে এখন বাচিয়ে রেখে কোন লাভ নেই ৷ পেপারসে সাইন নিয়ে শেষ করে দে৷ ""(বর্ণ)

"" ওকে বাট তুই এখনো অফিসে কেন ?""

"" কিছু কাজ পেন্ডিং ছিলো সে গুলো শেষ করলাম৷ বাই দ্যা ওয়ে আর কে খবর কি?""

" আর খবর তুই তো ব্যাটা কে আদপাগল বানিয়ে ফেলেছিস ""

"" উহু আদপাগল নয় পুরো পাগল বানাতে চাই ওই জানোয়ার কে...""

"" তাই হবে , ওহ বলতে ভূলে গেছি , দোস্ত আজ রাতে আর কের কিছু লোক বিশজন মেয়ে কে ঢাকা পাচার করে দিবে ৷ ""

"" ওয়াট! ""

"" হ্যা"

"" লোকজন কে রেডি হতে বল আমি বের হবো""

"" ওকে""
.
.
৩৬
"" বস আপনার কথা মতো মেয়ে গুলো কে ট্রাকে উঠিয়ে দিয়েছি ""(আনিস)

"" গুড , মাল আজ রাতে যেন ডেলিভারি হয় আনিস""(আর কে)

"" হয়ে যাবে বস""

"" মাল একবার ডেলিভারি হয়ে নিক তারপর আমার খেল শুরু হবে৷ অনেক দিন হলো পাগল পাগল অভিনয় আর না এবার আমার পাতা ফাদে তোকে পড়তে হবে ৷ আমি আমার ভাইয়ের খুনি কে ছাড়বো না ৷ আজ তুই যে আসবি ওই মেয়ে গুলো কে বাচাতে এটা আমি খুব ভালো করেই জানি ৷ তোকে তো আজ আমি আমার হাতের  মুঠোয় বন্দী করবোই এ্যাট এনি কষ্ট...হা হা হা""

"" তার মানে বস এতোদিন নাটক করে ছিলো ৷ ওহ মাই গড এ কেমন পাগল যে মানুষের কাটা মাথা সামনে রেখে নাটক ৷ আল্লাহ মাফ করো"" (মনে মনে )

"" দারিয়ে না থেকে এপেক কে পাঠিয়ে দে আনিস""

"" ইয়েস বস, সালা দেখতে কি হান্ডস্যাম চেহেরা সুরুত মাশাআল্লাহ কিন্তু চরিত্রটা এতো বাজে কেন? এই লোকটার গ্যাংয়ে যেদিন হাত মিলিয়েছি সেদিন থেকে আমার পরিবারের সাথে সম্পর্ক চুত্ত হলো ৷ একবার সুযোগ পাই এই নোংরা পথ থেকে বেরিয়ে আসবো আল্লাহর কসম ""(মনে মনে)

"" আনিস এখনো দারিয়ে আছিস কেন?""

"" স্যরি বস এখুনি যাচ্ছি ""

আনিস আর কের পিএ এপেক কে রুমে যেতে বলে আনিস তার কাজে চলে যায়৷ এপেক দরজায় নক করে ভিতরে ঢুকতে আর কে এপেকের কোমড় জরিয়ে ধরে গলায় চুমু খেতে থাকে৷ 

"" আই নিড ইউ এন্ড রাইট নাও এপেক""(আর কে)

"" হুায়াই নট আর কে " কথাটা বলতে বলতে আর কের ঠোটে চুমু খেতে থাকে এপেক ৷ 
.
.
.
রাত দুটোর দিকে রুনার হুট করে ঘুম ভেঙে যায় ৷ ভিষন অসস্থি আর দম বন্ধ লাগছে রুনার এই রুমের ভিতর৷ খোলা হওয়া খুব প্রয়োজন রুনার জন্য ৷ কাব্যের ঘুম না ভাঙে তাই খুব ধিরে ধিরে বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে বাইরে বের হতে দেখে মেইন দরজা দিয়ে কেউ একজন ভিতরে ঢুকছে ৷ এটা দেখার পরে রুনা লুকিয়ে পড়ে এটা দেখার জন্য আসলে মানুষ টা কে ৷ মানুষটা নিচ থেকে উপরে উঠে আসতে আসতে আলোতে রক্ত মাখা ছুড়ি হাতে দেখতে পায় রুনা ৷ 

"" র,, রক্ত মাখা ছুড়ি ৷ কে ও ...?"" রুনা ধিরে ধিরে খুব সাবধানে অন্ধকারে মানুষটার পিছু নেয় ৷ কিছুটা যেতে রুনা অবাক হয়ে যায় ৷ কারন স্পষ্ট আলোতে দেখতে পাচ্ছে মানুষটাকে কিন্তু কালো হুডি পড়া লং জেকেট ভিতর পুরুষ নাকি মহিলা এটা রুনা বুজতে পারছে না ৷ হুট করে সেই মানুষটি হারিয়ে গেল রুনার চোখের সামনে ৷

"" কোথায় কোথায় গেল সেই মানুষ টি কোথায় ?" রুনা এদিক ওদিক তাকিয়ে খুজতে থাকে ৷ হঠাৎ কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে ওঠে রুনা ৷ভয়ে ভয়ে পিছুনে তাকিয়ে দেখে কাব্য দারিয়ে...

"" তুমি এতো রাতে এখানে কি করছো  রুনা?""(কাব্য)

"" (কাব্য কে এখুনি কিছু জানতে দিলে চলবে না ), নাহ মানে ঘুম আসছিলো না তাই একটু হাটা হাটি করছিলাম""

"" একদম ঠিক কাজ করোনি ৷ ঘুম আসছিলো না আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিতে ৷ এভাবে অন্ধকারে বাইরে হাটা হাটি করা এই অবস্তায় একদম ভালো না জান, রুমে চলো""

রুনা বাধ্য হয়ে কাব্যের সাথে রুমে চলে যায়৷ 

"" কাল সকালে খুজে বের করবো কে ছিলো এই ব্যাক্তি""(মনে মনে )
.
.
.
"বস আমাদের সব লোক ওদের ঘিড়ে ফেলেছে৷ এখন আপনার অডার্র পেলে আমরা এট্যাক করবো"(মিহির)

"" নাহ মিহির এখুনি ওদের উপর এট্যাট করলে চলবে না কারন এটা ওদের আমাদের ধরার জন্য ফাঁদ ও হতে পারে সো বি কেয়ার ফুল৷""(বর্ণ)

"" বর্ণ ইজ রাইট মিহির ৷ সবাই কে সাবধান থাকতে বলো বর্ণ ইশারা করলে এট্যাক করবে ""

"" ওকে স্যার"" 

অন্যদিকে আরকের লোক জন মেয়ে গুলো কে গুনে গুনে সময় নিয়ে ট্রাকে তুলছে ৷ আর সেটা আর কের নির্দেশে ৷ 

"" এই মেয়ে গুলোর হাত ঠিক করে বেধেছিস তো?""(আনিস)

"" জ্বি ভাই বেধেছি ৷ বস আগে থেকে সব টা জানিয়ে দিয়েছে আমাদের ""

" গুড"" চারিদিক তাকাতে তাকাতে বললো আনিস...

"" স্যার বসের কথা মতো কি তার আসবে আজ""

"" বস যখন বলেছে তখন আসবে আমি শিওর "" 

"" দেখা যাক "" 

হুট করে চারিদিক ধোয়াতে ভরে গেলো আরকের লোক জন চোখে কিছু দেখতে না আর শ্বাস নিতে পারছে ৷ এই সুযোগে বর্ণের লোকজন  মুখে মার্কস পরে মেয়ে গুলো কে বের করে আনে ৷ যতোক্ষনে সব ঠিক হয়ে যায় ততোক্ষনে বর্ণ তার লোকজন মেয়ে গুলো কে নিয়ে বেরিয়ে যায় ৷ আনিস মেয়ে গুলো কে ট্রাকে না পেয়ে বুজতে পারে এগুলো তাদের অজানা শত্রুর কাজ ৷ ভয়ে ভয়ে বস কে কল করে আনিস৷ 

আরকের উমক্ত বুকে শুয়ে আছে এপেক ৷ আনিসের কল পেয়ে ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে এটা ভেবে ওর প্লান সাকসেস হয়েছে ৷  আরকে কল রিসিব করে কানে ধরতে মুখের হাসি মিলিয়ে গেল৷ রাগে এপেক কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে উঠে বসে ৷ আচমকা আরকে ধাক্কা দেওয়ায় এপেক বেড থেকে নিচে পড়ে যায় ৷ আরকে কে কিছু বলতে যাবে তখনি আর কের রাঙানিত মুখ দেখে ভয়ে কিছু বলে উঠতে পারলো না ৷ চুপ চাপ ফ্লোরে পড়ে থাকা ড্রেস গুলো নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে গেল৷ 

আর কে নিজের মাথার চুল টানতে টানতে বলতে বলতে লাগলো"" আমি তোকে ছাড়বো না তুই যেই হোস না কেন তোকে আমি ছাড়বো না ৷ আমার কোটি টাকা ডিল তোর জন্য ক্যান্সেল হলো ৷ তোর পরিচয়টা একবার পাই তখন দেখাবো এই আর কে কতোটা ভয়ঙ্কর ভাবে তোর মৃত্যু দিতে পারে ৷ "" 

৩৭!!

আজ ছন্দ নিজে সবার জন্য নিজের হাতে রান্না করেছে ৷ সবাই এক সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে আছে ৷ ছন্দ খাবার সার্ব করে নিজেও বসে পড়ে কিয়ারা বেগমের পাশের চেয়ারে৷ ছন্দের অপজিট চেয়ারে বসে আছে রুনা ৷ চোখে মুখে এখনো চিন্তার ছাপ ৷ গতকাল রাতে কালো জেকেটের আড়ালে কে ছিলো এটাই ভেবে যাচ্ছে ৷ সাব্বির আহাম্মেদ চা খেতে খেতে পেপার পড়ছিলো হঠাৎ একটা নিউজ দেখে আঁতকে ওঠে ৷ 

"" কি হয়েছে আব্বু এভাবে ভয় পেয়ে আতকে উঠলে কেন?"(কাব্য)

"" এটা দেখ"" নিউজ পেপারটা কাব্যের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো সাব্বির আহাম্মেদ.....
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।